Logo
শিরোনাম

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মাইজভান্ডার দরবার শরীফের পীর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, ইসলাম মানুষকে ইনসানে কামেল বা পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার শিক্ষা দেয়। তিনি বলেন, সচ্চরিত্র তখনই অর্জিত হয়, যখন ক্রোধশক্তি ও খায়েশ শক্তিকে সমতার পর্যায়ে রাখা হয়। কেননা, কঠোরতা কখনও ক্রোধ থেকে এবং কখনও তীব্র লালসা থেকে উৎপন্ন হয়, কিন্তু নম্রতা সচ্চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। সে ব্যক্তি সহনশীল নয়, যে জুলুমের সময় চুপ থাকে, এরপর সক্ষম হলে প্রতিশোধ নেয়; বরং সহনশীল তাকেই বলা হয়, যে জুলুমের সময় সহ্য করে এবং সক্ষম হলে ক্ষমা করে। তিনি আরো বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী (সা.) বিজয়ীবেশে মক্কায় প্রবেশ করলে কুরাইশদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তিনি বিজিত শত্রুদের প্রতি কোনো ধরনের দুর্ব্যবহার করেননি। হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, প্রকৃত মুসলমান ওই ব্যক্তি যার মুখ ও হাতের অনিষ্ট থেকে লোকজন নিরাপদ থাকে এবং যার নির্যাতন থেকে মানুষ নিরাপদ তাকে মুমিন বলে। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় বসবাসরত আদিম পৌত্তলিক, ইহুদি এবং নবদীক্ষিত মুসলিম তিন সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে, দল-মত নির্বিশেষে মদিনা সনদের মাধ্যমে একটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা, পারস্পরিক সম্পর্ক, মদিনার নিরাপত্তার প্রশ্ন এবং মদিনার অর্থনীতি সচল রাখার বিষয়ে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছেছিল। সে সময় কারও কোনো অধিকার বিন্দুমাত্র ভূলুণ্ঠিত হয়নি। সব নাগরিক সমান অধিকার পেয়েছে। রাসুল (সা.)-এর বলিষ্ঠ পদক্ষেপের ফলে তৎকালীন সমাজের গোত্রগুলোর অন্তর্কলহ, রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের অবসানসহ নৈরাজ্যমুক্ত, মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বস্তুত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুপস্থিতিতে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সংঘাতের সূত্রপাত ঘটায়, গৃহযুদ্ধেও রূপ নেয়। তিনও দেশের এই ক্লান্তিকালে মব জাস্টিস, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এ সমস্ত ধ্বংসাত্মক বিশৃঙ্খল পন্থা পরিহার করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। একই সাথে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিকারী সম্প্রীতি বিনষ্টকারী উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি কঠোর হওয়ারও আহ্বান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী। 


২রা ডিসেম্বর (সোমবার) রাতে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর নামা বাজার সানিকুল ইসলাম সানির বালুর মাঠে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরাম বেলাব উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএসপি চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী। বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ ধন মিয়া প্রধান ও জনাব মোঃ মকবুল হোসেন মেম্বারের সভাপতিত্বে মাহফিলে উদ্বোধক ছিলেন নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ কাউসার কাজল (এম.এ)। কোরআন সুন্নাহর আলোকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন, রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১ মসজিদ-এ গাউছুল আজমের খতিব মাওলানা মুফতি মাকসুদুর রহমান, মইনীয়া যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় পরিষদের বিভাগীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক, হাফেজ মাওলানা কেরামত আলী, খাদেম মাওলানা হাফেজ খাজা বাহাউদ্দীন মাইজভান্ডারীসহ আরো অনেকেই। এসময় বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


পরে সালাতু সালাম শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি, কল্যাণ ও নিপিড়ীত মানবতার মুক্তি কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন, মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বর্তমান ইমাম ও বিএসপি চেয়ারম্যান হযরত শাহসূফী ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।


আরও খবর



শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

জাতীয় শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মানুষের ঢল নেমেছে। ফুলেল শ্রদ্ধায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছেন তারা। ভোর থেকেই বিভিন্ন সংগঠন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে কবরস্থানে আসছেন।

১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামসরা মিলে দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, লেখক, সাংবাদিক, প্রকৌশলীসহ মেধাবী বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। যাদের অধিকাংশকেই সমাহিত করা হয় মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। তাদের স্মরণেই সকাল থেকে কালো ব্যাজ ধারণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা শ্রদ্ধা জানানোর পর সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয় বুদ্ধিজীবী কবরস্থান প্রাঙ্গণ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ফুল নিয়ে শহীদ পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষজন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। কবরস্থানের ভেতর থেকে বাইরে পর্যন্ত মানুষের দীর্ঘ লাইন। এসময় শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রিয়জনের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের স্মৃতিচারণ করেন। অনেকেই কবরের পাশে চোখের পানি ফেলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অনেক সাধারণ মানুষকেও শহীদদের কবরের সামনে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। আবার অনেককে ফাতেহা পাঠ করে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করতে দেখা গেছে।

এর আগে, মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সকাল ৭টা ৫ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি, পরে প্রধান উপদেষ্টা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। এসময় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরাসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁর সাপাহার প্রেস ক্লাবে তছলিম সভাপতি বাবুল সম্পাদক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

সাংবাদিক তছলিম উদ্দীনকে সভাপতি ও বাবুল আকতারকে সাধারণ সম্পাদক করে নওগাঁর সাপাহার প্রেস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় প্রেস ক্লাব কার্য্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সাধারণ সভায় এ কমিটি ঘোষনা করা হয়। 

প্রেস ক্লাবের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ বাবুল আকতার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রেস ক্লাব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনায় সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ২০২৫-২৬ সালের জন্য দ্বি-বার্ষিক প্রেস ক্লাব পরিচালনা পরিষদের জন্য “দৈনিক কালের কন্ঠ সাপাহার, পোরশা প্রতিনিধি সাংবাদিক তছলিম উদ্দীনকে সভাপতি ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সাপাহার প্রতিনিধি বাবুল আকতারকে সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক শরিফ তালুকদারকে সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ-সভাপতি মোঃ মফিজ উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মোঃ তোফায়েল আহম্মেদ এবং সাংবাদিক প্রদিপ সাহাকে কার্য নির্বাহী সদস্য করে ৭সদস্য বিশিষ্ট একটি কার্য নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া মোঃ ইব্রাহিম খলিল, মনোয়ারুল ইসলাম, গোলাপ খন্দকার ও কণাকে নিয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত হয়। এসময় প্রেস ক্লাবের সকল সাংবাদিক ও সদস্যগন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত:রবিবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দৈনিক কালবেলা অনলাইনে গত  তারিখে প্রকাশিত "লেনদেন ছাড়া ফাইল পড়ে না পাসপোর্ট অফিসে" সংবাদটি ভিত্তিহীন ও সঠিক নয় বলে দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন গাইবান্ধা  আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক প্রতিবাদী বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন প্রকৃতপক্ষে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ তাদের সকল সরকারি নীতিমালা ও প্রতিটি সেক্টরের কাজ মনিটরিং করে সম্পূর্ণ করে থাকেন। পাসপোর্ট এর কোন কাজে কখনো অনিয়ম হয়নি অথচ সংবাদে মনগড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সুনাম বিনষ্ট করা হয়েছে।

সংবাদটি প্রকাশের ক্ষেত্রে যাদের বক্তব্য নিয়েছেন তারা কখনো কোন পাসপোর্ট করতে অফিসে আসেননি। 

গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।


আরও খবর



বাংলাদেশের সঙ্গে টানাপোড়েনের অবসান চায় ত্রিপুরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকেই এক ধরনের টানাপোড়েন চলছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান এবং তাকে ফেরত আনা নিয়ে দুদেশের রাজনৈতিক মহলে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রকাশ এবং সবশেষ ভারতের একাধিক রাজ্যে বাংলাদেশ মিশনে হামলায় তীব্র হয়েছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এ টানাপোড়েন। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বন্ধুপ্রতীম দুই দেশই।

তবে, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান টানাপোড়েনের অবসান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা।

ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী পর্যটন প্রচার উৎসব চলছে রাজ্যটিতে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) এ উৎসব উপলক্ষে আগরতলার খেজুর বাগান এলাকার গীতাঞ্জলি গেস্ট হাউসে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অতীতের মতো বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডা. মানিক সাহা।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারত, এমনকি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার গেটেওয়ে হয়ে উঠবে, এ লক্ষ্যে কাজ চলছে। বর্তমানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার কারণে এ কাজ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। আগামীতে এ সমস্যার সমাধান হবে। আশা করি, ত্রিপুরা ও গোটা ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আগের মতো উন্নত হবে।

তিনি আরও বলেন, ত্রিপুরায় আসা দেশ-বিদেশি পর্যটকদের আরও বেশি সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার পর্যটক পুলিশ চালু করার পরিকল্পনা করছে। কারণ, সরকার দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ত্রিপুরা রাজ্যে আনার জন্য সব ধরনের সুবিধা ও বিশেষ করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করছে।

আলোচনা সভার পাশাপাশি গীতাঞ্জলি গেস্ট হাউসে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যের পর্যটকদের স্টল পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দপ্তরমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।


আরও খবর



বছরের প্রথম দিনেই নওগাঁর সড়কে ঝড়লো ২ জনের প্রাণ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রির্পোটার :

নওগাঁয় মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনা। বছরের প্রথম দিনেই সড়কে ঝড়লো আরো দু'জনের প্রাণ, আহত ৪ জন। মর্মান্তিক এসড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকাল ১১ টারদিকে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলাধীন নওগাঁ টু নজিপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের খুন্তির মোড় নামক এলাকায়। নিহতরা হলেন, মহাদেবপুর উপজেলার পশ্চিম খাঁপুর গ্রামের মৃত ইসাহাক সরদারের ছেলে মোশারফ হোসেন এবং মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হেলথ এসিসটেন্ড আফতাব উদ্দীন। এছাড়া আহতরা হলেন,মোটরসাইকেল চালক মহিনগর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে আরিফ হোসেন, পঞ্চগড় জেলার চকপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আনসার আলী,  নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার পাটিচরা গ্রামের ইলিয়াছ আলীর মেয়ে সীতা, ধামইরহাট উপজেলার হেরেম সোনাদিঘী গ্রামের নিমাইয়ের ছেলে বাতরাজ। স্থানীয়রা জানায়, যাত্রীবাহী একটি বাস ঘটনাস্থলে মাইক্রোবাসকে ওভারটেক করার সময় পাশের সংযোগ রাস্তা থেকে হঠাৎ করেই একটি মোটরসাইকেলের সড়কে উঠলে এসময় বাসটি নিয়ন্ত্রন হাড়িয়ে  মোটরসাইকেলে সাথে সংঘর্ষ ও যাত্রীবাহী বাসটি উল্টেপড়ে। এতে দূর্ঘনাস্থলেই মোশারফ হোসেনের মৃত্যু হয়। স্থানিয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত আফতাব উদ্দীনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। 

সড়ক দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ

মোঃ হাশমত আলী বলেন, সড়ক দূর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ইতি মধ্যেই দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর