Logo
শিরোনাম

সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনের মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক - লালমনিরহাট


লালমনিরহাট-২ ( আদিতমারী- কালীগন্জ)  আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনের মামলা দায়ের করলেন কলেজ শিক্ষক ও প্রতিবেশি এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর। 

এরা হলেন ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার শামসুজ্জামান আহমেদ (৫৫), কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মাহাবুবুজ্জামান আহমেদ (৫৬)  কালীগঞ্জের কেইউপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশিদুজ্জামান আহমেদ (৫৭)  ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রংপুর বিভাগীয় সহকারী পরিচালক ওয়াহেদুজ্জামান আহমেদ (৫৩) 

গতকাল রোববার দুপুরে লালমনিরহাট দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক মোঃ ইকবাল হাসান অভিযোগের শুনানির পর এ সংক্রান্ত অভিযোগটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করতে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) কে আদেশ দেন। 

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের কাশিরাম গ্রামের মৃত বজলে রহমান মুসতাযীরের কন্যা কলেজ শিক্ষক এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীরের দায়ের করা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের চার ভাইসহ ১৩ জনের পরিচয় উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০/৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৭ আগষ্ট বিকাল সাড়ে চারটার সময় শ্রীখাতা মৌজায় কলেজ শিক্ষক এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর তার ভোগ দখলীয় জমিতে পাকা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ চলমান অবস্থায় অভিযুক্তরা লাঠি লোহার রড, ছোড়া, হকি স্টিক ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সেখানে গিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করতে হুমকি ধামকি দেন। এ সময় নির্মানাধীন  সীমানা প্রাচীর ভেঙে নির্মাণ সামগ্রী লুটপাট করতে থাকলে মামলার বাদী এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর বাধা প্রদান করেন। এ সময় হামলাকারীরা এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীরের হাতে,  পায়ে,  পিঠে , নির্মাণ শ্রমিকদের শরীরের বিভিন্ন স্হানে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারপিট করে। আহতরা কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

মামলার বাদী কলেজ শিক্ষক এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর বলেন, এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ ( এজাহার)  দিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন। এর প্রেক্ষিতে আইনজীবীর মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটের আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ আনয়ন করি। গতকাল রোববার দুপুরে লালমনিরহাট দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক মোঃ ইকবাল হাসান অভিযোগের শুনানির পর অভিযোগটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করতে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি)  কে আদেশ দেন।  সংশ্লিষ্ট এলাকার 

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি)  ইমতিয়াজ কবির বলেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী অভিযোগটির বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে মর্মে জানান। 



আরও খবর



ট্রাম্পকে ‘উড়ন্ত প্রাসাদ’ উপহার দিচ্ছে কাতার

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

বিলাসবহুল ডাইনিং, বেডরুম, বোর্ডরুম, লাইব্রেরি, কী নেই বিমানে! তাই এর নাম ‘ফ্লাইং প্যালেস।’ বাংলায় যাকে বলে ‘উড়ন্ত প্রাসাদ’। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এমনই একটি বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭-৮০০ উড়োজাহাজ উপহার দিচ্ছে কাতারের রাজপরিবার।

উড়োজাহাজটির দাম বাংলাদেশি টাকায় চার হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। সব কিছু ঠিক থাকলে মার্কিন সরকারের বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া সবচেয়ে দামি উপহার হবে এটি। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপহারটি গ্রহণ করতে রাজি হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। উড়োজাহাজটিকে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত ভ্রমণের কাজে ব্যবহৃত ‌‘এয়ারফোর্স ওয়ানের’ পদমর্যাদায় উন্নীত করা হতে পারে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজস্ব ব্যক্তিগত উড়োজাহাজের নাম ‘ট্রাম্প ফোর্স ওয়ান’। এটা একটি পুরনো ৭৫৭ বোয়িং জেট। ২০১১ সালে এই উড়োজাহাজটি কিনেছিলেন তিনি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, একটি বাণিজ্যিক বোয়িং ৭৪৭-৮ মডেলের উড়োজাহাজের দাম প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় চার হাজার ৮৮০ কোটি টাকা)।

একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিমান এখন কাতার থেকে আমেরিকায় পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এয়ার ফোর্স ওয়ান হিসেবে এতে আরও কিছু আপগ্রেড করা হবে। বিশেষ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং অন্যান্য প্রযুক্তি ইনস্টল করা হবে। তাই কিছুটা সময় লাগতে পারে।

তবে কিছু আইনি জটিলতার মুখেও পড়তে হতে পারে ট্রাম্পকে। কারণ আমেরিকার সংবিধান অনুযায়ী, বিদেশি সরকারের কাছ থেকে উপহার গ্রহণে কিছু বিধিনিষেধ আছে। রাষ্ট্রপতি বা অন্যান্য ফেডারেল কর্মকর্তারা বিদেশি সরকার থেকে কোনও উপহার বা আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন না, যদি না আমেরিকার কংগ্রেসের অনুমোদন থাকে। এই বিমানটি যদি উপহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়, তবে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।


আরও খবর



৫ মে সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

তিন মাসেরও বেশি সময় লন্ডনে চিকিৎসা শেষে শারীরিকভাবে অনেকটা সুস্থবোধ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এবার দেশে ফেরার পালা। ইতোমধ্যে তার চিকিৎসায় বাংলাদেশে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার লন্ডনে পৌঁছেছেন। পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুয়ায়ী ৪ মে রওনা হয়ে পরদিন ৫ মে ঢাকায় পৌঁছাবেন খালেদা জিয়া ও তার সফরসঙ্গীরা।

জানা গেছে, লন্ডনের বিমানবন্দর হিথ্রো-২ থেকে স্থানীয় সময় আগামীকাল রবিবার (০৪ মে) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন। সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন সোমবার (০৫ মে) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে। সেখানে কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ঢাকায় পৌঁছাবেন।

জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে দেশে আনতে তার মেডিকেল বোর্ডের প্রধান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোরে তিনি লন্ডনে পৌঁছান। তার সঙ্গে গেছেন বোর্ডের আরেক সদস্য আইসিইউ কনসালটেন্ট ডা. জাফর। তারা সোমবার খালেদার জিয়ার সঙ্গে ঢাকায় ফিরবেন।

ডা. শাহাবুদ্দিন বলেন, আমি লন্ডন এসেছি। ইতোমধ্যে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সঙ্গে দেখা হয়েছে। তিনি ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ। সোমবার সিলেট হয়ে ১০টা ৫৫ মিনিটে আমাদের ঢাকায় ফেরার কথা। উনার সঙ্গে আমি, ডা. জাহিদ ও ডা. জাফর আছি।

তিনি বলেন, ম্যাডাম দ্য লন্ডন ক্লিনেকে সেরা চিকিৎসা পেয়েছেন। সেখানে বিশ্ববিখ্যাত চিকিৎসকরা সেবা দিয়ে থাকেন। দোয়া রাখবেন যাতে ম্যাডামকে নিয়ে সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পারি।

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের সফরসঙ্গী ও তার উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৫ মে সকালে ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) দেশে ফিরবেন ইনশা আল্লাহ।

এক প্রশ্নের জবাবে এনামুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছেলে তারেক রহমান ফিরছেন না। তারেক রহমানের ফেরা নির্ভর করছে রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ওপর। আমি, ম্যাডামের দুই পুত্রবধূ, ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম ডা. জাহিদ হোসেন, ম্যাডামের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, গৃহপরিচারিকা ফাতেমা খাতুন ও ব্যক্তিগত স্টাফ রূপা হক সফরসঙ্গী হিসেবে দেশে ফিরছি। ম্যাডামের তিন নাতনি লন্ডনেই থাকবেন আপাতত।

তিনি জানান, খালেদা জিয়া অনেকটা সুস্থ হওয়ায় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের প্রয়োজন পড়েনি। তিনি বাংলাদেশ বিমানের একটি এয়ারলাইনসের বিজনেস ক্লাসে চড়ে ঢাকায় ফিরবেন।


আরও খবর



সমাজে নারীর প্রেম নিয়েই সমস্যা

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি মানেই খোলামেলা আলোচনা। কেনো রাখডাখ না রেখেই সব বলে দিতে পারেন। সিনেমার মত তার ব্যক্তিগত জীবনও বেশ সিনেমাটিক। জীবনে বহু সম্পর্কে জড়িয়েছেন এই আবেদনময়ী নায়িকা। আর কোনো সম্পর্ক নিয়ে গোপনীয়তা নেই।

কয়েক মাস আগে এক সাক্ষাৎকারে জানান, জীবনে ছয়বার সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। স্বস্তিকার এই মন্তব্য ঘিরে নেটিজেনরা নানা চর্চা শুরু করেন। এবার সেসব চর্চার জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘৬টা নয়, আমি ৬০০ প্রেম করেছি, আগে ভুল বলেছি। ক্যাওড়াতলা যাওয়ার আগে আমি আরও একটা শূন্য এর সঙ্গে জুড়তে চাই। এটাই আমার জীবনের উদ্দেশ্য।

চর্চা-সমালোচনার তোয়াক্কা করেন না অভিনেত্রী। তিনি বলেন, 'জীবন আমার। যদি মনে হয়, ছয় হাজার মানুষকে ভালোবাসব, তাহলে বেশ করবো। আমি তো বলছি না যে, ছয়জনকে মারব, খুন করব, তাদের গলা চিরে রক্ত খাব, ধর্ষণ করব, তাদের সঙ্গে জালিয়াতি করব বা কাজ করিয়ে পয়সা দেব না। আমাদের আশপাশে সমাজে তো এগুলোই হচ্ছে। প্রেম করব, তাতেও মানুষের সমস্যা! তাহলে যা হচ্ছে আশপাশে তা-ই হোক।

সমাজে নারীর প্রেম নিয়েই সমস্যা, পুরুষরা এসব চর্চার বাইরে- এমন মন্তব্য করে অভিনেত্রী বলেন, ''ভালোবাসাটা কেন সমস্যা হবে? অবশ্য এটা মহিলা বলেই হয়। ছেলেরা করলে আমরা তাদের বলি, ‘হ্যাভিং অ্যা ওয়াইল্ড লাইফ'। ভীষণ দারুণ একটা জীবন। আর মেয়েরা করলে তাদের বেশ্যা বলে। মেয়েরা ৬টা প্রেম করলে বেশ্যা। ছেলেরা ৬টা প্রেম করলে লোকে বলে, ‘ভাই এলেম আছে।’ এই সমাজে আমরা বাস করছি।

অভিনেত্রীর মতে, মৃত্যুর আগে তিনি আরও প্রেম করতে চান। প্রচুর মানুষকে ভালোবাসতে চান। অনেক ভালোবাসা দেওয়ার আছে, তা দিতে চান। লিফলেটের মতো বিলি করতে চান। জীবনটা পরিপূর্ণ করেই মরতে চান এ অভিনেত্রী।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস


আরও খবর



ঐক্যের চেতনা ধারণ করে আমাদের অগ্রসর হতে হবে

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

জনসাধারণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ঐক্যের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। এটা শুধুমাত্র আমাদের অঙ্গীকার নয়, এটা আমাদের দায়।

জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণসংহতি আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকের প্রারম্ভিক বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাবের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে যে পুঞ্জীভূত সংকট মোকাবিলা করার চেষ্টা। শুধু সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়ন যথেষ্ট নয়, সে জন্য দরকার দরকার একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাঠামো তৈরি করা, গণতন্ত্রের চর্চা করা, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে একত্রিত থাকা।

তিনি বলেন, জনসাধারণের ঐকবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসককে পলায়নে বাধ্য করেছে। এ ঐক্য বজায় রেখে, ঐক্যের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। এটা শুধুমাত্র আমাদের অঙ্গীকার নয়, এটা আমাদের দায়।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে যারা প্রাণ দিয়েছেন, লড়াই করেছেন, যারা আহত-নিহত হয়েছেন, তারও আগে গত ১৬ বছর ধরে সমস্ত রকম জুলুম নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করেছন, গত ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্র, সবার অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্র, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার মতো রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন, তাদের সবার কাছে আমাদের দায়।

সংস্কারের বিষয়ে সংলাপকে আলোচনার অগ্রগতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সামান্য হলেও অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছি। সেটা ধরে রাখতে না পারলে, বিকশিত করতে না পারলে সমস্ত সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাবে। সেটা যাতে না হয়, সে জন্য সবার প্রচেষ্টা। আমরা একত্রিতভাবে অর্জনের চেষ্টা করছি। যে অর্জন শুধু আমাদের জন্য নয়, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন গণতান্ত্রিক জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র তৈরি করার জন্য।

সবাইকে একমত হয়ে দ্রুততার সঙ্গে জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

প্রতিষ্ঠার লগ্ন থেকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রামে যুক্ত ছিল গণসংহতি আন্দোলন উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, তারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে, অংশগ্রহণ করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান।


আরও খবর



দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:রবিবার ১১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

দেশজুড়ে প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। রাজধানী ঢাকাসহ আটটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে চুয়াডাঙ্গা, ঢাকা, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ ও যশোর।

রোববার (১১ মে) আবহাওয়া অধিদফতরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে রেকর্ড করা হয়েছে। একই দিনে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়। যা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এ ছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ চলছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে জনজীবন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।

তবে কিছুটা স্বস্তির খবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সোমবার (১২ মে) ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় ও ঢাকা বিভাগের কোনো কোনো অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

এ ধরনের আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে দেশের অনেক জায়গায় দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত কমে আসতে পারে। রাতের তাপমাত্রাও সামান্য হ্রাস পেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। ফলে কোথাও কোথাও চলমান তাপপ্রবাহ কিছুটা কমে আসতে পারে।

সামনের দিনগুলোতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে তাপপ্রবাহ কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ততক্ষণ পর্যন্ত জনসাধারণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে রোদে বাইরে বের হওয়ার সময় ছাতা ব্যবহার, পর্যাপ্ত পানি পান ও হিটস্ট্রোকের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন থাকার আহবান জানানো হয়েছে।


আরও খবর