Logo
শিরোনাম

শামীম হাসান এক অভিনেত্রীকে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

নাম প্রকাশ না করা একজন অভিনেত্রী :

শামীম হাসান সরকার নামে একজন ভাঁড় আছে।। সে গতকাল একজন অভিনেত্রীকে প্রকাশ্যে ধ*র্ষ*ণের হুমকি দিয়েছে।। সেই সেটের ডিরেক্টর থেকে শুরু করে সবাই নাকি চুপ ছিল!! চিন্তা করেন এদের অবস্হা!! 

এদের মানসিকতা!! 

গত ২ বছর আগে উত্তরা একটি স্যুটিং হাউজে বুদ্ধিজীবী দিবসে ওর সাথে আমার কাজের সিডিউল হয়।। আমি এডিকে বলি আমাকে ২ টার মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে।। কারণ আমি চারটার মধ্যে গাজীপুর সদরে থাকবো।। জেলা প্রশাসকের অনুষ্ঠানে আমি আমাকে আবৃত্তি করতে হবে।। সেদিন আমার খুব জ্বরও ছিল।। মেকআপ রুমে যাওয়ার পরে,,ওর সাথে এডি আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয়।। এই ভাঁড়ের সাথে ঐদিনই আমার প্রথম কাজ ছিল।। পরিচয়ের পরে হাই হ্যালো হলো।। এবং এডি ওকে বলেওছিল আমার খুব জ্বর।। বলেছিল আপুরতো জ্বর তাহলে এসিটা কমিয়ে দিয়ে গেলাম।। মেকআপ রুমে আমি,,ভাঁড় আর মেকআপ আর্টিষ্ট।। আমি বসে বসে স্ক্রিপ্ট পড়ছি।। আর ভাঁড় জোরে জোরে ইংরেজি গান,,হিন্দি গান বাজাচ্ছে।। এবং এসিটাও বাড়িয়ে দিলো।। ওকে যে এডি বলে গেলো আমার জ্বর তাতে ওর কোন মাথাব্যথা নেই।। আমার মেজাজ খারাপ হচ্ছিল।। তবুও সিনিয়র যেহেতু আস্তে করে উঠে গিয়ে বললাম ভাইয়া একটা কথা বলবো!! ও বলে বলেন।। আমি বললাম আমার তো খুব জ্বর এসিটা কমালে খুব ভালো হতো।। আর গানের সাউন্ডও নিতে পারছিনা।। এবং আজও বুদ্ধিজীবী দিবসও,, চলুন বাংলা গান শুনি।। এ কথা বলতেই ও মেকআপ আর্টিস্টের সামনেই আমাকে বলে আপনার জ্বর আমি কি করবো!! আপনি বাইরে যান।। আর আপনি আমাকে ইন্টেলেকচুয়ালিটি শেখাচ্ছেন!! মানে একদম চেঁচিয়ে।। মনে হচ্ছিল সে পারলে গায়ে হাত তুলবে।। একজন নারী সহকর্মীর সাথে তার এমন আচরণ আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।। স্বাভাবিক বিষয় শুরুতে আমি হতভম্ব হয়ে গেছি।। কিন্তু পরে বলেছি মেকআপ রুম আপনার একার নয়।। মেকআপ রুম আমাদের সবার।। এক কথায় দুই কথায় দুজনেই কথা কাটাকাটি করি।। ডিরেক্টর এবং এডি এসে দুজন কে দুই রুমে নিয়ে যায়।। পরে ওকে ঠান্ডা করে।। আমাকেও করে।। পরে ও আমার সাথে কাজ করবে বলে।। কিন্তু আমি বলেছিলাম এক কোটি টাকা দিলেও আমি ওর সাথে কাজ করবো না।। সেট ছেড়ে চলে এসেছিলাম।। কিন্তু আমি তো ডিরেক্টর আর এডির জন্য ওখানে আর কথা বলতে পারলাম না।। সেও পারেনি আর।। আর সবকিছু মিলিয়ে সেটে অনেক কিছু ঘটলেও আমাদের আগে কাজ নামানোর কথা চিন্তা করতে হয়।। কারণ টাকার কাজ।। অনেক ইনভেস্টমেন্টের কাজ।। কমিটমেন্ট সবকিছু মিলিয়ে।। অনেক কিছু সহ্য করে চুপ থাকতে হয়।। আমি চলে আসি।। তারপর জেলা প্রশাসকের অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করি।। বাট আমি একজন আর্টিস্ট,, আমাকে মেকআপ আর্টিস্টের সামনে রুম থেকে বের হয়ে যান বলাটা মাথা থেকে সরাতেই পারছিলাম না।। এবং চূড়ান্ত অপমানই করেছিল একজন নারী সহকর্মী হিসেবে।। পরের দিন ওর জন্মদিন ছিল।। মোবাইল খোলার পরেই দুপুরে প্রথম কলটা আমার যায়।। আমি ওকে বলি গতকাল তো তোকে আর কিছু বলতে পারিনি।। তোকে আমি জু*তা দিয়ে পিটাইতে চাই।। তোর হেডম থাকলে তুই আমার সাথে আবার দেখা কর, 

২ মিনিট কথা বলার পরে ও কেটে দেয়।। এটা নিয়ে ডিরেক্টর কে আবার বিচারও দিছিলো।। হা হা হা 

ডিরেক্টর ভাইয়া এবং এসেস্টেন্ট ডিরেক্টর দুজনেই খুব ভালো।। তাঁরা আমাকে সরি বলেছিল।। এবং ঘটনার সময়ও আমাকে এবং ওকে দুজনকেই থামিয়েছে।। তাই সংগত কারণেই আমি তাদের নাম বলছিনা।। 

ওকে ওর জন্মদিনে জুতা দিয়ে পিটাইতে চেয়ে আমি ওকে সেদিন সেরা উপহারটা দিছিলাম।। এবং সেটেই বলছিলাম আপনি তো একজন ইউটিউবার।। মোবাইলে ওকে ভাঁড় বলেছিলাম।। তারপর আমার শান্তি হয়েছিল।। 

এখন এই গাঁজাখোর,,অভদ্র,,এবং ধর্ষক মন মানসিকতার লোককে যেন সকল ডিরেক্টর,,এবং অভিনয় শিল্পী সংঘ বয়কট করে।। এবং কোন নারী কো-আর্টিষ্ট যেন ওর সাথে কাজ না করে।। এটাই আমার প্রত্যাশা থাকবে।। শামীম হাসান সরকার কে বয়কট করুন 


আরও খবর



উড্ডয়নের পরপরই ফ্লাইটের ইঞ্জিনে আগুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ |

Image

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করেছে। প্লেনটিতে ২৯০ জন যাত্রী ছিলেন।

শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ৭টায় তার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে ৭১৩ ফ্লাইটটি (এয়ারবাস এ৩৩০-৩০৩) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২৯০ জন যাত্রী নিয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে রওনা দেয়। উড্ডয়নের ১৫ মিনিটের মাথায় পাইলট একটি ইঞ্জিনে (দুটি ইঞ্জিন থাকে) স্পার্ক দেখতে পান। পাইলট প্লেনটি দ্রুত অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। এ অবস্থায় প্রায় দেড় ঘণ্টা আকাশে চক্কর দিয়ে তেল পুড়িয়ে সোয়া ৮টায় জরুরি অবতরণ করে ফ্লাইটটি।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ বলেন, কী করণে আগুন লেগেছে, তা তারা খতিয়ে দেখছেন।

ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণের পর যাত্রীদের প্লেন থেকে নামানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাদের হোটেলে নিয়ে যাচ্ছে। পরবর্তী সময় বিকল্প ফ্লাইটে যাত্রীদের গন্তব্যে নেওয়া হবে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (কঃ)-এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (১৫ জানুয়ারি ১৮২৬ ২৩ জানুয়ারি ১৯০৬) হলেন একজন সুফি সাধক ও মাইজভান্ডারী তরীকার প্রতিষ্ঠাতা। তিনি আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী নামেই বহুল পরিচিত। তার অনুসারীগণ যে সকল প্রচার- প্রকাশনা বাংলা, আরবি, উর্দু এবং ইংরেজি সহ বিভিন্ন ভাষায় ছাপিয়ে আসছে, তাতে তার নাম গাউছুল আজম হযরত মৌলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী কেবলা কাবা কাদ্দাছা ছিররুহুল আজিজ /(কঃ) লিখতে দেখা যায়। এছাড়াও তিনি গাউছুল আজম, হযরত কেবলা, গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী, বড় মৌলানা, খাতেমুল অলদ, শাঁই-এ-লিল্লাহ প্রভৃতি উপনামেও পরিচিত।

 

জন্ম :

আহমদ উল্লাহ ১৮২৬ সালে ১৪ জানুয়ারী (১ম মাঘ, ১২৩৩ বাংলা সন) চট্টগ্রাম শহর হতে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে তৎকালীন প্রত্যন্ত মাইজভান্ডার গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ মতিউল্লাহ মাইজভান্ডারী ও মাতার নাম সৈয়দা খায়রুন্নেছা। তার পারিবারিক নাম ছিল সৈয়দ আহমদ উল্লাহ।

বংশ পরিচয় :

আহমদ উল্লাহর পুর্ব পুরুষ সৈয়দ হামিদ উদ্দিন, গৌড়নগরে ইমাম এবং কাজীর পদে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি গৌড় নগরে মহামারীর কারণে ১৫৭৫ সনে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার কাঞ্চন নগরে বসতি স্হাপন করেন; সেখানে তার নামানুসারে হামিদ গাঁও নামে একটি গ্রাম আছে। তার এক পুত্র সৈয়দ আব্দুল কাদের ফটিকছড়ি থানার আজিমনগর গ্রামে ইমামতি উপলক্ষে এসে বসতি স্হাপন করেন। তার পুত্র সৈয়দ আতাউল্লাহ তৎ পুত্র সৈয়দ তৈয়বুল্লাহর মেজ, পুত্র সৈয়দ মতিউল্লাহ মাইজভাণ্ডার গ্রামে এসে বসতি স্থাপন করেন।

শিক্ষা জীবন :

আহমদ উল্লাহ গ্রামের মক্তবের পড়ালেখা শেষ করার পর ১২৬০ হিজরীতে উচ্চ শিক্ষার্জনের উদ্দেশ্যে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। তিনি ১২৬৮ হিজরীতে বিশেষ কৃতিত্বের সাথে পরীক্ষায় পাশ করেন। সেখানেই তিনি তৎকালীন সর্বোচ্চ পর্যায়ের শিক্ষা সম্পন্ন  করে ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানাদিতে আমন্ত্রিত অতিথি বা বক্তা হিসাবে যথেষ্ট সুনামের সাথে ধর্মীয় প্রচার-প্রচারণার কাজে লিপ্ত ছিলেন।

কর্ম জীবন :

তিনি শিক্ষা জীবন শেষে করে হিজরী ১২৬৯ সালে ব্রিটিশ শাসনাধীন অবিভক্ত ভারতের যশোর অঞ্চলেরবিচার বিভাগীয় কাজী পদে যোগদান করেন এবং একই সঙ্গে মুন্সেফী অধ্যায়ন শুরু করেন। পরবর্তিতে ১২৭০ হিজরীতে কাজী পদে ইস্তফা দিয়ে তিনি কলিকাতায় মুন্সী আলী মাদ্রাসায় প্রধান মাদাররিছ (শিক্ষক) হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তি সময়ে মুন্সেফী পরীক্ষায় ও তিনি প্রথম স্থান অধিকার করে ছিলেন। আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী হাদিস, তাফসির, ফিকহ, মানতিক, হিকমত, বালাগত, উছুল, আকায়েদ, ফিলছফা, ফারায়েজ সহ যাবতীয় বিষয়ে অত্যন্ত অভিজ্ঞ ছিলেন। আরবী, উর্দু, বাংলা ও ফারসি ভাষায় তিনি বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। তৎকালীন সময়ে ওয়ায়েজ এবং বক্তা হিসেবে তার নাম ডাক বিশেষ ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। অল্প কিছু দিন পরই তিনি আধ্যাত্মিক জীবন যাপনে আত্ম নিয়োগ করেন। তখন হতে তিনি বাকি জীবন একজন সুফি সাধক হিসাবে অতিবাহিত করেন।

বেলায়ত অর্জন :

আহমদ উল্লাহ হযরত বড়পীর সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানী (কঃ)-এর বংশধর ও উক্ত তরিকার খেলাফত প্রাপ্ত সৈয়দ আবু শাহামা মুহাম্মদ ছালেহ আল কাদেরী লাহোরী (রঃ) নিকট বায়েত গ্রহনের মাধ্যমে বেলায়ত অর্জন করেন এবং সৈয়দ দেলাওয়ার আলী পাকবাজ (রঃ) এর নিকট হতে এত্তাহাদী কুতুবিয়তের ক্ষমতা অর্জন করেন। তিনি দিনে দ্বীনি শিক্ষাদান ও রাতে এবাদত ও রেয়াজতের মাধ্যমে সময় কাটাতেন। এভাবে কঠোর সাধনার ফলে তিনি আধ্যাত্মিক জগতের সর্বোচ্চ বেলায়ত অর্জন করেছিলেন।

খলিফা :

আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী জীবদ্দশায় তাঁর সুফি তরীকার দীক্ষা সমাজে মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে বহু সুফি প্রতিনিধি বা খলিফা নিয়োগ করেন বলে উল্লেখ রয়েছে। তন্মধ্যে ২০৪ খলিফার নাম ইতঃপূর্বে বেশ কয়েকটি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

সাংসারিক জীবন :

আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী ১২৭৬ হিজরীতে ৩২ বছর বয়সে আজিম নগর নিবাসী মুন্সী সৈয়দ আফাজ উদ্দিন আহমদের কন্যা সৈয়দা আলফুন্নেছা বিবির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্ত বিয়ের ছয় মাসের মাথায় তাঁর স্ত্রী মারা যান। সেই বছরই তিনি পুনরায় সৈয়দা লুৎফুন্নেছা বিবিকে বিয়ে করেন। ১২৭৮ হিজরী সালে তাঁর প্রথম মেয়ে সৈয়দা বদিউন্নেছা বিবি জন্মগ্রহন করেন।

কিন্তু মেয়েটি চার বছর বয়সে মারা যায়। এরপর তাঁর আরোও একটি ছেলে জন্মগ্রহন করে অল্প দিনের মধ্যে মারা যান। অতঃপর ১২৮২ হিজরীতে দ্বিতীয় পুত্র সৈয়দ ফয়জুল হক (রঃ) এবং ১২৮৯ হিজরী সালে দ্বিতীয় কন্যা সৈয়দা আনোয়ারুন্নেছা জন্মগ্রহন করেন। তাঁর দ্বিতীয় পুত্রও পিতার পুর্বে ইন্তেকাল করেন।

মাইজভান্ডারী তরিকা প্রতিষ্ঠা ও মাইজভান্ডার দরবার শরীফ- এর গোড়াপত্তন :

 

হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ) তাঁর পীরে ত্বরিকতের নির্দেশে ১৮৫৭ সালে নিজ গ্রাম মাইজভান্ডারে ফিরে আসেন। আধ্যাত্মিক সাধক ও দোয়া প্রত্যাশীদের ভীড়ে এই সাধকের পবিত্র বাসগৃহ বিশ্ব মানবতার কল্যাণধারক এক উচ্চমার্গীয় আধ্যাত্মিক দরবারে পরিণত হয়। লোকসমাজে পরিচিতি পায় মাইজভান্ডার দরবার শরীফ হিসেবে। হযরত কেবলার (কঃ) অসংখ্যা কারামতের ঘটনা বিভিন্ন গ্রন্থে ও লোকমুখে প্রচারিত। যেমনঃ (১) হযরতে আধ্যাত্মিক প্রভাবে মাহছেনিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা ও মোদাররেছ নিযুক্তি। (২) হযেরতের আধ্যাত্মিক প্রভাবে এক রাতে মক্কা শরীফ হতে চট্টগ্রাম শহরে হাজীর প্রত্যাগমন। (৩) হযরতের বেলায়তী ক্ষমতায় বাহুতে হাত রেখে জনৈক হাজীর অলৌকিক ভাবে বাড়ীতে প্রত্যাবর্তন (৪) হযরতের আধ্যাত্মিক প্রভাবে বাঘের মুখে লােটা নিক্ষেপে ভক্ত উদ্ধার (৫) হযরতের বেলায়তী প্রভাবে মৃত্যুকালে আজরাইল ফেরত ও ষাট বৎসর আয়ু বৃদ্ধি। (৬) হযরতের আদেশে রেয়াজ উদ্দিন উকিলের ভূ-সম্পত্তি খরিদ ও রেয়াজ উদ্দিন বাজারের পত্তন। (৭) হযরতের আশ্চর্য্য কেরামতে বগলের নীচে কাবা শরীফে মুসল্লির প্রবেশ করতে দেখা -ইত্যাদি। এই ধরনের উচ্চমাগীয় কেরামত গাউছে আজমিয়তের পরিচয় বহন করে। হযরত মুহিউদ্দীন ইবনুল আরাবীর ভবিষ্যৎবাণীঃ বিশিষ্ট ছুফী তাত্ত্বিক গবেষক ও বুযুর্গ হযরত মহিউদ্দীন ইবনুল আরাবী তাঁর ফছুছুল হেকম গ্রন্থের ফচ্ছে শীচি অধ্যায়ে হযরত গাউছুল আজম মওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কঃ) এঁর আগমণ ও তাঁর গাউছুল আজম হওয়ার ভবিষ্যৎবাণী করে গেছেন।

বিশ্ব মানবতায় বেলায়তের স্বরূপ :

হযরত (কঃ)র বেলায়তের পরশ পেয়ে ধন্য হয়েছেন মাটিস্ত বুজুর্গানে দ্বীন এবং তারা জামালী হতে জালালীর মধ্যে রূপ ধারণ করেছেন। কামালিয়তের বা বুজুর্গীর কোন প্রশংসা তাঁর বুজুর্গীতে বাদ পড়েনা। তিনি এমন এক খােদা প্রদত্ত শ্রেষ্ঠত্ব সম্পন্ন অলি ,যিনি খোদার ইচ্ছা শক্তিতে তাঁর গাউছে আজমিয়তের প্রভাবে জনগণের না হওয়ার মত কাম্য বস্তুকে হওয়ার রূপ দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। তাঁর সাথে হযরত খাজা খিজির (আঃ) এর খুবই ঘনিষ্ট আধ্যাত্মিক সম্পর্ক ছিল। সমসাময়িক ওলামায়ে কেরাম ও বুজুর্গগণ তাঁর প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাপূর্ণ উচ্চ ধারণা পোষন করতেন যা তাদের লিখিত কসিদা, শের, কবিতা, মন্তব্য ইত্যাদি থেকে উপলদ্ধি করা যায়। তাঁর আধ্যাত্মিক পরশ প্রাপ্ত অসংখ্যা অলী-দরবেশ বিভিন্ন স্থানে আধ্যাত্মিকতার দাওয়াত পৌঁছে দিয়ে বিশ্ব মানবতার কল্যাণের অপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। উত্তরাধিকারী খলিফা নির্ধারণ ও গদী অর্পণঃ গাউছুল আজম হযরত মওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কঃ) তাঁর নশ্বর জীবনের শেষ দিকে এক জুমাবারে এলাকার সমাজপতি ও জনগণের উপস্থিতিতে তাঁর পবিত্র হুজুরা শরীফ দোয়ার মেহরাবে নিজ পুত্র বংশীয় আদরের নাতি সাজ্জাদানশীনে গাউছুল আজম হযরত মাওলানা শাহ ছুফী সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী (কঃ) -কে নিজ গদী শরীফ অর্পণে স্থলাভিষিক্ত আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারী মনােনীত করেন।

ওফাত ও ওরশ :

গাউছুল আজম হযরত মওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কঃ) ৭৯ বছর বয়সে ২৩ জানুয়ারী ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দ ,১০ মাঘ ১৩১৩ বঙ্গাব্দ ,সোমবার দিবাগত রাতে ইহধাম ত্যাগ করেন। তাঁর ওফাত দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর ৮, ৯ ও ১০ মাঘ ৩ দিন ব্যাপী ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়।

মাইজভান্ডারী তরিকা :

ইসলাম ধর্মে আধ্যাত্মিক সাধনার ধারাবাহিকতায় উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে কোরান ও হাদীসের শিক্ষাকে অনুসরণ করে গাউছুল আজম হযরত মওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কঃ)-এর আধ্যাত্মিক শক্তি ও শিক্ষাকে ধারণ করে মাইজভান্ডারী তরিকা প্রচারের সূচনা হয়। হযরত মওলানা সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী (কঃ) বলেন, এই ত্রিবিধ বেলায়তী ধারা, নবুয়তী ধারার সমন্বয়ে অর্থাৎ জাহের বাতেন তালীমে এরশাদী সহ শরীয়ত ,তরীকত ,হাকীকত ও মায়ারেফত প্রভাবে ও সংমিশ্রণে মাইজভান্ডারী তরীকারূপ মহা-সাগরের উৎপত্তি।

মাইজভান্ডারী তরিকার বৈশিষ্ট্যঃ

এই তরিকা ছিলছিলার দৃষ্টিকোণে কাদেরীয়া তরিকার সাথে সম্পর্কিত। অন্যান্য তরিকার আধ্যাত্মিক বৈশিষ্ট্যগুলাে মাইজভান্ডারী তরিকায় সন্নিবেশিত হয়েছে। এই তরিকা কুরআন ও হাদিসের শিক্ষাকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করে। একই সাথে এই তরিকা অসাম্প্রদায়িক ,উদার, নৈতিক ধর্ম-প্রাধান্য সম্পন্ন, শ্রেণি-বৈষম্যহীন ও মানবদরদী। মানুষের মনে ঐশী প্রেম জাগ্রত করে সুন্দর ও ন্যায়ের পথে জীবন যাপনে মানব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করে মানবতার ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করার শিক্ষা ও দীক্ষা দেয়।

হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী(কঃ)-এর উত্তরাধিকারী:

 

হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ) তাঁর ওফাতের পূর্বে আপন নাতি হযরত মওলানা সৈয়দ দেলাওর হােসাইন মাইজভান্ডারীকে (কঃ) বালেগ ঘোষণা করে মাইজভান্ডার দরবার শরীফে তাঁর গদীর আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারী নির্ধারণ করে যান। হযরত কেবলা (কঃ) এই প্রসঙ্গে বলেন, আমার দেলাময়না বালেগ। দেলাময়নাই আমার গদীতে বসবে।

মাইজভান্ডারী তরিকার উসুলে সাবআ বা সপ্ত পদ্ধতি:

 

নফছে ইনসানীর কুপ্রবৃত্তি বন্ধ করে রূহে ইনসানীর সুপ্রবৃত্তি জাগ্রত করার জন্য হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ) নির্বিঘ্ন ও সহজসাধ্য মাধ্যম হিসেবে সপ্ত-পদ্ধতির প্রবর্তন করেন। সপ্ত-পদ্ধতি দুই স্তরে অনুশীলিত হয়।

ফানায়ে ছালাছা বা রিপুর ত্রিবিধ বিনাশ স্তর:

 

১। ফানা আনিল খালকঃ পরমুখাপেক্ষী না হয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করা।

২। ফানা আনিল হাওয়াঃ অনর্থক কাজকর্ম ও কথাবার্তা হতে বিরত থাকা।

৩। ফানা আনিল এরাদাঃ নিজ ইচ্ছা বাসনাকে খোদার ইচ্ছায় বিলীন করে তাছলিম ও রজা অর্জন করা।

মাউতে আরবা বা প্রবৃত্তির চতুর্বিধ মৃত্যু :

 

১। মউতে আবয়্যাজ বা সাদা মৃত্যুঃ উপবাস ও সংযমের মাধ্যমে অর্জিত এই মৃত্যুতে মানব মনে উজ্জ্বলতা ও আলো দেখা দেয়।

২। মউতে আছওয়াদ বা কালো মৃত্যুঃ সমালোচনায় বিরক্ত বা রাগান্বিত না হয়ে আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজকে সংশোধনের মনমানসিকতা অর্জনই কালো মৃত্যু।

৩। মউতে আহমর বা লাল মৃত্যুঃ কামস্পৃহা ও লোভ-লালসা হতে মুক্তিতে হাসিল হয়।

৪। মউতে আখজার বা সবুজ মৃত্যুঃ নির্বিলাস জীবন যাপনে অভ্যস্ত হওয়ার মাধ্যমে সবুজ মৃত্যু লাভ হয়।

এই কোরআনী হেদায়তের সপ্তপদ্ধতি, মানবজীবনের এক নিখুত সহজ, সরল ও স্বাভাবিক পন্থা; যা মানব জীবন পদ্ধতিতে স্বাচ্ছন্দ্য আনয়ন করে।


আরও খবর



তরুণরা দুষ্টুমি করবে,দুষ্টুমিই তাদের অহংকার, নওগাঁয় ফজলে হুদা বাবুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

''ভবিষ্যতে তরুণরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিবিএস ক্যাডার হয়ে সব জায়গায় নেতৃত্ব দিবে। তরুণরা দুষ্টমি করবে নাতো কে করবে। তরুণরাই দুষ্টুমি করবে। যারা দুষ্টুমি করবে তারাই একসময় দেশের জন্য ভালো করবে। দুষ্টুমি তরুণদের অহংকার''। 

বৃহস্পতিবার সকালে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা কমিউনিটি সেন্টারে তারুণ্য ফাউন্ডেশনের গেট টুগেদার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলে হুদা বাবুল। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি ফজলে হুদা বাবুল বলেন, শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ ভালো রাখতে তোমাদের মতো তরুণদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে পড়াশোনার মান যেন ভালো হয়, সেই বিষয়ে তোমাদের সচেতন হতে হবে। তোমাদের হাতে দেশটা যেন ভালো থাকে, সারাদেশ তোমাদের নিয়ে যেন প্রশংসা করেন, আর আমরা যেন গর্বিত হই, সেইভাবে তোমরা এগিয়ে যাও। কারণ তোমাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ এসময় ভালো হবে। তাই তারুণ্যের জয় হোক, তারুণ্যে ভরপুর হোক আমাদের এই দেশ।

বদলগাছী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রমি হাসান ও এস এম মাসুদের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল লতিফ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল আলম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী গবেষক ফাবি হুদা ও স্থানীয় সাংবাদিকগণ। তারুণ্য ফাউন্ডেশন প্রাণচাঞ্চল্যের এ আয়োজনে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে হলরুম উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, গেট টুগেদার অনুষ্ঠানে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এধরণের অনুষ্ঠানে হলে বন্ধু বান্ধবীদের সাথে মিলিত হওয়া যায়। আমরা চাই এধরণের গেট টুগেদারের আয়োজন প্রায় অনুষ্ঠিত হোক, তাতে আমরা সকলে একসাথে মিলিত হতে পারবো, আনন্দ করতে পারবো। তারুণ্য ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক রিফাত রানা এবং সিনিয়র অফিসার আল রাকিব বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের ৫ হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে কাজ করা হয়েছে। আর আজ উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। আমরা ভবিষ্যতে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাবে। সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কাজ করা হবে। এছাড়া আমরা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে সবাই একটি করে গাছ লাগাবো।


আরও খবর



লস অ্যাঞ্জেলেস উত্তাল, ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহর। অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযানের জেরে টানা দুই দিন ধরে এই বিক্ষোভ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টম হোম্যান শনিবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা লস অ্যাঞ্জেলেসকে নিরাপদ করব।’ খবর বিবিসির

লস অ্যাঞ্জেলেসে স্থানীয় সময় গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ-সংঘর্ষ হয়। বিশেষ করে লাতিন-অধ্যুষিত একটি ডিস্ট্রিক্টে অভিযানে গেলে স্থানীয় লোকজন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান।

আইসিইর অভিযানে এ সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে ১১৮ জন অনিবন্ধিত অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৪ জন আটক হয়েছেন গত শুক্রবার। যদিও ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট-দলীয় গভর্নর গ্যাভিন নিউসম এ অভিযানকে ‘নিষ্ঠুর’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় হোয়াইট হাউস থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব অভিযান যুক্তরাষ্ট্রে ‘অবৈধ অপরাধীদের’ অনুপ্রবেশ বন্ধ ও তাদের প্রতিহত করার জন্য অপরিহার্য।

লস অ্যাঞ্জেলেসের এখনকার পরিস্থিতিতে যেকোনো সহিংসতা কিংবা ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতি করার চেষ্টায় ‘জিরো টলারেন্স’ দেখানোর ঘোষণা দিয়েছেন টম হোম্যান।


আরও খবর



‘বিচারকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছিল ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য’

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক রায়ে জানিয়েছে, ষোড়শ সংশোধনী মামলার আসল লক্ষ্য ছিল বিচারপতিদের স্বাধীনতাকে সংকটে ফেলা। রায়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে পুনরায় ক্ষমতা দেয়া হয়েছে যাতে তারা অক্ষমতা বা আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণ করতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ে বলা হয়, ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়বস্তু কী ছিল? এটি ছিল কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী শাসকের পক্ষ থেকে একটি স্পষ্ট প্রয়াস, যেখানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থেকে কেড়ে নিয়ে সংসদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকেই হুমকির মুখে ফেলা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ রায়টি ঘোষণা করেন। ৫০ পৃষ্ঠার এই পূর্ণাঙ্গ রায়টি আজ প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়েছে, পর্যবেক্ষণসহ মামলাটি নিষ্পত্তি করা হলো। 

এদিকে এই রায় প্রসঙ্গে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী মন্তব্য করেন, যদি কোনো বিচারক তার বিচারিক দায়িত্ব পালনের সময় সরকারের রোষানল কিংবা অসন্তোষের মুখোমুখি হন, তাহলে সংসদের সদস্যদের কলমের এক খোঁচায় তাকে অপসারণ করা সম্ভব, এটা কি কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মেনে নেওয়া যায়? আমার গভীর বিবেচনায় এবং সহকর্মীদের পর্যবেক্ষণ অনুসারে এর উত্তর, অত্যন্ত স্পষ্টভাবে, না

বাসস-এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিচারপতিদের উচিত বিচারিক কাজে রাজনৈতিক বিতর্কে না জড়ানো। কারণ এমন মন্তব্য বিচারকের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতে পারে এবং তিনি তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়তে পারেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া বিচারকদের উচিত রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ না করা, কারণ এতে বিচারব্যবস্থার সুনাম ও স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে এ কথা ব্যক্ত করেন।

রায়টিকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করার নতুন ভিত্তি পেয়েছে। এই রায় ইতিহাসে স্থান করে নেবে।

তিনি বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ওপর ঐতিহাসিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, তারা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবে। আগে ৯৪টি কারণে রিভিউ চাওয়া হয়েছিল। আমরা সবগুলো ভাল করে দেখেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রিভিউ করার মতো কোনো কারণ পাওয়া যায়নি। আদালতকে জানিয়েছি, আমরা আর এসব কারণ দেখাব না।

প্রসঙ্গত, এই মামলায় রিটকারীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের হাইকোর্ট বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। পরে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই সাত সদস্যের আপিল বিভাগ ওই রায় বহাল রাখে। এর পর রাষ্ট্রপক্ষ রিভিউ আবেদন দায়ের করে, যার নিষ্পত্তি হয় ২০২৪ সালের অক্টোবরে।


আরও খবর

একযোগে ২৫২ বিচারককে বদলি

মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫