Logo
শিরোনাম

শেখ মুনিরকেখুলনা-৪ আসনে মনোনয়ন দেয়ার দাবি

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

 নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিশিষ্ট প্রকৌশলী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও সমাজ সেবক শেখ মুনির আহমেদ কে খুলনা ৪ আসনে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ। এই দাবিতে সভা সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রমসম্পক, সাবেক দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক,দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শেখ নজির আহমেদ এর পুত্র,  কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার শিলার ছোট ভাই  ও বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার সেলের পরিচালক শেখ মুনির আহমেদ। তিনি দিঘলিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আলহাজ্ব সারোয়ার খান কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি।

শেখ মুনির আহমেদ একজন সৎ, পরোপকারী ও প্রচার বিমুখ মানুষ। তাই এলাকার সুশীল সমাজের দাবি খুলনা ৪ আসনে শেখ মুনির  আহমেদ কে মনোনয়ন দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করার সুযোগ দেয়া হোক।


আরও খবর



প্রকাশ্যে এলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরী

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিজ হাতে গুলি করে খুন করা এস এইচ এম বি নূর চৌধুরীকে নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করেছে কানাডিয়ান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিবিসি। যে প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীর দেখা মিলেছে। সিবিসি টেলিভিশিনের জনপ্রিয় অনুসন্ধানী বিভাগ দ্য ফিফথ স্টেটদ্য অ্যাসাসিন নেক্সট ডোর শিরোনামের ৪২ মিনিটের এই প্রতিবেদনটি প্রচারিত হয় শনিবার (বাংলাদেশ সময়) সকাল ৮টায়।

প্রতিবেদনে নূর চৌধুরীর কানাডায় পালিয়ে যাওয়া, ২৭ বছর সেখানে থেকে যাওয়া এবং খুনের অভিযোগে হওয়া শাস্তি বাস্তবায়নে তাকে বাংলাদেশের ফেরত চাওয়ার বিষয়গুলো উঠে এসেছে। কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার শক্তিশালী বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, এই একটি ইস্যু বাদে কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। কেবল বাংলাদেশি হাই কমিশনার হিসেবে নয়, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি চাই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক।

নূর চৌধুরী কোথায় আছেন, কী করছেন, এ নিয়ে জানা থাকলেও তথ্য আকারে সামনে আসেনি তেমন। তার অবস্থান নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরির প্রচেষ্টা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই রিপোর্ট প্রচারের মধ্য দিয়ে সেই ধোঁয়াশা কেটে যাবে এবং কানাডিয়ান সাধারণ জনগণ তাদের পাশের বাসায় থাকা ভয়ানক এই খুনি সম্পর্কে পরিষ্কার একটি ধারণা পাবে।

প্রতিবেদনে টরন্টোর নিজ ফ্লাটের ব্যালকনিতে নূর চৌধুরীকে এক ঝলক দেখানো হয়। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীকে ড্রাইভিং সিটে বসে থাকা অবস্থায় ধরতে পারেন প্রতিবেদক। কিন্তু কথা না বলে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে কোনোমতে কেটে পড়েন তিনি। দীর্ঘদিন অনুসরণ করে খুঁজে বের করেছে ফিফথ স্টেটের অনুসন্ধানী দলটি।

বঙ্গবন্ধুকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যার পর কূটনীতিক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করেন নূর চৌধুরী। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে তিনি পালিয়ে প্রথমে আমেরিকা, পরে কানাডায় ঢোকেন দর্শনার্থী হিসেবে। এরপর ১৯৯৯ সালে শরণার্থী হিসেবে থেকে যাওয়ার আবেদন করলেও কানাডা সরকার তা নাকচ করে দেয়। আপিল করেও হেরে যান নূর চৌধুরী। ২০০৯ সালে কানাডা থেকে নূরকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন কানাডিয়ান সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু বাংলাদেশে পাঠালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে ২০১০ সালের দিকে সরকারের কাছে প্রি রিমুভাল রিস্ক এসেসমেন্টর আবেদন করেন নূর চৌধুরী। যেহেতু কানাডা মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করে না, সেহেতু এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে সেখানে মুক্ত জীবনযাপন করছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বরে সচিবালয়ে আসেন কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস। সাক্ষাতের পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কানাডার আইনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয় বলে আমাকে হাইকমিশনার জানিয়েছেন।

আমি তাদের অনুরোধ করেছি, বিকল্প পন্থা বের করা যায় কিনা। তাকে বলেছি, একজন খুনিকে আশ্রয় দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন। তিনি এও বলেন, আমি তারপরেও তাকে অনুরোধ করেছি যে, আমাদের আইন এবং যে সব রুলস আছে, আমরা যদি সেগুলো এক্সামিন করি তাহলে কানাডা যাতে ফিরিয়ে দিতে পারে এমন কোনও পন্থা খুঁজে পাবো আমরা। এটাও বলেছি, তাকে ওখানে রাখাটা মানবাধিকার লঙ্ঘন।


আরও খবর



নোয়াখালী-১ আসনে নৌকার প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

অনুপ সিংহ,নোয়াখালী প্রতিনিধি :

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এবং বর্তমান সাংসদ এইচ এম ইব্রাহিমকে আচারণ বিধি লঙ্ঘন করে জনসভা, নির্বাচনি প্রচারণামূলক বক্তব্য ও ভোট প্রার্থনা করায় শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।  


রোববার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংসদীয় আসন নং-২৬৮, নোয়াখালী-১ এর নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আকবর হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। একই সাথে আগামী ৭দিনের মধ্যে এর যথাযথ জবাব দেওয়ার নির্দেশও প্রদান করা হয়েছে।


আদেশের ২নং স্মারকে বলা হয়ে, গত শুক্রবার ১ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নোয়াখালী-১ সংসদীয় আসনের পাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নির্বাচনি প্রচারণামূলক বক্তব্য প্রদান করেন আসনটির বর্তমান সাংসদ ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এইচ এম ইব্রাহিম। ওই সময় তার উপস্থিতিতে নেতাকর্মীরা তার জন্য ভোট প্রার্থনাস হ প্রচারণামূলক বক্তব্য রাখেন। পরবর্তীতে যা অনলাইন সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হয় এবং বিষয়টি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির নজরে আসে।


প্রার্থীর এমন কর্মকাণ্ড জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচারণ বিধিমালা ২০০৮ বিধি ৬ (গ)  ও ১২ এর বিধান লঙ্ঘন করেছে। যার প্রেক্ষিতে নির্বাচনি আচারণ বিধি ভঙ্গের কারণের সঠিক বাখ্যা আগামি ৯ ডিসেম্বর বুধবার বেলা ১১টার মধ্যে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি কার্যালয়ে প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  


এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এইচ এম ইব্রাহিমের মুঠোফোনে কল করা হলে তার পিএস সুমন ফোন রিসিভ করেন। পরে শোকজের বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।  


তবে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান শোকজ করার সত্যতা নিশ্চিত করেন।


আরও খবর



গৌরবদীপ্ত বিজয়ের মাস ডিসেম্বর

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শুরু হলো গৌরবদীপ্ত বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। বাঙালির ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম পূর্ণতা পেতে শুরু করে ডিসেম্বরের শুরু থেকে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে এ মাসের ১৬ তারিখে চূড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে গৌরবের অধ্যায় রচিত হয়। বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

৩০ লাখ শহীদ আর অসংখ্য মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল এ বিজয়। তাই মহান এ মাস উদযাপনে জাতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কর্মসূচি।

এর মধ্যে, আজ বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এক বিজয় র‌্যালি বের করা হবে। এটি স্মৃতি চিরন্তন চত্বর (উপাচার্য ভবন সংলগ্ন রাস্তা) থেকে বের হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হবে। র‌্যালি শেষে স্বাধীনতা চত্বরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বক্তব্য রাখবেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দেশাত্মবোধক গান (মুক্তির গান ও বিজয়ের গান) পরিবেশিত হবে।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বাঙালি জাতি হাজার বছরের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির লক্ষ্যে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে আসে। এ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসন, শোষণ, নির্যাতনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলন এক পর্যায়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়। ধারাবাহিকভাবে চলে আসা এ আন্দোলন-সংগ্রাম ১৯৭১ এর মার্চে এসে স্ফুলিঙ্গে রূপ নেয়।

৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে জাতিকে দিক নির্দেশনা দেন। বাঙালির এ স্বাধীনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিতে থাকে পাকিস্তানি জান্তারা। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বর্বরোচিতভাবে বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। এরপরই ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। শুরু হয় বর্বর পাকিস্তানি বাহিনীর বাঙালি নিধন অভিযান।

তবে পাকিস্তানের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বাংলার সর্বস্তরের মানুষ। হাতে তুলে নেয় অস্ত্র, শুরু হয় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে চলে বাঙালির মরণপণ যুদ্ধ। বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের এক পর্যায়ে বাঙালি বিজয়ের দিকে ধাবিত হতে থাকে। ডিসেম্বর মাসে মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছায়।

একপর্যায়ে বাঙালির বীরত্বের কাছে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হয় আধুনিক অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। এই ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধের পরিণতি বিজয়ে দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এই মাসের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে তৎকালীন বিশ্বের দুই পরাশক্তির অবস্থান প্রকাশ্যে চলে আসে। যদিও আগে থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষে এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (রাশিয়া) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেয়।

কিন্তু ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ জাহাজ পাঠায়। সঙ্গে সঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়নও বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধ জাহাজ পাঠানোর ঘোষণা দেয়। এ ছাড়া আগে থেকেই ভারত সার্বিকভাবে বাংলাদেশে পক্ষে দাঁড়ায় এবং সরাসরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় মিত্রবাহিনী অংশ নেয়।

শরণার্থীদের আশ্রয়, খাদ্য, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেয় ভারত। তবে পাকিস্তানের পক্ষের ছিল চীন। বাংলাদেশের বিজয়কে ঠেকাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব আনা হলে তাতে ভেটো দেয় রাশিয়া যা বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত আরও জোরালো হয়ে উঠে।

মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ মরণপণ যুদ্ধের কাছে টিকতে না পেরে এবং বিশ্ব জনমতের চাপে পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এই প্রেক্ষাপটে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে।

 


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




অসঙ্গতির কারনে বহু স্বতন্ত্র প্রার্থির প্রার্থিতা বাতিল করতে যাচ্ছে ইসি

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন : সংসদ নির্বাচনে কোনো ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাইলে তাকে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের মোট ভোটারের এক শতাংশের স্বাক্ষরসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থাপন করতে হয়।

 এ সম্পর্কিত একটি বিধিমালা রয়েছে যা স্বতন্ত্র প্রার্থী (প্রার্থিতার পক্ষে সমর্থন যাচাই) বিধিমালা ২০১১ হিসেবে পরিচিত। 

ওই বিধিমালার বিধি ৪ অনুযায়ী প্রার্থীতার সমর্থন সূচক তালিকা যাচাই করবেন রিটার্নিং অফিসার। 

বিধি ৪(২) এর বিধান অনুযায়ী এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের প্রয়োজন হবে। এক শতাংশের কম হলে রিটার্নিং অফিসার প্রার্থিতা বাতিল করবেন। 

বিধি ৪(৩) এর বিধান অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থীর জমা দেওয়া এক শতাংশ ভোটারের তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠাবেন এবং নির্বাচন কমিশন একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে দৈব চয়নের ভিত্তিতে দশটি নাম রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাবেন।

 রিটার্নিং অফিসার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে এই দশটি নাম যাচাই-বাছাই করবেন। 

বিধি ৫ অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসারের কাছে ১ শতাংশ ভোটারের তালিকায় কোন গরমিল কিংবা জালিয়াতি ধরা পড়লে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবেন।

সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে, যেসব ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তাদের কেউ কেউ সংসদীয় আসনের মোট ভোটারের এক শতাংশের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে পারে না। 

এক্ষেত্রে তারা অনেক ভোটারের স্বাক্ষর জাল করে তালিকা পাঠায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে ভোটারের শুধুমাত্র নাম ঠিকানা থাকে, কোনো স্বাক্ষর থাকে না। 

এসব ক্ষেত্রে বিধিমালা অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




অবরোধ : ১৭ দিনে ১৫৪টি আগুন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ১৫৪টি আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগুন দেওয়া হয়েছে ঢাকা সিটিতে। গড়ে দিনে ৫টি করে বাস পোড়ানো হয়েছে এই কয়েকদিনে। এসব ঘটনায় সারা দেশে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এছাড়া দুজন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য মারধরের শিকার ও ফায়ার সার্ভিসের একটি পানিবাহী গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

এই ১৭ দিনে সারা দেশে ১৫৪টি আগুনের সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এরমধ্যে ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯টি, ৩০ অক্টোবর একটি, ৩১ অক্টোবর ১১টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর সাতটি, ৪ নভেম্বর ছয়টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি, ৬ নভেম্বর ১৩টি, ৭ নভেম্বর দুটি, ৮ নভেম্বর ৯টি, ৯ নভেম্বর সাতটি, ১০ নভেম্বর দুটি, ১১ নভেম্বর সাতটি, ১২ নভেম্বর সাতটি এবং সবশেষ ১৩ নভেম্বর সাতটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এসব অগ্নিকাণ্ডে ৯৪টি বাস, মাইক্রোবাস তিনটি, প্রাইভেটকার দুটি, মোটরসাইকেল আটটি, ট্রাক ১৩টি, কাভার্ড ভ্যান আটটি, অ্যাম্বুলেন্স একটি, পিকআপ দুটি, সিএনজি দুটি, নছিমন একটি, লেগুনা একটি, ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি একটি, পুলিশের গাড়ি একটি, বিএনপির দলীয় কার্যালয় পাঁচটি, আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় একটি, পুলিশ বক্স একটি, কাউন্সিলর অফিস একটি, বিদ্যুৎ অফিস দুটি, বাস কাউন্টার একটি এবং দুটি শোরুম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এতে দেখা যায়, ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত গড়ে দিনে পাঁচটি করে বাস পোড়ানো হয়েছে।

অপরদিকে দেখা গেছে, এ সময়ে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায়। এছাড়াও দেশের ২৫টি জেলায় আগুনের ঘটনা ঘটে। বাকি ৩৯ জেলায় কোনও অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ ফায়ার সার্ভিস পায়নি।

এ সময় দেশের সকল বিভাগে দুর্বৃত্তদের দেওয়া অগ্নিকাণ্ড ঘটলেও সিলেট বিভাগে এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা সিটিতে ৮২টি, ঢাকা বিভাগে ৩৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪টি, রাজশাহী বিভাগে ৯টি, বরিশাল বিভাগে ৬টি, রংপুর বিভাগে ৬টি, খুলনা বিভাগে ২টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এদিকে জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুরে ১৫টি, চট্টগ্রামে আটটি, নারায়ণগঞ্জ ছয়টি, বগুড়ায় পাঁচটি, মানিকগঞ্জে চারটি, ফরিদপুরে চারটি এবং লালমনিরহাটে চারটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

সময়ের বিবেচনা দিনের চেয়ে রাতে (সন্ধ্যা ৬টা-সকাল ৬টা) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটেছে। ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত দিনে ৬১টি ও রাতে ৯৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩