Logo
শিরোনাম

সীমান্ত অস্থিরতায় মিয়ানমার জান্তা দায়ী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চলে অস্থিরতার জন্য মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। মিয়ানমারভিত্তিক গণমাধ্যম ও রাখাইনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমণ্ডগুলোতে আরাকান আর্মির মূল রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড লিগ অব আরাকানের বার্মিজ ভাষায় লেখা একটি বিবৃতি প্রচার করা হয়েছে।

রবিবার মিয়ানমারের ওয়েস্টার্ন নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আরাকান আর্মির ওই বিবৃতিতে বাংলাদেশের বান্দরবানের মর্টারশেল বিস্ফোরণে নিহত রোহিঙ্গা ইকবালের মৃত্যুতে সমবেদনা জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে এ ঘটনার জন্য মিয়ানমারের সামরিক সরকার নিয়ন্ত্রিত বর্ডার গার্ড পুলিশকে দায়ী করে প্রতিবাদ জানিয়েছে আরাকান আর্মি। মিয়ানমারে সামরিক জান্তা সরকার দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে বলে দাবি করে আরাকান আর্মি জানায়, জান্তার এমন আচরণের কারণে দেশটির সীমান্ত অঞ্চলের মানুষদের চরম সংকটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

এদিকে আরাকান আর্মির এই বিবৃতিকে নাটক বলে দাবি করেছে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গারা। এ প্রসঙ্গে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী মোহাম্মদ হাবিব বলেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য জান্তা ও আরাকান আর্মি দায়ী। রোহিঙ্গার মৃত্যুতে আরাকান আর্মির দুঃখ প্রকাশ নাটক ছাড়া কিছুই না।

দুই মাস ধরে রাখাইনের সীমান্ত অঞ্চলে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাত চলছে।


আরও খবর

বন্ধের পথে ট্রাম্পের ব্যবসা

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




রাণীনগরে প্রচারনায় আ.লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী মাসুদ রানা জুয়েল

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ)  :

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-৬,(আত্রাই-রাণীনগর) আসনে আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী জিএম মাসুদ রানা জুয়েল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করেছেন।  সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড তুলে ধরে বুধবার বিকেল চারটায় উপজেলার আবাদপুকুর মহাবিদ্যালয় গেইট থেকে  প্রচারপত্র বিতরনের মধ্য দিয়ে এই প্রচারণা শুরু করেন তিনি। মাসুদ রানা জুয়েল উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও আবাদপুকুর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। তিনি রাতোয়াল গ্রামের বাসিন্দা।

প্রচারনা শুরুর আগে মাসুদ রানা জুয়েল সাংবাদিকদের বলেন,সার্বিক উন্নয়নের গতিশীলতাকে ধরে রাখতে এবং এলাকাকে মাদক,সন্ত্রাস মুক্ত করতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মনোনয়ন চাইবেন। তিনি বলেন, মনোনয়ন পেলে অবশ্যই বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো। তিনি বলেন,আমি শিক্ষা বিভাগের সাথে জড়িত। আত্রাই রাণীনগরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ থেকে শুরু করে সার্বিক দিক দিয়ে হ য ব র ল  অবস্থা হয়ে আছে। এবিষয় গুলোর দিকে নজর দিবো। এছাড়া এলাকার যে সকল কাজ অসমাপ্ত রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করবো। তিনি সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের সব অর্জন আওয়ামীলীগের হাত ধরেই। তাই উন্নয়নের গতিশীলতা ধরে রাখতে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগ সরকারকে নির্বাচিত করার আহŸান জানান।

 প্রচারনায় উপজেলা যুবলীগের ক্রিয়া সম্পাদক জিএম ফিলিপস রানা প্রিন্স,আবাদপুকুর মহাবিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার শেখর আহম্মেদ,সম্পাদক আসাদুল ইসলাম আকাশসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



কঠোর কর্মসূচির দেয়ার ইঙ্গিত বিএনপির

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোটের দাবিতে টানা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দাবি আদায়ের কথা বললেও ক্রমেই কঠোর কর্মসূচির দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন শীর্ষ নেতারা। সেক্ষেত্রে হরতাল, অবরোধ এবং অসহযোগ কর্মসূচির ভাবনাও আছে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ফয়সালা করতে চায় দলটি।

সেক্ষেত্রে তফসিল পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও ঘোষণা হলেই হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচিতে যাবে বিএনপি। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে কর্মসূচির ধরণ ও সময় পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানা গেছে।

দলীয় সূত্র বলছে, জানুয়ারিতে নির্বাচন হলে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে একাধিক কমিশনার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিএনপি নেতারা মনে করছেন- আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের চাপের মুখে নিজেদের অধীনে নির্বাচনের অবস্থান থেকে সরকার সরে আসবে। তাই আপাতত হার্ডলাইনে না যাওয়ার চিন্তা ভাবনা আছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় তফসিলের আগেই হরতালের মতো কর্মসূচি আসতে পারে।

যদিও এখন পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা হলেই তারা হরতালের কর্মসূচি আসবে এমনটা চিন্তা আছে নীতিনির্ধারকদের। তবে কর্মসূচি যাই হোক তা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশনা থাকবে দায়িত্বপ্রাপ্তদের ওপর। যারা সক্রিয় থাকবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে হাইকমান্ড।

কর্মসূচির বিষয় আলাপকালে স্থায়ী কমিটির সদস্য একজন সদস্য বলেন, আন্দোলনের তো মাত্রা থাকে। সেটা তুঙ্গেও উঠবে। কিন্তু সেই সময় তো দরকার। আমরাও হরতালসহ কঠোর কর্মসূচির চিন্তা ভাবনা করছি।

সেটা কবে নাগাদ ঘোষণা করা হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে এই নীতি নির্ধারক বলেন, তফসিল কবে ঘোষণা করবে সেটা নির্বাচন কমিশন জানে। আমরা আমাদের মাত্রা ঠিক করে তফসিলের আগেও কঠোর কর্মসূচির দিতে যেতে পারি। অনেক ধরণের আলোচনা চলছে।

দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের তিনজন নেতা হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচি নিয়ে কোনোভাবে এগুবে তাও ঠিক করবে বিএনপি।

স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, রোডমার্চের মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। বেশ সাড়াও পাচ্ছি। চলমান কর্মসূচি শেষ হোক। সবাইকে নিয়েই উপযুক্ত কর্মসূচি ঠিক করা হবে। এবার আর পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই।

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, তারা চাইছেন তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচন ইস্যুর রাজনৈতিক ফয়সালা নিশ্চিত করতে। এ লক্ষ্যে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বড় ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণার চিন্তা রয়েছে তাদের। এসব কর্মসূচির মধ্যে ঢাকা ঘেরাও, সচিবালয় ঘেরাও, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘিরে কর্মসূচিসহ নানা ধরনের কর্মসূচি নিয়ে দলটির অভ্যন্তরে আলোচনা রয়েছে।

অবশ্য সরকারি দল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসব কর্মসূচি ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে গেলে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কার বিষয়টিও মাথায় রাখছেন বিএনপি নেতারা।

অন্যদিকে একযোগে বিএনপির মহাসচিবসহ একাধিক শীর্ষ নেতা বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) হরতালের কর্মসূচি আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হরতালের মতো কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যতদিন আপনি (শেখ হাসিনার সরকার) থাকবেন এটা আরও সংঘাতের দিকে যাবে, খারাপের দিকে যাবে এবং সংঘাত আরও বাড়তে থাকবে। এখনও তো সংঘাত শুরু হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ যেভাবে এগোচ্ছে তাতে এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে জনগণ রুখে দাঁড়াবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, শত প্ররোচনার মুখেও আমরা একেবারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। এটার শেষ পরিণতি কী হবে তা নির্ভর করবে সরকারের আচরণ কি হচ্ছে তার ওপর।

মহাসচিবের বক্তব্যের পর এদিকে সিলেটের রোডমার্চে অংশ নিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে রুহুল কবির রিজভী হরতাল, অবরোধের মতোন কঠোর কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন।

ভৈরবে সমাবেশে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রশ্ন রাখেন, আমরা এখনও হরতাল দেইনি। হরতাল দেওয়া দরকার আছে? অবরোধ দেওয়ার দরকার আছে? আপনারা পালন করবেন? তিন প্রশ্নের উত্তরে নেতাকর্মীরা বলেন, হ্যাঁ

এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ঠিক আছে আপনাদের রায় পেলাম। আমরা হরতাল করি নাই, কিন্তু করব না সেই প্রতিজ্ঞাও করিনি। এবার ডু অর ডাই হবে।

অন্যদিকে প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হরতাল অবরোধ করে দেশ অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

রিজভী বলেন, এক দফা দাবি আদায়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। সরকার যদি আমাদের রোডমার্চ, মিছিলে জনগণের সম্পৃক্ততায় কোনো বার্তা না পায় বা না বুঝে তাহলে দিনের পর দিন হরতাল অবরোধ করে দেশ অচল করে দেওয়া হবে। সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।


আরও খবর



লালমনিরহাটের মেলা উদ্বোধন করলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী!

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

লালমনিরহাট সদরের কালেক্টরেট খেলার মাঠে স্থানীয় চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি.র আয়োজিত মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।  গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বিকেলে বাণিজ্য ও শিল্প মেলার উদ্বোধন করেন।  এসময় জেলা আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি সহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর কমিটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এর আগে এই মেলা ৯ মাস আগে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মেলা বন্ধের দাবিতে লালমনিরহাটে একাধিক মানববন্ধন করে গোশালা বাজার ও গোশালা রোড  ব্যবসায়ীরা সহ খেলাপ্রমি মানুষজন। বিভিন্ন হাটে বাজারে খরচ করতে আসা একাধিক সাধারণ মানুষ জানান, সরকারের বেঁধে দেয়া দামে আলু কিনতে পারছিনা,ভাত আছে তরকারির জন্য আলুর বলে বিকল্প নাই কিন্তু সেই আলু বাজারে ৪০-৬০ টাকা মূল্যে কিনতে হয়। অপরদিকে শত শত সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি, মোটরসাইকেল প্রায় প্রতিদিন চুরি হওয়ায় অনেকের সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারছেনা। তাই এমন সময় এই মেলার অনুমোদন না দিলেই পারতো। গত মেলার সময় থেকে এই মেলা শুরুর আগের দিন পর্যন্ত সদর সহ জেলায় কমপক্ষে ৭/৮ টি মোটরসাইকেল ও শতাধিক বসতবাড়ি চুরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।  পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের দায়িত্ব ও মানবিকতার দরুন বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন চোরকে আটক ও গ্রেপ্তার করলেও বিজ্ঞ আদালত থেকে কেউ কেউ জামিনে বেরিয়ে যাওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।  চুরি হচ্ছে একের পর এক বাড়ী ও গাড়ি।

আবার অনেকে বলছেন,এই মেলা ৭ দিনের বেশি চললে চুরি আরও বাড়তে পারে। সেই সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কিংবা সরকারি আদেশ উপেক্ষা করে চরা দমে আলু বিক্রি বন্ধ না হলে এ জেলার সাধারণ মানুষ মারাত্মক ক্ষতিরমুখে পরতে পারে।  অপরদিকে এখানকার সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, মেলা চলায় শহরের দোকানে বেচা বিক্রি কমে যাবে, কর্মচারি, দোকানভাড়া দিতে না পারলে কারও কারও দোকান মারাত্মক ক্ষতির মুখে পরতে পারে। তবে এখনকার সাধারণ মানুষ,ক্ষুদ্র বয়বসায়ীরা মেলা বন্ধে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


আরও খবর

বন্ধের পথে ট্রাম্পের ব্যবসা

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ভূমধ্যসাগরে ২৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার সময় চলতি বছর এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ভূমধ্যসাগরে ডুবে নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এই তথ্য জানিয়েছে।

ইউএনএইচসিআরের নিউইয়র্ক কার্যালয়ের পরিচালক রুভেন মেনিকদিওয়েলা নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ জনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন। শুধু ভূমধ্যসাগর নয়, অনেকে সমতলেও প্রাণ হারিয়েছেন।

গত বছরের এ সময় পর্যন্ত মৃত ও নিখোঁজ হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬৮০ জন।

মেনিকদিওয়েলা আরো বলেছেন, অভিবাসী ও শরণার্থীরা প্রতি পদক্ষেপে মৃত্যু ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে থাকেন।

ইউএনএইচসিআরের তথ্য বলছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ ইতিমধ্যে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলীয় ইতালি, স্পেন, সাইপ্রাস ও মাল্টায় পৌঁছেছেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ ইতালি পৌঁছেছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৩ শতাংশ বেশি।

ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে তিউনিসিয়া থেকে ১ লাখ ২ হাজারের বেশি এবং লিবিয়া থেকে ৪৫ হাজার শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এর মধ্যে তিউনিসিয়ায় ৩১ হাজার ও লিবিয়ায় ১০ হাজার ৬০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে আটক বা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর

মালয়েশিয়ায় ২০ বাংলাদেশি আটক

সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আবারও আদার কেজি ৪৫০

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : আদার বাজার আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ৫০ টাকা বেড়ে খুচরা বাজারে দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়। পাশাপাশি সাত দিনে আরেক দফা দাম বেড়েছে পাম অয়েল, পেঁয়াজ, আলু ও হলুদের। এতে এসব পণ্য কিনতে ক্রেতার বাড়তি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, যা সাত দিন আগে ৪০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি আমদানি করা হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২৮০, যা আগে ২৫০ টাকা ছিল। প্রতি লিটার খোলা পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৪০, যা সপ্তাহখানেক আগে ১৩০ টাকা ছিল।

এছাড়া খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০, যা সাত দিন আগেও ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এদিকে মে মাসে আদার দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করে একশ্রেণির অসাধু বিক্রেতা সিন্ডিকেট। সেসময় খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি আদা সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। সেসময় মসলার বাজারে অস্থিরতা কমাতে ২৮ মে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সভা করেন।

সভায় জানানো হয়, প্রতি কেজি আদার আমদানি মূল্য ১২৯-১৩০ টাকা। কিন্তু রাজধানীর সর্ববৃহৎ আড়ত শ্যামবাজারে ২৬০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। ওই সময়ে আদার দাম বাড়ানোর পেছনে শ্যামবাজারের আড়তদারদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নিজেই অসাধুদের চিহ্নিত করেন। কিন্তু ওই সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

নিত্যপণ্য কিনতে আসা জুবায়ের হাসান বলেন, কয়েকদিন পরপর আদার দাম বাড়ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু বাজারে আদার কোনো সংকট নেই। পাশাপাশি পেঁয়াজের দাম আবার হুহু করে বাড়তে শুরু করেছে। আগে বাজারে তদারকি সংস্থার উপস্থিতি দেখলেও এখন তা বেশি একটা লক্ষ করা যাচ্ছে না। এ সুযোগে বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। আমাদের মতো ক্রেতাদের বাড়তি খরচের বোঝা বইতে হচ্ছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রতিদিনই বাজারে পণ্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যেসব পণ্যের দাম বেশি, সেসব পণ্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের অধিদপ্তরে তলব করে সভা করা হচ্ছে। অনিয়ম পেলে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।


আরও খবর