Logo
শিরোনাম

রসালো দেশি ফলে ভরে গেছে রাজধানীর বাজার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই রসালো দেশি ফলে ভরে গেছে রাজধানীর বাজার। তবে এসব ফলের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। খুচরা থেকে ভ্রাম্যমাণ দোকান- সবখানেই রাজত্ব করছে আম, লিচু, তালের শাঁস, আনারস, জাম, লটকন, বেতফল, আতাফল, জামরুলের মতো নানা স্বাদের ফল। এমনকি অনলাইন প্লাটফর্মেও বিক্রি হচ্ছে ফল। কিন্তু অনেক ফলের দাম এখনও নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।

বাসাবো এলাকার বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম ফরিদ বলেন, আপেল, কমলা, মাল্টা, আনার- এগুলো এখন দামি ফল। জ্যৈষ্ঠ মাসে অপেক্ষা করি সামর্থ্যরে মধ্যে দেশি ফল খাওয়ার। কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখি লিচু, আম, জাম- সবকিছুর দাম অনেক বেশি। একই অভিজ্ঞতা বেসরকারি চাকরিজীবী মো. ওয়াহেদ উজ জামানের। তিনি বলেন, ১০০ পিস ছোট আকারের লিচুর দাম ৪০০-৫০০ টাকা। বড় আকারের রাজশাহীর লিচুর দাম আরও বেশি। জামের কেজি চাইছে ৪৫০-৫৫০ টাকা।

তবে তালের শাঁস ও আনারসের মতো কিছু ফল এখনও তুলনামূলক সস্তায় মিলছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের ধারে। দিনের বেলায় গরমের মধ্যে একটু স্বস্তি পেতে পথচারীরা ভিড় করছেন এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোয়। রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় ভ্যানে করে তালের শাঁস বিক্রি করছেন মো. হাসনাত রুবেল। তিনি জানান, তালশাঁসের সরবরাহ বেড়েছে, খুচরায় ১০ টাকা পিস বিক্রি করছি। আস্ত তাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা।

এক ক্রেতা মো. নুরুল হক বলেন, এই গরমে পানিজাতীয় ফল খেতে ভালো লাগে। এক পিস ছোট ডাবের দাম ১২০-১৫০ টাকা হলেও তালশাঁস মাত্র ১০ টাকায় পাচ্ছি। আনারসও ৩০-৫০ টাকায় মিলছে।

বিদেশি ফলের দাম বেড়ে অনেক আগেই নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে। খুচরা বাজারে আপেলের কেজি ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, কালো আঙ্গুর ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, সাদা আঙ্গুর ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। একইভাবে মাল্টা, কমলা, আনারসহ অন্যান্য বিদেশি ফলের দামেও আগুন জ্বলছে যেন। চড়া দামে এসব ফল কিনে খাওয়া অনেকের কাছে এখন বিলাসিতায় পরিণত হয়েছে। এমনকি মধ্যবিত্তদেরও এগুলো কিনে খেতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হচ্ছে। তাই সামর্থ্যরে মধ্যে রসালো ফলের খোঁজে সবার নজর এখন জ্যৈষ্ঠের ফলের দিকে।

কারওয়ানবাজারের ফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশি ফলের সরবরাহ গত দুই সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সাতক্ষীরা, রাজশাহী, যশোর থেকে আম আসছে। রাজশাহী ও দিনাজপুরের বড় আকারের লিচুর চালানও শিগগির বাড়বে।

পাইকারি বিক্রেতা মো. আসফাক আলী ও সুরুজ মিয়া জানান, দিন যত এগোবে আমের সরবরাহ বাড়বে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই রাজশাহী ও দিনাজপুরের বড় লিচুর সরবরাহ বাড়বে। তখন দামও কিছুটা কমে আসবে। অন্যদিকে গাজীপুর ও সাভারের পাকা কাঁঠাল রাজধানীর বাজারে পুরোপুরি উঠতে আর সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগবে। জাম, লটকন, বেতফল, আতাফলসহ অন্যান্য দেশি ফলগুলোর সরবরাহ সন্তোষজনক রয়েছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে আমের কেজি বিক্রি হচ্ছে জাতভেদে ১০০-১৫০ টাকা, ১০০ পিস লিচু বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকায়। কালোজামের কেজি ৪০০-৬০০ টাকা, আনারসের পিস ৩০-৫০ টাকা, তাল ৩০-৪০ টাকা, আর ডাবের দাম ১২০-১৫০ টাকা।

তবে বাজারে এখনও সুলভ দামে পাওয়া যাচ্ছে পেঁপে, কলা, পেয়ারা, বাঙ্গি, ও মৌসুম শেষে থাকা তরমুজ। জ্যৈষ্ঠের শুরুতে দেশি ফলের সরবরাহ বাড়লেও দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেই বাজারে ফিরবে স্বস্তি- এই প্রত্যাশাই এখন সাধারণ ক্রেতাদের।


আরও খবর



ধরলা নদীতে আবারও ধরা ধরা পড়ল ৮ কেজি ওজনের চিতল

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

বর্ষা মৌসুম আসতে না আসতেই  বৃষ্টির পানিতে দেখা মিল চিতল মাছের ভের। গত তিন দিনের ব্যাবধানে বঁড়শিতে ধরা পড়েছে বড় চিতল মাছ। যার ওজন ৮কেজি বেশি। ধললা নদীতে এ বিরাট চিতল  মাছটি বঁড়শি দিয়ে শিকার করেন শাহবাজার এলাকার মৎস্য শিকারী তোফাজ্জল পোদ্দার (৬০)। বঁড়শিতে বিরাট  মাছ ধরা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে মাছ দেখতে শতশত উৎসুক জনতা  ভীড় করেন নদীর তীরে। 

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শাহবাজার এলাকার মৎস্য শিকারী তোফাজ্জল পোদ্দার জানান, ছোটবেলা থেকে বঁড়শি দিয়ে মাছ ধরা তার সখ। তিনি সুযোগ পেলেই বঁড়শি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন মাছ ধরতে। সখের বসে রোববার সকাল থেকে   সাহেব বাজার এলাকায় ধরলা নদীতে দুইটি ছিপ পাতেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘক্ষন বসে থেকেও কোন মাছ শিকার করতে পারেননি তিনি। বিকাল বেলা নিরাশ হয়ে বাড়ী ফিরবেন ঠিক এমন সময় মাছ টোপ গিলে সুতায় টান দেয় মাছটি। অনেক আশা নিয়ে ছিপ ধরে টান দেন শিকারী তোফাজ্জল। আশা পূরণ করে বঁড়শিতে আটকে যায় বিরাট এক চিতল মাছ। এরপর প্রায় এক ঘন্টা চলে শিকারী আর মাছের খেলা। অবশেষে শিকারীর কৌশলের কাছে হার মেনে বঁড়শিতে উঠে আসে ৮ কেজি ওজনের বিরাট চিতল মাছ। তিনি এর আগেও গত বৃস্পতিবার একই সময় একই স্থানে ৭ কেজি ওজনের  চিতল মাছ বঁড়শিতে ধরেছেন। 

প্রত্যক্ষদর্শী মাহফুজার রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, আবুল হোসেন বলেন, বঁড়শিতে মাছটি আটকানোর পর নদীর পাড়ে এক অপরূপ দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। মাছ যখন সুতা টান দেয় শিকারী তখন সুতা ছেড়ে দেন। আবার মাছ যখন একটু নিস্তেজ হয় তখন শিকারী সুটা টেনে মাছটিকে কাছে এনে ধরার চেষ্টা করেন। এভাবে অনেকক্ষণ পর শিকারী মাছটি ধরতে সক্ষম হন। 

এ প্রসঙ্গে বড়ভিটা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নুর হোসেন মিয়া  বলেন, শখের বসে বড়শি নিয়ে গিয়ে তোফাজ্জল হোসেন দুইদিনে বড় দুটি চিতল মাছ শিকার করেছে। মাছটি দেখতে দুর দুরান্ত থেকে শতশত মানুষ ভীড় জমিয়েছে।


আরও খবর



ইরানের হামলার ভয়ে খাবার মজুত করছে ইসরায়েলিরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

তেহরানে হামলার জবাবে ইরানও ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে জেরুজালেমের সুপারশপগুলোয় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে খাদ্য ও পানি। মজুত করার জন্য মানুষ এখন এগুলো হুমড়ি খেয়ে কিনছে।

গত রাত ৩টার দিকে সাইরেনের শব্দ ও মোবাইলের সতর্কবার্তায় ঘুম ভাঙে ইসরায়েলের জনগণের। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে মানুষকে জানানো হয়, তাদের সামনে একটি গুরুতর হুমকি রয়েছে। তাই, সবাই যেন আশ্রয়কেন্দ্রের কাছাকাছি স্থানে অবস্থান করে।

ইসরায়েলের জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, সারা দেশে রক্ত সংগ্রহের কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে এবং যেসব রোগী বাড়ি ফিরে যাওয়ার মতো কিছুটা সুস্থ, তাদেরকে ছেড়ে দিচ্ছে ইসরায়েলের হাসপাতালগুলো।

অন্যদিকে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পশ্চিম তীরে সব ফিলিস্তিনি শহরে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

এইসব প্রস্তুতির মূল কারণ পাল্টা হামলার আশঙ্কা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরান থেকে প্রায় ১০০টি ড্রোন ইতোমধ্যে ইসরায়েলের নিক্ষেপ করা হয়েছে। 

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে বাধা দিতে ইরানে অপারেশন রাইজিং লায়ন নাম দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরাযেল। রাতভর চলা এই হামলায় ইরানের একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। এই হামলার মাত্রা, ব্যাপকতা ও সময়কাল এমনভাবে পরিকল্পিত যে এটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের ইঙ্গিত বলেই মন্তব্য করছেন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। ইতিমধ্যে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান। শতাধিক যুদ্ধড্রোন দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে তারা। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো ক্ষয়ক্ষতির কোনো তালিকা পাওয়া যায়নি। 


আরও খবর



ভালো খেলেও জয়বঞ্চিত মেসির ইন্টার মিয়ামি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

প্রথমবারের মতো ৩২ দল নিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের পর্দা উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে। যেখানে উদ্বোধনী ম্যাচেই লিওনেল মেসির ইন্টার মিয়ামি মিশরীয় ক্লাব আল-আহলির মুখোমুখির হয়। রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে দারুণ সব সেভ করে দুই দলকেই জয়বঞ্চিত করেছেন উভয় গোলরক্ষক। মেসির ফ্রি-কিক কিংবা বাঁ পায়ের বাঁকানো শটও তাই প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পায়নি। ফলে আহলির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো মিয়ামিকে।

এর আগে তিনবার ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছিলেন মেসি। তখন অবশ্য আর্জেন্টাইন মহাতারকার গায়ে বার্সেলোনার জার্সি, আর বিশ্বকাপের পরিসরও ছিল ছোট। সাত দল থেকে অভূতপূর্বভাবে এই প্রথমবার ফিফা ক্লাবের এই মেগা টুর্নামেন্ট ৩২ দলে রূপ দিয়েছে। এ ছাড়া ইন্টার মিয়ামির সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও খুব একটা সুখকর নয়। ফলে এবার মেসির লক্ষ্যটা ছিল সর্বোচ্চ পারফর্ম করা। দল কতদূর যেতে চায় সেই আলাপ তিনি সরিয়ে রেখেছিলেন।

ফ্লোরিডার হার্ডরক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় শুরুর কথা ছিল মিয়ামি-আহলির এই ম্যাচ। পরে আসরের উদ্বোধনী পর্ব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে ঘিরে বল মাঠে গড়াতে কিছুটা বিলম্ব হয়। শুরু থেকেই দুই দল শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামে। প্রথমার্ধে এগিয়ে যাওয়ার অনেক বড় সুযোগ ছিল আল আহলির জন্য। কিন্তু তাদের ফুটবলার মাহমুদ ট্রেজেগুয়েটের নেওয়া পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন মিয়ামির আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি। ম্যাচজুড়ে এমন সব সেভের জন্য তিনি ম্যাচসেরাও হয়েছেন। অবশ্য আহলির গোলরক্ষক মোহামেদ আল এলশেনাওয়ি-ও বারবার হতাশ করেন মেসিদের।

ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই আল-আহলির আবু আলি প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করেন। কিন্তু বক্সে ঢুকে তিনি বিলম্বে শট নেন মিয়ামি গোলরক্ষকের হাতে। পরে জানা যায় অফসাইড ছিল সেটি। তিনি মিনিটের মাথায় আবারও মিয়ামির রক্ষণে হানা। তবে ইমাম আশুরের শট ঠেকাতে এগিয়ে এসে এবারও ঢাল বনে যান গোলরক্ষক উস্তারি। তাকে একা পেয়েও গোলবঞ্চিত আহলি। ১৫ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় মিয়ামি। কিন্তু ম্যাচের প্রথম উল্লেখযোগ্য শটটি মেসি বেশ বাইরে দিয়ে মারেন। এভাবে দুই দলই আক্রমণ শাণালেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল অনেকটাই আহলির কাছে।

৩২ মিনিটে এক ফাঁকা হেডার থেকেও অভিজ্ঞ আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মিয়ামিকে বাঁচিয়ে দেন। ফলে গোলশূন্য সমতা নিয়েই উভয় দল বিরতিতে যাওয়ার প্রস্তুতিতে ছিল। তবে নিজেদের বক্সে আহলি ফুটবলারকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেয় মিয়ামি। স্পট কিকে ট্রেজেগুয়েট মিয়ামি গোলরক্ষককে বিচলিত করতে পারেননি। বরং বল মেরেছেন তার হাতে। সেই স্বস্তি নিয়ে ফেরার পর মিয়ামির ছন্দ ফেরে দ্বিতীয়ার্ধে। মেসিকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে তারা বেশ গোছালো ফুটবল খেলতে থাকে। বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি হয়। ৬৪ মিনিটে মেসির ফ্রি-কিক একটুর জন্য জালের পাশে গিয়ে লাগে।

শেষ পর্যন্ত উভয় দল একের পর এক আক্রমণ শাণায়। গোলের সুযোগ থাকলেও প্রতিবারই দুই গোলরক্ষক দারুণ মুনসিয়ানা দেখিয়েছেন। শেষদিকে মিয়ামির কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ফাফা ফিকোল্ট দারুণ হেডে প্রায় আহলির জালে ঠেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু অসাধারণ দক্ষতায় সেটি ঠেকিয়ে দেন আহলি গোলরক্ষক। এরপর তিনি আরও দুটি কর্নার থেকে আসা বল আটকান। শেষ পর্যন্ত আর কোনো দল ডেডলক ভাঙতে পারেনি। ফলে স্কোরলাইন ০-০।


আরও খবর



এবারের বাজেট কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

এবারের বাজেট কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আমরা বিগত বাজেটের চেয়ে ছোট আকারের বাজেট আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাব করছি বলে মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার বিকেল ৩টায় ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা এ কথা বলেন তিনি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্রবৃদ্ধি-কেন্দ্রিক ধারণা থেকে সরে এসে আমরা চেষ্টা করেছি সামগ্রিক উন্নয়নের ধারণায় জোর দিতে। তাই প্রথাগত ভৌত অবকাঠামো তৈরির খতিয়ান তুলে ধরার পরিবর্তে আমরা এবারের বাজেটে প্রাধান্য দিয়েছি মানুষকে।

তিনি বলেন, মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা, সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, জীবিকার নিরাপত্তা এবং বৈষম্যহীন পরিবেশ—এ অত্যাবশ্যক উপাদানগুলো ছাড়া যে কোনো রাষ্ট্র অকার্যকর হয়ে পড়ে, দুর্বল হয় সমাজের ভিত। এবারের বাজেটে তাই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুশাসন, নাগরিক সুবিধা, কর্মসংস্থান ইত্যাদি বিষয়ের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্রমাগত যে সকল সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে তার সুবিধা ভোগ এবং যে সকল চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে তা মোকাবিলা করে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার দিকেও মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।

এটি দেশের ৫৪তম বাজেট এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট। প্রতি বছর জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করা হলেও এবার সংসদ না থাকায় তা ঘোষণা করা হচ্ছে বেতার-টেলিভিশনের মাধ্যমে। এবারের বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম।


আরও খবর



রাণীনগরে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

রাণীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: এছাহক আলীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লেঃ কর্ণেল (অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুল লতিফ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল হক লিটন।অন্যদের মধ্যে, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোজাক্কির হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মতিউর রহমান উজ্জল, সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান বেলাল, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শিমুল, সদস্য সচিব নওশাদুজ্জামান, উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন টনিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া সভায় উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর