Logo
শিরোনাম

শবে বরাতের সমর্থনে ২২ সহিহ হাদীস নিম্নে পেশ করছি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

নিজে পড়ুন ও শেয়ার করুন :

(১)

উম্মুল মুমীনিন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, 

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তুমি কি এ রাত তথা শাবানের ১৫তম রজনী সম্পর্কে কিছু জান? তিনি আরজ করলেন এ রাতে কি রয়েছে? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, এ রাতে যে সকল বনী আদম জন্মগ্রহন করবে তাদের নাম চূড়ান্ত করা হবে আর যে সকল বনী আদম মৃত্যুবরন করবে তাদের নামও লিপিবদ্ধ করা হবে। এ রাতে তদের পুরো বছরের আমলসমূহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে পেশ করা হবে আর এ রাতে তাদের রিজিক/জিবিকা নির্ধারণ করা হবে। অতপর তিনি আরজ করলেন, নিশ্চই আল্লাহর অনুগ্রহ ব্যতীত কেও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা, 

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, নিশ্চই আল্লাহর অনুগ্রহ ব্যতীত কেও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা তিনি এ বাক্য তিনবার বলেন। অতপর তিনি আরজ করলেন, আপনিও হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম স্বীয় হাত মুবারক মাথা মুবারকের উপর রেখে ইরশাদ করেন, নিশ্চই আমি আল্লাহর রহমতের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ করব। এ বাক্য তিনি তিনবার ইরশাদ করেন।

বায়হাক্বী শরীফ-দাওয়াতে কবীর হাদীস নং-৫৩০;

মিশকাত শরীফ-১১৫ পৃঃ হাদীস নং-১৩০৫


(২)

উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা

রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেনন,

একরাতে আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি

ওয়াসাল্লামকে ঘরে পেলামনা বা তাঁর খোঁজে বের

হলাম। তখন দেখলাম তিনি জান্নাতুল বাক্বী কবরস্থানে আসমানেকে মাথা মুবারক উত্তোলন করে অবস্থান করছেন। আমাকে সেখানে দেখে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বললেন- হে আয়েশা! তুমি কি এ ভয় করছ যে, আল্লাহ তাঁর রসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম তোমার প্রতি অবিচার করবে? তিনি আরজ করলেন আপনি বলছেন, এমন কিছু আসলে আমার মনে নেই বরং; আমি ধারণা করেছি যে, আপনি আপনার কোন স্ত্রীর হুজরায় তাশরীফ নিয়েছেন। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করলেন- নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা শা’বানের পনেরতম রাতে প্রথম আসমানে তাশরীফ আনেন। অতঃপর বনী ক্বলব এর মেষগুলোর লোম এর সংখ্যার চেয়েও অধিক

বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।

ইবনে মাজা শরীফ,হাদীস নং-১৩৮৯;

জামে আত তিরমিযি-৭৩৯;

মুসনাদে আ’ব্দ বিন হুমায়দ-১৫০৯;

মুসান্নাফে আবী শায়বাহ-২৯৮৫৮;

মুসনাদে আহমদ-২৬০১৮,২৬০৬০;

বায়হাক্বী ফাজায়িলুল আওকাত-২৮;

শো’আবুল ঈমান-৩৫৪৩,৩৫৪৪,৩৫৪৫;

আন নুযুল দারে ক্বুতনী-৯০;

বগভী শরহুস সুন্নাহ-৯৯২;

সুয়ুতী তাফসীরে দুররে মানসুর, সুরদুখান-৭:৪০২;

তাফসীরে রূহুল মা’আনী, 

সুরা দুখান ১৮:৪২৩/১৩:১১০;

তাফসীরে কাশশাফ, সুরা দুখান, ৪:২৭০; 

তাফসীরে কবীর, সুরা দুখান ২৭:৬৫৩


(৩)

হযরত আলী ইবনে আবী তালিব রাদ্বিল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি অয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,যখন শাবানের পনেরতম রাত হয়, তখন তোমরা রাতে নামাজ পড় এবং রোজা রাখ। কেননা ঐ দিন সূর্যাস্তের সময় আল্লাহ

তা’আলা প্রথম আসমানে তাশরীফ এনে বান্দাদের উদ্দেশ্যে বলেন- ক্ষমা প্রার্থনাকারী কেও আছ, আমি তাকে ক্ষমা করব, রিজিক আন্বেষণকারী কেও আছ, আমি তাকে রিজিক দিব, আসুস্থ কেও আছ আমি তাকে সুস্থতা দান করব, এভাবে অন্যান্য বিষয়েও বলতে থাকেন ফজর পর্যন্ত।

ইবনে মাজাহ ,হাদীস নং-১৩৮৮;

ফাকেহী আখবারে মক্কা-১৮৩৭,৩:৮৪;

বায়হাক্বী ফাজায়িলুল আওকাত-২৪;

শো’আবুল ঈমান-৩৫৪২;

মিশকাত শরীফ-১১৫ পৃঃ, হাদীস নং-১৩০৮; 

কানযুল উম্মাল-৩৫১৭৭;

তাফসীরে রূহুল মা’আনী,

সুরা দুখান,১৮:৪২৪/১৩:১১০;

তাফসীরে ক্বুরতুবী, সুরা দুখান ১৬:১২৭


(৪)

হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি

ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন- আল্লাহ তায়ালা

শাবানের পনেরতম রাতে স্বীয় সৃষ্টির প্রতি

রহমতের দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন এবং মুশরিক, হিংসুক ব্যতীরেকে সবাইকে ক্ষমা করেছেন।

তাবরানী মু’জামুল আউসাত হাদীস নং-৬৭৭৬;

মু’জামুল কবীর-২০:১০৮,২১৫,

মুসনাদে শামেয়ীন-২০৩,২০৫,৩৫৭০;

ইবনে আসেম আস সুন্নাহ-৫১২;

সহীহ ইবনে হিব্বান- ৫৬৬৫;

বায়হাক্বী ফাজায়িলুল আওকাত-২২;

শো’আবুল ঈমান হাদীস নং-৩৫৫২, ৬২০৪;

দারে ক্বুতনী আন নুযুল-৭৭;

হায়ছামী মাজমাউজ যাওয়ায়িদ-১২৯৬০;

আলবানী সহীহ আত তারগীব ওয়াত

তাহরিব-১০২৬,২৭৬৭;

সুয়ুতী তাফসীরে দুররে মানসুর, সুরা দুখান-৭:৪০৩,

কানযুল উম্মাল-৩৫১৮০


(৫)

হযরত আবু মুসা আশয়ারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বরনিত, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন- নিশ্চই আল্লাহ তা’আলা শাবানের পনেরতম রাতে সৃষ্টির প্রতি কৃপা দৃষ্টি দেন এবং সকলকে ক্ষমা করেন, মুশরিক এবং বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীরেকে।

ইবনে মাজা শরীফ হাদীস নং-১৩৯০;

ইবনে আসেম আস সুন্নাহ-৫১০;

বায়হাক্বী ফাজায়িলুল আওকাত-২৯;

দারে ক্বুতনী আন নুযুল-৯৪;

কানযুল উম্মাল-৩৫১৭৫;

আলবানী সহীহুল জামে-১৮১৯

হাদীসটি হাসান/ সহীহ লিগাইরিহি


(৬)

হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু

আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,যখন পনেরই

শাবানের রাত হয়, তখন আল্লাহ তায়ালা প্রথম

আসমানে তশরীফ আনেন এবং সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেন, মুশরিক ও অপর ভাইয়ের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত।

মুসনাদে বাযযার ১:২০৬, হাদীস নং-৮০;

ইবনে আসেম আস সুন্নাহ-৫০৯;

দারে ক্বুতনী আন নুযুল-৭৫,৭৬;

ইবনে খুযাইমাহ আত তাওহীদ-৪৮;

আলী মুরুযী মুসনাদে আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ)-১০৪;

আবু নুয়াইম তারিখে ইস্পাহান-২:২;

হায়ছামী মাজমাউজ যাওয়ায়িদ-১২৯৫৭;

সুয়ুতী তাফসীরে দুররে মানসুর, সুরা দুখান-৭:৪০৩


(৭)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- আল্লাহ তায়ালা

শ’বানের পনেরতম রাতে সিদ্ধান্তসমুহ চুড়ান্ত করেন এবং শবে ক্বদরে তা বাস্তবায়নকারী ফেরেশতাদের সোপর্দ করেন।

তাফসীরে খাজিন ৪র্থ খণ্ড,পৃষ্ঠাঃ১১২ /১১৬;

তাফসীরে বগভী আল ইহিয়ায়ুত তুরাস, ৪:১৭৪, 

সুরা দুখান; তাফসীরে ক্বুরতুবী, ১৬:১২৭, সুরা দুখান;

ইবনে আ’দিল আল লুবাব ফি উলুমিল কিতাব-১৭:৩১১


(৮)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন এমন পাঁচটি রাত আছে যে রাতগুলোয় দু’আ ফেরত হয়না। ওইগুলো হল- জুমু’আর রাত, রজব মাসের প্রথম রাত, শ’বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত এবং দুই ঈদের রাত অর্থাৎ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার রাত।

মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, 

কিতাবুস সিয়াম হাদীস নং-৭৯২৭;

বায়হাক্বী শো’আবুল ঈমান-৩৪৪০;

ফাজায়িলুল আওকাত-১৪৯


(৯)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু

হতে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু

আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা শা’বানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে স্বীয় মাখলুকের প্রতি রহমতের দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন। 

অতঃপর দু শ্রেণীর বান্দা ব্যতীত সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। তারা হল মুসলমান ভাইয়ের প্রতি হিংসা বিদ্বেষ পোষণকারী এবং অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যাকারী।

মুসনাদে আহমদ-৬৬৪২; আত তাগরীব;

হায়ছামী মাজমাউজ যাওয়ায়িদ-১২৯৬১; 

তাফসীরে রূহুল মা’আনী, 

সুরা দুখান,১৮:৪২৩/১৩:১১০


(১০)

হযরত কাসীর বিন মুররাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি

অয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- শাবানের মধ্য রাত্রিতে আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা মুশরিক ও কলহকারী ব্যতীত সকল দুনিয়াবাসীদের ক্ষমা করে দেন।

বায়হাক্বী শো’আবুল ঈমান হাদীস নং-৩৫৫০;

আলবানী সহীহ আত তারগীব ওয়াত তাহরিব-২৭৭০


(১১)

হযরত কাসীর বিন মুররাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- শাবানের মধ্য রাত্রিতে আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা আল্লাহ তায়ালা তাঁর সৃষ্টির প্রতি বিশেষ দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন এবং মুশরিক ও কলহকারী ব্যতীত সকল ক্ষমাপ্রার্থী দুনিয়াবাসীদের ক্ষমা করে দেন।

মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, কিতাবুস সাওম-৭৯২৩;

মুসান্নাফে আবী শায়বাহ-২৯৮৫৯; 

আন নুযুল দারে ক্বুতনী-৮২, ৮৩, ৮৪; 

বায়হাক্বী শো’আবুল ঈমান হাদীস নং ৩৫৫০, ৩৫৪৯


(১২)

হযরত আবু সা’অলাবা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে

বর্ণিত, 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- যখন পনেরই শাবানের রাত হয়,আল্লাহ তায়ালা তাঁর সৃষ্টির প্রতি বিশেষ দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন এবং মুমিনদের ক্ষমা করে দেন ও কাফিরদের অবকাশ দেন। আর হিংসা বিদ্বেষ পোষণকারীদের আহ্বান করেন অবকাশ দেন (তাওবার জন্য) যতক্ষণ তাদের হিংসার কারণে তারা তার নিকট তওবা না করে।

বায়হাক্বী শো’আবুল ঈমান হাদীস নং-৩৫৫১;

ইবনে আসেম আস সুন্নাহ-৫১০;

তাবরানী আল মু’জামুল কবীর ২২: ২২৩, ২২৪, 

হাদীস নং ৫৯০, ৫৯৩;

বায়হাক্বী আস সুনানুস সগীর-১৪২৬; ফাজায়িলুল আওকাত-২৩; দার ক্বুতনী আন নুযুল-৭৮,৮১;

হায়ছামী মাজমাউজ যাওয়ায়িদ ১২৯৬২; 

আলবানী সহীহ আত তারগীব ওয়াত তাহরিব ২৭৭১;

সহীহুল জামে ৭৭১;

সুয়ুতী তাফসীরে দুররে মানসুর, সুরা দুখান-৭:৪০৩,

কানযুল উম্মাল-৩৫১৮৩


(১৩)

হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যখন পনেরই শাবানের রাত হয়, তখন আল্লাহ তায়ালা সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেন, মুশরিক ও অপর ভাইয়ের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত।

মুসনাদে বাযযার ১৬:১৬১ হাঃনং-৯২৬৮;

হায়ছামী মাজমাউজ যাওয়ায়িদ ১২৯৫৮; 

নুজহাতুল মাজালিস ওয়া মুনতাখাবুন নাফাইস, বাব,ফাদলু শ’বান ওয়া ফাদলু সালাতুত তাসবীহ, ১:১৪৬/১:১৬১


(১৪)

হযরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত,

তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি

ওয়াসাল্লাম একদা রাতে সালাত আদায় করছিলেন। তিনি সিজদায় গিয়ে দীর্ঘ সময় সিজদায় থাকলেন। এমনকি আমার মনে হলো যে, তাঁর ওফাত হয়ে গেছে। আমি যখন এমনটি দেখলাম, তখন শোয়া থেকে উঠে তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম, ফলে তিনি নড়ে উঠলেন। তখন আমি (বিছানায়) ফিরে গেলাম। অতঃপর যখন তিনি সিজদা থেকে মস্তক উঠালেন এবং নামায শেষ করলেন তখন বললেন, হে আয়েশা, তুমি কি মনে করেছিলে যে নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম তোমার সাথে প্রতারণা করছেন? আমি বললাম, আল্লাহর শপথ, আমি এমনটি মনে করিনি। বরং আপনার দীর্ঘ সিজদার কারনে আমার মনে হয়েছে যে, আপনার ওফাত হয়ে গেছে। তখন তিনি বললেন, তুমি কি জান এটি কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম অবগত। তিনি বললেন এটি মধ্য শাবানের রাত। আল্লাহ তাআলা এ রাতে তার বান্দাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। যারা ক্ষমা প্রার্থনা করে তাদেরকে ক্ষমা করেন, যারা দয়া প্রার্থনা করে তাদেরকে দয়া করেন এবং যারা বিদ্বেষী তাদেরকে তাদের অবস্থাতেই রেখে দেন।

বায়হাক্বী শোয়া’বুল ঈমান-৩৬৭৫/৩৫৫৪;

ফাযায়িলুল আওকাত-২৬;

সুয়ুতী আদ দুররুল মান্সুর,সুরা দুখান,৭:৪০৩


(১৫)

হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, চারটি রাত এমন রয়েছে যেগুলোর ফযীলত তাদের দিনের ন্যায় দিনের ফযীলত রাতের ন্যায়। যাতে আল্লাহ তা’আলা বান্দাহদের কৃত ওয়াদা পূর্ণ করেন, তাঁর বান্দাদের মুক্ত করেন এবং অফুরন্ত নি’আমত প্রদান করেন। তা হল- কদরের রাত ও তার পরবর্তী দিন, আরাফার রাত ও তার পরবর্তী দিন, শাবানের মধ্য রাত্রি (শবে বরাত) ও তার পরবর্তী দিন, জুম’আর রাত ও তার পরবর্তী দিন।

দায়লামি, কানযুল উম্মাল-৩৫২১৪;

সুয়ুতী জামেউল আহাদীস-৩০৮০


(১৬)

হযরত উসমান বিন আবীল আ’স রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,তিনি বলেন-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,যখন পনেরই শাবানের রাত হয়,তখন আহবানকারী আহবান করবে এই বলে, আছে কেউ মুক্তিকামী গুনাহ হতে ? 

তাকে ক্ষমা করা হবে। কেউ আছে যে কিছু চাইবে তাকে

তা দান করা হবে। প্রত্যেক কামনাকারীকে প্রদান

করা হবে শুধুমাত্র মুশরিক ও ব্যভিচারকারী মহিলা ব্যতীত।

বায়হাক্বী শো’আবুল ঈমান হাদীস নং-৩৫৫৫;

ফাজায়েলু আওকাত-২৫;

কানযুল উম্মাল-৩৫১৭৮;

সুয়ুতী তাফসীরে দুররে মানসুর, সুরা দুখান-৭:৪০৩


(১৭)

আতা বিন ইয়াসার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, শা’বানের মধ্য রজনীতে (শবে বরাতে) মানুষের হায়াত পূর্ণ করা হয়। অথচ লোকটি ভ্রমণকারী হিসেবে বের হয়েছে, এমতাবস্থায় তার হায়াত পূর্ণ করা হয়েছে এবং মৃত্যু তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং বিবাহ করেছে এমতাবস্থায় তার হায়াত শেষ করা হয়েছে ও মৃত্যু তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ জীবন, মৃত্যু ইত্যাদি এ রাতে নির্ধারিত হয়।

মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, কিতাবুস সাওম-৭৯২৫;

সুয়ুতী তাফসীরে দুররে মানসুর, সুরা দুখান-৭:৪০৩


(১৮)

হযরত ইকরামা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,

তিনি সুরা দুখানের আয়াত (এ রাতে প্রত্যেক

প্রজ্ঞাপূর্ণ কাজের ফয়সালা দেওয়া হয়।

আয়াত-৪)এর তাফসীরে বলেন, শাবানের মধ্য

রজনীতে আল্লাহ তায়ালা পরবর্তী বছরে যে সকল

ঘটনা সংগঠিত হবে (বাজেট) তা লিপিবদ্ধ করবেন যারা মৃত্যু বরণ করবে তাদের মধ্য থেকে কারো কারো হায়াত বৃদ্ধি করা হবে এবং যারা আল্লাহর পবিত্র গৃহের তাওয়াফ করবে অর্থাৎ হজ্জ্ব আদায় করবে তাদের নাম লিপিবদ্ধ করা হবে। অতঃপর দের মধ্যে কোন কিছু বৃদ্ধি পাবে না এবং তাদের মধ্য হতে কমতিও হবে না।

সুয়ুতী আদ দুররুল মান্সুর,সুরা দুখান,৭:৪০১; 

শিহাব উদ্দীন আলুসী রুহুল মা’আনী, 

সুরা দুখান,১৩:১১২/ ১৮:৪২৭;

ইবনে জারীর তাবারী তাফসীরে ত্ববারী

জামেউল বয়ান, সুরা দুখান,২২:১০;

তাফসীরে সা’লাবী ৮:৩৪৯;

তাফসীরে বগভী, সুরা দুখান ৪:১৭৩;

তাফসীরে মাযহারী ৮:৩৬৮


(১৯)

উসমান বিন মুগীরাহ বিন আখফাশ রাদ্বিয়াল্লাহু

আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ

সাল্লাল্লাহু আলায়হি অয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

শবে বরাতে এক শা’বান হতে আর এক শা’বানের

মধ্যকার হায়াত কর্তন করা হয়। অথচ মানুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় সন্তান সন্ততি জন্ম দেয়

এমতাবস্থায় তার নাম মৃত্যুর তালিকায় নেয়া হয়।


(হাদিসটি হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতেও বর্ণিত হয়েছে।)

বায়হাক্বী শো’আবুল ঈমান হাদীস নং-৩৫৫৮;

শিহাব উদ্দীন আলুসী রুহুল মা’আনী, 

সুরাদুখান,১৩:১১২/১৮:৪২৭;

ইবনে জারীর তাবারী তাফসীরে ত্ববারী জামেউল বয়ান, সুরা দুখান,২২:১০;

কানযুল উম্মাল-৪২৭৮০;

তাফসীরে সা’লাবী ৮:৩৪৯;

তাফসীরে খাজিন ৪:১১২/১১৬;

শওকানী ফাতহুল ক্বাদীর, সুরা দুখান,৪:৬৫৫; 

সুয়ুতী জামেউল আহাদীস-১০৯১৭;

দায়লামী ২:৭৩-২৪১০;

তাফসীরে বগভী সুরা দুখান ৪:১৭৪;

তাফসীরে মাযহারী ৮:৩৬৮

সুয়ুতী আদ দুররুল মান্সুর, সুরা দুখান,৭:৪০১;

শওকানী ফাতহুল ক্বাদীর, সুরা দুখান ৪:৬৫৫; 

মুসনাদে দায়লামী-২৪১০


(২০)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়ায়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, শা’বানের মধ্য রজনীতে যাবতীয় বিষয়ের ফয়সালা করা হয় এবং উহা রমযানের ২৭ তারিখ ক্বদরের রাতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের দায়িত্বশীলদের নিকট সোপর্দ করা হয়।

শিহাব উদ্দীন আলুসী রুহুল মা’আনী,

সুরা দুখান,১৩:১১২/১৮:৪২৭


(২১)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়ায়াল্লাহু

আনহু হতে বর্ণিত, নিশ্চই আল্লাহ্ তা’আলা


শা’বানের মধ্য রজনীতে যাবতীয় বিষয়ের ফয়সালা করেন এবং উহা ক্বদরের রাতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের দায়িত্বশীলদের নিকট সোপর্দ করেন।

তাফসীরে বগভী, সুরা দুখান ৪:১৭৪;


তাফসীরে খাযিন, সুরা দুখান ৪:১১৬,

আল লুবাব ফি উলুমিল কিতাব ১৭:৩১১; 

তাফসীরে মাযহারী ৮:৩৬৮


(২২)

হযরত আবু উমামাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,তিনি বলেন এমন পাঁচটি রাত আছে যে রাতগুলোয় দু’আ ফেরত হয়না। ওইগুলো হল-জুমু’আর রাত,রজব মাসের প্রথম রাত,শ’বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত এবং দুই ঈদের রাত অর্থাৎ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার রাত।

সুয়ুতী জামেউল আহাদীস-১১৯৭৯; দায়লামী


আরও খবর

রোজা রাখার বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫




আমতলীতে মাজার ভেঙে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

বরগুনার ইসমাইল শাহ মাজারে বাৎসরিক ওরশ চলাকালে মাজার ভেঙে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তৌহিদি জনতা। প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। আগুনে মাজারের ভিতরের সামিয়ানা ও দুইটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বিক্ষুব্ধ তৌহিদি জনতার হামলায় অন্তত ১৮/২০জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েক জনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনা ঘটেছে আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় রবিবার রাত সোয়া ১২ টার দিকে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত পৌনে তিনটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় ১৯৯৬ সালে ইসমাইল শাহ মাজার স্থাপন করা হয়। ওই সময় থেকে মাজার কর্তৃপক্ষ দুইদিন ব্যাপী ওরশ উৎযাপন করে আসছেন। ২৮তম ওরশ রবিবার সন্ধ্যায় শুরু হয়। ওইদিন তৌহিদি জনতা মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী নেতৃত্বে তাদের শতশত সর্মাথক তৌহিদি জনতা এসে মাজার পুজা ও গান বাজনা বন্ধ করতে বলেন।

কিন্তু মাজারের খাদেম অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ওরশ বন্ধে অপরগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্য দ্বন্দ্ব হয়। এক পর্যায় তৌহিদি জনতা লাঠি সোটা নিয়ে মাজার ভাংচুর করে এবং আগুন দেয়। এতে ওই ওরশে আসা শতশত ভক্ত ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন।

ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে মাজারের দুইটি বৈঠকখানা ও মাজারের মধ্যে সামিয়ানা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে অন্তত ১৮/২০ জন আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে সোলায়মান (৩৮), রেজাউল (১৮), বাদল মৃধা (৪০), দুলাল মৃধা (৪২), আবু বকর (২৯), আবুল হোসেন (২৮), আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৮), মো. মামুন (৪৩), আবুল কালাম (৪২), জোবায়ের (১৯) ও ফজলুল করিম (২৭) কে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, শতশত তৌহিদি জনতা­ লাঠি সোঠা নিয়ে এসে মাজার ভাংচুর করে। পরে মাজারে আগুন দেয়। এ সময় ওরশে আসা শতশত ভক্তবৃন্দ ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ধাউ ধাউ করে জ্বলতে থাকে। মানুষ দিক বেদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন।

ইসমাইল শাহ মাজারের খাদেম অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদীর নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক লাঠি সোঠা নিয়ে এসে অতর্কিতভাবে মাজারে হামলা চালায় এবং আগুন দেয়। এতে মাজারের ভিতরের গিলাব এবং দুটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, তারা ভক্তবৃন্দকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।

মুফতি ওমর ফারুক জেহাদী বলেন, এ মাজারটি ভন্ডের আস্তানা। এখানে ওরশের নামে গানবাজনা ও গাজা মাদক সেবন ও নারীর আসর বসে। আর মাজারটির ভক্তবৃন্দ মহিলারা পীরের কবরে ও প্রধান খাদেম অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের পায়ে সেজদা দেয়। ওরসে নারী পুরুষদের গান বাজনাও চলে প্রকাশ্যে। যা সম্পুর্ণ ইসলাম বিরোধী। আমার মাজারের খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে এই রমজান মাসে অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছিলাম কিন্তু তিনি তা না শুনে তার নির্দেশে তার ভক্তবৃন্দেরা আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। এই ভন্ড মাজারের খাদেম বাবুল ও তার দোসরদের শাস্তি দাবী করছি।

আমতলী ফায়ার ষ্টেশনের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হানিফ বলেন, দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত ২ টা ৩৫ সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগুনে মাজারের ভেতরের সামিয়ানা ও দুই ঘর পুড়ে গেছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অঅইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তারেক হাসান ও ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারা বলেন আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



ইসলামি রীতিতে দাফন চান কবীর সুমন

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

পশ্চিবঙ্গের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। পাঁচ বছর আগে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। তবে সম্প্রতি এই গায়ক জানালেন, সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে কবীর সুমন লিখেছেন, রমজান মোবারক। সবাইকে জানাতে চাই-কিছুকাল আগে এই ফেসবুকেই ঘোষণা করেছিলাম, আমি আমার দেহদান করেছি, কোনো ধর্মীয় শেষকৃত্য আমি চাই না। অনেক ভেবে আমি সেই সিদ্ধান্ত পাল্টালাম। দেহদানের ইচ্ছা প্রত্যাহার করছি আমি। আমার দেহ আমি দান করব না।

কবীর সুমন লিখেছেন, আমি চাই, আমায় এই কলকাতারই মাটিতে, সম্ভব হলে গোবরায়, ইসলামি রীতিতে কবর দেওয়া হোক। এটাই আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আমার কতিপয় স্বজনকে এটা জানিয়ে দিলাম। আমার এই ঘোষণা বিষয়ে কারও মত বা মন্তব্য চাই না। সকলের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট দিতেই সেখানে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। অনেকেরই মতে কবীর সুমন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবার অনেকে ঈশ্বরের কাছে তার দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন। কবীর সুমন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন অনেক বছর আগেই। সেই কারণেই তিনি চান, ইসলামীয় রীতি মেনে তার শেষকৃত্য করা হোক। চিরকাল তিনি কাটিয়েছেন কলকাতাতেই। সেই কারণেই তিনি চান, কলকাতার মাটিতেই বিলীন হয়ে যাক তার নশ্বর দেহ। তবে অনুরাগীদের কথা, তার এই ইচ্ছা পূরণ হলেও তা যেন হয় অনেক বছর পরে।

সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় এক তরুণীর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন কবীর সুমন। সেই তরুণী ছিল কবীর সুমনের ছাত্রী। পরে জানা গিয়েছিল, সৌমী অনেকটাই সময় কাটান কবীর সুমনের বাড়িতে। ছবির ক্যাপশানে সৌমীকে ভ্যালেন্টাইন বলে উল্লেখ করেছিলেন কবীর সুমন। তবে পরে তিনি বলেন, সৌমীর সঙ্গে তার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই।

কবীর সুমনের নাম ছিল সুমন চট্টোপাধ্যায়। ধর্মান্তরিত হয়ে কবীর সুমন নাম ধারণ করেন। তার জন্ম ভারতের ওডিশা রাজ্যে, ১৯৪৯ সালের ১৬ মার্চ।


আরও খবর



নিখোঁজ ৩৩০ জনের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

গুমের শিকার হওয়ার পর এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি এমন ব্যক্তির সংখ্যা ৩৩০। তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে জানিয়েছেন গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতি অসরপ্রাপ্ত বিচারক মইনুল ইসলাম চৌধুরী। রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঘুমের শিকার হয়ে ফিরে না আসা ৩৩০ জন ব্যক্তির অবস্থান বা ভাগ্য সম্পর্কে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

দেশ থেকে গুম হওয়া কোনো ব্যক্তি ভারতের কারাগারে আছে কিনা তা অনুসন্ধান করে দেখবে গুম সংক্রান্ত কমিশন। ইতিমধ্যে ভারতের কারাগারে থাকা বাংলাদেশি বন্দিদের তালিকা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারত এক হাজার ৬৭ জনের বন্দির তালিকা দিয়েছে। সেই তালিকায় গুম হওয়া কোনো ব্যক্তি আছে কিনা তা মিলিয়ে দেখছে কমিশন।

বিচারপতি (অব.) মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের কারাগারে বন্দি বাংলাদেশি নাগরিকদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। ভারত এক হাজার ৬৭ জনের একটি তালিকা দিয়েছে, সেটি গুম সংক্রান্ত কমিশন মিলিয়ে দেখছে, সেই তালিকায় গুম হওয়া কোনো ব্যক্তি আছে কি না, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এই তালিকা ভারত আরও দেবে।

এর আগে তিনি বলেন, ধামরাই থেকে গুম হওয়া মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ নামের এক ব্যক্তিকে গত ২২ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ ইন করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিশন অনুসন্ধান করছে।

তবে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলার পুলিশ সুপার ও বিজিবির সেক্টর কমান্ডারদের কাছ থেকে আগস্টের পর ভারত বাংলাদেশে পুশইন করা ব্যক্তিদের তথ্য চাওয়া হলে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ হতে ১৪০ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এই তথ্যের প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে কোনো গুমের শিকার ব্যক্তির নাম এখনো পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, কমিশনে ১ হাজার ৭৫২টি অভিযোগ জমা পড়েছে, যার মধ্যে ১০০০টি অভিযোগ ও তার সঙ্গে সংযুক্ত কাগজপত্রের যাচাই-বাছাই প্রাথমিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কমিশনে ২৮০ জন অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রায় ৪৫ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




প্রবাসীদের জন্য 'প্রক্সি' ভোটের বিকল্প দেখছেন না ইসি

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর কাছে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন ভবনে ওআইসিভুক্ত মিশন প্রধানদের মধ্যে ১০টি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন, তিন নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন।

এ বৈঠকে আলজেরিয়া, ব্রুনাই, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মরক্কো, পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সক্ষমতা বাড়ানো, অভিজ্ঞতা ও পারস্পরিক মতবিনিময়ের বিষয়ে প্রতিনিধিদের সহায়তা চেয়েছে কমিশন।

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, উন্নয়ন সহযোগী দেশ বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করা হচ্ছে, মতবিনিময় হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশে ওআইসিভুক্ত দেশের মিশনপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

তিনি বলেন, তারা আজ আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আমাদের বর্তমান কার্যক্রম, গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে সব কাজ হাতে নিয়েছি সেসব অবহিত করেছি। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা আশা করেছি।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য যে ভোটিং পদ্ধতিই ভবিষ্যতে নির্ধারণ করুন না কেন তাদের অভিজ্ঞতা জানতে চেয়েছে ইসি। এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রবাসী ভোট সংক্রান্ত তারা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। বিশেষ করে কোনো কোনো রাষ্ট্রদূত সহযোগিতার বিষয়ে তাদের আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং অবজারভার টিম পাঠানোর জন্যও বলেছেন। আমরা স্বাগত জানিয়েছি এবং যথাসময়ে এগুলো ফরমালাইজ করব।

তিনি জানান, ইসির বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি, পরিকল্পনা প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে সবাই আগ্রহী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রবাসীদের ভোটে প্রক্সি ভোটিং নিয়ে অনেকের সংশয়ের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, তিন ধরনের মেথডে আমরা কোনোটাকেই প্রায়োরিটিতে আনিনি। তিনটি মেথডকে (অনলাইন, পোস্টাল ব্যালট ও প্রক্সি ভোটিং) শর্ট লিস্ট করেছি।

পোস্টাল ও অনলাইন বিষয়ে তিনি জানান, পোস্টাল ব্যালটটা বর্তমানে অকার্যকরী। অনলাইন পদ্ধতি নিয়ে আজও তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মিশরের রাষ্ট্রদূত জানালেন তাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়, তারা চালু করে অনলাইন ভোট বন্ধ করে দিয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিনিধি বলেছেন, তাদের প্রাথমিক অভিজ্ঞতা ভালো, পূর্ণাঙ্গভাবে অনলাইনে চালুর অবস্থানে নেই তরা।

প্রক্সি ভোটিং এর বিষয়ে কয়েকটি দেশের অভিজ্ঞতা এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের দেশে শারীরিক প্রতিবন্ধীরা আরেকজনের সহায়তা নিয়ে ভোট দিয়ে থাকেন। জমি জমাও পাওয়ার অব এটর্নির মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। আমাদের এখন মন্দের ভালো খুঁজে বের করতে হবে। আমরা যদি সত্যিকার অর্থে আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে চাই তাহলে কোনো না কোনো একটা অপশন বা সব অপশনের কম্বিনেশন আমাদের নিতে হবে।

তিনি বলেন, বড় পরিসরে আমাদের প্রবাসীদের ভোট দেওয়াতে চাইলে প্রক্সি ভোটিং ছাড়া আর কোনো বিকল্প আছে বলে মনে হয় না। কারণ, বাকি যে দুটো বিকল্প রয়েছে এগুলো নিয়ে পাইলটিং পর্যায়ে যাওয়া যাবে, লার্জ স্কেলে ডেপ্লয় হয়ত করা যাবে না।

তিনি জানান, আগামী এপ্রিলের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করার পর চূড়ান্ত পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে ইসি।

বৈঠক শেষে ওআইসি প্রতিনিধিদের পক্ষে বাংলাদেশস্থ মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুহাদা ওথমান কথা বলেন। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের একটি বড় সংখ্যক প্রবাসী বসবাস করছেন। এ সরকারের অধীনে সরকারের নির্বাচনী সংস্কার- সব সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করছে মালয়েশিয়া। আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ারে আগ্রহী, বিশেষ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বিদেশি কর্মীদের বিষয়ে।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




পতিত স্বৈরাচারের বিপুল বিনিয়োগে দেশে নৈরাজ্য

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পতিত স্বৈরাচার বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আমাদের এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, সম্প্রতি নারীদের ওপর যে জঘন্য হামলার খবর আসছে, তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ এর যে স্বপ্ন আমরা দেখছি তার সম্পূর্ণ বিপরীত। আমরা এই ‘নতুন বাংলাদেশে’ নারী-পুরুষ সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা আমাদের সব শক্তি প্রয়োগ করে এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করব।

দেশের সব মানুষকে নিয়ে নারীবিরোধী শক্তির মোকাবিলা করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নারীবিরোধী যে শক্তি মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাকে আমরা দেশের সকল মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অবশ্যই মোকাবিলা করব। তাছাড়া, আমাদের সমাজে এখনও এমন বহু মানুষ আছে যারা নিপীড়িত নারীদের পাশে দাঁড়ানোর বদলে তাদের খাটো করে দেখে, অবজ্ঞার চোখে দেখে। অথচ নারীর প্রতি সহিংসতা, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করতে হলে, বৈষম্যহীন, সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে নারীর পাশে দাঁড়ানোর, তাদেরকে সমর্থন জানানোর, কোনো বিকল্প নেই। আমাদের সমাজে নারীকে খাটো করে দেখার এই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। তা না হলে আমরা জাতি হিসেবে এগোতে পারব না।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদের এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারীরা বিভিন্ন সময়ে আমাকে তাদের সংগ্রাম ও আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছে। আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, নারীদের অংশগ্রহণ ও তাদের অধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া তা সম্ভব হবে না। এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নারীদের সাথে পুরুষদেরও সহযোদ্ধা হয়ে কাজ করতে হবে।

সমাজে নারীদের ন্যায্য স্থান প্রতিষ্ঠার জন্য পুরুষদেরকে উৎসাহী সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। ‘নতুন বাংলাদেশ’-এ আমরা আমাদের প্রত্যাশী পরিবারকে নতুনভাবে গড়তে চাই। যেটা সব বাবা-মা’র, ভাই-বোনের নিশ্চিত ও স্বীকৃত অধিকারের পরিবার।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনও অনেকক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুঃস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ নানান ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫