Logo
শিরোনাম

শীর্ষ নেতাদের রাজনীতি ছাড়ার বার্তা দিলেন ফখরুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম / সদরুল আইন:


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন—এমন বার্তা তিনি দিয়েছেন দলের একাধিক শীর্ষ নেতাকে।


 লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকেও তার অভিপ্রায়ের কথা জানিয়েছেন বলে একটি সূত্র  নিশ্চিত করেছে। তবে তারেক জিয়া তাকে এখনই রাজনীতি না ছাড়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বলেও সেই সূত্রটি জানিয়েছে। 


উল্লেখ্য যে, এখন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব। তার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো না। ২৮ অক্টোবরের বিএনপির তাণ্ডবের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই সময়ে তিনি সাড়ে তিন মাসেরও বেশি জেলে ছিলেন। জেলে থাকাকালীন সময় তার বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা আরও জটিল আকার ধারণ করেছে বলে তার পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।


 বিশেষ করে তার হার্টের যে পুরনো সমস্যা তা আগের চেয়ে আরও বেড়েছে। সিঙ্গাপুরে যে চিকিৎসককে মির্জা ফখরুল দেখিয়েছেন বা যাকে তিনি নিয়মিত দেখান, তিনি তাকে এখন বেশি করে বিশ্রাম নেওয়া, চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করা এবং কোন রকম স্ট্রেস না নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে পারিবারিকভাবে তার ওপর চাপ এসেছে যে রাজনীতির চাপ কমিয়ে ফেলার জন্য।



বিএনপির মহাসচিব হিসেবে শুধু নয়, বিএনপির এখন তিনিই প্রধান সার্বক্ষণিক নেতা। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জামিনে মুক্তি পেয়ে ফিরোজা অবস্থান করছেন। তিনি কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে না। 


অন্যদিকে তারেক জিয়া লন্ডনে পলাতক। তিনিও একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলা সহ একাধিক মামলায় দণ্ডিত। এরকম বাস্তবতায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওপর দল পরিচালনার দায়িত্ব এসেছে এবং তিনি সার্বক্ষণিকভাবে দলের জন্য কাজ করছেন। তাই তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে বলে তার বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ মহল জানিয়েছে।


 বিশেষ করে সাড়ে তিন মাস কারা জীবনের সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শরীরে নতুন নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে বলেও তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে। এই সমস্ত শারীরিক সমস্যাগুলো ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করেছে। আর এ কারণে তার দীর্ঘমেয়াদি বিশ্রাম প্রয়োজন বলেও চিকিৎসকরা তাকে পরামর্শ দিচ্ছেন।


 সবকিছু মিলিয়ে রাজনীতির মাঠে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে ভাবে সক্রিয় ছিল, তেমনটি তার পক্ষে সক্রিয় থাকা আর সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। 


চিকিৎসকের সাথে পরামর্শের পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকায় বিএনপির অন্তত দু জন নেতাকে জানিয়েছেন যে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। ডাক্তার তাকে দীর্ঘ বিশ্রামের কথা বলেছেন। এই অবস্থায় মহাসচিবের দায়িত্ব তার পক্ষে পালন করা কতটুকু সম্ভব, সেই নিয়ে তিনি নিজেই সন্দিহান। 


তবে বিএনপি রাজনীতি থেকে তিনি দূরে যাবেন না। বিএনপির সঙ্গেই তার রাজনৈতিক সম্পর্ক থাকবে। 



একজন স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। এই দলের জন্য তিনি জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত এমন বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবতা হল যে তিনি দলের পূর্ণকালীন দায়িত্ব পালনের মতো শারীরিক অবস্থায় নেই। 


উল্লেখ্য যে, বিএনপির একাধিক নেতা এখন শারীরিক ভাবে অসুস্থ এবং দায়িত্ব পালনে অক্ষম। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে রোগ শোকের সঙ্গে লড়াই করছেন। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল হলেও তিনি কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছেন না। 


বিএনপির আরেক নেতা জমির উদ্দিন সরকার বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন। তাকেও দলের কর্মকাণ্ডে খুব একটা দেখা যায় না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াও দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী। 


এই অবস্থায় ফখরুলও যদি অসুস্থ হয়ে রাজনীতির থেকে দূরে যান তাহলে কিএনপির হাল ধরবে কে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।



আরও খবর



নিষিদ্ধ না হলে আ’লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

সরকার বা আদালত যদি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করে তাহলে দলটির নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, এখন নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন। ডানে বামের বা বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই। এখন আমরা বিবেকের চাপে আছি। এ দেশে ভালো নির্বাচন করাও সম্ভব, খারাপ নির্বাচন করাও সম্ভব।

বিগত নির্বাচন কমিশনকে শাস্তির আওতায় আনার চিন্তাভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নির্বাচন সংস্কার কমিশনের বিষয়। আমরা ওনাদের সুপারিশনামা এখনও পাইনি। তবে আমাদের কমিশনের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো চিন্তা করা হচ্ছে না। সিদ্ধান্তও নেই।

সিইসি বলেন, আমরা ভোটারদের আস্থাহীনতা দূর করব। এ জন্য বাড়ি বাড়ি যাব। ৬ মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ করব। ভোটার তালিকা থেকে যারা বাদ পড়ে গেছে তাদের অন্তর্ভুক্ত করব।

তিনি বলেন, আপনাদের বলতে চাই এবারের নির্বাচন আগের মতো হবে না। এ জন্য আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। এ জন্য সবার সহযোগিতা লাগবে।

গণ-আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া দল আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না সেটি নিয়ে রাজনীতির মাঠে নানা আলোচনা চলছে। বাংলাদেশে গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্ররা বিভিন্ন সংস্কার করে অনুষ্ঠিতব্য আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সুযোগ না দেওয়ার কথা বলছে। ছাত্র নেতাদের দাবি, জুলাই হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত পতিত আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করার সুযোগ যেন না দেওয়া হয়।


আরও খবর



নির্বাচন যত বিলম্ব হচ্ছে, সংকট তত বাড়ছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

নির্বাচন যত বিলম্ব হচ্ছে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট তত বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় চলতি বছরের মাঝামাঝিতে নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন নয়। সবার দৃষ্টি জাতীয় নির্বাচনের দিকে। সবকিছু প্রস্তুত, এখন নির্বাচন করতে বেশি সময় লাগবে না। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, নির্বাচন পেছানোর চিন্তা যুক্তিযুক্ত নয়। একটি দেশে গণতন্ত্র হচ্ছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিচার হতেই হবে। রাজনৈতিক দলগুলো এ বিচার চালিয়ে নেবে। তড়িঘড়ি করলে বিচারকাজ প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ঘোষণাপত্রের খসড়া বিএনপি হাতে পেয়েছে, তা নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়েছে, আরও আলোচনা দরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, জামায়াতের সঙ্গে কোনো মতপার্থক্য নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন থাকতেই পারে।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত। বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তিই জনগণ মেনে নেবে না।


আরও খবর



বার্লিনে চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারক বাংলাদেশের বিধান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মনির হোসেন :

ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হচ্ছে ৭৫তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এই উৎসবে জুরি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে থাকছেন চলচ্চিত্র সমালোচক বিধান রিবেরু। ফিপ্রেসি জুরি হিসেবে উৎসবের প্যানারোমা বিভাগের বিচারক থাকবেন,তিনি বলেন,উৎসবে অংশ নিতে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়বেন তিনি।এর আগে বিধান রিবেরু ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে ফিপ্রেসি জুরি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছিলেন। 

বিধান বলেন, ‘চলচ্চিত্রকে ভালোবাসার জায়গা থেকে চলচ্চিত্র দেখা। এ ধরনের উৎসবে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে চলচ্চিত্র সম্পর্কে অন্য মানুষের মতামত জানা যেমন যায়, তেমনি নিজের মতামতকেও ঝালাই করে নেওয়া যায়। এত বড় উৎসবে আমি যখন যাচ্ছি, এর মাধ্যমে নিজের যেমন অংশগ্রহণ হচ্ছে, ঠিক তেমনি বাংলাদেশেরও প্রতিনিধিত্ব করছি। এটা একটা বড় ব্যাপার এই কারণে যে বাংলাদেশ থেকে একজন চলচ্চিত্র সমালোচক বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে, জুরি হিসেবে কাজ করছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। আমি মনে করি যে এটা আমার জন্য আনন্দের, ভালো লাগার ব্যাপার। তবে দেশের মানুষ কীভাবে দেখে, সেটা অবশ্য আমি জানি না।’

বিধান রিবেরু আরো বলেন এ ধরনের উৎসবে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগতভাবেও লাভবান হয়ে থাকেন। 

তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রজগতে নতুন যেসব ছবি আসছে, বিশ্বের খ্যাতনামা সব নির্মাতাদের, একেবারে ক্ল্যাসিক ঘরানার ছবি, সেসব ছবির প্রথম প্রদর্শনী হয় এ ধরনের বড় সব উৎসবে। সবার আগে এসব ছবি জুরি হিসেবে দেখার একটা সুযোগ তৈরি হয়। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, এ বছর ফিপ্রেসি ১০০ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। এই দীর্ঘ সময়ে অনেক বড়মাপের চলচ্চিত্র নির্মাতাও বেরিয়ে এসেছে ফিপ্রেসি পুরস্কারের মাধ্যমে। এই পুরস্কারের মধ্য দিয়ে আগামীতেও ভালো ও প্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্র নির্মাতারা উঠে আসবেন—যা কোনো একদিন হয়তো আমিও বলতে পারব। ফিল্মের প্রতি যেহেতু আমার ভালোবাসা আছে, এতে করে আমারও একধরনের সন্তুষ্টি ঘটে।


আরও খবর

সকাল সকাল দেশ ছাড়লেন তাহসান-রোজা

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় নতুন বই হাতে পেলো কিছু শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নতুন বছরের প্রথম দিনে সারা দেশের ন্যায় বিনামূল্যের সরকারি নতুন পাঠ্যবই পাওয়া শুরু করেছে নওগাঁর কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বছরের প্রথম দিনে নওগাঁ জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে কিছু নতুন বই পৌচেছে। হাতে নতুন বই নিয়ে উল্লাসিত শিক্ষার্থীরা। নতুন বই নিতে সকাল থেকেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে হাজির হোন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে বিদ্যালয়গুলো। নওগাঁয় এ বছর মাধ্যমিকের বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৪২ লাখ ১৭ হাজার ১শ' ৯৮টি এবং প্রাথমিকে চাহিদা রয়েছে ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩শ' ৫২টি। নওগাঁ শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলায় বইয়ের চাহিদা রয়েছে মোট ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫শ' ২৫টি তারমধ্যে মোট বই এসেছে ২২ হাজার ৪শ' টি, মহাদেবপুরে মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭শ' ৫০টি তারমধ্যে এসেছে মোট ১২ হাজার ৪শ' ৫০টি, আত্রাই উপজেলা মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫০টি, তারমধ্যে এসেছে ৩৪ হাজার ৯শ' ৫০টি, পোরশা উপজেলায় মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৯৭টি তারমধ্যে এসেছে ৩ হাজার ৩শ' টি, মান্দা উপজেলায় মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৫ লাখ ১৮ হাজার ১শ' ২১টি তারমধ্যে এসেছে ২১ হাজার ৯শ' টি, ধামইরহাটে মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ২শ' ৪৬টি, তারমধ্যে এসেছে ৮ হাজার ২শ' ৫০টি, পত্নীতলায় বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮শ' ২০টি, তারমধ্যে এসেছে ২৬ হাজার ৪শ' টি, সাপাহারে মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৭শ' টি তারমধ্যে এসেছে ১২হাজারটি, নিয়ামতপুরে বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪শ' ৪০টি, তারমধ্যে এসেছে ১২হাজার ৬শ' টি, রাণীনগরে মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮শ' ৫০টি, তারমধ্যে এসেছে ৮হাজার ৭শ' টি, বদলগাছীতে মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৩শ' ৪০টি, তারমধ্যে এসেছে ২৪ হাজার ৭শ' ৪৩টি। এছাড়াও কারিগরি শাখায় বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৮৫ হাজার ২৬৯টি, এ শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য এখন পর্যন্ত কোন বই আসেনি।

নওগাঁ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ১ হাজার ৩৭৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই বছর মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ৩ লাখ ৯ হাজার ১শ ৬৯ জন। সেইসব শিক্ষার্থীর জন্য এ বছর বইয়ের চাহিদা রয়েছে ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩শ' ৫২টি। এরমধ্যে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত মোট বই এসেছে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৬৩টি। জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া চাহিদা মোতাবেক সব বই আসেনি, যা এসেছিল তা আজ শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। নওগাঁ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জেলার সব স্কুলের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে ৩টি নতুন বই তুলে দেয়া হচ্ছে আজ। তবে চাহিদা অনুযায়ী সব বই এখনও জেলায় পৌঁছায়নি। আশা করছি খুব দ্রুতই বই পৌঁছে যাবে। বই হাতে এলেই আমরা তা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেবো।


আরও খবর



রাজাপুরে শীতের তীব্রতা বাড়লেও, শীতকাপড়ের বাজারে নেই ক্রেতা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, রাজাপুর. ঝালকাঠি :

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা শহরে এখনও জমেনি শীতের পোশাক বিক্রির বাজার। শীত নিবারণের হাজারো পোশাকে বাজার এখন সয়লাব নেই ক্রেতা। উপজেলার থানা এড়িয়ায় শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় বিক্রেতাদের। রয়েছে ফুলপ্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি, জ্যাকেট, মাফলার, হাতমোজা, পা মোজা, টুপি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের বস্ত্র। তবে দেখা মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ক্রেতার। ব্যবসায়ীদের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে হতাশার ছাপ। উপজেলার তারাবিবি সুপার মার্কেটর সামনের সোহেল ফ্যাশন হাউসে রয়েছে বিভিন্ন দামের শীতের পোশাক। সেখানকার কর্মী রাকিব বলেন, মানুষের চাহিদা অনুযায়ী মানুষ পন্য কিনতে হিমসিম খাচ্ছে অতিরিক্ত পন্যের দামের কারনে, শীতের মৌসুমে যতটা বিক্রি হ‌ওয়ার কথা সে তুলনায় এই বছর অনেক কম। ওই মার্কেটের আরেক দোকানি জানায় অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শীতকালীন পোশাক আসা শুরু হয়েছে। আরো বলেন, গত কয়েকদিনে হাঁড়কাপানো শীত পড়লেও ক্রেতার সংখ্যা তেমন নয়। প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার পোশাক বিক্রি হয়। আরেক দোকানি আলামিনের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, মালামাল নিয়ে বসে আছি। বেচাবিক্রি তেমন নেই। মার্কেট ঘুরে শীতের পোশাক কেনার পর টুপি-মোজার দোকানে এসেছিলেন ক্রেতা রিয়াজ বলেন গতবছরের চেয়ে পোশাকের মূল্য বেশি থাকায় কিনতে হিমসিম খাচ্ছে আমার মতো সাধারণ ক্রেতারা এবং আমাদের চাহিদার পোশাকের সরবারহ অনেক কম‌। দোকানিরা জানান, বঙ্গবাজার ও গুলিস্তান ট্রেড সেন্টার থেকে এই পোশাকের সংগ্রহ আসে।


আরও খবর