Logo
শিরোনাম

সারাদেশে বৈধ প্রার্থী ১৯৮৫ জন, অবৈধ ৭৩১

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সারাদেশে প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ১৯৮৫ জন প্রার্থী বৈধ ও ৭৩১ জন প্রার্থী অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানান।

এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাতিল করা মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। এ লক্ষ্যে ইসিতে ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি আলাদা আলাদা বুথ করেছে সংস্থাটি।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

ইসি সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক দলগুলো যে কয়টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তা হলো; আওয়ামী লীগ ২৯৮টি (পাঁচটি আসনে দুটি করে মনোনয়ন জমা দেয় দলটি), জাতীয় পার্টি ২৮৬টি (১৮টি আসনে দুইটি করে দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছে দলটি), তৃণমূল বিএনপি ১৫১টি, জাসদ ৯১টি, ইসলামী ঐক্যজোট ৪৫টি, জাকের পার্টি ২১৮টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ৩৯টি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ৩৩টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৩৪টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৩৭টি, গণফ্রন্ট ২৫টি, গণফোরাম ৯টি ও জমিয়তে ইসলাম বাংলাদেশ ১টি।

আরও রয়েছে, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ১৪২টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ২টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ১৩টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ৪৭টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) ২০টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল ০৬টি, গণতন্ত্রী পার্টি ১২টি, বাংলাদেশ ন্যশনাল আওয়ামী পার্টি ৬টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ ১৪টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল ১টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ১৩টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১৮টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ১টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ বিএমএল ৫টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ৭৪টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বিএনএফ ৫৫টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ১১৬টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিএনএম ৪৯টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ৮২। এছাড়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৭৪৭ জন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আর ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি।

 


আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বিচার বিভাগে ব্যাপক রদবদল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

নিম্ন আদালতের ২২৪ বিচারকের বদলি, পদায়ন প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ছাড়া পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ পদ মর্যাদার ছয় জনকে জেলা দায়রা জজ এবং যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ পদে ২৩ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

রবিবার আইন, বিচার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন বিচার বিভাগ থেকে বিষয়ে ১২টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এদিন আইন বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারকে আইন মন্ত্রনালয়ে সংযুক্ত কর্মকর্তা হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। আর আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিক গোলাম রব্বানীকে আইন বিচার বিভাগের সচিবের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে কুষ্টিয়ার জেলা দায়রা জজ রুহুল আমীনকে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব পদে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বদলির হওয়া বিচারকদের মধ্যে জেলা দায়রা জজ পদ মর্যাদার ৫২ জন, অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ পদ মর্যাদার ৪৮ জন ( জন প্রেষণে), যুগ্ম জেলা জজ পদ পদমর্যাদার জন, সিনিয়র সহকারী জজ সহকারী জজ পদমর্যাদার ১১৪ জন রয়েছেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন বিচার বিভাগের উপসচিব (প্রশাসন-) মোহাম্মদ ওসমান হায়দারের স্বাক্ষরে এসব প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বদলি পদায়ন করা এসব বিচারকদের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা নির্দিষ্ট সময় পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কিংবা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত জেলা দায়রা জজ, চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্টেট, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/দপ্তর প্রধান মনোনীত কর্মকর্তার কাছে বর্তমান পদের দায়িত্বভার অর্পণ করে অবিলম্বে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং প্রশিক্ষণ/ছুটিতে থাকা বিচারকদের প্রশিক্ষণ/ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগদানের তারিখে বর্তমান পদের দায়িত্বভার অর্পণ করে অবিলম্বে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর

খালেদার ১১ মামলায় হাজিরা ৩১ অক্টোবর

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




নতুন নিয়োগ পাওয়া ৮ ডিসির নিয়োগ বাতিল

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

নবনিযুক্ত ৫৯ জন জেলা প্রশাসকের (ডিসি) মধ্যে জনের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান তথ্য জানিয়েছেন।

মোখলেস উর রহমান বলেন, নতুন নিয়োগ দেওয়া ডিসির মধ্যে ৫১ জন আপাতত দায়িত্ব পালন করবেন। বাকিরা যেখানে ছিলেন, সেখানেই দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া চারজন জেলা প্রশাসককে রদবদল করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগ দেওয়ার জন্য যোগ্য কর্মকর্তা পাওয়া অনেক কঠিন।

যেসব ডিসিদের নিয়োগ বাতিল হয়েছে তারা হলো- লক্ষ্মীপুরে সুফিয়া আক্তার রুমী, জয়পুরহাটে মো. সাইদুজ্জামান, কুষ্টিয়ায় ফারহানা ইসলাম, রাজশাহীতে মাহবুবুর রহমান, শরীয়তপুরে আবদুল আজিজ, সিরাজগঞ্জে মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদার, রাজবাড়ীতে মনোয়ারা বেগম এবং দিনাজপুরে মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলাম।

এছাড়া জেলার ডিসি পদে রদবদল আনা হয়েছে। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের ডিসিকে পঞ্চগড়ে, নীলফামারীর ডিসিকে টাঙ্গাইলে, নাটোরের ডিসিকে লক্ষ্মীপুরে এবং পঞ্চগড়ের ডিসিকে নীলফামারীতে বদলি করা হয়েছে।

এর আগে, চলতি সপ্তাহে দুই দফায় দেশের ৫৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন পদায়নে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি তোলেন উপ-সচিব পর্যায়ের কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা। তারা মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এম আলী আযমের কক্ষে প্রবেশ করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। তারা ওই যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে এককভাবে ডিসি পদায়নের তালিকা তৈরির অভিযোগ তোলেন।

বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের অভিযোগ ছিল, যে ৫৯ জনকে ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের সময়ে ভালো পদে ছিলেন। তারা সরকারের সময়েও ডিসি হলেন। অথচ যারা বঞ্চিত ছিলেন, সব যোগ্যতা থাকার পরও বিরোধী মতের কারণে যাদের গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছিল তারা গুরুত্ব পাচ্ছেন না।

এদিকে একই দাবিতে আজ বুধবারও সচিবালয়ে ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা বিক্ষোভ করছেন। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকেন বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তারা।

 


আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




নোয়াখালীতে দুদিনে সাপের কামড়ে হাসপাতালে ভর্তি ৩৫ জন

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

নোয়াাখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীতে গত দুদিনে বন্যা দুর্গত এলাকায় সাপের কামড়ে আহত হয়ে ৩৫জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।   

শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম। তবে তিনি তাৎক্ষণিক এদের পরিচয় জানাতে পারেনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত আট দিনের টানা বৃষ্টি ও ফেনীর মুহুরী নদীর পানি নোয়াখালী ঢুকে বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে নোয়াখালীর ৮টি উপজেলার অনেক জায়গায় হাঁটু পরিমাণ পানি উঠে যায়। এতে মানুষের স্বাভবিক জীবন যাত্রা ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গত দুই দিনে কবিরহাট ও সুবর্ণচরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সর্প দংশনে আহত হয়ে ৩৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।  

 আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম আরও বলেন, গত শুক্রবার ৯জনকে এবং এর এক দিন আগে বৃহস্পতিবার ২৬জনকে বন্যা কবলিত এলাকায় মাঠে ঘাটে কিংবা বাসাবাড়িতে কাজকর্ম করার সময় সাপ তাদের দংশন করে। অতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে এসব সাপ গর্ত থেকে বাহিরে আসছে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।

আরও খবর

এমপক্স: পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগের ?

শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করলে দখলদারি করলে পুলিশে ধরিয়ে দিন

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা :

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নতুন যে সরকার সেটি মাত্র ২০-২২ দিন হলো। আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি যাতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তারা তৈরি করতে পারে।

 নতুন সরকারকে সময় দিতে হবে, আমরা তাদের সময় দিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ করতে পারে।সকল দলের সাথে কথা বলে জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

 শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে কুমিল্লা লালমাই উপজেলার ছোট শরিফপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বন্যার্ত্যদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে এসে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন । 

বন্যার্ত্য ক্ষতিগ্রস্থদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন-বক্তব্য রাখতে আসিনি আজ। আপনাদের পাশে দাড়াঁতে এসেছি।

বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে একটি মহল কাজ করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন- আজকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার মতো খবর প্রকাশ হচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। ছাত্র-জনতার যে বিজয় সে বিজয়কে নস্যাৎ করার জন্য একটি মহল কাজ করছে।যদি বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করছে দখলদারি করছে তাকে ধরে সাথে সাথে পুলিশে ধরিয়ে দিবেন। ।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি মো. মনিরুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে জনগণের মনোনীত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া হলে তবেই জনগণের আস্থা ফিরবে বলে সরকারকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করে জনগণের মনোনীত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার দাবী জানান দলটির এ শীর্ষ নেতা । তিনি তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানান।

 সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভূইয়া, বিএনপির কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্দ আবুল কালাম (চেতী কালাম),কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পূনবাসন সম্পাদক, কুমিল্লা জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক এমপি হাজী আমিন-উর রশিদ ইয়াছিন।

 মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যদি ভালো একটা নির্বাচন করতে পারি, যদি জনগণের মনোনীত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া যায় তবেই জনগণের আস্থা ফিরবে। তাই আমরা এই সরকারকে বলেছি, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করে জনগণের মনোনীত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। 

এসময় কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মারুফ খন্দকার,কেন্দ্রীয় বিএনপিনেতা কামরুজ্জামান রতন,মোস্তাক মিয়া,মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাদুলবারী আবু,সদস‌্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক আমিরুজ্জামান আমির,বিএনপি নেতা মোজাহিদ চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন কায়সার,সহ অন্যানরা এসময় তারঁ সাথে ছিলেন। 

পরে তিনি বেলা সাড়ে ৩টায় নাঙ্গলকোট উপজেলার এআর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, বিকাল ৫টায় সদর দক্ষিণ উপজেলা সুয়াগঞ্জ বাজারে সন্ধ্যা ৭টায় সদর দক্ষিণ উপজেলার কমলাপুর ঈসা গার্ডেন এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেন।

এসময় তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বর-কণের উপস্থিতি ছাড়া বিয়ে পড়ান চরপাথরঘাটার ভূয়া কাজী!

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image



নিজস্ব প্রতিবেদক 

চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে কাজীর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করলেও কাজীর কাছে নেই সরকারি কাবিন নামার বালাম বই। এমনকি অতিরিক্ত কাজী দাবিদার নিজে অনুপস্থিত ও জনৈক যুবক নিজেকে কাজী পরিচয় দিয়ে বর-কণের উপস্থিতি ছাড়াই বিয়ে পড়ান বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো এক প্রতিবেদনে
কর্ণফুলী ইউএনও তার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সূত্রে জানা যায়, কর্ণফুলীর ১ নং (খ) চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে নিকাহ রেজিস্ট্রার শূন্য পদে ভুয়া কাজীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে ৪৪ পৃষ্ঠার সংযুক্তিসহ ৬ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন।

৩৭৮ স্মারকের ওই প্রতিবেদনের বিষয়টি তিনি জেলা রেজিস্ট্রার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও অনুলিপি প্রেরণ করেন।

এতে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত অভিযোগকারী চরলক্ষ্যার কাজী সৈয়দ মো. নজরুল ইসলাম, অভিযুক্ত পটিয়ার কাজী শরফুদ্দীন মো. সেলিম ও সহযোগী কামরুল ইসলামের শুনানি, লিখিত বক্তব্য ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করার কথা জানান।

পরে শুনানি শেষে ডিসির কাছে পাঠানো ইউএনও'র প্রতিবেদনে উঠে আসে, ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটার ইউনিয়নের কাজী মৌলানা নূরুল হুদা অবসর গ্রহণের পর থেকে পটিয়ার কাজী শরফুদ্দীন মো. সেলিম কয়েকবার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।

দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সময়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় হাইকোর্টে রিট, কনটেম্পট পিটিশন, সিভিল পিটিশন ফর লীভ টু আপীলসহ পাঁচটি মামলা হয়। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে পটিয়ার কাজী শরফুদ্দীন মো. সেলিম চরপাথরঘাটার অতিরিক্ত কাজীর দায়িত্ব দাবি করলেও শুনানিতে কাবিননামার বালাম বই কোথায় রাখা হয় তা জানাতে পারেননি। কাজী অফিসের চাবিও তাঁর কাছে রক্ষিত নেই। কাজীর সাইনবোর্ডে তার সহযোগী কামরুল ইসলাম নামক এক যুবকের ফোন নম্বর ঝুঁলিয়ে রেখেছেন। 

প্রতিবেদনে আরও জানান, আইনগত ভাবে এরূপ সহযোগী রাখার সুযোগ না থাকলেও 
পটিয়ার কাজী শরফুদ্দীন মো. সেলিম সহযোগী হিসেবে জনৈক কামরুল ইসলাম কে দিয়ে অফিস ব্যবস্থাপনা করেন, বালাম লিখান, বর-কণের উপস্থিতি ছাড়া নিকাহ রেজিষ্ট্রি (বিবাহ) করেন বলে উল্লেখ করেন।

এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না বলে তারা লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এমনকি সহযোগী কামরুল ভবিষ্যতে নিজেকে কাজী (নিকাহ রেজিস্ট্রার) পরিচয় দিবে না বলেও জানান। কিন্তু এখনো কামরুল নিজেকে কাজী পরিচয় দিয়ে অফিস খোলা রেখে বিবাহ রেজিস্ট্রার করছেন বলে  কাজী সৈয়দ মো. নজরুল ইসলামের অভিযোগ।

এসব উদ্ভুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কর্ণফুলী ইউএনও প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করেন-আদালতে বিভিন্ন মামলা, শূন্য পদে কাজী নিয়োগে জটিলতা, নিকাহ রেজিস্ট্রার পরিচয়ে ভুয়া কাজী বিবাহ পড়ানো, কাজী না হয়েও সাইনবোর্ডে নিজের নম্বর লিখে প্রচার করায় জনসাধারণের মনে বৈধ কাজীর বিষয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তি ও জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চরলক্ষ্যার কাজী সৈয়দ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, 'কাজী শরফুদ্দীন মো. সেলিম কিসের ভিত্তিতে চরপাথরঘাটার অতিরিক্ত কাজী দাবি করছেন, এটিসহ আমি ৮টি অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু ইউএনও স্যার কৌশলে বিষয়গুলো এড়িয়ে গেছেন। কেন এড়িয়ে গেছেন তা আমি জানি না। এমনকি দীর্ঘদিন শরফুদ্দীন সেলিম ও তার সহযোগী কামরুল কাজী পরিচয়ে বিবাহ পড়িয়ে অনিয়ম দুর্নীতি করছেন। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেই প্রশাসনের।'

এ প্রসঙ্গে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত বলেন, 'উভয় পক্ষের লিখিত বক্তব্য ও সমস্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ৪৪ পৃষ্টার সংযুক্তিসহ জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।'

আরও খবর