Logo
শিরোনাম

সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৯২জন দেখেছেন

Image

ঢাকাসহ দেশের আট বিভাগেই বৃষ্টির হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়া বেশ কিছু অঞ্চলে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

সোমবার (২৩ মে) রাতে আবহাওয়া অধিদফতরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গা অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

তিনি আরও জানান, খুলনা বিভাগসহ মাদারীপুর ও পাবনা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী দুই দিন বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় তাড়াশে দেশের সর্বোচ্চ ৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ঈশ্বরদীতে ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



ইমরানের বাড়িতে ‘সন্ত্রাসী’ পেল না পুলিশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাড়িতে কথিত ৩০-৪০ সন্ত্রাসী খুঁজতে ঢুকে বিস্কুট ও পানি ছাড়া আর কিছুই পায়নি পুলিশ। তাদের হতাশ হয়েই ফিরে যেতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন পিটিআই চেয়ারম্যানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা। শুক্রবার (১৯ মে) লাহোরে জামান পার্কের বাড়িতে পুলিশি অভিযান শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন ইফতিখার ঘুমান।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের খবর অনুসারে, লাহোরের কমিশনার মোহাম্মদ আলি রনধাওয়া, ডেপুটি কমিশনার রাফিয়া হায়দার, ডিআইজি অপারেশন সাদিক ডোগার এবং এসএসপি অপারেশন সোহাইবের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করে সমঝোতা করেন। তার বাসভবনে তল্লাশির জন্য পাঞ্জাব পুলিশ পরোয়ানা পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

পাঞ্জাব পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, বাড়িটির প্রবেশ ও প্রস্থান উভয় গেট দিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি চালানো হবে, যার প্রাথমিক লক্ষ্য লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করা।

তবে ইমরানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ইফতিখার ঘুমান বলেছেন, তল্লাশি শেষে শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে পুলিশকে।

বাড়ির বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি মনে করি তারা বুঝতে পেরেছে, এখানে কিছুই নেই। তারা শুধু পানি আর বিস্কুট পেয়েছে।

ইফতিখার বলেন, আমরা আপনাদের সামনেই তাদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছিলাম। এখন তাদের কাছেই জিজ্ঞাসা করুন তারা কী পেয়েছে?

গত বুধবার পাঞ্জাব সরকার দাবি করে, ইমরান খানের বাড়িটিতে ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসীকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের হস্তান্তর করার জন্য ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে। তবে ডেডলাইন পেরিয়ে গেলেও বৃহস্পতিবার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অবশ্য লাহোর ক্যাপিটাল সিটি পুলিশ অফিসার (সিসিপিও) বিলাল সাদ্দিক কামিয়ানা দাবি করেছেন, পিটিআই প্রধানের জামান পার্কের বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করা ছয় সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছেন তারা।


আরও খবর



ইসলামপুরে গৃহবধু ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে ইউপি সদস্যের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

লিয়াকত হোসাইন লায়ন :

ইসলামপুরে চর পুটিমারী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আশরাফ আলী আশার কর্তৃক গৃহবধু ধর্ষণেরর চেষ্টার অভিযোগে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি এবং গেজেট বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভূক্তভোগি পরিবার ও এলাকাবাসী।

শুক্রবার দুপুরে ডিগ্রীর চর সকাল বাজারে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

জানাযায়, গত সোমবার ২৪ এপ্রিল চর পুটিমারী ইউনিয়নের আগ্রাখালী গ্রামের রেহান আলীর কন্যা  আঃ রসিদের স্ত্রী লাকী আক্তার বাবার বাড়ি থেকে শশুর বাড়ী যাচ্ছিল। পথিমধ্য ইউপি সদস্য আশা গৃহবধুকে একা পেয়ে পথরোধ করে ধর্ষণের চেস্টা করে। গৃহবধুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে এলে ওই ইউপি সদস্য দ্রুত সটকে পড়ে। 

মানববন্ধনে রেহান আলী,রিমন মিয়া,আঃ রশিদ সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা ও ভূক্তভোগি পরিবার নারী লোভী ইউপি সদস্যের আশরাফ আলী আশার বিচার ও গেজেট বাতিলের দাবী জানান।

এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী পরিবার কোন বিচার না পেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।


আরও খবর



চুপ থাকা অন্যায়-অবিচারকে প্রশ্রয় দেওয়া !

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১২১জন দেখেছেন

Image

অধ্যাপক ডমোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষাবিদ :

চুপ করে থাকা মানুষদের আমরা ভালো মানুষ হিসেবে বিবেচনা করছি | সমাজ তাদের নাম দিয়েছে অতিশয় ভদ্র মানুষ, যারা কারো সাথেও নেই, পাছেও নেই | সমাজের অন্য মানুষেরা কোথায় আছে না আছে এটা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না হলেও তারা নিজেরা সেভ জোনে আছে ভেবে এই মানুষগুলো সব সময় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে |

কেউ কেউ চুপ থাকা এই সংস্কৃতিকে বাহবা দিয়ে এসব মানুষকে সারাজীবন বোবা মানুষ বানিয়ে রাখার মোটিভেশন দিচ্ছে | এই কৌশল অবলম্বন করে বিরাট একটা শ্রেণীকে যদি সমাজের মূল স্রোত থেকে বাইরে রাখা যায়, তবে মন্দ কি?

 

চুপ থেকে যদি ভালো মানুষের স্বীকৃতি খুব সহজে পাওয়া যায়, এই ভেবে সমাজের প্রায় বেশিরভাগ মানুষ মুখে তালা দিয়ে রেখেছে | অথচ এদের সমাজের সবচেয়ে দুর্বল শ্রেণী বলে কেউ কেউ ভাবলেও এরাই সমাজ ধ্বংসের মূল কারিগর হিসেবে কাজ করছে | এদের চুপ থাকা অন্যায়-অবিচারকে প্রশ্রয় দেওয়াতে ভূমিকা রাখছে, সমাজের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করছে | এদের এমন মনোভাবের কারণে মানুষের পক্ষে, সমাজের পক্ষে, দেশের পক্ষে একদিন কথা বলার কোনও মানুষ পাওয়া যাবেনা |

চুপ থাকা মানুষরা নিজেদের স্বার্থকেই বেশি প্রাধান্য দেয় | চুপ থেকে ভালো মানুষের সংজ্ঞায় নিজেদের ফেলে তারা এই সুবিধা নিতে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়না |

 

এই শ্রেণীর বাইরে আরও দুটো শ্রেণী আছে, খুব সহজ করে বললে ১. উচিত কথা বলার মানুষ এবং ২. সুবিধাবাদী মানুষ | এর বাইরেও আগাছা, পরগাছা, পরজীবী মানুষ তো আছেই |

উচিত কথা বলার মানুষদের সংখ্যা আমাদের সমাজে ক্রমশ কমতে কমতে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে এসেছে |

চুপ থাকা মানুষদের নীরবতা সুবিধাবাদী মানুষদের অন্যায়কে আরও সহজ করে দিচ্ছে | এদের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভূমিকায় সুবিধাবাদী মানুষদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে |


চুপ থেকে দুপক্ষকেই খুশি রাখা মানুষদের ভালো মানুষ বলাটা কতটা যৌক্তিক, সেটাও ভাববার বিষয় | মনে রাখতে হবে, নিউট্রাল গেয়ারে কখনো গাড়ি চলেনা | চুপ থেকে নিরপেক্ষতার অভিনয় সুবিধাবাদিতার চেয়েও ভয়ংকর |

আর অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে দুজনই সমান অপরাধী |


নীরব থাকা অনেকটা নীরব ঘাতকের মতো | সুবিধাবাদী ও চুপথাকা মানুষের সংখ্যা একত্রে অনেক বেশি হওয়ায় উচিত কথা বলার মানুষেরা কোনঠাসা হয়ে আছে, সব জায়গায় তারা হারছে, মার্ খাচ্ছে | ঘুরে দাঁড়াতে চুপ থাকা মানুষদের তথাকথিত ভালো মানুষের মুখোশটা খুলে মুখটাকে বের করে আনা খুব বেশি প্রয়োজন | মনে রাখতে হবে, ভালো মানুষ সেজে ভালো থাকা আর প্রকৃত ভালো মানুষ হওয়া এক কথা নয় | নিজে ভালো থাকা মানে ভালো থাকা নয়, সবাইকে নিয়ে ভালো থাকাই ভালো থাকা |

 

আমাদের সমাজে মানুষদের মূল সমস্যা হচ্ছে তারা বাস্তবের নায়ক-ভিলেনদের চিনতে পারছেনা | ভিলেনকে ভাবছে নায়ক, নায়ককে ভাবছে ভিলেন | এটা বাড়তে থাকলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে এর বোঝা টানতে হবে | সমাজের সবাই সুবিধাবাদী হয়ে গেলে সমাজটাকেই একদিন নিলামে তুলে বিক্রি করার মতো অবস্থা তৈরী হতে পারে | সমাজ বিক্রি হলে মানুষ দাস হয়ে যায় আর দাসত্বের চেয়ে বড় কলংক আর কিছু নেই |


আরও খবর

রবীন্দ্র তীর্থস্থানে এক বিকেল

বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০২৩




বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবর খাঁনকে রাস্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ২১জন দেখেছেন

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন দশমিনা(পটুয়াখালী)


পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ড পূর্ব চাঁদপুরা

গ্রামের মৃত. গহন আলীর ছেলে  বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলী আকবর খানকে(১০০)

রাস্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।

রবিবার সকাল ১১ টায় উপজেলার আলীপুর কোটখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের

মাঠে রাস্ট্রীয় মর্যাদা  ও পরে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা

হয়।

 এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা,

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা

আবুল হোসেন মাতুব্বর, দশমনিা থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) তৌসিফ,

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাফর আহমেদ, আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান

আতিকুর রহমান সাগর সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায় গত কাল শনিবার বিকেল ৫ টায় তার নিজ বাসভবনে

বার্ধক্য জনিত কারনে শেষ নিঃশাস ত্যাগ করেন। ইন্নলিল্লাহে,,, রাজিউন।

মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিলো ১ শত বছর। ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে সহ অসংক্ষ্য

আতীয়স্বজন ও বহু গুণগ্রহী রেখে যান।


আরও খবর



অননুমোদিত পরিবহন এশিয়ায় শীর্ষে খুলনা ও ঢাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে ২০ ধরনের যানবাহন চলাচলের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ( বিআরটিএ ) । যদিও কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের বাইরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর ও গ্রামাঞ্চলে আরো বেশ কয়েক ধরনের যানবাহন চলাচল করে। যাত্রী পরিবহনের জন্য রিকশা , স্কুলভ্যান , ইজিবাইক , স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের থ্রি - হুইলার কিংবা ঘোড়ার গাড়ির মতো অননুমোদিত যানবাহনের ব্যবহার সড়কে রয়েছে। এর পাশাপাশি চলাচলের অনুমতি থাকলেও মেয়াদোত্তীর্ণ এবং ফিটনেসবিহীন বাস - মিনিবাস , মাইক্রোবাস , সিএনজি অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারের মতো যানবাহনও সড়কে চলছে।

জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের ( এসকাপ ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই এমন যানবাহন ( ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট ) চলাচলে এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের দুই শহর খুলনা ও ঢাকা। এর মধ্যে খুলনা শহরে যত যানবাহন চলে তার ৫৮ শতাংশেরই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই। আর রাজধানীতে অননুমোদিত পরিবহনের পরিমাণ ৫৪ শতাংশ। গত সপ্তাহে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাব - রিজিওনাল মিটিং অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপ অন এক্সিলারেটিং দ্য ট্রানজিশন টু ইলেকট্রিক মোবিলিটি ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক শীর্ষক এক কর্মশালায় ওই প্রতিবেদনের এসব তথ্য উপস্থাপন করেন ইউএন - এসকাপের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তা মদন বি রেগমি। তিনি জানান , এশিয়া মহাদেশের বড় শহরগুলোর মধ্যে ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট চলাচলে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের খুলনা। শহরটিতে ইনফরমাল ট্রান্সপোর্টের মোড শেয়ার ৫৮ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকার মোড শেয়ার ৫৪ শতাংশ। ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট চলাচলে এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ( ৫০ শতাংশ ), ফিলিপাইনের ম্যানিলা ( ৩৮ শতাংশ ), ভারতের সুরাট ( ৩০ শতাংশ ), ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং ( ১৭ শতাংশ ), কম্বোডিয়ার নম পেন ( ১২ দশমিক ৪ শতাংশ ), ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া ( ১১ শতাংশ ) ও ভারতের জয়পুর ( ১১ শতাংশ ) ।ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বণিক বার্তাকে বলেন , ‘ কোনো দেশের রাস্তায় কী ধরনের যানবাহন চলাচল করবে , সেসব যানবাহনের মডেল কী হবে এ ধরনের বিষয়গুলো ওই দেশের সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেয়। এটাকে আমরা টাইপ মডেল অনুমোদন বলি।

 এ টাইপ মডেলের অনুমোদন নিয়েই যানবাহন আমদানি বা উৎপাদন করে সেগুলো রাস্তায় চালানো হয়। কিন্তু অনেক অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলে। এ ধরনের যানবাহনকে আমরা বলি ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট । যেহেতু কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকে না , সেহেতু এসব যানবাহনের কাঠামোগত দুর্বলতা , নিরাপত্তার ঘাটতির মতো বিষয়গুলো থেকেই যায়। বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ বর্তমানে ২০ ধরনের যানবাহনকে রাস্তায় চলাচলের অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স , অটোরিকশা , অটো টেম্পো , বাস , কার্গো ভ্যান , কাভার্ড ভ্যান , ডেলিভারি ভ্যান , হিউম্যান হলার , জিপ , মাইক্রোবাস , মিনিবাস , মোটরসাইকেল , পিকআপ , প্রাইভেট কার , স্পেশাল পারপাজ ভেহিকল , ট্যাংকার , ট্যাক্সিক্যাব , ট্রাক্টর , ট্রাক ও অন্যান্য। বিআরটিএর তথ্য বলছে , চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত এ ২০ ক্যাটাগরিতে দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৫৭ লাখের বেশি।

 সড়ক পরিবহন আইন - ২০১৮ অনুযায়ী , এসব ক্যাটাগরির যানবাহন ছাড়া সড়ক - মহাসড়কে চলাচল করা সব ধরনের মোটরযানই অবৈধ। অননুমোদিত পরিবহন চলাচলে এশিয়ার শীর্ষে থাকা খুলনা শহরজুড়ে রয়েছে ইজিবাইকের দাপট। এসব যানবাহনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে খুলনা সিটি করপোরেশন ১০ হাজার ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। যদিও এ ধরনের অনুমতি দেয়ার ক্ষমতা সিটি করপোরেশনের নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ , অনুমতি পাওয়া ১০ হাজারের বাইরে আরো প্রায় ৪০ হাজার ইজিবাইক বর্তমানে এ শহরে চলাচল করছে। মূলত ইজিবাইকের কারণেই খুলনা অননুমোদিত পরিবহন চলাচলে এশিয়ার শীর্ষ শহরে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন অধ্যাপক হাদিউজ্জামান। অন্যদিকে প্যাডেলচালিত রিকশা , ব্যাটারি রিকশা , ইজিবাইক , বিভিন্ন ধরনের থ্রি - হুইলার যানবাহনের আধিক্যের কারণে ঢাকা দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বলে জানান তিনি।এসব যানবাহন কিন্তু লুকিয়ে চলে না।

 কর্তৃপক্ষের সামনে দিয়েই চলে। আবার ইজিবাইকসহ বিভিন্ন ধরনের অননুমোদিত যানবাহন ও যানবাহনের যন্ত্রাংশ কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া উৎপাদন বা আমদানি করাও সম্ভব নয়। অন্যদিকে এসব যানবাহনকে কেন্দ্র করে একটা ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠছে। যখন এসব যানবাহন ঠেকানোর উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজন ছিল , তখন কর্তৃপক্ষ অলস বসে থেকেছে ’ , বলেন অধ্যাপক হাদিউজ্জামান। তিনি বলেন , ‘ এটা ঠিক যে অননুমোদিত যানবাহনগুলোয় নিরাপত্তার ঘাটতি রয়েছে। কাঠামোগত ত্রুটিসহ নানা ধরনের অসংগতি আছে। কিন্তু এসব যানবাহন রাস্তা থেকে তুলে দেয়া উচিত হবে না।

বরং অননুমোদিত যানবাহনগুলোর কাঠামোগত মানোন্নয়ন , নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে এগুলো অনুমোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি চালকদের প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। আরেকটা বিষয় মনে রাখতে হবে , এসব যানবাহন যেন কখনই শহরের মূল সড়ক ও মহাসড়কের গণপরিবহন না হয়। শুধু শহরের ফিডার রোড ও সরু সড়কগুলোতেই এসব যানবাহন চলাচলের অনুমতি দিতে হবে। বাংলাদেশের শহরগুলোতে অননুমোদিত পরিবহনের আধিক্যের বিষয়টির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও। তবে তারা বলছেন , মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াত এবং বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবিকার স্বার্থে চাইলেও এসব অননুমোদিত যানবাহন রাস্তা থেকে তুলে দেয়া সম্ভব নয়। তবে পর্যায়ক্রমে এসব যানবাহন তুলে দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী বণিক বার্তাকে বলেন , ‘ বাংলাদেশের শহরগুলোকে বলা হয় রিকশার শহর। সংস্কৃতিগতভাবেই কিন্তু এটা চলে আসছে।

 দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ শহরে বসবাস করে। এসব মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য রিকশা , ইজিবাইকের মতো যানবাহন দরকার। কোনো ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা না করেই যদি আমরা এসব যানবাহন বন্ধ করে দিই , তাহলে পাঁচ কোটি মানুষের জীবিকার কী হবে ? ’ ‘ এটা মানুষের বিহেভিয়ারেরও বিষয়। অনেক কিছু জোর করে পরিবর্তন করা যায় না। যখন বিকল্প আসবে , মানুষ সেটাকে বেছে নেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন , ‘ ঢাকার মতো জনবহুল একটা শহরে কিন্তু চাইলেই আমরা রিকশা তুলে দিতে পারি না। তবে আমরা বসে নেই। বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এক সময় ঢাকা শহরে ঘোড়ার গাড়ি ছিল। এখন কিন্তু তা উঠে গেছে। আমরা ঢাকার বেশ কয়েকটি শহরে রিকশা চলাচল বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। জাতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত থ্রি - হুইলার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করে দেশ থেকে সব ধরনের অননুমোদিত যানবাহন তুলে দেয়া হবে।


আরও খবর