Logo
শিরোনাম

সহায়ক হতে পারে মার্কিন ভিসা নীতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র বুধবার যে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের অঙ্গীকার রক্ষায় সহায়ক হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) কাতার থেকে পাঠানো এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার ও অবস্থানকে যাতে কেউ জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, তার জন্য মার্কিন সরকারের ভিসা নীতি আমাদের প্রচেষ্টাকে সাহায্য করতে পারে।

কাতার ইকোনমিক ফোরামে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে দোহায় রয়েছেন। এই সফরে তার সফরসঙ্গী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই নীতি অনুযায়ী, ভোটের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কোনো বাংলাদেশিকে ভিসা দেবে না দেশটি।

বুধবার (২৪ মে) রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেন এক টুইট বার্তায় বলেন, আজ, আমি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমর্থনে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির অধীনে, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বাধা দেয়া ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে পারি, যদি তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার জন্য জড়িত থাকে।

গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে যেমন- ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেয়া এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।


আরও খবর



বাজারে অসহায় ক্রেতা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

বাজারে সাধ্যের বাইরে সবকিছুর দাম। ফলে অস্বস্তি বাড়ছে ক্রেতাদের মধ্যে। এ অবস্থায় অর্থ সাশ্রয়ে খুচরা বাজার থেকে সরাসরি পাইকারি বাজারে চলে যাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। বেশির ভাগ ক্রেতা বলছেন, টাকা বাঁচাতে তারা এখন পাইকারি বাজারেই ভিড় করছেন। কিন্তু তাতেও লাভ হচ্ছে না। কারণ, পাইকারি বাজারে সব সবজির দামই বেশি। পাইকারি বাজারে শুধু আলু ৩০ টাকায় এবং লেবু এক ডজন ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া বাজারের সব ধরনের সবজি ৬০ টাকার ওপরে, যা খুচরাপর্যায়ে গিয়ে আরো বেড়ে যাচ্ছে। এদিকে, বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংস, দেশি ও ব্রয়লার মুরগি এবং ডিমের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মাংসের সঙ্গে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের মাছের দামও। ফলে আমিষের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ফলে আমরা সব জায়গাতেই অসহায়।

রাজধানীর পাইকারি সবজির আড়ত কারওয়ান বাজারের এর সঙ্গে খিলগাঁও রেলগেট বাজার, গোড়ান বাজার, মেরাদিয়া হাটের মতো স্থানীয় পর্যায়ের খুচরা বাজার ঘুরে দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। কিন্তু খুচরা বাজারে সেই করলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায়। পাইকারি বাজারে ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, যা খুচরাপর্যায়ে ৬০ টাকা। পাইকারিতে পটোলের কেজি ৩৫-৪০ টাকা, যা খুচরা পর্যায়ে ৮০ টাকা। পাইকারিতে টমেটোর কেজি ৩০ টাকা, যা খুচরা পর্যায়ে ৬০ টাকা। পাইকারিতে চিচিঙ্গার কেজি ৩৫-৪০ টাকা, যা খুচরায় ৮০ টাকা। আকারভেদে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত, যা খুচরা বাজারে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে লেবুর ডজন (১২ পিস) ২০-৩০ টাকা হলেও খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

কারওয়ান বাজারে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন মো. সোহাগ। মা এবং ভাইসহ থাকেন শাহীনবাগে। মা তাকে বাসার জন্য বাজার করতে পাঠিয়েছেন। নিয়মিত তার বড় ভাই বাজার করতে আসেন। মায়ের অনুরোধে বাজারে গিয়ে সবজির দাম শুনে মাথা ঘুরছিল তার। হাতে যে বাজারের তালিকা ছিল, তার মধ্যে বেশ কটি পণ্য কেনা বাকি ছিল। কিন্তু টাকায় কুলায়নি! দাম বেশি হওয়ায় ও পকেটে হিসাবের বাড়তি টাকা না থাকায় কিছু পণ্য বাদ রেখেই বাজার থেকে বাসায় ফিরছেন। তিনি বলেন, পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় বাজার করতে এসেছি। খুচরা বাজারে সবকিছুর দাম বেশি, তাই কম দামের কথা চিন্তা করে বাসার কাছে হওয়ায় কারওয়ান বাজারে আসা। কিন্তু এখানেও দাম অনেক! টাকায় টান পড়ায় প্রয়োজনের সবকিছু কেনা হয়নি। আগে দুই হাজার টাকার মধ্যে পাইকারি বাজার থেকে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনা যেত। এখন দাম বাড়ায় এই অল্প টাকায় প্রয়োজনীয় অনেক পণ্যই কেনা সম্ভব হচ্ছে না।

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সোহাগের মতো অবস্থা অধিকাংশ ক্রেতার। সাধ্যের মধ্যে ভরছে না তাদের বাজারের ব্যাগ।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি সবজি বিক্রেতা ফোরকান আহমেদ বলেন, ঈদের পর সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে সবজির গাড়ি কম আসছে। পাশাপাশি লেবার খরচও আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। যে কারণে পাইকারি বাজারে সবজির দাম বাড়তি।

রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে ফুলকপি, লাউ প্রতি পিস ৮০ টাকায়, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুধু কমের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে লেবু ৩০ টাকা হালি এবং আলু প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা। এ ছাড়া দাম বেড়ে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ধনেপাতার দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়।

পাশাপাশি ঢেঁড়স, শসা, টমেটো, চালকুমড়া প্রতি কেজি ৬০ টাকা। ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫-৭০ টাকায়। ঝিঙে, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা, পটোল, কাঁচা, পেপে, প্রতি কেজি ৮০ টাকা। করলা, গাজর, লতি, প্রতি কেজি ১০০ টাকা। কাঁকরোল ১২০ টাকা কেজি। কচুরমুখি প্রতি কেজি ১৪০ টাকা।

খিলগাঁও রেলগেট বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা ফজলে রাব্বি বলেন, বাজারে এখন বেচাকেনা কম। মানুষের কাছে টাকাপয়সা নেই। আগে যেখানে প্রতিদিন ৪০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করতাম, এখন সেখানে ৩০ হাজার টাকাও বিক্রি করতে পারি না। লাভ করতে আমাদের খুব কষ্ট হয়ে যায়। কারণ মালের দাম তো বাড়তি।

এদিকে, বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংস, দেশি ও ব্রয়লার মুরগি এবং ডিমের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মাংসের সঙ্গে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের মাছের দামও। ফলে আমিষের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে প্রতি কেজি গরুর মাংস গত এক বছর আগেও ছিল ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকার মতো। এক বছরে ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে গরুর মাংস বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। কোনো কোনো বাজারে যা ৮০০ টাকায়ও বিক্রি হতে দেখা গেছে।

টিসিবির হিসাবে, বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৮৫ থেকে ২১৫ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও এ দামে বিক্রি হচ্ছে না। বর্তমানে বাজারে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজিতে। এক বছরের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ২২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকায়।

খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিম প্রতি হালি ৭৫ টাকা এবং হাঁসের ডিমের হালি ৭০ টাকা। অন্যদিকে খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। এক বছরে পণ্যটির ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ দাম বেড়েছে, যা এক বছর আগেও বিক্রি হতো ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকায়। তবে মাংসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে নানা যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন বিক্রেতারা। বলছেন, বর্তমানে সবকিছুর দামই বেড়েছে। গো-খাদ্য ও পোলট্রি ফিডের দাম বেড়েছে। বাজারে বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম। ফলে খরচও আগের থেকে অনেক বেড়েছে। তাই মাংসের দামও বাড়তি।

 


আরও খবর



ভালো ঘুম না হলে করণীয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

কখনো কখনো মনে হতে পারে ঘুমানোর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। কিন্তু তারপরও ঘুম হচ্ছে না। এমনটা অনেকেরই হয়ে থাকে। তবে এ থেকে পরিত্রাণের বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে।

জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক খবরে বলা হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তির ফলে মস্তিষ্কে উঁকি মারতে পারি আমরা। মাথার খুলির ওপর ইলেকট্রোড মস্তিষ্কের তরঙ্গ নথিভুক্ত করতে পারে। একই সঙ্গে পেশির টান, নড়াচড়া ও নিশ্বাস-প্রশ্বাসও রেকর্ড করা হয়।

একজন মানুষ ঘুমিয়ে পড়ার প্রতি ১০০ মিনিট পরপর শুরুতে কম গভীর, এরপর গভীর এবং শেষ পর্যায়ে স্বপ্নের ঘুমে আচ্ছন্ন হয়। প্রতি একরাতে এ রকম চক্রের কয়েকবার পুনরাবৃত্তি হয়ে থাকে।

ঘুম বিজ্ঞানী আলিনে লিপ্স বলেন, ভালো ঘুম ও খারাপ ঘুমের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারার জন্য শেষে এক হিপনোগ্রাম বিশ্লেষণ করা হয়। এতে গুমের ধরণ সম্পর্কে জানা যায়। রাতে ঘুমের পর্যায়ের ধরনও শনাক্ত করা হয়। সেখান থেকে রাতে গভীর ঘুমের পর্যায় কতটুকু যথেষ্ট ছিল, সেটি স্পষ্ট বোঝা যায়। হালকা ঘুমের জন্য শরীর চাঙা হয়ে না উঠলে, এর কারণ সম্পর্কেও জানা যায়। আর রাতে যদি ভালো ঘুম না হয় তাহলে দিনে এর প্রভাব পড়ে।

কোলবালিশ: অধিকাংশ মানুষ পাশ ফিরে ঘুমাতে পছন্দ করেন। এ কারণে দুই হাঁটুতে ঘষা লাগে এবং পশ্চাৎদেশ কাত হয়ে থাকে। ফলে হাঁটুতে ব্যথা হয়ে থাকে। চিকিৎসকরা দুই হাঁটুর মাঝে ছোট একটি বালিশ কিংবা কোল বালিশ রাখতে বলে থাকেন। এতে পশ্চাৎদেশের অবস্থান ঠিক থাকে এবং হাঁটুতে ঘষা লাগে না।

তোশকের অবস্থান পরিবর্তন করা: ভালো ঘুমের জন্য তোশকের অবস্থান ঠিক হওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এতে ঘুমানোর সময় তিন আঙুল পরিমাণ ব্যবধান থাকলে সেটি আরামদায়ক হয় না। এ কারণে প্রতি ছয় মাসে একবার করে তোশক উল্টানো উচিত। আবার ঘাড়ে বা শরীরে যদি কখনো ব্যথা হয়, সেক্ষেত্রে তোশক উল্টিয়ে দেয়া ভালো।

আকস্মিক শব্দ: রাতে ঘুমানোর সময় কিছু শব্দ ঘুমে বাধা হতে পারে। যেমন হঠাৎ রেলগাড়ি বা উচ্চশব্দে সাউন্ডবক্স বাজানোর কিছু শব্দ। যদি এ শব্দ প্রতিদিন একই সময়ে হয়, তাহলে অনেকে অভ্যস্ত হয়ে যান এর সঙ্গে। হঠাৎ বিড়াল বা কুকুর ডেকে উঠলেও ঘুম ভেঙে যায়। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে একটি অডিও রেকর্ড চালানো। যাতে করে নির্দিষ্ট কিছু শব্দ তরঙ্গ প্রবাহিত হয়।

বাতি বন্ধ করা: রাতে ঘুমানোর আগে ঘরের বাতি বন্ধ করা একটি জরুরি বিষয়। ঘুমের জন্য মেলাটোনিন হরমোনের প্রয়োজন হয়। তাই ঘুমানোর অন্তত আধা ঘণ্টা আগে বাতি নিভিয়ে দেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে ডিজিটাল ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ ইত্যাদি বন্ধ রাখা উচিত।

অতিরিক্ত খাওয়া: গবেষণা অনুসারে, অতিরিক্ত খাওয়ার পরে কখনোই ভালো ঘুম হয় না। কারণ, অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পাকস্থলী এতটাই ভরা থাকে যে, মস্তিষ্ক তখন দুঃস্বপ্নের জন্ম দিয়ে থাকে।


আরও খবর

খালি পেটে গ্রিন টি নয়

রবিবার ২১ মে ২০২৩




২ হাজার কোটি টাকার আম বিক্রি করার সম্ভাবনা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :


প্রতি বছরের মত এবারও নওগাঁয় গাছ থেকে আম পাড়ার দিন নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন নওগাঁ জেলা প্রশাসন। 

সেই মোতাবেক সোমবার ২২ মে থেকে আম পাড়া শুরু হয়েছে। এরপর পর্যায় ক্রমে বাজারে আসবে সুস্বাদু গোপালভোগ, ক্ষীরশাপাত, আম রুপালি, নাকফজলি, ল্যাংড়া, বারী-৪ ও গৌরমতিসহ অন্যান্য আম। এর আগে গত ৭ মে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান জাতভেদে আম পাড়ার সময়সূচী নির্ধারণ করে দেন। সভায় আম চাষি, ব্যবসায়ী, কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান জানান, এ বছর আম পাড়া শুরু হবে সোমবার (২২ মে) থেকে। এই দিন বা তার পরে যে কোনো দিন গুটি আম পাড়া যাবে বা বাজারজাত করা যাবে। এরপর আসবে গোপালভোগ। গোপালভোগ গাছ থেকে পাড়া যাবে ৩০ মে। এছাড়াও ক্ষীরশাপাত বা হিমসাগর ৫ জুন, নাকফজলি ৮ জুন, ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙ্গা ১২ জুন, ফজলি আম ২২ জুন ও আম রুপালি ২৫ জুন থেকে নামানো যাবে। সর্বশেষ ১০ জুলাই থেকে নামানো যাবে আর্শ্বিনা, বারী-৪ ও গৌরমতি জাতের আম। মূলত অপরিপক্ক অবস্থায় আম পেড়ে তাতে মেডিসিন দিয়ে পাকিয়ে কেউ যাতে আম বাজারে নিয়ে আসতে না পারে এ জন্যই গত কয়েক বছর ধরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আম পাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের দেওয়া সময়ের নির্ধারিত দিনের আগে নির্ধারিত আম পাড়া যাবে না। তবে আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই যদি কোনো বাগানে আম পেকে যায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে চাষিরা আম পাড়তে পারবেন।

সভায় জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন জানান, জেলায় এ বছর ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫২৫ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১২ দশমিক ৫০ টন হিসেবে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩৫ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ বছর প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা আম বেচাকেনা হতে পারে বলে আশা কৃষি বিভাগের।


আরও খবর



শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ২০১জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁয় কর্মদক্ষতা অর্জনের লক্ষে এক দিনব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর ব্যতিক্রমী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নওগাঁর মান্দা উপজেলার মৈনম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে মান্দা উপজেলার ৮টি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের নিয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় এ কর্মশালা শুরু হয়ে বিকেল সারে ৩ টায় শেষ হয়। 

প্রতিষ্ঠান এর নিজস্ব অর্থায়নে কর্মশালা করানো ৮ টি প্রতিষ্ঠান হলো, মান্দা উপজেলার গোবিন্দপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, মৈনম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, মৈনম বালিকা বিদ্যালয়, সতিহাট কে টি উচ্চ বিদ্যালয়, মান্দা মহানগর কলেজ, কাশোপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, বিএনবি আইডিয়াল কলেজ, দক্ষিণ মৈনম উচ্চ বিদ্যালয়।

উক্ত কর্মশালায় অফিস সহকারী কাম- হিসাব সহকারী, অফিস সহায়ক, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, ল্যাব সহকারী, নিরাপত্তা কর্মী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, আয়া ও নৈশ প্রহরী পদের মোট ৬২ জন কর্মচারীরা প্রশিক্ষনে অংশ নেয়।

এব্যাপারে জানতে চাইলে কর্মশালার রিসোর্স জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, এ গুলো পদের কর্মচারীদের তাদের চাকুরির বিধি-বিধান এবং তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেবার জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে দিন ব্যাপি এই কর্মশালার আয়োজন করেন। এটি একটি খুব ভালো উদ্যোগ। কারন প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষকগণদের সরকার থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও কর্মচারীদের সাধারণত কোন প্রশিক্ষণ হয় না। তাদের নিজের চাকুরী সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারনে বিদ্যালয়ের পরিবেশ অনেক সময় খারাপ হয় এবং বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য জানানোর জন্য নিজেদের উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও জানান তিনি।


এসময় সভা প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ। 

গোবিন্দপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বাদেশ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ লায়লা আঞ্জুমান বানু। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এস এম ব্রহানী সুলতান (গামা) ও মৈনম ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান। রিসোর্স পার্সন হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক মোঃ নাজমুল হোসাইন, মোঃ আবু সাঈদ, মান্দা উপজেলার একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ জাকির হোসেন ও উপজেলা হিসাব প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম প্রাং ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।


আরও খবর



তরমুজ খেয়ে যে খাবার খেলে বিপদ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

তরমুজ খেতে কার না ভালো লাগে? গরমের সময় এই ফল খুবই উপকারী। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে পানি ও ফাইবার রয়েছে । গরমে তরমুজ খেলে শরীর জুড়িয়ে যায়। তবে অনেক সময় তরমুজ খাওয়ার পরে কিছু খাবার খেলে পেটের নানা সমস্যা হতে পারে। এ কারণে তরমুজের খাওয়ার পর এসব খাবার এড়ানো উচিত। যেমন-

দুধ: তরমুজ খাওয়ার পর দুধ খেলে শরীরের জন্য নানাভাবে তা ক্ষতিকর হতে পারে। তরমুজ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। এই ফল খাওয়ার পর দুধ খেলে দুটি খাবারে প্রতিক্রিয়া হয় এবং পেট ফুলে যায়। দুধ খাওয়ার পর পর তরমুজ খেলে বদহজমও হতে পারে।

প্রোটিন জাতীয় খাবার: তরমুজ খাওয়ার পর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আসলে, তরমুজে ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। কিছু স্টার্চও আছে। সেক্ষেত্রে তরমুজ খাওয়ার পর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন- ডাল খেলে হজমের এনজাইমকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং পাকস্থলীর জন্য তা ক্ষতিকর হতে পারে।

ডিম: তরমুজ খাওয়ার পর ডিম খেলে পেটের নানা সমস্যা হতে পারে। প্রোটিন ছাড়াও ডিমে ওমেগা-৩-এর মতো ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। অন্যদিকে তরমুজ একটি পানিসমৃদ্ধ ফল। এই দুটি খাবারে থাকা নানা উপাদান একসাথে হজমে বাধা দেয় এবং পেটে ফোলাভাব তৈরি হয়। তরমুজ খাওয়ার পর ডিম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে,হজম ভালো হতে হলে তরমুজ খাওয়ার পর অন্তত ৩০ মিনিট কিছু না খাওয়াই ভালো। এতে শরীর ভালোভাবে পুষ্টি শোষণ করতে পারে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টিভি


আরও খবর