Logo
শিরোনাম

শেখ হাসিনা বক্তব্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে : আসিফ মাহমুদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

 অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুইয়া বলেছেন, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।



তিনি বৃহস্পতিবার রাতে গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঢাকা চলো  লং মার্চ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে যাত্রাবাড়িতে  গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মো. আমানতের জানাজায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় চাষারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমানতের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক  ও স্থানীয় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দসহ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শত শত শিক্ষার্থী জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। এ সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। নিহত মো. আমানত সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকার বাসিন্দা। সে ১৯৯৯ সালে এসএসসি পাশ করার পর নারায়ণগঞ্জ কলেজে পড়াশোনা করেন। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে আমানত নারায়ণগঞ্জ কলেজের ছাত্রদলের এজিএস নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনে শুরুতেই অগ্রণী ভূমিকা রেখে ফেসবুকসহ রাজপথে সক্রিয় ছিলেন।



যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা জানাজায় অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আন্দোলনে ঢাকায় যাওয়ার পথে নারায়ণগঞ্জের মো. আমানত যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। হাসপাতালের মর্গে তার লাশ পড়েছিল। স্বজনরা লাশ শনাক্ত করে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসেন। আমানতের মত শহিদদের বিনিময়ে স্বৈরাচার মুক্ত নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি আমরা। তাদের এই ঋণ আমরা কোনদিন ভুলবো না।



স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের নির্দেশে যাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এ হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত প্রত্যেককে চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে তিনি সকলকে আশ্বস্ত করেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম জানান, শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় আমেরিকায় বসে বাংলাদেশের নির্বাচন করার জন্য ভারতকে চাপ দিতে বলেছেন। তিনি হয়তো ভুলে গেছেন বাংলাদেশ একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এদেশের নির্বাচন কবে কখন হবে সেটি এদেশের মানুষই ঠিক করবে।



তিনি শিক্ষার্থীদের আগামী রোববার স্কুল খোলার পর থেকে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, যার যে কাজ সেটা তারাই করবে। সড়কের দায়িত্ব পালন করার জন্য ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে সকল শিক্ষার্থী ভাই বোনদের ক্লাসে ফেরার জন্য অনুরোধ জানাই।


আরও খবর



কারিকুলাম পরিমার্জনে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন

প্রকাশিত:রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

পরীক্ষাবিহীন নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন যোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। এবার সেই কারিকুলাম সংযোজন বিয়োজন করতে উচ্চ পর্যায়ে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব (সরকারি মাধ্যমিক-২) মো. ইয়ানুর রহমানের সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামকে কমিটির আহ্বায়ক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (স. মা.-২) মো. ইয়ানুর রহমানকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়

কমিটি সদস্য করা হয়েছে, কারিকুলাম বাতিলের জন্য আন্দোলন করা সংগঠন সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের প্রধান শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, ঢাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আখতার খান, এনসিটিবির চেয়ারম্যান ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, এনসিটিবি শিক্ষাক্রমের সদস্য প্রফেসর রবিউল কবীর চৌধুরী এবং এনসিটিবি প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক এ এফ এম সারোয়ার জাহান

এই কমিটির কার্যপরিধি হচ্ছে, পাঠ্যপুস্তকে শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রতিফলিত হয়েছে কিনা তা যাচাই করা। প্রণীত পাণ্ডুলিপিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জন করা। বিষয়বস্তু, লেখার উদ্দেশ্য, লেখার মান, রচনার পরিমাণ, ভাষা ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে পাণ্ডুলিপিকে প্রকাশযোগ্য ও মানসম্পন্ন করে তোলা। রাষ্ট্রীয় দর্শন, ইতিহাস ও ঐতিহ্য, সামাজিক মূল্যবোধ, ধর্মীয় মতাদর্শ ও নৈতিক মূল্যবোধ যথাযথ আছে কিনা তা যাচাই করা

শিক্ষাক্রমের নিরিখে প্রদত্ত বা নির্দেশিত শিখন-শেখান কৌশলের সঙ্গে পাঠ্যপুস্তকে প্রদত্ত টাস্ক, এক্টিভিটি প্রভৃতির সামঞ্জস্যতা পর্যবেক্ষণ করা। পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু এবং প্রদত্ত ছবি, চার্ট, ডায়াগ্রাম, তথ্য ইত্যাদি সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে স্পর্শকাতর বলে প্রতীয়মান হলে সেগুলো চিহ্নিত করে তার বিপরীতে মতামত প্রদান করা। পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম সমন্বয় করা। গঠিত কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে


আরও খবর

এইচএসসি ও সমমানের ফল মঙ্গলবার

শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪




ফুলবাড়িতে,গবাদি পশুর ল্যাম্পিস্কিন ও খুরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে গবাদি পশুর ল্যাম্পিস্কিন ও খুরা রোগের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে।প্রায় কৃষকের বাড়িতে দুই একটি গরুর মধ্যে এ রোগ আক্রান্ত সহ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ক্রমান্বয়ে এ রোগটি ছড়িয়ে পরার আতংকে রয়েছেন উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের প্রান্তিক গবাদি পশুর মালিকরা সহ খামারিরা। তবে খামারিরা আগে থেকেই প্রতিশোধক নেওয়ায় খামারের গরুর আক্রান্তের সংখ্যা কম। কিন্তূ দেশি গরু ও বাচুরের মধ্যে এ রোগের প্রাদুর্ভাব খুব বেশি।

জানাগেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বজরের খামার গ্রামে ল্যাম্পিস্কিন ও খুরা রোগ দেখা দিয়েছে। গরুর অসুস্থতায় বোঝা যায় প্রথমে জ্বর পরে কাপুনির সৃষ্টি হয় পরক্ষণেই মুখ দিয়ে লালা আসে। এ রোগের জন্য গবাদি পশু মালিকরা গ্রাম্য পশু চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা চালালেও শেষ রক্ষা পায়নি তাঁরা। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনেকেই দিশাহারা হয়ে পরেছেন।ক্ষতিগ্রস্ত মালিকের মধ্যে বজরের খামার চন্দ্র খানা গ্রামের মোছাঃ নাজমা বেগমের ১টি বিদেশি ও ১টি দেশি গাভী,একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ১টি ষাড় মারা গেছে। কুমার পাড়া গ্রামের রতন কাজির ১টি, আশরাফুলের ১টি গাভী,পাশের গ্রামের বাবুলর ১টি,ও আব্দুস সামাদের ১টি ষাড় ল্যাম্পিস্কিন ও খুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। 

এদিকে পানি মাছ কুটি এলাকার ফরহাদ হোসেন টুকু জানান, অনেক চিকিৎসা দেওয়ার পর ও আমার প্রায় দুই লক্ষ টাকা দামের একটি ষাঁড় বাঁচানো সম্ভব হয়নি, সাথে থাকা বাকি গরু গুলোর অবস্থা ভালো নেই। ভাঙ্গা মোড় ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি এলাকার গরুর খামারি মোঃ জাহিদুল হাসান জানান,যে ভাবে এই রোগ বিস্তার করছে আমি গরু নিয়া খুব দুশ্চিন্তায় আছি আল্লাহ ভরসা।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরিফুর রহমান কনক জানান,আমরা খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছি বজরের খামার এলাকায় খুড়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ৪/৫টি গেছে। মুলত ওই গ্রামের একজন কৃষক কোন এক বাজার থেকে একটি গরু কিনে নিয়ে আসায় এই রোগটি দেখা দেয়।যার কারণে ভাইরাস জনিত খুরা রোগটি ছড়িয়ে যায়। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, রোগাক্রান্ত গরুকে অন্য গরু থেকে আলাদা রাখতে হবে।রোগ দেখা দিলে অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য গরুর মালিকদেরকে পরামর্শ দেন।


আরও খবর



৮ মাসে ২২৪ কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে (জানুয়ারি-আগস্ট) সারা দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২২৪ জন কন্যাশিশু। একই সময়ে হত্যার শিকার হয়েছে ৮১ জন এবং আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ১৩৩ জন কন্যাশিশু।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত কন্যাশিশুর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন উপস্থাপ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর সৈয়দা আহসানা জামান (এ্যানী)

সৈয়দা আহসানা জামান (এ্যানী) বলেন, বর্তমানে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া সত্ত্বেও ধর্ষণ যেন প্রতিযোগিতা করে বেড়েই চলেছে। গত ৮ মাসে মোট ২২৪ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া, ৩২ জন কন্যাশিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে একক ধর্ষণের শিকার ১৩৪ জন, গণধর্ষণের শিকার হয় ৩৩ জন কন্যাশিশু, প্রতিবন্ধী কন্যাশিশু রয়েছে ৯ জনধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী ভেদে কেউ বাদ যায়নি এই জঘন্যতম বর্বর আচরণ থেকে। প্রেমের অভিনয়ের ফাঁদে ফেলে ৩৫ জন কন্যাশিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে

এ সময় ডিএমপির গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, তাদের পরিচালিত গবেষণায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে প্রায় ২৪ শতাংশ কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত ৮ মাসে ৮১ জন কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এর অন্যতম কারণ ছিল পারিবারিক দ্বন্দ্ব, আগে থেকে পারিবারিক শত্রুতার জের, ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতন। পাশাপাশি ২০ জন কন্যাশিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কেন মৃত্যু হয়েছে, এ সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো কারণ বা ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি

আত্মহত্যার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, গত ৮ মাসে ১৩৩ জন কন্যাশিশু আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। এর পেছনে মূলত যে কারণগুলো কাজ করেছে তা হলো হতাশা, পারিবারিক মতানৈক্য বা দ্বন্দ্ব, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়া এবং শারীরিকভাবে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ, যা নির্ভয়ে প্রকাশ করার মতো কোনো আশ্রয়স্থল না থাকা

চলতি বছরের গত ৮ মাসের অন্যান্য নির্যাতনের তথ্য তুলে ধরে সৈয়দা আহসানা জামান বলেন, এই বছরের প্রথম আট মাসে যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৮ জন কন্যাশিশু। অপহরণ ও পাচার হয়েছে ১৯ জন, পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ১৮৭ জন কন্যাশিশুর। এছাড়া ১০ জন গৃহশ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজন শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে, একজনকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে এবং চারজন যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে

জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কন্যাশিশু যদি বঞ্চনার শিকার হয় তাহলে পুরো জাতিকে তার মাশুল দিতে হবে। আমাদের দেশে অনেক ক্ষেত্রে ভালো করলেও পুষ্টির ক্ষেত্রে ভালো করতে পারিনি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জন্মের পর থেকেই ছেলে শিশুদের তুলনায় কন্যা শিশুদের অপুষ্টির হার সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি কন্যা শিশুদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই বিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে তারা অল্প বয়সে গর্ভবতী হয়ে যায়। যে কারণে মা ও শিশু দুজনই অপুষ্টিতে ভোগে

পরিবর্তিত ও সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়তে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম ১১টি প্রত্যাশা ও দাবি জানিয়েছে। এগুলো হচ্ছে

-যৌন হয়রানি, উত্ত্যক্তকরণ ও নিপীড়ন রোধে সর্বস্তরের জন্য 'যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন' নামে একটি আইন জরুরি ভিত্তিতে প্রণয়ন করা

-শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার সব ঘটনাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা

-ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ এলে ধর্ষণের শিকার নারী ও কন্যার পরিবর্তে অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই প্রমাণ করতে হবে যে, সে এ ঘটনা ঘটায়নি, এ সম্পর্কিত প্রচলিত আইনের বিধান সংশোধন করা

-হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল গঠনের কঠোর নির্দেশনা মনিটরিংয়ের ভিত্তিতে নিশ্চিত করা, যেন যৌন নিপীড়নের যেকোনো ঘটনার বিচার করা যায়। এ সংক্রান্ত জোরালো নির্দেশনা প্রতিটি অফিস-আদালতেও প্রণয়ন করা, যাতে একজন নারী বা কন্যাশিশু কোনোভাবেই যেন তার সহকর্মী, শিক্ষক বা বন্ধু কারও দ্বারা নিপীড়নের শিকার না হন

-কন্যাশিশু নির্যাতনকারীদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ করা

-শিশু সুরক্ষায় শিশুদের জন্য একটি পৃথক অধিদপ্তর গঠন করা

-বাল্যবিবাহ বন্ধে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা

-বর্তমানে বেশিরভাগ শিশুই স্মার্টফোনের মতো ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে। তাই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং প্রযুক্তির নেতিবাচক দিক থেকে তাদেরকে রক্ষার জন্য উচ্চপর্যায়ের আইসিটি বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় সব ধরনের পর্নোগ্রাফিক সাইট বন্ধ করা

-সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ বাস্তবায়ন করা এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা

-একজন কন্যাশিশুও যেন পর্নোগ্রাফির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করা

-সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাজেট বৃদ্ধি করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কন্যাশিশু ও তাদের অভিভাবকদের এর আওতায় আনা এবং ক্রমবর্ধমান কন্যাশিশু ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নারী-পুরুষ, সরকার, প্রশাসন, নাগরিক সমাজ, মিডিয়া, পরিবার সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং পাশাপাশি তরুণ ও যুবসমাজকে সচেতনকরণ সাপেক্ষে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তাদেরকে যুক্ত করা


আরও খবর



অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কারের কোনো এখতিয়ার নেই

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কারের কোনো এখতিয়ার নেই বলে মত দিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর সাত দফা বাস্তবায়ন নাগরিক কমিটির নেতারা। সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া হলে দেশ পুনর্গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তার দাবি করেন আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন যে অপশাসন করে গেছে যে গণহত্যা করেছে তাদের আর এই দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। আর তাদেরকে যারা এদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে তারা জাতীয় বেইমান হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে। ২০০৮ থেকে ২৪ সাল পর্যন্ত যে ভারত বাংলাদেশের মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিবাদ বাস্তবায়ন করেছে সেই ভারতকে তিন হাজার মেট্রিকটন ইলিশ পাঠানো ঠিক হয়নি বলেও মতামত দেন তারা। তারা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ যদি রাজনৈতিক দল করতে চায় তাদের উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দল করতে হবে। কোনো গণহত্যাকারী রাজনৈতিক দল কখনোই রাজনীতিতে ফিরতে পারে না আওয়ামী লীগেরও সেই সুযোগ নেই। দেশের আদালতে তার যেমন বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা যাবে না। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়কের নামে ছাত্রলীগ বা শিবিরের নেতাকর্মী তাকাটা ক্ষতির কিছু না তারা অন্যায় করলে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে পিটিয়ে হত্যা কেউ সমর্থন করে না।পতিত সরকারের এজেন্টরা এসব কাজে জড়িত থাকতে পারে। 


আরও খবর



কোমর ব্যথায় নিয়মিত হাঁটার পরামর্শ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

চিকিৎসাবিষয়ক জার্নাল দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, সপ্তাহে পাঁচবার আধা ঘণ্টা করে হাঁটলে ও ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী চললে কোমর ব্যথা ফিরে আসার সময়টা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যায়। অর্থাৎ নিয়মিত হাঁটা ব্যক্তিরা, যারা হাঁটেন না, তাদের চেয়ে দ্বিগুণ সময় ব্যথামুক্ত থাকতে পারেন।

বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ লো ব্যাক পেইন বা কোমরের ব্যথায় ভোগেন। প্রতি ১০ জনের মধ্যে সাতজনের ব্যথা সেরে যাওয়ার এক বছরের মধ্যে আবারও ব্যথা ফিরে আসে

গবেষণার প্রয়োজনে কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া ৭০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে তিন বছর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়। এদের মধ্যে অর্ধেক ব্যক্তির জন্য হাঁটা কর্মসূচি ও ফিজিওথেরাপিস্টের সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাকিদের নিজেদের মতো করে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল

তবে হাঁটা কেন কোমর ব্যথা প্রতিরোধ করে, তার নির্দিষ্ট কারণ জানতে পারেননি গবেষকরা

এছাড়া হাঁটার কারণে কার্ডিওভাস্কুলার হেলথ, হাড়ের ঘনত্ব, শারীরিক ওজন, মানসিক স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়েও সুবিধা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গবেষণা প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকোয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপির অধ্যাপক মার্ক হ্যানকক।

 সূত্র : ডিপিআরসি হাসপাতাল


আরও খবর