Logo
শিরোনাম

সারাদেশে চলছে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক:

সারাদেশে চলছে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ২৭ লাখ শিশুকে একটি নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় এক কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে লাল রঙের একটি ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।


শনিবার (১ জুন) সকালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ ও সোশাল মেডিসিনে (নিপসম) নিজে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে সারাদেশে এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এই কার্যক্রম।


শিশুদের নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান জানান তিনি। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, অন্ধত্ব রোধে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।


দিনব্যাপী এ কার্যক্রমে সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও দুই লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবেন।



জানা গেছে, সারাদেশে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা থাকলে এবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উপকূলীয় এলাকার প্রায় এক হাজার ২২৪ কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে না।


 তবে পুনর্বাসন সমস্যা সমাধান হলে সেখানে পরবর্তী খুব দ্রুত সময়ে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল।


ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম মানতে হবে:


১. শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে।

২. কাঁচি দিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মুখ কেটে এর ভেতরে থাকা সবটুকু তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হবে।

৩. জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।



আরও খবর



ঢাকায় নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তি

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ঢাকায় নাগরিক সেবা পেতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। সেবা পেতে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর থেকে আঞ্চলিক অফিসগুলোতে বার বার ঘুরছেন নগরবাসী। অধিকাংশ কাউন্সিলর অফিসগুলোতেই স্বাভাবিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। আঞ্চলিক  অফিসেও সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন নগরবাসী। জন্মনিবন্ধন, মৃত্যুসনদসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলো নিতে হয়রানি আর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। এতে উষ্মা প্রকাশ করছেন নগরের বাসিন্দারা।  

   

সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে,  গত ২৬শে সেপ্টেম্বর সিটি করপোরেশনের সব কাউন্সিলরকে অপসারণ করে সরকার। তাই কাউন্সিলরদের পরিবর্তে প্রতিটি ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ওয়ার্ড সচিব এবং সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কোনো কোনো ওয়ার্ড সচিবকে দুটি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সরজমিন রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসে গিয়ে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেক কাউন্সিলর অফিস এখন বন্ধ রয়েছে। অসংখ্য অফিস সময়মতো খুলছে না। কাউন্সিলরদের অবর্তমানে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারাও ঠিকমতো অফিস করছেন না। সকাল থেকে সেবাগ্রহীতারা অফিসগুলোতে গিয়ে অপেক্ষায় থাকেন।

এমনকি বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানেন না, জন্ম মৃত্যুসনদের সেবাগুলো তারা কোথায় পাবেন? ওয়ার্ড সচিবরা কোথায় বসেন সেটিও তারা জানেন না কেউ কেউ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশাল জনসংখ্যার বিপরীতে প্রশাসনিক বাড়তি দায়িত্ব পালনে হিমশিম খাচ্ছেন সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অনেক ওয়ার্ড সচিবকে দুই ওয়ার্ডের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে, তাই তারা নাগরিক সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। লোকবল বাড়িয়ে নাগরিক সেবা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬২ ৬৩ নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, দুপুর পেরিয়ে বিকাল হলেও সেখানে কাউন্সিলর অফিস বন্ধ। তার থেকে কিছু দূরে একটি দোকানে ওয়ার্ড সচিব এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তা মাঝেমধ্যে দায়িত্ব পালন করেন। গত আগস্ট সরকার পতনের পর ৬২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোস্তাক আহমেদ পলাতক রয়েছেন। সেখানে ওয়ার্ড সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. রিপন হোসেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ, মৃত্যু সনদপত্র ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা নিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন। অনেক জায়গায় অতিরিক্ত টাকা আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে। টাকা না দিলে সেবা পাচ্ছেন  না তারা।

ডেঙ্গু মশা নিধনে কর্মচারীরা দায়িত্বে অবহেলা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, মশক নিধনকর্মীরা নিয়মিত আসেন না। কিছু এলাকায় কয়েক মাস ধরে মশকনিধনকর্মীর দেখা মিলেনি- এমন অভিযোগও আছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি ছেলের জন্মসনদ নিতে এসেছেন। কিন্তু নানা জটিলতায় জন্মসনদ পাচ্ছেন না। তরুণ উদ্যোক্তা রহমত উল্যাহ। স্বল্প পুঁজিতে অনলাইন ব্যবসা শুরুর স্বপ্ন তার। ঢাকা দক্ষিণ  সিটি করপোরেশনের ৬২ নং ওয়ার্ডের এই বাসিন্দা ট্রেড লাইসেন্স করাতে কার্যালয়ে দু’-একদিন পরপরই যাচ্ছেন এবং প্রতিবারই নিরাশ হয়ে ফিরছেন। তিনি বলেন, যিনি ট্রেড লাইসেন্সের কাজ করবেন, তাকে অফিসে পাইনি। গেলেই বলা হয়, তিনি আজ আসবেন না। সাজ্জাদ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ওয়ারিশান সনদ নিতে আজকে ১৫ দিন ধরে ঘুরছি কিন্তু অফিসে লোক না থাকায় ওয়ারিশান সনদ পাচ্ছি না। শারমিন আক্তার নামে এক গৃহবধূর স্বামী প্রবাসী। তাই নিজেই এসেছেন ছেলের জন্মসনদ নিতে। গত এক মাস ধরে সিটি করপোরেশনে ঘোরাঘুরি করছেন। তিনি বলেন, আজকে এখানকার একজন আমাকে জন্মসনদ নেয়ার জন্য ডেকেছেন। তবে এখনো পাইনি। মাহতাব নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, আগে নিয়মিত কাউন্সিলর অফিস খোলা থাকলেও এখন তা হচ্ছে না। ফলে অনেকে জরুরি কাজে আসলেও ফিরে যেতে হয়। ৬২ নং ওয়ার্ডের সচিব মো. রিপন বলেন, বর্তমানে কাউন্সিলর অফিসের স্বাভাবিক কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। একটা মৃত্যু সনদের জন্য মানুষকে দিনের পর দিন ঘুরতে হয়। মৃত্যু সনদের জন্য ধলপুরের আঞ্চলিক অফিসে গেলে তথ্যের অভাবে তাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। ছাড়া স্থায়ী অথবা অস্থায়ী নাগরিকত্ব সার্টিফিকেটের জন্য মানুষকে বিভিন্ন অজুহাতে ধলপুরের অফিস থেকে ফিরে আসতে হয়।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের খিলগাঁওয়ের আঞ্চলিক অফিসে সেবা নিতে গিয়েছিলেন শফিকুল ইসলাম।নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। মেয়ের জন্মসনদে নামের বানান সংশোধনের জন্য কয়েকদিন ধরে ঘোরাঘুরি করছেন। শফিকুল ইসলাম বলেন, তার মেয়ের জন্মসনদে নামের বানান ভুল আসায় আমাকে চার দিন আসতে হয়েছে। আজ হয়তো আমার কাজটা হবে। তার মতো অসংখ্য সেবাপ্রত্যাশীদের দেখা যায় খিলগাঁওনং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিসে সেবা নিতে। খিলগাঁওনং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব রেজাউল করিম বলেন, এখানে আসা সেবাপ্রত্যাশীদের সেবা পেতে বিলম্ব হচ্ছে না। যদি কারও কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে এখানে সেবা নিতে আসাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

ষাটোর্ধ্ব রহিমা বেগম ঢাকা উত্তর সিটির ৪৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার বয়স্ক ভাতার খোঁজ নিতে কাউন্সিলর অফিসে গিয়েছিলেন। এর আগেও দুদিন এসে ফিরে গিয়েছেন। বয়স্ক ভাতার কোনো তথ্য পাননি। আক্ষেপ করে রহিমা বেগম জানিয়েছেন, বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছেন তিনি। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে কার্ড নেয়ার জন্য কাউন্সিলর অফিসে আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনদিন ধরে কার্ড নিতে এসে ফিরে গিয়েছেন তিনি। রহিমা বেগম বলেন, দুইবার আসছিলাম কার্ড নিতে। কিন্তু এখানে কাউকে পাই নি। অফিস বন্ধ পাইছি। আজকে তিন ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়েছিলাম। এখন  অফিস খুলেছে। কিন্তু কার্ড কখন  দেবে জানি না। রহিমা বেগমের মতো অন্তত ২৫ জন এসেছেন কাউন্সিলর অফিসের কার্যালয়ে। তাদের সবার অভিযোগ একইরকম।

গত আগস্টের পর থেকে কাউন্সিলর পালিয়ে যাওয়ার পর অফিসের সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এতে  ৪৯ নং ওয়ার্ড অন্তর্গত কাওলা, আশকোনা, গাওয়াইর এলাকার সেবাগ্রহীতারা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ এই কার্যালয় খুব কম সময়ই খোলা হয়। সেবার জন্য সরাসরি উত্তরার আঞ্চলিক কার্যালয়ে যেতে হয়। সরজমিন দেখা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে কাউন্সিলর অফিসে এসেছিলেন সিটি করপোরেশনের মশকনিধনের কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ছাড়া আর কোনো কর্মকর্তাকে অফিসে দেখা যায়নি। বর্তমানে কাউন্সিলর অফিসের জায়গায় গড়ে উঠেছে হরেক রকমের দোকানপাট, হোটেল, রেস্তরাঁ ইত্যাদি। ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অন্তর্গত অঞ্চল-৭ এর নির্বাহী কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সচিব মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে যারা সেবা নিতে আসছেন তারা খুব খুশি মনে সেবা নিচ্ছেন। তারা সেবা নিতেই যায়। আমাদের নতুন ওয়ার্ডগুলোতে সচিব পদ ছিল না। কিন্তু সেখানে কাজ থেমে নেই। ৪৯ নং ওয়ার্ড আমাদের নতুন ওয়ার্ড, সেখানেও সচিব ছিল না। 


আরও খবর

ছুটির দিনে বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




প্যারিস, প্রেম ও ভালোবাসার শহর

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

প্যারিস হল ফ্রান্সের রাজধানী এবং সর্বাধিক জনবহুল শহর।  এটি 

আইফেল টাওয়ার এবং আরও অনেক কিছুর জন্য বিশ্বের বিখ্যাত শহর। প্যারিস খুব ব্যয়বহুল শহর। সপ্তদশ শতাব্দী থেকে প্যারিস ইউরোপের অন্যতম অর্থ কেন্দ্র, কূটনীতি, বাণিজ্য, ফ্যাশন, বিজ্ঞান এবং চারুকলা কেন্দ্রগুলির একটি। 

প্যারিস বিশ্বের অন্যতম ট্যুরিস্ট স্পট। কাজেই আপনারা যারা ঘুরতে পছন্দ করেন , সবাই ফ্রান্স  ভিসা জন্য আবেদন করতে পারেন। বাংলাদেশেই ফ্রান্স দূতাবাস আছে।  আপনার ডকুমেন্টস ঠিক থাকলে আপনাকে ভিসা দিবে। 

প্যারিসের ট্যুরিস্ট স্পট সমূহ


আইফেল টাওয়ার

আইফেল টাওয়ারটি প্যারিস এমনকি ফ্রান্সের প্রতীকী আইকন। ইঞ্জিনিয়ার গুস্তাভে আইফেলের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে, যার সংস্থা টাওয়ারটি ডিজাইন করে তৈরি করেছিল। আইফেল টাওয়ারটি ১৮৮৭ থেকে ১৮৮৯ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল এটি ফ্রান্সের একটি বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক আইকন এবং বিশ্বের অন্যতম স্বীকৃত কাঠামো । আইফেল টাওয়ার বিশ্বে পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান। প্রতি বছর বিশ্বের বহু দম্পতি এখানে আসে এবং আইফেল টাওয়ারের সামনে ছবি তুলেন। 

নটরডেম ক্যাথিড্রাল

নটরডেম দে প্যারিস, নটর ডেম নামেও পরিচিত, রোমান ক্যাথলিক ক্যাথেড্রাল ইল দে লা সিটির পূর্ব অর্ধে অবস্থিত। এটি মধ্যযুগের গথিক ক্যাথেড্রালগুলির মধ্যে সর্বাধিক বিখ্যাত এবং এর আকার, প্রাচীনত্ব এবং স্থাপত্য আগ্রহের জন্য আলাদা করা হয়। এটি পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় স্থান। 

ল্যুভরে জাদুঘর 

ল্যুভরে বিশ্বের সবচেয়ে পরিদর্শন করা আর্ট মিউজিয়াম যা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। জাদুঘরটি ল্যুভর প্রাসাদে অবস্থিত, মূলত দ্বিতীয় ফিলিপের অধীনে দ্বাদশ থেকে ১৩ শতকের শেষদিকে ল্যুভর  দুর্গ হিসাবে নির্মিত।  এই সংগ্রহশালাটি বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত - মিশরীয় প্রত্নতাত্ত্বিকতা, প্রাচ্য প্রত্নতত্ত্ব, ইসলামী শিল্প, গ্রীক এবং রোমান শিল্প, চিত্রকর্ম, শিল্পের বস্তু, মধ্যযুগীয় ভাস্কর্য । 

সেইন নদী

ফ্রান্সের উত্তরে প্যারিস অববাহিকার মধ্যে সেইন নদী একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক নৌপথ। এই নদীটি প্যারিসের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। সেইন নদী  ভ্রমন আপনি কখনই ভুলতে পারবেন না। 

ডিজনিল্যান্ডে

মিকির ভক্তরা ডিজনিল্যান্ড প্যারিসে যেতে পারবেন যা মধ্য প্যারিস থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মূলত ইউরো ডিজনি রিসর্ট নামে পরিচিত, প্যারিসে দেখার জন্য সর্বাধিক বিখ্যাত এই জায়গাগুলি সুপার মজাদার রাইড, শো, অ্যানিমেশন সিনেমা, সমাবেশ এবং আপনার প্রিয় চরিত্রগুলির সাথে মিলিত হওয়ার আকর্ষণীয় মুহুর্তের জন্য পরিচিত।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবির ঐতিহ্যবাহী ভাসানী মেলা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সাগর ঘোষ, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী ভাসানী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। 

গত রবিবার মেলার ৭ম দিনেও উপচে মানুষের পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়াও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে প্রতিদিন আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মেলা ঘুরে শিক্ষার্থীদেরও  কয়েকটি স্টল দেখা যায়। সেখানে তারা নানা মুখরোচক খাবার যেমন: আচার, বার্গার, কফি (হট ও কোল্ড), পিৎজা, স্যান্ডুইচ ইত্যাদি বিক্রয় করছেন। এছাড়াও মেলাতে বহিরাগত বিক্রেতারা চুরি, ফুলদানি, ক্লিপসহ নানা দ্রবাদি নিয়ে মেলায় স্টল দিয়েছেন। মেলাতে কেউবা হাতে নকশা করছেন,  কেউবা প্রিয় মানুষকে পুতুল উপহার দিচ্ছেন। এছাড়াও মেলায় টাঙ্গাইলের বিখ্যাত পোড়াবাড়ির চমচম, জিলাপিসহ নানা মিষ্টি বিক্রয় করছেন। মেলায় শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের আনোগনায় প্রাণচ্ছোল পরিবেশ সৃস্টি হয়েছে। মেলায় ছোট-বড় সকলের জন্য নানা রাইড যেমন: দোলনা, স্লাইড, নাগরদোলা, মিনি ড্রাগন ট্রেন, বাউন্সি ক্যাসল,  নৌকাসহ বিভিন্ন রাইড রয়েছে। মেলার অন্যদিকে মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসস্থ বিজয়াঙ্গণে মাওলানা ভাসানীর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনীতেও নানা বয়সীদের লক্ষ্য করা যায়। এই মেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো তালের তৈরী টুপি। যা প্রায় দর্শনার্থীর নজর কেড়েছে। এই টুপির নাম হচ্ছে ভাসানী টুপি। 

মেলায় টাঙ্গাইল শহর থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী আদিতি আরিয়ান প্রান্তি বলেন, আমার দেখা টাঙ্গাইলের সবচেয়ে বড় মেলা এই ভাসানী মেলা।  আমরা সপরিবার এই মেলাতে এসেছি। মেলা থেকে কাঁচের চুড়ি কিনেছি দুই ডজন, ছোট ভাইয়ের জন্য খেলনা বন্দুক কিনেছি, নাগরদোলায় উঠেছি। সব চেয়ে ভালো লেগেছে এউ মেলায়  কোনো প্রবেশ মূল্য নেই। ফটকের চারপাশে শোভা পাচ্ছে নানা রং-বেরঙের আলোকসজ্জা। চারপাশে কোলাহল। ছোট-বড় নানা খাবার-খেলনার দোকান, গহনা, প্রসাধনীর দোকান সব মিলিয়ে মেলার পরিবেশ ছিল প্রাণবন্ত।

মেলায় ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তরফদার রোহান বলেন, সব মিলে এক অসাধারণ এক সময় কাটিয়েছি এই ভাসানী মেলায়। আমরা চাই প্রতি বছর এভাবেই মেলা হোক। সারাদেশ থেকে সবাই ভাসানী মেলা সম্পর্কে জানতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও নানা রকমের স্টল দিয়েছে, দেখে আরও ভালো লাগছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮ থেকে এতো বড়ভাবে ভাসানী মেলার আয়োজন হয়নি। মেলা আয়োজনে যারা আছেন, তাদের সাধুবাদ জানাই।


আরও খবর



বাড়ছে শীতের প্রকোপ, দিনাজপুরের তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রিতে

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে উত্তরের জেলা দিনাজপুরে শীতের প্রভাব তুলনামূলকভাবে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। কার্তিক মাসের শুরুতে এই অঞ্চলে শীতের আমেজ অনুভূত হতে শুরু করে। মাঝরাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত চারপাশ কুয়াশার পর্দায় মোড়ানো থাকে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

মহাসড়কে ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে বিভিন্ন যানবাহনকে। কাজের তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া অনেকেই গায়ে জড়িয়েছেন হালকা শীতের পোশাক। সন্ধ্যার পর থেকেই মৃদু হিমেল বাতাস আর হিম কণা আভাস জানিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। তবে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়লেও শীতের তীব্রতা সেভাবে নেই।

দিনাজপুর শহরের রামনগর এলাকার ইজিবাইকচালক সাগর ইসলাম বলেন, কয়েকদিন থেকেই হালকা হালকা শীত অনুভব হচ্ছে। গত কয়েকদিন থেকে আজ সকালে কুয়াশায় চারপাশ ঢেকে গেছে। বেশিদূর দেখা যাচ্ছে না। যদিও বা ঠান্ডা নেই সেভাবে। শীত এলে ঠান্ডা আর কুয়াশায় আমাদের গাড়ি চালানো একটু কষ্টকর হয়ে যায়।

পিকআপের চালক রবিউল ইসলাম বলেন, পার্বতীপুর থেকে দিনাজপুর যাচ্ছি। পিকআপের মাল নিয়ে সকাল ৮টায় বের হয়েছি প্রায় এক ঘণ্টায় দিনাজপুর শহরে পৌঁছানোর কথা থাকলেও ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় দেড় ঘণ্টা হয়ে গেলেও এখনো পৌঁছাতে পারিনি। রাস্তা দেখা যাচ্ছে না তাই ধীর গতিতে গাড়ি চলাচল করতে হচ্ছে।

কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, শীত আর ঘুন কুয়াশা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আগাম জাতের আলু লাগিয়েছি। বেশি কুয়াশা হলে আলুর গাছের ক্ষতি হতে পারে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, শনিবার সকাল ৯ টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৯টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল উত্তর দিক থেকে ঘণ্টায় ২ কিলোমিটার। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁর বদলগাছিতে ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



নির্বাচন যতো দ্রুত হয়, দেশের জন্য ততই মঙ্গল

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন যতো দ্রুত হয়, দেশের জন্য ততই মঙ্গল। তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকার শক্তিশালী হয়, কারণ তাদের পেছনে জনগণ থাকে, তখন সংস্কার কাজ করা সহজ হয়। তিনি বলেন, বিএনপি প্রথম থেকেই সংস্কারের কথা বলে আসছে। তবে সেটা হতে হবে টেকসই। তাতে জনগণের সমর্থন থাকতে হবে। 

ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন ও আজকের প্রেক্ষিত শীর্ষক এক নাগরিক ভাবনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোরে জেলা বিএনপির আয়োজনে যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া যশোরের ব্যবসায়ী, আইনজীবী, সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। 

আধা ঘন্টা বক্তৃতায় বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সামনে বিরাট ক্রান্তিকাল। ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদকে হটিয়েছি। সেই ঐক্যকে সামনে রেখে গণতান্ত্রিক দেশ নির্মাণ করতে হবে। তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আবার বিবেধ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির ভুমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৬ বছরের দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ৭শ’ নেতাকর্মী গুম হয়েছে, হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে খুন, পঙ্গু করা হয়েছে। গ্রামে গঞ্জে নেতা-কর্মীরা রাতে বাড়িতে থাকতে পারেনি, ধানক্ষেতে, গাছের ওপরে ঘুমিয়েছে। দীর্ঘ এই আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় শেষে গোলটা ভালোভাবে করতে পেরেছে ছাত্ররা। সেজন্য তিনি ছাত্রদের স্যালুট জানান। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ গনতান্ত্রিক দল না। তারা কখনও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। স্বাধীনতা যুদ্ধে সময়, পরে ও গত ১৬ বছরে তারা সেটা প্রমাণ করেছে। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করেছিলাম গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য। অথচ স্বাধীনতার পর দেখলাম উল্টোটা। আমাদের দুর্ভাগ্য, ৫৩ বছর পরও সেই গণতন্ত্রের কথাই আমাদের বলে যেতে হচ্ছে। 


আরও খবর