Logo
শিরোনাম

রুহ এবং মানুষ : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

সুফি মাজহারুল ইসলাম মাসুম,সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, গবেষক :


মানুষের পরিচয় কি ? মানুষের পরিচয় জানার আগে মনুষ্য জাতির জানা উচিত মানব সৃষ্টির আগে কী সৃষ্টি হয়েছিল? এও জানা উচিত যে, মানবদেহে প্রাণটা স্থাপিত হওয়ার বা সৃষ্টির আগে কোথায় ছিল? তখন কি আমাদের পরিচয় মানুষই ছিল ? নাকি অন্য কোনো শিরোনামে অবহিত করা হতো? আর এ ক্ষেত্রে জানা আবশ্যক রুহ বা আত্মার বিষয়। কেননা মানব সৃষ্টির আড়াই হাজার বছর পূর্বে রুহ সৃষ্টি হয়েছে বলে উদ্ধৃত আছে।

তাহলে আপনা থেকেই প্রশ্ন জাগে রুহ কি? রুহের সঙ্গে দেহের সম্পর্ক কি ? রুহ নশ্বর না অবিনশ্বর? রুহের সঙ্গে নফসের সম্পর্ক কি? রুহ আগে সৃষ্টি হয়েছে নাকি দেহ আগে সৃষ্টি হয়েছে? মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে রুহের অবস্থান কোথায় থাকবে? এসব বিষয়ে জানার কৌতূহল ও আগ্রহ মানুষ বলতেই আছে। তাই যুগ যুগ ধরে মানুষ রুহের হাকিকত ও রহস্য সম্পর্কে চিন্তাভাবনা, ধ্যান-ধারণা ও গবেষণা করে আসছে। বাংলা ভাষায় রুহকে আত্মা বলে।

আরবিতে কখনো কলব কখনো নফস ব্যবহার হয়েছে। আমরা যদি আত্মাকে আরেকটু ব্যাপৃত করি তাহলে রুহর অর্থ দাঁড়ায় দেহবিশিষ্ট, চৈতন্যময়, সত্তা, স্বরুপে স্বয়ং, অন্তর্নিহিত শক্তি, প্রাণের মধ্যবিন্দু, কেন্দ্রবিন্দু, প্রাণকে চঞ্চল করে তুলে এমন উজ্জীবক, গভীর অনুভূতিকে জাগ্রত করে এমন শিরোনাম।

উল্লিখিত আলোকপাতে প্রশ্নোদয় হয় আত্মা কি? আত্মাবিষয়ক আলোচনা মহাগ্রন্থ আল কোরআনে একাধিকবার যেমন উত্থাপন হয়েছে, তেমন বাইবেলেও উল্লেখ রয়েছে। যেমন আল্লাহ সুবহানাহু ওতায়ালা বলেন এবং তাতে আমার রুহ থেকে ফুঁক দেব [সুরায়ে হিজর : ২৯]। বাইবেলে উল্লেখ রয়েছে আর তিনি তোমাদের কাছে চিরকাল থাকবার জন্য আরো একজন সাহায্যকারী পাঠিয়ে দেবেন। আর সে সাহায্যকারীই সত্যের রুহ [যোহন-১৪ : ১৬, ১৭]

দার্শনিক এবং বৈজ্ঞানিকদের মতে রুহ বা আত্মা তিন ধরনের হয়। (১) রুহে হায়াতী : এ রুহ বা আত্মার অবস্থান হৃৎপিন্ডে এর সাথে মানুষের জীবন এবং তার স্বস্তি ও সুস্থতা সম্পর্কিত। (২) রুহে তবয়ী : এ রুহ বা আত্মার অবস্থান রক্ত, এ আত্মা মানুষের শক্তি, সামর্থ্য এবং কর্মক্ষমতা সংশ্লিষ্ট। (৩) রুহে নাফসানি : এ রুহ বা আত্মার অবস্থান মাথা। এই রুহ হলো অনুভূতি এবং চেতনার মূল। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় মনকে আত্মা বলা হয়। বুৎপত্তিগত অর্থে যা পূর্ব অভিজ্ঞতায় স্মরণ রাখতে পারে তাই হলো আত্মা। কেউ কেউ বলেছেন, মানবদেহে যে প্রবাহমান রক্ত আছে সেই রক্ত হলো রুহ বা আত্মা। এবার জেনে নিতে পারি যুগশ্রেষ্ট মনীষীরা রুহ বা আত্মাকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন।

 আত্মা এমন বিষয় যার মাধ্যমে মানুষ শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে। যা মানুষের ভেতর হতে বের হয়ে গেলে মানুষ মারা যাবে। বিশ্বখ্যাত গবেষক আল-ফারাবীর মতে আত্মা হলো এমন বস্তু যার ওপর মানুষের জীবন নির্ভরশীল। যুগশ্রেষ্ঠ দার্শনিক ইমাম গাযযালী বলেন, আত্মা হলো মানুষের দেহ সংশ্লিষ্ট এবং দেহোত্তীর্ণ আধ্যাত্মিক সত্তা ।

মনীষীদের সারকথা হলো আত্মা এমন এক বিষয় যা চিরন্তন, অমর, অবিনশ্বর, অদৃশ্য এবং সর্বত্র বিরাজমান এবং যা মানুষের প্রাণশক্তিকে সঞ্চারিত করে। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী নফস বা আত্মাকে তিনটি শিরোনামে আখ্যায়িত তথা ভাগ করা হয়েছে। যথা- লাওয়ামা, আম্মারা এবং মুতমাইন্না। অবশ্য পবিত্র আল কোরআনেও এ তিন প্রকারের কথা উল্লেখ হয়েছে।

ইসলামিক স্কলারগণ নফস বা আত্মার উল্লিখিত তিন প্রকারের সম্পূরক তিনটি স্তরও উদ্ধৃত করেছেন। যথাক্রমে- (১) রুহে আযীম, (২) রুহে কুদ্দুস এবং (৩) রুহে নফস। এখানে আরেকটি বিষয় প্রাণিধানযোগ্য রুহ, কলব যেটাই বলেন আত্মাকে আত্মশুদ্ধ করার একটি বিশেষ পদ্ধতি আছে! যা হক্কানী পীর বুজুর্গ বা উলামায়ে কেরামগণ যুগ যুগ যাবৎ করে আসছেন। আর সেটাকে আরবি ভাষায় বলা হয় তাযকিরাতুন নফস। যার বাংলা আত্মশুদ্ধি এখানে তাযকিরাতুন কথাটি যায়িয়ূন হতে নির্গত হয়েছে যার এককথায় অর্থ হলো শুদ্ধ, পবিত্র, নিষ্পাপ বা ইসলাহ, অর্থাৎ আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা, পাক করা, উদ্বুদ্ধ করা ও উন্নত করা।


আরও খবর



পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ৫৭০ সালের এই দিনে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর শুভ আবির্ভাব ঘটে

দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদ- মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। ৫৭০ সালের এই দিনে (১২ রবিউল আউয়াল) আরবের মক্কা নগরীর সভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)

মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর জন্মের আগে গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল ওই সময় আরবের মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা বিশৃংখলা যুগকে বলা হতোআইয়ামে জাহেলিয়াত যুগ

তখন মানুষ হানাহানি কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করতো। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন।


মহানবী (সা.) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেমে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। পঁচিশ বছর বয়সে মহানবী বিবি খাদিজার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত লাভ বা মহান রাব্বুর আলামিনের নৈকট্য লাভ করেন

পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে, মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় দিনের (পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর) গুরুত্ব তাৎপর্য অনেক বেশি। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকে।


এদিকে, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ মানবকল্যাণে ব্রতী হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সকল কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর জীবনের ওপর আলোচনা, মিলাদ দোয়া মাহফিল

ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পবিত্র কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল, ১৫ দিনব্যাপী ওয়াজ, মিলাদ দোয়া মাহফিল, বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় সেমিনার, ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত মাহফিল, হামদ-না, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্কুলে নৈতিকতা চরিত্র গঠন বিষয়ক সেমিনার, বিশেষ স্মরণিকা ক্রোড়পত্র প্রকাশ

এছাড়াও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৪ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল বিভাগীয় জেলা কার্যালয়, ৫০টি ইসলামিক মিশন ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনেরও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে

সূত্র: বাসস


আরও খবর



রাজধানীতে আজ আওয়ামী লীগের 'শান্তি সমাবেশ'

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : রাজধানীতে আজ (শনিবার) ‘শান্তি ও উন্নয়নের সমাবেশ’ করবে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করছে। 

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে বিকালে ৩টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের সামনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। একই সময় মোহাম্মদপুর টাউন হলে উত্তর আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ হবে।

এদিকে আজ রাজধানীতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো গণমিছিল কর্মসূচি পালন করবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ জানান, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী। 

তিনি বলেন, সমাবেশ সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। নগরের প্রতিটি থানা-ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেবেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শের-ই বাংলানগর থানা ও এর আওতাধীন ওয়ার্ডের আয়োজনে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এ এ সাত্তার।


আরও খবর



সাজেকের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে বাঘাইছড়ি ও সাজেকের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ১০টার দিকে দিঘীনালা সাজেক সড়কের শুকনা ছড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার।

তিনি জানান, কয়েক দিনের ভারী বর্ষণের ফলে বাঘাইছড়ির ১০ নংশুকনাছড়ি বড়ইতলী সংলগ্ন ৫৪ বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা ও সাজেকের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, সীমান্ত সড়কের জন্য পাথর নিয়ে যাওয়া একটি ট্রাকও বর্তমানে আটকা পড়েছে। তবে পাহাড় ধসে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

তিনি বলেন, পাহাড় ধসের বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ সকলকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি সকালের মধ্যে সড়কের মাটি সরিয়ে ফেলা যাবে। এতে পর্যটকদের কোনো সমস্যা হবে না।


আরও খবর



চলতি বছর ডেঙ্গুতে প্রাণ হারাল ৯০৯ জন

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে সারা দেশে ৯০৯ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩০০৮ জন রোগী। তাদের মধ্যে দুই হাজার ১৯৬ জনই ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক লাখ ৮৭ হাজার ৭২৫ জন।

বছরের একই সময়ে আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে এক লাখ ৭৬ হাজার ৩৪৬ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে ১০ হাজার ৪৭০ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি তিন হাজার ৭৯৪ জন। অন্যরা ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

২০২২ সালে ডেঙ্গুতে মোট ২৮১ জনের মৃত্যু হয়। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।


আরও খবর



মমতাজের বিরুদ্ধে ফের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে ভারতের মুর্শিদাবাদে। চুক্তিভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এ পরোয়ারা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।  

এই মামলায় মমতাজের বিরুদ্ধে এর আগেও তিন বার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। এর পর তিনি মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। 

আদালতের নির্দেশ মোতাবেক, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর মমতাজকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে।  

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— ৯ আগস্ট মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল মমতাজের। ৮ আগস্ট বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মমতাজের মামলার চার্জ গঠন করা হবে। সেই দিন মমতাজ উপস্থিত না হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে। এর পরেই মমতাজ বাংলাদেশ হাই কমিশনের মাধ্যমে একটি আবেদনপত্র আদালতে দাখিল করে জানান, ওই সময়ে তিনি কানাডায় একটি অনুষ্ঠানে থাকবেন। ফলে তার পক্ষে আদালতে হাজিরা দেওয়া সম্ভব হবে না। মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ওই আবেদন খারিজ করে দিয়ে মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন। 

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে— মুর্শিদাবাদে ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনের জন্য আয়োজক সংস্থার কর্মকর্তা শক্তিশঙ্কর বাগচীর সঙ্গে মমতাজের লিখিত চুক্তি হয়। সেই চুক্তি মোতাবেক শক্তিশঙ্করের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মমতাজ নিয়মিত অংশ নিতেন। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ১৪ লাখ টাকায় মুর্শিদাবাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল শিল্পীর। তিনি অগ্রিম টাকাও নেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি মমতাজ। এর পরেই শক্তিশঙ্কর চুক্তিভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ তুলে মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মমতাজের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার ভিত্তিতে আদালত পরবর্তী সময়ে সমন জারি করে। 

এর আগেও তামিলনাড়ুর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে মমতাজের বিরুদ্ধে। সেই মামলা এখনও তামিলনাড়ুর আদালতে বিচারাধীন।


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩