Logo
শিরোনাম

শীঘ্রই কাটছে না গ্যাস সংকট

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের যোগান কম থাকায় রেশনিং করে খাতভিত্তিক গ্যাসের সরবরাহ করছে জ্বালানি বিভাগ। সে ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার পাচ্ছে শিল্প ও বিদ্যুৎখাত। তবে শিল্প উদ্যোক্তাদের দাবি, এখনো চাহিদার অর্ধেক গ্যাস পাচ্ছে না বেশিরভাগ শিল্প। অন্যদিকে চলতিমাসেই বিদ্যুতের চাহিদা আরও ২-৩ হাজার মেগাওয়াট বাড়তে পারে। আর এই বর্ধিত চাহিদা পূরণে বাড়ানো হতে পারে গ্যাসের সরবরাহ। এতে শিল্পখাতে তৈরি হয়েছে নতুন শংকা।

শিল্পসহ দেশের বিদ্যুৎখাতের গ্যাসের সংকট দীর্ঘদিনের। গত কয়েক মাসে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মলূত এলএনজি টার্মিনাল ও পাইপলাইন সংস্কারের কারণে সারাদেশে গ্যাসের সরবরাহ কিছুটা কমে প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। যদিও পাইপলাইন বন্ধের কারণে দিনে মাত্র ৪০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। যেখানে দিনে চাহিদা ৪শ মিলিয়ন ঘনফুট। দেখা গেছে স্থানীয় উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকায় জাতীয় গ্রিডে চাহিদার থেকে যোগান ক্রমেই কমছে।

এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে বিদ্যুৎসহ সবধরনের শিল্প ও উৎপাদনমুখী খাতে। বিশেষ করে রপ্তানিমুখী শিল্পে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। এর বাইরেও সিএনজি ও আবাসিক গ্রাহকদের ভোগান্তি বাড়াবে কয়েকগুণ। এদিকে সংকট নিরসনে শিল্প উদ্যোক্তরা দীর্ঘদিন ধরেই জোড় দাবি জানিয়ে আসছে। তবে সরবরাহ স্বাভাবিক করা না গেলেও শিল্প ও বিদ্যুৎখাতকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে।এদিকে মার্চের শুরুতেই বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা। এই মুহূর্তে ৪-৫ হাজার মেগাওয়াট গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু থাকলেও তখন এ খাতে গ্যাসের চাহিদা আরও বাড়বে। সে ক্ষেত্রে শিল্পে বিদ্যমান গ্যাসের সরবরাহ নতুন শংকা তৈরি হয়েছে। যদিও বিকল্প জ্বালানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের। কিন্তু অন্য যে কোনো জ্বালানিকে বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধি কিংবা আমদানি করা বাড়বে ব্যয়, যা এখাতে ভতুর্কি আরও বাড়িয়ে দেবে।

এদিকে দেশে গ্যাসের সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে অন্তত ২ বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সম্প্রতি সংসদে এক বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। তবে বর্তমান সংকট নিরসনে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সরবরাহে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই নীতিমালা অনুযায়ী শিল্প ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় গ্যাসের উৎপাদন নিম্নমুখী। আমদানির মাধ্যমে এই ঘাটতি মেটানো হলেও এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না। মূলত আমদানি গ্যাস পরিবহণ ও মজুদের বিদ্যমান অবকাঠামোগত সক্ষমতার চেয়ে ঘাটতি বেড়ে যাওয়া পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। এ অবস্থায় একমাত্র নিজস্ব গ্যাসের উত্তোলন বৃদ্ধি ছাড়া গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

দেখা গেছে দেশের প্রধান গ্যাস ক্ষেত্রগুলো থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ করা হয়। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরেই এর উত্তোলন কমতির দিকে। অন্যদিকে নতুন গ্যাস কূপগুলোর সঙ্গে পাইপলাইন সংযোগ নেই। ফলে তা জাতীয় গ্রিডে আসছে না। তাই গ্যাস পরিবহণে অবকাঠোগত সক্ষমতা তৈরিতে বিনিয়োগ প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তারা।

এদিকে শিল্প উদ্যোক্তারা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই জ্বালানি বিভাগকে বাড়তি দামে হলে আমদানি করে গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য বলে আসছে। কিন্তু এখন আমদানি বাড়ানো হলেও তা সরবরাহে পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকয়ে সংকট দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এতে দীর্ঘ মেয়াদে শিল্পখাতে নেতীবাচক প্রভাব পড়ছে বলেও মনে করেন উদ্যোক্তারা।

বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফাকচার্স এন্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও শিল্প উদ্যোক্তা শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি গত দুবছর ধরেই খারাপ। এখন যা স্থায়ী রূপ নিয়েছে। অগ্রাধিকার দেওয়ার পরেও ৪০-৪৫ শতাংশ গ্যাসের সরবরাহ মিলছে। ফলে উৎপাদন ব্যয় ২ থেকে আড়াই গুণপর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ ৩ শিফটের পরিবর্তে মাত্র ১টি শিফট ফ্যাক্টরি চালাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে শিল্পসহ সামগ্রিক রপ্তানিখাত দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর্থিক লোকসানের পাশাপাশি রপ্তানি বাজার হারানোর শংকাও রয়েছে।

এমনিতেই স্বাভাবিক অবস্থায় শিল্পখাতে বিশেষ করে ঢাকার আশপাশের এলাকায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ঘাটতি থাকে। এছাড়াও গ্যাসে চাপ এত কম থাকে। ফলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ গ্যাসের ঘাটতি বিকল্প জ্বালানিতে মেটাতে হয়। এতেই উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায়। এ অবস্থায় যদি দীর্ঘ মেয়াদে রেশনিং করে সরবরাহ করা হয় তাহলেও গড় ঘাটতি ৪০ শতাংশ থেকেই যাবে। আর এই ঘাটতি বিকল্প জ্বালানিতে মেটানোর সক্ষমতা অনেকেরই নেই। এতে বিদ্যমান ব্যাংক ঋণ পরিশোধ নিয়ে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে।

সার্বিক গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি : সম্প্রতি ২০২৪ সালের জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত বৈশ্বিক গ্যাস বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফ্রান্সভিত্তিক আন্তঃসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)। সেখানে বাংলাদেশে গ্যাসের চাহিদা তেমন বাড়েনি বলে উল্লেখ করা হয়ছে। বরং প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২৩ সালের প্রথম ১০ মাসে গ্যাসের চাহিদা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। এছাড়াও একই সময়ে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। কিন্তু স্থানীয় গ্যাসের যোগান ধারাবাহিকভাবে কমতির দিকে থাকায় ২০ শতাংশ আমদানি বাড়িয়েও বিভিন্ন খাতে গ্যাসের রেশনিং করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। ফলে ব্যাহত হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনও।

এদিকে দেশে গ্যাসের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে। অন্য যে কোনো জ্বালানির থেকে এর উৎপাদন ব্যয় অর্ধেকেরও কম। তবে দেশি গ্যাসের যোগান কমতে থাকা এবং আমদানি বাড়তে থাকায় গ্যাসের গড় দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। দেখা গেছে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহকৃত গ্যাসের ৭০ শতাংশই নিজস্ব। তবে ২০২৬ সালের মধ্যেই এই সরবরাহ ৫০ শতাংশে নামতে পারে। ফলে এই বিশাল ঘাটতি পূরণে আমদানি ব্যয় ছাড়াবে ৫ বিলিয়ন ডলার।

বর্তমানে দেশে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ১২ হাজার মেগাওয়াট। তবে গ্যাস সংকটে অর্ধেক কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। বাকি কেন্দ্রগুলোতে অর্থাৎ ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের জন্য বছরে ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন হয়। তবে সরবরাহ করা হচ্ছে ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো।

সিএনজি গ্যাস সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই রেশনিংয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সিএনজি খাত। সার ও আবাসিক খাতেও তা চলছে এক প্রকার অঘোষিতভাবে। অর্থাৎ এসব খাতেও চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না পেট্র্রোবাংলা। দেশে গ্যাসের প্রকৃত চাহিদা আসলে কত সেটির বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে সরকারি সংস্থাগুলো থেকে তথ্য জানা যায়নি। তবে পেট্রোবাংলার ভাষ্যমতে, দেশে দৈনিক প্রায় চার হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। আর তিন হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ থাকলে বিদ্যুৎ, শিল্প, আবাসিক, সার ও শিল্পে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে। পেট্রোবাংলার হিসাব অনুযায়ী, চাহিদা ও সরবরাহে এখন গ্যাসের ঘাটতি দৈনিক এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। এ পরিমাণ ঘাটতি গ্যাস স্থানীয়ভাবে যেমন জোগান দেওয়ার সুযোগ নেই, তেমনি নেই আমদানি করার মতো অর্থ।

পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বড় পরিসরে গ্যাসের জোগান বাড়াতে হলে ২০২৬ সাল পর্যন্ত সময় প্রয়োজন। কারণ ওই সময়ে নতুন চুক্তির আওতায় দেশে এলএনজি আসবে এবং সেই সময়ে টার্মিনালগুলো প্রস্তুত হয়ে যাবে। তখন গ্যাস সরবরাহ সংকট কমে আসবে।

 


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া সকল ট্রেনের সময়সূচি

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

ট্রেনের সময় সূচি :

১) বলাকা ভোর ৪:৪৫ মিনিট

২) দেওয়ানগঞ্জ  কমিউটার সকাল ৫:৪০ মিনিট

৩) ধুমকেতু সকাল ৬:০০ 

৪) পারাবত সকাল ৬:২০ মিনিটমিনিট

৫) নীলসাগর সকাল ৬:৪০ মিনিট

৬) সোনার বাংলা সকাল ৭:০০ টা

৭) এগারো সিন্দুর প্রভাতি সকাল ৭:১৫ মিনিট

৮) তিস্তা সকাল ৭:৩০ মিনিট

৯) মহানগর  প্রভাতি সকাল ৭:৪৫ মিনিট

১০) সুন্দরবন  সকাল ৮:১৫ মিনিট

১১) মহুয়া সকাল ৮:৩০ মিনিট

১২) কর্নফুলি কমিউটার সকাল ৮:৪৫ মিনিট

১৩) রংপুর এক্সপ্রেস সকাল  ৯:১০ মিনিট

১৪) তিতাস সকাল ৯:৪৫ মিনিট

১৫) একতা সকাল ১০:১০ মিনিট

১৬) জামালপুর এক্সপ্রেস  সকাল ১০:৩০ মিনিট

১৭) কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস সকাল ১০:৪৫ মিনিট 

১৮)জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস সকাল ১১:১৫ মিনিট 

১৯)অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস সকাল ১১:৩০ মিনিট 

২০)রাজশাহী এক্সপ্রেস দুপুর ১২:২০ মিনিট

২১)চট্টলা এক্সপ্রেস দুপুর ০১:০০ টা 

২২)মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস দুপুর ১:১৫ মিনিট 

২৩)বনলতা এক্সপ্রেস দুপুর  ১:৩০ মিনিট।

২৪)সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস দুপুর ২:৪৫ মিনিট 

২৫) কালনী এক্সপ্রেস দুপুর ৩:০০ টা

২৬)উপকূল এক্সপ্রেস  দুপুর ৩:২০ মিনিট 

২৭)জামালপুর কমিউটার দুপুর  ৩: ৪০ মিনিট 

২৮) সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস বিকাল ৪:১৫ মিনিট 

২৯)সুবর্ণ এক্সপ্রেস বিকাল ৪:৩০ মিনিট 

৩০)যমুনা এক্সপ্রেস বিকাল ৪:৪৫ মিনিট 

৩১)চিলাহাটি এক্সপ্রেস বিকাল  ৫:০০ টা

৩২) তুরাগ কমিউটার বিকাল ৫:২০ মিনিট 

৩৩) তিতাস কমিউটার বিকাল ৫:৪৫ মিনিট।

৩৪) টাঙ্গাইল কমিউটার সন্ধ্যা ৬:০০টা

৩৫))ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস সন্ধ্যা ৬:১৫ মিনিট

৩৬)এগারোসিন্দুর সন্ধ্যা ৬:৪০ মিনিট।

৩৭)চিত্রা এক্সপ্রেস সন্ধ্যা ৭:০০ টা

৩৮)নোয়াখালী এক্সপ্রেস সন্ধ্যা ৭:১৫ মিনিট 

৩৯)ভাওয়াল এক্সপ্রেস সন্ধ্যা ৭:৩৫ মিনিট 

৪০) দ্রুতযান এক্সপ্রেস রাত ০৮:০০ টা

৪১) উপবন এক্সপ্রেস রাত ৮:৩০ মিনিট 

৪২)কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস রাত  ৮:৪৫ মিনিট। 

৪৩)সুরমা মেইল রাত ৯:০০টা

৪৪)মহানগর এক্সপ্রেস রাত ৯:২০ মিনিট 

৪৫)লালমনি এক্সপ্রেস রাত ৯:৪৫  মিনিট 

৪৬)হাওড় এক্সপ্রেস রাত ১০:১৫ মিনিট 

৪৭) চট্টগ্রাম মেইল রাত ১০ টা ৩০ মিনিট 

৪৮)পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ১০:৪৫ মিনিট। 

৪৯)পদ্মা এক্সপ্রেস রাত ১১ টা 

৫০)বেনাপোল এক্সপ্রেস ১১:১৫ মিনিট 

৫১) তৃর্না নিশিথা ১১:৩০ মিনিট


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




গৃহভিত্তিক নারীশ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তির দাবি

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

গৃহভিত্তিক নারীশ্রমিকদের শ্রম আইন-২০০৬ ও লেবার ফোর্স সার্ভেতে অন্তর্ভুক্ত করা দাবি জানানো হয়েছে। এসব নারীশ্রমিকের বর্তমান কর্মপরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর পরিচালিত গবেষণার ফলাফলবিষয়ক একটি জাতীয় অবহিতকরণ (কনসালটেশন) ও পরামর্শমূলক কর্মশালায় এই দাবি জানানো হয়।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় হোটেল লেক ক্যাসেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন কর্মজীবী নারী। এতে সহযোগিতা করে ফ্রেডরিখ ইবার্ট স্টিফটুং (এফইএস) বাংলাদেশ কার্যালয়।

গৃহভিত্তিক নারীশ্ররমিকদের নিয়ে পরিচালিত গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন গবেষণা দলের প্রধান ও ক্রিয়েটিভ পাথওয়েজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিয়া হক। গবেষণার ওপর ভিত্তি করে তিনি গৃহভিত্তিক নারী শ্রমিকদের বর্তমান কর্ম পরিস্থিতি ও সামাজিক সুরক্ষার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে মূল আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ। তিনি বলেন, গৃহভিত্তিক নারীশ্রমিকেরা কত ধরনের কাজ করছেন, তা চিহ্নিত করে তাদের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সমীক্ষায় আনতে হবে। আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হলে তাদের বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এ যুক্ত করতে হবে।

দলগত কাজের ভিত্তিতে নীতিনির্ধারকদের করণীয়, ট্রেড ইউনিয়ন ও সুশীল সমাজের করণীয় বিষয়ে বেশকিছু সুপারিশ উঠে আসে কর্মশালায়। এগুলো ভবিষ্যত অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জরুরি। গবেষণা ও থিমেটিক আলোচনা থেকে উঠে আসা সুপারিশগুলোর মধ্যে আছেগৃহভিত্তিক নারীশ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে একটি বিশেষ দল তৈরি, সংজ্ঞা নির্ধারণ করা, কত ধরনের গৃহভিত্তিক শ্রমিক রয়েছে তা ম্যাপিং করা এবং তাদের সচেতনতা বৃদ্ধিসহ সংগঠন গড়ে তোলা।

কর্মজীবী নারীর সহ-সভাপতি ও নারীশ্রমিক কণ্ঠ-এর যুগ্ম সমন্বয়ক উম্মা হাসান ঝলমলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ট্রেড ইউনিয়ন বিশেষজ্ঞ সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন এফইএসের বাংলাদেশ কার্যালয়ের আবাসিক প্রতিনিধি ড. ফেলিক্স গ্যার্ডেস। এতে থিমেটিক আলোচনার সঞ্চালনা করেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন ও অক্সফামের (বাংলাদেশ) প্রকল্প সমন্বয়ক শাহাজাদী বেগম।

কর্মশালায় আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক তাসনুভা অনন্যা, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোস্তফা মাহমুদ সারোয়ার, কল-কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক (স্বাস্থ্য) ইফফাত আরা।

কর্মশালার সঞ্চালনা ও সমাপনী বক্তব্য দেন কর্মজীবী নারীর অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক সানজিদা সুলতানা। প্রচেষ্টায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান এফইএসের (বাংলাদেশ) প্রকল্প উপদেষ্টা আরিফা এস আলম। অনুষ্ঠানে জাতীয়-আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাসহ ট্রেড ইউনিয়ন নেতা, গৃহভিত্তিক নারীশ্রমিকেরা অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




শেষ পাতে ফিরনির রেসিপি

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

খাওয়ার পর শেষ পাতে মিষ্টি  কিছু না হলে কি বাঙালির মন ভরেনা, পারস্যের লোকবিশ্বাস অনুসারে, ফিরনি দেবদূত বা ফেরস্তাদের খাবার বলে মনে করা হত। তাঁদের উদ্দেশেই এই সুখাদ্য পরিবেশন করা হত।  যে কোনও রকমের মিষ্টি হতে পারে। এখন অবশ্য অনেক জায়গায় শেষ পাতে ফিরনি পরিবেশন করা হয়। চলুন জেনে নেয়া যাক রেসিপি

উপকরণ: 


১.পোলাওয়ের চাল ১/৪ কাপ। 


২.তরল দুধ ১ লিটার। গুঁড়া দুধ আধা কাপ। 


৩.চিনি আধা কাপ। লবণ ১ চিমটি। 


৪.ঘি ১ টেবিল-চামচ। এলাচ ৩টি। 


৫.দারুচিনি ১টি। 


৬.কিশমিশ ১ টেবিল-চামচ। বাদাম পছন্দ মতো

পদ্ধতি

১.প্রথমে পোলাওয়ের চাল ভালো করে ধুয়ে ৩০ মিনিটের মতো ভিজিয়ে রাখতে হবে।তারপর চাল থেকে পানি ঝরিয়ে হাত বা মিক্সচারের সাহায্যে গুঁড়া করে নিন

২.এখন চুলায় একটি পাতিলে তরল দুধ ঢেলে, এর মধ্যে এলাচ ও দারুচিনি দিয়ে চার থেকে পাঁচ মিনিট জ্বাল করে নিতে হবে

৩.দুধে বলক আসলে চাল দিয়ে দিন। ২০ মিনিটের মতো মাঝারি আাঁচে নাড়াচাড়া করে রান্না করতে থাকুন।চাল পুরোপুরি সিদ্ধ হলে এতে চিনি ও লবণ দিয়ে দিন। দু-তিন মিনিট রান্নার পর দিতে হবে গুঁড়া দুধ।

৪.তিন থেকে চার মিনিট এভাবে রান্না করে এতে ঘি, পছন্দ মতো বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।এবার ঠাণ্ডা করে পরিবেশন পাত্রে নিয়ে ওপরে কিছু বাদাম ও কিশমিশ ছিটিয়ে পরিবেশন করতে পারেন মজার ফিরনি


আরও খবর

ঢাকার ১০০টি সুস্বাদু খাবারের তালিকা

বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪

ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায় পুঁইশাক

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাবে বলে জানা গেছে।

দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। তাকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে অনেক দিন ধরে কথাবার্তা চলছিল। তার চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, বিমানে যাত্রা করার মতো পরিস্থিতি হলেই তাকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে

বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ম্যাডামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার একটি প্রক্রিয়া চলমান আছে। সেটি নির্ভর করছে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত ওপর

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে একটি চিঠি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসেছে। সেখানে তার সঙ্গে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাওয়ার জন্যও তালিকা দেওয়া হয়েছে

তবে, কবে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা জন্য লন্ডনে নেওয়া হবে তা এখনো জানা যায়নি

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ড দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। সবশেষ গত মাসে ছয়দিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন খালেদা জিয়া

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনি জটিলতা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত বছরের ২৭ অক্টোবর। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হলে ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয় তখনকার সরকার। তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না এমন শর্তে সাজা স্থগিত করে শেখ হাসিনা সরকার। সেই থেকে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন খালেদা জিয়া। শরীর বেশি খারাপ হলে মাঝে মাঝে তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। পরদিন ৬ আগস্ট খালেদা জিয়ার সাজা মওকুফ করেন রাষ্ট্রপতি। এখন তিনি মুক্ত। বিদেশে যেতে আর কোনো বাধা নেই


আরও খবর

জামায়াতে ইসলামী জুলুম করবে না

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রধান বিচারপতি জুবায়ের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সার্চ কমিটির প্রধান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তার নাম মনোনীত করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পাশাপাশি সদস্য হিসেবে হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামানকে মনোনীত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এ দুজন বিচারপতির নাম প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত হওয়ার পর তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে

এদিকে একইদিন সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত সার্চ কমিটি গঠন হয়ে গেছে। প্রজ্ঞাপনে হয়তো প্রধান উপদেষ্টা স্বাক্ষরও করেছেন। আজ অথবা কালকের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। আমাদের নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে তিনি এ কথা বলেন

প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদে পাস হওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি (অনুসন্ধান কমিটি) গঠন করেন রাষ্ট্রপতি

আপিল বিভাগের একজন বিচারকের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের এ অনুসন্ধান কমিটি গঠিত হয়। আইনে বর্ণিত যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিবেচনা করে তারা ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবেন। ১০ জনের মধ্য থেকেই ৫ জনকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি গঠন করবেন নতুন নির্বাচন কমিশন

রাষ্ট্রপতি ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন। যার সভাপতি হন প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারক। সদস্য হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক। এ দুই বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন হবেন নারী

তিন সদস্যের উপস্থিতিতে কমিটির সভার কোরাম হবে। এ কমিটির কাজে সাচিবিক সহায়তা দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সার্চ কমিটি গঠনের ১৫ কার্যদিবসের মধ্য সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করার কথা বলা হয়েছে


আরও খবর