Logo
শিরোনাম

সেরা ক্রীড়াবিদ মেসি, সেরা দল আর্জেন্টিনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ইয়াশফি রহমান : ক্যারিয়ারে অসংখ্য অর্জন লিওনেল মেসির। সেই অর্জনের খাতায় নতুন নতুন অধ্যায় যোগ করে চলেছেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। তেমনই আরেকটি পুরস্কার নিজের শোকেসে তুললেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ক্রীড়াজগতের প্রেস্টিজিয়াস এ পুরস্কার হাতে তুললেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। কোনো ফুটবলার হিসেবেও যা দ্বিতীয়বার। এর আগে প্রথম ফুটবলার হিসেবেও ২০২১ সালে এটি জিতেছিলেন লিও। সেবার কোপা আমেরিকার শিরোপা আর এবার অধরা বিশ্বকাপ তাকে এনে দিয়েছে বছরের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি।

ফ্রান্সের প্যারিসে সোমবার (৮ মে) পুরস্কার জমকালো অনুষ্ঠানে মেসির হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। এদিকে মেসি ছাড়াও বিশ্বের সেরা দল হিসেবে এই পুরস্কার জিতেছে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ ঘরে তোলা আর্জেন্টিনা।

লরিয়াস পুরস্কার জিতে মেসি বলেন, এটা বিশেষ এক সম্মান। বিশেষ করে এই বছর লরিয়াস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড প্যারিসে হওয়ায়। যারা ২০২১ সালে এখানে আসার পর আমাদের সাদরে গ্রহণ করেছে। আমি সব সতীর্থকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। শুধু জাতীয় দলের নয় পিএসজির সতীর্থদেরও।

আর্জেন্টিনা ও পিএসজি ফুটবলার মেসি আরও বলেন, এ ধরণের স্বীকৃতি পাওয়া দারুণ। আর আমি ভাগ্যবান এ বছর জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন বিশ্বকাপ জয়ের ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। যার জন্য আমাকে অনেক অপেক্ষা করতে হয়েছে। বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার হয়ে অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। তবে কখনোই থেমে যাইনি।

কাতার বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে ছিলেন মেসি। দলকে ৩৬ বছর পর শিরোপা জেতানোর পাশাপাশি নিজেও জিতেছেন গোল্ডেন বল পুরস্কার। এবার তার ঝুলিতে যুক্ত হলো আরও একটি পুরস্কার।

এছাড়াও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে একশো মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ জয়ী জ্যামাইকান স্প্রিন্টার শেলি অ্যান ফ্রেজার জিতেছেন বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড়। ড্যানিশ ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন কামব্যাক অব দ্যা ইয়ার ও স্প্যানিশ টেনিস তারকা কার্লোস আলকারাজ জিতেছেন ব্রেকথ্রো অব দ্যা ইয়ারের পুরস্কার।


আরও খবর

এক ঘণ্টায় শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

এখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সিঙ্গাপুরের পাসপোর্ট। অপরদিকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল পাসপোর্টের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট ও ২২৭টি ভ্রমণ গন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং দুর্বল পাসপোর্টের সূচক তৈরি করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। কোনো দেশের পাসপোর্ট দিয়ে কয়টি দেশে ভিসা ছাড়া বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় প্রবেশ করা যায়, এই তথ্যের ভিত্তিতে শক্তিশালী পাসপোর্টের সূচক তৈরি করা হয়।

গত ১৯ বছর ধরে বিশ্বের কোন দেশের পাসপোর্ট কতটা শক্তিশালী তা নিয়ে প্রত্যেক বছর প্রতিষ্ঠানটি র‍্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে। এ বছরের সূচকে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। দেশটির পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ১৯৩টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। দেশ দুটির পাসপোর্টধারীরা ১৯০টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন।

সূচকের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে- ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি ও স্পেন। দেশগুলোর পাসপোর্টধারীরা ১৮৯টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন।

অপরদিকে সূচকের চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে- অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল ও সুইডেন। এই দেশগুলোর পাসপোর্টধারীরা ১৮৮টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন।

পঞ্চম স্থানে রয়েছে গ্রিস, নিউজিল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড। এসব দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৮৭টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য। এই দুই দেশের পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন ১৮৬টি দেশে।

সপ্তম স্থানে থাকা কানাডা, চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, মাল্টা ও পোল্যান্ডের পাসপোর্টধারীরা ১৮৫টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন। সূচকের অষ্টম স্থানে আছে এস্তোনিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশ দুটির পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন ১৮৪টি দেশে।

সূচকে নবম অবস্থানে রয়েছে- ক্রোয়েশিয়া, লাটভিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। এই পাঁচ দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৮৩টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন। দশম অবস্থানে থাকা আইসল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন ১৮২টি দেশে।

এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৯৩তম। লিবিয়া এবং ফিলিস্তিন একই তালিকায় রয়েছে। এই তিন দেশের পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া বিশ্বের ৩৯টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন। গত বছর এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৭তম। অর্থাৎ এবার দেশটি চার ধাপ এগিয়েছে। এদিকে পাসপোর্ট সূচকে ভারতের অবস্থান ৮০তম, ভূটানের ৮৩তম, মিয়ানমার ৮৮ এবং পাকিস্তানের অবস্থান ৯৬তম।


আরও খবর



আমদানি-রপ্তানি শুল্কায়নে নতুন শর্ত

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

আমদানি-রপ্তানিতে শুল্কায়নের ক্ষেত্রে সাত সংস্থার ইস্যু করা সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট বাংলাদেশ সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেমের (বিএসডব্লিউ) মাধ্যমে দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ন্যাশনাল সিঙ্গল উইন্ডো প্রকল্প পরিচালক জুয়েল আহমেদ জানান, ৩১ জানুয়ারির পর থেকে আমদানি ও রপ্তানি পণ্য চালান শুল্কায়নের ক্ষেত্রে এই সাত সংস্থার ইস্যু করা সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট বিএসডব্লিউ সিস্টেমের মাধ্যমে দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ওই তারিখের পর কোনো ধরনের ম্যানুয়াল সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট গ্রহণ করা হবে না।

ন্যাশনাল সিঙ্গল উইন্ডো প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বিএসডব্লিউ মূলত একটি অনলাইন প্ল্যাটফরম, যা ব্যবহার করে একজন আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক পণ্য খালাসের জন্য প্রযোজ্য সব ধরনের সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিটের (সিএলপি) জন্য অনলাইনে আবেদন করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিএলপি সংগ্রহ করতে পারবেন। সিএলপি গ্রহণের আগে বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন) ব্যবহার করে বিএসডব্লিউ সিস্টেমে নিবন্ধন করতে হবে।

এই সিস্টেম ব্যবহারের ফলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে সেগুলো হলো—একটি কমন প্ল্যাটফরমে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের জন্য প্রযোজ্য সার্টিফিকেট, লাইসেন্স এবং পারমিটসংক্রান্ত সব কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা কর্তৃক যুগপত্ভাবে অনলাইনে সম্পন্ন করা হবে। সরকারি কাজে ব্যক্তিগত যোগাযোগ (হিউম্যান ইন্টারেকশন) না থাকায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সময় ও ব্যয় কমবে। দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।


আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ল

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার দেশে জরুরি অবস্থা আরও ছয় মাস বাড়িয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাতে সেনা অভ্যুত্থানের চার বছর পূর্তির ঠিক একদিন আগে এই ঘোষণা এলো। খবর রয়টার্সের।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জান্তা বাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে দেশে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বার বার বৃদ্ধি করে ক্ষমতা আকড়ে ধরে রেখেছে জান্তা বাহিনী।

নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে সেনাবাহিনী উৎখাত করায় মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয়। জান্তা সরকার এই বছর একটি নির্বাচন আয়োজেনর করার পরিকল্পনা করছে। যদিও সমালোচকরা বলছেন, ক্ষমতাসীন জেনারেলরা প্রক্সির মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে নির্বাচনের নামে প্রহসন করছে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার ডিজিটাল নিউজ তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বলেছে, সফলভাবে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীলতা ও শান্তি এখনো প্রয়োজন।


আরও খবর



জানুয়ারী মাসে ৬৫৯ সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৭৭ জন নিহত, ১২৭১ জন আহত

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিদায়ী জানুয়ারী মাসে ৬৫৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৭৭ জন নিহত, ১২৭১ জন আহত হয়েছে। রেলপথে ৫৭ টি দুর্ঘটনায় ৫৯ জন নিহত, ২৩ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ১৬ টি দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত, ০৯ জন আহত এবং ০৫ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর সংবাদপত্রে মিলেছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। এই সময়ে ২৮৯ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩০১ জন নিহত ও ২৩৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৪৩.৮৫ শতাংশ, নিহতের ৪৪.৪৬ শতাংশ ও আহতের ১৮.৮০ শতাংশ। এছাড়া ১৫৬ বাস দুর্ঘটনায় ১৫৯ ও আহত ৪৫২ আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ২৩.৬৭ শতাংশ, নিহতের ২৩.৪৯ শতাংশ ও আহতের ৩৫.৫৬ শতাংশ। এবং ১৬৩ ব্যাটারিচালিত-ইজিবাই-নসিমন-অটোরিকশা-মাহিন্দ্রা দুর্ঘটনায় ১৩৯ জন নিহত ও ৩৩৬ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ২৪.৭৩ শতাংশ, নিহতের ২০.৫৩ শতাংশ ও আহতের ২৬.৪৩ শতাংশ।


আজ ১০ ফেব্রুয়ারী সোমবার সংগঠনের এক প্রেস বার্তায় এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।


দেশের বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য ৯৬টি জাতীয়, আঞ্চলিক, অনলাইন ও ইলেক্ট্রনিক সংবাদ প্রকাশিত সংবাদ মনিটরিং করে ধারাবাহিকভাবে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এতে দেখা যায়, বিদায়ী জানুয়ারী মাসে সর্বমোট সড়ক, রেল ও নৌপথে ৭৩২ টি দুর্ঘটনায় ৭৫৪ জন নিহত এবং ১৩০৩ জন আহত হয়েছে। এই মাসে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ঢাকা বিভাগে, সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ময়মনসিংহ বিভাগে।


এই মাসে সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত- ১৬ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৩৮২ জন চালক, ২৩৮ জন পথচারী, ১৮৮ জন শ্রমিক, ১৫১ জন শিক্ষার্থী, ১৭ জন শিক্ষক, ১৭১ জন নারী, ২১ জন শিশু, ০৮ জন সাংবাদিক, ০৩ জন চিকিৎসক, ১২ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং ৪১ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এর মধ্যে সড়কে ০৪ জন পুলিশ সদস্য, ০১ জন আনসার সদস্য, ০২ জন বিজিবি সদস্য, ১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ০২ জন সাংবাদিক, ১১৯ জন নারী, ১২ জন শিশু, ৮৬ জন শিক্ষার্থী, ১৩ জন শিক্ষক, ৩১১ জন চালক, ৪৭ জন পরিবহন শ্রমিক, ২৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ০৩ জন চিকিৎসক, ২১৯ জন পথচারী ও ১২ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নিহত হয়েছে।


এ সময়ে সংগঠিত দুর্ঘটনায় সর্বমোট ১০৩২টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে, যার ১৬.৫৭ শতাংশ বাস, ২৩.৮৩ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৫.৪২ শতাংশ কার-জীপ-মাইক্রোবাস, ৪.৯৪ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৩১.২৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৭.৯২ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা-ইজিবাইক-নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দুর্ঘটনা ভয়াবহ বাড়লেও এসব সংবাদ গণমাধ্যমে কম আসছে বলে প্রকৃত চিত্র তুলে আনা যাচ্ছে না।


সড়কে দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১০.৩৫ শতাংশ ভোরে (৪.০০-৬.০০), ২৬.৬৯ শতাংশ সকালে (৬.০০-১২.০০), ১৫.৫৩ শতাংশ দুপুরে (১২.০০-৩.৩০), ৮.১৬ শতাংশ বিকালে (৩.৩০-৫.৩০), ১৭.৫২ শতাংশ সন্ধ্যায় (৫.৩০-৭.০০), ১৯.৫২ শতাংশ দিবাগত রাতে (৭.০০-১২.০০), এবং ২.১৯ শতাংশ মধ্যরাতে (১২.০০-৪.০০) সংগঠিত হয়েছে।


সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ০.৬৩ শতাংশ (০০-১০) বছর, ২৩.২৫ শতাংশ (১১-২০) বছর, ৩১.৬২ শতাংশ (২১-৩০) বছর, ১৩.৬৩ শতাংশ (৩১-৪০) বছর, ১৩.৫ শতাংশ (৪১-৫০) বছর, ৯ শতাংশ (৫১-৬০) বছর এবং ৮.৩৭ শতাংশ (৬১-১০০) বছর বয়সী ব্যাক্তি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।


সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪১.৬০ শতাংশ গাড়ি চাপা, ৩৮.১৮ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৩.৩৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৬.১৬ শতাংশ বিবিধ কারনে এবং ০.৬৯ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে মোট সংগঠিত দুর্ঘটনার ৩৭.৮০ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৮.৭৫ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৮.০৪ শতাংশ ফিডার রোডে সংগঠিত হয়েছে। এছাড়াও দেশে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩.৬৫ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.০৪ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে, ০.৬৯ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে সড়ক দুর্ঘটনার কারণসমূহ :

১। বেপরোয়া গতি।

২। বিপদজনক অভারটেকিং।

৩। সড়কের নির্মাণ ত্রুটি।

৪। ফিটনেসবিহীন যানবাহন।

৫। চালক, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা।

৬। চালকের অদক্ষতা ও ট্রাফিক আইন সংক্রান্ত অজ্ঞতা।

৭। পরিবহন চালক ও মালিকের বেপরোয়া মনোভাব।

৮। চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার।

৯। মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো।

১০। অরক্ষিত রেলক্রসিং।

১১। রাস্তার উপর হাট-বাজার, ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা।

১২। ট্রাফিক আইন প্রয়োগে দুর্নীতি।

১৩। ট্রাফিক আইন প্রয়োগে দুর্বলতা।

১৪। ট্রাফিক আইন অমান্য করা।

১৫। রোড মার্কিং না থাকা।

১৬। সড়কে চাঁদাবাজি।

১৭। চালকের নিয়োগ ও কর্মঘন্টা সুনির্দিষ্ট না থাকা।

১৮। সড়কে আলোকসজ্জা না থাকা।

১৯। রোড ডিভাইডার পর্যাপ্ত উচু না থাকা।  

২০। সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর দ্বায়িত্বরত প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহি না থাকা।

২১। দেশব্যাপী নিরাপদ, আধুনিক ও স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থার পরিবর্তে টুকটুকি-ইজিবাইক-ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা নির্ভর গণপরিবহন ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হওয়ার কারনে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ভয়াবহভাবে বাড়ছে।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সুপারিশমালা :

১. দুর্ঘটনায় মানুষের জীবন রক্ষায় সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার হিসেবে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি অর্šÍভুক্ত করা।

২. দ্রুত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করা।  

৩. সড়ক নিরাপত্তায় বাজেট বরাদ্ধ বাড়ানো, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে সড়ক নিরাপত্তা উইং চালু করা।

৪. সড়ক নিরাপত্তায় ইতিমধ্যে প্রণীত যাবতীয় সুপারিশমালা বাস্তবায়নে নানামুখী কার্যক্রম শুরু করা।

৫. দেশের সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন, রোড মার্কিং (ট্রাফিক চিহ্ন) স্থাপন করা। জেব্রা ক্রসিং অংকন ও আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা।

৬. গণপরিবহন চালকদের অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ ও নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা।

৭. সড়ক পরিবহন সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্টা করা। অনিয়ম-দুর্নীতি ও সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা।

৮. গাড়ির নিবন্ধন, ফিটনেস ও চালকদের লাইসেন্স প্রদানের পদ্ধতি উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিকায়ন করা।

৯. সড়ক দুর্ঘটনায় আর্থিক সহায়তা তহবিলে আবেদনের সময়সীমা ৬ মাস বৃদ্ধি করা।

১০. স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে দেশব্যাপী পর্যাপ্ত মানসম্মত নতুন বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয়া।

১১. ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রশিক্ষণের জন্য  ট্রাফিক ট্রেনিং একাডেমী গড়ে তোলা।

১২. সড়কের মিডিয়ানে উল্টো পথের আলো এবং পথচারীর পারাপার রোধে মহাসড়কের রোড ডিভাইডার পর্যাপ্ত উচু করা।

১৩. গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণসহ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মালিক-শ্রমিকদের সাথে ভুক্তভোগীদের পক্ষে যাত্রী সাধারনের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




গানে ফিরছেন সাবিনা ইয়াসমিন

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শারীরিকভাবে এখন অনেকটাই সুস্থ কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। আর তাই ফিরছেন গানে।

আগামী ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুটি বড় অনুষ্ঠানে গাইবেন এই সংগীতশিল্পী। এরপর যাবেন চট্টগ্রামেও। সেখানের একটি স্টেজ শোতে অংশ নেবেন তিনি। এমনটাই জানালেন কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পী।

সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে গানে ফিরছি। আমি তো গানের মানুষ। ছয় দশক গানে গানে কাটছে। গান ছাড়া তো আর কিছু ভাবতে পারি না। এখানেই যত আনন্দ। সেই আনন্দের জায়গায় ফিরছি, খুবই ভালো লাগছে।’

তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যেই কয়েকজন সংগীত পরিচালকের সঙ্গে নতুন গান নিয়ে কথা বলেছেন। স্টেজ শোর ফাঁকেই নতুন গানগুলোর রেকর্ডিং করবেন। স্টেজ শোর প্রস্তুতি হিসেবে ২৬, ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি তিন দিন যন্ত্রশিল্পীদের নিয়ে মহড়ায় অংশ নেবেন তিনি।


আরও খবর

আমি একজন শিল্পী আমি কী ভূমি দস্যু ?

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মুক্তি পেল অনুদানের দুই সিনেমা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫