
নিজস্ব প্রতিবেদক - লালমনিরহাট
লালমনিরহাট-২ ( আদিতমারী- কালীগন্জ) আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনের মামলা দায়ের করলেন কলেজ শিক্ষক ও প্রতিবেশি এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর।
এরা হলেন ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার শামসুজ্জামান আহমেদ (৫৫), কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মাহাবুবুজ্জামান আহমেদ (৫৬) কালীগঞ্জের কেইউপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশিদুজ্জামান আহমেদ (৫৭) ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রংপুর বিভাগীয় সহকারী পরিচালক ওয়াহেদুজ্জামান আহমেদ (৫৩)
গতকাল রোববার দুপুরে লালমনিরহাট দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক মোঃ ইকবাল হাসান অভিযোগের শুনানির পর এ সংক্রান্ত অভিযোগটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করতে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) কে আদেশ দেন।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের কাশিরাম গ্রামের মৃত বজলে রহমান মুসতাযীরের কন্যা কলেজ শিক্ষক এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীরের দায়ের করা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের চার ভাইসহ ১৩ জনের পরিচয় উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০/৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৭ আগষ্ট বিকাল সাড়ে চারটার সময় শ্রীখাতা মৌজায় কলেজ শিক্ষক এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর তার ভোগ দখলীয় জমিতে পাকা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ চলমান অবস্থায় অভিযুক্তরা লাঠি লোহার রড, ছোড়া, হকি স্টিক ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সেখানে গিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করতে হুমকি ধামকি দেন। এ সময় নির্মানাধীন সীমানা প্রাচীর ভেঙে নির্মাণ সামগ্রী লুটপাট করতে থাকলে মামলার বাদী এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর বাধা প্রদান করেন। এ সময় হামলাকারীরা এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীরের হাতে, পায়ে, পিঠে , নির্মাণ শ্রমিকদের শরীরের বিভিন্ন স্হানে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারপিট করে। আহতরা কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মামলার বাদী কলেজ শিক্ষক এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর বলেন, এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ ( এজাহার) দিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন। এর প্রেক্ষিতে আইনজীবীর মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটের আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ আনয়ন করি। গতকাল রোববার দুপুরে লালমনিরহাট দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক মোঃ ইকবাল হাসান অভিযোগের শুনানির পর অভিযোগটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করতে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) কে আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট এলাকার
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী অভিযোগটির বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে মর্মে জানান।