Logo
শিরোনাম

হাসিনা-মোদি বৈঠকে সই হলো ১০ সমঝোতা স্মারক

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিডি টুডে ডিজিটাল ডেস্ক:


বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর স্বাক্ষরিত হয়েছে ১০টি সমঝোতা স্মারক। যার মধ্যে ৩টি সমঝোতা নবায়ন করা হয়েছে।


শনিবার (২২ জুন) স্থানীয় সময় সাড়ে ১২টার পর ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এসব সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।



সমঝোতার বিষয়গুলো হলো:


১. বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল পার্টনারশিপ

২. ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ গ্রিন পার্টনারশিপ

৩. সমুদ্র সহযোগিতা ও সুনীল অর্থনীতি

৪. স্বাস্থ্য ও ওষুধ সংক্রান্ত পুরনো সমঝোতা নবায়ন

৫. ভারতের ইন-স্পেস এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা

৬. দুই দেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সংযোগ সংক্রান্ত সমঝোতা

৭. সমুদ্র বিষয়ক গবেষণায় দুই দেশের সমঝোতা

৮. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশমনে ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি ও বাংলাদেশ ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান সমঝোতা নবায়ন

৯. মৎসম্পদের উন্নয়নে বিদ্যমান সমঝোতা নবায়ন

১০. কৌশলগত ও অপারেশনাল খাতে সামরিক শিক্ষা সহযোগিতায় ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ, ওয়েলিংটন-ইন্ডিয়া এবং মিরপুর ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের মধ্যে সমঝোতা


নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।সকাল ১০টার দিকে দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। 

 

এর আগে দিল্লির স্থানীয় সময় ৯টার দিকে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে যান শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে রাজকীয় সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এরপর শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশটির মন্ত্রী ও পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। 


এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

 

এরপর সকাল ১০টার দিকে দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে থাকা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




নির্বাচন সুষ্ঠু করাই এখন লক্ষ্য: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাই এখন লক্ষ্য বকলে জানালেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ কথা বলেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে হওয়া বৈঠক নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই অধ্যাপক ইউনূসকে, যিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে এই সভার আয়োজন করে সংকটপূর্ণ এক মুহূর্তে তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানান। চতুর্দিকে একটা অনিশ্চয়তা ছিল। অনেকে অনেক কথা বলেছেন বিভিন্নভাবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন সবচেয়ে প্রয়োজন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা। অতীতের ছোটখাটো ভুল-ভ্রান্তি ভুলে গিয়ে আমাদের সামনে তাকাতে হবে। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান করে দ্রুত নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেটি যেন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়, এটাই এখন লক্ষ্য।

তিনি বলেন, আজকে এই দুই নেতা প্রমাণ করলেন যে বাংলাদেশের মানুষ এখনো প্রয়োজনের সময় ঐক্যবদ্ধ হতে পারে, নেতারা নেতৃত্ব দিতে পারেন এবং সেই হিসেবেই বাংলাদেশের মানুষ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই বৈঠক নিয়ে গোটা জাতি উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছিল। আমি তো আগেই বলেছিলাম, এই বৈঠক একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। সত্যিকার অর্থেই বৈঠকটি একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে যে ফ্যাসিস্ট কাঠামো গড়ে উঠেছে, সেটিকে ভেঙে নতুন একটি গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলার সময় এখন এসেছে। আমরা প্রায় ১৫ বছর পর গণতন্ত্রে উত্তরণের একটি সুযোগ পাচ্ছি এবং সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছি।

ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে তারেক রহমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি (তারেক রহমান) আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামরত সব জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।


আরও খবর



সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠছে মধ্যরাতে

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে আজ বুধবার (১১ জুন) মধ্যরাতে। গত ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে যেকোনো প্রজাতির মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার।

দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতিবারের মতো এবারও এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় জেলেরা সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় সারা দেশে মাছের জোগান অনেকটাই কমে গেছে বলে জানিয়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা।


আরও খবর



সাদা কাপড় থেকে রক্তের দাগ উঠবে যেভাবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ঈদুল আজহা মানেই পশু কোরবানি। ঈদের সকালেই নামাজ শেষে পশু কোরবানি করা হবে। পশু কোরবানির সময় এবং এর পরে পশুর মাংস কাটার সময় কাপড়ে রক্তের দাগ লাগবেই। সারাদিন গায়ে ও কাপড়ে রক্ত নিয়েই কাজ করতে হয়। কাজ শেষে গোসল করে নিজেকেপরিষ্কার করে নিতে হয়। কিন্তু কাপড়ে লাগা রক্তের দাগ নিয়ে বাড়ে বিপত্তি। কোন উপায়ে এই রক্তের দাগ উঠবে তা না জানলে কাপড়টি একেবারেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অনেকেই সেই কাপড় ফেলেই দেন। আবার অনেকে ভালোভাবে ধুয়ে নেন। কিন্তু সঠিক উপায় না ধুলে রক্তের দাগ পুরোপুরি উঠবে না। আবার গন্ধও যাবে না। তাই কাপড় থেকে রক্তের দাগ দূর করার দারুণ সহজ কিছু উপায় রয়েছে

ভিনেগার

রক্তের দাগ লাগা কাপড়ে ভিনেগার ব্যবহার করুন। কাপড় থেকে খুব দ্রুত ও সহজে দাগ দূর হয়ে যাবে। যেখানে রক্তের দাগ লেগেছে সেখানে ভিনেগার স্প্রে করুন। হালকাভাবে ঘষে নিন। ১০ রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দাগ পুরোপুরি না উঠলে আবারও খানিকটা ভিনেগার লাগিয়ে রাখুন। মনে রাখবেন, কাপড়ে রক্তের দাগ লাগার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভিনেগার লাগাতে হবে। নয়তো রক্তের দাগ স্থায়ীভাবে বসে যেতে পারে।

ট্যালকম পাউডার

কাপড় থেকে রক্তের দাগ তুলতে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। পানি ও ট্যালকম পাউডার মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি রক্তের দাগের ওপর লাগিয়ে নিন। এরপর একটি ব্রাশ দিয়ে আস্তে আস্তে ঘষে নিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই দাগ উঠে যাবে। এরপর ভালো করে ধুয়ে নিন।

লবণ পানি

কাপড়ের রক্তের দাগ দূর করতে লবণ পানি ব্যবহার করতে পারে। ঠাণ্ডা পানিতে লবণ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে কাপড়টি ভিজিয়ে রাখুন। ৪ ঘণ্টা পর ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে নিন। কাপড় পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে যাবে।

কর্নস্টার্চ

কাপড় থেকে রক্তের দাগ তুলতে কর্নস্টার্চ ব্যবহার করতে পারেন। পানি ও কর্নস্টার্চ মিলিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি রক্তযুক্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। ২ ঘণ্টা পর ব্রাশের সেই জায়গাটি ঘষে নিন। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। দেখবেন দাগ চলে গেছে।


আরও খবর



ড. ইউনুসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকের সম্ভাবনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

লন্ডন সফরের সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামী শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে লন্ডনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এই বৈঠক নিয়ে সোমবার রাতে আলোচনা হয়েছে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে। সেখানে তারেক রহমান নিজেই বৈঠকের বিষয়ে নেতাদের অবহিত করেছেন।

তারেক রহমান জানান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই বৈঠকের সম্ভাব্য সময় নির্ধারিত হয়েছে ১৩ জুন। এই বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, দেশীয় রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপট এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য সমঝোতা বা কৌশলগত অবস্থান নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে। তবে এখনো পর্যন্ত সরকার বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।

এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে, সফরকালে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি রাজা চার্লসের হাত থেকে গ্রহণ করবেন ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’।

এছাড়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি যুক্তরাজ্যের নীতিগবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউস আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নেবেন।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, তার এ সফরে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাজ্যের সমর্থনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এর পাশাপাশি পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়টিতে প্রাধান্য দেবে বাংলাদেশ।


আরও খবর



রসালো দেশি ফলে ভরে গেছে রাজধানীর বাজার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই রসালো দেশি ফলে ভরে গেছে রাজধানীর বাজার। তবে এসব ফলের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। খুচরা থেকে ভ্রাম্যমাণ দোকান- সবখানেই রাজত্ব করছে আম, লিচু, তালের শাঁস, আনারস, জাম, লটকন, বেতফল, আতাফল, জামরুলের মতো নানা স্বাদের ফল। এমনকি অনলাইন প্লাটফর্মেও বিক্রি হচ্ছে ফল। কিন্তু অনেক ফলের দাম এখনও নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।

বাসাবো এলাকার বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম ফরিদ বলেন, আপেল, কমলা, মাল্টা, আনার- এগুলো এখন দামি ফল। জ্যৈষ্ঠ মাসে অপেক্ষা করি সামর্থ্যরে মধ্যে দেশি ফল খাওয়ার। কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখি লিচু, আম, জাম- সবকিছুর দাম অনেক বেশি। একই অভিজ্ঞতা বেসরকারি চাকরিজীবী মো. ওয়াহেদ উজ জামানের। তিনি বলেন, ১০০ পিস ছোট আকারের লিচুর দাম ৪০০-৫০০ টাকা। বড় আকারের রাজশাহীর লিচুর দাম আরও বেশি। জামের কেজি চাইছে ৪৫০-৫৫০ টাকা।

তবে তালের শাঁস ও আনারসের মতো কিছু ফল এখনও তুলনামূলক সস্তায় মিলছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের ধারে। দিনের বেলায় গরমের মধ্যে একটু স্বস্তি পেতে পথচারীরা ভিড় করছেন এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোয়। রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় ভ্যানে করে তালের শাঁস বিক্রি করছেন মো. হাসনাত রুবেল। তিনি জানান, তালশাঁসের সরবরাহ বেড়েছে, খুচরায় ১০ টাকা পিস বিক্রি করছি। আস্ত তাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা।

এক ক্রেতা মো. নুরুল হক বলেন, এই গরমে পানিজাতীয় ফল খেতে ভালো লাগে। এক পিস ছোট ডাবের দাম ১২০-১৫০ টাকা হলেও তালশাঁস মাত্র ১০ টাকায় পাচ্ছি। আনারসও ৩০-৫০ টাকায় মিলছে।

বিদেশি ফলের দাম বেড়ে অনেক আগেই নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে। খুচরা বাজারে আপেলের কেজি ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, কালো আঙ্গুর ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, সাদা আঙ্গুর ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। একইভাবে মাল্টা, কমলা, আনারসহ অন্যান্য বিদেশি ফলের দামেও আগুন জ্বলছে যেন। চড়া দামে এসব ফল কিনে খাওয়া অনেকের কাছে এখন বিলাসিতায় পরিণত হয়েছে। এমনকি মধ্যবিত্তদেরও এগুলো কিনে খেতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হচ্ছে। তাই সামর্থ্যরে মধ্যে রসালো ফলের খোঁজে সবার নজর এখন জ্যৈষ্ঠের ফলের দিকে।

কারওয়ানবাজারের ফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশি ফলের সরবরাহ গত দুই সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সাতক্ষীরা, রাজশাহী, যশোর থেকে আম আসছে। রাজশাহী ও দিনাজপুরের বড় আকারের লিচুর চালানও শিগগির বাড়বে।

পাইকারি বিক্রেতা মো. আসফাক আলী ও সুরুজ মিয়া জানান, দিন যত এগোবে আমের সরবরাহ বাড়বে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই রাজশাহী ও দিনাজপুরের বড় লিচুর সরবরাহ বাড়বে। তখন দামও কিছুটা কমে আসবে। অন্যদিকে গাজীপুর ও সাভারের পাকা কাঁঠাল রাজধানীর বাজারে পুরোপুরি উঠতে আর সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগবে। জাম, লটকন, বেতফল, আতাফলসহ অন্যান্য দেশি ফলগুলোর সরবরাহ সন্তোষজনক রয়েছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে আমের কেজি বিক্রি হচ্ছে জাতভেদে ১০০-১৫০ টাকা, ১০০ পিস লিচু বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকায়। কালোজামের কেজি ৪০০-৬০০ টাকা, আনারসের পিস ৩০-৫০ টাকা, তাল ৩০-৪০ টাকা, আর ডাবের দাম ১২০-১৫০ টাকা।

তবে বাজারে এখনও সুলভ দামে পাওয়া যাচ্ছে পেঁপে, কলা, পেয়ারা, বাঙ্গি, ও মৌসুম শেষে থাকা তরমুজ। জ্যৈষ্ঠের শুরুতে দেশি ফলের সরবরাহ বাড়লেও দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেই বাজারে ফিরবে স্বস্তি- এই প্রত্যাশাই এখন সাধারণ ক্রেতাদের।


আরও খবর