Logo
শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জে বঙ্গসাথী ক্লাবের ৩২ বছর পূর্তি

শেখ ফজলুল হক মনি স্মৃতি অনুর্ধ ১৬ মাস্টার্স ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল ঃ

নারায়ণগঞ্জে বঙ্গসাথী ক্লাবের ৩২ বছর পূর্তি উপলক্ষে শেখ ফজলুল হক মনি স্মৃতি অনুর্ধ ১৬ মাস্টার্স ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে শহরে দেওভোগ নাগবাড়ি এলাকায় ডিএসএস ক্লাব মাঠে টুর্নামেন্টের খেলা উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) এমপি।


এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গসাথি ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, বিশেষ অতিথি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, বঙ্গসাথী ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মহানগর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জল।

এ টুর্নামেন্টে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহি ফুটবল ক্লাবগুলো অংশ নিচ্ছে। আজ উদ্বোধনী খেলায় সিরাজদৌলা ফুটবল একাডেমীকে ১/০ গোলে পরাজিত করে  বন্ধন ফুটবল কোচিং জয় লাভ করে।


আরও খবর



নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর পোরশা নিতপুর সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফ এর গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিন (৩৮) এর মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৯টারদিকে ১৬ বিজিবি হাঁপানিয়া বিওপি সংলগ্ন কৃষ্ণসদা এলাকায় সীমান্তের শূন্যরেখায় উভয় দেশের পুলিশ সদস্য ও বিজিবি-বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে মৃতদেহ পৌছে দেয় বিএসএফ সদস্যরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাঁপানিয়া বিওপি’র নায়েক সুবেদার আবু তালেব। তিনি জানান, বুধবার দিবাগত রাত ৮টারদিকে কৃষ্ণসদা সীমান্তের ২৩৬ মেইন পিলারের কাছে বিজিবি ও বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাত পৌনে ৯টার দিকে নিহতের পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়। এসময় পোরশা ও সাপাহার থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।                  নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সোমবার দিবাগত রাতে আল আমিন আরো কয়েক জনের সাথে নওগাঁর পোরশা উপজেলার নীতপুর সীমান্ত এলাকার ২৩২ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। পরে গরু নিয়ে নিতপুর সীমান্তের নীলমারি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ফেরার সময় মঙ্গলবার ভোর ৪টারদিকে ভারতের দাল্লাপাড়া কাঠের ব্রীজ নামক স্থানে পৌঁছালে বিএসএফ ১৫৯ ব্যাটালিয়নের কেদারীপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করেন। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও আল আমিন গুলিবিদ্ধ হোন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শুন্যরেখা থেকে ১ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিএসএফ সদস্যরা আল আমিনের মৃতদেহ নিয়ে যায়।    মঙ্গলবার দুপুরে হাঁপানিয়া সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকায় বিএসএফ ও বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। স্থানীয় পুলিশ সূত্র জানায়, ভারতীয় পুলিশ ময়না তদন্তের পরই মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে।নিহতের শরীরে গুলিবিদ্ধ হওয়ার চিহ্ন ছিলো।


আরও খবর



এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্রান্স রচনা প্রতিযোগীতায় সেরা হলেন ফাহিম-মেহেদী

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং বাংলাদেশ এএমআর রেসপন্স অ্যালায়েন্স (বারা) এর উদ্যোগে 'সেনিটাইজেশন ওয়ার্কশপ অন এএমআর উইথ স্টুডেন্টস ফর্ম ভেটেরিনারি অ্যান্ড মেডিকেল ইনস্টিটিউশন' অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উক্ত কর্মশালায় রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ের ভেটেরিনারি ও মেডিকেলের নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এতে মানবদেহে ও প্রাণীদেহে অনিরাপদ এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধ করার ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়। অনুষ্ঠানের পূর্বেই 'প্রিভেন্টিং  এন্ট্রিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্রান্ট টুগেদার ' রচনা প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। এতে ভেটেরিনারি ও মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। উক্ত প্রতিযোগীতায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের শিক্ষার্থী আসিফ আল ফাহিম প্রথম, মেহেদী হাসান দ্বিতীয় স্থান  অর্জন করেন।

পরবর্তীতে তাদের হাতে ক্রেস্ট প্রদান করেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান ও দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: এ. এফ. এম নূরউল্লাহ। এই কর্মশালায় এএএমআরও এএমইউ এর উপর কুইজ প্রতিযোগিতার ও আয়োজন করা হয় এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, বারা এবং এফএও সদস্যদের উপস্থিতিতে এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মশালার সমাপ্তি হয়।


রচনা প্রতিযোগীতায় প্রথম হওয়া শিক্ষার্থী আসিফ আল ফাহিম বলেন, এএমআর একটি মাল্টিসেক্টরাল সমস্যা যার জন্য প্রয়োজন মাল্টিসেক্টরাল সমন্বয়, তাই কর্মশালাটি ওয়ান হেলথ পদ্ধতি অনুসরণ করে ভবিষ্যতের প্রেসক্রাইবারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ডিজাইন করা হয়েছিল। ভবিষ্যৎ প্রেসক্রাইবার যারা এখন শিক্ষার্থী,  তাদের এই কর্মশালার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। যেহেতু তারা বারা পদ্ধতি অনুসরণ করে এন্টিবায়োটিকের দায়িত্বশীল ব্যবহার বাস্তবায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। শিক্ষার্থী এবং অনুষদ সদস্যরা অ্যাক্সেস, ওয়াচ, রিজার্ভ শ্রেণীকরণ পোস্টার এবং ব্যানার বিতরণের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণায় অংশগ্রহণ করবে।

প্রতিযোগীতায় দ্বিতীয় স্থান  অর্জন করা মেহেদী হাসান বলেন, এই মাল্টিসেক্টরাল সমস্যা এটা সমাধানের জন্য প্রয়োজন মাল্টিসেক্টরাল সমন্বয়। মানবদেহে এন্টিবায়োটিক এর রেজিস্ট্রান্ট যে হারে বাড়ছে তা আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিকে মৃত্যুর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। 

 ২০২২-২০২৩ সালে,  বাংলাদেশেই ২৫ হাজার মানুষ শুধুমাত্র এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্রান্ট এর কারনে মৃত্যুবরন করেছে। অর্থাৎ, এন্ট্রিবায়োটিকের মাত্রা এতো বেশী যে যখন এন্ট্রিবায়োটিক গ্রহন করলেও সেটা মানবদেহে কাজ করছে না। এসকল বিষয়ে সচেতনতামূলক কাজ করার জন্য  আমাদের সবার এগিয়ে আসতে হবে। 

অনিরাপদ এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, মানুষ ও প্রানী কোনো ক্ষেত্রেই রেজিস্টার্ড ডাক্তারে প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রয় করা এবং সেবন করা যাবে না।


আরও খবর



থামানো যাচ্ছে না কিশোর গ্যাং

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী নানা উদ্যোগ নিলেও কিশোর গ্যাং এর তৎপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বড় শহরগুলোর গণ্ডি ছড়িয়ে এ সমস্যা এখন বিস্তৃত হচ্ছে জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও। এমনকি অনেক জায়গায় একাধিক কিশোর গ্যাং একে অন্যের সাথে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছে।

গত শুক্রবার চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত হওয়া চিকিৎসক কোরবান আলী বুধবার মারা গেছেন। ছেলেকে ওই গ্যাংয়ের হামলা থেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মি. আলী।

পুলিশ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছে মূলত কিছু রাজনৈতিক নেতার পৃষ্ঠপোষকতাই কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য দায়ী। মাদক বাণিজ্য, চাঁদাবাজি এবং স্থানীয় পর্যায়ে কর্তৃত্ব তৈরির জন্য এলাকার শিশু কিশোরদের নিয়ে গ্যাং তৈরি করে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করেন ওই ধরনের নেতারা।

পুলিশ প্রতিনিয়ত ব্যবস্থা নিচ্ছে। বছরে ৪/৫শ আটক হচ্ছে। মামলা হচ্ছে। সংশোধনাগারে দেয়া হচ্ছে অনেককে। কিন্তু শিশু কিশোরদের নিয়ে এ ধরনের কিশোর গ্যাং তারপরও বন্ধ হচ্ছে না মূলত কথিত কিছু বড় ভাই ও কিছু পলিটিক্যাল নেতার কারণে, বলছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র ফারুক হোসেন। অন্যদিকে সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলছেন, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও সমাজ ব্যবস্থায় ঘাটতির কারণেই কিশোর অপরাধ বা গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ চট্টগ্রামেই সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন কিশোর গ্যাংগুলোর পেছনে যাদের মদদ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দেশে এটি (কিশোর গ্যাং) নতুন সমস্যা, এটিকে দূরীভূত করার জন্য সরকার কাজ করছে। কিশোর গ্যাংয়ের নেপথ্যে যেই থাকুক বা সে যে দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং হচ্ছে, বলছিলেন তিনি।

এর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকেও আলোচনায় এসেছে কিশোর গ্যাং ইস্যুটি এবং এ নিয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

ওই বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, কিশোর অপরাধীদের সংশোধনে প্রয়োজনীয়উদ্যোগ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন সরকার প্রধান

কিশোর গ্যাংয়ে সংখ্যা কত? কারা জড়িত হচ্ছে?


বাংলাদেশ রাজধানী ঢাকার উত্তরায় ২০১৭ সালে স্কুল শিক্ষার্থী আদনান খুনের ঘটনায় প্রথমবারের মতো ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছিলো কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তখন বেশ কয়েকজন কিশোরকে আটক করেছিলো র‍্যাব যারা একই গ্রুপের সদস্য ছিল।

সে সময় আলোচনায় এসেছিলো উত্তরা ডিসকো বয়েজ ও বিগ বস কিশোর গ্যাং নামের দুটো গ্রুপ।

কিন্তু এরপর থেকে নিয়মিতই ঢাকাসহ নানা জায়গায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা নিয়ে খবরাখবর প্রকাশ হচ্ছিলো গণমাধ্যমে।

২০১৯ সালে বরগুনায় রিফাত শরীফ নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার পর আলোচনায় আসে 'বন্ড ০০৭' নামের একটি গ্রুপ।

ঢাকার উত্তরার ১২ নম্বরে সেক্টরে বসবাস করেন নাহিদ হোসেন। উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা নিয়ে প্রায়শই খবর আসে গণমাধ্যমে।

মি. হোসেন বলছেন, এরা হুট করে এসে একেকটা ঘটনা ঘটায়। আর তাতে তাৎক্ষণিক কারও ক্ষতি হয়ে যায়। যেমন কারও সাথে এদের আরও একটু কথা কাটাকাটি হলো, কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা যাবে ৩০/৪০ জন এসে হামলা শুরু করলো

এলাকায় বস্তিগুলোতে থাকে এমন কিশোরদের পাশাপাশি পড়ালেখা করে এমন কিশোরদেরও দেখতে পাচ্ছি এসব গ্রুপগুলোতে, বলছিলেন মি. হোসেন।

কিন্তু ঢাকাসহ সারাদেশে এমন কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা কত বা কত কিশোর তরুণ এ ধরনের অপরাধে জড়িত তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া কঠিন।

তবে ২০২২ সালে পুলিশের এক প্রতিবেদনে সারাদেশে ১৭৩টি কিশোর গ্যাং সক্রিয় থাকার তথ্য দেয়া হয়েছিলো। এতে বলা হয়েছিলো ঢাকাতেই ৬৬টি কিশোর গ্যাং সক্রিয় আছে। আর এসব দলগুলোতে ১০ থেকে ৪০/৫০ জন পর্যন্ত সদস্য আছে।

গাংচিল, ম্যাক্স পলু, বাট্টু বাহিনী, পটেটো, কবজি কাটা গ্রুপ, লাল বাহিনী- এমন সব বাহারি নামের কিশোর গ্যাংগুলোর সদস্যরা ছিনতাই, নারীদের উত্ত্যক্ত করা, জমি দখলে সহায়তাসহ নানা ধরনের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ার তথ্য এসেছে গণমাধ্যমে।

তবে চলতি বছর জানুয়ারিতে ঢাকার মধুবাগে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে দু'দল কিশোরের সংঘর্ষে একজন নিহত হবার পর র‍্যাব জানায় যে ২০১৭ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়ে ১ হাজার ১২৬ জনকে শুধুই র‍্যাবই আটক করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে। এর মধ্যে ২০২৩ সালেই আটক হয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশ।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি নানা ধরনের সচেতনতামূলক কর্মসূচিও হাতে নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ ও র‍্যাব।

কিন্তু তারপরও কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেড়েই চলেছে কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপির মুখপাত্র ফারুক হোসেন বলছেন, কিছু রাজনৈতিক নেতা এ জন্য দায়ী।

তারাই কিশোর তরুণদের বিপথগামী করছে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের জন্য। আমরা রাজনৈতিক নেতা বিশেষ করে কাউন্সিলর ও অন্যদের সাথে নিয়মিত মতবিনিময় করছি এবং উৎসাহিত করছি যাতে কিশোর গ্যাংকে কেউ প্রশ্রয় না দেয়, বলছিলেন তিনি।

আবার অনেক মামলায় কিশোর গ্যাংয়ের বড় ভাই বা মদদদাতা হিসেবে অনুসন্ধানে যাদের নাম উঠে এসেছে তাদেরকেও আসামি করা হয়েছে, বলছিলেন তিনি।

এর আগে, পুলিশের প্রতিবেদনেও ঢাকার একুশ জন কাউন্সিলের নাম উঠে এসেছিলো কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতা হিসেবে। যদিও তাদের কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

পুলিশ বলছে মূলত পাড়া মহল্লার কিশোরদের দলবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করার যে প্রবণতা সেটিকেই ব্যবহার করে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি এসব গ্যাং তৈরি করেন।

১৫/১৬ বছর বা কাছাকাছি বয়সের কিশোরদের মধ্যে একটা হিরোইজম কাজ করে। সেটাকেই ব্যবহার করে কিছু ব্যক্তি তাদের ভুল পথে ঠেলে দেয়। এভাবেই তারা জড়িয়ে পড়ে নানা অপরাধমূলক কার্যক্রমে, বলছিলেন মি. হোসেন।

যদিও সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বলছেন কিশোর অপরাধীরা যেসব অপরাধ করে এবং এর মাধ্যমে যে অর্থ সংগ্রহ হয় তার ভাগবাটোয়ারা অনেক দূর পর্যন্ত যায় এবং এমনকি যাদের প্রতিরোধ করার কথা তারাও কেউ কেউ সুবিধা নিয়ে এসব কিশোর গ্যাংকে সুযোগ করে দেয়।

থামানো যাচ্ছে না কেন


তৌহিদুল হক বলছেন কিশোর অপরাধের ক্ষেত্রে 
বাংলাদেশ যে ব্যবস্থা নেয়া হয় সেটি একপক্ষীয় এবং সংশোধনাগারগুলোও মানসম্মত নয়, অর্থাৎ কিশোর অপরাধীদের সংশোধন করে ভালো নাগরিক করার জন্য সক্ষম নয়।

এখানে যে অপরাধ করছে শুধু তাকেই ধরা হচ্ছে। যারা কিশোরদের সংঘবদ্ধ করে অপরাধ করাচ্ছে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। অর্থাৎ মদদদাতা বড় ভাই বা রাজনৈতিক নেতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, বলছিলেন তিনি।

যদিও পুলিশের মুখপাত্র ফারুক হোসেন বলছেন যে এর আগের মামলাগুলোর তদন্ত পর্যায়ে মদদদাতা হিসেবে যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের মামলার আসামি করা হয়েছে।

তবে পুলিশ ও সমাজ অপরাধ গবেষকরা সবসময়ই বলে আসছেন যে পরিবারের তরুণ সদস্যদের সঠিক নির্দেশনা দেয়ার ক্ষেত্রে সব পিতা মাতা কিংবা পরিবার সবসময় ভূমিকা রাখতে পারছে না।

বিশেষ করে দরিদ্র অর্থাৎ প্রান্তিক পরিবারগুলোতে সঠিক অভিভাবকত্ব দেখা যায় না বলে সেসব পরিবারের কিশোররা সহজে ভুল পথে যায়, এমন অনেক উদাহরণের কথা জানাচ্ছেন তারা।

অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকের সাথে সন্তানের দূরত্ব, সঠিক নির্দেশনা বা সঠিক প্যারেন্টিং না থাকার সুযোগে অপরাধের সাথে কিশোর বয়সেই অনেকের পরিচয় ঘটে যায়। আবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ে ধরা পড়লে যেসব সংশোধনাগারে পাঠানো হয় সেগুলো খুবই সেকেলে। পাশাপাশি সামাজিক অনুশাসন একেবারেই ঢিলেঢালা পর্যায়ে চলে যাওয়ার কারণেই কিশোর গ্যাংয়ের বিস্তার থামানো যাচ্ছে না,

ফারুক হোসেন বলে শুধু কয়েকজনকে শাস্তি দিয়ে বা আইনের প্রয়োগ করেই কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি বন্ধ করা অসম্ভব, বরং এজন্য সবার সহযোগিতা জরুরি।

সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কিশোর তরুণরা যেন ভুল পথে না যায় সেজন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করার দায়িত্ব পরিবার থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি সবার। পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা করছে সবাইকে মোটিভেট করার যাতে অল্প বয়সী বাচ্চারা ব্যবহৃত না হয়, বলছিলেন তিনি।

ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকার বাইরেও


গত ত্রিশে মার্চ দক্ষিণাঞ্চলীয় পিরোজপুর জেলায় তরুণীকে জিম্মি করে টাকা আদায়ের ঘটনায় ১৮ জনকে আটক করে সেখানকার পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, আটককৃতরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য, যাদের বয়স ১৫ থেকে সতের বছরের মধ্যে।

ওই সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান খান জানান পিরোজপুর শহর ও এর আশেপাশে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বেড়েই চলেছে।

এর আগে, পনেরই মার্চ মাদারীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয় এবং পুলিশ দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।

ভোলার দৌলতখান উপজেলায় গত ফেব্রুয়ারিতে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুন হন এক যুবক।  খেলার সময় কথা কাটাকাটির জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।

ওই মাসেই জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ে ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

ত্রিশে জানুয়ারি কুমিল্লায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অস্ত্রের মহড়া ও গুলি করার ঘটনা বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিলো।

গত কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের অনেক ঘটনায় উঠে এসেছে কিশোর গ্যাংয়ের নাম।


আরও খবর



পেঁয়াজের বাজারে ব্যাপক দরপতন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনের এলাকা পাবনার সুজানগর ও সাঁথিয়ার পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের ব্যাপক কমেছে। এক সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা মণের পেঁয়াজ বুধবার বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়।

পবিত্র রমজান মাসে বেশি দামে বিক্রির আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ মজুত করেছিলেন। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে। পাশাপাশি নতুন পেঁয়াজও এসেছে বাজারে। তাতে বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এই দরপতন ঘটেছে বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

তারা বলেন, সুজানগর উপজেলা সদরে প্রতি রোববার ও বুধবার পাইকারি পেঁয়াজের হাট বসে। বুধবার এই হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। এরপর থেকেই সারাদেশে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। এই হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়।

পেঁয়াজের দরপতনের একই চিত্র মিলেছে সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা হাটেও। এ হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ দেড় হাজার থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঙ্খিত দাম না পেয়ে অনেক কৃষক হতাশ হয়ে পেঁয়াজ ফের নিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগার কথা। কিন্তু তার আগেই অনেক কৃষক তড়িঘড়ি করে পেঁয়াজ বাজারে তুলছেন। রমজানে বেশি দামের আশায় পেঁয়াজ হাটে তুলেছেন তারা। আবার বেশি দামের আশায় অনেকে পেঁয়াজ মজুত করেছিলেন। রমজান শুরুর পর থেকেই মজুত পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করে। তাতে দরপতন ঘটে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দুই জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয় পাবনায়। একটি মুড়িকাটা জাতের আগাম পেঁয়াজ, অপরটি হালি পেঁয়াজ। চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৭৬৫ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয়েছিল। এবার ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৮৮ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে। অন্যদিকে ৫৩ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে হালি পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে এই পেঁয়াজ বাজারে আসছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন।

এদিকে পেঁয়াজের দরপতনে দুই উপজেলার কৃষকের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। দাম আরও কমে গেলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।

তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে গেছে। তবে বর্তমানে যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তাতে লোকসান হবে না বলেও জানায় সূত্র।


আরও খবর

মুরগি ও সবজির বাজার চড়া

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




১৪ বছরে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০ গুণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

২০২১ সাল থেকে চলতি মাসের এখন পর্যন্ত ৩৯৩টি নতুন কারখানা বিজিএমইএর সদস্য পদ গ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে নতুন বাজারগুলোতে আমদের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। নতুন বাজারে গত ১৪ বছরে দশ গুণ রপ্তানি বেড়েছে বলে জানান, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

বিজিএমইএ কার্যালয়ে 'রোডম্যাপ টু রিকভারি' শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। এসময় বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, চলমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক অর্থনীতি একটি সংকটময় মুহূর্ত অতিক্রম করছে। তবে সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি কমে আসায় এবং পোশাকের খুচরা বিক্রিতে কিছুটা গতি সঞ্চার হওয়ায় চলতি জানুয়ারি-মার্চ সময়ে আমাদের রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ফিরে এসেছে। বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকায় রপ্তানি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। আশার বিষয় হচ্ছে, শিল্পে আমরা নতুন নতুন উদ্যোক্তাদের পদচারণা দেখতে পাচ্ছি।

তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংকটে আমাদের অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে একই সময় বেশকিছু নতুন কারখানা ও নতুন বিনিয়োগ এসেছে। আমরা বিজিএমইএর দায়িত্ব নেওয়ার পর দিন থেকে অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল ২০২১ থেকে আজ পর্যন্ত ৩৯৩টি নতুন কারখানা বিজিএমইএর সদস্য পদ গ্রহণ করেছে। শত প্রতিকূলতার মধ্যে এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় অনুপ্রেরণা।

রপ্তানিখাতে ভালনারিবিলিটি কাটিয়ে উঠার জন্য বরাবরই বাজার সম্প্রসারণ ও নতুন বাজার তৈরি উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছি। নতুন বাজারগুলোতে আমদের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা বিগত ১৪ বছরে দশ গুন বেড়েছে, অর্থাৎ ৮৪৯ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৮.৩৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে নতুন বাজারগুলোতে আমাদের পোশাক রপ্তানি ১০.৮৩ শতাংশ বেড়েছে, বিশেষ করে তুরষ্কে ৬৩.৩৫ শতাংশ, সৌদি আরবে ৪৭.১৯ শতাংশ, চীনে ৪৪.৭৬ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩৬.৫৪ শতাংশ, রাশিয়ায় ২৫.৬৫ শতাংশ, অষ্ট্রেলিয়ায় ২১.২৯ শতাংশ, দক্ষিন কোরিয়ায় ১৭.১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে।

এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সংকটময় সময়ে নতুন বাজারে প্রবৃদ্ধি আমাদের রপ্তানিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি এনেছে। গত তিনটি বছর আমরা বাজার সম্প্রসারণের নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা গত বছর জুলাই মাসে অস্ট্রেলিয়াতে দিনব্যাপী বাংলাদেশ অ্যাপারেল সামিট আয়োজন করেছি। আরও বেশকিছু অপ্রচলিত বাজার নিয়ে কাজ করছি, যেমন দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, চীন, ভারত, সৌদি আরব ও ইরাক। যদি এই উদ্যোগগুলো চলমান রাখতে পারি তাহলে এই বাজারগুলোতে রপ্তানি আরও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।

এর পাশাপাশি কৌশলগত কারণে ভার্চুয়াল মার্কেটে আমাদের উপস্থিতি বাড়ানো প্রয়োজন। এই উপলব্ধি থেকে আমরা একটি গবেষণা কাজ সম্পন্ন করেছি, যার প্রতিবেদনটিও আমরা এরইমধ্যে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি। ভার্চুয়াল মার্কেটে আমাদের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বিটুবি ও বিটুসি উভয় ক্ষেত্রে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পদক্ষেপ নিতে হবে, যার মধ্যে কিছু নীতি সহায়তা ও নীতি সংস্কারের বিষয়ও রয়েছে। এসব বিষয় এই স্টাডি রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।


আরও খবর

মুরগি ও সবজির বাজার চড়া

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪