Logo
শিরোনাম

সারাদেশে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে দশ গুণ

প্রকাশিত:শনিবার ১২ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হঠাৎ করেই সারাদেশে দশগুণ ডেঙ্গু রোগী বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শনিবার (১২ আগস্ট) মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডেঙ্গু ইউনিট পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করেই সারাদেশে দশগুণ ডেঙ্গু রোগী বেড়ে গেছে। আর এ কারণেই স্যালাইনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই, পর্যাপ্ত স্যালাইন প্রস্তুত রাখার জন্য বলা হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন প্রয়োজন হচ্ছে, মাস শেষে তা দাঁড়াচ্ছে প্রায় ১২ লাখে।

তিনি বলেন, সবগুলো ওষুধ কোম্পানি মিলেও এতো স্যালাইন উৎপাদন করতে পারছে না। তাই, গত দুই দিন আগে মিটিং করেছি। সেখানে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন প্রয়োজনে বিদেশ থেকে স্যালাইন আমদানি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু এখন বর্ষা মৌসুম, বৃষ্টি-বাদলা হয়ে বিভিন্ন স্থানে পানি জমা হয়ে থাকছে। এ কারণে মশা বাড়ছে। তবে, আশা করছি আগামীতে মশা ও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও কমে আসবে। ডেঙ্গু কমাতে হলে মশা কমাতে হবে। মশা কমলে ডেঙ্গু রোগী কমবে। এ জন্য নিয়মিত বেশি বেশি স্প্রে করতে হবে।


আরও খবর



চলছে আমের মৌসুম, কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাইরে এখন তীব্র রোদের আঁচ। সঙ্গে গা পোড়ানো গরম। বাজারে আসছে কাঁচা আম, দেখলেই যেন জিবে জল এসে যায়। গ্রীষ্মে কাঁচা আম সবচেয়ে সুস্বাদু খাবারগুলোর মধ্যে একটি। এ সময় কাঁচা আমের এক গ্লাস শরবত সারা শরীরে এনে দিতে পারে প্রশান্তি

কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন সি, কে, এ, বি৬ এবং ফোলেটের মতো অগণিত প্রয়োজনীয় ভিটামিন বিভিন্ন নিরাময়কারী উপকারিতা নিয়ে আসে। হজমের সমস্যা নিরাময়, দৃষ্টিশক্তি উন্নত করা এবং ওজন কমানোর জন্য কাঁচা আম বেশ কার্যকরী। চলুন জেনে নেয়া যাক কাঁচা আম খাওয়ার কিছু অবাক করা উপকারিতার কথা-

১. তীব্র তাপ থেকে রক্ষা

ব্যায়ামের পরে এক গ্লাস কাঁচা আমের রস একটি দুর্দান্ত সতেজ পানীয়। এটি প্রচণ্ড তাপের প্রভাব কমায় এবং শরীরে সোডিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ ভারসাম্যহীনতা সংশোধন করে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করে। গ্রীষ্মকালে যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থগুলো ঘামের মাধ্যমে নিঃসৃত হয়, তাই কাঁচা আম শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য একটি আদর্শ খাবার হিসেবে কাজ করে।

২. হজমের সমস্যার চিকিৎসা করে

গ্রীষ্মকালে ক্রমবর্ধমান গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার চিকিৎসার জন্য কাঁচা আম একটি আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক প্রতিকার। এটি পাচক রসের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, অ্যাসিডিটি, বুক জ্বালাপোড়া, সকালের অসুস্থতা এবং বমি বমি ভাবের চিকিৎসা করে পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে।

৩. ওজন কমাতে সাহায্য করে

যারা ওজন কমাতে বা শরীরের বাড়তি ক্যালরি খরচ করতে চান, তাদের জন্য এখন আদর্শ ফল কাঁচা আম। পাকা মিষ্টি আমের চেয়ে কাঁচা আমে চিনি কম থাকে বলে এটি ক্যালরি খরচে সহায়তা করে।

৪. হৃদরোগের চিকিৎসা

কাঁচা আমে থাকা প্রয়োজনীয় বি ভিটামিন নিয়াসিন এবং ফাইবার হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য দুর্দান্ত। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

৫. লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে

কাঁচা আম লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং লিভারের রোগের চিকিৎসার জন্য দুর্দান্ত। এটি পিত্ত অ্যাসিডের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে চর্বি শোষণ বৃদ্ধি করে।


আরও খবর

কখন কীভাবে দই খাবেন

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫

যে ভুলে কমছে না পেটের চর্বি

বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫




নওগাঁয় গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৪ জন আটক

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে এসিল্যান্ডের গাড়ীর চালকসহ ৪ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে ঈদের পূর্বরাত অথাৎ গতকাল রবিবার দিনগত রাতে নওগাঁর মান্দা উপজেলায়। এঘটনায় মান্দা থানা পুলিশ ভিকটিম গৃহবধূকে উদ্ধার উদ্ধার পূর্বক পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে।

গ্রেফতারকৃত ৪ জন যুবক হলেন, মান্দা উপজেলার ছোট-বেলালদহ গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম সোহাগ (২৯), বড়পই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ওরফে সুইট (২৯), বিজয়পুরের প্রিন্সিপালের মোড় এলাকার মোজাহার আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান ওরফে মুন্না (২৯) ও বিজয়পুর মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে নাসির উদ্দিন (২৯)। এদের মধ্যে নাসির উদ্দিন মাষ্টার রোলে এসিল্যান্ডের গাড়ী চালকের দায়িত্বে ছিলেন। মামলার এহাজার সুত্রে জানাযায়, ভিকটিম গৃহবধূর স্বামী পেশায় পিক-আপ চালক। তারা স্বামী-স্ত্রী ও তাদের কন্যা সন্তান সহ বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। ঈদ উপলক্ষে একমাত্র কন্যা সন্তানকে নানার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ঘটনার দিনরাতে পিকআপের ভাড়া মারার জন্য গৃহবধূর স্বামী বাইরে যাওয়ায় বাসাতে একাই ছিলেন গৃহবধূ। ভিকটিম গৃহবধূ জানান, রবিবার দিনগত রাত সারে ৭টারদিকে আমার স্বামী পিকআপের ভাড়া মারার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে রাত ৯ টারদিকে আমি খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ি। রাত সারে ১০টারদিকে আসামী স্বাধীন বাসায় এসে স্বামীকে ডাকাডাকি করেন। স্বাধীন আমার স্বামীর পূর্ব পরিচিত হওয়ায় সরল বিশ্বাসে আমি দরজা খুলে দেওয়ার সাথে সাথে ৬-৭জন যুবক বাসার ভেতরে প্রবেশ করে এবং আমার মুখ চেপে ধরে ঘরে নিয়ে একে অপরের সহায়তায় তারা আমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করতে থাকাকালে আমার ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে ৪জন কে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনুসর রহমান বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ মামলায় ৪ আসামীকে গ্রেফতার করে আজ সোমবার নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শারীরিক পরীক্ষার জন্য ভিকটিম গৃহবধূকে নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে হয়েছে।


আরও খবর



সব বিদেশী মুদ্রায় হিসাব খুলতে পারবেন প্রবাসীরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

এখন থেকে সব ধরনের বিদেশী মুদ্রায় হিসাব খুলতে পারবেন প্রবাসীরা। সেই সঙ্গে প্রবাসীদের নামে খোলা বৈদেশিক হিসাবের সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সুদের হার নির্ধারিত হবে। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এতদিন শুধু অনুমোদিত চারটি বৈদেশিক মুদ্রা ডলার, পাউন্ড, ইউরো ও ইয়েনে প্রবাসীদের হিসাব খোলার সুযোগ ছিল। এখন অনুমোদিত মুদ্রার পাশাপাশি ব্যবহারযোগ্য সব বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব খুলতে পারবেন প্রবাসীরা। এ সুযোগ দেয়ায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অনাবাসী বাংলাদেশীরা অনুমোদিত বিদেশী মুদ্রার পাশাপাশি ব্যবহারযোগ্য বিদেশী মুদ্রায় প্রাইভেট ফরেন কারেন্সি (পিএফসি) হিসাব এবং নন-রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট (এনএফসিডি) হিসাব খুলতে পারবেন। পিএফসি ও এনএফসিডি হিসাবের বিপরীতে সুদের নির্ধারিত হারও প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফলে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সুদের হার নির্ধারণ করতে পারবে ব্যাংকগুলো।


আরও খবর

মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫




দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা : ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জোরেশোরে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য ও অপরাজেয় বাংলার সামনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এ সময় তাদের হাতে ‘বয়কট ট্রাম্প, সেভ ফিলিস্তিন’, ‘বয়কট ইউএসএ’ লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

মোহাম্মদপুরে দুপুরে গাজায় হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করেছে। ঢাবি এলাকায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিভিন্ন পেশাজীবীদের বিক্ষোভ মিছিল বের হয়েছে।

এ সময় অ্যাপ্রোন পরে চিকিৎসকদের মিছিলে অংশ নিতে দেখা যায়। দেখা গেছে শিশুদেরও। ‘সেভ গাজা’, ‘স্টপ জেনোসাইড টু গাজা’ লেখা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভকারীরা মিছিলে অংশ নেন।

মূলত, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পর থেকে আবারও অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রতিদিনই বাড়ছে হামলার তীব্রতা। দখলদার বাহিনীর নির্বিচার এসব হামলায় গাজায় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। এ অবস্থায় গত ৬ এপ্রিল গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্বব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল এবং ইসলামিক ফোর্সেস গ্রুপ। কর্মসূচির নাম দেওয়া হয় ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’। দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সূত্রপাতের পরপরই ইয়াসির আরাফাতের অনুমোদনে এবং মারওয়ান বারগুতির নেতৃত্বে গঠিত একটি জোট হলো এই ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল এবং ইসলামিক ফোর্সেস গ্রুপ।

তাদের বৈশ্বিক এ ধর্মঘটের ডাকে সাড়া দিয়েই আজ সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। কর্মসূচিতে একাত্ম হচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষও।


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের জন্য প্রায় ১০০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ২০২৫-২৬ মেয়াদে প্রায় ১শ’ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ।জেনেভায় অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে জয়েন্ট রেসপন্স প্যান (জেআরপি)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানানো হয়।

জাতিসংঘ জানায়, ১০০টির বেশি অংশীদারের সঙ্গে প্রস্তুত করা এ প্ল্যানে বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা ও স্থানীয়সহ ১৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষের জন্য ৯৩৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রয়োজন। এদিকে এ বিষয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সোমবার সকালে জেআরপি প্রকাশনা ইভেন্টের আয়োজন করা হয়।

এতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন রোহিঙ্গা সমস্যা এবং অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলির জন্য প্রধান উপদেষ্টার হাইরিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দাতা দেশগুলোর প্রতিনিধিরা।

২০১৭ সাল থেকে এক বছরমেয়াদি জেআরপি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এবারই প্রথমবারের মতো দুই বছরের মেয়াদের জন্য জেআরপির ঘোষণা দেওয়া হবে। তবে ৯৩৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন (প্রায় ৯৪ কোটি) ডলার সহায়তার প্রস্তাব শুধু ২০২৫ সালের জন্য।

বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের অষ্টম বছরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকট আন্তর্জাতিক আলোচনার বাইরে। যদিও তাদের জন্য জরুরি সহায়তার প্রয়োজন এখনো রয়ে গেছে।

এতে জোর দিয়ে বলা হয়, খাদ্য সহায়তা, জ্বালানি বা তহবিলের ঘাটতি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই জনগোষ্ঠীর জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের এক তৃতীয়াংশের বয়স ১০-২৪ বছর। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা, পর্যাপ্ত দক্ষতা বৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতার সুযোগ না পেলে তাদের ভবিষ্যৎ আশঙ্কাপূর্ণ।

যতক্ষণ না মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ হয় এবং রোহিঙ্গাদের সেখানে নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুকূল না হয়, ততক্ষণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদের জন্য জীবন রক্ষাকারী জরুরি সহায়তা তহবিল অব্যাহত রাখতে হবে, বলা হয় বিবৃতিতে।

জেআরপি ২০২৫-২৬-এর উপকারভোগীরা কারা

জেআরপি ২০২৫-২৬-এর আওতায় সরাসরি সুবিধাভোগীদের মধ্যে কক্সবাজার ও ভাসানচরের ক্যাম্পে বসবাসকারী ১০ লাখ ৯০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং কক্সবাজার জেলার প্রায় ৩ লাখ ৯২ হাজার স্থানীয় জনগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত।

পরোক্ষভাবে, জেআরপি অংশীদাররা তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে থাকবে। ক্যাম্প ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সেবা, খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী মূলত দেশীয় বাজার থেকেই সংগ্রহ করা হয়, যেখানে সম্ভব হলে কক্সবাজার ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে সরাসরি ক্রয় করা হয়।

এ ছাড়া, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ও আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো স্থানীয় অংশীদার নির্বাচন, দক্ষতা উন্নয়ন এবং মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয়করণকে গুরুত্ব দিচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও আশপাশের উপজেলাগুলোর উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।


আরও খবর