Logo
শিরোনাম

সাত জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

২৫ এপ্রিল ছুটির দিনে সারাদেশ প্রায় বৃষ্টিহীন। আর সাত জেলায় বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। তাপমাত্র বৃদ্ধির প্রবণতা আগামীকাল শনিবারও থাকতে পারে। তবে, রোববার থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তাতে কমতে পারে তাপ।

এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে। আজ সেখানে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

দেশের অন্য যেসব এলাকায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তার মধ্যে যশোরে ৩৮ দশমিক ২, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৮, সিরাজগঞ্জে ৩৭ দশমিক ২, চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ দশমিক ৮, বগুড়ায় ৩৬ দশমিক ৫ এবং সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীতে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৪২-এর বেশি হলে তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে গণ্য হয়।

অবশ্য রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা খানিকটা কমেছে। আজ ঢাকা মহানগরীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল তা ছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১১ নির্দেশনা

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিভিন্ন দেশে সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশেও তা ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বুধবার দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর ১১ দফা নির্দেশনা পড়ে শোনান।

লিখিতে বক্তব্যে তিনি বলেন, ভাইরাসজনিত সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা ভাইরাসের কয়েকটি নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধে দেশের সকল স্থল/নৌ/বিমান বন্দরের আইএইচআর ডেস্কসমূহে নজরদারি এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়গুলো জোরদার করার বিষয়ে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে নিম্নলিখিত নির্দেশনা ও করনীয়সমূহ গণমাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো—

সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসাধারণের করণীয়

১. জনসমাগম যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন এবং উপস্থিত হতেই হলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।

২. শ্বাসতন্ত্রের রোগসমূহ হতে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।

৩. হাঁচি/কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।

৪. ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন।

৫. ঘনঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।

৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না।

৭. আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।

সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়

১. জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন।

২. রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।

৩. রোগীর সেবাদানকারীগনও সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করুন।

৪. প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে অথবা আইইডিসিআর (০১৪০১-১৯৬২৯৩) অথবা স্বাস্থ্য বাতায়ন (১৬২৬৩) এর নাম্বারে যোগাযোগ করুন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রস্তুতি

করোনাভাইরাস নির্ণয়ের পরীক্ষা (rt-PCR, Rapid Antigen Test), টিকা (Vaccine), চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা (Management Guideline), ওষুধ (Medicines), অক্সিজেন (Medical grade Oxygen), প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (High-Flow Nasal Canula, Ventilator), আইসিইউ (ICU and HDU), কোভিড চিকিৎসার বিশেষায়িত সুবিধাসম্বলিত নির্দিষ্ট হাসপাতাল (COVID Dedicated Hospital), সেবাদানকারীদের জন্যে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাসামগ্রী (KN95 Mask, PPE, Face Shield etc.) ইত্যাদিসহ COVID 19 সংক্রান্ত সকল বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রস্তুতি চলমান আছে। অতিদ্রুত এ সকল বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতির বিষয়ে আমরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সকলকে অবগত করবো।


আরও খবর



ঝুঁকিতে মৌলভীবাজারের বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ

প্রকাশিত:বুধবার ২১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

মৌলভীবাজারে গত ২-৩ দিন হয় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হচ্ছে। তলিয়ে গেছে হাকালুকি হাওর সহ হাওর বাওর ও নদীপারের নিম্নাঞ্চল। বাড়ছে মনু ধলাই ফানাই সোনাইর পানি। জুড়ী নদীর পানি ইতিমধ্যে বিপদসীমা ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । কিন্তু বন্যার পদধ্বনি শুরু হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া প্রকল্পের কাজ চলছে ধীর গতিতে। হাজার কোটি টাকার ওই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের জুন মাসে। কিন্তু মে ২০২৫ মাসে এসে মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলাকে বন্যা মুক্ত রাখতে হাজার কোটি টাকার ওই প্রকল্পে কাজের অগ্রগতি মাত্র ৫৭ শতাংশ। অথচ বন্যার আগাম সতর্কতা জারি করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মনু নদীর ভাঙন হতে মৌলভীবাজার সদর, কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলাকে রক্ষা করার লক্ষে ২০২২ সালে ৯৯৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। পরে চর অপসারণ বাধ মেরামত ফ্লাড ওয়াল নির্মাণ পুনর্বাসন সহ বিভিন্ন ধরনের কাজের ৭২ টি প্রকল্প টেন্ডার করে কাজ শুরু করা হয়।

জানা যায়, মনু নদীর বাঁধের কাজ চলছে ৪ বছর থেকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন বিএসএফের বাধা, জমি অধিগ্রহণ ও অর্থ সংকট জটিলতায় ৫০ শতাংশের মতো কাজ হয়েছে। ২০২১ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যথা সময়ে শেষ না হওয়ায় ২ দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হওয়ায় ফের বন্যার আশঙ্কা করছেন উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ।

জানা জায়, গত বছর বর্ষা মৌসুমে টানা ভারী বর্ষণের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় মনু নদীর পৃথক পৃথক স্থানে একাধিক ভাঙন দেখা দেয়।

ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পনি প্রবেশের কারণে তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি ও ফিসারী। গৃহহীন হয়ে আশ্রয় কেন্দ্র ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হয় বন্যাকবলিতদের। গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়তে হয় তাদের।

ভুক্তভোগীরা জানান ওই সময় একাধিক স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবেশ করলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন ঠেকানো হয়। তারপরও টিলাগাঁও ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের গুদামঘাট নামক স্থানে প্রায় ৬শ’ ফুট বাঁধ ও মিয়ারপাড়া এলাকায় ৩শ’ ফুটের মতো বাঁধ ও পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া ডেমা বিল এলাকায় ১শ’ ফুটের মতো ভাঙনের ফলে গ্রামের পর গ্রাম বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন।

গতবছর বাঁধের কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও এ বছর আসন্ন বর্ষা মৌসুমে মনু নদীতে পানি বৃদ্ধির সময় টিলাগাঁও ইউনিয়নের আশ্রয়গ্রাম, মিয়ারপাড়া, সন্দ্রাবাজ ও খন্দকারের গ্রাম, হাজীপুর (গুদামঘাট) এলাকা। হাজীপুর ইউনিয়নের গাজীপুর, দাউদপুর, সাধনপুর, মন্দিরা ও কাউকাপন বাজার এলাকা। শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল ও চানপুর এলাকা এবং পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া, বেলেরতল, ছৈদল বাজার, রাজাপুর (কলিকোনা) এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ অংশগুলো ভাঙনের কবলে পড়বে বলে এলাকাবাসী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ গত বছরের ক্ষয়ক্ষতির কথা মাথায় রেখে পানি উন্নয়ন বোর্ড আগাম ব্যবস্থা নেয়ার কথা, কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আশ্রয়গ্রাম এলাকায় বাঁধে নতুন মাটি ভরাট করা হয়েছে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের পানির চাপ কতটুকু নিতে পারবে এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সেখানের স্থানীয় বাসিন্দারা।

মৌলভীবাজার জেলা পাউবো সূত্রে জানা যায়, নদী ভাঙন মুক্ত রাখতে কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর, হাজীপুর, পৃথিমপাশা ও টিলাগাঁও ইউনিয়নে ২৮টি প্যাকেজের কাজ রয়েছে। যার চুক্তিমূল্য ৩০৭ কোটি টাকা। ২৮টি প্যাকেজের মধ্যে স্থায়ী তীর-প্রতিরক্ষা কাজের ২০টি, চর অপসারণ কাজের ৪টি এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পুনরাকৃতীকরণ কাজের ৪টি প্যাকেজের কাজ রয়েছে। ২০২১ সালে কাজ শুরু করে এখন পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে ৫০ শতাংশ। প্রকল্পের প্রায় চার বছর হলেও কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। মেয়াদ শেষ হলে ২ দফায় সময়ও বাড়ানো হয়েছে। এদিকে সীমান্তবর্তী কয়েকটি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ বিএসএফের বাধার কারণে বন্ধ রয়েছে।

টিলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত জানান, টিলাগাঁও ইউনিয়নের আশ্রয়গ্রাম, মিয়ারপাড়া, সন্দ্রাবাজ ও খন্দকারের গ্রাম, হাজীপুর (গুদামঘাট) এলাকার নদীর বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। মনু নদীর গত বছরের ভাঙন স্থান হাজীপুর (গুদামঘাট) ও মিয়ারপাড়া মাটি ভরাট করে ব্লক দেয়া হয়েছে তবে কাজ এখনো বাকি রয়েছে।

পৃথিমপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কমরেড আব্দুল লতিফ জানান, মনু নদীর শিকড়িয়া (ডেমা বিল) এলাকায় গত বছর ১০০ ফুটের মতো ভাঙনের সৃষ্টি হয়। বাঁধের কাজ বিএসএফের বাধার কারণে এখনো করা হয়নি। পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া, বেলেরতল, ছৈদল বাজার, রাজাপুর (কলিকোনা) এলাকা প্রতিরক্ষা বাঁধ সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে শিকড়িয়ার ভাঙনটি ভরাট না হওয়ায় ওই এলাকার মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বুধবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন ওয়ালিদ বলেন অনেক এলাকায় স্থানীয় লোকজনের বাধার কারণে বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। তবুও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের লোকজন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ঝুঁকিমুক্ত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।


আরও খবর



১২ ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দুই সিটির

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

কোরবানির পশুর বর্জ্য দিনের মধ্যে সরানোর ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। দক্ষিণ সিটির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেন, ঈদের দিন বিকাল থেকে আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু হবে। আমরা আশা করছি, ১২ ঘণ্টার ভেতরে আমরা কোরবানির ময়লা পরিষ্কার করব। পরিষ্কারের জন্য প্রায় ১০ হাজারের বেশি কর্মী আমরা প্রস্তুত রেখেছি। প্রস্তুত রয়েছে সিটি করপোরেশনের প্রয়োজনীয়সংখ্যক গাড়ি। বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে এসব কথা জানান তিনি।

শাহজাহান মিয়া বলেন, একই সঙ্গে সরকারের অন্যান্য সংস্থার কাছে রিকুইজিশন দিয়ে রেখেছি, যদি বেশি গাড়ির প্রয়োজন হয়, সেগুলো আমরা নেব। যেসব প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ময়লা কালেকশন করে বাসাবাড়ি থেকে তাদেরও আমরা এ অপসারণের কাজে সম্পৃক্ত করেছি। কাজেই আমাদের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই।

জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যদি এক জায়গায় কোরবানি দেয়া যায়; তাহলে আমাদের বর্জ্য কালেকশনে সুবিধা হয়। এছাড়া ইন্ডিভিজুয়ালি কেউ কোরবানি দিলে সেই ময়লাও আমাদের কর্মীরা করতে প্রস্তুত থাকবে। বর্জ্য কালেকশনে আমাদের কোনো দুর্বলতা থাকবে না।

ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বুধবার আমিনবাজার ল্যান্ডফিল পরিদর্শনে গিয়ে বলেন, ঈদে দিনের বর্জ্য দিনের মধ্যেই অপসারণ করে শহর পরিচ্ছন্ন রাখা হবে। সংস্থার প্রায় ১০ হাজার কর্মী ঈদের তিনদিন এ পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

এবার ঈদে প্রায় ২০ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হবে বলে ধারণা করছে ডিএনসিসি। এ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে ২২৪টি ডাম্প ট্রাক, ৩৮১টি পিকআপ, ২৪টি পেলোডার নিয়োজিত থাকবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সাড়ে ১২ লাখ পলিব্যাগ, আড়াই হাজার বস্তা ব্লিচিং ও চার হাজার ক্যান স্যাভলন বিতরণ করা হয়েছে। এবার পরিবেশসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আমিনবাজারে দুটি পরিখা খনন করার কথা জানিয়েছে উত্তর সিটি করপোরেশন।

এদিকে কোরবানির পশুর বর্জ্য পরিবেশসম্মতভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য দেশের সব নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। যত্রতত্র পশু জবাই, উচ্ছিষ্ট ফেলা ও বর্জ্য জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য হুমকি তৈরি করে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোরবানির সময় গবাদিপশুর রক্ত, গোবর, নাড়িভুঁড়ি ও অন্যান্য পরিত্যক্ত অংশ যত্রতত্র ফেলে রাখার কারণে পরিবেশ দূষণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও জনদুর্ভোগ দেখা দেয়। এ অবস্থায় সবাইকে সচেতনভাবে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। উন্মুক্ত বা অনির্ধারিত স্থানে পশু জবাই থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জবাইয়ের সময় ও পরবর্তী কার্যক্রমে গ্লাভস, মাস্ক, অ্যাপ্রোন ইত্যাদি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানায়, পশুর রক্ত, গোবর, চামড়া, হাড়, শিং, নাড়িভুঁড়ি ইত্যাদি যেন কোনো অবস্থাতেই খোলা জায়গায় না ফেলা হয়। এসব নির্ধারিত গর্তে ফেলে মাটিচাপা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে কোরবানির মাংস বিতরণ বা বর্জ্য অপসারণে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ বা পাত্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে, যাতে প্লাস্টিক দূষণ এড়ানো যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, কোরবানির বর্জ্য দ্রুত ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অপসারণে স্থানীয় প্রশাসনকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করা সামাজিক ও নাগরিক দায়িত্ব। পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে যেমন আমরা নিজেরা সুস্থ থাকি, তেমনি চারপাশকেও নিরাপদ রাখা সম্ভব।


আরও খবর

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে কমছে জন্মহার

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ ইচ্ছা অনুযায়ী সন্তান নিতে পারছেন না। এ জন্য সন্তানের লালনপালনের বাড়তি খরচ ও উপযুক্ত সঙ্গীর অভাবকে অন্যতম কারণ বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে সন্তান জন্ম দেওয়ার হার নজিরবিহীনভাবে কমে গেছে বলে জানান ইউএনএফপিএর প্রধান নাতালিয়া কানেম।

ইউএনএফপিএ ১৪টি দেশের ১৪ হাজার মানুষের ওপর সন্তান নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে জরিপ চালিয়েছে। পাঁচজনের মধ্যে একজন বলেছেন, তাদের কাঙ্ক্ষিতসংখ্যক সন্তান হয়নি বা তারা সন্তানের আশাও করেননি।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের জরিপটি থাইল্যান্ড, হাঙ্গেরি, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, জার্মানি, সুইডেন, ব্রাজিল, মেক্সিকো, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, মরক্কো, নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায় করা হয়েছে।

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ এসব দেশে বসবাস করে। এর মধ্যে নিম্ন, মধ্য ও উচ্চ— তিন ধরনের আয়ের দেশ রয়েছে। আর জরিপ করা হয়েছে তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক ও প্রজননের সময়মীমা পেরিয়ে গেছে— এমন মানুষের মধ্যে।


আরও খবর



সামাজিক অবক্ষয় রোধে রেনেসাঁ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ:

মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের শাহ্-শের আলী গ্রীণ লাউঞ্জ এর সেমিনার সেকশানে রেনেসাঁ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে গজারিয়ায় সামাজিক অবক্ষয় রোধকল্পে তরুণ, সুশীল সমাজ, শিক্ষক ও গণমাধ্যমের ভূমিকা ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায় ২৮ মে (বুধবার) বিকাল ৪ টায় শাহ-শের আলী গ্রীণ লাউঞ্জে রেনেসাঁ ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বনামধন্য শিক্ষক, স্বেচ্ছাসেবী, সামাজিক সংগঠক, সমাজকর্মী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক সহ নানা শ্রেণির পেশার ব্যক্তিবর্গ।

উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রেনেসাঁ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান।

এসময় জিস্ট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর রেজিস্ট্রার ইঞ্জি. সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম সোনারগাঁ - গজারিয়া টুরিস্ট জোনের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ দেলোয়ার হোসেন গজারিয়া ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি অধ্যক্ষ ইঞ্জি. মোঃ মামুন শরীফ গজারিয়া কলিম উল্লাহ্ বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যক্ষ খালেদা নাহার গজারিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহৃবায়ক মাহাবুল খাঁন গজারিয়া উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মাজেদ মেম্বার গজারিয়া উপজেলা বিএনপি সদস্য হারুন অর রশীদ দেওয়ান ভোরের আলো তরুণ সংঘ সভাপতি ইঞ্জি. দিদার আলম।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে অনান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক কামাল সাঈদ গজারিয়া উপজেলা কিন্ডারগার্ডেন এসোসিয়েশন সভাপতি ফজলুল হক নয়ন তেতুইতলা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস সাদেক স্বপন পরিবেশ রক্ষা উন্নয়ন কমিটি সভাপতি মোঃ হোসাইন গজারিয়া উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম মেঘনা উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুল মালেক গজারিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ইন্সট্রাক্টর ইঞ্জি. নূরে আলম হোসেন গজারিয়া উপজেলা সমাজকর্মী ও সংগঠক ইউসুফ আলী দেওয়ান গজারিয়া যুবদল নেতা শাহাদত হোসেন পান্নু সহ প্রমূখ।


আরও খবর