জেলা প্রতিবেদক, কুমিল্লা
ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী কে গুলি করে আহত করার ঘটনায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উত্তাল চান্দিনা।
বুধবার (১১ মে) দুপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের আয়োজনে চান্দিনা উপজেলা পরিষদ এর সামনের সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। পরে বেলা ১১টায়‘রেদোয়ান এর শাস্তি চাই’ শ্লোগানে মুখরিত এক বিক্ষোভ মিছিল চান্দিনার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নেতা-কর্মীরা অংশ নেয়।
পথ প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন-কুমিল্লা ৭ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা: প্রাণ গোপাল দত্ত। এসময় চান্দিনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা তপন কুমার বকশি, মাইজখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকার সহ আওয়ামীলীগ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অধ্যাপক ডাক্তার প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন খুনী রেদোয়ান কিলার রসিদের উত্তারার্ধীকার। চান্দিনায় অশান্তি বিরাজ করার পরিকল্পনাই ছিলো রেদোয়ানের। চান্দিনাকে অশান্তি করা যাবেনা। দৃষ্টান্ত শূলক শাস্তির দাবি করেন।
উল্লেখ্য যে , গত সোমবার (৯ মে) বিকাল ৪টায় চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজ ক্যাম্পাস-২ মমতাজ আহমেদ ভবন এ কলেজ ছাত্রলীগ ও পৌর এলডিপি পাল্টাপাল্টি ঈদপুনর্মিলনীর আয়োজন করেন। দুপুর ১টার পর থেকে ছাত্রলীগের আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হতে শুরু করে। দুপুর আড়াইটায় এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ কলেজ ক্যাম্পাস-২ প্রধান ফটকের সামনে গেলে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাদের সাথে কথা হয়। এসময় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতৃবৃন্দ একই স্থানে এলডিপি’র প্রোগ্রাম করতে নিষেধ করেন এবং ছাত্রলীগও প্রোগ্রাম করবেন না বলে জানান। এসময় তিনি গাড়ি নিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় কোন এক ছাত্রলীগ কর্মী রেদোয়ান আহমেদ এর গাড়িতে তরমুজ দিয়ে ঢিল ছুড়ে। এসময় রেদোয়ান আহমেদ গাড়ির জানালা খুলে পরপর দুইটি গুলি করেন। এতে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কাজী আখলাকুর রহমান জুয়েল বাদী হয়ে ১৫জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রেদোয়ান আহমেদসহ চারজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়।