Logo
শিরোনাম

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁয় কর্মদক্ষতা অর্জনের লক্ষে এক দিনব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর ব্যতিক্রমী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নওগাঁর মান্দা উপজেলার মৈনম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে মান্দা উপজেলার ৮টি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের নিয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় এ কর্মশালা শুরু হয়ে বিকেল সারে ৩ টায় শেষ হয়। 

প্রতিষ্ঠান এর নিজস্ব অর্থায়নে কর্মশালা করানো ৮ টি প্রতিষ্ঠান হলো, মান্দা উপজেলার গোবিন্দপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, মৈনম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, মৈনম বালিকা বিদ্যালয়, সতিহাট কে টি উচ্চ বিদ্যালয়, মান্দা মহানগর কলেজ, কাশোপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, বিএনবি আইডিয়াল কলেজ, দক্ষিণ মৈনম উচ্চ বিদ্যালয়।

উক্ত কর্মশালায় অফিস সহকারী কাম- হিসাব সহকারী, অফিস সহায়ক, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, ল্যাব সহকারী, নিরাপত্তা কর্মী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, আয়া ও নৈশ প্রহরী পদের মোট ৬২ জন কর্মচারীরা প্রশিক্ষনে অংশ নেয়।

এব্যাপারে জানতে চাইলে কর্মশালার রিসোর্স জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, এ গুলো পদের কর্মচারীদের তাদের চাকুরির বিধি-বিধান এবং তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেবার জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে দিন ব্যাপি এই কর্মশালার আয়োজন করেন। এটি একটি খুব ভালো উদ্যোগ। কারন প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষকগণদের সরকার থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও কর্মচারীদের সাধারণত কোন প্রশিক্ষণ হয় না। তাদের নিজের চাকুরী সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারনে বিদ্যালয়ের পরিবেশ অনেক সময় খারাপ হয় এবং বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য জানানোর জন্য নিজেদের উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও জানান তিনি।


এসময় সভা প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ। 

গোবিন্দপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বাদেশ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ লায়লা আঞ্জুমান বানু। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এস এম ব্রহানী সুলতান (গামা) ও মৈনম ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান। রিসোর্স পার্সন হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক মোঃ নাজমুল হোসাইন, মোঃ আবু সাঈদ, মান্দা উপজেলার একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ জাকির হোসেন ও উপজেলা হিসাব প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম প্রাং ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।


আরও খবর



ভালমন্দ খেলেই বদহজম হচ্ছে? ডিসপেপসিয়ায় আক্রান্ত নন তো?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

স্বাস্থ্য টিপস : অনেকেই আছেন সামান্য কিছু খেলেই শুরু হয়ে যায় বদহজম। কখনও ডায়রিয়া, কখনও গ্যাস, কখনও অ্যাসিডিটি। কখনও বমিও শুরু হয়ে যায়।  

হজম সংক্রান্ত গোলমাল ও পেটের নানা সমস্যাকে একসঙ্গে ডিসপেপসিয়া বলা হয়। অনেকের ধারণা— বদহজম মানেই ডিসপেপসিয়া। কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক তা নয়। বমি ভাব, গ্যাস্ট্রিক, পেট গুড়গুড় করা, খিদে পেলে বা অন্য সময়ে পেটব্যথা, গলা জ্বালা, কখনও কখনও পেটের মধ্যে গ্যাস হয়ে পেট ফুলে যাওয়া, আবার পর্যায়ক্রমে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া হওয়া— সব একসঙ্গে হলে তাকে বলা হয় ডিসপেপসিয়া।  

চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের সমস্যা মেয়েদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। দুশ্চিন্তা ও অবসাদ থাকলে সমস্যা বাড়ে। 

এসব ক্ষেত্রে নিজেরা চিকিৎসার চেষ্টা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। 

অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় দুধ, শাক, গমের তৈরি খাবার যেমন রুটি, বিস্কুট ইত্যাদি খেলে সমস্যা হয়। তেলেভাজা খাবার, মিষ্টি, কফি ইত্যাদি বাদ দিতে হবে, নয়তো সমস্যা বাড়বে। বাড়িতে রান্না করা খাবার খেলে ভালো। অনেক ক্ষণ না খেয়ে থাকা এড়িয়ে চলতে হবে।  


আরও খবর



আগামী ৪ অক্টোবরের সভা নিয়ে ব্যস্ত ইসি

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

আগামী ৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সুশীল সমাজের মধ্যকার সভাটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বেশ তাৎপর্যপূণ। কারণ ভোটের আগে বড় পরিসরে এটাই শেষ সভা।

ইসির স্টেকহোল্ডার রাজনৈতিক দলগুলোসহ অংশীজন কারো সঙ্গে আর সভা বা সংলাপে মিলিত না হওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে ইসির বলে জানা গেছে। তবে দলসহ সবাইর জন্য ভোটের আগে পারে সব সময় ইসির দরজা খোলা থাকবে।

আসন্ন সংলাপে আমন্ত্রণ পাচ্ছে সাবেক সিইসি কমিশনার, সাবেক ইসি কমকতা, শিক্ষাবিদ ও সিনিয়র সাংবাদিক। এসব বিশিষ্টজন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন, যা প্রযুক্তির সহায়তায় ডিভাইসের মাধ্যমে নিজ জেলায় অবস্থান করে শুনতে পারবেন আমন্ত্রিত রাজনৈতিক কমীরা। কিন্তু তাদের মুখ থাকবে বন্ধ।

বিদগ্ধজনদের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা ব্যক্তিরা সংসদ নির্বাচনের যারা রাজনৈতিক কমী হয়ে পোলিং এজেন্ট হবেন তাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। এ লক্ষ্যে ইসির জেলা নির্বাচন কমকর্তাদের পত্র দিয়ে নিবন্ধিত প্রতিটি দল থেকে একজন করে রাজনৈতিক কমীকে নিধারিত দিনে উপস্থিত থেকে অভিজ্ঞতা অজনের জন্য পত্র দিয়েছ।

ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. শরিফুল আলম এ নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন অবাধ ভোটাধিকার, প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা বিষয়ে এক দিনের একটি কর্মশালা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

কর্মশালাটি আগামী ৪ অক্টোবর (বুধবার) বেলা ১১টায় নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে (কক্ষ নং-৫২০) অনুষ্ঠিত হবে।

এ কর্মশালাটি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার এবং জুম অ্যাপের মাধ্যমে সকল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সংযুক্ত করা হবে।

জানা গেছে, এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার জন্য আনুমানিক ৫০ জন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের স্ন্যাকস বাবদ জনপ্রতি ৪০ টাকা করে দুই হাজার টাকা ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বাবদ এক হাজার টাকা, মোট তিন হাজার টাকা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বাজেট ও ফাইন্যান্স শাখা হতে বরাদ্দ প্রদান করা হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছেনির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপি রোধে প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্টের ভূমিকা কী হতে পারে, পোলিং এজেন্ট তার প্রার্থীর পক্ষে আইন ও বিধি অনুযায়ী কীভাবে দায়িত্ব পালন করে পোলিংকে স্বচ্ছতার রূপ দিয়ে নির্বাচন কীভাবে প্রভাবমুক্ত রাখতে পারেন, নির্বাচনের ফলাফলে জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটিয়ে কীভাবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করিয়ে আনতে পারেন, প্রার্থী কী ধরনের পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করবেন এবং কীভাবে তাকে দায়বদ্ধ করবেন।

মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ভোট ভালো হলো, কি খারাপ হলো এই দায়ভারটা নির্বাচন কমিশনের ওপর বর্তায়। কিন্তু আসলে কি তাই? নির্বাচন হচ্ছে একটি টিম ওয়ার্ক। যে টিমের মধ্যে অনেকেই আছেন। তার মধ্যে রাজনৈতিক দল, প্রার্থী, ভোটার, পোলিং এজেন্ট, প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার আছেন। নির্বাচনে সবারই দায়িত্ব থাকে।

তিনি বলেন, প্রার্থীর প্রতিনিধি হিসেবে একজন পোলিং এজেন্ট থাকেন। পোলিং এজেন্ট যদি সেখানে সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করেন, তাহলে কি সেখানে কোনো অনিয়ম হতে পারে?

সবাই যদি সহযোগিতা করে তাহলে কিন্তু একটি অবাধ, স্বচ্ছ নির্বাচন করা সম্ভব বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

কর্মশালায় আলোচক হিসেবে সাবেক সিইসি ড. এটিএম শামছুল হুদা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ ও বেগম কবিতা খানমের থাকার কথা রয়েছে।

ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী, যুগ্মসচিব মো. নুরুজ্জামান তালুকদার ও খোন্দকার মিজানুর রহমান। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, গ্লোবাল টিভির সম্পাদক ইসতিয়াক রেজা ও একুশে টেলিভিশনের সিইও পীযুশ বন্দোপাধ্যায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

এদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর ড. এস এম শামীম রেজাও আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

১৩ সেপ্টেম্বর সুধীজনদের নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রত্যাশা ও বাস্তবতা শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করেছিল ইসি।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলগুলোর সঙ্গে কোনো সংলাপ করার আপাতত কোনো চিন্তা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে ইসি।


আরও খবর



রামগড় থানায় ৩৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভূমি জালিয়াতির ঘটনায় মামলা

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা,

রামগড়(খাগড়াছড়ি) :

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি খাস খতিয়ানের প্রায় ২৬ একর ভূমি ছয়টি ভুয়া হোল্ডিং সৃজন করে ভূমি অধিগ্রহণে সুবিধা নেয়ার অভিযোগে ৩৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় ভূমি জালিয়াতির ছয়টি মামলা রুজু করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের নির্দেশে রামগড় উপজেলা ভূমি অফিসের অফিস সহকারী কবির আহম্মদ বাদী হয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে এসব মামলা দায়ের করেন। জেলা প্রশাসকের তদন্তে জালজালিয়াতির প্রমান পাওয়ায় গত ২০ সেপ্টেম্বর ওই ছয়টি ভুয়া বন্দোবস্তি মামলা বাতিল করেন জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ছয়টি ভুয়া বন্দোবস্ত হওয়া ৩৬ জন কথিত ভূমির মালিক, ক্রেতা ও বিক্রেতার বিরুদ্ধে রামগড় থানায় পৃথক পৃথকভাবে ছয়টি মামলা রুজু করা হয়। বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ধারা ৪৬৫, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও ৩৪ পেনাল কোডে এই ছয়টি মামলা রুজু করা হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়,  বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের জন্য একটি ভূমি জালিয়াত চক্র ভূমি বিভাগের উপজেলা ও জেলা অফিসের অসাধু কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ছয়টি ভুয়া হোল্ডিংয়ে ২৫ দশমিক ৯১ একর ভূমির ভুয়া বন্দোবস্ত নেয়। রামগড় পৌরসভার ২২৯ নং রামগড় মৌজার অধীনে বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়কের সোনাইপুল থেকে রামগড় বাজার পর্যন্ত এলাকায় রাস্তার দুইপাশের ১ নং সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত ২৫ দশমিক ৯১ একর ভূমি দুর্নীতি ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ছয়টি ভুয়া হোল্ডিং সৃজন করে। 

জালিয়াত চক্রটি ২০২১ সালের জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে রামগড় উপজেলা ভূমি অফিস ও ২২৯ নং রামগড় মৌজার হেডম্যানের কার্যালয়ের জমাবন্দিতে কাটাকাটি, ঘঁষামাজা ও ওভাররাইটিং করে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ভুয়া বন্দোবস্ত মামলা উল্লেখ করে ভুয়া হোলিংয়ে বিভিন্ন পরিমাণে ২৫ দশমিক ৯১ একর ভূমি বন্দোবস্তের ভুয়া নোটিং করা হয় এবং মালিকানা স্বত্বের প্রতিবেদনে ওই ভূমি সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে অধিগ্রহণভূক্ত করা হয়।

এজাহারে আরও বলা হয়, ভূমি জালিয়াতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ, সংবাদপত্র ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের খবরের পরিপ্রেক্ষিতে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসকের গঠিত কমিটির তদন্তে এসব জাল-জালিয়াতির ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হয়। ওই তদন্তে  উপজেলা ভূমি অফিস বা জেলা প্রশাসকের মহাফেজখানা শাখায় উল্লেখিত ছয়টি বন্দোবস্ত মামলার মূল নথি, কবুলিয়তসহ অপরাপর রেকর্ডপত্রের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

মামলায় রামগড় পৌরসভার মেয়র পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল আলম কামাল ও তার তিন ভাই, সাবেক মেয়র মো. শাহজাহান কাজী রিপন সহ তার ৭ভাই বোন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাফেজ আহাম্মদ ভূঁইয়া সহ তার ভাই ভাতিজা, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার পরিষদের সাবেক সদস্য ভুবন মোহন ত্রিপুরা সহ সংশ্লিষ্ট ১০ জন ছাড়াও নুরুল ইসলাম, মোস্তফা ভুইয়া, নুরের নবী চৌধুরী, দীলিপ চন্দ্র রক্ষিত, কামিনী রঞ্জন ত্রিপুরাসহসহ অন্যান্যদের আসামী করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) মঞ্জুরুল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, জাল জালিয়াতির সাথে জড়িত থাকায় রামগড় ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা কানুনগো দেলোয়ার হোসেন ও রামগড় ভূমি অফিসের চেইনম্যান নুরুল আফসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ২২৯ নং রামগড় মৌজার হেডম্যান মংসাপ্রু চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সার্কেল চিফকে চিঠি দেয়া হয়েছে। 

রামগড় থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম ছয়টি মামলা রুজুর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তিনজন আইও এসব মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।


আরও খবর

শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় ''পুনর্ভবা'' নদী ভাঙ্গনে ৫শ’ পরিবার হুমকীর মুখে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর সাপাহার উপজেলাধীন ভারতীয় সীমান্তবর্তী পাতাড়ী ইউনিয়ন এর উপর দিয়ে প্রবাহমান পুনর্ভবা নদীতে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হওয়ায় নদীর কিনারে বসবাসকারী বলদিয়াঘাট গ্রামের প্রায় ৫শ’ পরিবার এখন হুমকীর মুখে। 

এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে দ্রুত সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পরিবারগুলো।

স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর দেয়া তথ্য মতে সরেজমিনে মঙ্গলবার পুনর্ভবা নদী এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বলদিয়াঘাটের ব্রীজের উত্তর দিকে নদীর পশ্চীম পাড়ে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয় এতে প্রায় ৫শ মিটার এলাকা ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে ইতি মধ্যেই। বর্তমানে ঐ এলাকা জুড়ে বসবাসকারী প্রায় ৫শ’ পরিবার তাদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে হতাশা ও আতংক গ্রস্থ অবস্থায় বসবাস করতে দেখা যায়। 

স্থানিয় আঃ হাকিম বলেন, নদীর পানি কমতে শুরু করায় হঠাৎ করে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়। প্রায় শত বছর ধরে নদী পাড়ে আমার পূর্ব পুরুষ সহ আমরা বসবাস করে আসলেও অতীতে এধরণের ভাঙ্গন আমরা দেখিনি। হঠাৎ করে এবারে নদী ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় আমরা চরম বিপাকে পড়েছি। ভাঙ্গনের তীব্রতা এত বেশী যে আর এক দফা ভাঙ্গন শুরু হলেই পুনর্ভবা নদী পাড়ে বসবাসকারী বলদিয়াঘাট গ্রামের প্রায় ৫শ’ বসতবাড়ী নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। 

নদী পাড়ে বসবাসকারী মোখলেছুর রহমান, ইয়ামীন আলী ও পাতাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, যে বলদিয়া ঘাট ব্রীজের উত্তর পাশের নদীর পশ্চিম পাড়ে প্রায় সাড়ে পাঁচশ’ মিটার এলাকা ভাঙ্গনের ফলে প্রায় ৫শতাধিক পরিবার এখন হুমকীর মুখে। তবে আমরা বলদিয়াঘাট ব্রীজের দক্ষিন দিকের ভাঙ্গন ঠেকাতে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডে আবেদন করলে ঐ ভাঙ্গন রোধে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে ডাম্পিং ও স্লিপিং এর জন্য পানি উন্নয় বোর্ড থেকে প্রায় ৩ হাজার জিও ব্যাগ বরাদ্দ পেয়েছি। অচিরেই সে এলাকায় ভাঙ্গন রোধে কার্যক্রম শুরু করা হবে। কিন্তু হঠাৎ করে ব্রীজের উত্তর দিকে নদী ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় সকলেই এখন চরম আতংকের মধ্যে রয়েছে। 

এসময় আরো বলেন, ভাঙ্গন রোধে ইতোমধ্যেই চেয়ারম্যান বলদিয়াঘাট এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে আবেদন পত্র দাখিল করেছেন। বর্তমানে চেয়াম্যান ও গ্রামবাসী জরুরী ভিত্তিতে বলদিয়াঘাট এলাকায় পুনর্ভবা নদী ভাঙ্গন রোধে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করছি।


আরও খবর



ডেঙ্গু প্রতিরোধে দেশব্যাপী ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সারাদেশে সকল মহানগর, জেলা ও উপজেলার পৌরসভায় সপ্তাহব্যাপী ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী যুবলীগ।

রোববার বিকেলে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু প্রতিরোধে সারাদেশে সকল মহানগর, জেলা ও উপজেলার পৌরসভায় সপ্তাহব্যাপী ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মসূচি পালনের জন্য যুবলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

যুবলীগ ঘোষিত কর্মসূচি

* সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ।

* মশারি বিতরণ।

*ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ দেশের সকল মহানগর ও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান।

*ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সহযোগিতার জন্য রক্ত দান কর্মসূচি।

* চিকিৎসকবৃন্দের সমন্বয়ে কেন্দ্র এবং সকল মহানগর ও জেলায় মেডিকেল টিম গঠন।

* ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ দেশের সকল মহানগর ও জেলাসমূহে একটি হটলাইন চালু করতে হবে (এই হটলাইনটি ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির বিনামূল্যে চিকিৎসা সংক্রান্ত সেবা ও রক্তদান কার্যক্রমে সহায়তা করবে)।

* সচেতনতামূলক বিলবোর্ড, ফেস্টুন, ই-পোস্টার প্রকাশ ও প্রচার।


আরও খবর