Logo
শিরোনাম

সাত মাসে সর্বনিম্ন পর্যায়ে ডলারের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ২১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দাম ব্যাপক কমেছে। গত ৭ মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। 

গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) হ্রাস পেয়েছে। এ নিয়ে বিগত আড়াই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তা কমলো। ফলে সুদের হার কমানোর পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। তাতে মার্কিন মুদ্রার দরপতন ঘটেছে।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ডলার সূচক শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ নিম্নমুখী হয়েছে। বর্তমানে সেটা ১০১ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এতে প্রায় প্রতিটি বৈশ্বিক মুদ্রার মান বেড়েছে।

এদিন সবচেয়ে বেশি লাভের মুখ দেখেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান মুদ্রা ইউরো। প্রতি ইউরোর দর স্থির হয়েছে ১ দশমিক ০৮৭২৫ ডলারে। গত ৯ মাসের মুদ্রা যা সবচেয়ে বেশি।

প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিরুদ্ধে বেশ শক্তিশালী হয়েছে জাপানের মুদ্রা ইয়েন। ডলারপ্রতি দর নিষ্পত্তি হয়েছে ১২৭ দশমিক ৩৮ ইয়েনে। গত ৭ মাসের মধ্যে তা সর্বাধিক।

ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্যমান বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ। প্রতি স্টার্লিং বিক্রি হয়েছে ১ দশমিক ২২৮৮ ডলারে। গত এক মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। এছাড়া নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলীয় ডলারের দামও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।

২০২২ সালে গত ৪০ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি চড়া হয়। এতে মার্কিন অর্থনীতি ধীর হয়। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই জায়গা থেকে তা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এতে কঠোর মুদ্রানীতি থেকে সরে আসছে ফেড।

ওসিবিসির বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী মাসগুলোতে সিপিআই আরও কমতে পারে। সবশেষ ভোক্তা মূল্য সূচক তথ্য সেই আশা জাগাচ্ছে।

গত বছর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দফায় দফায় সুদের হার বাড়ায় ফেড। ৪বার ৭৫ এবং ১বার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ায় তারা। এতে গ্রিনব্যাকের দর বাড়ে ৮ শতাংশ।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




রাতভর টেকনাফ সীমান্তে থেমে থেমে গোলাগুলি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে আবারও গোলাগুলি মর্টার শেলের আওয়াজ ভেসে আসছে এতে আতঙ্কে আছেন টেকনাফের হোয়াইক্যং হ্নীলা ইউনিয়ন সীমান্তের লোকজন

টেকনাফের কয়েকটি পয়েন্টে সীমান্তে ভারী মর্টার শেলের শব্দে আতঙ্কে রাত কাটে স্থানীয়দের

স্থানীয়দের দাবি, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। এতে টেকনাফের হোয়াইক্যং উত্তর পাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কাঞ্জর পাড়া, হ্নীলা, মোলভী পাড়া, ওয়াব্রাং, ফুলের ডেইল, চৌধুরী পাড়া, জালিয়া পাড়া এলাকায় সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গুলি মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া গেছে। হোয়াইক্যং হ্নীলা সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমার কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা গ্রামগুলোতে গৃহযুদ্ধ চলছে

হোয়াইক্ষং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, ঈদের দিন থেকে টানা ২দিন ধরে থেমে থেমে মর্টার শেল গুলির শব্দ ভেসে আসছে এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, মর্টার শেল গুলির শব্দে কাপছে সীমান্ত এলাকা। বজ্রপাতের মতো শব্দ হয়। এতে মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




নওগাঁয় ঈদের দিন বিষাক্ত মদপানে কলেজ পড়ুয়া ৩ বন্ধুর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ঈদের দিন বিষাক্ত মদপানে ৩ জন কলেজ পড়ুয়া বন্ধুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। খবর পেয়ে ঈদের দিন বৃহস্পতিবার দিবাগত ৮টারদিকে নওগাঁর মান্দা থানা পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য নিহত ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহত ৩ জনের অপর আরেক বন্ধু গা ঢাকা দিয়েছে। হা ঢাকা দেওয়া বন্ধু হলেন মুক্তার হোসেন।

নিহত ৩ জন নওগাঁর মান্দা উত্তরা ডিগ্রি কলেজ এর একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানাগেছে। নিহত ৩ জন হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়ন এর পাকুড়িয়া গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে শারিকুল ইসলাম ওরফে পিন্টু (২২), পাকুড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ এর ছেলে আশিক হোসেন (২২) ও প্রসাদপুর ইউনিয়ন এর দ্বারিয়াপুর গ্রামের  নেকবর আলীর ছেলে নাঈমুর রহমান ওরফে নিশাত (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে মান্দা উপজেলার বিলউরাইল গ্রামের মাঠে ৪ জন যুবক এক সঙ্গে মাদপান করে। মদ পানের কিছু পরই তারা অসুস্থ হয়ে পরলে। তাদের উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ 

নেওয়ার পথে আশিক এর মৃত্যু হয়। অপর দু' জনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করেন। মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আনন্দ কুমার বলেন, হাসপাতালে আনার পূর্বেই পিন্টু ও নিশাতের মৃত্যু হয়েছে। 

এব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ

মোজাম্মেল হক কাজী প্রতিবেদক কে ৩ জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ৩ জনের মৃতদেহ ময়না তদন্ত এর জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর পস্তুতি চলছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



নওগাঁয় পুলিশের উপর হামলা, ৬ পুলিশ আহত, গ্রেফতার ৮ জন

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর থানাধীন মাতাজীহাট ফাঁড়ি পুলিশের উপর হামলা ও ৬ জন পুলিশ আহত ঘটনায় ২শ জনকে আসামী করে মহাদেবপুর থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে মহাদেবপুর থানাধীন রাইগাঁ মাতাজীহাট পুলিশ ফাঁড়ির এস আই লালন কুমার দাস বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। 

গ্রেফতারকৃত ৮ জন হলেন, কুড়াইল গ্রামের পরেশের ছেলে প্রতাপ (৩৫), সুপথ মন্ডলের ছেলে রাম গোপাল (২৬), সনজিতের ছেলে বিশু (২৭), সুরেনের ছেলে সুচিত্র (৩০), সুরেনের ছেলে সুপথ (৪২), নিবাসের ছেলে সুইট (৩০), সবুজ (২৫), পরেশের ছেলে রিপন (৩০)। 

জানা গেছে, কুড়াইল গ্রামের বুলন চন্দ্রে'র ছেলে হিলন একই গ্রামের বিপ্লব চন্দ্রের কন্যা স্কুল ছাত্রী বন্যা রাণীর (১৩) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে গত বুধবার বন্যা রানীকে পালিয়ে নিয়ে প্রেমিক হিলন বাড়িতে তোলেন। বন্যা রাণীর পরিবার বিষয়টি পুলিশকে জানালে বৃহস্পতিবার রাতে মাতাজীহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই লালন কুমার দাস এর নেতৃত্বে পুলিশ মেয়েটি কে উদ্ধারের জন্য হিলন এর বাড়িতে যায়। এ সময় হিলন এর বাড়ির লোকজন পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু করেন এক পর্যায়ে ঐ গ্রামের প্রতাপ এর নেতৃত্বে গ্রামের একদল মানুষ পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট শুরু করেন। এসময় আত্নরক্ষার্থে পুলিশ সদস্যরা মসজিদে আশ্রয় নিলে সেখানেও তাদের মারধর করে আটক করে রাখেন। 

খবর পেয়ে দ্রুত (মহাদেবপুর সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল ও মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রুহুল আমিন এর নেতৃত্বে থানা পুলিশ গিয়ে আটক করে রাখা পুলিশ সদস্যদের আহত অবস্থায় উদ্ধার পূর্বক এস আই লালন কুমার দাস, পুলিশ সদস্য মোঃ মাইনুল ইসলাম, তজারুদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, টুটুল হোসেন, রুবেল হোসেন কে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় এস আই লালন কুমার দাস বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ সহ ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।পুলিশের উপর হামলা কারীদের মধ্যে ৮ জনকে গ্রেফতার এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ।


আরও খবর



নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর পোরশা নিতপুর সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফ এর গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিন (৩৮) এর মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৯টারদিকে ১৬ বিজিবি হাঁপানিয়া বিওপি সংলগ্ন কৃষ্ণসদা এলাকায় সীমান্তের শূন্যরেখায় উভয় দেশের পুলিশ সদস্য ও বিজিবি-বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে মৃতদেহ পৌছে দেয় বিএসএফ সদস্যরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাঁপানিয়া বিওপি’র নায়েক সুবেদার আবু তালেব। তিনি জানান, বুধবার দিবাগত রাত ৮টারদিকে কৃষ্ণসদা সীমান্তের ২৩৬ মেইন পিলারের কাছে বিজিবি ও বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাত পৌনে ৯টার দিকে নিহতের পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়। এসময় পোরশা ও সাপাহার থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।                  নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সোমবার দিবাগত রাতে আল আমিন আরো কয়েক জনের সাথে নওগাঁর পোরশা উপজেলার নীতপুর সীমান্ত এলাকার ২৩২ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। পরে গরু নিয়ে নিতপুর সীমান্তের নীলমারি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ফেরার সময় মঙ্গলবার ভোর ৪টারদিকে ভারতের দাল্লাপাড়া কাঠের ব্রীজ নামক স্থানে পৌঁছালে বিএসএফ ১৫৯ ব্যাটালিয়নের কেদারীপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করেন। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও আল আমিন গুলিবিদ্ধ হোন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শুন্যরেখা থেকে ১ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিএসএফ সদস্যরা আল আমিনের মৃতদেহ নিয়ে যায়।    মঙ্গলবার দুপুরে হাঁপানিয়া সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকায় বিএসএফ ও বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। স্থানীয় পুলিশ সূত্র জানায়, ভারতীয় পুলিশ ময়না তদন্তের পরই মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে।নিহতের শরীরে গুলিবিদ্ধ হওয়ার চিহ্ন ছিলো।


আরও খবর



৪২ ডিগ্রিতে উঠতে পারে তাপমাত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগ এবং দুই জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। যা অব্যাহত থাকতে পারে আরও কয়েকদিন। এই সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এ বছর এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহে পুড়ছে প্রায় সারাদেশ।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রায় প্রতিবছরই এপ্রিল মাসে গড়ে সাধারণত দুই-তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ও এক-দুটি তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। তবে এ বছরের তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল বিগত বছরগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

এর মধ্যেই সোমবার (১৫ এপ্রিল) পটুয়াখালির খেপুপাড়ায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গাতেও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

দেশজুড়ে চলমান এই তাপপ্রবাহ এপ্রিল মাসের বাকি সময়জুড়েও থাকবে বলেও জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে। মাঝখানে বৃষ্টির কারণে কিছুটা সময় তাপমাত্রা সহনীয় ছিল। ১১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে, যা এ মাসজুড়েই অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, এপ্রিল মাসের বাকি সময়জুড়ে দেশে তাপপ্রবাহ থাকবে। তবে কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে। এ মাসে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠার আশঙ্কা রয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, লেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে।

এছাড়াও আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ২০ এপ্রিলের পর দেশের কোথাও কোথাও স্থানীয়ভাবে অস্থায়ীভাবে দমকা বাতাস, ঝোড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী ও বজ্রপাত হতে পারে, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে।

উল্লেখ্য, তাপপ্রবাহকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। কোনো স্থানের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা যখন ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তাকে বলে মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর, তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে আবার বলে তীব্র তাপপ্রবাহ।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মতে, কোনো জায়গার দৈনিক যে গড় তাপমাত্রা, সেটি পাঁচ ডিগ্রি বেড়ে গেলে এবং পরপর পাঁচদিন তা চলমান থাকলে তাকে হিটওয়েভ বা তাপপ্রবাহ বলা হয়।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪