Logo
শিরোনাম

শার্শায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সোনামুখি বিলের পদ্মফুল

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

যশোরের শার্শায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে হরিনাপোতা গ্রামের সোনামুখি বিলের গোলাপি রঙের পদ্মফুল। ফলে সকাল ও বিকেলে মানুষের আনাগোনায় জায়গাটি নান্দনিকতা পেয়েছে।

দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া ঘর থেকে শুধু দুপা ফেলিয়া। ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক ভালোবাসার প্রতীক ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ খুজে পাওয়ায় মুশকিল। তাই বাড়ির পাশে ফোঁটা গোলাপি পদ্মের সৌন্দর্য উপ়ভোগ করতে ভিড় জমাচ্ছে স্থানীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাশু মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সোনামুখি বিলের গোলাপি পদ্মের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হলে দূরদূরান্ত থেকেও ছুটে আসছে ভ্রমন পিপাশু মানুষও।

এখন বৈশাখ মাস তাই সোনামুখি বিলে পানি নেই, অথচ কাদামাটিতে ফুটে আছে লাখো লাখো পদ্মফুল। দেশীয় পাখির কলকাকলীতে মুখরিত চারি দিক।এমন দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করতে ব্যাস্ত এই বিলে বেড়াতে আসা প্রতিটি মানুষ,কেউ মোবাইল দিয়ে আবার কেউবা দামি ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে। কেউ কেউ টিকটকও করছেন। অনেক মুখ পরিচিতি ইউটিবারও আসেছেন এ বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কন্টেন্ট তৈরি করতে।

পদ্মফুল দেখতে আসা শার্শার জামতলার নুরে হাবীব জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই পদ্মবিলের ছবি দেখেছি। আশেপাশে বেড়ানোর মতো কোনো জায়গা নেই। ঘরবন্দি সময় কাটাতে হচ্ছিল। এখানে এসে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য কাছ থেকে দেখে অনেক ভালো লাগছে।

ইউটিবার রানা আহমেদ বলেন, আমি গোলাপি পদ্মের সংবাদ পেয়ে এই প্রাথম বার এখানে এলাম, আসার পরে দেখি যা ধারণা করেছিলাম তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি পদ্ম। একটা বিষয় আমাকে খুবই অবাক করেছে, পানি ছাড়া এমন লাখো পদ্ম কিভাবে ফুটলো? জায়গাটা এতটাই নিরিবিলি এতটাই সুন্দর আমার হৃদয় ছুয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক। বিশেষ করে মানুষের বিরুপ আচারণের ফলে অপরুপ গ্রাম বাংলার রুপ হারাতে বসেছি আমরা। তাই আমাদের সকলের সচেতন হওয়া উচিৎ যেন এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের বিরুপ আচরণে বিলুপ্ত হয়ে না যায়।


আরও খবর



২৫.৪৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

২৫.৪৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সোমবার রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যালেন্স অফ পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম৬) অনুসারে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০.০৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন রিজার্ভ বিপিএম-৬ হিসেবে দুই হাজার সাত কোটি পাঁচ লাখ ৯০ ডলার। তবে ব্যয় যোগ্য রিজার্ভ এক হাজার ৬০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, দেশের মোট রিজার্ভ দুই হাজার ৫৪৪ কোটি ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

গত ৭ মে দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ হিসেবে হয়েছিল দুই হাজার ২৯ কোটি ১২ লাখ ১০ হাজার ডলার। আর দেশের মোট রিজার্ভ হয়েছিল দুই হাজার ৫৬৭ কোটি ৭২ লাখ ৯০ হাজার ডলার। এর আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় ১৮৮ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার ডলার পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ।


আরও খবর



প্রধান শিক্ষিকা ও তার স্বামীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় এক প্রধান শিক্ষিকা ও তার স্বামীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা ও সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদ খানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই শিক্ষিকা ও তার পরিবার।

ভুক্তভোগী পশ্চিম সুবিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা বেগম গত ২৭ মে (মঙ্গলবার) নলছিটি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, শহিদ খান দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থ আত্মসাতের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন।

সম্প্রতি বিদ্যালয়ের উন্নয়নে পাওয়া ২৯ হাজার টাকা খরচের পর ২১ মে বিকেল ৩টার দিকে শহিদ খান বিদ্যালয়ে এসে উক্ত টাকার হিসাব চান। তবে তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য না হওয়ায় প্রধান শিক্ষিকা তার কাছে হিসাব দেওয়ার যৌক্তিকতা জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তখন অন্যান্য শিক্ষকদের উপস্থিতিতে শহিদ খান তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।

পরদিন বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের জানালে তা বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপর ২৩ মে দুপুর দেড়টার দিকে শহিদ খান ৩০-৪০ জন লোক নিয়ে বিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে শিক্ষিকার নাম ধরে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। সেদিন শিক্ষিকা ছুটিতে থাকলেও তিনি উপস্থিত লোকজনের সামনে শিক্ষিকা ও তার স্বামীকে হত্যার হুমকি দেন এবং চাকরিচ্যুত করার হুমকিও প্রদান করেন বলে অভিযোগে বলা হয়।

শিক্ষিকা খাদিজা বেগম জানান, শহিদ খান ও তার অনুসারীদের হুমকির কারণে তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং তারা ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি শহিদ খানের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মো. শহিদ খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এসব অনিয়মের প্রতিবাদে স্থানীয়রা ২৫ মে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।

নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুস সালাম বলেন, “প্রধান শিক্ষিকা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, এর আগেও শহিদ খানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ত্রাণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগ কেন্দ্রীয় মহাসচিবসহ দলের বিভিন্ন দপ্তরে পৌঁছালেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এতে স্থানীয় বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

তাদের দাবি, একজন দায়িত্বশীল নেতার এমন কর্মকাণ্ড দলীয় ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। অবিলম্বে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এর দায় দলকে বহন করতে হতে পারে।


আরও খবর



ডিসিপ্লিন মেনে চললে যানজট নিয়ন্ত্রণে থাকবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

সবাই ডিসিপ্লিন মেনে চললে ও ধৈর্য ধরে কাজ করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও যানজট উভয়ই নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। উপদেষ্টা রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা বলেন, সবাই মিলে সহযোগিতা করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং যানজটও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই আমি সবাইকে অনুরোধ করবো- গাড়ি চালানো, কোরবানির পশুর ট্রাক আনা-নেয়া, পথচারীদের রাস্তা পারাপার সবক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলবেন। এবং অন্যদেরকেও নিয়ম মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করবেন। তবে সড়কে যেমন শৃঙ্খলা বজায় থাকবে, একইভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, এবার সব পরিবহণ চার্ট অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত রেটে ভাড়া আদায় করছে। এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত তেমন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। উপদেষ্টা বলেন, ঢাকার বাইরে থেকে অনেক গরুর গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করছে এবং বৃষ্টিও হচ্ছে। তাই ঢাকার প্রবেশ ও বহির্গমন পয়েন্টগুলোতে কিছুটা যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমাদের ট্রাফিক বিভাগ এ বিষয়ে সজাগ ও সক্রিয় রয়েছে। খুব শীঘ্রই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

উপদেষ্টা বাস টার্মিনালে উপস্থিত যাত্রীদের সাথে কথা বলেন, তাদের খোঁজখবর নেন ও অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হয়েছে কিনা- তা যাচাই করেন। যাত্রীরা বিদ্যমান ভাড়ার হার ও ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

পরে উপদেষ্টা রাজধানীর গাবতলী কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন করেন। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের উপদেষ্টা বলেন, এবার কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা অনেক ভালো। কোরবানির পশুর দামও তুলনামূলক যৌক্তিক। আমি বলবো, অন্যান্য বারের তুলনায় দাম একটু কম রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভোক্তা বা ক্রেতারা সুবিধা পাচ্ছে। তিনি বলেন, ঈদ উল আযহা উপলক্ষ্যে কোনো নিরাপত্তার ঘাটতি নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। এটাকে অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আরও উন্নতি করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু রয়েছে। গরুর কোনো সংকট নেই। কোরবানির পশু কিনতে কারো কোনো সমস্যা হবে না।

এছাড়াও উপদেষ্টা রাজধানীর মিরপুর ও কাফরুল থানা এবং মিরপুরে অবস্থিত পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পরিদর্শন করেন।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের ঢল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

আগামী শনিবার সারা দেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়ছেন মানুষ। ঈদ ঘিরে কমলাপুর স্টেশনে ঢল নেমেছে ঘরমুখো মানুষের। সকাল থেকেই নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে স্টেশনে আসছেন যাত্রীরা।

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, স্টেশনে প্রবেশের জন্য বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে লাইন তৈরি করা হয়েছে। যাদের কাছে টিকিট নেই, তারা প্রথম ধাপ পার হতে পারছেন না। টিকিটধারী যাত্রীরা প্রথম ধাপ পার হয়ে দ্বিতীয় ধাপে গেলে আবারও টিকিট যাচাই করা হচ্ছে। সর্বশেষ প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের আগে পুনরায় টিকিট প্রদর্শন করে যাত্রীদের প্রবেশ করতে হচ্ছে।

এ ছাড়া চুরি-ছিনতাইসহ যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর থাকতে দেখা গেছে। এদিকে যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্টেশন কর্তৃপক্ষ।

যাত্রীরা বলছেন, ঈদের সময় স্টেশনে যে ভোগান্তি পোহাতে হয়, সেই দুর্ভোগ আর নেই। শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা। এ ছাড়া টিকিট পেতে কোনো ভোগান্তি নেই বলেও জানিয়েছেন তারা।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে ১৫টি ট্রেন নির্ধারিত গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। সারা দিনে ৬৩টি ট্রেন ঢাকা ছেড়ে যাবে।



আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




কুড়িগ্রামে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট চলছে বেচা কেনা

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

 ঈদুল আজহার দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন গবাদি পশুর হাট জমে  উঠেছে । চলছে পশু বেচা কেনা। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা কুড়িগ্র্মেরর যাত্রাপুর ,উলিপুর ভুরুঙ্গামারীতে আসা শুরু করেছেন এবং হাটগুলো ও দ্রত কোরবানির পশুতে ভরে উঠছে। কুড়িগ্রামে এবার গরু ও ছাগলের কোরবানির চাহিদা পুরন হবার পরে উদবৃত্ত বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে। জেলা উপজেলাগুলোতে বসেছে স্থায়ী ও অস্থায়ী গবাদি পশুর হাট। দিন যতই যাচ্ছে গরুর দাম ও চাহিদা বেড়ে চলছে।  কুড়্রগ্রিাম জেলায় স্থায়ী অস্থায়ী মিলে মোট ২৯টি কোরবানির গরু-ছাগলের হাট বসেছে। এসবের মধ্যে বড় এবং স্থায়ী হাট, যাত্রাপুর হাট, মোগলবাসা হাট,কাঁঠালবাড়ি হাট,ভুরুঙ্গামারী হাট, উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও কিছু এলাকায় অনুমোদনবিহীন ছোট ছোট হাট গড়ে উঠেছে।  অধিকাংশ বাঁশের কাঠামো তৈরি হয়েছে, বিক্রেতারা ও কৃষি খামার মালিকেরা তাদের স্থান চিহ্নিত করেছেন সাইনবোর্ড দিয়েছে। কুড়িগ্রামের সবচেয়ে ঐতিয্যবাহী হাট যাত্রাপুর হাট। কয়েক হাজার গরুর আমদানী হয় এখানে। ঈদের শেষ মূহুর্তেও চলে এ হাটের বেচাকেনা। জেলার বিভিন্ন হাটে বড় গরুর চেয়ে মাঝারি ও  ছোট গরুর চাহিদা বেশি।  বড় গরুগুলি পাইকাররা ঢাকা সহ সারা দেশে নিয়ে যাচ্ছে। ব্য্যবসায়ী  ও খামারিরা বলছেন, ‘কয়েক বছর ধরে গো খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো কোনো খাদ্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। এতে গরু পালনে ব্যয় বেড়েছে। তাই গরু গুলির দাম বেশ বেশী।   অন্য্যদিকে জেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাট গুলি সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি আর্মির টহল ও জোরদার করেছে। 

যাত্রাপুর হাটে গরু নিয়ে এসেছেন আবুল হোসেন জানান এবারের গরুর দাম কম। উপায় না পেয়ে বিক্রি করছি। যে গরুর দাম ১লক্ষ সেই গরু ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।  ক্রেতা রহমান আলী জানান গরুর দাম বেশী ।বাজেটের চেয়ে ৫/৬হাজার টাকা বেশী খরচ করতে হচ্ছে। 

ইজারদার মো.রহিম উদ্দিন হায়দার রিপন জানান এবার হাটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো। এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নাই। পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনী সব সময় তদারকি করছে।

ব্যাংক কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া সুমন  ব্যাংক কর্মকর্তা  জানান দেশের প্রান্তিক জেলা কুড়িগ্রাম। এখানকার ঐতিয্যবাহীহাট যাত্রাপুর। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় আমরা এসেছি। ক্রেতা বিক্রেতা কেউ যেন প্রতারণার স্বীকার না হয়। জাল নোট সনাক্ত কররার জন্যই এই হাটেই বসেছি।

উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা খান জানান কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার প্রানী সম্পদের  পক্ষ থেকে ভ্যাটানারি মেডিকেল টিম যাত্রাপুর সহ বিভিন্ন হাটে অবস্থান করছি।  গবাদী পশু গুলির বিভিন্ন সংক্রাম রোগ হিট ষ্ট্রোক রোগের চিকিৎসার জন্য্য সার্বক্ষনিক চিকিৎসা ক্জা করে যাচ্ছে। 


আরও খবর