Logo
শিরোনাম

শব্দ দূষণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে এক কোটি মানুষ

প্রকাশিত:রবিবার ২০ অক্টোবর ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

সারাদেশে বাড়ছে শব্দ দূষণ। তবে সবচেয়ে বেশি শব্দ দূষণে ভুক্তভোগী রাজধানীবাসী। গভীর রাতেও উচ্চ শব্দের আওয়াজ শোনা যায়। এতে  বিঘ্ন ঘটে ঘুমের। রাজধানীর বেশির ভাগ মানুষই শব্দ দূষণের শিকার। ঢাকা শহর হলো- বিশ্বের সবচেয়ে কোলাহলপূর্ণ শহরের একটি। যেখানে গড় শব্দের মাত্রা ১১৯ ডেসিবেল-এমনটাই জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক কান ও গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবির্ভাব নাহা।

একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক চিকিৎসক মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে প্রায় এক কোটি মানুষ শব্দ দূষণের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে আছে। অন্য এক গবেষণায় পাওয়া গেছে, প্রায় ৯১ শতাংশ মানুষ তাদের আশেপাশে শব্দ দূষণের সমস্যা অনুভব করেন। যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে

অপ্রয়োজনীয় শব্দ মানুষের সহনশীলতার মাত্রা ছাড়িয়ে বিরক্তি ঘটানো এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতিসাধন করাই হচ্ছে- শব্দ দূষণ। যানজট, গাড়ির হর্ন, কলকারখানা, রাজনৈতিক সমাবেশ, ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে তীব্র শব্দ উৎপত্তি হয়

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, আবাসিক এলাকায় নিরাপদ শব্দসীমা ৫৫ ডেসিবেল। বাণিজ্যিক ও যানজটপ্রবণ এলাকায় এই মাত্রা ৭০ ডেসিবেল। তবে বাস্তবতা হলো- হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো এলাকাতেও শব্দের দূষণে টিকে থাকা দায়। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, শব্দ ৭৫ ডেসিবেল অতিক্রম করলে ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। ১২০ ডেসিবলের উপরে বেদনাদায়ক হয়। দেশের শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা অনুসারে, রাজধানীর মিশ্র (আবাসিক ও বাণিজ্যিক) এলাকায় দূষণের সর্বোচ্চ মাত্রা ৬০ ডেসিবল

ট্রাফিক বিভাগ বলছে, সড়কে বিশৃ্খলার কারণেই শব্দ দূষণ বেশি হচ্ছে। একই সড়কে চলছে বাস, জিপ, রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি চালিত অটোরিকশা। শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন পরিকল্পিত নগর পরিকল্পনা

ঢাকা শহরে বিভিন্ন পয়েন্টে যেসব পুলিশ ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেন- এমন কয়েজন পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে এই প্রতিবেদকের। তারা জানিয়েছেন, উচ্চ শব্দের কারণে তারা নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝঁকিতে পড়ছেন। প্রতিনিয়ত অতি মাত্রার শব্দের মধ্যে থাকায় তাদরে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।

রমনা ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট রাকিব বলেন, শব্দ দূষণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি তো আছেই। কানে সমস্যা হচ্ছে, হার্ডে সমস্যা হচ্ছে। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। আমাদের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ৪০ ঊর্ধ্ব অনেকেই কিডনি, ডায়াবেটিস, কানে কম শোনা রোগে ভুগেন। 

মগবাজার-বাংলামোটর, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট এলাকায় শব্দ দূষণ বেশি হয় কেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, রাজধানীর এইসব স্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। ওপরে ফ্লাইওভার। এখানে রিকশা, মোটর সাইকেলের প্রচুর গেদারিং। ফলে শব্দ প্রচুর ব্রাইভেশন হয়। যা অসহনীয় ও বিরক্তিকর

ট্রাফিক পুলিশেল সার্জেন্ট ওয়াদুজ্জামান বলেন, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে জরুরি পরিকল্পিত নগর পরিকল্পনা। দেখেন, গুরুত্বর্পণ কিছু কিছু সড়কে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরগাড়ি একই সঙ্গে চলে। ফলে বাস, সিএনজি, মাইক্রোবাস, জিপ গাড়ির চলাচলে গতি কমে যায়। তখনই চালক অযাচিত হর্ন দেয়। আমি মনে করি, চালকদের সচেতন হওয়া জরুরি।

বেপরোয়া হর্ন ব্যবহারের কারণ হিসেবে অসচেতনতা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধার অভাবকে দেখছেন চালক ও সাধারণ মানুষ। চালকদের মতে, হর্ন বাজালেও পথচারীরা শুনতে পায় না। তারা ইচ্ছা মতো রাস্তায় চলাচল করে। রিকশা ও বাইকচালকরাও সড়কে বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী। তখন বাধ্য হয়ে হয়েই চালকরা হর্ন দেয়। শিগগিরই সড়কের বিশৃঙ্খলা বন্ধ করতে হবে

বেসরকারি চাকরিজীবী রণধীর বড়ুয়া নিয়মিত গাড়ি চালিয়ে অফিসে যাওয়া-আসা করেন। তিনি বলেন, যত্রতত্র হর্ন বাজার একটাই কারণ, আইনের প্রয়োগ নেই। রাতের বেলা আমি হর্ন দিই না। ইনডিকটর ব্যবহার করি। হর্ন রাস্তার বাঁকে ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। বিআরটির আইনেই আছে। আইনের সঠিক ব্যবহার থাকলে- এমনটা হতো না। 

চিকিৎসকরা বলেছেন, শব্দ দূষণের কারণে দুশ্চিন্তা, উগ্রতা, উচ্চ রক্তচাপ, টিন্নিটাস, শ্রবণশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাতসহ অন্যান্য ক্ষতিকর ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। এছাড়াও, অন্যান্য শারীরিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে স্মরণশক্তি হ্রাস, মানসিক অবসাদ ইত্যাদি হতে পারে। শব্দের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যাগুলির মধ্যে রয়েছে- স্ট্রেস সম্পর্কিত অসুস্থতা, উচ্চ রক্তচাপ, শ্রবণশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাত এবং উৎদনশীলতা হারাতে পারে।

প্রতিদিন কী পরিমাণ রোগী এই সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসেন- এমন প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক-কান ও গলা বিভাগের  ডা: মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নিদিষ্ট ভাবে কোন তথ্য উপাত্ত পাই নি। তবে দেশে শব্দ দূষণ থেকে উদ্ভূত রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। 

চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, যাঁরা অতিরিক্ত শব্দ এলাকার মধ্যে বসবাস করেন, তাঁদের কানের নার্ভ ও রিসেপ্টর সেলগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ফলে মানুষ ধীরে ধীরে শ্রবণশক্তি হারাতে থাকে। মানুষ সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ ডেসিবল শব্দে কথা বলে। ৭০ ডেসিবল পর্যন্ত মানুষের কান গ্রহণ করতে পারে। ৮০-এর ওপরে গেলেই ক্ষতি শুরু হয়। প্রতিদিন ২ ঘণ্টা করে ৮৫ ডেসিবেল শব্দ যদি কোনো ব্যক্তির কানে প্রবেশ করে, তাহলে ধীরে ধীরে শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যায়। ১২০ ডেসিবল শব্দ সঙ্গে সঙ্গে কান নষ্ট করে দিতে পারে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক কান ও গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবির্ভাব নাহা বলেন, উচ্চ শব্দের এক্সপোজার টিনিটাসের কারণ হতে পারে, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানো, মেজাজ খিটখিটে করা এবং জীবনের মানকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। শব্দ এক্সপোজারের কারণে মনোযোগ হ্রাস পেতে পারে। যা পেশাগত দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হতে পারে। 

তিনি আরও জানিয়েছেন, শব্দ দূষণের কারণে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক মধ্যে বিরক্তি আসে। যার কারণে মাথা ব্যথা হয়। যা মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এতে দিন দিন মানুষের অসুস্থতা বাড়ছে


আরও খবর

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




বিআরটিএ বদলি নিয়ে কানামাছি খেলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

দুর্নীতির প্রসঙ্গ এলে যে-সব প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে আসে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে নিম্নপদ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পদধারীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগের আমলে এই প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি না করাই যেন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তেমনি একটি বড় চক্রের নেতৃত্বে ছিলেন বিআরটিএ ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়

৫ আগস্টের পর বিআরটিএ-এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব চালিয়ে আসা গৌতম চন্দ্র পালকে ওএসডি করা হয়েছে। মো. ইয়াসীনকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গ্রেড-১ পদমর্যাদার এ কর্মকর্তাকে বদলি করে  (৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মো. ইয়াসিন এর আগে মুদ্রণ ও প্রকাশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন জনাব মো. ইয়াসিনকে অব্যহতি দিয়ে ৪ জুন জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদকে বিআরটিএ-এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যা চলমান প্রক্রীয়ার অংশ ।

এখানে দেখা যায় চেয়ারম্যান ২ বার বদল হলেও বিআরটিএ-তে এখনো বহাল দুর্নীতির 'মাস্টারমাইন্ড' শহীদুল্লাহ  যাকে সম্প্রতি ওএসডি করা হয়েছে তারপরও চার মাসেও  তিনি স্বপদে  মিরপুরে আছেন


স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলেও বহাল তবিয়তে চেয়ার ধরে রেখেছেন কিছু আমলারা। পলাতক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী ফান্ডে অর্থ যোগানদাতাদের তালিকায় প্রথম দিকেই আছে এই শহীদুল্লাহর নাম। 

বিআরটিএ সূত্র জানায়, সংস্থাটি থেকে ঘুষ ও চাঁদা তুলে ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত নির্বাচনী তহবিল গঠনে বড় ভূমিকা রাখতেন শহীদুল্লাহ। এই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন উপ-পরিচালক ছানাউল হক, তৌহিদ হোসেন  ও রফিকুল ইসলাম

তৌহিদ হোসেন সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী ও বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের এলাকা নোয়াখালীর পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চট্টগ্রাম বিআরটিএকে উৎকোচ বাণিজ্যের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিলেন। 

বিআরটিএতে দালাল সিন্ডিকেট শক্তিশালী করার মূল কারিগরই ছিলেন এই শহীদুল্লাহ ও রফিকুল। এই দুই কর্মকর্তার কারণে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে দালাল ছাড়া কোনো কাজই হতো না। কারণ দালাল চক্রের মাধ্যমে কাজ করলেই মিলত মোটা দাগের উৎকোচরফিকুল ইসলাম এবং তৌহিদুল হককে গত ১৪.১০.২০২৪ বদলি করা হলেও তাদের পূর্বের কর্মস্থলে এখনো কাউকে স্থলাভিত্তিক করা হয়নি । গোপন সংবাদে যানা যায় তারা উপরের মহলকে খুশি করে পুনরায় পূর্বের কর্মস্থলে যোগদানের ব্যবস্থা করেছে


আসছে বিআরটিএর ডিডি তৌহিদ হোসেন এর আমলনামা



আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




আমরা দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত : ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

একজন জ্যেষ্ঠ ইরানি নিরাপত্তা কর্মকর্তা কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেছেন, তেহরান দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণ আরও তীব্র করা হবে।

রবিবার (১৫ জুন) নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, ইরান যুদ্ধ শুরু না করলেও এর সমাপ্তি নির্ধারণ করবে। এই সংঘাত নেতানিয়াহুর সংঘাত এবং এর ফলাফল হবে ইসরায়েলি শাসনের ধ্বংস।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ইরান তার জনগণকে রক্ষা করছে। নেতানিয়াহুর উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য আমেরিকান করদাতা নাগরিকদের অর্থ নষ্ট করা হবে কি না সেজন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এদিকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলে বড় পরিসরে হামলা শুরু করবে—এমন খবর প্রচারের কিছুক্ষণের মধ্যেই শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে জায়নবাদী ইসরায়েল ভূখণ্ডে হামলা শুরু করে ইরান। ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, দেশটির বাহিনী ইসরায়েলি শহরগুলোকে লক্ষ্য করে ড্রোনসহ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে একটি হাইব্রিড আক্রমণ চালাচ্ছে।


আরও খবর



শরীর সুস্থ রাখতে কাঁঠালের উপকারিতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

গ্রীষ্মকালে শরীর সতেজ ও সুস্থ রাখতে যেসব ফল উপকারী, তার মধ্যে কাঁঠাল অন্যতম। মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি কেবল স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এটি হজমে সহায়তা, পানিশূন্যতা রোধ, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানো ও ওজন নিয়ন্ত্রণসহ নানা দিক থেকে শরীরের উপকার করে।

প্রাকৃতিকভাবে শক্তি বাড়ায়

কাঁঠালে থাকে সুক্রোজ ও ফ্রুকটোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি, যা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও বেশি, ফলে গরমে শরীরকে সক্রিয় ও শক্তিশালী রাখতে এটি দারুণ কার্যকর।

হজমে সহায়তা করে

কাঁঠালে থাকা উচ্চমাত্রার আঁশ হজমে সাহায্য করে। এটি মল সহজে বের হতে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। ফলে হজমনালী পরিষ্কার থাকে এবং অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় থাকে।

পানিশূন্যতা ও ক্লান্তি দূর করে

কাঁঠালের পাকা অংশে প্রায় ৮৯.৮৫% জলীয় উপাদান থাকে, যা গরমে ঘামের মাধ্যমে হারানো পানি পূরণে সহায়ক। এতে থাকা ইলেকট্রোলাইট শরীরের জলীয় ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং মাথাব্যথা বা ক্লান্তির ঝুঁকি কমায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কাঁঠাল শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। গরমকালে ঠাণ্ডা, সর্দি বা ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি, প্রদাহ কমাতেও সহায়তা করে।

ত্বকের জন্য উপকারী

কাঁঠালের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ভেতরের অক্সিডেটিভ চাপ কমায়, ফলে ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল থাকে। এর উচ্চ জলীয় উপাদান গ্রীষ্মের রুক্ষতা, ব্রণ ও ত্বকের নির্জীবতা দূর করতে সহায়তা করে, ত্বক করে তোলে সতেজ ও কোমল।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

মিষ্টি হলেও কাঁঠালে ক্যালরি ও চর্বির পরিমাণ কম। এতে থাকা আঁশ পেট ভরাট রাখতে সাহায্য করে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

এভাবে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক একটি স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে কাজ করে।


আরও খবর



২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ভর্তি ৭০, করোনা শনাক্ত ৬

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

কদিনে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৭০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এই সময়ের মধ্যে কেউ মারা যায়নি। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ১২০ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ২৭ মে  স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য থেকে এসব জানা যায়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ডেঙ্গুতে এই মাসে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৪৮ জন এবং এই মাসে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ জন।

সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩৩১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। যার মধ্যে ঢাকায় ১০৮ জন, বাকি ২২৩ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, এই বছরের জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন এবং এপ্রিলে ৭০১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৩ এবং এপ্রিলে ৭ জন মারা গেছেন।


আরও খবর



সৃষ্ট সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না বিএনপি

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক লন্ডন বৈঠকের ভেতর দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপির মধ্যে সৃষ্ট দূরত্বের অবসান ঘটেছে। এ ছাড়া আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অনিশ্চয়তাও কেটে গেছে। ফলে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং গণতন্ত্রে ফেরার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা কোনো অবস্থায় হাতছাড়া করতে চায় না দলটি। এই অবস্থায় নির্বাচন পিছিয়ে যায় বা সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়- এমন কোনো কার্যক্রম না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এই বৈঠকে গত ১৩ জুন লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের একান্ত বৈঠক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে তাদের একান্ত আলোচনায় কী কী বিষয় স্থান পেয়েছে,

তা তারেক রহমানের কাছে দুই নেতা জানতে চান। কিন্তু লন্ডন বৈঠকের আগে স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত ছিল তারেক রহমান যেন একান্ত বৈঠকের বিষয়ে শেয়ার না করেন তা অন্য নেতারা উল্লেখ করেন। এই অবস্থায় তারেক রহমান বলেছেন, লন্ডনের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। এ সময় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটা আমাদের হাতছাড়া করা যাবে না। তখন বৈঠকে অংশ নেওয়া দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সব সদস্য টেবিল চাপড়ে তাকে সমর্থন জানান। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, লন্ডন বৈঠককে আমরা এখনও ইতিবাচক মনে করছি। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া, সাংগঠনিক কর্মকা- আরও ত্বরান্বিত করা, নির্বাচনের লক্ষ্যে সাংগঠনিক কাজকে এগিয়ে নেওয়া- এগুলোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হওয়ায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে। ওই বৈঠকে তারেক রহমান তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষের মনে আস্থার সঞ্চার করেছেন বলে মনে করছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। তারা আরও মনে করেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনগণের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষা ও দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন লন্ডন বৈঠকে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে শপথ ইস্যুতে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের আন্দোলনের বিষয়টি ভালোভাবে নেননি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। তারা মনে করেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের ফলপ্রসূ বৈঠকের পর ইশরাক হোসেনের এই আন্দোলন থেকে সরে আসা উচিত, আন্দোলন বন্ধ করা উচিত। কারণ লন্ডন বৈঠকের মধ্য দিয়ে নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট সংকট ও অনিশ্চয়তা কেটে যাওয়ার পাশাপাশি এক ধরনের স্বস্তিও ফিরে এসেছে জনমনে। একই সঙ্গে নির্বাচন ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কিছুদিন ধরে চলা বিএনপির টানাপড়েনেরও অবসান ঘটেছে। এমন অবস্থায় ইশরাকের শপথ ইস্যুতে আন্দোলন চলতে থাকলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে পারে। তা ছাড়া সিটি করপোরেশনের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। তাই সব দিক বিবেচনায় আন্দোলন থেকে এখন ইশরাকের সরে যাওয়া উচিত।

এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এটা (শপথ ইস্যুতে আন্দোলন) বিএনপির কোনো সিদ্ধান্ত না। ইশরাক ঢাকাবাসীকে নিয়ে এটা করছে। বিএনপির মধ্যে এটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, তা দেখতে হবে। সরকার যদি নির্বাচন বিষয়ে তার কথা না রাখে তাহলে তো বহু আন্দোলন করা যাবে। আমরা শেষ পর্যন্ত সরকারের অবস্থান ইতিবাচকভাবে দেখতে চাই।

বৈঠকে আরও অংশ নেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫