Logo
শিরোনাম

সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনের মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক - লালমনিরহাট


লালমনিরহাট-২ ( আদিতমারী- কালীগন্জ)  আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনের মামলা দায়ের করলেন কলেজ শিক্ষক ও প্রতিবেশি এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর। 

এরা হলেন ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার শামসুজ্জামান আহমেদ (৫৫), কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মাহাবুবুজ্জামান আহমেদ (৫৬)  কালীগঞ্জের কেইউপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশিদুজ্জামান আহমেদ (৫৭)  ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রংপুর বিভাগীয় সহকারী পরিচালক ওয়াহেদুজ্জামান আহমেদ (৫৩) 

গতকাল রোববার দুপুরে লালমনিরহাট দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক মোঃ ইকবাল হাসান অভিযোগের শুনানির পর এ সংক্রান্ত অভিযোগটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করতে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) কে আদেশ দেন। 

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের কাশিরাম গ্রামের মৃত বজলে রহমান মুসতাযীরের কন্যা কলেজ শিক্ষক এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীরের দায়ের করা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের চার ভাইসহ ১৩ জনের পরিচয় উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০/৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৭ আগষ্ট বিকাল সাড়ে চারটার সময় শ্রীখাতা মৌজায় কলেজ শিক্ষক এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর তার ভোগ দখলীয় জমিতে পাকা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ চলমান অবস্থায় অভিযুক্তরা লাঠি লোহার রড, ছোড়া, হকি স্টিক ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সেখানে গিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করতে হুমকি ধামকি দেন। এ সময় নির্মানাধীন  সীমানা প্রাচীর ভেঙে নির্মাণ সামগ্রী লুটপাট করতে থাকলে মামলার বাদী এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর বাধা প্রদান করেন। এ সময় হামলাকারীরা এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীরের হাতে,  পায়ে,  পিঠে , নির্মাণ শ্রমিকদের শরীরের বিভিন্ন স্হানে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারপিট করে। আহতরা কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

মামলার বাদী কলেজ শিক্ষক এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর বলেন, এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ ( এজাহার)  দিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন। এর প্রেক্ষিতে আইনজীবীর মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটের আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ আনয়ন করি। গতকাল রোববার দুপুরে লালমনিরহাট দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক মোঃ ইকবাল হাসান অভিযোগের শুনানির পর অভিযোগটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করতে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি)  কে আদেশ দেন।  সংশ্লিষ্ট এলাকার 

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি)  ইমতিয়াজ কবির বলেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী অভিযোগটির বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে মর্মে জানান। 



আরও খবর



শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

জাপানে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাপানের প্রত্যন্ত ইজু দ্বীপপুঞ্জের কাছে ওই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

এদিকে ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করেছে জাপানের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। খবর জাপান টাইমসের

জাপাসি গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছেমঙ্গলবার জাপানের প্রত্যন্ত ইজু দ্বীপপুঞ্জের কাছে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে

এই কম্পনের পর স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সুনামি সতর্কতা জারি করে। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছেভূমিকম্পের জেরে ইজু দ্বীপপুঞ্জে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা এবং ওগাসাওয়ারা দ্বীপপুঞ্জে সকাল ৯টার দিকে এক মিটার (৩.৩ ইঞ্চি) উচ্চতার সুনামি আশঙ্কা করা হয়


আরও খবর

মিল্টনের আঘাতে লণ্ডভণ্ড ফ্লোরিডা

শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪




জাতীয় পরামর্শ সভায় সর্বস্তরের আলেমদের ঐক্যের ডাক

প্রকাশিত:শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

মোহাম্মদ হাছানুজ্জামান মাসউদ :

অনারম্বরপূর্ণ আয়োজনে রাজধানীর জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়ায় (যাত্রাবাড়ী বড় মাদ্রাসা) ২১ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সকাল ১০ টায় কওমি মাদরাসাগুলোর সর্বোচ্চ অথরিটি আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান, কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ’র সভাপতি, রাজধানীর জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ি’র প্রিন্সিপাল, গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদ ও ঈদগাহ সোসাইটি’র খতিব, মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশ’র আমীর মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে এ পরামর্শ সভায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ১২০ এর অধিক উলামায়ে কেরাম ও ইসলামী চিন্তাবিদরা উপস্থিত ছিলেন। 



কওমের ঐক্য-সংহতি ও সঠিক দিকনির্দেশনার ক্ষেত্রে ওরাসাতুল আম্বিয়া হিসাবে উলামায়ে কেরামের দায়িত্ব আঞ্জাম দেওয়ার নিমিত্তে ‘দেশ ও জাতির চলমান পরিস্থিতি : উলামায়ে কেরাম এবং ইসলামী চিন্তাবিদদের করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 



সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেন, ২০২৪ সাল আমাদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য বছর। গত জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের একটি পট পরিবর্তন ঘটেছে। যার মূলশক্তি ছিল সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস। দেশবাসী এক হলে বড় কিছু করা যায়। এ সময়ে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার সাথে উলামায়ে কেরামের ঐক্য ছিল লক্ষ্যণীয়। এ পর্যায়ে অভূতপূর্ব জাতীয় ঐক্য সংহতিরও নজির সৃষ্টি হয়েছে। এক পর্যায়ে অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তারা রাষ্ট্রসহ মৌলিক অনেক পর্যায়ে সংস্কার সাধন করবেন বলে উদ্যোগী হয়েছেন। 


তিনি বলেন, এ সংস্কার কাজে ইসলামী আদর্শ ও মূল্যবোধ এবং দেশ ও জাতির স্বার্থ সংরক্ষিত হচ্ছে কিনা, সেটা দেখা উলামায়ে কেরামের দায়িত্ব। নতুন গঠিত প্রতিটি কমিশনে শতকরা ৯২ ভাগ মুসলমানের স্বার্থ দেখার দায়িত্ব উলামায়ে কেরামের। বিশেষ করে সংবিধান সংস্কারে ইসলাম বিরোধী কোনো পদক্ষেপ যেন গ্রহণ করা না হয়, সেটা পর্যবেক্ষণ করা এবং সংবিধানসহ প্রতিটি কমিশনে উলামায়ে কেরাম ও ইসলামী চিন্তাবিদদের অংশীদারিত্ব বহাল রাখা একটি কর্তব্য। 


দেশের সর্বস্তরের উলামায়ে কেরামকে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ধর্মপ্রাণ মানুষ এখন উলামায়ে কেরামের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মের জন্য অপেক্ষমান। আপনারা এবার বিচ্ছিন্ন না হয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্থায়ীভাবে জনগণের মনে স্থান করে নেওয়া সম্ভব হবে। রাষ্ট্রব্যবস্থায় নিঁখুত একটি শক্তি হিসেবে ইসলাম ও মুসলমানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। মনে রাখতে হবে, সর্বাবস্থায় আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত, আকাবিরে দেওবন্দ ও বাংলাদেশের শত বছরের শীর্ষ মুরব্বি উলামায়ে কেরামের মত-পথ, নীতি ও আদর্শ সমুন্নত রাখতে হবে। 


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর সৈয়দ মুফতি রেজাউল করীম বলেন,- 

দেশের দ্রুত পরিবর্তনশীল এই সময়ে যাত্রাবাড়ির হযরত একটি সাহসী এবং যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। স্বাধীনতার পর থেকে ৫৩ বছরে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নেওয়ার সুযোগ আসেনি। ভিন্নমত তো থাকবেই, কিন্তু পরামর্শের ভিত্তিতেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এই সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক হবে না। এ ব্যাপারে উলামায়ে কেরামের যে কোনো সৎ পরামর্শ আমরা মেনে নিতে প্রস্তুত।


পরামর্শ সভার আলোচনায় বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলোচক আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী বলেন,-

যতদিন কওমি আলেমরা রাজনৈতিক প্রশ্নে এক প্লাটফর্মে না আসবে, ততদিন তাদের রাজনৈতিক মুক্তি হবে না। যারা কওমি আলেমদের আকীদার নয় তাদের সাথে ঐক্য কোনো সুফল বয়ে আনবে না। 


বেফাকুল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, 

আমি মনে করি, আমাদের এখন আকীদার ভিত্তিতে ঐক্য হয়ে যাওয়া। পরবর্তীতে বিরোধী কারো সাথে ঐক্য হলে যদি ইসলামের বৃহৎ স্বার্থ হাসিল হয় তখন রাজনৈতিক নেতারা সময় অনুযায়ী ভেবে সিদ্ধান্ত নিবেন।



ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলোচক মুফতি মুশতাকুন্নবী বলেন, 

আজকের এই মজলিস আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সূচনা। তরিকতের লাইনে বলি আর উলূমের লাইনেই বলি, আল্লামা মাহমূদুল হাসান সাহেব আমাদের জাতীয় মুরব্বি। তিনি বেফাক ও হাইয়ার ক্রান্তিলগ্নে আমাদের বাঁচিয়েছেন। আমরা যদি আজ তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে পারি, তাহলে আগামীর বাংলাদেশে এই দল উলামাদের সঠিক পথ দেখাবে।


এ সময় উলামায়ে কেরাম ও ইসলামী চিন্তাবিদদের করণীয় শীর্ষক জাতীয় পরামর্শ সভায় ৭ দফা প্রস্তাবাবলী গৃহীত হয়।

১। রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে সংবিধান সংস্কারে ইসলাম বিরোধী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না এবং সংবিধানসহ প্রতিটি কমিশনে উলামায়ে কেরাম ও ইসলামী চিন্তাবিদদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। 

২। শিক্ষা সংস্কার কমিটিতে ইসলামী শিক্ষাবিদ, কারিকুলাম ও সিলেবাস বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। 

৩। সংস্কারের সুযোগে পাশ্চাত্য বিভিন্ন মতবাদ, ট্রান্সজেন্ডার, এলজিবিটিকিউ, উগ্র নারীবাদ, সর্বধর্মবাদ ইত্যাদি অনুপ্রবিষ্ট করা যাবে না।

৪। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শান ও মান এবং খতমে নবুওয়াত সমুন্নত রাখার জন্য আইন পাশ করতে হবে। 

৫। রাষ্ট্র, সমাজ ও সরকারের প্রতিটি ক্ষেত্রে শতকরা ৯২ ভাগ মানুষের বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির মূল্যায়ন করতে হবে। 

৬। বাংলাদেশের যাবতীয় দ্বীনি কার্যক্রমের শরীয়াভিত্তিক বিশ্লেষণ ও দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য আল্লামা মাহমূদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি কাউন্সিল গঠন করা হবে। 

৭। আজকের জাতীয় পরামর্শ সভা থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবাবলীর আলোকে ইসলামী অঙ্গনে ব্যাপক আকারে ঐক্যের রূপরেখা তৈরি করে আল-হাইয়াতুল উলিয়ায় উপস্থাপন করা হবে।


জাতীয় এ পরামর্শ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান, ঢালকানগর মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী জাফর আহমাদ, জামিয়া পটিয়ার মুহতামিম মাওলানা আবু তাহের নদভী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, হেফাজতে দ্বীন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মুফতি মুহাম্মদ আলী, জামিয়া গহরপুরের মুহতামিম মাওলানা মুসলেহুদ্দীন গওহরপুরী, বেফাকের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা মানুসুরুল হাসান রায়পুরী, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল কাদির, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মুফতি মুজিবুর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল হক কাউসারি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব ড. মহিউদ্দিন ইকরাম, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি একেএম আশরাফুল হক প্রমুখ। 


জাতীয় পরামর্শ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযা, শিবচর জামিয়াতুস সুন্নাহর মুহতামিম মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ ফরিদী, মাওলানা আব্দুল আউয়াল (নারায়নগঞ্জ), তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গার মুহতামিম মাওলানা মুহিউল ইসলাম বুরহান, টঙ্গি দারুল উলুমের মুহতামিম মুফতি মাসউদুল করীম, হেফাজত ইসলামের প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী, বসুন্ধরা মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি সোহাইল, চকবাজার শাহী মসজিদের খতিব মাওলানা মিনহাজ, মাদরাসাতু সালমানের মুহতামিম মুফতি রুহুল আমিন, চৌধুরীপাড়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মাহফুজুল হক, মেরাজনগর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা রশীদ আহমদ, খতমে নবুওয়তের সহ-সভাপতি মুফতি সাঈদ, মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা সাদেক আহমদ সিদ্দিকী, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মাওলানা নুরুল ইসলাম (গাজীপুর), মাওলানা আলী আহমাদ (পীর সাহেব চণ্ডিবর্দি), মাওলানা শওকত হোসেন সরকার, মাওলানা বোরহানুদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা আনওয়ারুল হক, মুফতি মাওলানা গোলামুর রহমান, শহীদুল আনওয়ার সাদী, মাওলানা আশরাফ আলী, মুফতি মাসুম আহমদ প্রমুখ।


 সভার পরিসমাপ্তিতে জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যেসকল তাজা প্রাণ ঝরেছে তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের ও দেশ জাতির কল্যাণ কামনায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাহায্য কামনা করা হয়।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতি ১৫০০ কোটি টাকা ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী

প্রকাশিত:শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে কৃষি ও মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে ৮৭০ কোটি টাকা। বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি। ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে সদর উপজেলায়। জেলায় নিঃস্ব হয়েছেন প্রায় তিন লাখ কৃষক। বন্যার এক মাস পার হলেও ২০ ইউনিয়নের ৩ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দী। 

স্থানীয়রা জানান, গত ২০ বছরে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা ও জলাবদ্ধতা দেখেনি লক্ষ্মীপুরের মানুষ। এক মাস পার হলেও অনেক এলাকা থেকে এখনো পানি সরেনি। রাস্তাঘাট বাড়িঘর হাঁটু পর্যন্ত পানি তলিয়ে রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় জানায়, গত ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হয় টানা বৃষ্টি ও বন্যা। এতে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। পানিবন্দী হন ৫ উপজেলাবাসী। ভেসে যায় ৫০ হাজার পুকুর ও ঘেরের ২৫০ কোটি টাকার মাছ। তলিয়ে যায় আমনের বীজতলা, আবাদসহ ৬০ হাজার হেক্টর জমির ফসল। ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা। 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় আরও জানায়, পানির তোড়ে ২০০ ব্রিজ-কালভার্ট এবং কাঁচা–পাকা ২ হাজার ৭৫০ কিলোমিটার সড়কের ৩৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। অপর দিকে ৯ হাজার ৮৭০ কিলোমিটার বৈদ্যুতিক লাইন, ১০১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৩০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়, ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৫৬টি গবাদিপশুসহ বিভিন্নভাবে জেলায় বন্যায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। জেলায় ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে পুঁজিসহ সব হারিয়ে নিঃস্ব প্রায় তিন লাখ কৃষক। 

জেলার সদর উপজেলার চাঁদখালী গ্রামের খোকন হোসেন ও মোহাব্বত হোসেন জানান, এক মাস পার হলেও এখনো পানিবন্দী। অর্ধাহারে-অনাহারে খেয়ে–না খেয়ে দিন কাটছে। এরই মধ্যে পানিতে পচে গেছে ঘরের আসবাব। ঘরের ভিটেমাটি ধসে গেছে। কোথাও মাথা গোঁজার আশ্রয় নেই। বন্যার পানিতে সর্বস্ব হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। চরম দুর্ভোগের মধ্যে থাকতে হচ্ছে তাদের। কবে নাগাদ পানি কমবে সে আশায় দিন কাটছে তাদের। 

সদর উপজেলার বালাইশপুর এলাকার আদর্শ খামারের মালিক ফারুকুর রহমান বলেন, ‘চারটি পুকুর ও ঘেরের প্রায় ৫০ লাখ টাকার মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। গবাদিপশুর গোখাদ্য নষ্ট হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকার। বন্যায় ক্ষতি ও ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। এই এলাকায় আমার মতো কয়েক হাজার খামারি নিঃস্ব হয়েছেন।’ 

৩০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানান জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া। তিনি বলেন, ‘এবারের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ক্ষতির শিকার প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ। এর মধ্যে কৃষকই ৩ লাখ। এ ছাড়া জেলার ২০ ইউনিয়নের ৩ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দী। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে মানুষের। কাজ করে যাচ্ছি।’ 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘আমন আবাদসহ মোট শস্যখেত রয়েছে ৯০ হাজার ৫৭৪ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে বন্যায় ক্ষতি হয়েছে ৫৮ হাজার ৩০০ হেক্টর জমির ফসল। যার ক্ষয়ক্ষতি ৬৩৩ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন করার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।’ 

জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার বলছেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসনের কাজ চলছে। পাশাপাশি খালগুলোর বাঁধ অপসারণ ও দুপারে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বহুতল ভবন উচ্ছেদ করে পানি চলাচল স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষি ও মৎস্য খাতে। সব মিলে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে ১ হাজার ৬৯ টন চাল ও ৬৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।’ ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।


আরও খবর



ভারত যাচ্ছে তিন হাজার টন ইলিশ

প্রকাশিত:শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

অবশেষে ইলিশ যাচ্ছে ভারতে। আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশটিতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। শনিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন রফতানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত শর্ত পূরণসাপেক্ষে তিন হাজার টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দেওয়া হলো

সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর (উপসচিব, রফতানি-২ শাখা, কক্ষ নং ১২৭, ভবন নং ৩, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়) আবেদন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো

তবে উল্লিখিত সময়ের পর প্রাপ্ত আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। এ ছাড়া যারা এরই মধ্যে আবেদন করেছেন, তাদের নতুন করে আবেদনের প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়


আরও খবর



ক্লাসে ফিরলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

গত ২ জুন গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও ঈদুল আজহার বন্ধ শেষে ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খুললেও সরকার ঘোষিত সার্বজনীন পেনশন স্কিমের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। ৫ জুলাই থেকে কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। উভয় পক্ষই দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয়। সেই থেকে বিভিন্ন ঘটনার পরিক্রমায় প্রায় সাড়ে তিন মাস পর ক্লাসে ফিরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘোষণা দেওয়ার পর শুরু হয় ক্লাস। যেসব ডিপার্টমেন্টে পরীক্ষা চলছিল বা রুটিন দেওয়া হয়েছিল, নতুন করে তাদের রুটিন প্রকাশ করা হয়নি এখনও। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা, দ্রুতই তাদের পরীক্ষার রুটিনগুলো প্রকাশ করা হবে

করোনা মহামারি ও বিভাগগুলোর সদিচ্ছার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের একটি অংশ প্রায় দুই বছরের সেশনজটে রয়েছে। বিশেষত করোনার আগে ২০১৯-২০ সেশনে যারা ভর্তি হয়েছেন। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় প্রশাসন লস রিকভারি প্ল্যানের আওতায় ছয় মাসের সেমিস্টার ৪ মাসে নিলেও অনেকগুলো ডিপার্টমেন্টই তা ফলো করে। বিশেষত সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিপার্টমেন্টগুলো

যেখানে কলা অনুষদের বেশ কিছু ডিপার্টমেন্ট পরীক্ষা শেষে রেজাল্টও দিয়ে দিয়েছে এবং বাকি ডিপার্টমেন্টগুলোর পরীক্ষা শুরু হয়েছিল, রুটিন দিয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা থাকলেও ক্লাসে ফিরতে পেরে মোটামুটি স্বস্তিতে তারা। অনুষদের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তৈবুর রহমান সিফাত বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা সেশনজটে পড়ে আছি, কলা অনুষদসহ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের বন্ধুরা, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুরা তাদের কোর্স সম্পূর্ণ করে ফেলেছে। আমাদের এখনও এক সেমিস্টার বাকি। বছরের শেষ দিকে এখানে চাকরির সার্কুলার হতে পারে। এই বছরের মধ্যেই অনার্স শেষ না হলে আমরা তা মিস করবো। সবকিছু মিলিয়ে প্রশাসনের উচিত এ বছরের মধ্যেই আমাদের অনার্স শেষ করে দেওয়া। বিষয়গুলো নিয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মাঝে হতাশা কাজ করছে। তবে ক্লাসে ফিরতে পেরে আপাতত স্বস্তি এসেছে

বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহিন আলম বলেন, আমাদের অষ্টম সেমিস্টারের রুটিন দিয়েছিল, পরীক্ষাও হয়েছিল একটি কোর্সের। আজ থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে আবার। আমাদের পরীক্ষা নিয়ে এখনও নতুন রুটিন দেওয়া হয়নি। ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, খুব শিগগিরই রুটিন প্রকাশ করে পরীক্ষা নেওয়া হবে


আরও খবর

এইচএসসি ও সমমানের ফল মঙ্গলবার

শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪