Logo
শিরোনাম

শীতের সবজি রান্নার রেসিপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

অনেকে হোটেলের মিক্সড সবজিটা খুব পছন্দ করে, ভাবে সকালের নাস্তায় বাসাই পরোটা তৈরি করলেও সবজিটা হোটেল থেকে নিয়ে আসতেই হবে। অত সুন্দর করে বাসাই রান্না করতে পারব না। কিন্তু সেই ধারনাটা একদম ঠিক নয়, আপনি ইচ্ছা করলে বাসাই তৈরি করতে পারবেন হোটেলের সুস্বাদু মিক্সড সবজি। চলুন তাহলে জেনে নেই হোটেলের মিক্সড সবজিটির রেসিপি

যে উপকরন লাগবে

 

সবজি ৬-৭ রকমের (আমি নিয়েছিঃ পেঁপে, মিস্টিকুমড়া, মটর,শিম, আলু, ফুলকপি, বেগুণ, কাঁচা টমাটো, গাজর সব সবজি কিউব বা ছোট করে কাটা আর সমপরিমাণ করে নিতে হবে। এখানে ১ কাপ করে নেয়া),

ছোলার ডাল ১/২ কাপ,

পেঁয়াজ কুচি ২-৩টি বড়,

কাঁচামরিচ ফালি ৮-১০টি,

হলুদ+ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ,

মরিচের গুড়া+জিরা গুঁড়া ১/২ চা চামচ,

ধনেপাতা কুচি ১ মুঠো,

লবণ স্বাদমতো,

তেল রান্নার জন্যে ২ টেবিল চামচ

 

ফোঁড়নের জন্যে লাগবে

 

থ্যাতো করা রসুন ৬-৭কোয়া,

শুকনামরিচ ৩-৪টি,

অল্প একটু গরম মসলা,

তেজপাতা২-৩টি,

আস্ত জিরা দেড় চাচামচ এবং

তেল-পরিমাণমত

 

যেভাবে তৈরি করতে হবে

 

মিক্সড সবজি রান্না করতে হলে প্রথমে ছোলার ডাল ৩০মিনিট আগে থেকে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ডাল ফুলে উঠলে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে

 

এবার হাঁড়িতে সব সবজি ও ডাল নিয়ে তাতে অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ, হলুদ-মরিচ-ধনিয়া-জিরা গুঁড়া, দুই টেবিল চামচ তেল ও লবণ দিয়ে খুব ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। এমনভাবে মাখাতে হবে, যেন সবজির গায়ে মসলা বেশ ভালোভাবে লেগে যায়। সবজি মাখানো হলে হাত ধোয়া পানি দিয়ে দিতে হবে। বেশী পানি দেওয়ার দরকার নেয়। সবজি ও পানি সমান-সমান থাকলেই হবে

 

এইবার হাঁড়িটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে চুলার আঁচ বাড়িয়ে রান্না করতে হবে। এবার পানি ফুটে উঠলে আঁচ মাঝারি করে রান্না করতে হবে। মাঝে মাঝে আলতো করে কাঠের খুন্তি দিয়ে নেড়ে দিতে হবে। পেঁপে আর আলু যখন সেদ্ধ হয়ে যাবে তখন ঢাকনা খুলে দিতে হবে। যদি দেখেন, সবজিতে পানি বেশী রয়ে গেছে তখন চুলার আঁচ বাড়িয়ে পানি টানিয়ে নিতে হবে

 

পানি টেনে আসলে ধনেপাতা মিশিয়ে হাঁড়িটি চুলা থেকে নামিয়ে ঢেকে রাখতে হবে অথবা এক চুলায় সবজির হাঁড়ি রেখে অন্য চুলায় ফোঁড়নের জন্যে প্যান বসাতে হবে। প্যানে তেল গরম করে বাকি অর্ধেক পেঁয়াজ ও রসুন দিয়ে ভেজে নিতে হবে। । পেঁয়াজ-রসুন হালকা বাদামি হলে তার মধ্যে আস্ত জিরা, শুকনো মরিচ আস্ত ৩-৪টি, অল্প গরম মসলার গুড়া ও তেজপাতা দিয়ে একসাথে একটু নেড়ে, এই মিশ্রণটি সবজির ওপর ঢেলে সাথে সাথে ঢাকনা দিয়ে দিতে হবে। হয়ে গেলো হোটেলের স্বাদে সবজি রেসিপিটি


আরও খবর

শেষ পাতে ফিরনির রেসিপি

সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪

ঢাকার ১০০টি সুস্বাদু খাবারের তালিকা

বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪




নতুন বছরে মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি 

নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ২৪-এর জুলাই বিপ্লবের পরে শিক্ষার্থীরাও তাদের বাকস্বাধীনতা ফিরে পেয়েছেন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরাও শিক্ষা ক্ষেত্রে নানা দাবি-দাওয়া তুলছেন এবং ইতিবাচক পরিবর্তনও দেখতে চাচ্ছেন। বিদায়ী বছরটির প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির স্মৃতি পেছনে ফেলে নতুন বছরে নতুন আশায় বুক বাঁধতে পিছিয়ে নেই তরুণরাও। নতুন বছরে কয়েকজন তরুণ শিক্ষার্থীর ভাবনা, প্রত্যাশা-প্রাপ্তি আর স্বপ্নের কথা তুলে ধরেছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক মো: হৃদয় হোসাইন।

'পুরাতন প্রশাসন এর স্বৈরাচারী মনোভাব ও  ভুল-ভ্রান্তি যেন আবার নতুন প্রশাসন এর গায়ে না লাগে' -তরফদার রোহান, শিক্ষার্থী, গনিত বিভাগ।

মাস্টার্সের গনিত বিভাগের শিক্ষার্থী তরফদার রোহান আরও বলেন, মানুষ নতুনত্বকে ভালোবাসে। পুরোনো জিনিসের প্রতি মায়া থাকলেও নতুন জিনিস এর প্রতি আগ্রহ মানুষের সুপ্রাচীন। তাই তো কালের বিবর্তনে মানুষ পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় অত্যন্ত আনন্দের সাথে। ২০২৪ কেউ আমরা ঠিক একইভাবে বিদায় জানিয়ে ২০২৫ কে গ্রহণ করে নিয়েছি উৎসাহ, উদ্দীপনা নিয়ে। সেই সাথে পুরোনো বছরের ভুল ভ্রান্তিকে ছাপিয়ে নতুন বছর এবার এসেছে জুলাই অভ্যুত্থান এ ছাত্র-জনতার বিজয় নিয়ে। তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীরাও আশাবাদী পুরোনো প্রশাসন এর স্বৈরাচারী মনোভাব ও  ভুল-ভ্রান্তি যেন আবার নতুন প্রশাসন এর গায়ে না লাগে। আমরা চাই একটি শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসন সাথে শিক্ষার্থীসুলভ শিক্ষকদের মনোভাব। তবে সবার আগে আমি যেটা মনে করি সেটা হচ্ছে পরীক্ষার আগে রেজাল্ট পাবলিশ করা জরুরি। এই রেজাল্ট এর জন্য অনেক শিক্ষার্থীকে নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। নতুন বছরে আরেকটি প্রত্যাশা আমরা যাতে সুন্দর একটি অডিটোরিয়াম,জিমনেশিয়াম ও টিএসসি এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের উপহার দেয় যেটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মনমানসিকতার উৎকর্ষ সাধন ত্বরান্বিত হয়।

'তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তি, গবেষণা, এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনায় দক্ষ করে গড়তে হবে।- এআর রুপক, শিক্ষার্থী, ইংরেজি  বিভাগ

মাস্টার্সের ইংরেজি বিভাগের এআর রুপক আহমেদ আরও বলেন, ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের পর  বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক  ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় সূচনা হয়েছে। এই বিপ্লব শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তন নয়, এটি জাতির নতুন স্বপ্ন ও আশার প্রতীক। নতুন বছরের সূচনা লগ্ন থেকেই আমরা নতুন বাংলাদেশ  বিনির্মাণে  এক নতুনত্বের উন্মোচন করতে চাই। আমার  দৃষ্টিভঙ্গিতে নববর্ষের  শুরু থেকেই নতুন   প্রজন্মের স্বপ্ন, প্রত্যাশা এবং চেতনার প্রতিফলন উন্মোচন করতে হবে। তরুণরাই নতুন বাংলাদেশের প্রকৃত স্থপতি। তরুণদের মধ্যে যদি সঠিক দিকনির্দেশনা থাকে, তবে তারা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারবে,তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তি, গবেষণা, এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনায় দক্ষ করে গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশকে একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাজনৈতিক সংস্কারের গুরুত্ব অপরিসীম, দেশে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এটি দূর করতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি। তরুণ নেতৃত্ব এবং সুশিক্ষিত ব্যক্তিদের রাজনীতিতে আসার আহ্বান করছি । পাশাপাশি, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে একটি শক্তিশালী আইন ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রস্তাব করছি

আমরা মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, নতুন বছরের শুরুতেই আমরা ভাসানীয়ানরা চায়, একে অপরের সাথে ভাতৃত্ববোধ বজায় রেখে সকল অন্যায় অত্যাচারের  বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। যেমনটা আমরা জুলাই বিপ্লবে একে অপরের  কাঁধে কাঁধ দেখে হেঁটেছিলাম। ভাসানী  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একে অপরের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। জুলাই বিপ্লবের ধারাবাহিকতায় আমরা দেখেছি। আমরা  একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি। নতুন বাংলাদেশ হবে এমন এক দেশ, যেখানে ধর্ম, জাতি, বা শ্রেণির ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য থাকবে না। নারীর অধিকার, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা, এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন এবং উদ্যমই এই পথচলার মূল শক্তি। বাংলাদেশকে একটি ন্যায়বিচারপূর্ণ, মানবিক, এবং উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই।

'কাম্পাসে গুণগত শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে' - তুষার আহমেদ, শিক্ষার্থী, পরিসংখ্যান বিভাগ

পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তুষার আহমেদ আরও বলেন, কাম্পাসে গুণগত শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে, শিক্ষার্থীদের রাজনীতি সচেতন হওয়া উচিৎ যেন নিজ স্বার্থে কোন ব্যাক্তি বা দল ক্যাম্পাসকে ব্যবহার না করতে পারে। আমরা আশা রাখি শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসন এবং শিক্ষকদের যথাযথ সহযোগিতা পেলে আমাদের শিক্ষার গুনগতমান উন্নয়ন সম্ভব হবে।  আমরা সবাই এক সাথে থেকে নতুন বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ়

প্রতিজ্ঞা করছি।

শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন দেখে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার- মো. কামাল, শিক্ষার্থী,  অর্থনীতি বিভাগ

অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. কামাল আরও বলেন, মাভাবিপ্রবির ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টার পর্যায়ে রয়েছে এবং ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে চতুর্থ বর্ষ ২য় সেমিস্টার শেষ করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে । করোনা মহামারি আমাদের শিক্ষা জীবন প্রায় দেড় বছর কেড়ে নিয়েছে । আমরা চাই ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা, ভাইভা, ল্যাব নিয়ে আমাদের ফাইনাল ইয়ার শেষ হয়ে যাক। এই লক্ষ্য অর্জনে নিরন্তর পরিশ্রম, নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষার প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ২০২৫ সালে শেষ করতে । শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন দেখে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষকরা যদি পাশে থেকে ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে এই যাত্রাকে সহজতর করে আমাদের জন্য মঙ্গল হয় । আশা করি ছাত্র, শিক্ষক ও প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ২০২৫ সালের মধ্যেই এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সফল সমাপ্তি নিশ্চিত করবে।


আরও খবর



মেয়াদ বাড়ল ছয় সংস্কার কমিশনের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়িয়েছে।কমিশনগুলোকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

ছয় কমিশনের মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও সংবিধান সংস্কার কমিশনকে ১৫ জানুয়ারি এবং বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।এরপর রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে গঠিত হয় ছয়টি সংস্কার কমিশন।

প্রথমে নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন হয়েছিল ৩ অক্টোবর। এই পাঁচ কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। সে হিসাবে ২ জানুয়ারির মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল।

এরপর সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছিল ৬ অক্টোবর।তাদের ৫ জানুয়ারির মধ্যে এ কমিশনের প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল।

গত ৪ নভেম্বর প্রথম ধাপের এই ছয় কমিশনের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। সেখানে কমিশনগুলোর কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়। এরপর গতকাল (৩ জানুয়ারি) কমিশনগুলোর সময় বাড়ানোর কথা জানিয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।

এদিকে গত ১৮ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী বিষয়ক ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।তাদেরকে প্রতিবেদন দিতে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




সড়কের নৈরাজ্যে পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত

প্রকাশিত:শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

সড়ক ও পরিবহন খাতে যে নৈরাজ্য চলছে, তার সঙ্গে একটি পলিটিক্যাল (রাজনৈতিক) প্রভাব জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর রমনায় বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন আয়োজিত সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সড়ক ও পরিবহন খাতে দুর্নীতি বন্ধ হয়নি। আগে এক দল ছিল, এখন অন্য দল করছে।

তিনি বলেন, সড়কের নৈরাজ্যের সঙ্গে একটা পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত। তাই খুব সহজে সমাধান হবে না। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। দুর্নীতির সঙ্গে যেহেতু রাজনৈতিক কর্মী ও নেতারা জড়িত, তাই সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা রাখতে হবে।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের উন্নয়ন জনবান্ধন ছিল না বলেই মানুষ সুবিধা পায়নি। ভবিষ্যতে জনবান্ধন উন্নয়নের জন্য সাধারণ মানুষের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে পলিসি ডেভেলপ করা হবে।

পরিবহন মালিকদের উদ্দেশে অনুষ্ঠানে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, কোনো পুরাতন বাস রাখা হবে না। সময় দেওয়া আছে, এর মধ্যে ব্যবস্থা নেন।

তিনি আরও বলেন, সড়ক ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে স্থায়ী পরিকল্পনা করা হচ্ছে। উচ্ছেদ করে দেওয়া নয়, পরিকল্পিত সমাধান করার চিন্তা করা প্রয়োজন।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




ফুলবাড়ী সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার ১৪ বছরেও পায়নি বিচার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, (কুড়িগ্রাম) 

আজ- ০৭(জানুয়ারি)সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার-১৪ বছর।২০১১সালে এইদিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের উত্তর অনন্তপুর হাজিটারী সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ ফেলানীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে লাশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে।এ হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ অবধি কাঙ্খিত বিচার পায়নি তার পরিবার।


পাশ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ রামখানা কলোনিটারী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ফেলানী হত্যার এই দিনটির স্বরণে ফেলানীর কবর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে ব্যস্ত তার পরিবার।ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম, মা জাহানারা বেগম জানান,আজ ১৪ বছরেও সেই দিনের দুঃসহ স্মৃতির কথা ভুলতে পারিনি, আজ ও সেদিনের তার আত্ম চিৎকারে গভীর রাতে আচমকা ঘুম ভেঙ্গে যায়।আমাদের মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে মানবাধিকার সংস্থা সহ নানান জনের কাছে গিয়েছি কিন্তূ এপর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত বিচার পেলাম না।


২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট ভারতের কুচবিহার জেলার বিএসএফের ১৮১ সদর দপ্তরে অবস্থিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হলে ০৫ (সেপ্টেম্বর) সেই কোর্টে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১১ (সেপ্টেম্বর)  ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবার আশায় ভারত সরকারকে একটি পত্র দিয়ে জ্ঞাত করেন। ২০১৪ সালে ২২(সেপ্টেম্বর) পুনঃবিচার কার্যক্রম শুরু হলেও বিভিন্ন কারণে তা একাধিকবার স্থগিত হয়ে যায়।


পরবর্তীতে ২০১৫ সালের আইন ও সালিশ কেন্দ্র ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চে আরও একটি ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেন। ৩১(আগষ্ট) ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সেদেশের সরকারকে ফেলানীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ্য রুপি প্রদানের অনুরোধ করেন ,এর জবাবে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম কে দায়ী করে বক্তব্য দেন। এরপর ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় শুনানি দিন তারিখ পিছিয়ে গিয়ে একেবারে ২০২০ সালে ১৮ (মার্চ)শুনানির দিন ধার্য হয়ে আজ অবধি শেষ হয়নি সেই বিচার কাজ।


ফেলানী হত্যা মামলার তৎকালীন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য মানবাধিকার কর্মী, সাবেক পিপি এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার পাইনি,পেলে মানবাধিকার সুরক্ষার পথ আরও সুগম হতো।


এছাড়াও ২০১৩ সালের ২৭(সেপ্টেম্বর)ফেলানী হত্যার ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচার এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১ম বাদী ও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলী ২য় বাদী হয়ে ভারতের আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় (ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়ার) সচিব এবং বিএসএফের মহাপরিচালক কে বিবাদী করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নয়াদিল্লীতে ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ -৩২ অনুযায়ী একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন।পরবর্তীতে ২০১৫ সালে  ২১ (জুলাই) আবারও ফেলানীর বাবার জন্য অন্তবর্তী কালীন ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি আবেদন করেন।


এবিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মামলাটি ভারতের নয়াদিল্লীর সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘদিন যাবত ঝুঁলে আছে।


এদিকে ফেলানী হত্যার পর থেকে গত কয়েক বছর ধরে ৭ (জানুয়ারি) কে ফেলানী দিবস ঘোষণা,হত্যার বিচার,তার পরিবার কে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান ও ঢাকা শহরের উত্তর সিটি কর্পোরেশন বারিধারা পার্ক রোডের নামকরণ ফেলানী স্বরণী রাখার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদ। এতদিন পার হয়ে গেলেও বাস্তবায়ন হয়নি একটিও।

এবিষয়ে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মুঠোফোনে জানান,এবার তারা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় শুধু স্টিকার লাগাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন,৭ (জানুয়ারি) ফেলানী দিবস পালন সহ সারা বিশ্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে ২০১৫ সালে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবরে আমরা একটি লিখিত স্বারকলিপি প্রদান করেছিলাম। পরবর্তীতে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় এটি বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের নিকট যে কোন রাষ্ট্রকে এবিষয়ে প্রস্তাব আনতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সে উদ্যোগের অপেক্ষায় আছি।


আরও খবর



নির্বাচন যত দেরি হবে, সমস্যা আরো বাড়বে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন যত দেরি হবে, সমস্যা আরো বাড়বে। কারণ, সরকারি দপ্তরগুলোতে এখনো ফ্যাসিবাদীরা বসে রয়েছে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত জাতীয় সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণতন্ত্রের জন্য উপযোগী করতে হবে। গণতন্ত্রের জন্য ধারাবাহিক প্রতিটি সংগ্রামকেই স্মরণে রাখা দরকার।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে আন্তরিক। রাজনৈতিক সংস্কারের চিন্তা থেকেই ২০১৬ সালে ভিশন-২০৩০ এবং ২০২২ সালে ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা দেওয়া হয়েছিল। বিএনপি প্রয়োজনীয় ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচনে যেতে চায়। কিন্তু জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই কাজ করতে হবে। তবে জনগণের ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষে আমরা নই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিগত ১৬ বছরে বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে, সাত শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করে এবং ২০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ।

এ সময় সংস্কার নিয়েও কথা বলেন ফখরুল। তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসলে ভালো হতো। তাহলে সংস্কারকাজ এগিয়ে যেত।


আরও খবর

উজ্জীবিত খালেদা জিয়া

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫