Logo
শিরোনাম

শেরপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ মে ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৪৮৮জন দেখেছেন

Image

জেলা প্রতি‌নি‌ধি, শেরপুর:

শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনে স্ত্রীকে হত্যা মামলায় স্বামী ফুরকান আলী (৩৬)কে মৃত্যুদন্ড আদালত। মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আসামির অনুপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন। ফুরকান আলী শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের চেল্লাকান্দি এলাকার ময়দান আলীর ছেলে ও এক সন্তানের জনক। তবে, মামলার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন তি‌নি। একইসাথে মামলার অপর ৩ আসামি ফুরকানের বাবা ময়দান আলী (৫৯), মা ফুলেতন বেগম (৪৯) ও আত্নীয় সওদাগর আলী (৬১)কে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুালের পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, ২০১১ সালের ২ জুলাই রাতে স্ত্রী এক সন্তানের জননী ও শ্রীবরদী উপজেলার বড়গেরামারা এলাকার আব্দুল জব্বারের মেয়ে জহুরা বেগমকে (২৩) যৌতুকের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে মারপিট ও শ্বাসরোধে হত্যার পর তার লাশ নিজ ঘরের দর্ণায় ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে রাখে স্বামী ফুরকান আলী। ওই ঘটনায় পরদিন ফুরকান আলী, তার বাবা-মা ও ২ আত্নীয়সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়ের করেন জহুরা বেগমের বড় ভাই ফজলুল হক। পরবর্তীতে তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ নভেম্বর ফুরকানের আত্মীয় আজিজুর রহমান ব্যতীত ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন শ্রীবরদী থানার এসআই নুরুল আমিন খান। পরবর্তীতে একমাত্র ময়দান আলী হাজির হয়ে বিচারের মুখোমুখি হলেও অপর ৩ আসামিই পলাতক থাকে। প‌রে মামলায় চূড়ান্ত পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (ক) ধারায় আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ফুরকান আলীকে এই দন্ড দেওয়া হয়। এছাড়া একই আইনে সহায়তার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকী‌ আসামিদের খালাস দেওয়া হয়।


আরও খবর



নওগাঁয় ঝুলন্ত অবস্থায় নববিবাহিত যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :নওগাঁয় উজ্জল হোসেন  (৩৬) নামে এক নব-বিবাহিত যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সকালে নওগাঁর মান্দা উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের একটি আম গাছ থেকে তার ঝুলন্ত মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয় ।

নিহত উজ্জল হোসেন মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের গোটগাড়ি গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, নিহত উজ্জল হোসেন এর প্রথম স্ত্রী শারিরীক অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যু বরণ করার পরে পূনরায় সে গত শুক্রবারে একই উপজেলার খুদিয়াডাঙ্গা গ্রামে আনুষ্ঠানিক ভাবে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। এরপর শনিবার বিকেলে সে, তার স্ত্রী এবং কোলদারাসহ নতুন শশুড় বাড়িতে আসেন। শ্বশুর বাড়িতে রাত্রী যাপনকালে রাতের কোন এক সময় সেখান কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হোন। জামাইকে বাড়িতে না পেয়ে রাতেই খোঁজাখুজি করেন।এক পর্যায়ে রবিবার সকাল ৬ টারদিকে গ্রামের বাড়ির পাশে একটি আম গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে সংবাদ দেয় স্থানিয়রা।

সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ নূর-এ আলম সিদ্দিকী বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। এছাড়া অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।


আরও খবর



সারাদেশে নৌযান চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে সারাদেশে অভ্যন্তরীণ নৌপথে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

১৩ মে বিআইডব্লিউটিএ'র বরাত দিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সকাল (১৩ মে) ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ১৪ মে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারি বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধ্বস হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

 


আরও খবর



থ্যালাসেমিয়া কেন হয়?

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১২১জন দেখেছেন

Image

থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। জেনেটিক আকারে শিশুরা তাদের বাবা-মার কাছ থেকে থ্যালাসেমিয়া রোগ পেয়ে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, থ্যালাসেমিয়ার কারণে শরীরের হিমোগ্লোবিন তৈরির প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ না করায় শিশুদের শরীরে রক্তের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেয়। যার ফলে ঘন ঘন রক্ত দিতে হয়।

থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে, গ্লোবিন প্রোটিন খুব কম উৎপাদিত হয়। যার কারণে লোহিত রক্তকণিকা ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে শরীর অক্সিজেন না পাওয়ায় রোগীকে বারবার রক্তদেওয়ার প্রয়োজন হয়।

এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্লান্তি, দুর্বলতা, পেট ফুলে যাওয়া (হালকা স্প্লেনোমেগালি), শিশুর দুর্বল শারীরিক বিকাশ, অ্যানোরেক্সিয়া, ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া, মুখের হাড়ের পরিবর্তন।

থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের হিমোগ্লোবিনের ত্রুটি থাকে, যা একটি মিউটেশনের কারণে ঘটে ও বি-চেইন উৎপাদনকে হ্রাস করে গুরুতর রক্তাল্পতার কারণ হতে পারে। এটি একটি জেনেটিক রোগ, যা প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে চলে যায়।

যদি বাবা-মায়ের থ্যালাসেমিয়া রোগ থাকে, তবে শিশুর থ্যালাসেমিয়া মেজর হওয়ার সম্ভাবনা ২৫ শতাংশ, থ্যালাসেমিয়া মাইনর ৫০ শতাংশ এবং স্বাভাবিক ২৫ শতাংশ।

থ্যালাসেমিয়া মেজর শিশুদের চিকিৎসা

চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিয়মিত রক্তসঞ্চালন (পিআরবিসি), আয়রন ক্যালেটিং ওষুধের ব্যবহারসহ কিছু শিশুদের নিয়মিত রক্ত পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় এবং গুরুতর স্প্লেনোমেগালিতে হাইড্রোক্সিউরিয়া ব্যবহৃত হয়। তবে থ্যালাসেমিয়া মাইনরের কোনো চিকিত্‍সার প্রয়োজন হয় না।

থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের যত্ন

লিউকোসাইট হ্রাসকারী ফিল্টার এবং বিকিরণকারী রক্তের পণ্য (পিআরবিসি) সর্বদা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য ব্যবহার করা হয়। অল্প বয়সে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা যেতে পারে। এর থেকে পরিত্রাণে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার, শাকসবজিসহ প্রচুর ফল খেতে হবে। এছাড়া আয়রন ক্যালেশন ওষুধ নিয়মিত ব্যবহার, হালকা ব্যায়াম, ফোলিক অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে।

লিভার, হার্ট এবং অন্যান্য অঙ্গে আয়রন ওভারলোড পরীক্ষা করার জন্য প্রতি বছর গ্রোথ হরমোন এবং টি২ এমআরআই পরীক্ষাসহ সিরাম ফেরিটিন, থাইরয়েড প্রোফাইল, ভিটামিন-ডি এবং ভাইরাল মার্কার, যেমন- এইচআইভি, এইচবিএসএজি, এইচসিভি প্রতি তিন মাস পর পর পরীক্ষা করতে হবে। অবস্থা গুরুতর না হলে পুষ্টিকর খাবার এবং ব্যায়াম রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত লোহিত রক্ত কণিকার বয়স ১২০ দিন হয়, কিন্তু এ রোগের কারণে সময়টি ২০ দিনে কমে যায়, যা হিমোগ্লোবিনের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, যার কারণে রোগী কোনো না কোনো রোগে আক্রান্ত হয়।

 


আরও খবর



ধুলোয় নাজেহাল দিল্লির মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন

Image

দিল্লিসহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় তীব্র গরমে নাজেহাল হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বৃষ্টির দেখা নেই, উল্টো তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। সাধারণ দৃশ্যমানতার জন্য দিল্লিতে নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে।

১৬ মে দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আপাতত দুদিনের জন্য রাজধানীর মানুষ এ তীব্র গরম থেকে স্বস্তি পেতে পারেন। মঙ্গলবার থেকে দুদিন বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজধানীতে। তবে তারপর থেকেই আবার প্রচণ্ড গরম পড়বে। দিল্লির আবহাওয়া তখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি পেরিয়ে যাবে ।

আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, রাজস্থানের ওপর একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। সেই কারণেই দিল্লিতে মঙ্গল ও বুধবার সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। তবে সেই সঙ্গে ধুলোর ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রাজধানীতে। বাতাসে ধুলোবালির পরিমাণ এতই বেড়ে গেছে যে, কমে যাচ্ছে দৃশ্যমানতা। স্থানীয় সময় ভোর ৬টা থেকেই শহরের বাতাসে ধুলোর আধিক্য দেখা যায়। বিমানবন্দরের সামনে দৃশ্যমানতা ১১০০ মিটারে নেমে গেছে। ফলে বিমান চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে।

দিল্লির বাতাসে ধুলোর আধিক্যের জন্য রাজস্থানের ওপরের ঘূর্ণাবর্তকেই দায়ী করা হচ্ছে। ওই ঘূর্ণাবর্তের জন্য হালকা বৃষ্টি হতে পারে রাজস্থান, পাঞ্জাব ও হরিয়ানাতে।

ওড়িশাতে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ। তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেখানে। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু কিছু এলাকায়।

এদিকে, মঙ্গলবার থেকে তিন দিন উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরামে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ১৯ মে পর্যন্ত অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে পূর্ব অরুণাচল ও মেঘালয়ে।

সূত্র : এবিপি।


আরও খবর



যে ফল খেলে দূর হবে বাতের ব্যথা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যেই আর্থ্রাইটিস বা বাতের সমস্যা দেখা যায়। এই রোগে দেহের বিভিন্ন জায়গায় তীব্র ব্যথা হয়, দেখা যায় ফুলে ওঠা ও জড়তার মতো সমস্যাও।

আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার নানা কারণ রয়েছে। অনিয়মিত জীবনযাপন, শরীরচর্চার অভাব, বংশগত, বিভিন্ন রোগের প্রভাব, এ ছাড়া আরও অনেক কারণেই বাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকেরই ধারণা, বয়স বাড়লেই বাত দেখা দেয়। কিন্তু যেকোনও বয়সেই হতে পারে এই সমস্যা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু খাবার আরাম দিতে পারে বাতের ব্যথায়। এমন কিছু ফল রয়েছে, যেগুলো খেলে বাতের কষ্ট থেকে কিছুটা মুক্তি মিলতে পারে।

আপেল আপেল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। আপেলে রয়েছে কোয়ারসেটিন নামক এক ফ্ল্যাভোনয়েড, যাতে আবার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য বর্তমান। কোয়ারসেটিন জয়েন্টে পেন, বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

চেরি চেরি, বিশেষ করে টার্ট চেরি আর্থ্রাইটিসের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। চেরিতে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন। এই কারণেই বাতের রোগীদের প্রদাহ এবং বাতের ব্যথা কমাতে ভালো কাজ করে চেরি।

আনারস আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন নামক এনজাইম, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে পারে। জয়েন্টে ব্যথা এবং ফোলাভাবের মতো বাতের বিভিন্ন উপসর্গ থেকে মুক্তি দিতে পারে এই ফল। তাই আনারসকে আপনার রোজকার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।

ব্লুবেরি ব্লুবেরিতে পুষ্টিগুণ ভরপুর। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন উপকারী যৌগ সমৃদ্ধ এই ফল শরীরের প্রদাহ কমায়। ব্লুবেরিতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। নিয়মিত ব্লুবেরি খেলে বাতের বিভিন্ন উপসর্গ উপশম হতে পারে।

কমলালেবু কমলালেবু ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের দুর্দান্ত উৎস। ভিটামিন সি প্রদাহ কমায় এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই বাত বা আর্থ্রাইটিস উপশম করতে নিয়মিত কমলালেবু খেতে পারেন।


আরও খবর

আম পান্না তৈরি করবেন যেভাবে

শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩