Logo
শিরোনাম

শীঘ্রই কাটছে না গ্যাস সংকট

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের যোগান কম থাকায় রেশনিং করে খাতভিত্তিক গ্যাসের সরবরাহ করছে জ্বালানি বিভাগ। সে ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার পাচ্ছে শিল্প ও বিদ্যুৎখাত। তবে শিল্প উদ্যোক্তাদের দাবি, এখনো চাহিদার অর্ধেক গ্যাস পাচ্ছে না বেশিরভাগ শিল্প। অন্যদিকে চলতিমাসেই বিদ্যুতের চাহিদা আরও ২-৩ হাজার মেগাওয়াট বাড়তে পারে। আর এই বর্ধিত চাহিদা পূরণে বাড়ানো হতে পারে গ্যাসের সরবরাহ। এতে শিল্পখাতে তৈরি হয়েছে নতুন শংকা।

শিল্পসহ দেশের বিদ্যুৎখাতের গ্যাসের সংকট দীর্ঘদিনের। গত কয়েক মাসে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মলূত এলএনজি টার্মিনাল ও পাইপলাইন সংস্কারের কারণে সারাদেশে গ্যাসের সরবরাহ কিছুটা কমে প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। যদিও পাইপলাইন বন্ধের কারণে দিনে মাত্র ৪০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। যেখানে দিনে চাহিদা ৪শ মিলিয়ন ঘনফুট। দেখা গেছে স্থানীয় উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকায় জাতীয় গ্রিডে চাহিদার থেকে যোগান ক্রমেই কমছে।

এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে বিদ্যুৎসহ সবধরনের শিল্প ও উৎপাদনমুখী খাতে। বিশেষ করে রপ্তানিমুখী শিল্পে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। এর বাইরেও সিএনজি ও আবাসিক গ্রাহকদের ভোগান্তি বাড়াবে কয়েকগুণ। এদিকে সংকট নিরসনে শিল্প উদ্যোক্তরা দীর্ঘদিন ধরেই জোড় দাবি জানিয়ে আসছে। তবে সরবরাহ স্বাভাবিক করা না গেলেও শিল্প ও বিদ্যুৎখাতকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে।এদিকে মার্চের শুরুতেই বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা। এই মুহূর্তে ৪-৫ হাজার মেগাওয়াট গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু থাকলেও তখন এ খাতে গ্যাসের চাহিদা আরও বাড়বে। সে ক্ষেত্রে শিল্পে বিদ্যমান গ্যাসের সরবরাহ নতুন শংকা তৈরি হয়েছে। যদিও বিকল্প জ্বালানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের। কিন্তু অন্য যে কোনো জ্বালানিকে বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধি কিংবা আমদানি করা বাড়বে ব্যয়, যা এখাতে ভতুর্কি আরও বাড়িয়ে দেবে।

এদিকে দেশে গ্যাসের সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে অন্তত ২ বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সম্প্রতি সংসদে এক বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। তবে বর্তমান সংকট নিরসনে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সরবরাহে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই নীতিমালা অনুযায়ী শিল্প ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় গ্যাসের উৎপাদন নিম্নমুখী। আমদানির মাধ্যমে এই ঘাটতি মেটানো হলেও এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না। মূলত আমদানি গ্যাস পরিবহণ ও মজুদের বিদ্যমান অবকাঠামোগত সক্ষমতার চেয়ে ঘাটতি বেড়ে যাওয়া পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। এ অবস্থায় একমাত্র নিজস্ব গ্যাসের উত্তোলন বৃদ্ধি ছাড়া গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

দেখা গেছে দেশের প্রধান গ্যাস ক্ষেত্রগুলো থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ করা হয়। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরেই এর উত্তোলন কমতির দিকে। অন্যদিকে নতুন গ্যাস কূপগুলোর সঙ্গে পাইপলাইন সংযোগ নেই। ফলে তা জাতীয় গ্রিডে আসছে না। তাই গ্যাস পরিবহণে অবকাঠোগত সক্ষমতা তৈরিতে বিনিয়োগ প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তারা।

এদিকে শিল্প উদ্যোক্তারা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই জ্বালানি বিভাগকে বাড়তি দামে হলে আমদানি করে গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য বলে আসছে। কিন্তু এখন আমদানি বাড়ানো হলেও তা সরবরাহে পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকয়ে সংকট দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এতে দীর্ঘ মেয়াদে শিল্পখাতে নেতীবাচক প্রভাব পড়ছে বলেও মনে করেন উদ্যোক্তারা।

বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফাকচার্স এন্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও শিল্প উদ্যোক্তা শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি গত দুবছর ধরেই খারাপ। এখন যা স্থায়ী রূপ নিয়েছে। অগ্রাধিকার দেওয়ার পরেও ৪০-৪৫ শতাংশ গ্যাসের সরবরাহ মিলছে। ফলে উৎপাদন ব্যয় ২ থেকে আড়াই গুণপর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ ৩ শিফটের পরিবর্তে মাত্র ১টি শিফট ফ্যাক্টরি চালাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে শিল্পসহ সামগ্রিক রপ্তানিখাত দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর্থিক লোকসানের পাশাপাশি রপ্তানি বাজার হারানোর শংকাও রয়েছে।

এমনিতেই স্বাভাবিক অবস্থায় শিল্পখাতে বিশেষ করে ঢাকার আশপাশের এলাকায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ঘাটতি থাকে। এছাড়াও গ্যাসে চাপ এত কম থাকে। ফলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ গ্যাসের ঘাটতি বিকল্প জ্বালানিতে মেটাতে হয়। এতেই উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায়। এ অবস্থায় যদি দীর্ঘ মেয়াদে রেশনিং করে সরবরাহ করা হয় তাহলেও গড় ঘাটতি ৪০ শতাংশ থেকেই যাবে। আর এই ঘাটতি বিকল্প জ্বালানিতে মেটানোর সক্ষমতা অনেকেরই নেই। এতে বিদ্যমান ব্যাংক ঋণ পরিশোধ নিয়ে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে।

সার্বিক গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি : সম্প্রতি ২০২৪ সালের জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত বৈশ্বিক গ্যাস বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফ্রান্সভিত্তিক আন্তঃসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)। সেখানে বাংলাদেশে গ্যাসের চাহিদা তেমন বাড়েনি বলে উল্লেখ করা হয়ছে। বরং প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২৩ সালের প্রথম ১০ মাসে গ্যাসের চাহিদা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। এছাড়াও একই সময়ে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। কিন্তু স্থানীয় গ্যাসের যোগান ধারাবাহিকভাবে কমতির দিকে থাকায় ২০ শতাংশ আমদানি বাড়িয়েও বিভিন্ন খাতে গ্যাসের রেশনিং করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। ফলে ব্যাহত হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনও।

এদিকে দেশে গ্যাসের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে। অন্য যে কোনো জ্বালানির থেকে এর উৎপাদন ব্যয় অর্ধেকেরও কম। তবে দেশি গ্যাসের যোগান কমতে থাকা এবং আমদানি বাড়তে থাকায় গ্যাসের গড় দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। দেখা গেছে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহকৃত গ্যাসের ৭০ শতাংশই নিজস্ব। তবে ২০২৬ সালের মধ্যেই এই সরবরাহ ৫০ শতাংশে নামতে পারে। ফলে এই বিশাল ঘাটতি পূরণে আমদানি ব্যয় ছাড়াবে ৫ বিলিয়ন ডলার।

বর্তমানে দেশে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ১২ হাজার মেগাওয়াট। তবে গ্যাস সংকটে অর্ধেক কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। বাকি কেন্দ্রগুলোতে অর্থাৎ ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের জন্য বছরে ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন হয়। তবে সরবরাহ করা হচ্ছে ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো।

সিএনজি গ্যাস সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই রেশনিংয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সিএনজি খাত। সার ও আবাসিক খাতেও তা চলছে এক প্রকার অঘোষিতভাবে। অর্থাৎ এসব খাতেও চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না পেট্র্রোবাংলা। দেশে গ্যাসের প্রকৃত চাহিদা আসলে কত সেটির বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে সরকারি সংস্থাগুলো থেকে তথ্য জানা যায়নি। তবে পেট্রোবাংলার ভাষ্যমতে, দেশে দৈনিক প্রায় চার হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। আর তিন হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ থাকলে বিদ্যুৎ, শিল্প, আবাসিক, সার ও শিল্পে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে। পেট্রোবাংলার হিসাব অনুযায়ী, চাহিদা ও সরবরাহে এখন গ্যাসের ঘাটতি দৈনিক এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। এ পরিমাণ ঘাটতি গ্যাস স্থানীয়ভাবে যেমন জোগান দেওয়ার সুযোগ নেই, তেমনি নেই আমদানি করার মতো অর্থ।

পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বড় পরিসরে গ্যাসের জোগান বাড়াতে হলে ২০২৬ সাল পর্যন্ত সময় প্রয়োজন। কারণ ওই সময়ে নতুন চুক্তির আওতায় দেশে এলএনজি আসবে এবং সেই সময়ে টার্মিনালগুলো প্রস্তুত হয়ে যাবে। তখন গ্যাস সরবরাহ সংকট কমে আসবে।

 


আরও খবর



উখিয়ায় নিহত বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় মাটি পাচারকারীদের ট্রাকের চাপায় নিহত বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

আজ রবিবার রাত ৯টায় গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের ভিটিকান্দি গ্রামে তার দ্বিতীয় জানাজার নামাজ শেষে ভবেরচর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। 

এর আগে রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে বহন করা মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি  ভিটিকান্দি তার নিজ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছালে, সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ তৈরি হয়। অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে ঐ এলাকার বাতাস। সাজ্জাদুজ্জামান'কে একনজর দেখতে তার আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসী ভিড় করেন।

এদিকে ছেলে'কে হারিয়ে দিশাহারা পুরো পরিবার। বারবার মূর্ছা যাচ্ছে বাবা শাহজাহান মাস্টার মা ওম্মে কুলসুম। শোকে স্তব্ধতায় পুরো গ্রাম। পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য ছুটে আসছে গ্রামের বাসিন্দারা। 

নিহতের বাবা শাহজাহান মাস্টার বলেন, শনিবার গভীর রাতে উখিয়ার হরিণমারা এলাকায় পাহাড়ের মাটি পাচার করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে  মোটরসাইকেলে করে আমার ছেলে সাজ্জাদ ঘটনাস্থলে গেলে মাটি পাচারকারীরা ট্রাক চাপা দিয়ে আমার ছেলে'কে হত্যা করে। রবিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে ছেলের কর্মস্থল উখিয়ায়

প্রথম জানাজার পর আমার ছেলের মরদেহ গ্রামে পৌঁছায়। এশার নামাজের পর দ্বিতীয় জানান শেষে তাকে ভবেরচর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, নিহত সাজ্জাদুজ্জামান কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ ভুক্ত উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের দায়িত্বে ছিলেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বন বিভাগে যোগদান করেন। দাম্পত্য জীবনে তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন।


আরও খবর



পার্বত্য চট্টগ্রামের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও জনজীবনের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের পার্বত্যবাসীদের মধ্যে শান্তি ও উন্নয়নের যে সোপান রচনা করেছেন তা দেশবাসীর কাছে আজীবন এক মাইলফলক স্বীকৃতি হয়ে থাকবে।

বুধবার (১০ এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদরের টাউন হল প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ (বিটিকেএস) এর আয়োজনে এবং বাংলাদেশ ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম ও বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব কল্যাণ সংসদের সহযোগিতায় ত্রিপুরা জাতির ঐতিহ্যবাহী বৈসু উৎসব ২০২৪ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালির শুভ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, দেশের কর্ণধার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অনেক উচ্চে আসীন করতে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সবাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ূ কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী যেন আমাদের দেশের উন্নয়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে পারেন সেজন্য আমরা সকলে আন্তরিকতার সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, সকল সংস্কৃতির মাঝে আমরা ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করতে চাই। তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী বৈসু এ উৎসবের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত বিভিন্ন গোত্র ও সম্প্রদায়ের মাঝে হৃদ্ধতার মেল বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে। বৈসু মানুষের মধ্যে বৈষম্য দুর করবে, শান্তি, শৃঙ্খলা ও ঐক্যের বন্ধন গড়ে তুলবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আদর্শ নাগরিক হিসেবে কোনো বিভেদ নয়, কোনো হানাহানি নয়, শান্তি, শৃঙ্খলা, সৌহার্দ্র সম্প্রীতি বজায় রেখে আমাদের সকলেরই দেশের উন্নয়নে কাজ করা বাঞ্ছনীয় বলে আমি মনে করি বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

পরে রঙিন বেলুন উড়িয়ে বৈসু উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। তিনি বর্ণাঢ্য এক র‌্যালিতে অংশ নেন। র‌্যালিটি খাগড়াছড়ি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ত্রিপুরা সংসদের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় ত্রিপুরা গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত হয়ে ত্রিপুরা শিশু, কিশোর, তরুণরা গান, নৃত্যসহ এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি তা উপস্থিত সকলের সাথে উপভোগ করেন।


আরও খবর



তুরস্কে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

২২শে এপ্রিল, ২০২৪ তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে "আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সিম্পোজিয়াম"এ বাংলাদেশ থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন, মাইজভাণ্ডার শরিফের সাজ্জাদানশীন, ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী। সিম্পোজিয়ামের বিষয় ছিলো " ইসলামি আইন ও বিধি বিধানে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শ অনুসরণের গুরুত্ব"। সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী তার বক্তব্যে বলেন,"প্রিয় নবিজী (সা.) বলেছেন,'তোমরা পবিত্র কুরআন ও আমার সুন্নাহ্কে আঁকড়ে ধরো। আবার এও বলেছেন, তোমরা পবিত্র কুরআন ও আমার আহলে বাইতকে (পরিবারকে) আঁকড়ে ধরে রাখো। তাহলে তোমরা কখনো পথভ্রষ্ট হবে না।' এর অর্থ হলো, প্রিয় নবিজী (সা.) এর আহলে বাইত ও পবিত্র কুরআন হলো ইসলামি বিধান ও আইনের উৎস, যাদেরকে অনুসরণ করলে আমরা কখনো ভুল পথে যাবো না। আল্লাহ্ তায়ালা আমাদেরকে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন-বিধানের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিধি-বিধান প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহ্ থেকে এসেছে। প্রিয় নবিজী (সা.) এর আদর্শের মাঝেই পবিত্র কুরআনের ব্যাখা রয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে নামাজ আদায় করতে বলেছেন আর প্রিয় নবিজী (সা.) কীভাবে নামাজ আদায় করতে হয়, তা শিখিয়েছেন। মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে রোজা পালন করতে বলেছেন ; প্রিয় নবিজী (সা.) কীভাবে রোজা রাখতে হবে তা শিখিয়েছেন। এভাবে প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহর মাধ্যমে আমরা নিজেদের ব্যক্তি জীবনকে কীভাবে সাঁজাবো, কীভাবে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করবো, কীভাবে একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করবো, কী পদ্ধতিতে একজন অপরাধী শাস্তি পাবে, কীভাবে ইসলামি অর্থনীতি পরিচালিত হবে, কীভাবে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে ইত্যাদি সকল বিষয়ে আমরা পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা পেয়েছি। পবিত্র কুরআন এর অনেক আয়াতের ব্যাখা আমরা খুঁজে পেয়েছি প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহর মাঝে। তাই প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শ ব্যতীত আমরা ইসলামি আইন বা বিধানের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারি না।

পাশাপাশি ডক্টর সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে, অবিলম্বে ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার আদায়ে মুসলিম বিশ্বকে এক হওয়ার আহবান জানান। 

সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথি ছিলেন, ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর এরদোয়ান তুরাক এমরিস ক্যাটালকা। সভাপতিত্ব করেন গ্র্যান্ড মুফতি শেইখ আহমেদ আর্কতুর্ক। সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন, গাতালজা ইফতা কাউন্সিলের মুফতি আহমেদ মেহমেত আলি ওগলু। 

বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশের শীর্ষ সুফি সাধক, সুফি স্কলার, বুদ্ধিজীবী, তুরস্ক সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



দেশের সকল ব্যাংকের নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের জন্য সব থানাকে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর। এছাড়া তল্লাশিচৌকি ও টহল জোরদারেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র ও তিনটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, বান্দরবানের দুই উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল পুলিশ সদর দপ্তর এই নির্দেশনা দিয়েছে। দেশের প্রতিটি থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেন তারা ব্যাংকের নিরাপত্তা জোরদার করে।

এছাড়া তল্লাশিচৌকি টহল জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে গত মঙ্গলবার রাতে হামলা করে অস্ত্রধারী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্যরা। তবে ব্যাংক থেকে তারা কোনো টাকা নিতে পারেনি।

গত বুধবার বান্দরবানের থানচিতে হামলা করে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের শাখা থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা লুট করে। এরপর গতকাল রাতেও থানচিতে থানায় গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে এবং দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে বান্দরবানের আলীকদম থানার ডিম পাহাড়ের ২৬ মাইল এলাকায় পুলিশ ও সেনাদের যৌথ তল্লাশিচৌকিতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, এসব ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে কেএনএফ।

বান্দরবানে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার ব্যাংকে লেনদেন সাময়িক স্থগিত করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তর সারা দেশেই নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশনা দিল।


আরও খবর



শেরে খোদা আলি (রাঃ) ইমানদারদের অভিভাবক

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নবীকরিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ৩১তম বংশধর, শাহ্জাদা-এ-গাউসুল আযম, মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেছেন, ২১শে  রমজান মহিমান্বিত এক দিবস যে দিন মওলা-এ-কায়েনাত, শেরে খোদা, মুশকিল কোশা হযরত মওলা আলি (রাঃ) শাহাদাত বরণ করেন। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি পবিত্র ক্বাবা ঘরে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনিই প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী পুরুষ। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রেমে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। ইসলাম প্রচারের প্রাথমিক যুগে, যখন প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পাশে কেউ ছিলেন না, তখন হযরত আলি (রাঃ) প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে ছায়ার মত লেগে ছিলেন। আমাদের প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হলেন জ্ঞানের শহর আর হযরত আলি (রাঃ) হলেন সেই জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশের দরজা। হযরত মওলা আলি (রাঃ) এর অনুসরণ ব্যতীত কেউ সেই জ্ঞানের শহরে প্রবেশ করতে পারবে না৷ মওলা আলি (রাঃ) হলেন মু'মিন ও মুনাফিক চেনার আয়না। মু'মিনরা মওলা আলি (রাঃ) কে ভালোবাসবে আর মুনাফিকরা তার সাথে বিদ্বেষ পোষণ করবে। প্রিয় নবিজী (দ) তাকে মু'মিনদের অভিভাবকরূপে নির্ধারণ করেছেন।"

সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী আরো বলেন, "তিনি ছিলেন এমনই একজন মহাবীর, যাকে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) 'শেরে খোদা' বা 'আল্লাহর সিংহ' উপাধি দিয়েছেন এবং নিজের 'যুলফিকার' নামক তরবারি উপহার দিয়েছেন। একদিক থেকে তিনি প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পরম বন্ধু, ভাই ; অপরদিকে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর জামাতা ও উত্তরসূরী। তিনি বেহেশতে নারীদের নেতা মা ফাতিমাতুজজাহরা (রাঃ) এর স্বামী এবং বেহেশতে যুবকদের নেতা হযরত সাইয়্যেদুনা ইমাম হাসান (রাঃ) ও ইমাম হোসাইন (রাঃ) এর সম্মানিত পিতা। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মাধ্যমে নবুয়্যতের সমাপ্তি ঘটলেও বেলায়ত হল নবুয়্যতের ছায়া। মওলা আলি শেরে খোদা (রাঃ) কে আমাদের প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সেই বেলায়তের সিংহাসনে বসিয়েছেন। তাই মওলা আলি (রাঃ) এর প্রতি ভালোবাসা, তার অনুসরণের মাঝেই সত্য পথের পথিকরা পৃথিবী ও আখিরাতের জীবনে মুক্তির পথ এবং মহান আল্লাহ্ তা'য়ালা ও প্রিয় নবিজী (দ) এর সান্নিধ্য অর্জনের পথ খুঁজে পাবে।

৩১শে মার্চ, ২০২৪ গাজীপুর কেন্দ্রীয় খানকা শরীফ জয়দেবপুর আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া শাখার উদ্যোগে হযরত মওলা আলি মুসকিল কোশা কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুল কারিম এর পবিত্র শাহাদাত দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মাহফিলে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, মওলানা আবু তালেব মঈনী, মওলানা ইয়াসিন আনসারী, মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া চাঁদপুরী, মুফতি মাকসুদুর রহমান, হাফেজ মাওলানা নাজের হোসাইন মাইজভাণ্ডারী, হাফেজ মোহাম্মদ মনসুর আলী মাইজভাণ্ডারী, স্থানীয় খলিফাবৃন্দ, আঞ্জুমান-এ-রাহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ। 

হুযুরপুর নূর আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও আহলে বাইতে রাসুল (দ) এর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ শেষে বিশ্ববাসীর কল্যাণ, মুসলিম উম্মাহর একতা, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী। হাজারো আশেকে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর