Logo
শিরোনাম

সেমিস্টার পদ্ধতি বাতিলে আমরণ অনশনে রাবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) আইন অনুষদের সেমিস্টার পদ্ধতি বাতিল করে ইয়ারলি পদ্ধতি চালুর দাবিতে আইন বিভাগ এবং আইন ও ভূমি প্রশাসনের ২০২৩-২৩ ও ২৪ সেশনের শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে বসেছেন

বুধবার (৩০ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে সেখানে অনশনে বসেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেনআমরা চাই না সেমিস্টার পদ্ধতিতে যেতে। আমাদের আগের মতো ইয়ারলি পদ্ধতিতে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাব

এ সময় আইন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শেখ রাফিন বলেনএর আগে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল বসেছে তবে কোনোরকম সিদ্ধান্ত সেখান থেকে আসেনি। তাই আমরা দাবি আদায়ে আবারো এখানে এসেছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমরণ অনশন করব। প্রয়োজনে আমাদের মৃত্যু হবে তবুও দাবি আদায় করে এখান থেকে যাব

আইন ও ভূমি প্রশাসনের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অনামিকা সুস্মি বলেনসেমিস্টার পদ্ধতি বাতিল করে ইয়ারলি পদ্ধতি চালুর দাবিতে আমরা এখানে এসেছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে যাব না

আইন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শিহাব বলেনআইন বিভাগ এবং আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেছে। আমরা তাদের দাবিকে যৌক্তিক মনে করছি। আমরা চাই প্রশাসন এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিক। প্রশাসন যদি দাবি মেনে না নেয় এবং আমাদের অনশনে কেউ অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।

এ সময় আইন বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। তবে অনশনে অংশগ্রহণ করেন ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী
প্রসঙ্গতগতবছর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগকে সেমিস্টার পদ্ধতিতে নিয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন


আরও খবর



নওগাঁয় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০25 | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

''সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের অঙ্গীকার'' প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় নওগাঁয় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গনে বেলুন, ফেষ্টুন ও পায়রা উড়িয়ে সমাবেশের উদ্বোধন করেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালক আশীষ কুমার ভট্টাচার্য। পরে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী রাজশাহী রেঞ্জের পরিচালক লুৎফর রহমান, নওগাঁর সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম, এনএসআই এর উপ-পরিচালক মোস্তাক আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনুল আবেদীন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট নাজমুল আসফাক সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার আগে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। সভা শেষে নিরাপত্তা রক্ষার কাজে ভালো ভূমিকা রাখায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিয়নের সদস্যদের মাঝে বাইসাইকেল, সেলাই মেশিন ও অন্যান্য উপহার তুলে দেয়া হয়। এসময় অতিথিরা বলেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের অনেক পুরাতন একটি বাহিনী। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রাম ভূমিকা রেখে চলেছে এই বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া দেশের বিভিন্ন দুর্যোগে মানুষের পাশে প্রথমেই এগিয়ে আসে তৃণমূল পর্যায়ের এই আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। দেশের প্রতিটি মানুষের খবর রাখে এই বাহিনীর সদস্যরা। তৃণমূল পর্যায়ের সকল তথ্য যাদের কাছে পাওয়া যায় তারা হলেন এই বাহিনীর সদস্যরা। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অথচ অন্যান্য বাহিনীর চেয়ে এই বাহিনীর সদস্যরা খুবই অবহেলিত। তাই এই বাহিনীকে আরো আধুনিকায়ন করতে বর্তমান সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দ্রুতই এই বাহিনী যুগোপযোগী একটি বাহিনীতে পরিণত হবে বলে জানান অতিথিরা।


আরও খবর



গঙ্গা চুক্তিতে ইতিবাচক হলেও তিস্তায় সম্মতি নেই ভারতের

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার গঙ্গা চুক্তি বিষয়ক যৌথ কমিটির ৮৬তম বৈঠক সোমবার (০৩ মার্চ) থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হতে যাচ্ছে। পাঁচ দিনের এই বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। ঢাকা ও দিল্লির কূটনৈতিক সম্পর্কের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বৈঠকটিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে গঙ্গা চুক্তি নিয়ে বৈঠকে বসলেও তিস্তা চুক্তি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা করতে রাজি নয় দিল্লি। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত এ নিয়ে আলোচনা চায় না দিল্লি।

বস্তুত গতবছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকেই ঢাকা ও দিল্লির এক সময়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শীতল হতে শুরু করে। এরই মধ্যে গত ডিসেম্বরের শুরুতে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে উগ্র ভারতীয়দের হামলা সেই সম্পর্ক আরও তলানিতে নিয়ে ঠেকায়।

কূটনৈতিক চ্যানেলে ভারত এটাও পরিষ্কার করে দিয়েছে যে বাংলাদেশে কোনো ‘অনির্বাচিত’ বা ‘অন্তর্বর্তী’ সরকারের সঙ্গে তারা পূর্ণ এনগেজমেন্টে যেতে আগ্রহী নয় এবং মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সঙ্গে তারা এমন কোনো সমঝোতায় যাবে না, যেখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশ্ন আছে।

এই পটভূমিতেও যে গঙ্গা চুক্তি নিয়ে দু'দেশের যৌথ কমিটি মুখোমুখি বৈঠকে বসছে এবং সরেজমিনে ফারাক্কা ব্যারাজ পরিদর্শন করতে পারছে– এটাকে পর্যবেক্ষকদেরও অনেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন।

বিবিসি জানতে পেরেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বৈঠকের ব্যাপারে ‘রাজনৈতিক সবুজ সংকেত’ (পলিটিক্যাল ক্লিয়ারেন্স) দেওয়ার পরেই এই বৈঠকের প্রস্তুতি নেওয়া হয়, বাংলাদেশেকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং যাবতীয় কর্মসূচি ঠিক করা হয়।

এর প্রধান কারণ হলো, ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক গঙ্গা চুক্তির তিরিশ বছরের মেয়াদ ২০২৬-র ডিসেম্বরেই শেষ হবে– ফলে কোন শর্তে চুক্তিটির নবায়ন করা হবে, সেটি ঠিক করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ওই চুক্তির নবায়নের জন্য মাত্র বছর দেড়েকের মতো সময় হাতে আছে বলেই এই বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকটিকে স্থগিত করতে চায়নি কোনো পক্ষই, দু'দেশের কূটনৈতিক মহলের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা যাচ্ছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি পদস্থ সূত্র বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, গঙ্গা চুক্তির বিষয়টি আলাদা। এখানে টেকনিক্যাল কমিটির বিশেষজ্ঞরা বৈঠকে বসছেন কারণ আমাদের হাতে চুক্তি রিনিউ করার জন্য হাতে খুব বেশি সময় নেই।

তিনি আরও জানাচ্ছেন, তবে অভিন্ন নদী তিস্তার জল ভাগাভাগি নিয়ে ভারত কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনায় যাচ্ছে না। কারণ সেখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশ্ন আছে এবং ভারত মনে করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সেই আলোচনা চালানোর কোনো ‘ম্যান্ডেট’ নেই!

কী হবে বিশেষজ্ঞদের বৈঠকে : ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার যৌথ নদী কমিশনের অন্যতম সদস্য মুহাম্মদ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল গঙ্গা চুক্তি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন।

গঙ্গা চুক্তিতেই বলা আছে, দু'দেশের বিশেষজ্ঞরা পর্যায়ক্রমিকভাবে ভারতে গঙ্গার ওপর ফারাক্কা ব্যারাজ পয়েন্টে ও বাংলাদেশে পদ্মার ওপর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে জলের প্রবাহ ও অন্যান্য বিষয়ে যৌথ পরিদর্শন করতে পারবেন।

সেই অনুযায়ী, ৮৬তম বৈঠকের অংশ হিসেবে দুই দেশের প্রতিনিধিরাই কলকাতা থেকে ট্রেনযোগে ফারাক্কা পয়েন্টের উদ্দেশে রওনা হয়ে যাবেন। তেসরা ও চৌঠা মার্চ ফারাক্কা ব্যারাজের বিভিন্ন অংশে যৌথ পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হবে। ৫ মার্চ (বুধবার) যৌথ কমিটির সদস্যরা আবার কলকাতায় ফিরে আসবেন।

৬ই মার্চ কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে গঙ্গা চুক্তি নিয়ে দু'দেশের 'টেকনিক্যাল কমিটি'র বিশেষজ্ঞদের বৈঠক। পরদিন (৮ই মার্চ) বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।

ভারতের জলসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, এটি এমনিতে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের রুটিন বৈঠক হলেও যেহেতু গঙ্গা চুক্তির নবায়নের সময় এগিয়ে আসছে তাই এটির ‘আলাদা গুরুত্ব’ আছে।

গঙ্গায় ফারাক্কা পয়েন্টের আগে ও পরে শুষ্ক মৌসুমে জলের প্রবাহ কতটা বজায় আছে, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান কী বলছে, গঙ্গার জলপ্রবাহের কতটা পদ্মায় আর কতটা ভাগীরথী (হুগলী) নদীতে যাচ্ছে– এই বিষয়গুলো নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠকে চুলচেরা আলোচনা হয়ে থাকে।

আগামী বছর গঙ্গা চুক্তি নবায়নের সময় বাংলাদেশ নতুন ফর্মুলায় জল ভাগাভাগির ওপর জোর দিতে চাইছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, ফলে সে দিক থেকেও এই বৈঠকের আলাদা গুরুত্ব আছে। আর এই বৈঠকের রাজনৈতিক গুরুত্ব হলো, মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের আমলেও ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে এই সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তিস্তায় না, কিন্তু গঙ্গাতে হ্যাঁ : গত বছরের ৮ আগস্ট বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পরেই ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেই সাক্ষাৎকারে আরও নানা বিষয়ের সঙ্গে তিনি বলেছিলেন, তার সরকার ভারতের কাছে অভিন্ন নদী তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যাও দাবি করবে। ওই সাক্ষাৎকারের বক্তব্য স্পষ্টতই ভারতের মনঃপূত হয়নি এবং তারা সেটা ঢাকাকে বুঝিয়েও দিয়েছিল।

দিল্লিতে সরকারি কর্মকর্তাদের বক্তব্য ছিল, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যেহেতু গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কোনো সরকার নয় তাই তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো আলোচনাতে যাওয়ারও প্রশ্ন ওঠে না। ফলে গত সাত মাসে তিস্তা চুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি।

এমনকি শেখ হাসিনার বিদায়ের মাত্র দিনকয়েক আগে যে 'তিস্তা মহাপরিকল্পনা'য় ভারতের সক্রিয় যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছিল, সেটাও যথারীতি হিমঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিস্তার ক্ষেত্রে ভারত এক ধরনের অনমনীয় মনোভাব দেখালেও গঙ্গা চুক্তি নিয়ে কিন্তু দিল্লির দিক থেকে এক ধরনের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ওই চুক্তি নবায়নে তাগিদ যে ভারতের দিক থেকেও আছে, সেটা ঘটনাপ্রবাহ থেকেও স্পষ্ট।

ঢাকায় ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী অবশ্য এর মধ্যে অসুবিধার কিছু দেখেন না।

তিনি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, “গঙ্গা চুক্তি প্রায় তিন দশক ধরে ‘টেস্টেড অ্যান্ড ট্রাস্টেড’ – মানে ভরসা আর সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। এর মাঝে বাংলাদেশে এমন সরকারও এসেছে যারা ভারতের প্রতি ততটা বন্ধুত্বপূর্ণ নয়, কিন্তু তাতে চুক্তির বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা হয়নি। ফলে এই চুক্তিটাকে যে দুই দেশই নবায়ন করতে চাইবে, এটাই তো স্বাভাবিক।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু অন্য দিকে তিস্তার পানি ভাগাভাগি নিয়ে আমরা কিন্তু এখনও কোনো চুক্তিই করে উঠতে পারিনি। ফলে গঙ্গা আর তিস্তার বিষয়টা সম্পূর্ণ আলাদা চোখে দেখতে হবে।

আর যেহেতু ঢাকায় বর্তমান সরকারের সঙ্গে দিল্লি কোনো দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বা সমঝোতায় যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই তিস্তা নিয়ে আলোচনা না এগোলেও গঙ্গা নিয়ে বৈঠক কিন্তু ঠিকই হচ্ছে—বলেন, সাবেক হাই কমিশনার পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




রমজানের দ্বিতীয় ১০ দিনের আমল (মাগফিরাতের ১০ দিন)

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

সুফি মাজহারুল ইসলাম মাসুম :

১. তওবা ও ইস্তিগফার বৃদ্ধি করা

রমজানের দ্বিতীয় দশক হলো মাগফিরাত বা আল্লাহর ক্ষমা লাভের বিশেষ সময়। এই সময়ে আমাদের উচিত আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে তওবা করা এবং গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য তাঁর দরবারে প্রার্থনা করা।

তওবা করার পদ্ধতি:

প্রথমে নিজের কৃত গুনাহ সম্পর্কে অনুতপ্ত হওয়া

সত্যিকারের মন থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া

ভবিষ্যতে ওই গুনাহ পুনরায় না করার দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করা

যদি গুনাহের কারণে কারো প্রতি অন্যায় করা হয়ে থাকে, তবে তাকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া বা তার হক ফিরিয়ে দেওয়া

ইস্তিগফারের দোয়া-

اللهم إنك عفو تحب العفو فاعف عني

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’আফু ‘আন্নি।

অর্থ: হে আল্লাহ, তুমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, তুমি ক্ষমা করতে ভালোবাসো, তাই আমাকে ক্ষমা করো।


অন্য একটি ইস্তিগফারের দোয়া-

أستغفر الله الذي لا إله إلا هو الحي القيوم وأتوب إليه

উচ্চারণ: আসতাগফিরুল্লাহাল্লাযি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।

অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া কোনো সত্যিকারের উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বত্র বিরাজমান। আমি তাঁর দিকে ফিরে আসছি।


২. তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা-

তাহাজ্জুদ নামাজ হলো রাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নফল নামাজ। এটি আল্লাহর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অর্জনের শ্রেষ্ঠ উপায়। বিশেষত রমজানের দ্বিতীয় দশকে এই নামাজের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত, কারণ এটি গুনাহ মাফ ও দোয়া কবুলের অন্যতম মাধ্যম।


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- ‘আমাদের প্রতিপালক প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন— ‍‍`কে আছো আমাকে ডাকবে, আমি তার দোয়া কবুল করবো? কে আছো আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করবো?’ (বুখারি, মুসলিম)


৩. কুরআন তিলাওয়াত বৃদ্ধি করা

রমজান হলো কুরআন নাজিলের মাস। তাই এই মাসে আমাদের বেশি বেশি কুরআন পড়া উচিত, অর্থ বুঝে পড়া উচিত এবং কুরআনের শিক্ষা আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করা উচিত।

কুরআন তিলাওয়াতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক-

প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ কুরআন তিলাওয়াত করা

কুরআনের অর্থ ও ব্যাখ্যা বোঝার চেষ্টা করা

কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন গঠনের চেষ্টা করা

তিলাওয়াতের পর কুরআনের দোয়া ও জিকির করা


উত্তম আমল-

প্রতিদিন অন্তত এক পারা কুরআন তিলাওয়াত করা

কুরআনের ছোট ছোট সূরা মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তোলা


৪. দোয়া ও জিকির করা-

রমজানের দ্বিতীয় দশক দোয়া ও জিকিরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু এটি মাগফিরাতের সময়, তাই এই সময় বেশি বেশি দোয়া করলে আল্লাহ আমাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিকির-

সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ

লা হাওলা ওলা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ

৫. দান-সদকা বৃদ্ধি করা-

দান-সদকা রমজানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—

দান-সদকা গুনাহগুলোকে এমনভাবে দূর করে দেয়, যেভাবে পানি আগুন নিভিয়ে দেয়। (তিরমিজি)


৬. গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা-

শুধু খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকলেই রোজা পূর্ণ হয় না। বরং চোখ, কান, মুখ, হাত-পা সবকিছুকে সংযত রাখতে হবে।


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা ও সে অনুযায়ী কাজ করা পরিত্যাগ করল না, তার পানাহার ত্যাগ করায় আল্লাহর কোনো দরকার নেই। (বুখারি)


৭. শবে কদরের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া-

রমজানের শেষ দশকের মধ্যে লাইলাতুল কদর (শবে কদর) রয়েছে, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। তাই দ্বিতীয় দশক থেকেই শবে কদরের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া দরকার।

কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন?

রাতের ইবাদতের পরিমাণ বৃদ্ধি করা

আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য আরও বেশি ইবাদত করা

শেষ দশকের জন্য একটি ইবাদতের রুটিন ঠিক করে রাখা

রমজানের দ্বিতীয় দশক আমাদের জন্য ক্ষমা লাভের এক সুবর্ণ সুযোগ। এই সময়ে আমাদের উচিত গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বেশি করে দোয়া করা, তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া, কুরআন তিলাওয়াত করা এবং দান-সদকা করা। আল্লাহ যেন আমাদের এই রমজান কবুল করেন এবং সবাইকে ক্ষমা করে দেন। আমিন!


আরও খবর

রোজা রাখার বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫




কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বে থাকায় বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, ‘আমি কোনো দলের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত নই। এখন সরকারের দায়িত্বে আছি। এই সরকারের দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় রূপান্তরের যে দায়িত্বটা রয়েছে, সে কারণে আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারব না। তবে আমার প্রত্যাশা থাকবে শুধু নতুন দল নয়, বাংলাদেশের যে কয়টি রাজনৈতিক দল আছে, সবাই জনকল্যাণমুখী হবে, জনগণের জন্য কাজ করবে।’

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। উপজেলার আকাবপুর হাজী ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া পাবলিক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ‘আকাবপুর ইউনিয়নবাসীর’ ব্যানারে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ‘উপজেলার সার্বিক পরিকল্পনা বিষয়ে স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায়’ প্রধান অতিথি ছিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। আকাবপুর আসিফ মাহমুদের নিজ গ্রাম।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই জানানো হবে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। সিদ্ধান্ত হলে জানতে পারবেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল উল্লেখ করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যেই সরকারের নানা উদ্যোগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। আপনারা দেখেছেন ইতিপূর্বে ছিনতাইয়ের সংখ্যাটা বেড়ে গিয়েছিল। তাই নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। আপনারা দেখবেন ঢাকার প্রতিটি অলিগলিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাহিনীগুলো এখন অ্যাকটিভ (সক্রিয়) অবস্থায় আছে, আমরা আশা করছি খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি আরও উন্নতি হবে।


আরও খবর



চাল আমদানির সময় বাড়ল আরো এক মাস

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত চার মাসে ১৮ হাজার ৮০০ টন চাল আমদানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ১৭ নভেম্বর থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে এই চাল আমদানি করা হয়। দেশের চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান শুল্কমুক্ত কোটায় এ চাল আমদানি করে। তবে ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলেও দেশের বাজারে দামের উপর কোন প্রভাব পড়ছে না।

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩৫০ টন চাল আমদানি হয়েছে। অর্থাৎ এ নিয়ে গেল চার মাসে ১৮ হাজার ৮০০ টন চাল আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. আরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গত ৬ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসরকারিভাবে নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল ও আতপ চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে এলসি খোলার সময়সীমা আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হলো।

বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, দেশের চালের বাজার স্থিতিশীল ও ক্রেতা সাধারনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকার দেশের শীর্ষ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাইরের দেশ থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে বাইরের দেশ থেকে চাল আমদানির এই সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাহাবুব আলম জানান, আটটি চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গত ১৭ নভেম্বর থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৮০০ টন চাল আমদানি করেছে। সারাদেশে চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৯২ প্রতিষ্ঠানকে। দুই লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ এবং এক লাখ ১৯ হাজার টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তাদের। অনেক প্রতিষ্ঠান এই সময়ের মধ্যে আমদানি করতে পারেনি। তারপরও সরকার ২৫ দিন সময় নির্ধারণ করে দেয় আমদানিকৃত চাল বাজারজাত করার জন্য। আশানুরূপ চাল আমদানি না হওয়ায় প্রথম দফায় ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ায় সরকার। তারপরও আমদানি ধীরগতির কারনে আবারও সময় বাড়ায় সরকার। এভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল আমদানি না হওয়ায় এবারও চতুর্থবারের মতো আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে সব চাল আমদানি হলে বাজারে চালের দাম কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন।

এদিকে চাল আমদানি অব্যহত থাকলেও বাজারে দামের উপর এর কোন প্রভাব পড়ছে না। বরং লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। রোজার শুরু থেকেই সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৪-৫ টাকা বেড়েছে। অব্যহতভাবে চালের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষরা।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, চালের দাম কমানোর জন্য সরকারের নানামুখী উদ্যোগের পরও সুফল মিলছে না। ভারত থেকে চাল আমদানি হলেও দেশীয় চালের দামের উপর তার কোন প্রভাব পড়ছে না। রোজার শুরুতেই সব ধরনরে চালের দাম বেড়েছে। চালের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে সব চেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। রোজায় সবজিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র কিনতে পারলেও চাল কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

বেনাপোল বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী রাসেল মিয়া বলেন, রোজার শুরুতেই চালের দাম কেজিতে ৪-৫ টাকা বেড়েছে। রোজার আগের ৬৪ টাকা কেজি দরের ২৮ জাতের চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৬৯ টাকা, ৭২ টাকার মিনিকেট ৭৬ টাকা, ৫২ টাকার মোটা চাল ৫৬ টাকা, ৮৪ টাকার বাসমতি চাল বিক্রি হচ্ছে ৮৮-৯০ টাকা কেজি। আমদানিকৃত ভারতীয় একটি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা কেজি দরে। তবে বাজারে ক্রেতাদের মধ্যে ভারতীয় চালের চাহিদা কম।

তিনি বলেন, রোজার মধ্যে চালের দাম কমার তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। ভারতীয় চাল আমদানি অবহ্যত থাকলেও বাজারে দামের উপর কোন প্রভাব পড়ছেনা। তবে সামনে নতুন চাল বাজারে উঠলে সরবরাহ বাড়লে দাম কমতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) শামীম হোসেন জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত চার মাসে ভারত থেকে ১৮ হাজার ৮০০ টন চাল আমদানি হয়েছে। চাল আমদানির জন্য সরকার আবারও একমাস সময় বৃদ্ধি করেছে। ভারত থেকে আসা আমদানিকৃত চালের ট্রাক স্থলবন্দর অভ্যন্তরে ঢুকলেই দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা তা দ্রুত ছাড়করণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন। যাতে আমদানিকৃত চাল দেশের বাজারে দ্রুত সরবরাহ হতে পারে।



আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫