Logo
শিরোনাম

সারা দেশে মহাসমাবেশের ডাক কারিগরি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ছয় দফা দাবি আদায়ে এবার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল (রোববার) দেশব্যাপী এই কমসূচি পালন করবেন তারা।

১৯ এপ্রিল ‘রাইজ ইন রেড’ নামে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জোবায়ের পাটোয়ারী।

কুমিল্লার কর্মসূচিতে ‘হামলার’ অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে সারা দেশে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে আজ প্ল্যাকার্ড হাতে ‘রাইজ ইন রেড’ নামে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘দেশ গড়ার হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, জবাব চাই জবাব চাই’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে ছয় দফা দাবি আদায়ে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে গণমিছিল করেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।

মিছিল পরবর্তী এক ব্রিফিংয়ে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জোবায়ের পাটোয়ারী বলেন, কর্তৃপক্ষকে বলবো, আমাদের দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে নিন, আমরা রাজপথ ছেড়ে দেব। কুমিল্লার ভাইদের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করুন, তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করুন। আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মাশফিক ইসলাম দেওয়ান বলেন, এই সরকার আমাদের সরকার, শিক্ষার্থীদের সরকার, বিপ্লবীদের সরকার। এই সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত। কারিগরি শিক্ষা সেক্টরে যে বৈষম্য আছে, আমরা চাই সরকার তা দূর করুক।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে মশাল মিছিল করেন। তার আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেও সন্তুষ্ট না হয়ে ছয় দফা দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

বুধবার সকাল থেকে ছয় দফা দাবিতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাত রাস্তা, মোহাম্মদপুর ও মিরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর



সুফি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় নিন্দা ও প্রতিবাদ

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

আলহাজ্ব সুফি মিজানুর রহমান মহোদয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সকল সুন্নী রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবাদ ও বিবৃতি আশা করছি। সংক্ষিপ্ত তাফসীরসহ কুরআনে কারিমের বিশুদ্ধ বাংলা অনুবাদ "রুহুল কুরআন", ফার্সি ভাষায় লিখিত হাজার বছর আগের তাসাউফ দর্পন "কাশফুল মাহজুব" এর বাংলা অনুবাদ, হাদিস সংকলন, ৪০ হাদিস সহ অনেক কিতাব কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে জাতির খেদমতে উপহার, সিহাহ সিত্তাহ [হাদিসের বিশুদ্ধ ছয়টি গ্রন্থ]কে অধিকতর বিশুদ্ধ অনুবাদ, ব্যাখ্যা ইত্যাদি দিয়ে বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে তুলে ধরা, সত্যিকারের মুফতি তৈরির মানসে বছর মেয়াদি ইফতা কোর্স, আরবি ভাষা শেখানোর জন্য এরাবিক ল্যাংগুয়েজ সেন্টার, ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, ঢাকা ও চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক শাহাদাত-এ কারবালা মাহফিলের প্রধান পৃষ্ঠপোষকসহ বহু একাডেমিক এবং নন একাডেমিক, সামাজিক, মানবিক, দেশে - বিদেশে  সর্বত্র নিজেকে বিলীন করে দিয়ে যে মহান খেদমতের আঞ্জাম দিচ্ছেন তা সত্যিই অতুলনীয় এবং এর  দৃষ্টান্ত এ যুগে বিরল। পাশাপাশি শিল্প জগতে সততার সাথে বিপ্লব ঘটিয়ে চলছেন। অসংখ্য পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়ে চলছেন। তাছাড়া দেশে- বিদেশের ওলামা, পীর মাশায়েখদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে চলছেন। যেখানেই যান ৮৩তম বয়সে উপনীত হয়েও ছাত্রের মত কাগজ- কলম নিয়ে বসে পড়েন। এরকম নানান গুনের অধিকারী বিনয়ী একুশে পদকপ্রাপ্ত আলহাজ্ব মোহাম্মদ সুফি মিজানুর রহমান প্রতিহিংসার শিকার হবেন না তাতো হতেই পারেনা।  যার কারণে জুলাই আন্দোলনে এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী করা হলো উনাকে। ঢাকা আলিয়ার এক শিক্ষার্থীকে পতিত স্বৈরাচারের পালিত প্রশাসন ও সন্ত্রাসীরা আক্রমন করেছে, সেখানে এ রকম মহান মানুষের সম্পৃক্ততা কিভাবে সম্ভব? আল্লাহকে ভয় করুন। একমাত্র তিনিই যাকে ইচ্ছে ক্ষমতা দান করে ইজ্জত দান করেন এবং যার থেকে ইচ্ছে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেন। আমরা অনতিবিলম্বে সুফি সাহেবের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা অবলোকন করছি, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যেখানে উপদেষ্টা ও প্রশাসনের কিছু উগ্রবাদী ব্যক্তিবর্গের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে আমরা সন্দেহ পোষণ করছি। আমি বর্তমান সরকার ও প্রশাসনকে হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি, সুন্নী জনতা আপনাদের প্রতিপক্ষ নয়, তাদেরকে জোর করে প্রতিপক্ষ বানানোর পরিণাম ভালো হবে না। সুন্নীয়তের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত চলমান এই ষড়যন্ত্র বন্ধ নাহলে সুন্নী জনতা রাজপথে ফায়সালা করে ফিরবে। অবিলম্বে এই মামলা বানিজ্য বন্ধ করুন। 


আরও খবর

মাইজভান্ডারির মোনাজাত

বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫




ট্রাম্পকে ‘উড়ন্ত প্রাসাদ’ উপহার দিচ্ছে কাতার

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বিলাসবহুল ডাইনিং, বেডরুম, বোর্ডরুম, লাইব্রেরি, কী নেই বিমানে! তাই এর নাম ‘ফ্লাইং প্যালেস।’ বাংলায় যাকে বলে ‘উড়ন্ত প্রাসাদ’। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এমনই একটি বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭-৮০০ উড়োজাহাজ উপহার দিচ্ছে কাতারের রাজপরিবার।

উড়োজাহাজটির দাম বাংলাদেশি টাকায় চার হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। সব কিছু ঠিক থাকলে মার্কিন সরকারের বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া সবচেয়ে দামি উপহার হবে এটি। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপহারটি গ্রহণ করতে রাজি হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। উড়োজাহাজটিকে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত ভ্রমণের কাজে ব্যবহৃত ‌‘এয়ারফোর্স ওয়ানের’ পদমর্যাদায় উন্নীত করা হতে পারে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজস্ব ব্যক্তিগত উড়োজাহাজের নাম ‘ট্রাম্প ফোর্স ওয়ান’। এটা একটি পুরনো ৭৫৭ বোয়িং জেট। ২০১১ সালে এই উড়োজাহাজটি কিনেছিলেন তিনি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, একটি বাণিজ্যিক বোয়িং ৭৪৭-৮ মডেলের উড়োজাহাজের দাম প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় চার হাজার ৮৮০ কোটি টাকা)।

একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিমান এখন কাতার থেকে আমেরিকায় পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এয়ার ফোর্স ওয়ান হিসেবে এতে আরও কিছু আপগ্রেড করা হবে। বিশেষ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং অন্যান্য প্রযুক্তি ইনস্টল করা হবে। তাই কিছুটা সময় লাগতে পারে।

তবে কিছু আইনি জটিলতার মুখেও পড়তে হতে পারে ট্রাম্পকে। কারণ আমেরিকার সংবিধান অনুযায়ী, বিদেশি সরকারের কাছ থেকে উপহার গ্রহণে কিছু বিধিনিষেধ আছে। রাষ্ট্রপতি বা অন্যান্য ফেডারেল কর্মকর্তারা বিদেশি সরকার থেকে কোনও উপহার বা আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন না, যদি না আমেরিকার কংগ্রেসের অনুমোদন থাকে। এই বিমানটি যদি উপহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়, তবে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।


আরও খবর



বিসিবির নেতৃত্বে কাদের থাকা উচিত

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার মতে, ক্রিকেট বোঝেন এমন ও জেলার ক্রিকেট উন্নয়নে সক্ষম প্রতিনিধিরাই বিসিবির নেতৃত্বে আসা উচিত।

জুলাই- আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ক্রীড়াঙ্গনেও আমূল পরিবর্তন আসে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনয়াতনে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে চমক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান কালে তামিম ভবিষ্যতে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে ক্রিকেট বোর্ডে আসতে যারা আগ্রহী, তাদের প্রতি দিয়েছেন কঠোর বার্তা।

তামিমের বক্তব্যে উঠে আসে জেলার কাউন্সিলরদের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়েও স্পষ্ট মত। তিনি বলেন, আমি আপনাদের কাছে একটা বিনীত অনুরোধ করবযারা ক্রিকেট বোঝেন, যাদের স্বপ্ন আছে দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার, তাদেরকেই জেলা বা বিভাগ থেকে নির্বাচিত করা হোক। আমি অতীতে অনেকবার দেখেছি, কেউ একজন জেলা বা বিভাগ থেকে বোর্ডে আসেন, তারপর বোর্ডের পরিচালক হয়ে নিজের অঞ্চলকে ভুলে যান। এটা হতে দেওয়া যায় না।

সম্প্রতি বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ক্রিকেটের অব্যবস্থাপনা ও লিগ কাঠামোর দুর্বলতা নিজের চোখে দেখেছেন তামিম। সে অভিজ্ঞতা থেকেই বলেন, অনেক জেলায় তো মানসম্মত একটা লিগই হয় না। অথচ আমরা ক্রিকেটকে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা বলে দাবি করি।

তামিম মনে করেন, জেলা বা বিভাগীয় ক্রিকেটের উন্নয়নে যারা ব্যর্থ, তাদের ক্রিকেট বোর্ডের উচ্চপদে আসার যোগ্যতা নেই। তার ভাষায়, যদি কেউ নিজের জেলার ক্রিকেটেও উন্নয়ন না করতে পারে, তাহলে তার বোর্ডে আসা উচিত নয়।


আরও খবর

শনিবার থেকে ফের শুরু আইপিএল

মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫




নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনে একমত ইসি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ |

Image

জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র্যাব, আনসার ও বিজিবি কোস্টগার্ডের সঙ্গে প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহ সংযোজন হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের একাধিক সূত্র বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক সচিবের কাছে এসব প্রস্তাবনা পাঠিয়েছেন। এতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় নতুন সংযোজনসহ বেশ কিছু প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবের নির্ধারিত ছকে এসব প্রস্তাব পাঠানো হয়।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশের সঙ্গে ভিন্নমত ছিল নির্বাচন কমিশনের। গত ১৮ মার্চ দ্বিমত জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনে চিঠি পাঠানো হয়। পরে সরকারের তরফ থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রণালয়গুলোর কাছে প্রস্তাব চাওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশনেও চিঠি দেয় সরকার। সেখানে সংস্কার কমিশনের আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবগুলোর ব্যাপারে মতামত চাওয়া হয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ২০০১ সালের আগে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত কোনো বিধান আরপিওতে ছিল না। তারপরও ১৯৭৩ থেকে এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদেরও জেলা/থানা/উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়। ২০০১ সালের এক অধ্যাদেশে নির্বাচনে এনফোর্সিং এজেন্সির সংজ্ঞায় ডিফেন্স সার্ভিস অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু ২০০৯ সালে তা বাদ দেওয়া হয়।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতে, সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ যুক্ত করা হলে ভোটে সশস্ত্র বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে মোতায়েনের পথ প্রশস্ত হবে। ফলে নির্বাচনে সেনা মোতায়েনে কারও সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এতে ভোটের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরি হবে।

সূত্র জানায়, সংস্কার কমিশনের আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলোর মধ্যে ইসি, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের নয়টি বিষয় রয়েছে, যেসব বিষয়ে নির্বাচনের কমিশনের কাছে মতামত চায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এগুলো হলোগণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (সংশোধন), নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯ (সংশোধন), নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ সংশোধন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও গণমাধ্যম নীতিমালা (স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক) পর্যবেক্ষণ ও সাংবাদিক নীতিমালা (সংশোধন), রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ সংশোধন, হলফনামার খসড়া, ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ (অভ্যন্তরীণ ও প্রবাসী), পোস্টাল ব্যালট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন এবং রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও শুদ্ধাচার চর্চা নিশ্চিত করা।

সরকারের কাছে পাঠানো চিঠিতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আলোকে ইসির মতামতও তুলে ধরা হয়।

এ বিষয়ে সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আরপিও সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করার বিষয়টি রয়েছে। এর মাধ্যমে আরপিওর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র্যাব, আনসার, বিজিবি কোস্টগার্ডের সঙ্গে প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহ সংযোজন হবে। সরকারের সায় পেলে এর মাধ্যমে ১৫ বছর পর আরপিওতে এ সংস্কার আসবে।

ইসি সচিব বলেন, সুনির্দিষ্ট করে সব বলা সম্ভব নয়। ব্যালট পেপারে জলছাপের কথা (সুপারিশ)। এর সঙ্গে আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে। তাই এটা আমরা আশু বাস্তবায়নযোগ্য মনে করি না।


আরও খবর



বিশ্বে প্রথম রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করল পাকিস্তান!

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

ভারত পেহেলগামে হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার সময় তাদের তিনটি দাসো রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ফ্রান্সের তৈরি এই যুদ্ধবিমানগুলো ফোর পয়েন্ট ফাইভ প্রজন্মের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে ঠাসা।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বলছে, বিশ্বে পাকিস্তানই প্রথম দেশ যারা কোনো রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস করল। এটি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি বিরল কৃতিত্ব। বুধবার (৭ মে) পাকিস্তান ট্রিবিউন এ তথ্য জানায়।

পাকিস্তান বিমান বাহিনী বলছে, তারা এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে তাদের কোনো জে-টেন সি (J-10C) বা জেএফ সেভেন্টিন (JF-17) বিমান খোয়ানা ছাড়াই। অর্থাৎ ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংসের সময় পাকিস্তান বিমানবাহিনীর কোনো বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (ISPR) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আহমেদ শরীফ নিশ্চিত বলেছেন, পাকিস্তান বিমান বাহিনী সফলভাবে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল (Rafale) যুদ্ধবিমান, একটি মিগ-২১ (MiG-21) এবং একটি সুখোই সু-৩০ (Sukhoi Su-30)। ভারত সরকার এখনো রাফাল যুদ্ধবিমান হারানোর কোনো বিষয় নিশ্চিত করেনি।

বর্তমানে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ রয়েছে এবং উভয় দেশ উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানানো হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত ১টার পর পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান।


আরও খবর