Logo
শিরোনাম

ঋণ পরিশোধে সময় দিল রাশিয়া, জরিমানা মওকুফ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণদাতা দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে দায়দেনা পরিশোধে বাড়তি সময় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৭ সালের মার্চ থেকে প্রকল্পের ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধ শুরু করার কথা ছিল। বিভিন্ন জটিলতার কারণে দুই বছর সময় চেয়েছিল সরকার। এতে সাড়া দিয়ে দেড় বছর সময় দিয়েছে রাশিয়া।

এদিকে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নেওয়া ৫০ কোটি ডলারের ঋণের কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ না হওয়ায় ১৬ কোটি ডলারের বেশি যে জরিমানা হয়েছিল, তা মওকুফ করেছে পুতিন প্রশাসন। যদিও রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কিস্তি ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারেনি বাংলাদেশ। রূপপুরের ঋণের সংশোধিত প্রটোকলে এমন ছাড় দিয়েছে রাশিয়া।

বৈদেশিক দায়দেনার চাপ কমাতে ২০২৯ সালের মার্চ থেকে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু করার সময় নির্ধারণে রাশিয়া সরকারকে অনুরোধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশোধিত প্রটোকলে ২০২৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পরিশোধ শুরুর নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ইআরডির সংশ্লিষ্ট ইউরোপ উইংয়ের প্রধান ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সরকারের যোগাযোগের ভিত্তিতে এমন ভালো সিদ্ধান্ত এসেছে। প্রকল্পের কাজ এখনো বেশ বাকি থাকায় আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। রাশিয়ার তাতে সম্মতি রয়েছে।

তিনি জানান, প্রকল্প শুরুর আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নেওয়া ঋণের কিস্তির অর্থ আলাদা একটি ব্যাংক হিসাবে জমা রাখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলারে তা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। বিকল্প প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনো কোনো সমাধানে আসা যায়নি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট ব্যয় ধরা হয় ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার বা ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। ব্যয়ের ৯০ শতাংশ হিসেবে মোট ১১.৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে রাশিয়া। বাকি ১০ শতাংশ বাংলাদেশের নিজস্ব জোগান। রাশিয়ার ঋণের মধ্যে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রায় ৭.৭০ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে। করোনা মহামারি এবং পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ঋণের অর্থছাড়ে দেরি হয়। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রাশিয়ার প্রতিশ্রুত মোট ঋণের বাকি ৩.৬৮ কোটি ডলার ছাড় হওয়ার কথা রয়েছে। রাশিয়ার রোসাটম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

ইআরডি সূত্র জানায়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই কিছু ঋণদাতা সংস্থা এবং দেশের কাছে ঋণ পরিশোধে বাড়তি সময় চাওয়া হয়। ঋণের সুদের হারেও ছাড় চাওয়া হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ রূপপুর প্রকল্পের ঋণ চুক্তি সংশোধনে রাজি হন। ওই বৈঠকেই সংশোধনী চূড়ান্ত করার বিষয়ে একমত হয় সরকার এবং রোসাটম।

সম্প্রতি মস্কো থেকে পাঠানো সংশোধিত প্রোটোকলের খসড়ায় ঋণ পরিশোধে এক মাস বিলম্বের জন্য বিলম্ব মাশুল পরিশোধের শর্ত বাদ দেওয়া হয়। মূল প্রোটোকলে ঋণ পরিশোধ এক মাস বিলম্বিত হলে বাংলাদেশকে ৪.৫ শতাংশ হারে জরিমানা দেওয়ার শর্ত ছিল। সে হিসেবে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ থেকে ২০২৫ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ঋণের কিস্তি বকেয়া বাবত বাংলাদেশকে ১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হতো। ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, ঋণ পরিশোধে বিলম্বের জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়।

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। ২০১৭ সালে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




ইসরায়েলি হামলার কঠোর জবাব দেওয়া হবে : তেহরান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ইরানজুড়ে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ইরানের আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি ও দুই পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।হামলার পর তেহরানে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এরই মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইসরায়েলের আকাশসীমা।

এমন পরিস্থিতিতে ইরানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইসরায়েলের হামলার কঠোর জবাব দেওয়া হবে।ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, যতক্ষণ প্রয়োজন হবে ততক্ষণ এই হামলা অব্যাহত থাকবে। হামলার খবর প্রকাশের পর ইরানি কর্তৃপক্ষ তেহরানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্থগিত করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় জড়িত নয়, তিনি ইরানকে এই অঞ্চলে আমেরিকান ঘাঁটিতে হামলার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরপরই ইরানে এই হামলা চালানো হয়েছে।


আরও খবর



দায়িত্ব পালন অসম্ভব হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

উপদেষ্টা পরিষদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।  উপদেষ্টা পরিষদের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড ও অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’

এতে বলা হয়, ‘শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার তার ওপর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সকল কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এদেশে স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে।’

শনিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর অর্পিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব (নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার) বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর এলাকায় পরিকল্পনা কমিশনে এই অনির্ধারিত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অযৌক্তিক দাবি দাওয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য এবং কর্মসূচি দিয়ে যেভাবে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে এবং জনমনে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




ডিসিপ্লিন মেনে চললে যানজট নিয়ন্ত্রণে থাকবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সবাই ডিসিপ্লিন মেনে চললে ও ধৈর্য ধরে কাজ করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও যানজট উভয়ই নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। উপদেষ্টা রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা বলেন, সবাই মিলে সহযোগিতা করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং যানজটও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই আমি সবাইকে অনুরোধ করবো- গাড়ি চালানো, কোরবানির পশুর ট্রাক আনা-নেয়া, পথচারীদের রাস্তা পারাপার সবক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলবেন। এবং অন্যদেরকেও নিয়ম মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করবেন। তবে সড়কে যেমন শৃঙ্খলা বজায় থাকবে, একইভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, এবার সব পরিবহণ চার্ট অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত রেটে ভাড়া আদায় করছে। এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত তেমন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। উপদেষ্টা বলেন, ঢাকার বাইরে থেকে অনেক গরুর গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করছে এবং বৃষ্টিও হচ্ছে। তাই ঢাকার প্রবেশ ও বহির্গমন পয়েন্টগুলোতে কিছুটা যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমাদের ট্রাফিক বিভাগ এ বিষয়ে সজাগ ও সক্রিয় রয়েছে। খুব শীঘ্রই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

উপদেষ্টা বাস টার্মিনালে উপস্থিত যাত্রীদের সাথে কথা বলেন, তাদের খোঁজখবর নেন ও অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হয়েছে কিনা- তা যাচাই করেন। যাত্রীরা বিদ্যমান ভাড়ার হার ও ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

পরে উপদেষ্টা রাজধানীর গাবতলী কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন করেন। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের উপদেষ্টা বলেন, এবার কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা অনেক ভালো। কোরবানির পশুর দামও তুলনামূলক যৌক্তিক। আমি বলবো, অন্যান্য বারের তুলনায় দাম একটু কম রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভোক্তা বা ক্রেতারা সুবিধা পাচ্ছে। তিনি বলেন, ঈদ উল আযহা উপলক্ষ্যে কোনো নিরাপত্তার ঘাটতি নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। এটাকে অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আরও উন্নতি করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু রয়েছে। গরুর কোনো সংকট নেই। কোরবানির পশু কিনতে কারো কোনো সমস্যা হবে না।

এছাড়াও উপদেষ্টা রাজধানীর মিরপুর ও কাফরুল থানা এবং মিরপুরে অবস্থিত পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পরিদর্শন করেন।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




টেংগারচর ইউনিয়ন উম্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি :

"হোক না আমার কুঁড়ে ঘর আমিও দিব নির্ধারিত কর" এই স্লোগানে টেংগারচর  ইউনিয়নে উন্মুক্ত বাজেট সভা -২০২৫-২০২৬ইং অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার অর্থ বছরের খসড়া বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে ১,৩৬,৪০,৯৩১/- ( এক কোটি ছত্রিশ লক্ষ চল্লিশ হাজার নয়শত একত্রিশ ) টাকার টেংগারচর  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান 

মোঃ কামরুল হাছান ফরাজী এর সভাপতিত্বে খসড়া বাজেট হালনাগাদ করে চুড়ান্ত বাজেট তৈরির লক্ষ্যে উন্মুক্ত বাজেট সভার কাযক্রম শুরু করা হয়।

এসময়  খসড়া বাজেট ঘোষণা করেন

ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকতা জনাব রহিমা দেওয়ান।

 দীর্ঘ সময় বাজেটের উপর শুনানি শেষে চুড়ান্ত বাজেট প্রনয়ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন সভাপতি  এবং ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মহোদয়কে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নিদের্শনা প্রদান করেন ।উক্ত বাজেট সভায়, ইউনিয়ন পরিষদের সকল কর্মকতা কর্মচারী, ইউপি সদস্য, বিভিন্ন কমিটির সদস্য ও   গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ঘুরে আসতে পারেন ‘প্রকৃতির কন্যা’ হিসেবে খ্যাত জাফলং

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনস্থল জাফলং। সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায়, ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষা খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এই অপূর্ব স্থানটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ।

সিলেট শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জাফলংয়ে পাহাড় আর স্বচ্ছ নদীর অসাধারণ সম্মিলন পর্যটকদের মোহিত করে। এখানকার প্রধান আকর্ষণ পিয়াইন নদী, যা ভারতের ডাউকি থেকে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

স্বচ্ছ পানির এই নদীতে নৌকা ভ্রমণ পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় অভিজ্ঞতা। জাফলংয়ের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো এখান থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উঁচু পাহাড়গুলো চোখে পড়ে। বর্ষাকালে এসব পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণার জলরাশি নদী হয়ে প্রবাহিত হয়ে যায়। সেই দৃশ্য অসাধারণ ও মনোমুগ্ধকর।

এছাড়া ডাউকি নদীর উপর ঝুলন্ত সেতু দর্শনার্থীদের বাড়তি আকর্ষণ যোগ করে।

 

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
এক সময় জাফলং ছিল খাসিয়া-জৈন্তা রাজার রাজত্বাধীন বনভূমি। জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির পর বহু বছর এই এলাকা পতিত ছিল। পরবর্তীতে পাথরের জন্য খ্যাতি লাভ করে, এবং পাথর ব্যবসার মাধ্যমে এখানে গড়ে ওঠে নতুন জনবসতি।

জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ
জাফলং অঞ্চলে সুপারি, নারিকেল গাছে বসবাসকারী বাদুড়ের দেখা মেলে, যদিও বৃক্ষনিধনের কারণে এখন সেই সংখ্যায় হ্রাস ঘটেছে। এখানকার নদীতে পাওয়া যায় কঠিন শিলার নুড়ি এবং বর্ষায় পাহাড় থেকে ভেসে আসে বড় বড় পাথর।

ভ্রমণের সেরা সময়
জাফলং ভ্রমণের জন্য বর্ষাকালকে আদর্শ সময় বলা হয়। তখন পাহাড়ি ঝর্ণা ও নদীর স্রোত থাকে প্রাণবন্ত। শীতকালেও এখানকার মেঘে ঢাকা পাহাড় ও শান্ত পরিবেশ পর্যটকদের মুগ্ধ করে।

যাতায়াত ব্যবস্থা
ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়া যায় বাস, ট্রেন ও বিমানে। বাস ভাড়া ৬৫০ থেকে ২০০০ টাকা, ট্রেন ভাড়া ৩৫০ থেকে ১৫০০ টাকা এবং বিমানের টিকিট ৩৫০০ থেকে ১০০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। সিলেট শহর থেকে জাফলং যেতে সময় লাগে প্রায় ২ ঘণ্টা। লোকাল বাস কিংবা রিজার্ভ গাড়িতে করে আপনি যেতে পারেন।

সিলেট শহরের জিন্দাবাজারে পানসী, পাঁচ ভাই ও পালকি রেস্টুরেন্টের খাবার ভীষণ জনপ্রিয়। থাকার জন্য সিলেট শহরের হোটেলগুলোই উপযুক্ত যেমন দরগা গেট ও কদমতলী এলাকার আবাসিক হোটেল। তবে জাফলংয়ে থাকতে চাইলে জাফলং ইর বা জাফলং গ্রিন রিসোর্টে থাকতে পারেন।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম রত্ন জাফলং, যেখানে পাহাড়, নদী, ঝর্ণা ও ইতিহাসের অপূর্ব সম্মিলন। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব বা একান্তে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে চাইলে জাফলং হতে পারে আপনার পরবর্তী গন্তব্য।


আরও খবর