Logo
শিরোনাম

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

মাইজভান্ডার দরবার শরীফের পীর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, ইসলাম মানুষকে ইনসানে কামেল বা পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার শিক্ষা দেয়। তিনি বলেন, সচ্চরিত্র তখনই অর্জিত হয়, যখন ক্রোধশক্তি ও খায়েশ শক্তিকে সমতার পর্যায়ে রাখা হয়। কেননা, কঠোরতা কখনও ক্রোধ থেকে এবং কখনও তীব্র লালসা থেকে উৎপন্ন হয়, কিন্তু নম্রতা সচ্চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। সে ব্যক্তি সহনশীল নয়, যে জুলুমের সময় চুপ থাকে, এরপর সক্ষম হলে প্রতিশোধ নেয়; বরং সহনশীল তাকেই বলা হয়, যে জুলুমের সময় সহ্য করে এবং সক্ষম হলে ক্ষমা করে। তিনি আরো বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী (সা.) বিজয়ীবেশে মক্কায় প্রবেশ করলে কুরাইশদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তিনি বিজিত শত্রুদের প্রতি কোনো ধরনের দুর্ব্যবহার করেননি। হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, প্রকৃত মুসলমান ওই ব্যক্তি যার মুখ ও হাতের অনিষ্ট থেকে লোকজন নিরাপদ থাকে এবং যার নির্যাতন থেকে মানুষ নিরাপদ তাকে মুমিন বলে। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় বসবাসরত আদিম পৌত্তলিক, ইহুদি এবং নবদীক্ষিত মুসলিম তিন সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে, দল-মত নির্বিশেষে মদিনা সনদের মাধ্যমে একটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা, পারস্পরিক সম্পর্ক, মদিনার নিরাপত্তার প্রশ্ন এবং মদিনার অর্থনীতি সচল রাখার বিষয়ে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছেছিল। সে সময় কারও কোনো অধিকার বিন্দুমাত্র ভূলুণ্ঠিত হয়নি। সব নাগরিক সমান অধিকার পেয়েছে। রাসুল (সা.)-এর বলিষ্ঠ পদক্ষেপের ফলে তৎকালীন সমাজের গোত্রগুলোর অন্তর্কলহ, রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের অবসানসহ নৈরাজ্যমুক্ত, মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বস্তুত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুপস্থিতিতে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সংঘাতের সূত্রপাত ঘটায়, গৃহযুদ্ধেও রূপ নেয়। তিনও দেশের এই ক্লান্তিকালে মব জাস্টিস, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এ সমস্ত ধ্বংসাত্মক বিশৃঙ্খল পন্থা পরিহার করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। একই সাথে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিকারী সম্প্রীতি বিনষ্টকারী উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি কঠোর হওয়ারও আহ্বান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী। 


২রা ডিসেম্বর (সোমবার) রাতে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর নামা বাজার সানিকুল ইসলাম সানির বালুর মাঠে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরাম বেলাব উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএসপি চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী। বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ ধন মিয়া প্রধান ও জনাব মোঃ মকবুল হোসেন মেম্বারের সভাপতিত্বে মাহফিলে উদ্বোধক ছিলেন নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ কাউসার কাজল (এম.এ)। কোরআন সুন্নাহর আলোকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন, রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১ মসজিদ-এ গাউছুল আজমের খতিব মাওলানা মুফতি মাকসুদুর রহমান, মইনীয়া যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় পরিষদের বিভাগীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক, হাফেজ মাওলানা কেরামত আলী, খাদেম মাওলানা হাফেজ খাজা বাহাউদ্দীন মাইজভান্ডারীসহ আরো অনেকেই। এসময় বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


পরে সালাতু সালাম শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি, কল্যাণ ও নিপিড়ীত মানবতার মুক্তি কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন, মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বর্তমান ইমাম ও বিএসপি চেয়ারম্যান হযরত শাহসূফী ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।


আরও খবর



আপনার ফোনে অ্যাপসগুলো থাকলে এখনই ডিলিট করুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য এক গুরুতর সতর্কবার্তা দিয়েছে সাইবার নিরাপত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাইবেল। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি এমন কিছু বিপজ্জনক অ্যাপের তালিকা প্রকাশ করেছে, যেগুলো মূলত ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে অর্থ চুরি করছে।

এই অ্যাপগুলো দেখতে জনপ্রিয় ডিজিটাল ওয়ালেট অ্যাপের মতো, যেমন- সুশিসোয়াপ, প্যানকেকসোয়াপ, হাইপারলিকুইড, রেডিয়াম ইত্যাদি। তবে এগুলো আসলে প্রতারণামূলক ফিশিং অ্যাপ, যা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত মেমোনিক ফ্রেজ বা গোপন কোড চেয়ে নেয় এবং তারপর আসল ওয়ালেট থেকে সম্পূর্ণ অর্থ তুলে নেয়।

সাইবেল জানায়, এই অ্যাপগুলো গুগল প্লে স্টোরেও প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিল। এতে ব্যবহার করা হয়েছে হুবহু আসল অ্যাপের নাম, আইকন এবং বিবরণ। এমনকি হ্যাক করা ডেভেলপার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে এগুলো আপলোড করা হয়, যাতে ব্যবহারকারীদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়।

মুছে ফেলতে বলা বিপজ্জনক অ্যাপগুলোর তালিকা:

প্যানকেকসোয়াপ (PancakeSwap)

সুশিসোয়াপ (SushiSwap)

হাইপারলিকুইড (Hyperliquid)

রেডিয়াম (Raydium)

বুলএক্স ক্রিপ্টো (BullX Crypto)

সুইয়েট ওয়ালেট (Suiet Wallet)

ওপেন ওসান এক্সচেঞ্জ (OpenOcean Exchange)

মিটিওরা এক্সচেঞ্জ (Meteora Exchange)

হারভেস্ট ফাইন্যান্স ব্লগ (Harvest Finance Blog)

প্রতিটি অ্যাপে একই ধরনের ফিশিং লিংক, কোড এবং গঠন লক্ষ্য করা গেছে, যা প্রমাণ করে এগুলো একটি সুসংগঠিত আন্তর্জাতিক সাইবার অপরাধ চক্রের অংশ।

কী করণীয় আপনার?

যদি আপনার ফোনে উপরের তালিকায় থাকা কোনো অ্যাপ থাকে, অবিলম্বে মুছে ফেলুন।

ক্রিপ্টো ওয়ালেট বা এক্সচেঞ্জ অ্যাপ ডাউনলোড করার সময় শুধুমাত্র তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত লিংক ব্যবহার করুন।

সবসময় গুগল প্লে প্রোটেক্ট চালু রাখুন।

সাইবেল আরও জানায়, এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০টিরও বেশি ভুয়া ডোমেইন থেকে এই ধরনের প্রতারণামূলক অ্যাপ ছড়ানো হয়েছে। এরই মধ্যে বেশিরভাগ অ্যাপকে শনাক্ত করে গুগলকে রিপোর্ট করা হয়েছে।


আরও খবর

দেশে চালু হলো গুগল পে

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




রাজাপুরে মানবকন্ঠের সাংবাদিকের উপর হামলা

প্রকাশিত:শনিবার ২১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির রাজাপুরে একটি জমির তদন্ত চলাকালে ভিডিও ধারণের সময় মানবকন্ঠের রাজাপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও রাজাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক অহিদ সাইফুলের উপর হামলা করেছে স্থানীয় নাসির হাওলাদার ওরফে পাইপ নাসির ও তার সহযোগীরা।

গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


এসময় অহিদ সাইফুল সহ জাহাঙ্গীর হাওলাদার, মাকসুদা আক্তার, ঝুমুর আক্তার ও লাইসা ইসলাম লিয়া নামে আরও চারজন আহত হয়।

স্থানীয়রা জানায়, ময়না বেগম নামে এক নারীর জমি জোরপূর্বক তার ভাইয়ের ছেলেরা ও একই বাড়ির লোকজন মিলে কয়েকদিন আগে দখল করে। এরপর ঐ নারী আদালতে মামলা করলে আদালত স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম সরেজমিন তদন্ত করতে আসেন এবং উভয় পক্ষকে ডেকে ঘটনার বিবরণ শুনেন। এ সময় রাজাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক অহিদ সাইফুল ও ঢাকা প্রতিদিনের সাংবাদিক সবুজ হোসেন ঘটনাস্থল থেকে দূরে দাড়িয়ে ভিডিও করছিলেন। অহিদকে ভিডিও করতে নাসিরের সহযোগী সাইদুল প্রথমে দৌড়ে এসে অহিদের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে মোবাইল ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হলে অহিদের ওপর আব্বাস, সিয়াম, ইসা, মুসা, বারেক, হেমায়েত, রমিও ও পলাশসহ দশ বারো জন সহযোগীরা অর্তকীত হামলা চালায়। এ সময় অহিদ সাইফুলকে বাঁচাতে এসে জাহাঙ্গীর হাওলাদার, মাকসুদা আক্তার, ঝুমুর আক্তার ও লাইসা ইসলাম লিয়া নামে আরও চারজন আহত হয়। এ সময় ঢাকা প্রতিদিনের সাংবাদিক সবুজকে আঘাত না করলেও তাকে প্রাণ নাশের হুমকী দেয় নাসির বাহিনী। 

আহত লাইসা লিয়া জানায়, অহিদ ভাইকে মারতে দেখে আমি প্রথমে ছুটে আসি। এ সময় হামলাকারীরা আমার গায়ে হাত দেয় ও আমাকে পিটিয়ে আহত করে। 

সাংবাদিক অহিদ সাইফুল জানান, ইয়াবা নাসির আমাদের উপর হামলা করতে পারে এই আশংকা করে অনেক দূরে দাড়িয়ে তদন্তের ভিডিও করছিলাম। আমি ভিডিও করেছি এই দোষে আমাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আমি বর্তমানে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

এ বিষয় নাসির হাওলাদার বলেন, “আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা সাজানো হয়েছে। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, অহিদ সাইফুলই সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করছিলো।”

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাঈল হোসেন বলেন, এ বিষয় একটি জিডি হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 


আরও খবর



‎মাভাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আধিপত্য, চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

‎মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

‎টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) ঈদের ছুটির ফাঁকা সময়ে বাড়ছে বহিরাগতদের আড্ডা, মাদকসেবন, নিয়ন্ত্রিত বাইক চালনা, ছেলে-মেয়েদের অশ্লীল ও অসামাজিক কার্যকলাপ এবং দৃষ্টিকটূ টিকটক ভিডিও তৈরি। এতে করে দেখা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ঝুঁকি, বাড়ছে চুরির শঙ্কা, বাড়ছে উদ্বেগ।

‎সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেট দিয়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্রবেশ করছে বহিরাগতদের বাইক; ক্যাম্পাসজুড়ে চলছে অনিয়ন্ত্রিত গতিতে বাইক রেস। এছাড়া হাতির কবর, বিজয় অঙ্গন, ধ্রুবতারা ক্লাব, সিডিসি ক্লাব, শহীদ মিনার, বুদ্ধিজীবী চত্বর, ক্যাফেটেরিয়া, প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন এলাকা, প্রথম একাডেমিক ভবনের রাস্তাসহ বিভিন্ন আনাচে-কানাচে চলছে অবৈধ কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ফিল্ড ও মুক্তমঞ্চের পেছনে বেড়েছে প্রকাশ্যে মাদকসেবন। ছেলেদের আবাসিক হলের আশপাশে চলছে ছেলে-মেয়েদের অশ্লীল টিকটক ভিডিও ধারণ।

‎এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন।

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদুল হাসান সোহাগ বলেন, "শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মানেই জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র, যেখানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং প্রশাসন একত্রে একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশ গড়ে তোলে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ক্যাম্পাস ছুটির দিনে বা দীর্ঘ বন্ধের সময় ফাঁকা পড়ে থাকে, আর সেই সুযোগে সেখানে ঢুকে পড়ছে বহিরাগতরা। এই বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণহীন বিচরণ এখন এক ভয়াবহ সামাজিক সংকটে রূপ নিচ্ছে। ফাঁকা ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আনাগোনায় বাড়ছে অশ্লীলতা, মাদকসেবন, জুয়া কিংবা অবৈধ সমাবেশ। ক্যাম্পাসের গাছপালা, পেছনের মাঠ কিংবা নির্জন ভবন চত্বর ব্যবহার করা হচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপে। এ কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি যেমন ক্ষুণ্ন হচ্ছে, তেমনি নিরাপদ শিক্ষাব্যবস্থাও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।"

‎পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান রাব্বি বলেন, "ক্যাম্পাস এখন এমন ফাঁকা, মনে হয় যেন ছাত্রদের নয়, বহিরাগতদের জন্যই বানানো হয়েছে! আর আমরা ভাবছি এটা কি বিশ্ববিদ্যালয়, না যেন টিকটক স্টুডিও! অশ্লীলতার উৎসব চলতেছে, আর নিরাপত্তা? সেইটা তো গেটেই দাঁড়ায়নি এখনো। প্রশাসন আছেন ঠিকই, কিন্তু কাজকর্মে যেন ইনভিজিবল মোডে! এখনই যদি ক্যাম্পাসকে নিয়ন্ত্রণে আনা না যায়, তাহলে 'প্রবেশ নিষেধ' সাইনটা ছাত্রদের জন্যই বসাতে হবে!”

‎টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাকিব বলেন, "ঈদের ছুটিতে যখন শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাড়িতে, তখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হয়ে পড়ে প্রায় জনশূন্য। এই সুযোগে বহিরাগতরা মোটরবাইক নিয়ে অবাধে প্রবেশ করছে, উচ্চ শব্দে বাইক চালাচ্ছে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘোরাফেরা করছে এবং অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। এমন কর্মকাণ্ড একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে ছুটির সময় বহিরাগতদের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত, সেখানে আমাদের প্রশাসনের নজরদারির অভাব স্পষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রধান দায়িত্ব হলো ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুস্থ, নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখা। এই অব্যবস্থাপনা ও দুর্বলতা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে না, বরং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দিকেও বড় হুমকি তৈরি করে।"

‎এফটিএনএস বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সমাপ্তি খান বলেন, "ঈদের এই ছুটিতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গেছে, ফাঁকা ক্যাম্পাসে যে কেউ ঘুরে বেড়াচ্ছে, অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। ফলে ক্যাম্পাসে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের জন্য একটা নিরাপত্তাহীন অবস্থা তৈরি হচ্ছে। ক্যাম্পাসের প্রতিটি গেটে নিরাপত্তা কর্মী থাকা সত্ত্বেও ক্যাম্পাসের ভেতরে বহিরাগতদের অবাধ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা প্রশাসনের দুর্বলতা। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান থাকবে, তারা যেন অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনে।"

‎ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসেন জানান, "আমরা দিনে কয়েকবার টহল দিচ্ছি। অপ্রীতিকর কোনো বিষয় আমাদের নজরে আসলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তা শাখার সদস্যরা নিয়োজিত আছেন। শিক্ষার্থীদেরও এই বিষয়ে সহযোগিতা করতে হবে প্রশাসনকে।"

‎নিরাপত্তার ঘাটতি বা দায়িত্বে কোনো অবহেলা আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে নিরাপত্তা শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, "আমাদের দায়িত্ব পালনে কোনো অবহেলা নেই। প্রথম গেট থেকে বাইকগুলোকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ভেতরে প্রবেশ করানো হয়। আমাদের পর্যাপ্ত আনসার সদস্য না থাকায় আমরা কিছু জায়গায় তাদের নিয়োজিত করতে পারছি না। আমাদের ৮ জন আনসার সদস্য একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে সেন্ট্রাল ফিল্ডে একজনকে নিয়োজিত করতে পারবো। আর অসামাজিক কোনো কার্যকলাপ আমাদের চোখে পড়লে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।"

‎বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন শিক্ষক শ্রেণি ও সচেতন মহল।



আরও খবর



বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হওয়ার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ছেই। সোমবার সকালেও সেই ধারা অব্যাহত আছে। এমনকি দিনের শুরুতে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি চার ডলার পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, আজ ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ১২ ডলার বা ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ দশমিক ৩৫ ডলার। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ১০ ডলার বা ১ দশমিক ৫ শতাংশ— দাম বেড়ে হয়েছে ৭৪ দশমিক ৮ ডলার। শনিবারও তেলের দাম ৩ শতাংশ বেড়েছে।

ইরানের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনায় ইসরায়েলের বিমান হামলার পর শুক্রবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম একলাফে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

২০২২ সালের মার্চের পর গত শুক্রবার একদিনে তেলের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে অর্থাৎ এর মধ্যে তেলের দাম একদিনে আর কখনোই এতটা বাড়েনি। এ ছাড়া গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ।

ইসরায়েল-ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা চতুর্থ দিনে গড়িয়েছে। দুই দেশ একে অপরের দিকে পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছেই কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

এ অবস্থায় ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা। গোল্ডম্যান স্যাকস বলছে, বিশ্বের মোট তেলের প্রায় ২০ শতাংশ এই প্রণালিপথ দিয়ে পরিবাহিত হয়। প্রণালি বন্ধ হয়ে গেলে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫




ট্রাম্প-মাস্ক জুটির ভাঙন : কত দূর গড়াবে দ্বন্দ্ব?

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রযুক্তি-উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের অস্বাভাবিক রাজনৈতিক জুটি ভেঙে পড়েছে। তাদের সম্পর্কের নাটকীয় অবসানে এখন ঘোলাটে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে মাস্কের সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং সতর্ক করে দেন যে, মাস্কের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে থাকা সরকারি চুক্তিগুলো বাতিল করা হতে পারে।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস থেকে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, তিনি মাস্কের ওপর ‘খুবই হতাশ’।

এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উভয়পক্ষ একে অপরকে লক্ষ্য করে তীব্র কটাক্ষ ছুড়তে থাকেন। মাস্ক দাবি করেন, কুখ্যাত অর্থলোলুপ ও যৌন অপরাধী জেফরি অ্যাপস্টেইনের গোপন নথিতে ট্রাম্পের নাম রয়েছে— যদিও তিনি কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।

বাকযুদ্ধের এই বিস্তার ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। মাস্কের মালিকানাধীন টেসলার শেয়ারের দর একদিনে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি কমে গেছে এবং তিনি ঘোষণা করেছেন, তার প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশযান কর্মসূচি থেকে সরে আসবে।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ও সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রনেতার এই সম্পর্ক যে দীর্ঘস্থায়ী হবে না— এমন জল্পনা বহুদিন ধরেই চলছিল। তবে মাত্র চার মাসেই সম্পর্কের এই আকস্মিক ও বিস্ফোরক ভাঙন ওয়াশিংটনের রাজনীতিকদের অনেককেই বিস্মিত করেছে।

ট্রাম্প বলেন, আমি ইলনের ওপর খুব হতাশ। আমি তাকে অনেক সহায়তা করেছি। আমাদের সম্পর্ক দারুণ ছিল। জানি না, এখন সেটা থাকবে কি না।

তিনি আরও জানান, মাত্র এক সপ্তাহ আগেই হোয়াইট হাউসে ‘সরকারি ব্যয় দক্ষতা দপ্তর’ (ডগে) থেকে বিদায় জানাতে মাস্কের জন্য সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

পরে ট্রাম্প ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘তিনি (মাস্ক) পাগল হয়ে গেছেন।’ ট্রাম্পের ভাষ্য, মাস্ককে তিনিই সরে যেতে বলেছিলেন, কারণ ‘তার উপস্থিতি বিরক্তিকর হয়ে উঠছিল।’

মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল?

এই টানাপোড়েনের মধ্যে মাস্ক ‘এক্স’-এ একটি জরিপ চালিয়েছেন, যার শিরোনাম ছিল: ‘আমি কি একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করব?’ এটি এক ধরনের রাজনৈতিক হুমকি হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

কারণ মাস্ক ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, যেসব রিপাবলিকান তার সঙ্গে একমত নন, তাদের ক্ষমতা থেকে সরাতে তিনি তার বিপুল অর্থব্যয় করতে প্রস্তুত।

এদিকে ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ স্টিভ ব্যানন নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, ‘মাস্ককে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা উচিত।’

এখন ওয়াশিংটনের রাজনীতিকরা উৎকণ্ঠার সঙ্গে তাকিয়ে আছেন— এই দ্বন্দ্ব আরও কত দূর গড়াবে তা দেখতে।


আরও খবর