বিডি ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলামকে ৯ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমানের আদালতে তাকে হাজির করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় বাদী পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র সহায়তায় রাজধানীর গুলশান থেকে ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়ন হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করতে ১৯ নভেম্বর বিকেলে বাঞ্ছারামপুর থানা এলাকায় লিফলেট বিতরণ করছিলেন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ হামলা করলে সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন গুলিবিদ্ধ হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মারা যান ।
এ ঘটনায় নিহত নয়নের বাবা রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে কনস্টেবল বিশ্বজিৎকে প্রধান আসামি করে এসপি আনিসুর রহমান, বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করেন। তবে ওই মামলা খারিজ করে দেন আদালত।
এর আগে একই বছর ২০ নভেম্বর এই ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফজাল হোসেন বাদী হয়ে হত্যা, পুলিশের কাজে বাধা, হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও সরকারি সম্পদের ক্ষতির অভিযোগ একটি মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় ১৭ জন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছিল। ওই মামলায় গ্রেফতার করা হয় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলামকে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান মামুন বলেন, ছাত্রদলের নয়নকে আওয়ামী ক্যাডাররা পুলিশের ছত্রছায়ায় হত্যা করেছিল। তখন আদালতে একটি মামলা করলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। এই তাজুল ইসলামের নির্দেশে মামলাটি খারিজ হয়। এখন মুক্ত পরিবেশ হওয়ায় পুলিশের মামলায় ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।