

শনিবার ১০ মে ২০২৫
বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে তলানিতে এসে ঠেকেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর হুমকি-ধমকিতে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনা। ঘটনার পর থেকে এরইমধ্যে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দুদেশ। বাণিজ্যিক সব চুক্তি স্থগিতের পাশাপাশি একে অন্যের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে তারা।
এ অবস্থায় অন্য দেশ হয়ে প্রবেশ করা পাকিস্তানি পণ্যের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। এক তিল পরিমাণ কোনও পাকিস্তানি পণ্যও যেন ভারতে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ৩ মে ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তির বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে তৈরি কোনো পণ্য সরাসরি বা ঘুরপথে আমদানি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তা এবং সরকারি নীতির স্বার্থে এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। এই নির্দেশিকার কোনও ব্যতিক্রমের জন্য অবশ্যই ভারত সরকারের আগাম অনুমতি নিতে হবে।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান থেকে সরাসরি খুব বেশি পণ্য ভারতে আসে না। তবে ঘুরপথে দুবাই হয়ে কিছু পণ্য ভারতে আসত। বিশেষত, পোশাক, মসলা বা ছোট যন্ত্রাংশের মতো কিছু পণ্য ঘুরপথে ভারতীয় বাজারে প্রবেশ করত; তাও খুব বেশি নয়। ভারতীয় বাণিজ্যমহলের অনেকের মতে, ঘুরপথেও যাতে কোনও পাকিস্তানি পণ্য ভারতে প্রবেশ না করে, তা নিশ্চিত করতেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর থেকেই মূলত ভারত এবং পাকিস্তানের বাণিজ্যিক সম্পর্কে ক্রমশ অবনতি ঘটতে শুরু করেছিল। ওই সময়ে ফল, সিমেন্ট, পেট্রোপণ্য, আকরিকসহ পাকিস্তান থেকে আসা বেশ কিছু পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছিল ভারত। বাণিজ্যিকভাবে ভারতের অন্যতম পছন্দের দেশের তালিকা থেকেও পাকিস্তানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে গত কয়েক বছরে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকেছে।
গত বছরের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে পাকিস্তান থেকে মাত্র ৪ লাখ ২০ হাজার ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল ভারত। এক বছর আগেও যে পরিসংখ্যান ছিল, তার থেকে ২০ লাখ ডলারেরও কম মূল্যের আমদানি হয়েছিল ওই সময়ে।
এরই মধ্যে গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ভারত-পাকিস্তান চাপা বৈরিতা মুহূর্তেই আরও একবার স্পষ্ট হয়ে ওঠে বিশ্ববাসীর সামনে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর হুমকি-ধমকিতে কদর্য রূপ ধারণ করে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।
এদিকে পাকিস্তানি পণ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞাই শুধু নয়, পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার। দেশটির ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ শিপিং’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাকিস্তানের পতাকা থাকা কোনও জাহাজই প্রবেশ করতে পারবে না ভারতীয় বন্দরে। একইভাবে কোনো ভারতীয় জাহাজও যাবে না পাকিস্তানের কোনো বন্দরে।
পহেলগাম হামলার পরদিনই বৈঠকে বসেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি। ওই বৈঠকের পরপরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কূটনৈতিক পদক্ষেপ ঘোষণা করে মোদি সরকার, যার মধ্যে অন্যতম ছিল অটারী সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া।
উল্লেখ্য, অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দুদেশের মধ্যকার অন্যতম বাণিজ্যপথ ছিল। পরদিন পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপ করে। ওই সময়ে ইসলামাবাদ জানিয়েছিল, ভারতের সঙ্গে সবরকম বাণিজ্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এমনকি তৃতীয় কোনও দেশ ঘুরেও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান।
বুধবার ১৪ মে ২০২৫
বুধবার ১৪ মে ২০২৫
চাঞ্চল্যকর শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল চার্জ গঠন করেছে। আগামী ২৭ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হলো।
২৩ এপ্রিল সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়।
রাষ্ট্রপক্ষকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী গণমাধ্যমকে বলেন, প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে মামলার যেসব ডকুমেন্টস আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে সন্তুষ্ট হয়ে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন।
তিনি জানান, ওই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে তিনি নিজেই আজ এ মামলার শুনানিতে অংশ নিয়েছেন।
জেলার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে শিশুটি ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয় বলে পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়। গত ৬ মার্চ যখন শিশুটিকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল তখন তার জ্ঞান ছিল না। পরে এ নিয়ে দেশজুড়ে আলোড়ন হলে তাকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আনা হয়। সেখানেই ১৩ মার্চ শিশুটি মারা যায়।
গত ৮ মার্চ শিশুটির মা চারজনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন। পরে তার সঙ্গে হত্যার অভিযোগও যুক্ত হয়। মামলার আসামিরা এখন কারাগারে আছেন।
বুধবার ১৪ মে ২০২৫
মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫
ওয়াক্ফ আইন ঘিরে অতি সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে যে সহিংসতা ঘটল, তা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মনে করে ভারত। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম গত ৮ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
শফিকুল আলমের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজ শুক্রবারের বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনায় বাংলাদেশের তরফ থেকে যে বক্তব্য এসেছে, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।”
“বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চলমান নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সাথে তুলনা করার জন্য এটি একটি ছদ্মবেশী এবং ছলনাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যেখানে এই ধরনের অপরাধের জন্য দায়ীরা এখনও মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অযৌক্তিক মন্তব্য করা এবং সদ্গুণের পরামর্শ প্রদানের পরিবর্তে বাংলাদেশ যদি তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করে, তাহলে আরও ভাল করবে।”
গত ২ এপ্রিল গভীর রাতে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভা এবং পরের দিন উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাস হয় ‘সংশোধিত ওয়াক্ফ বিল, ২০২৫’। তারপর ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে আইনে পরিণত হয় সেই বিল এবং ৮ এপ্রিল তা কার্যকর হয়।
এদিকে আইন কার্যকর হওয়ার পরপরই ভারতের রাজধানী দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুরসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু করেন মুসলিমরা ও বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এই বিক্ষোভকে ঘিরে আক্ষরিক অর্থেই রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদীয়াসহ বিভিন্ন জেলা। পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘাতে মুর্শিদাবাদে ৩ জন সংবাদও পাওয়া গেছে এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ২ শতাধিক বিক্ষোভকারী। তবে বর্তমানে মুর্শিদাবাদ ও অন্যান্য জেলার অবস্থা শান্ত।
আইন স্থগিতের দাবিতে ইতমধ্যে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি সঞ্জিব খান্নার বেঞ্চে বুধবার মামলার ওপর শুনানিও শুরু হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হওয়ার দিনই আইনটির কার্যকর হওয়ার সময় পিছিয়ে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
বুধবার ১৪ মে ২০২৫
বুধবার ১৪ মে ২০২৫
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমরা সর্বপ্রথম মাননীয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয়, সচিব মহোদয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মহোদয়কে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই—আমাদের প্রান্তিক খামারিদের সমস্যা, সংকট ও দাবি আন্তরিকভাবে গ্রহণ করার জন্য এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
মাননীয় উপদেষ্টা ও সচিব মহোদয়ের দিকনির্দেশনায়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়—প্রশাসন পরিচালক, উৎপাদন পরিচালক, খামার পরিচালকসহ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে—বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, কার্যনির্বাহী সদস্য এবং দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ১০ থেকে ১২ জন প্রান্তিক ডিম-মুরগি উৎপাদনকারী খামারিদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করেন।
সভায় ডিজি মহোদয় অত্যন্ত মনোযোগসহকারে খামারিদের ১০ দফা দাবি ও বাস্তব সমস্যা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন। বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে “শাহরুখ স্বারকলিপি” নামক একটি লিখিত দাবি তিনি হাতে গ্রহণ করেন এবং সেটি আন্তরিকতার সঙ্গে পর্যালোচনা করেন। ডিজি মহোদয় আশ্বাস দেন—খাদ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং সরকার নির্ধারিত ডিম-মাংসের ন্যায্য মূল্য বাস্তবায়নে বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নির্দেশনায় পোলট্রি খাদ্যের দাম কেজিপ্রতি ১ থেকে ১.৫০ টাকা পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। ফিড, বাচ্চা এবং ওষুধের মূল্য নির্ধারণে তদন্ত চলছে, ভবিষ্যতে যা আরও হ্রাস পেতে পারে।
সরকারের এই সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে উপস্থিত সকল প্রান্তিক খামারি সন্তোষ প্রকাশ করেন। সরকারের প্রতি আস্থা রেখে এবং জনগণের স্বার্থে, বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন ঘোষিত ১ মে থেকে খামার বন্ধের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছে। আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই—প্রান্তিক খামারিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে—দেশের খামারিরাই পোলট্রি খাতের প্রাণ। আপনাদের শ্রম ও নিষ্ঠার ওপরই দাঁড়িয়ে আছে এই শিল্প। তাই আমরা আহ্বান জানাচ্ছি—আগামী ১ মে থেকে সকল খামার পুরোদমে চালু রাখুন এবং সরকারের সকল নিয়মকানুন মেনে বৈধভাবে খামার পরিচালনা করুন। আপনারা ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করুন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিবন্ধন সম্পন্ন করুন এবং প্রশিক্ষণে অংশ নিন। সরকার ইতোমধ্যেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে—যাঁরা নিয়ম মেনে খামার চালাবেন, তাঁদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে খামারিদের উচিত ঐক্যবদ্ধ থাকা, স্থানীয় সংগঠনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং নিজেদের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা।
আমরা বিশ্বাস করি—আপনারা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন, তাহলে বাজারে সিন্ডিকেটের অনিয়মের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়া সম্ভব হবে।
২১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে দেশের সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের খামারিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, পোলট্রি খাতকে বাঁচাতে এবং সরকারের আন্তরিক সদিচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে ১ মে থেকে ডিম-মুরগির খামার বন্ধের ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হলো।
বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সংক্ষিপ্ত ১০ দফা দাবি
১. জাতীয় মূল্য নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠন করতে হবে।
২. সরকারিভাবে ফিড মিল ও হ্যাচারি স্থাপন করতে হবে।
৩. কোম্পানির কন্ট্রাক্ট ফার্মিং ও উৎপাদন নিষিদ্ধ করতে হবে।
৪. স্বাধীন বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করতে হবে।
৫. ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের পুনর্বাসন করতে হবে।
৬. খামারিদের রেজিস্ট্রেশন ও আইডি কার্ড প্রদান করতে হবে।
৭. জাতীয় পোলট্রি উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে।
৮. সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৯. প্রশাসনিক অভিযান চালিয়ে ন্যায্য বাজার নিশ্চিত করতে হবে।
১০. জাতীয় বাজেটে প্রান্তিক খামারিদের বরাদ্দ ও সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে
তবে আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি—যদি আগামী দিনে এই ১০ দফা যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি না হয়, তাহলে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন আবারো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
বুধবার ১৪ মে ২০২৫
মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫
দীর্ঘ কারাভোগের পর গত ১৫ জানুয়ারি ছাড়া পান ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। ছাড়া পাওয়ার ৩ মাস ২ দিন পর গত ১৭ এপ্রিল রাজনৈতিক দল আ-আম জনতা পার্টির ঘোষণা দেন তিনি। এছাড়া ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’ নামে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। এ দলের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন এবং মহাসচিব হয়েছেন সাংবাদিক শওকত মাহমুদ। শুধু রফিকুল আমীন কিংবা ইলিয়াস কাঞ্চনই নন; গত ৮ মাসে রাজনৈতিক দল ও প্ল্যাটফরম হয়েছে ২৬টি। এর মধ্যে ২২টিই রাজনৈতিক দল। বিশ্লেষকরা বলেছেন, দেশের বাতাসে এখন নির্বাচনের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তাই নানারকম আর্থসামাজিক লক্ষ্য এবং সমাজে ব্যক্তিগত প্রভাব বাড়াতে এসব দল হচ্ছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে মুসকিল লীগ, নতুন বাংলা, বঙ্গবন্ধু দুস্থ ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ, বাংলাদেশ ইত্যাদি পার্টির মতো দলের আত্মপ্রকাশ নতুন আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দল গঠনের এ প্রবণতা নতুন কিছু নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে এমন নতুন নতুন দল গঠন করতে দেখা গেছে। আর নির্বাচনকেই এর প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন তারা। এরশাদ আমলে এমন রাজনৈতিক দল তৈরির হিড়িক পড়েছিল। সেসময় ১২০টির মতো রাজনৈতিক দল গঠন হলেও পরে তা হারিয়ে গেছে। সেই পরিস্থিতি নতুন এসব দলের ক্ষেত্রেও হতে পারে।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর অর্থাৎ ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫-এর ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত গত ৮ মাসে অন্তত ২২টি রাজনৈতিক দল ও ও চারটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম আত্মপ্রকাশের খবর এসেছে। যার মধ্যে গত বছর ১১টি আর চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে আরো ১১টি দল গঠিত হয়েছে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে তিনটি করে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে ‘ব্যাঙের ছাতার মতো এমন অনেক দল গজিয়ে ওঠে’। তবে নতুন নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশকে আপাতদৃষ্টিতে গণতান্ত্রিক চর্চার সঙ্গে যুক্ত করা হলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেক ক্ষেত্রেই তা স্বার্থ ও ক্ষমতাচর্চার একটি রূপ বলেই মত বিশ্লেষকদের। একইসঙ্গে ভোটের সময় জোট-রাজনীতিও এ প্রবণতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রভাব রাখে বলেও মনে করেন অনেকে।
ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত রফিকুল আমীনের হঠাৎ রাজনীতিতে নাম লেখানোর কারণ কী? প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, রাজনৈতিক পরিচয় না থাকার কারণে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর অন্য অনেকে জেল থেকে ছাড়া পেলেও তিনি তা পাননি। ‘যেদিন হাসিনা পালিয়ে গেল, ৫ তারিখ, ৬ তারিখ, ৭ তারিখ, ৮ তারিখ, ৯ তারিখ- এ কয়দিনে ঢাকা জেল খালি হয়ে গেছে। মানুষকে দিনরাত ছেড়ে দিছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এত লোকের জামিন কীভাবে হলো? বলে, না জামিন হয়নি তো। এদের রাজনৈতিক বিবেচনায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, আমি তখন সুপারের (জেল সুপার) কাছে দৌড়ায়ে গেলাম। আমি তো এত বছর আটকে আছি, আমাকে ছাড়েন। বলল, আপনি তো কোনো রাজনৈতিক দল করেন না। আপনি যদি অন্তত হরাকাতুল জিহাদও করতেন বা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমও করতেন, তা-ও আপনাকে আমি ছেড়ে দিতাম। মানে ওনারা রাজনৈতিক লেবেল থাকলে ছেড়ে দেবে, বলেন তিনি। রফিকুল আমীন জানান, এ রাজনৈতিক মঞ্চকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে তিনি তার ‘জুলুমের কথা তখন যে প্রশাসক থাকবে, যে রাষ্ট্রশাসন করবে তার কাছে’ পৌঁছাবেন।
রাজনীতিতে আসা নতুন দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব নিয়ে আলোচনায় রয়েছে এনসিপি। দলটি এখনো নিবন্ধন পায়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি নামক যে রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম থেকে দলটি তৈরি হয়েছে, সেগুলোও বর্তমানে সচল আছে। রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি প্ল্যাটফরমগুলো থেকে নতুন ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ তৈরি হয়েছে। এছাড়া এনসিপির গঠন থেকে বেরিয়ে আসা শিবিরের সাবেক নেতাদের নতুন সংগঠন ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ’রও এ মাসের মধ্যেই আত্মপ্রকাশের কথা।
অদ্ভুত সব নামের দলগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান বলেন, একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নতুন দল হতেই পারে। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দলের কাজই হবে রাজনীতি করা। কিন্তু দেশে একটি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নানা হিসাব-নিকাশ হচ্ছে। নির্বাচন হবে কি না, হলে কী রকম হবে। ফলে রাজনীতির পানি, নির্বাচনের পানি ঘোলা হচ্ছে। এ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য অনেকেই রাজনৈতিক দল গঠন করছে। এদের হয়তো সাধারণ মানুষ চেনে না। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগও নেই। তারপরও কিছু একটা পাওয়ার আশায় কেউ কেউ রাজনৈতিক দল করছে।
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তী সময়ে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের (জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা) নিবন্ধন বাতিল করা হয়। গত বছর ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আদালতের নির্দেশে এবি পার্টি নিবন্ধন পায়। এছাড়া নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য এবং গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) ও বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি ( বিএমজিপি)। এ অবস্থায় এখন ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০।
ইসি সচিবালয়ের তথ্যানুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন পেতে নতুন ৯৩টি দল আবেদন করে। এর মধ্যে ভুঁইফোঁড় দল হিসেবে পরিচিত দুটি দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিকে নিবন্ধন দেয় তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। তার আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে শর্ত পূরণ না করার কারণ দেখিয়ে আবেদন করা ৭৬টি দলের কোনোটিকেই নিবন্ধন দেয়নি ইসি। পরে ২০১৯ সালে ববি হাজ্জাজের দল এনডিএম আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায়। ইসিতে নিবন্ধিত এ দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ এবং তাদের জোটের শরিকসহ ২৭টি দল গত বছরের ৭ জানুয়ারি বিতর্কিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। এসব দলের বেশিরভাগের কার্যক্রম নেই বললেই চলে।
ইসি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যেসব দল আবেদন করে নিবন্ধন পায়নি, সেসব দলের তালিকাও সংরক্ষণ করে রেখেছে। এ ধরনের অনিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৮৭। এ দলগুলোর মধ্যে রয়েছে নৈতিক সমাজ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি, মুসকিল লীগ, নতুন বাংলা, বঙ্গবন্ধু দুস্থ ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ, বাংলাদেশ ইত্যাদি পার্টি, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি), বৈরাবরী পার্টি, বাংলাদেশ বিদেশ প্রত্যাগত প্রবাসী ও নন-প্রবাসী কল্যাণ দল, গণরাজনৈতিক জোট (গর্জো), বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), নাকফুল বাংলাদেশ, মুক্ত রাজনৈতিক আন্দোলন, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ জনতা পার্টি (বিজেপি), জনতার অধিকার পার্টি (পিআরপি), বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা লীগ, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জনস্বার্থে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা কল্যাণ পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড, গণঅধিকার পার্টি (পিআরপি) ও বাংলাদেশ গরিব পার্টির মতো প্রায় অপরিচিত ও বিচিত্র নামের দলগুলোও।
এ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, এর আগেও আমরা দেখেছি যখন নির্বাচনের গন্ধ এসে নাকে লাগে, তখন হঠাৎ করেই এমন অনেক দল গজিয়ে ওঠে ব্যাঙের ছাতার মতো। এ ধরনের দল তৈরির প্রবণতা দেখা গিয়েছিল এরশাদের আমলেও। এরশাদের আমলে বড় দলগুলো এরশাদের সঙ্গে নির্বাচনে সহযোগিতা করেনি বা করতে চায়নি, তখন এরশাদ দেখাতে চেয়েছিল যে দেশে প্রচুর রাজনৈতিক দল আছে। সুতরাং তারা নির্বাচনে এলে তো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। সেসময় ১২০টার বেশি দল গঠন হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ৯০টা দল নিয়ে জোট করার নজির আছে উল্লেখ করে ‘এরা জাস্ট সংখ্যা’ বলে মন্তব্য করেন এ বিশ্লেষক। একইসঙ্গে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যেও এসব দল তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, এটা নির্বাচনি রাজনীতির একটা প্রবণতা। ওয়ান ম্যান শোর মতো রাতারাতি রাজনৈতিক দল হয়। তারা নানা সুবিধার আশায় এটা করে। কখনো আবার সরকারের ইচ্ছায় হয়। গত নির্বাচনের আগেও আমরা দেখেছি। আর এটার সুযোগ তৈরি হয় রাজনীতিতে গুণগতমানের অবনমনের কারণে। ৯০-এর দশকের পরে দেশে কোনো আদর্শিক দল তৈরি হয়নি। এটা নির্বাচনকে সামনে রেখে হয়েছে।
বড় রাজনৈতিক দলগুলোও এরকম রাজনৈতিক দল তৈরিতে কাজ করে। তারা এদের নিয়ে জোট করে। জোটে দলের সংখ্যা বাড়ায়। শক্তি দেখায়। তবে নির্বাচনের পর এসব রাজনৈতিক দল আর সক্রিয় থাকে না। কয়েকটি বড় দলই থাকে। এরা নির্বাচন সামনে রেখে আসে আবার নির্বাচনের পর হারিয়ে যায়। এখন একটা বদ্ধমূল ধারণা হয়ে গেছে সবার মধ্যে যে রাজনীতি করলে খুব দ্রুত লাভবান হওয়া যায়। রাজনীতি করলে খুব দ্রুত টাকা-পয়সা কামানো যায়, আর ব্যক্তিগত প্রভাব খাটানো যায়- এটা ভেতরের উদ্দেশ্য আর কী। এর বাইরে এসব দলের রাজনীতিতে কতটুকু আদর্শ থাকে, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। মূল যেটা সেটা হচ্ছে, এটার পেছনে একটা রাজনৈতিক অর্থনীতির বিষয় জড়িত আছে। তবে বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস বলছে, অনেক দল এলেও তাদের মধ্যে খুব কমসংখ্যকই দিন শেষে রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে পারে।
বুধবার ১৪ মে ২০২৫
সোমবার ১২ মে ২০২৫