Logo
শিরোনাম

সাবেক এমপি পাপুলের শ্যালিকাসহ ৩ জনের নামে দুদকের মামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে পাঁচ বছরের আয়কর রিটার্ন ও রেজিস্ট্রার ঘষামাজা করে আয়, সম্পদ ও পারিবারিক ব্যয়ে পরিবর্তন করার অভিযোগে লক্ষীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন ও কর অঞ্চল-৪ এর উপ-কর কমিশনার খন্দকার মো. হাসানুল ইসলামসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 


মামলার অন্য আসামি হলেন, কর অঞ্চল-৮ এর উচ্চমান সহকারী হিরেশ লাল বর্মণ। 


বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান । দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


এজাহার সূত্রে জানা যায়, জেসমিন প্রধান ২০২১ সালের শেষের দিকে কোনও এক সময় কর সার্কেল-১৬৫, কর অঞ্চল-০৮, এর অফিসে কর্মরত কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ২০১৬-২০১৭ করবর্ষ থেকে ২০২০-২০২১ করবর্ষ পর্যন্ত রিটার্ন একই দিনে তড়িঘড়ি করে দাখিল করেন। 


এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের চোখে ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে কর সার্কেলের যাবতীয় রেজিস্টারে ঘষামাজা করে টাকার অঙ্ক পরিবর্তন-পরিমাজন হয়েছে। যার প্রমাণ মিলেছে দুদকের জব্দ করা নথিপত্রেও।



জেসমিন প্রধানের ২০১৬-২০১৭ থেকে ২০২০-২০২১ করবর্ষ পর্যন্ত মোট পাঁচ করবর্ষের আয়কর রিটার্নগুলো রিটার্ন রেজিস্টারে যথাক্রমে ৮৬৮, ৬৫৩, ৭৮০, ১১০১ এবং ৫৬ নং ক্রমিকে এন্ট্রি হয়। 


রিটার্ন রেজিস্টারের রেকর্ড হতে দেখা যায়, (১) মোট আয়ের কলামে ঘষামাজা, (২) ৭৪ ধারার কর কলামে ঘষামাজা, (৩) ব্যবসায় মূলধন বিনিয়োগ কলামে ঘষামাজা, (৪) হাতে নগদ ও ব্যাংক স্থিতি কলামে ঘষামাজা, (৫) রিটার্ন রেজিস্টারে নিট সম্পদ কলামে ভিন্ন হাতের লেখায় বিভিন্ন সংখ্যা বসানো, (৬) রিটার্ন রেজিস্টারে পারিবারিক ব্যয়ের যে তথ্য লেখা রয়েছে, আয়কর রিটার্নে এর ভিন্নতা পাওয়া গেছে।


আয়কর নির্ধারণী আদেশপত্রে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর রিটার্ন দাখিলের তারিখেই করদাতাকে ওই মাসের ৩১ তারিখে শুনানির জন্য ৭৯ ও ৮৩(১) ধারায় নোটিশ জারি করা হয়েছিল। 


সার্কেল কর্মকর্তা খন্দকার মো. হাসানুল ইসলামের কাছে করদাতার পক্ষে আয়কর আইনজীবী মো. আদনান শুনানি গ্রহণ করেন।


 শুনানি শেষে ২০২০-২০২১ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। 


নথি অনুসারে, ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর সাধারণ ধারায় রিটার্ন দাখিল করলেও রিটার্নের সঙ্গে ৭৪ ধারায় প্রদেয় আয়কর ছিল নয় লাখ ৬৮ হাজার ১২৫ টাকা। যদিও ওইদিন কর দাখিল হয়নি, পরবর্তী সময়ে ১৪ ডিসেম্বর পে-অর্ডারে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের গুলশান শাখার মাধ্যমে পরিশোধ করেছেন। 


আয়কর নথিতে খন্দকার মো. হাসানুল ইসলাম অনুস্বাক্ষরিত ও ক্যানসেল লেখা চারটি চেক সংরক্ষিত জব্দ করা হয়েছে। যা বৈধতা নিয়ে সন্দেহ থেকে গেছে।


পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৬-২০১৭ করবর্ষের ৩০ নভেম্বর চালানের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা, ২০১৭-২০১৮ করবর্ষের ২৯ নভেম্বর পাঁচ হাজার টাকা, ২০২৮-২০১৯ করবর্ষের ২ ডিসেম্বর চেকের মাধ্যমে ১৫ হাজার ৬০০ টাকা পরিশোধিত হয়েছে। 


কিন্তু ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইস্যুকৃত চেকের এক লাখ ৪৭ হাজার টাকা, ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বরের তিন লাখ ৭৯ হাজার ৬৯ টাকার চেক, ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর ইস্যু করা চেকের ছয় লাখ ৭৩ হাজার ২৬২ টাকা এবং ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি নয় লাখ ৬০ হাজার ৬২৩ টাকার চেক জমা হয়নি। 


ওই চারটি চেক সরকারি কোষাগারে জমা না হওয়ার কারণ ওটা ছিল পরবর্তী সময়ে দাখিল করা বলে দুদক মনে করছে।



করদাতার স্টক রেজিস্টার ও মাসিক কর নির্ধারণী রেজিস্টার পর্যালোচনায় দেখা যায়, করদাতার ২০১৬-২০১৭ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০১৭-২০১৮ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০১৮-২০১৯ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় চার লাখ ৫০ হাজার এবং ২০১৯-২০২০ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় চার লাখ ৫০ হাজার টাকা মোট আয় লিপিবদ্ধ করা রয়েছে।



 কিন্তু আয়কর রিটার্নে ২০১৬-২০১৭ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় আয় ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০১৭-২০১৮ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় আয় ২১ লাখ ৫০ হাজার, ২০১৮-২০১৯ ও ২০১৯-২০২০ করবর্ষে ওই একই আয় ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার এবং ৪৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। 


অর্থাৎ করদাতার আয়কর রিটার্নের সঙ্গে স্টক রেজিস্টার এবং মাসিক কর নির্ধারণী রেজিস্টারের কোনও মিল পাওয়া যায়নি।


এ অবস্থায় জেসমিন প্রধান কর অঞ্চল-৮ এর কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশে ২০১৬-২০১৭ করবর্ষ থেকে ২০২০-২০২১ করবর্ষ পর্যন্ত রিটার্ন একই দিনে করে দাখিল করে সার্কেলের যাবতীয় রেজিস্টারে ঘষামাজা করে টাকার অঙ্ক পরিবর্তন-পরিমার্জন করেছেন। 


ওই সার্কেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্বারা রিটার্ন রেজিস্ট্রার ঘষামাজা করে মোট আয়, মোট সম্পদ, নিট সম্পদ, পারিবারিক ব্যয় ইত্যাদির পরিবর্তন করার সঙ্গে আসামিদের সরাসরি জড়িত ছিলেন বা দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ মিলেছে। 


যে কারণে মামলায় দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। 


প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর মামলা করে দুদক। আসামিদের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয় মামলায়।


 ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল। পরে তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামও সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হন।


অর্থ ও মানবপাচার এবং ঘুষ প্রদানের অভিযোগে ২০২০ সালের জুন মাসে কুয়েতে গ্রেপ্তার হন পাপুল। ওই মামলার বিচার শেষে ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয় কুয়েতের একটি আদালত। 


কুয়েতের রায়ের নথি হাতে পাওয়ার পর ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে জাতীয় সংসদ।


আরও খবর



একটি দলের ওপর ভরসা করে অশ্বডিম্ব পেয়েছি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

পতিত সরকারের পতনের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সামনের সারির নেতা ও তথ্য সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বিএনপিকে ইঙ্গিত করে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যাতে তিনি আক্ষেপের সুরে লিখেছেন, একটি দলের ওপর বেশি ভরসা করে আমরা অশ্বডিম্ব পেয়েছি। ০৯ মে দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে মাহফুজ আলম লিখেছেন, একটি দলের এক্টিভিস্টরা বারবার লীগ নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ছাত্ররা রাজি ছিল না, এটা বলে বেড়াচ্ছেন। মিথ্যা কথা। ক্যাবিনেটে প্রথম মিটিং ছিল আমার। আমি স্পষ্টভাবে এ আইনের অনেকগুলো ধারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। নাহিদ-আসিফও আমার পক্ষে ছিল স্বভাবতই। দল হিসাবে বিচারের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হলে একজন উপদেষ্টার জবাব ছিল ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মতো পশ্চাতপদ উদাহরণ আমরা আমলে নিতে পারি কিনা। এ যুক্তি যিনি দিয়েছিলেন, একটি দলের এক্টিভিস্টরা আজ সমানে তার পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন ছাত্রদের কুপোকাত করতে। অথচ, উনার সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। মিছে বিরোধ লাগানোর অপচেষ্টা করে কোনো লাভ নেই।

তিনি লিখেছেন, বলে রাখা ভালো, দুজন আইন ব্যাকগ্রাউন্ডের উপদেষ্টা (একজন ইতোমধ্যে মারা গিয়েছেন) ও আমাদের বক্তব্যের পক্ষে ছিলেন। সংস্কৃতি উপদেষ্টাও পক্ষে ছিলেন। গতকাল বিকেলে কথা হয়েছে। দল হিসাবে লীগের বিচারের প্রভিশন অচিরেই যুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন ওই উপদেষ্টা। উনাকে ধন্যবাদ।

তথ্য উপদেষ্টা লিখেছেন, মিথ্যা বলা বন্ধ করুন। ঘোষণাপত্র নিয়ে আপনাদের দুই মাস টালবাহানা নিয়ে আমরা বলব। ছাত্রদের দল ঘোষণার প্রাক্কালে আপনারা দলীয় বয়ানের একটি ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন। সমস্যা নেই, আমরাও চাই সবাই স্বীকৃত হোক। কিন্তু, এখন সেটাও হতে দেবেন না। দোষ আমাদেরও কম না। আমরা আপনাদের দলীয় প্রধানের আশ্বাসে আস্থা রেখেছিলাম।

‘পুনশ্চ: আমরা নির্বাচন পেছাতে চাই না। ডিসেম্বর টু জুনের মধ্যে নির্ব্বাচন হবেই,’ যোগ করেন তিনি।

মাহফুজ আলম লিখেছেন, আপনারা যদি মনে করেন, ছাত্ররা নিজেদের আদর্শ ও পরিকল্পনা নিতে পারে না বরং এখান থেকে ওখান থেকে অহি আসলে আমরা কিছু করি, তাহলে আপনারা হয় ছাত্রদের খাটো করে দেখছেন, নয়তো ছাত্রদের ডিলেজিটিমাইজ করার পরিকল্পনায় আছেন। সেই আগস্ট থেকেই আমরা জাতির জন্য যা ভালো মনে করেছি, সবার পরামর্শ নিয়েই করেছি। বরং, ওই দলকেই আমরা বেশি ভরসা করেছি। সবার আগে উনাদের সাথেই পরামর্শ করেছি। ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব। সব দোষ এখন ছাত্র উপদেষ্টা নন্দঘোষ!

তিনি আরও লিখেছেন, আমরা ওই দলকে বিশ্বাস করতে চাই। ওই দলের প্রধানকে বিশ্বাস করতে চাই। উনি আমাদের বিশ্বাসের মূল্য দিয়ে লীগ নিষিদ্ধ প্রশ্নে ও ঘোষণাপত্র প্রকাশে দেশপ্রেমিক ও প্রাগমাটিক ভূমিকা রাখবেন বলেই আস্থা রাখি। ওই দলকে নিয়ে কে কি বলবে জানি না কিন্তু আমরা চাই ওই দল ছাত্রদের সাথে নিয়ে দেশের পক্ষে, অভ্যুত্থানের শত্রুদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ঐকমত্যের নেতৃত্ব দিক। দেশপ্রেমিক ও সার্বভৌমত্বের পক্ষের শক্তি হিসাবে নেতৃত্ব দিলে ছাত্ররা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় উনাদের সঙ্গে চলবেন। ঐক্যবদ্ধ হোন। নেতৃত্ব দিন। এ প্রজন্মকে হতাশ করবেন না। এ প্রজন্ম এ দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ।


আরও খবর



সাগর-রুনি হত্যার তদন্তে সময় বাড়লো আরো ৬ মাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

১৩ বছর ধরে ঝুলে থাকা সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে টাস্কফোর্সকে আরো ছয় মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্টমঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আরশাদুর রউফ তদন্ত শেষ করতে ৯ মাস সময় চান।

তিনি আদালতে বলেন, তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে। আরো সময় দরকার। ৫ আগস্টে ডিবি অফিসে আগুন দেওয়া হয়। তখন অনেক রেকর্ড পুড়ে গেছে।

শুনানি শেষে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ তদন্ত শেষ করতে ছয় মাস সময় দেন।

তদন্তের গোপনীয়তার কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ এদিন অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেনি।

মামলার বাদী পক্ষের কৌঁসুলি মো. শিশির মনির বলেন, বারবার সময় নেওয়া হলে জনমনে খারাপ ধারণার জন্ম দেয়। আমরা বলেছিলাম তিন মাস সময় দেওয়া হোক। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ছয় মাস সময় দেন।

এদিকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল নথি পোড়ার কথা বলায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এই প্রেক্ষাপটে টাস্কফোর্সের অধীনে মামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা পিবিআই একটি বিবৃতি দিয়েছে।

সেখানে বলা হয়, কেউ কেউ ডিবির নথি পুড়ে যাওয়ার নিউজ করছেন তা সঠিক নয়। আগুনে পুড়ে যাওয়ার কথা বলা হয় নাই। অ্যাডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদ রউফ বলেছেন, ডিবির অধিকাংশ অফিসার বদলি হওয়ায় পুরোনো নথি ও ডকুমেন্টস খুঁজে পাওয়া সময় সাপেক্ষ।



আরও খবর



আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস নিয়ে মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ভাবনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

যুগে যুগে দেশ ও জাতির উন্নয়নে শ্রমিক শ্রেণির অবদান অনস্বীকার্য। আজকের এই সভ্য সমাজের উঁচু অট্টালিকা, শিল্প-কারখানা কিংবা প্রযুক্তিগত উন্নয়ন—সবকিছুর পেছনেই মেহনতি মানুষের ঘামঝরা শ্রম নিহিত।

এই দিবসটির ঐতিহাসিক ভিত্তি রয়েছে ১৮৮৬ সালের শিকাগো শহরের ‘হে মার্কেট’ আন্দোলনের মধ্যে। সেখানে শ্রমিকেরা দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন। এ দিনে  অকুতোভয় কিছু শ্রমিক তাঁদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শ্রমিকদের অধিকার, যা পরবর্তীতে বিশ্বজুড়ে শ্রম আইন ও ন্যায্য মজুরির আলোচনার পথপ্রদর্শক হয়। এই অবদানের স্বীকৃতি দিতেই প্রতিবছর ১ মে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, যা মে দিবস নামেও পরিচিত।

এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে শ্রমিক শ্রেণি। দেশের কল-কারখানা, নির্মাণশিল্প, পরিবহন খাত কিংবা কৃষি—প্রতিটি ক্ষেত্রেই শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমই গতি এনে দেয় অর্থনীতিকে। অথচ দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, এই শ্রমিকরাই সমাজে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ও উপেক্ষিত। প্রতিনিয়ত তারা শোষণ, বঞ্চনা ও বিভিন্ন প্রকার নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অনেক সময় তাদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করা হয়, কর্মপরিবেশ থাকে অমানবিক, এবং নিরাপত্তার অভাবে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। পরিতাপের বিষয় হলো, এখনো শ্রমিকদের নিজেদের ন্যায্য মজুরি ও উপযুক্ত কর্মপরিবেশের জন্য রক্ত দিতে হয়। 

শোষণহীন সমাজ গঠনে শ্রমিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে কী ভাবছেন মাভাবিপ্রবি  শিক্ষার্থীরা? এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত তুলে ধরেছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও  ক্যাম্পাস সাংবাদিক মো. হ্নদয় হোসাইন।

ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স বিভাগের ২০২২-২৩ বর্ষের  শিক্ষার্থী সমাপ্তি খান  বলেন, শ্রমিকরা আমাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তারা তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। মে দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সমাজে সব শ্রেণির মানুষের প্রতি ন্যায্যতা ও মর্যাদা থাকা প্রয়োজন। যারা কঠোর পরিশ্রম করেন, তাদের কষ্ট যেন আমরা বুঝি। আমি বড় হয়ে এমন কিছু করতে চাই, যাতে নারী শ্রমিকরা ন্যায্য বেতন ও সম্মান পান।

অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্স ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী  তৌকির  আহমেদ বলেন, ১লা মে—আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। এটি কেবল একটি তারিখ নয়, এটি এক ঐতিহাসিক আন্দোলনের প্রতীক, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের দিন।

এই দিনে আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাই বিশ্বের সকল শ্রমিকদের প্রতি—যারা রোদে-পুড়ে, ঘামে-ভেজা শরীরে দেশের উৎপাদন ব্যবস্থাকে সচল রাখেন। যারা নির্মাণ করেন রাস্তা, ব্রিজ, ভবন—যাদের হাতে গড়ে ওঠে এক একটি জাতির অগ্রগতির ভিত। অথচ আজও আমাদের সমাজে অনেক শ্রমিক বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা থেকে।

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক—

১. শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় নীতিনির্ধারক ও নাগরিক সমাজ সক্রিয় থাকবে।

২. শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক হবে দায়িত্বশীল ও সম্মানভিত্তিক।

৩. শিশু শ্রম, জোরপূর্বক শ্রম ও শ্রমিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে।

আমরা যেন ভুলে না যাই—শ্রমের মর্যাদা মানে মানুষের মর্যাদা। সমাজের প্রতিটি স্তরে শ্রমজীবী মানুষের প্রতি সম্মান ও সহানুভূতির মনোভাব গড়ে তুললেই শ্রমিক দিবসের তাৎপর্য পূর্ণতা পাবে।

শ্রমিকের ঘামে গড়া সমাজে কোনো বৈষম্যের জায়গা নেই।

আসুন, এই দিনে আমরা সমতার সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাই।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের  ২০২০-২১ বর্ষের  শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাকিব বলেন,আমি একজন শিক্ষার্থী। পড়াশোনার ফাঁকে যখন দেখি রোদে-পুড়ে, ঘামে ভিজে কাজ করছেন শ্রমিকরা—তখন মনে হয়, এ সমাজের সত্যিকারের নায়ক তো এঁরাই। আমরা যে ভবনে ক্লাস করি, যে রাস্তায় চলি, তা তো তাঁদের ঘামে গড়া।

তবু কেন তাঁরা থেকে যান প্রান্তে? কেন আজও ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হন? কেন নিরাপদ কর্মপরিবেশ কিংবা সামাজিক সুরক্ষা তাঁদের প্রাপ্য হয়ে ওঠে না?

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস আমাকে শেখায়—শ্রম মানেই সম্মান। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, আমাদের সবার। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার—শ্রমিক বললেই যেন সম্মান ঝরে পড়ে মনে।

শিক্ষার্থী হিসেবে আমি স্বপ্ন দেখি এক এমন সমাজের, যেখানে শিশুশ্রম থাকবে না, কেউ জোর করে শ্রমে বাধ্য হবে না, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক হবে সৌহার্দ্যপূর্ণ।


ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের মাস্টার্স ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী  আক্তারুজ্জামান সাজু বলেন, শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সকল শ্রমিক ভাইদের প্রতি শুভেচ্ছা জানাই। আমি নিজেও একজন শ্রমিকের সন্তান। আমি মনে করি, সভ্যতা নামক জাহাজ শ্রমিকের ঘামের উপর দিয়েই চলে। লক্ষ্যণীয় যে, গত জুলাই বিপ্লবের সময় তথাকথিত সুশীল ও বুদ্ধিজীবীদের আগেই রিকশাওয়ালা, দিনমজুররা রাস্তায় নেমেছিল; তরুণদের প্রতি আস্থা রেখেছিল।

তারুণ্যের এই নতুন বাংলাদেশে আমরা এমন এক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চাই, যেখানে শ্রমিকের মান-মর্যাদা ও ন্যায্য মজুরি সংরক্ষিত থাকবে।


আরও খবর



৮ নায়িকা নিয়ে আসছেন মোশাররফ করিম

প্রকাশিত:রবিবার ১১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

মহানগরর ওসি হারুন থেকে মোবারকনামার মোবারকসহ অসংখ্য চরিত্র দিয়ে দর্শকের মনে দাগ কেটেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। এবার বোহেমিয়ান ঘোড়াতে ট্রাক ড্রাইভার আব্বাস চরিত্রটি নিয়ে দর্শকদের চমক দিতে চান এই অভিনেতা।

অমিতাভ রেজা চৌধুরীর কমেডি ঘরানার বোহেমিয়ান ঘোড়া সিরিজের মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। এতে আছেন একঝাঁক অভিনেত্রী। আছেন তানজিকা আমিন, রুনা খান, মৌসুমী হামিদ, সাদিয়া আয়মান, জুই করিম, ফারহানা হামিদ, অদিতি এবং বৃষ্টি।

অভিনীত চরিত্র নিয়ে মোশাররফ করিম বলেন, অমিতাভ রেজার সঙ্গে এত বড় পরিসরে এটাই আমার প্রথম কাজ। সেই সাথে দুর্দান্ত গল্প ও চরিত্রের কারণেই এই সিরিজের সঙ্গে আমার যুক্ত হওয়া। আর হইচই-এর সাথে আমার সম্পর্কটা তো বহুদিনের তাই এই সিরিজটা নিয়েও প্রত্যাশা অনেক। দর্শক বোহেমিয়ান ঘোড়াতে সম্পূর্ণ নতুন কিছু পাবে বলে আমার বিশ্বাস।

হইচই অরিজিনাল সিরিজ বোহেমিয়ান ঘোড়াতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুনা খান। হইচইয়ের পর্দায় এর আগেও বেশকিছু চরিত্রে তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। তবে এই সিরিজে তার চরিত্রটি একদম ভিন্ন- গরম মেজাজের ও আত্মবিশ্বাসী এক নারীর।

বাস্তব জীবনে তানজিকা আমিন যেমন ঠিক তার বিপরীত চরিত্রে দেখা যাবে তাকে বোহেমিয়ান ঘোড়াতে। আর মৌসুমি হামিদকে দেখা যাবে নারী মৌয়ালের চরিত্রে। সাদিয়া আয়মান অভিনয় করেছেন ছটফটে, চঞ্চল এক তরুণীর ভূমিকায়। জুই করিমকে দর্শক দেখবে একদম নতুন আঙ্গিকে। সাথে আছে ফারহানা হামিদ, তার চরিত্রে রয়েছে সংযম, অনুভূতি আর নিঃশব্দ এক অভিজ্ঞান- যা দর্শকদের ছুঁয়ে যাবে। এছাড়া অদিতি ও বৃষ্টি দুইজন নতুন মুখের আবির্ভাব ঘটেছে এই সিরিজে।

নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী তার পুরো মুন্সিয়ানা দিয়েই নির্মাণ করাছেন সিরিজটি। তিনি বলেন, বোহেমিয়ান ঘোড়া সিরিজে আব্বাস কীভাবে ভালোবাসা, প্রত্যাশা আর সন্দেহ একসাথে সামলান, সেই কৌতুকপূর্ণ জটিলতা উঠে এসেছে। সাথে আছে নানা ধরনের রোড অ্যাডভেঞ্চার। আর যারা অভিনয় করেছে তারা সবাই আমার প্রাণের মানুষ। দুর্দান্ত এক জার্নি ছিল আমাদের সবার। এখন শুধু অপেক্ষা হইচইর দর্শকের কাছে আমাদের বোহেমিয়ান ঘোড়া পৌঁছানোর।


আরও খবর



ট্রাম্পকে ‘উড়ন্ত প্রাসাদ’ উপহার দিচ্ছে কাতার

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বিলাসবহুল ডাইনিং, বেডরুম, বোর্ডরুম, লাইব্রেরি, কী নেই বিমানে! তাই এর নাম ‘ফ্লাইং প্যালেস।’ বাংলায় যাকে বলে ‘উড়ন্ত প্রাসাদ’। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এমনই একটি বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭-৮০০ উড়োজাহাজ উপহার দিচ্ছে কাতারের রাজপরিবার।

উড়োজাহাজটির দাম বাংলাদেশি টাকায় চার হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। সব কিছু ঠিক থাকলে মার্কিন সরকারের বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া সবচেয়ে দামি উপহার হবে এটি। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপহারটি গ্রহণ করতে রাজি হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। উড়োজাহাজটিকে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত ভ্রমণের কাজে ব্যবহৃত ‌‘এয়ারফোর্স ওয়ানের’ পদমর্যাদায় উন্নীত করা হতে পারে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজস্ব ব্যক্তিগত উড়োজাহাজের নাম ‘ট্রাম্প ফোর্স ওয়ান’। এটা একটি পুরনো ৭৫৭ বোয়িং জেট। ২০১১ সালে এই উড়োজাহাজটি কিনেছিলেন তিনি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, একটি বাণিজ্যিক বোয়িং ৭৪৭-৮ মডেলের উড়োজাহাজের দাম প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় চার হাজার ৮৮০ কোটি টাকা)।

একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিমান এখন কাতার থেকে আমেরিকায় পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এয়ার ফোর্স ওয়ান হিসেবে এতে আরও কিছু আপগ্রেড করা হবে। বিশেষ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং অন্যান্য প্রযুক্তি ইনস্টল করা হবে। তাই কিছুটা সময় লাগতে পারে।

তবে কিছু আইনি জটিলতার মুখেও পড়তে হতে পারে ট্রাম্পকে। কারণ আমেরিকার সংবিধান অনুযায়ী, বিদেশি সরকারের কাছ থেকে উপহার গ্রহণে কিছু বিধিনিষেধ আছে। রাষ্ট্রপতি বা অন্যান্য ফেডারেল কর্মকর্তারা বিদেশি সরকার থেকে কোনও উপহার বা আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন না, যদি না আমেরিকার কংগ্রেসের অনুমোদন থাকে। এই বিমানটি যদি উপহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়, তবে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।


আরও খবর