Logo
শিরোনাম

সাহিত্য রচনার পাশাপাশি ব নার মুক্তির পথ দেখিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

পরিকল্পা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেছেন,রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্ম বাঙগালীকে আলোর পথ দেখায়। বিশ্বকবি পতিসর কাচারী বাড়ির আঙ্গিনায় বসে অসংখ্য সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি করেছেন। রবীন্দ্রনাথ জমিদার হয়েও সাধারণ মানুষের কাছে নিজেকে নিবেদন করতেন। কবি সকল গুনের অধিকারী ছিলেন। তৎকালীন সমাজের বৈষম্য ও কুসংষ্কার ‍দূর করে স্বনির্ভর সমাজ গড়ে তোলার কাজ হাতে নিয়েছিলেন। নিজস্ব জমিদারী কালীগ্রাম পরগনা থেকেই সেই কাজ তিনি শুরু করেছিলেন। সাহিত্য রচনার পাশাপাশি কবি সকল ব নার মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম  জন্মোৎসব

অনুষ্ঠানে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পতিসরে এসব কথা বলেছেন তিনি। 

প্রতি বছরের মত এবারো সংষ্কৃতি মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় নওগাঁ জেলা প্রশাসন আলোচনা সভা ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বুধবার বিকেলে কবির নিজস্ব জমিদারী কালীগ্রাম পরগনার কবীর কাচারি বাড়ী দেবেন্দ্র মে  এই আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন রবীন্দ্র গবেষক ড. আশরাফুল ইসলাম। এছাড়া নওগাঁ সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরীফুল ইসলাম খাঁন, কৃষি অর্থনীতি গবেষক অধ্যাপক মোজাফ্ফর হোসেন আলোচনায় অংশনেন।  আলোচকরা  বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মময় জীবনী তুলে ধরেন।

  এদিন বিকেল সোয়া চারটায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ফেষ্টুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি পরিকল্পা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার ।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৌরেনন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, নওগাঁ- ৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্রহানী সুলতান, নওগাঁ- ৬ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক সুমন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফৌজিয়া হাবিব ও আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার সি তা বিশ্বাস,জেলা পরিষদ সদস্য চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন  নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহেল রানা।

আলোচনা সভা শেষে দেবেন্দ্র মে  সাংষ্কৃতিক, কবীতা আবৃতি, গান ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়।


আরও খবর



পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ওয়াক্ফ আইন ঘিরে অতি সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে যে সহিংসতা ঘটল, তা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মনে করে ভারত। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম গত ৮ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

শফিকুল আলমের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজ শুক্রবারের বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনায় বাংলাদেশের তরফ থেকে যে বক্তব্য এসেছে, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।”

“বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চলমান নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সাথে তুলনা করার জন্য এটি একটি ছদ্মবেশী এবং ছলনাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যেখানে এই ধরনের অপরাধের জন্য দায়ীরা এখনও মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অযৌক্তিক মন্তব্য করা এবং সদ্গুণের পরামর্শ প্রদানের পরিবর্তে বাংলাদেশ যদি তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করে, তাহলে আরও ভাল করবে।”

গত ২ এপ্রিল গভীর রাতে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভা এবং পরের দিন উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাস হয় ‘সংশোধিত ওয়াক্ফ বিল, ২০২৫’। তারপর ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে আইনে পরিণত হয় সেই বিল এবং ৮ এপ্রিল তা কার্যকর হয়।

এদিকে আইন কার্যকর হওয়ার পরপরই ভারতের রাজধানী দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুরসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু করেন মুসলিমরা ও বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এই বিক্ষোভকে ঘিরে আক্ষরিক অর্থেই রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদীয়াসহ বিভিন্ন জেলা। পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘাতে মুর্শিদাবাদে ৩ জন সংবাদও পাওয়া গেছে এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ২ শতাধিক বিক্ষোভকারী। তবে বর্তমানে মুর্শিদাবাদ ও অন্যান্য জেলার অবস্থা শান্ত।

আইন স্থগিতের দাবিতে ইতমধ্যে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি সঞ্জিব খান্নার বেঞ্চে বুধবার মামলার ওপর শুনানিও শুরু হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হওয়ার দিনই আইনটির কার্যকর হওয়ার সময় পিছিয়ে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।


আরও খবর



জাতীয়ভাবে উদযাপিত হবে বাংলা নববর্ষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

এবার নববর্ষ শুধু বাঙালির উৎসব হিসেবে নয়, বরং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, মণিপুরী, গারোসহ দেশের সব জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে জাতীয়ভাবে উদযাপিত হবে। এ উপলক্ষে একদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, সরকার নববর্ষ উদযাপনকে আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক করার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এবার থেকে এ সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে নববর্ষের দিন একদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, যা এতদিন শুধু বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বাঙালিদের জন্য প্রযোজ্য ছিল।

নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার দেশের সংস্কৃতিকে আরো বিস্তৃত পরিসরে তুলে ধরতে চায়, যেখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হবে।

অন্যদিকে আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে ভিন্নধর্মী এক আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রথমবারের মতো চাঁদরাতে একটি বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানটি দেশের বহুমাত্রিক সংস্কৃতিকে তুলে ধরার পাশাপাশি সব সম্প্রদায়ের সংস্কৃতিকে সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়ার প্রতিফলন ঘটাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এ ধরনের উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে কোনো জাতিগোষ্ঠী বা ধর্মীয় বিশ্বাসের সংস্কৃতিকে অবমূল্যায়ন করা হবে না। বরং সবার সংস্কৃতি সম্মানিত ও স্বীকৃত হবে, যা একটি সত্যিকার অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক হবে।



আরও খবর



শুল্ক স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের প্রায় সব দেশের ওপর নতুন বর্ধিত রপ্তানি শুল্ক আরোপ করে বিশ্বজুড়ে রীতিমতো হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন। বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতোমধ্যেই তার প্রভাব অনুভূত হওয়া শুরু হয়েছে।

গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে— এমন সব দেশের ওপর বর্ধিত রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে মৌলিক বা বেসলাইন ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, সিঙ্গাপুরসহ ১২টি দেশের ওপর, বাকি দেশগুলোর ওপর আরোপিত শুল্ক ১০ শতাংশের বেশি। সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ভিয়েতনামের ওপর— ৪৬ শতাংশ। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর ধার্য করা হয়েছে ৩৭ শতাংশ শুল্ক।

৫ এপ্রিল থেকে বেসলাইন শুল্ক সংগ্রহ শুরু হয়েছে। যেসব দেশের ওপর ১০ শতাংশের বেশি শুল্ক ধার্য করা হয়েছে, তা সংগ্রহ শুরু হবে ৯ এপ্রিল থেকে।

অনেক দেশ এর মধ্যেই বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার বা স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে বিভিন্ন কূটনৈতিক পন্থায় যোগাযোগ করছেন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে; প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা স্বীকারও করেছেন, তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন—এ ইস্যুতে তিনি অনমনীয়।

সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে শুল্ক স্থগিত করবেন কি না— এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “আমরা এমন কিছু ভাবছি না। আপাতত (শুল্ক স্থগিতের) কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।”

“এমন অনেক, অনেক দেশ আছে যারা আমাদের সাথে বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনা করতে আসছে এবং তারা ন্যায্য চুক্তি করবে, এবং কিছু ক্ষেত্রে, তারা প্রচুর শুল্ক দেবে। আমরা ন্যায্য বাণিজ্যিক সম্পর্ক চাই।”

আগের দিন রোববার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। সংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সেই বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ট্রাম্প বলেন, “গতকাল আমি জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমি তাকে মাত্র একটি কথা বলেছি যে মার্কিন পণ্যের জন্য জাপানকে উন্মুক্ত করতে হবে আপনাদের। কারণ বর্তমানে জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি রপ্তানির হার শূণ্যের কাছাকাছি অথচ যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর লাখ লাখ গাড়ি রপ্তানি করে জাপান।


আরও খবর



পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের কাফন মিছিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ছয় দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর কাফন মিছিল করেছেন।

বৃহস্পতিবার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আন্দোলনকারীরা আজকের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। ঘোষণা অনুযায়ী, আজ দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা জুমার নামাজের পর একযোগে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ মিছিল করবেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, জুমার নামাজের পর বেলা দুইটার দিকে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট জামে মসজিদের সামনে থেকে কাফন মিছিল বের হয়।

মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মাথায় কাফনের কাপড় বাঁধা ছিল। কারও কারও পরনেও ছিল কাফনের কাপড়।

মিছিলটি জামে মসজিদের সামনে থেকে তেজগাঁও এলাকার প্রধান সড়কে আসে। সাতরাস্তা মোড় ঘুরে মিছিলটি ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটকে যায়। সেখানে কিছু সময় অবস্থানের পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে চলে যান।

মিছিল থেকে নানা স্লোগান দেওয়া হয়। এসব স্লোগানের মধ্যে ছিল—‘মামা থেকে মাস্টার, মামাবাড়ির আবদার, এক হও এক হও, পলিটেকনিক এক হও, ষড়যন্ত্রের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব দাও

গত বুধবার ছয় দফা দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। সড়ক আটকে রাখায় তীব্র যানজটে পড়ে দিনভর ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। পরে তাঁরা সারা দেশে বৃহস্পতিবার রেল ব্লকেড বা রেলপথ অবরোধ করার ঘোষণা দেন। কিন্তু গতকাল সকালে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুপুরে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে তাঁদের বৈঠক আছে। বৈঠকের আগপর্যন্ত রেল ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল থাকবে।

গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক থাকায় শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) দুপুর পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ে ছিলেন না। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব খ ম কবিরুল ইসলামও ঢাকার বাইরে ছিলেন। এ অবস্থায় অতিরিক্ত সচিব (কারিগরি অনুবিভাগ) রেহানা ইয়াছমিনের সঙ্গে বৈঠক করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল। দুপুর ১২টার দিকে বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা তিনটার দিকে।

এই আলোচনায় শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট হননি। এ অবস্থায় তাঁরা আন্দোলনের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণার অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মশাল মিছিল করেন তাঁরা। গতকাল রাতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন প্রথম আলোকে বলেন, আজ শুক্রবার দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা জুমার নামাজের পর একযোগে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ মিছিল করবেন।

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে প্রথমটি হলো, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতি কোটা বাতিল করতে হবে। এ ছাড়া জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় বাতিল, ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত, ২০২১ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।


আরও খবর



মার্চে ৪৪২ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

চলতি বছরের মার্চ মাসে ২৪৮ জন কন্যা ও ১৯৪ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২৫ জন কন্যাসহ ১৬৩ জন। তার মধ্যে ১৮ জন কন্যাসহ ৩৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ২ জন কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, ২ জন কন্যা ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া ৫৫ জন কন্যাসহ ৭০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নারী ও কন্যা নির্যাতন বিষয়ক প্রতিবেদনে (মার্চ) এ তথ্য জানানো হয়েছে। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন পাঠায় মহিলা পরিষদ।

মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতি মাসে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চ মাসে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১২ জন কন্যাসহ ১৬ জন। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন ৮ জন, এর মধ্যে ৬ জন কন্যা। বিভিন্ন কারণে ৯ জন কন্যাসহ ৫৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে।

এ ছাড়া গত মাসে ৯ জন কন্যাসহ ২৯ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ২ জন কন্যাসহ ১৩ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। নারী ও কন্যা পাচারের শিকার হয়েছেন ২১ জন, এর মধ্যে ১০ জন কন্যা। ১ জন অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ জন, এর মধ্যে ২ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মার্চ মাসে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ১৭ জন, এর মধ্যে ২ জন কন্যা। পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩ জন। ২ জন গৃহকর্মীর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পিতৃত্বের দাবির ঘটনা ঘটেছে ১টি। ৬ জন কন্যাসহ ৮ জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে। এছাড়া ২ জন কন্যাসহ ১১ জন অপহরণের চেষ্টার শিকার হয়েছে। ৩ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন। বাল্যবিয়ের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ৩টি। এছাড়া ৪ জন কন্যাসহ ১২ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।


আরও খবর