Logo
শিরোনাম

সাজেকে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় সেনাবাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

উচিংছা রাখাইন রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক বাঘাইহাট সড়কের ১৪ মাইল চম্পাতলী  এলাকায় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল আব্দুল হালিম মারাগেছেন। ২৪ জুলাই রবিবার বিকেলে সাড়ে তিন ঘটিকায় সাজেক পর্যটন কেন্দ্র থেকে ফেরার পথে চাঁদের গাড়ীকে সাইট দিতে গিয়ে এই মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় ঘটে এতে নিজের মোটরসাইকেল থেকে উল্টে পরে  সেনাবাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল সৈনিক নং- (৪৫০৭২৮৫) আব্দুল হালিম মারাত্মক ভাবে আহত হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মূমুর্ষ  সেনা সদস্য আব্দুল হালিমকে বাঘাইহাট সেনাবাহিনীর সহায়তায় খাগড়াছড়ির ২০৩ রিজিয়নের এমডিএসে নিয়ে গেলে পরীক্ষার পর  কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সেনা সদস্য বাঘাইছড়ি পৌরসভার দুই নং ওয়াডের পশ্চিম মুসলিম ব্লক এলাকার মৃত শহিদুল ইসলামের বড় ছেলে সে  চট্টগ্রাম সেনানিবাসের অধিনস্থ ২৩ বীরে কর্মরত ছিলেন। ছুটিতে বাড়িতে এসে মোটরসাইকেল নিয়ে সাজেক পর্যটন এলাকায় বেড়াতে গিয়ে ফেরার পথে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় পরেন। নিহত সেনা সদস্যের ছোট ভাই উজ্জ্বল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বাঘাইছড়ি থানার সার্কেল এসপি আব্দুল আওয়াল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বৃষ্টিতে সড়ক পিচ্ছিল ছিলো চাঁদের গাড়ী দেখে হার্ড ব্রেইক করে মোটরসাইকেল থেকে উল্টে পরে মাথায় ও কোমরে আঘাত পেয়ে মারাত্মক ভাবে আহত হয় পরে খাগড়াছড়ি সেনাবাহিনীর এমডিএসে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



দেশে ৪.৫ কোটি মানুষ নিরাপদ পানি পায় না

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশের প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ এখনও নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদী দূষণের কারণে দেশে পানির সঙ্কট আরও বাড়ছে নদীর পানি ব্যবহৃত না হওয়ায় প্রতি বছর মাটির নিচ থেকে ৮৬ ভাগ পানি তুলতে হচ্ছে তারা জানান, উন্নত দেশ হতে হলে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপও কমাতে হবে আবার শতভাগ মানুষের পানির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

জীবন ধারণের জন্য যে পানি প্রয়োজন, তা ক্রমেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পানি আমাদের জীবনের একটি বিশেষ উপাদান। পানির অপর নাম জীবন। জন্মের পর থেকে পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য আমরা নানাভাবেই পানির ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে আমাদের দেশে সুপেয় পানি পাওয়া অনেকটা চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। সুপেয় পানি ছাড়া জীবন রক্ষা নয়, তাই পানিই মৃত্যু ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠছে।


পৃথিবীর তিন-চতুর্থাংশই পানি। তবুও বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানির জন্য আমাদের অনেক বেগ পেতে হয় তা সকলের জানা। ভূপৃষ্ঠের ৭০.৯% অংশ জুড়ে পানির অস্তিত্ব রয়েছে। পৃথিবীতে প্রাপ্ত পানির ৯৬.৫% পাওয়া যায় মহাসাগরে। তবে পৃথিবীর পানির মাত্র ৩ ভাগ মিস্টি পানি আর ৯৭ ভাগ লবনাক্ত পানি। পানির প্রাচুর্যের কারণে অধিকাংশ মানুষই সচেতন কিংবা অসচেতনভাবেই পানি অপচয় করে থাকে। যদি পানির একটি ট্যাপ থেকে প্রতি সেকেণ্ডে এক ফোটা করে পানি পড়ে তবে বছরে তিন হাজার গ্যালন পানি অপচয় হবে। এক গ্যালন পানির ওজন ৮.৩৪ পাউণ্ড। মাত্র ৫ মিনিটে একটি শাওয়ার থেকে ১০ থেকে ২৫ গ্যালন পানি ব্যবহার করা যায়। আর গোসল করতে প্রায় ৭০ গ্যালন পানির প্রয়োজন হয়।


বিশ্বজুড়েই নিরাপদ পানির সমস্যা রয়েছে। বিশ্বে প্রতি ৪ জন মানুষের একজন নিরাপদ পানির অভাবে ভুগছে। দেশের ৪১ শতাংশ মানুষ এখনো নিরাপদ পানি সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বাড়িতে নিরাপদ স্যানিটেশন সুবিধা পায় না ৬১ শতাংশ মানুষ। সারাবিশ্বের ২ বিলিয়ন মানুষ এখনো নিরাপদ পানীয় জলের অভাবে রয়েছেন। ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ স্যানিটেশনের অভাবে আছেন এবং ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মানুষ মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্যমতে, বিশ্বে প্রায় ৭৭ কোটিরও বেশি মানুষ তাদের বাড়ির আশপাশে নিরাপদ পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আর প্রতিবছর অনিরাপদ পানি ও দুর্বল পয়োনিষ্কাশনের জন্য প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়।


পানি একটি অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। পৃথিবীর মধ্যে যে প্রাকৃতিক সম্পদ আছে তার মধ্যে ভূগর্ভস্থ পানি অন্যতম। ভূগর্ভস্থ পানি দৃশ্যমান নয়, কিন্তু এর প্রভাব সর্বত্র বিদ্যমান। ভূগর্ভস্থ পানি আমাদের সুপেয় পানির সবচেয়ে বড় উৎস। ভূগর্ভস্থ পানি পানীয় জল সরবরাহ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, কৃষিকাজ, শিল্প ও বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখে। এদিকে, মানুষের পানির চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ায় ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে। পৃথিবীর পানির মাত্র ৩ ভাগ স্বাদু পানি। আর বিশ্বব্যাপী স্বাদু পানির ৭২ শতাংশই ব্যবহৃত হয় কৃষি কাজে।

বাস্তুতন্ত্রের অবক্ষয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য কাজে ব্যাপকভাবে পানি ব্যবহারের কারণে কৃষিকাজে পানির প্রাপ্যতা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।বাংলাদেশে কৃষি, শিল্প ও গৃহস্থালি কাজগুলো মূলত ভূগর্ভস্থ পানির ওপর অনেকটা নির্ভরশীল। পানির স্তর নিচে নেমে গেলে নিরাপদ পানীয় জল নাগালের বাইরে চলে যাবে। দেশে ভূগর্ভস্থ পানির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নদী ভাঙন রোধ, ভূমি পুনরুদ্ধার, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যা দেশের জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।


দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘদিনের। ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলা প্রলয়ের পর এই সংকট আরো তীব্র হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পানির উৎসগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এখনো পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরতে পারেনি। দেশের উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে লবণাক্ত পানিতে সয়লাব হচ্ছে জনপদ। এতে পরিবেশ ও বসতি ধ্বংসের পাশাপাশি সুপেয় পানির সংকট তীব্র হয়ে উঠছে। উপকূলের মাটি ও পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় ক্রমে সংকুচিত হচ্ছে বিশুদ্ধ পানির উৎস। লবণাক্ততার এই আগ্রাসন শুধু ভূ-উপরিস্থ পানি নয়, ভূগর্ভস্থ উৎসেও ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে নানা রোগ-ব্যাধি এ অঞ্চলের জনস্বাস্থ্যকে হুমকিতে ফেলছে। উপকূলে বিশুদ্ধ পানির কষ্ট প্রকট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এলাকার নলকূপের পানি লবণাক্ত ও আর্সেনিক। নিত্যব্যবহার্য কাজে লবণাক্ত পানি ব্যবহারের কারণে ছড়িয়ে পড়ছে রোগব্যাধি। পেটের পীড়া, অ্যালার্জিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নারী, শিশু থেকে বৃদ্ধসহ সব বয়সের মানুষ। বিশুদ্ধ পানির জন্য গ্রামের বাসিন্দাদের ছুটতে হচ্ছে দূরদূরান্তে।


বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এর প্রভাবে বিশুদ্ধ পানির উৎসগুলো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বনজঙ্গল ধ্বংস করার ফলে প্রকৃতি ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে। গত অর্ধ শতাব্দী জুড়ে পৃথিবী থেকে কার্বনের উৎক্ষেপন বেড়ে গেছে কয়েকগুণ, বেড়েছে উষ্ণতা। সেই সাথে শিল্প ও রাসায়নিক বর্জ্য দূষণ সৃষ্টি করছে নদী এবং সাগরে। বিশ্বের সকল দেশেই বিশুদ্ধ পানি সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বেড়িবাঁধ ভাঙন, অধিক বৃষ্টি ও অনিয়মিত বৃষ্টি, খরা ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে দেশের দক্ষিণ উপকূল খাদ্য ও কৃষি উৎপাদনে চরম সংকটে পড়েছে। তাছাড়া অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষের কারণে লবণাক্ততার মাত্রা আরও বাড়ছে। অনাবৃষ্টি আর খরায় দেশের প্রাণীকুল, ফসলের ক্ষেতে পড়ছে বিরুপ প্রভাব।


জীবজগতে পানির প্রভাব অপরিসীম। পানি ছাড়া পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতো না। একজন মানুষ পানি ছাড়া গড়ে মাত্র তিন দিন বেচে থাকতে পারে। মানুষের অপরিহার্য প্রয়োজনীয় পদার্থ হল পানি। তাই পানির আরেক নাম জীবন। তবে পানি হলেই হবে না, সেটা হতে হবে বিশুদ্ধ পানি। বিশুদ্ধ পানির প্রধান উৎস ভূগর্ভস্থ নলকূপের পানিতে  আর্সেনিকের উপস্থিতি বাড়ছে। দেশের ৬১ জেলার নলকূপের পানিতে রয়েছে আর্সেনিক। আর্সেনিক আক্রান্ত পানি ব্যবহার করলে মানবদেহে মারাত্মক রোগ হতে পারে।


ভুগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র হচ্ছে দিন দিন। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি হবে নিঃসন্দেহে। শুধু তাই নয়, ভূগর্ভস্থ পানির উৎসও দিন দিন সংকোচিত হচ্ছে। এছাড়া, শুষ্ক মওসুমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নলকূপে পানি ওঠে না। বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব দেখা দেয়। নদ-নদী, পুকুর-ডোবা, জলাশয়, হাওর-বাওর, খাল-বিল শুকিয়ে যায়।

 গত চার দশকে দেশের জলাভূমি কমেছে কমপক্ষে ৬৫ লাখ হেক্টর। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত দেশের ৭০ ভাগ জলাভূমি কমেছে। শুকিয়ে যাচ্ছে নদ নদীও। সারাদেশে কমপক্ষে আট হাজার কিলোমিটার নদীপথ ইতোমধ্যেই হারিয়ে গেছে। এককালের খরস্রোত নদী এখন অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে ।


বাংলাদেশ নদীমাতৃক ও কৃষি নির্ভর। দেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও সামগ্রিক উন্নয়নে সঠিক ও পরিকল্পিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের জীবন রক্ষায় সকলের জন্য অঙ্গীকার হওয়া উচিত বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তায় নদ নদী, হাওর,খাল, বিল, জলাশয়, পুকুর-ডোবা  ভরাট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। পানি যাতে দূষিত না হয় সেই উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি পানিকে আর্সেনিকমুক্ত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা রাখতে হবে।

ভূ-গর্ভস্থ পানির উত্তোলন কমিয়ে ভূ-পৃষ্ঠের পানি গৃহস্থালীসহ অন্যান্য কাজে যাতে সর্বাধিক ব্যবহার করা যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। সমুদ্র ও নদ-নদীকেও দূষণের কবল থেকে মুক্ত করতে হবে। শিল্প ও রাসায়নিক বর্জ্য যাতে নদী এবং সাগরে না ফেলা হয়, তার ব্যবস্থা করতে হবে।পানির অপচয় রোধ করতে হবে। এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন। যেন সবার জন্য বিশুদ্ধ পানির প্রাপ্তি সহজলভ্য হয়।


আরও খবর



দেশের সকল ব্যাংকের নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের জন্য সব থানাকে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর। এছাড়া তল্লাশিচৌকি ও টহল জোরদারেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র ও তিনটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, বান্দরবানের দুই উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল পুলিশ সদর দপ্তর এই নির্দেশনা দিয়েছে। দেশের প্রতিটি থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেন তারা ব্যাংকের নিরাপত্তা জোরদার করে।

এছাড়া তল্লাশিচৌকি টহল জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে গত মঙ্গলবার রাতে হামলা করে অস্ত্রধারী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্যরা। তবে ব্যাংক থেকে তারা কোনো টাকা নিতে পারেনি।

গত বুধবার বান্দরবানের থানচিতে হামলা করে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের শাখা থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা লুট করে। এরপর গতকাল রাতেও থানচিতে থানায় গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে এবং দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে বান্দরবানের আলীকদম থানার ডিম পাহাড়ের ২৬ মাইল এলাকায় পুলিশ ও সেনাদের যৌথ তল্লাশিচৌকিতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, এসব ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে কেএনএফ।

বান্দরবানে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার ব্যাংকে লেনদেন সাময়িক স্থগিত করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তর সারা দেশেই নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশনা দিল।


আরও খবর



বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে একক প্রার্থী দিতে আ’লীগের সভা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি:

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল থেকে একক প্রার্থী দিতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ। সেই লক্ষে শনিবার দুপুরে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগ কতৃক আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নূর মোহাম্মদ এমপি। সভায় দলের ৭ জন নেতা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা দিয়ে বক্তব্য রাখেন। যারা প্রার্থী হতে চান তারা হলেন এমপি’র ছোট ভাই ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহীনা বেগম,সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ফড়িং, উপদেষ্ঠা সমাজসেবক এমদাদুল হক এমদাদ,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু জাফর,সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম সওদাগর। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহীনা বেগমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বাবুল তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আগা সাইয়ুম,বগারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গাজী হোসেন আলী, কামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসান জুবায়ের হিটলার, নিলাক্ষিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকা,মেরুরচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আলী,যুবলীগ নেতা মারুফ সিদ্দিকী, ছাত্রলীগের আহবায়ক রাজন মিয়া ও সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক আরিফুজ্জামান প্রমূখ। 

বক্তারা বলেন,দীর্ঘ ৩৫ বছরেও আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থী বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হতে পারেনি। তাই এবার সকল ভেদাভেদ ভুলে জনপ্রিয় একজনকে একক প্রার্থী করতে হবে,তাহলেই দলীয় প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে। 

এমপি নূর মোহাম্মদ বলেন,যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা সকলেই দলের নিবেদিত। সকলেই উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার মত যোগ্য প্রার্থী। তাই আমি প্রত্যাক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে কারো পক্ষে অবস্থান নিতে পারি না। যারা প্রার্থী হয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে বসে আপনারাই ঠিক করেন কে হবেন প্রার্থী। তখন দলীয় নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের পক্ষে কাজ করবে। তাহলে দীর্ঘদিন পরে হলেও জয় নিশ্চিত হবে। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান যিনি আছে তিনি অবশ্যই শক্তিশালী প্রার্থী। তাকে পরাস্ত করতে হলে অবশ্যই দলের একক প্রার্থী থাকতে হবে।


আরও খবর



বিলুপ্ত হচ্ছে হাজার কোটি টাকার ইভিএম

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বহুল আলোচিত নির্বাচন কমিশনের কেনা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে। সরকার নতুন করে টাকা বরাদ্দ না দিলে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেই হবে এর সমাপ্তি। পুড়িয়ে বা নষ্ট করে ফেলা হবে সচল-অচল মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার এ মেশিনগুলো।

২০১৮ সালে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ইভিএম প্রকল্প চালু করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওইসময় দেড় লাখ ইভিএম ক্রয় করে ইসি। যেখানে প্রতিটি ইভিএম কিনতে খরচ হয় ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। মেশিনগুলোর জীবনকাল কমপক্ষে ১০ বছর ধরা হলেও পাঁচ বছরের মাথায় নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে বেশিরভাগ যন্ত্র। বর্তমানে দেড় লাখের মধ্যে ১ লাখের বেশি ইভিএম নষ্ট। এতে রাষ্ট্রের ক্ষতি প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। আর মেরামতের জন্যও নেই অর্থের জোগানও।

এদিকে চলতি বছরের জুনেই শেষ হচ্ছে ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ। সরকারি অর্থ বরাদ্দ না পেলে শেষ হবে ইভিএম অধ্যায়। প্রকল্প হাতে নেয়ার সময় সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এ পরিণতি বলে মনে করছেন ইভিএম প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

ইভিএম প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান জানান, পরবর্তীতে কমিশন যখন এ প্রকল্প নেয়, তারপর থেকে ৬০ থেকে ৭০ হাজার ইভিএম মেশিন বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডে (বিএমটিএফ) সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়। সেভাবেই ৬০ থেকে ৭০ হাজার ইভিএম সংরক্ষণ করে আসছিল। এখন পর্যন্ত বিএমটিএফে এক লাখ দুই হাজারের মতো ইভিএম সংরক্ষণ আছে। ওয়ারহাউসের একটি খরচ আছে কিন্তু সমস্যা হয়ে গিয়েছিল যে, প্রকল্পে ওয়ারহাউসের ভাড়াটা ধরা ছিল না। এটা একটা বড় সমস্যা।

ভবিষ্যতে ইভিএম আবার আসবে কিনা তা জানতে চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেবে নির্বাচন কমিশন। সরকার নতুন করে অর্থ বরাদ্দ না দিলে এবারের উপজেলা নির্বাচনই হবে ইভিএমে শেষ নির্বাচন এমনটাই জানিয়েছে কমিশন। সেক্ষেত্রে পুড়িয়ে ফেলা হবে সচল-অচল মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার ইভিএম।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, সংরক্ষণ করার টাকা না পেলে সেক্ষেত্রে আমাদের এগুলো ধ্বংস করতে হবে। এ প্রকল্প যখন পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তখন পরিকল্পনাটা ত্রুটিপূর্ণ ছিল। ইভিএম ক্রয় করা এবং ব্যবহার করা হবে সেটার জন্য বাজেট রাখা হয়েছিল। কিন্তু সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়নি, সেক্ষেত্রে এই প্রজেক্টটা ঠিকবে না।

সংসদ, স্থানীয় ও উপনির্বাচন মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার নির্বাচন হয়েছিলো ইলেকট্রনিক এ ভোটিং মেশিনে।


আরও খবর



উপকূল অঞ্চলকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষনার দাবী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ পানি আইনের ১৭ ধারা অনুযায়ি উপকূলীয় অঞ্চলকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। সুন্দরবন উপকূলে ৭৩% পরিবার সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত বা খারাপ পানি খেতে বাধ্য হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা পূর্বের তুলনায় ২৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। লবণাক্ততা এ অঞ্চলের মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। মিঠা পানির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে আসন্ন জাতীয় বাজেটে উপকূলের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। 

শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় মোংলা উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে "নিরাপদ পানি, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত ন্যায্যতা" শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা একথা বলেন। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, লিডার্স, বাদাবন সংঘ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে এ গোলবৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল'র সভাপতিত্বে ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ'র সঞ্চালনায়

গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাবিবুর রহমান, মোংলা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ বিভাষ চন্দ্র বিশ্বাস ও মংলা টেকনিক্যাল কলেজ'র অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম। 

গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশ্বাস রনজিত কুমার, ব্রাক'র শফিকুর রহমান স্বপন, মোংলা সরকারি কলেজের প্রভাষক শ্যামা প্রসাদ সেন, ড. অসিত বসু, ড. অপর্ণা অধিকারী, প্রভাষক সাহারা বেগম, লিডার্স'র কৌশিক রায়, মোংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল হায়দার ইকবাল, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা'র গীতিকার মোল্লা আল মামুন, লিডার্স'র কৌশিক, বাদাবন'র পপি, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ'র কমলা সরকার, নদীকর্মী হাছিব সরদার, পরিবেশকর্মী শেখ রাসেল প্রমূখ।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান বলেন, পৌর এলাকায় দৈনিক ৬৫ লাখ লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে ২৯ লাখ লিটার পানি সাপ্লাই দেয়া হয়। পৌর এলাকার ৫ হাজার ৬ শো হোল্ডিংধারীদের  মধ্যে ২ হাজার  ৬ শো হোল্ডিংধারীকে পানি সাপ্লাই দেয়া হয়ে থাকে। ইতিমধ্যে ৩/৪ শো গ্রাহকের পানির লাইন সংযোগের আবেদন জমা পড়ে আছে পৌরসভায়। সরকারি নতুন প্রকল্প গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ পেলে পানি সংকটের সমাধান সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, সরকার উপকূলের সুপেয় পানির সংকট সমাধানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দিয়ে থাকে। বিগত সময়ে মোংলা উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলে ১৮ হাজার পানির ট্যাংকি বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি বছরই উপকূলে সুপেয় পানির সংকট সমাধানে সরকারি অর্থ বরাদ্দ বাড়ছে। 

এরআগে সকাল ৯টায় ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, লিডার্স, বাদাবন সংঘ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে মোংলার দক্ষিণ কাইনমারি পশুর নদীর পাড়ে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত লবণাক্ততার কবল থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষা করে পর্যাপ্ত সুপেয় পানি সরবরাহের দাবীতে অনুষ্ঠিত র‌্যালী ও মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার সাংবাদিক মোঃ নূর আলম শেখ। 

এ সময়ে তিনি বলেন ২০১০ সালে সুপেয় পানি পাওয়ার অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে ঘোষনা দিয়েছে জাতিসংঘ। এসডিজি'র অভিষ্ট ৬ এর ৬.১ এ ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য সুপেয় পানি পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। সরকারকে উপকূলের সুপেয় পানির সংকট সমাধানে জলাধার-পুকুর খনন ও সংরক্ষন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। র‌্যালীতে শতাধিক নারী-পুরুষ খালি কলস হাতে অংশগ্রহণ করেন বলে জানা যায়।


আরও খবর