Logo
শিরোনাম

শব্দ দূষণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে এক কোটি মানুষ

প্রকাশিত:রবিবার ২০ অক্টোবর ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সারাদেশে বাড়ছে শব্দ দূষণ। তবে সবচেয়ে বেশি শব্দ দূষণে ভুক্তভোগী রাজধানীবাসী। গভীর রাতেও উচ্চ শব্দের আওয়াজ শোনা যায়। এতে  বিঘ্ন ঘটে ঘুমের। রাজধানীর বেশির ভাগ মানুষই শব্দ দূষণের শিকার। ঢাকা শহর হলো- বিশ্বের সবচেয়ে কোলাহলপূর্ণ শহরের একটি। যেখানে গড় শব্দের মাত্রা ১১৯ ডেসিবেল-এমনটাই জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক কান ও গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবির্ভাব নাহা।

একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক চিকিৎসক মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে প্রায় এক কোটি মানুষ শব্দ দূষণের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে আছে। অন্য এক গবেষণায় পাওয়া গেছে, প্রায় ৯১ শতাংশ মানুষ তাদের আশেপাশে শব্দ দূষণের সমস্যা অনুভব করেন। যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে

অপ্রয়োজনীয় শব্দ মানুষের সহনশীলতার মাত্রা ছাড়িয়ে বিরক্তি ঘটানো এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতিসাধন করাই হচ্ছে- শব্দ দূষণ। যানজট, গাড়ির হর্ন, কলকারখানা, রাজনৈতিক সমাবেশ, ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে তীব্র শব্দ উৎপত্তি হয়

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, আবাসিক এলাকায় নিরাপদ শব্দসীমা ৫৫ ডেসিবেল। বাণিজ্যিক ও যানজটপ্রবণ এলাকায় এই মাত্রা ৭০ ডেসিবেল। তবে বাস্তবতা হলো- হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো এলাকাতেও শব্দের দূষণে টিকে থাকা দায়। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, শব্দ ৭৫ ডেসিবেল অতিক্রম করলে ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। ১২০ ডেসিবলের উপরে বেদনাদায়ক হয়। দেশের শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা অনুসারে, রাজধানীর মিশ্র (আবাসিক ও বাণিজ্যিক) এলাকায় দূষণের সর্বোচ্চ মাত্রা ৬০ ডেসিবল

ট্রাফিক বিভাগ বলছে, সড়কে বিশৃ্খলার কারণেই শব্দ দূষণ বেশি হচ্ছে। একই সড়কে চলছে বাস, জিপ, রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি চালিত অটোরিকশা। শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন পরিকল্পিত নগর পরিকল্পনা

ঢাকা শহরে বিভিন্ন পয়েন্টে যেসব পুলিশ ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেন- এমন কয়েজন পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে এই প্রতিবেদকের। তারা জানিয়েছেন, উচ্চ শব্দের কারণে তারা নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝঁকিতে পড়ছেন। প্রতিনিয়ত অতি মাত্রার শব্দের মধ্যে থাকায় তাদরে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।

রমনা ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট রাকিব বলেন, শব্দ দূষণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি তো আছেই। কানে সমস্যা হচ্ছে, হার্ডে সমস্যা হচ্ছে। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। আমাদের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ৪০ ঊর্ধ্ব অনেকেই কিডনি, ডায়াবেটিস, কানে কম শোনা রোগে ভুগেন। 

মগবাজার-বাংলামোটর, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট এলাকায় শব্দ দূষণ বেশি হয় কেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, রাজধানীর এইসব স্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। ওপরে ফ্লাইওভার। এখানে রিকশা, মোটর সাইকেলের প্রচুর গেদারিং। ফলে শব্দ প্রচুর ব্রাইভেশন হয়। যা অসহনীয় ও বিরক্তিকর

ট্রাফিক পুলিশেল সার্জেন্ট ওয়াদুজ্জামান বলেন, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে জরুরি পরিকল্পিত নগর পরিকল্পনা। দেখেন, গুরুত্বর্পণ কিছু কিছু সড়কে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরগাড়ি একই সঙ্গে চলে। ফলে বাস, সিএনজি, মাইক্রোবাস, জিপ গাড়ির চলাচলে গতি কমে যায়। তখনই চালক অযাচিত হর্ন দেয়। আমি মনে করি, চালকদের সচেতন হওয়া জরুরি।

বেপরোয়া হর্ন ব্যবহারের কারণ হিসেবে অসচেতনতা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধার অভাবকে দেখছেন চালক ও সাধারণ মানুষ। চালকদের মতে, হর্ন বাজালেও পথচারীরা শুনতে পায় না। তারা ইচ্ছা মতো রাস্তায় চলাচল করে। রিকশা ও বাইকচালকরাও সড়কে বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী। তখন বাধ্য হয়ে হয়েই চালকরা হর্ন দেয়। শিগগিরই সড়কের বিশৃঙ্খলা বন্ধ করতে হবে

বেসরকারি চাকরিজীবী রণধীর বড়ুয়া নিয়মিত গাড়ি চালিয়ে অফিসে যাওয়া-আসা করেন। তিনি বলেন, যত্রতত্র হর্ন বাজার একটাই কারণ, আইনের প্রয়োগ নেই। রাতের বেলা আমি হর্ন দিই না। ইনডিকটর ব্যবহার করি। হর্ন রাস্তার বাঁকে ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। বিআরটির আইনেই আছে। আইনের সঠিক ব্যবহার থাকলে- এমনটা হতো না। 

চিকিৎসকরা বলেছেন, শব্দ দূষণের কারণে দুশ্চিন্তা, উগ্রতা, উচ্চ রক্তচাপ, টিন্নিটাস, শ্রবণশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাতসহ অন্যান্য ক্ষতিকর ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। এছাড়াও, অন্যান্য শারীরিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে স্মরণশক্তি হ্রাস, মানসিক অবসাদ ইত্যাদি হতে পারে। শব্দের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যাগুলির মধ্যে রয়েছে- স্ট্রেস সম্পর্কিত অসুস্থতা, উচ্চ রক্তচাপ, শ্রবণশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাত এবং উৎদনশীলতা হারাতে পারে।

প্রতিদিন কী পরিমাণ রোগী এই সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসেন- এমন প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক-কান ও গলা বিভাগের  ডা: মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নিদিষ্ট ভাবে কোন তথ্য উপাত্ত পাই নি। তবে দেশে শব্দ দূষণ থেকে উদ্ভূত রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। 

চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, যাঁরা অতিরিক্ত শব্দ এলাকার মধ্যে বসবাস করেন, তাঁদের কানের নার্ভ ও রিসেপ্টর সেলগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ফলে মানুষ ধীরে ধীরে শ্রবণশক্তি হারাতে থাকে। মানুষ সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ ডেসিবল শব্দে কথা বলে। ৭০ ডেসিবল পর্যন্ত মানুষের কান গ্রহণ করতে পারে। ৮০-এর ওপরে গেলেই ক্ষতি শুরু হয়। প্রতিদিন ২ ঘণ্টা করে ৮৫ ডেসিবেল শব্দ যদি কোনো ব্যক্তির কানে প্রবেশ করে, তাহলে ধীরে ধীরে শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যায়। ১২০ ডেসিবল শব্দ সঙ্গে সঙ্গে কান নষ্ট করে দিতে পারে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক কান ও গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবির্ভাব নাহা বলেন, উচ্চ শব্দের এক্সপোজার টিনিটাসের কারণ হতে পারে, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানো, মেজাজ খিটখিটে করা এবং জীবনের মানকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। শব্দ এক্সপোজারের কারণে মনোযোগ হ্রাস পেতে পারে। যা পেশাগত দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হতে পারে। 

তিনি আরও জানিয়েছেন, শব্দ দূষণের কারণে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক মধ্যে বিরক্তি আসে। যার কারণে মাথা ব্যথা হয়। যা মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এতে দিন দিন মানুষের অসুস্থতা বাড়ছে


আরও খবর

ঢাকায় নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তি

শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪




নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ শ্রমিক দগ্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাট এলাকায় একটি কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার সকালে সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধদের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন বিপ্লব (২৮), আরিফ (১৭), হাসান (২২), শাওন (২৪), হোসাইন (১৮), চঞ্চল (২৬), তামজিদ শেখ (৪০), তন্ময় (২৫), নুর ইসলাম (২৩) এবং আল-আমিন (২৪)।

শ্রমিকরা জানান, সকালে কারখানার ইউনিট ওয়ানে অ্যারোসল ও এয়ার ফ্রেশনার তৈরির কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। হঠাৎ সেখানে বিস্ফোরণ হয়। এতে আশপাশে থাকা ১১ শ্রমিক দগ্ধ হন। সঙ্গে সঙ্গে কারখানার অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

কারখানার সিকিউরিটি ইনচার্জ মোর্শেদ আলম বলেন, এয়ার ফ্রেশনারের বোতলে গ্যাস ভরার সময় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে ১১ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কার কত শতাংশ পুড়ে গেছে, তা কিছুক্ষণ পর জানানো যাবে।


আরও খবর



রেকর্ডসংখ্যক ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল করল কুয়েত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কুয়েত ৯৩০ জন ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।বিভিন্ন অপরাধমূলক তৎপরতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা এবং জালিয়াতির মাধ্যমে নাগরিকত্ব অর্জনের জেরে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। এই ব্যক্তিদের সবাই অভিবাসী হিসেবে দেশটিতে গিয়েছিলেন।

কুয়েতের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফাহাদ আল ইউসেফ আজ সোমবার এক ব্রিফিংয়ে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গত বৃহস্পতিবার এই ৯৩০ জনের নাগরিকত্ব বাতিল সংক্রান্ত যাবতীয় নথি চূড়ান্ত করে মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়েছে। সভার পরবর্তী বৈঠকে সেসবকে পর্যালোচনা ও অনুমোদন শেষে স্বাক্ষর করা হবে।

নথিপত্র স্বাক্ষর হওয়ামাত্র নাগরিকত্ব বাতিল হবে তাদের। বস্তুত দেশটির ইতিহাসে এই প্রথম একদিনে এতসংখ্যক ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল হচ্ছে। এর আগে গত ২০ অক্টোবর একদিনে ৪৮৯ জন ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল করেছিল কুয়েতের সরকার। এতদিন পর্যন্ত এটিকেই এক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিলের রেকর্ড বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

সোমবারের ব্রিফিংয়ে ফাহাদ আল ইউসেফ বলেন, “নথিতে যাদের নাম এসেছে, তারা প্রত্যেকেই কুয়েতের আইন অনুসারে বড় মাত্রার অপরাধী। যদি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতেও অপরাধমূলক তৎপরতা চলতে থাকবে এবং এটা আমরা হতে দিতে পারি না।”

তবে তিনি জানিয়েছেন, যাদের নাগরিকত্ব বাতিল হচ্ছে বা হওয়ার মুখে রয়েছে— তারা চাইলে সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ লক্ষে ইতোমধ্যে নাগরিকত্ব সংক্রান্ত জেনারেল ডিরেক্টোরেটের অধীনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং নাগরিকত্ব বাতিলের শিকার ব্যক্তিরা চাইলে নির্দিষ্ট সময়েসীমার মধ্যে আবেদন করতে পারবেন।

“আমরা কারো সঙ্গে অবিচার করতে চাই না। আমরা শুধু চাই কুয়েত এবং কুয়েতের জনগণের নিরাপত্তা।”

মাত্র ১৭ হাজার ৮১৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশ কুয়েতের জনসংখ্যা ৪৯ লাখ। এ জনসমষ্টির অর্ধেকেরও বেশি অভিবাসী এবং তাদের অনেকেই দেশটির নাগরিকত্ব নিয়েছেন।

তবে অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় কুয়েতের আদি অর্থাৎ আরব বংশোদ্ভূত নাগরিকরা সংয়খ্যালঘু ও কোনঠাসা অবস্থায় পৌঁছাচ্ছেন বলে মনে করছে দেশটির সরকারি প্রশাসন। এ কারণে গত দু-তিন বছর ধরে অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি দেশটির সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। গত দু’বছরে শত শত অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে কুয়েত।


আরও খবর



সংস্কার শেষে নির্বাচন কোনো যৌক্তিক কথা নয়

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সংস্কার শেষে নির্বাচন কোনো যৌক্তিক কথা নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এটি কখনো থেমে থাকে না। শুধুমাত্র সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন ততটুকু করে নির্বাচন দেওয়া উচিত। সংস্কার শেষে নির্বাচন কোনো যৌক্তিক কথা নয়।

রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে ঢাকা বিভাগের বিএনপির নেতাদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রশ্ন তুলে মঈন খান বলেন, সংস্কারের রূপরেখা দুই বছর আগেই ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজকে যারা সংস্কারের কথা বলছেন তারা আগের আন্দোলন সংগ্রামে সময় কোথায় ছিলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের কর্তৃত্ব একক কোনো দলের নয় এ বিপ্লবে সবার সমর্থন ছিল।

মঈন খান বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় সুমন হত্যাকান্ডে জড়ীতদের আটক ও বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর কম্পিউটার ব্যবসায়ী যুবক সুমন হোসাইন (২৩) কে হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক বিচার দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ সহ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর দুপুরে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর শহরের চৌ-রাস্তামোড়ে এসব কর্মসূচি পালন করেন ছাত্র-জনতা। সড়ক অবরোধ করায় ২ ঘণ্টাব্যাপী সড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এক পর্যায়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলীমুজ্জামান মিলন ও থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ এনায়েতুর রহমান পৌছে আন্দোলন কারীদের আসস্ত করেন যে, দ্রুত সুমন হোসাইন হত্যার সাথে জড়িতদের আটক পূর্বক আইনের আওতায় নেওয়া হবে।  ইতি মধ্যেই প্রশাসন কাজ করছে এমন আশ্বাস পাওয়ার পর অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। সুমন হোসাইন হত্যার মূল বুলবুলসহ অজ্ঞাত সকল জড়িত আসামীকে সনাক্ত করা সহ আইনের আওতায় এনে বিচার দাবিতে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত সুমন হোসাইন এর বোন মৌসুমি আক্তার, উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সদস্য মারুফ মোস্তফা ও মেহের রাব্বি, জামায়াত নেতা আখতার ফারুক প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, দ্রুত সকল জড়ীত আসামীদের আটক করতে হবে। আটক না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন ছাত্র-জনতা বলেও ঘোষণা দেন এসময় বক্তারা। এক পর্যায়ে পরবর্তীতে আরো তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কর্মসূচিতে অংশ নিতে অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন ছাত্র-জনতা।

অপরদিকে, সুমন হোসাইন হত্যার বিচার দাবিতে নজিপুর বাসস্ট্যান্ড বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এজেড মিজান এর ডাকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুপুর ১টা হতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জরুরি ছাড়া সকল দোকানপাট বন্ধ ছিলো। পরে বেলা ২টারদিকে নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও ৩টায় উপজেলা প্রশাসন বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, গত রবিবার ১৭ নভেম্বর সুমন হোসাইন পার্শ্ববর্তী মহাদেবপুর উপজেলার থেকে ঋণ পরিশোধ করার জন্য ১০ লাখ টাকা নিয়ে একটি সিএনজি যোগে ফেরার পথে পত্নীতলা উপজেলায় নাদৌড় মোড় এলাকায় পৌছালে দূর্বত্তের হামলার শিকার হোন। এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিলে সে অন্ধকারে গিয়ে জীবন বাঁচানোর জন্য ফেসবুক লাইভে আকুতি-মিনতি করেন। এরি মাঝে ঘটনাস্থলে লোকজন এগিয়ে গেলেও তার পূর্বেই সুমন হোসাইনের কাছ থেকে মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নিয়ে সুমন হোসাইন কে গাছে ঝুঁলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। হত্যাকান্ডের শিকার 

সুমন হোসাইন হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বিলছাড়া গ্রামের মৃত ময়েন ও শাহিদা বেগম এর ছেলে। সে নজিপুর বাসস্ট্যান্ড মসজিদ মার্কেটের সুমন কম্পিউটার নামক প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা'র) পত্নীতলা উপজেলা শাখার উন্যতম সদস্য এবং নজিপুর সরকারী কলেজের ডিগ্রি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এঘটনায় সুমন হোসাইন এর বোন মৌসুমি আক্তার বাদী হয়ে ১৮ নভেম্বর রাতে গাহন গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে বুলবুল ইসলাম (৩৫) সহ অজ্ঞাত আরো ৯-১০ জনকে আসামী করে পত্নীতলা থানায় মামলা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন, পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ এনায়েতুর রহমান।


আরও খবর



শীতের তীব্রতা বেড়েছে , তাপমাত্রা ১৫.৬ ডিগ্রি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা আরও কমে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পথঘাট ও প্রকৃতি। গত এক সপ্তাহ ধরে ১৭ ডিগ্রি থেকে ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে তাপমাত্রা।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দিনের বেলা তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতে থাকে। এ সময় ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে বিস্তীর্ণ এলাকা। শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে বিলম্বে যাতায়াত করছে। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

অন্যদিকে, কুয়াশা ও শীতের কারণে ক্ষেতমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছে। তারা সময়মতো কাজে যেতে পারছে না। শীতের কবলে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের হতদরিদ্র মানুষগুলো।

কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের আবু সাঈদ বলেন, ৫-৬ দিন থেকে শীত ও ঠান্ডা অনেক বাড়ছে। রাতে বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে কুয়াশা। ঠান্ডা ও শীতের কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তারপরেও সকালে কাজের জন্য বের হয়েছি। কাজ না করলে তো আর সংসার চলবে না।

ওই এলাকার দিনমজুর নামদেল বলেন, আজ খুব কুয়াশা পড়ছে। মানুষ ঘুম থেকে না উঠতেই আমরা কাজের জন্য বের হয়েছি। যতই শীত বা ঠান্ডা হোক না কেন, কাজ ছাড়া কোনো উপায় নাই আমাদের।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, চলতি মাসের শেষে অথবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হিমেল বাতাস বইতে পারে। তখন ঠান্ডার তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর