Logo
শিরোনাম

শেখ আব্দুর রশিদ নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ড. শেখ আব্দুর রশিদ চুক্তিতে নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিয়োগ পেয়েছেন। যিনি চুক্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তাকে দুই বছরের জন্য এ পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আব্দুর রশিদ সিভিল সার্ভিসের প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা।

সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তিনি এ নিয়োগ পেয়েছেন। আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হবে।

শেখ আব্দুর রশিদ দেশের ২৫তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি মো. মাহবুব হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আগামী ১৩ অক্টোবর শেষ হবে। দুর্গাপূজা এবং সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বৃহস্পতিবার থেকে আগামী রোববার পর্যন্ত টানা চারদিন বন্ধ থাকায় বুধবারই (৯ অক্টোবর) মাহবুব হোসেনের শেষ কর্মদিবস।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৭ আগস্ট চুক্তিতে দুই বছরের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব শেখ আব্দুর রশিদ। পরেরদিন তাকে সিনিয়র সচিব করা হয়।

আব্দুর রশিদ ১৯৫৭ সালের ৫ মে সাতক্ষীরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি নেদারল্যান্ডসের দি হেগ শহরের ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল স্টাডিজ থেকে পাবলিক পলিসি অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসন বিষয়ে পিএইচডি অর্জন করেন। আব্দুর রশিদ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় তৃতীয়স্থান অধিকার করেন। তিনি বিসিএসের ১৯৮২ ব্যাচের সম্মিলিত মেধাতালিকায় চতুর্থ ও প্রশাসন ক্যাডারে প্রথমস্থান অর্জন করেন।

আব্দুর রশিদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসক হিসেবে মাঠ প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক হন। এছাড়া তিনি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ছিলেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মন্ত্রিসভা ও বিভিন্ন মন্ত্রিসভা কমিটির সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মূল দায়িত্ব হচ্ছে মন্ত্রিসভা ও এর কমিটিগুলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা এবং গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়।

এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মাঠ প্রশাসন তথা বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কাজের তদারক করে থাকে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কাজের সমন্বয় সাধনও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অন্যতম দায়িত্ব।

সরকারের সামগ্রিক কার্যক্রম পর্যালোচনা ও সমন্বয়ের অন্যতম ফোরাম সচিব সভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ সভার সভাপতি। তাছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব সিভিল প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন পদগুলোতে পদোন্নতির সুপারিশকারী সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) সভাপতি।


আরও খবর



এখন দরকার নানারকম শীতের পোশাক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শীতের পোশাক অবশ্যই ফ্যাশনেবল এবং আরামদায়ক হতে হবে। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ ও শপিংমলে পাওয়া যাচ্ছে নানা ডিজাইনের শীতের পোশাক

শীতের পোশাক সুতি কাপড়ের, ফ্লানেল কাপড়ের হলে শিশুরা পরে খুব আরাম পায়। তাই তাদের শীতের পোশাকের নিচে বিশেষ করে উলের পোশাকের নিচে পাতলা সুতি কাপড়ের পোশাক পরিয়ে দেওয়া উচিত। তবে হালকা শীতে শিশুকে খুব মোটা কিংবা খুব বেশি গরম কাপড় পরানো উচিত নয়। বেশি গরম কাপড় পরালে গরমে ঘেমে ঠাণ্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে

শপিংমলে পাবেন নানা রং, নকশা আর মোটিফের শীতের পোশাক। মেয়েশিশুর শীতের পোশাকে রয়েছে দারুণ সব ডিজাইনের ছোঁয়া। ফুল, লতাপাতা, কার্টুন চরিত্র, নানা উপকরণ ব্যবহার করে শিশুদের শীতের পোশাকগুলো করা হয়েছে আকর্ষণীয়। তবে এসব পোশাকের বোতাম এবং আলাদাভাবে বসানো উপকরণে শিশুদের নরম ত্বকে ব্যথা পাচ্ছে কি না সেদিকটিও খেয়াল রাখতে হবে। শিশুরা রঙিন পোশাক পছন্দ করে। শিশুদের জন্য পাবেন ডেনিমের বর্ণিল রঙের প্যান্ট ও হুডি।  হুডি ছাড়া রেকসিন, চামড়ার লং জ্যাকেটও আছে। তবে স্কুলে যাওয়ার জন্য শিশুর শীতের পোশাক কিনলে তা খুব বেশি কালারফুল হওয়া উচিত নয়। সে ক্ষেত্রে কালো, নীল, সাদা রংগুলো বেছে নিতে পারেন। কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য রঙিন আর নকশা করা শীতের পোশাক কিনতে পারেন।

রকম-সকম

বিভিন্ন মার্কেটে এবার শীতের পোশাকে জিন্সের ফ্রক, স্কার্ট, উলের সেট, বেবিকিপার, রেকসিনের জ্যাকেট, ওভারকোট, কার্ডিগান, উল ও ক্যাশমেয়ার বেশি চোখে পড়ছে। এ ছাড়া শিশুদের বৈচিত্র্যময় মাফলার, নতুন ডিজাইনের কানটুপি এসেছে । ছোট ছোট মাফলারে নানারকম ঝুল বেশ আকর্ষণীয় করে তুলেছে পোশাকগুলোকে। সুতির স্কার্ফও আরামদায়ক ও আকর্ষণীয় শিশুর জন্য। এ ছাড়া আছে ডোরেমন, স্পাইডারম্যান, ব্যাটম্যান, হ্যারি পটার, আয়রনম্যান, পোকেমন কার্টুনের ডিজাইন করা আকর্ষণীয় শীত পোশাক।

আছে হুডি

আজকাল বাজারে শিশুদের জন্যও হুডিযুক্ত পোশাক পাওয়া যায়। তাই শিশুদেরও এমন পোশাক কিনে দিতে পারেন। বিশেষ করে যে শিশুরা আলাদা টুপি ব্যবহার করতে চায় না তাদের জন্য এমন পোশাকই সেরা

সাহেবি পোশাক

 বাজারে বিক্রি হচ্ছে স্যুট-কোট । এসবের সঙ্গে টাইও কিনতে পাবেন। মেয়ে শিশুদের জন্য পাবেন ব্লেজার

শার্ট ও জ্যাকেট

 শীতের বাজারে বিভিন্ন বয়সের জন্য রয়েছে শার্ট ও জ্যাকেট। ফুলহাতা শার্ট, সোয়েট শার্ট কিংবা পোলো শার্ট যেমন পাবেন আবার পাবেন জিনসের তৈরি জ্যাকেট।

সোয়েটার

এ সময় বিভিন্ন ধরনের সোয়েটার পাবেন। বিভিন্ন রঙের যেমন- লাল, বেগুনি, কমলা, গোলাপি সোয়েটার পাবেন ওদের জন্য

লেগিংস ও ট্রাউজার : শীতে লেগিংসও ট্রাউজার কিনে দিতে পারেন। বাজারে ফুল দিয়ে ডিজাইন করা রঙিন লেগিংস পাওয়া যাচ্ছে

টুপি এবং মোজা : বাজারে এখন রংবেরঙের টুপি আর মোজা পাওয়া যাচ্ছে। চাইলে এ সময়ে বাজার থেকে পা-ঢাকা জুতাও কিনে দিতে পারেন

কোথায় পাবেন

শীতের পোশাক কিনতে পারেন বসুন্ধরা সিটিমল, যমুনা ফিউচার পার্ক, রাপা প্লাজা, সানরাইজ প্লাজা, আড়ং, ইস্টার্ন প্লাজা, পলওয়েল মার্কেট, গুলশান পিংক সিটি, কর্ণফুলী গার্ডেনসহ বিভিন্ন শপিংমলে। তবে একটু কম দামে ভালো মানের শীতের পোশাক কিনতে চাইলে যেতে

পাবেন আজিজ সুপার মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, ঢাকা কলেজের বিপরীতে, নিউমার্কেট, গাউছিয়াসহ বিভিন্ন মার্কেটে। গুলশান-১, নিকেতনের ‌বেবি ব্লু অর পিংক বার্ড দোকানটিতে পাবেন শিশুদের মোজা আর পা ঢাকা জুতার খোঁজ।

দরদাম :  সোয়েটার পাওয়া যাবে ২০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে, রেকসিনের জ্যাকেট পাওয়া যাবে ৮০০ -২০০০ টাকার মধ্যে, চামড়ার জ্যাকেট ১৫০০-৪০০০ টাকা, জিন্সের জ্যাকেট পাওয়া যাবে ৪০০ - ১৫০০ টাকার মধ্যে, কানটুপি ১০০-৪০০ টাকা, মাফলার ৬০-২০০ টাকা, হুডি জ্যাকেট ২০০-১৫০০ টাকা, হাত ও পা মাজার সটের দাম পড়বে ১৫০ -৩০০ টাকার মধ্যে, ডেনিমের প্যান্ট ৩০০ -১০০০ টাকার মধ্যে


আরও খবর

শীতে বিয়ের কনের স্কিন কেয়ার রুটিন

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪

নখ সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখার উপায়

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশে আসতে পারেন ব্রিটেনের রাজা চার্লস

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী রানি ক্যামিলা সরকারি সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সফর করতে পারেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী রানি ক্যামিলা অদূর ভবিষ্যতে ভারতীয় উপমহাদেশ সফরের পরিকল্পনা করছেন। রাজা তৃতীয় চার্লস ক্যানসার থেকে ধীরে ধীরে সেরে ওঠায় শিগগিরই এই সফরে বের হতে পারেন। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটেনের রাজার সফরের পরিকল্পনাকে তার শারীরিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতির লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ঠিক কবে নাগাদ ব্রিটিশ রাজা ও রানির এই সফর শুরু হতে পারে, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য জানায়নি ডেইলি মিরর।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর তৃতীয় চার্লস সব ধরনের সফর বাতিল করতে বাধ্য হন। তবে ভারতীয় উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের এই পরিকল্পনার মাধ্যমে পুনরায় তার সফর শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রেক্সিট পরবর্তী বিশ্বে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক সংযোগ প্রতিষ্ঠা করতে চায় ব্রিটেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

দেশটির একটি সূত্র বলেছে, ‘‘রাজা এবং রানির জন্য এই ধরনের সফরের পরিকল্পনা করাটা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের একটি সফর শুরুর কথা রয়েছে; যা বিশ্ব মঞ্চে ব্রিটেনের জন্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে ব্যাপক তাৎপর্যপূর্ণ হবে। এই সময়ে ব্রিটেনের জন্য রাজা এবং রানিই জুতসই রাষ্ট্রদূত।’’

ডেইল মিরর বলছে, রাজ সফরের জন্য সম্ভাব্য আয়োজক দেশগুলোর সাথে আলোচনার করতে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। গত বছর ভারত সফর বাতিল করার পর রাজা ও রানিকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে দেশটিতে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। গত মাসে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে সাক্ষাৎ করেছিলেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। এছাড়া গত মঙ্গলবার ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার ‘‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’’ স্বাগত জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেন যুদ্ধ ‘‘শান্তিপূর্ণভাবে শেষ’’ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন।

২০০৬ সালে ক্যামিলাকে সঙ্গে নিয়ে ওয়েলসের যুবরাজ হিসেবে এক সপ্তাহের জন্য পাকিস্তান সফর করেছিলেন চার্লস। সেই সময় শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আপনাদের কাছে পৌঁছাতে আমার প্রায় ৫৮ বছর লেগেছে। তবে এটা যে চেষ্টা করার অভাবে নয়, তা আমি বলতে পারি।’’


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় সূর্যের দেখা মিলেনি, কুয়াশার সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সিনিয়র রিপোর্টার :

উত্তরা অঞ্চলের জেলা নওগাঁয় সোমবার সারাদিন সূর্যের দেখা মিলেনি, কুয়াশার সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। উত্তরের হিমেল হওয়ায় তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে পথ, ঘাট ও মাঠ। এই কুয়াশা ভেদ করে গত কয়েক দিন সূর্যের দেখা মিললেও সোমবার ৯ ডিসেম্বর সারাদিন সূর্যের দেখা যায়নি। সেই সাথে দুপুরের পর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। 

ঘন কুয়াশার কারণে নওগাঁর সড়ক গুলোতে রাতে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন ও মানুষকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এমনকি দূর্ঘটনা এড়াতে সকাল ৮ পর্যন্ত গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে।

সোমবার সকাল ৯টায় নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বিকেল ৩ টায় তাপমাত্রা ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত শনিবার সকাল ৬টা ও ৯ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তা ছিল ঐ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত দিনের তুলনায় আজ তাপমাত্রার একটু বেড়েছে।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, শীতের দাপট জেলায় এখনো ততটা বৃদ্ধি না পেলেও দিন দিন তীব্রতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। তাই তারা দাবি করেছেন, শীতের শুরুতে যদি এ জেলায় গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের মাঝে আরও কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয় তাহলে তারা অনেক উপকৃত হবেন। এই আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে নওগাঁর সদর হাসপাতালসহ ১১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিন দিন শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এর মধ্যে গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।


আরও খবর



জামিন পেলেন এসপি বাবুল আক্তার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান এবং বিচারপতি আলী রেজার নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এ ব্যাপারে, গত ১৪ আগস্ট চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে বাবুল আক্তার জামিনের আবেদন করেছিলেন, কিন্তু ১৮ আগস্ট আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে।

মাহমুদা খানম মিতু ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন। ওই সময় মিতুর স্বামী এসপি বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর তিনি চট্টগ্রামে ফিরে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয়দের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তবে তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জানতে পারে, মিতু হত্যায় বাবুল আক্তারের নিজেই সম্পৃক্ততা রয়েছে। ২০২১ সালের ১২ মে পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর একই দিন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে দ্বিতীয় মামলা দায়ের করেন। এরপর পিবিআই বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করে এবং তিনি কারাগারে রয়েছেন।

এরপর, ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর প্রথম মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন বাতিল করে নারাজির আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী। আদালত ওই বছরের ৩ নভেম্বর নারাজি ও পিবিআইয়ের প্রতিবেদন খারিজ করে মামলাটির অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে, ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলার অধিকতর তদন্ত শেষে বাবুলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

গত বছরের ১৩ মার্চ আদালত এই মামলায় বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।


আরও খবর

জয় বাংলা' এখন থেকে জাতীয় স্লোগান নয়

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪




দেশের নদ-নদীর সংখ্যা ১১৫৬টি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

দেশের নদ-নদীর সংখ্যা কত—এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে বিতর্ক। এবার ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনের পর সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, খসড়া হিসেবে নদ-নদীর সংখ্যা ১১৫৬টি। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত সংখ্যা যাচাইয়ের পর এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আরও যাচাইয়ের পর নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গ্রীন রোডে পানি ভবনে ‘বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যা নির্ধারণ’ বিষয়ক অবহিতকরণ সেমিনারে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে সেমিনারে পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পার হয়ে গেলেও নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা সরকারি পর্যায়ে এখনো নির্ভুলভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের হিসাবের সঙ্গে নদী কমিশনের হিসাব, আবার এই দুই সংস্থার সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব মেলে না।

দখল-দূষণে অনেক নদী এখন বিলীন; যেগুলো খাতা-কলমেও আর সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। যা নিয়ে নদী গবেষক ও নদী রক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা দীর্ঘদিন কথা বলে আসছেন; গণমাধ্যমেও উঠে আসছে নদী নিয়ে অবহেলার নানা তথ্য।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক মাস পর দেশের নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণে কাজ শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার। উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান দুই মাসের মধ্যে নদ-নদীর সংখ্যা নির্ধারণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন।

উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে এই কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবো, বিআইডব্লিউটিএ, নদী রক্ষা কমিশন ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়।

সেমিনারে জানানো হয়, বিভাগীয় কমিশনারদের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী নদ-নদীর সংখ্যা ১৪৮০টি। অধিকতর যাচাইয়ের পর সারা দেশে নদ-নদীর সংখ্যা ১১৫৬টি। বিভাগ-ওয়ারী এক বা একাধিক জেলায় প্রবাহিত নদ-নদী বিবেচনায় ৮টি বিভাগে নদ-নদীর সংখ্যা ১১৯৬টি। একাধিক জেলায় প্রবাহিত নদ-নদীর সংখ্যা ১৭৯।

সেমিনারে আরো জানানো হয়, ২০২৩ সালে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন কর্তৃক প্রস্তুত করা তালিকায় নদ-নদীর সংখ্যা ছিল ১০০৮টি। ওই তালিকা থেকে ২২৪টি নদী মাঠ পর্যায় থেকে বর্তমান তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়নি। ২০১১ সালে বাপাউবো প্রকাশিত ৪০৫টি নদীর মধ্যে ১৮টি নদী মাঠ পর্যায় থেকে বর্তমান তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়নি। এক বিভাগের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীর সংখ্যা ১১২৩টি। দুই বিভাগে ২৭টি, তিন বিভাগে ৪টি, চার বিভাগের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীর সংখ্যা দুটি।


আরও খবর