Logo
শিরোনাম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে বৈবাহিক অবস্থা লেখা বাধ্যতামূলক নয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বৈবাহিক অবস্থা লেখা বাধ্যতামূলক করা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের রুল আংশিক মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খাইরুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনিক আর হক। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘মেয়েটি এখন কী করবে?’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী ফারিহা ফেরদৌস ওনাহিদ সুলতানা জেনি। ওই পত্রিকার সংবাদ অনুসারে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৬ জুন দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় ধর্ষণের শিকার হন মেয়েটি। ধর্ষকের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে দেওয়ার জন্য গ্রামের লোকজন চাপ দিতে থাকেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে এ নিয়ে সালিশও হয়। কিন্তু সেখানে অভিযুক্ত যুবক সবকিছু অস্বীকার করেন। সালিশ বৈঠক ভেঙে যায়। প্রতিপক্ষের হুমকির মুখে মেয়ের পরিবার মামলা করতে পারে না। একপর্যায়ে সন্তানসম্ভবা হলে মেয়েটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। তখন ওসিসি থেকেই ধর্ষণ মামলা করা হয়। মামলার পর পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ওই যুবক, মেয়ে এবং তার সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় প্রমাণ হয় ওই যুবকই শিশুটির বাবা। আদালতে মামলার বিচার শুরু হয়। আদালত ওই মেয়েটিকে ‘মহিলা সহায়তা কর্মসূচি’র রাজশাহী বিভাগীয় আবাসনকেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেখানে থাকা অবস্থায় মেয়েটির এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলাকালে ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেয়েটি একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।

আবাসনকেন্দ্রে থাকতেই এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৪.১৯ পেয়ে এসএসসি পাস করে। পরে সেখানেই থেকে এইচএসসি পরীক্ষায়ও অংশ নেন। পরবর্তীতে আইনজীবী আশুরা খাতুন এবং জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়কারী দিল সেতারার সহযোগিতায় মেয়েটিকে বাড়িতে রেখে আসেন। এরই মধ্যে পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এবার জিপিএ-৩.১৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি।

এদিকে ২০১৭ সালের ৩০ মে আদালতের রায়ে ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। আদালতের রায়ে সন্তানের দায়ভার বাবাকে নিতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে বাবার ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

সন্তান হওয়ার কারণে বিবাহিত না হলেও তাকে ফেলা হয়েছে বিবাহিত নারীর কাতারে। তিনি নার্সিং কলেজের ফরমই পূরণ করতে পারবেন না। বিয়ে না করলেও তার সন্তান রয়েছে। তাকে এখন বিবাহিত নারী হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। অথবা ফরমে তাকে স্বামী পরিত্যক্তা লিখতে হবে। মেয়েটি কোনো দলেই পড়েন না।

এ অবস্থায় রিটের পর হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর রুল জারি করেন। রুলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বৈবাহিক অবস্থা জানতে চাওয়া কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না এবং এ বিষয়ে একটি অর্থপূর্ণ নীতিমালা কেন করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন। এছাড়াও মেয়েটিকে অবিলম্বে নার্সিং কলেজে ভর্তি করতে নির্দেশ দেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৫ বছর পর রায় ঘোষণা করলেন হাইকোর্ট।


আরও খবর

জেলেই থাকতে হচ্ছে সাহেদের

মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩




ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দেশীয় অস্ত্র সহ ৮ ডাকাত গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে র‍্যাবের টহল গাড়িতে ডাকাতিকালে দেশীয় অস্ত্র সহ সংঘবদ্ধ ৮ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১....

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি একটি মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র মহাসড়কের সাধারণ যাত্রী ও বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের ডাকাতি করে সর্বশান্ত করছে ও গুরতর আঘাতসহ হত্যার মত ঘটনাও ঘটাচ্ছে। মহাসড়কে ডাকাতির সময় দেশীয় অস্ত্রসহ র‍্যাব কাছে আটক হয় ডাকাত চক্রের ৮ সদস্য। 

শুক্রবার দুপুরে র‍্যাব-১১'র সিপিসি -১ কার্যালয় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-পরিচালক এ কে এম মনিরুল আলম। 

তিনি জানান, 

বৃহস্পতিবার রাতে র‍্যাব-১১'র একটি আভিযানিক দল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাদা পোশাকে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে টহল কার্যক্রম পরিচালক পরিচালনা করতে থাকে। র‍্যাবের সাদা পোষাকের আভিযানিক দল মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানার চর বাউসিয়া এলাকায় যানজটে পড়ে। এ সময় সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি মনে করে ১০/১২ জন দুর্ধর্ষ ডাকাত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে র‍্যাবের গাড়ির ঘেরাও করে। র‍্যাব সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে ধাওয়া দিয়ে ডাকাত দলের মূলহোতাসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলায় বসবাস করত। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। গত দুই বছরে তারা এই মহাসড়কে প্রায় ৫০ টির অধিক ডাকাতি করেছে। 


আরও খবর



কুমিল্লার দেবিদ্বারে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক অবরুদ্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :কুমিল্লার দেবিদ্বারে একটি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্ত’র অভিযোগ এনে তাকে ‘অবরুদ্ধ’ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। 

বুধবার দুপুর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দেবিদ্বার

উপজেলার মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

এসময় উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা প্রধান শিক্ষক ও তাঁর জামাতার

ব্যবহৃত দুটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।এছাড়াও উত্তেজিত জনতা একটি সিএনজি ও বিদ্যালয়ের

শ্রেণী কক্ষের কয়েকটি দরজা ভাঙচুর চালায়।

এ ঘটনায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে দেবিদ্বার-বিপাড়া (সার্কেল) সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. আমিরুল্লা,

ওসি কমল কৃষ্ণ ধরসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনি উপস্থিত

হয়ে ঘটনার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। রাত ৮টার দিকে

বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি

ছোঁড়ে এতে ২জন গুরুতর আহত হয় আহতদের উদ্ধার করে

দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ধামরাই বিভিন্ন মাদ্রাসা এতিমখানার উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস পালন

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাই উপজেলায় ডালি পাড়া আব্দুল আজিজ জামিয়া ইসলামিয়া, বীরমুক্তিযোদ্ধা আমেনা জামান বালিকা মাদ্রাসা মুস্তি বেপারি বালক এতিমখানা ও জহুরুন নেছা বালিকা এতিমখানার উদ্যোগে ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আব্দুল আজিজ জামিয়া ইসলামিয়া মোহ্তামিম হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ নাইমুল ইসলাম 

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আমেনা নূর ফাউন্ডেশন ও সভাপতি, আব্দুল আজিজ জামিয়া ইসলামিয়া বীরমুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ আল জামান ( সি আই পি) বলেন আজ ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, এই স্বাধীনতা এমনিতেই আসেনি এর জন্য অনেক রক্ত দিতে হয়েছে, ৩০ লক্ষ্য প্রাণের বিনিময়ে বাংলার এই স্বাধীনতা।যার অবধানে এই দেশ স্বাধীন হন তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ভূমিকা ছিল বলেই আজ এই দেশ স্বাধীন হয়েছে তার জন্ম যদি এই বাংলায় না হতো হয়তো এই বাংলাদেশ আজও স্বাধীন হতো না। এই বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন অবশ্যই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা বাঙালি স্বরণ করবে।

সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সৈয়দ বেনজির আহমেদ মুকুল, ধামরাই পৌর যুবলীগের সভাপতি আমিনুর রহমান, ঢাকা জেলা পরিষদ সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক ধামরাই পৌর সানাউল হক সুজন, ধামরাই প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক বাবুল হোসেন, কুশুরা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, ধামরাই সরকারি কলেজের সাবেক সভাপতি ছাত্রলীগ হাবিবুর রহমান হাবিব সহ উপস্থিত ছিলেন আরও অনেকেই।


আরও খবর



উগ্রবাদ প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নেত্রকোনা জেলা পুলিশের সেমিনার

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ২৪১জন দেখেছেন

Image

জেলা প্রতিনিধি (নেত্রকোনা):

নেত্রকোনায় জেলা পুলিশের আয়োজনে উগ্রবাদ প্রতিরোধে সোমবার (১৩ মার্চ) জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা শীর্ষক এক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা শহরের মোক্তারপাড়া পাবলিক হল মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের উদ্যোগে দিনব্যাপী সেমিনারে জেলার বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধিগণ অংশ গ্রহণ করেন।


"উগ্রবাদ প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা" নিয়ে আলোচনা সভায় পুলিশ সুপার মো ফয়েজ আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনা খান মজলিশ। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট অসিত সরকার সজল, সদর পৌরসভা মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মো নজরুল ইসলাম খান। 

আলোচনায় উগ্রবাদ প্রতিরোধ করে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা বিনির্মাণে জনপ্রতিনিধিগণ এবং প্রশাসন ও পুলিশ কিভাবে একত্রে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।  

সেমিনারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো হারুন অর রশিদের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন,  ঢাকা ডি এমপির অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম। 

তিনি বলেন যে, ইসলামে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই, যারা জঙ্গি হিসেবে দেশকে উপস্থাপন করতে চায় তারা দেশের শত্রু।

সকলের সহযোগিতায় জঙ্গিবাদ চিরতরে নির্মূল করতে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর।


আরও খবর



ডিবি গুলশানের তৎপরতায় ডাকাত দলের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

মুন্সি মো আল ইমরান :ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের বিশেষ অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ আন্তজেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (৩ মার্চ) ঢাকার মিরপুর, গাবতলী ও সাভার থানাধীন বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিরা হলেন ফখরুল কবির শান্ত (২৯), মো. মনির হোসেন (৩০), মো. ইমরান (২২), মো. মুজাহিদ বাবু (২৮), মো. রাজিব (২১) ও মো. সানি (২৬)। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম রেজাউল জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি খুলনা থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকায় আসে। ট্রিপ শেষে রাতে রাজধানীর দারুস সালাম থানাধীন পর্বত সিনেমা হলের পাশের রাস্তায় বাসটি রেখে ভেতরে ঘুমিয়ে পড়েন চালক ও দুই সহযোগী। এরপর ৮-১০ জনের একটি দল গাড়িতে ঢুকে ঘটনাস্থলে গাড়ি পার্কিংয়ের কারণ জানতে চায়। একপর্যায়ে রড দিয়ে পিটিয়ে তাঁদের মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং তাঁদের হাত-পা বেঁধে বাসের পেছনের সিটে ফেলে রাখে আসামিরা।

তিনি আরও জানান, ডাকাত দলের নেতা শান্ত গাড়ি চালিয়ে কিছুদূর এসে তার সহযোগী ইমরানকে গাড়ি চালানোর নির্দেশ দেয়। এরপর নিজেরাই চালক, সহযোগী ও যাত্রী বেশে গাবতলী থেকে কাঁচপুর এবং সেখান থেকে সাভার ও চন্দ্রা পর্যন্ত ট্রিপ মারে। এ সময় বেশ কয়েকজন যাত্রীকে বাসে তুলে মারধরের পর সর্বস্ব ছিনিয়ে হাত-পা বেঁধে রাখে। সারা রাত ডাকাতি করে ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে সাভার থানাধীন কবিরপুর এলাকায় বাসটি রেখে চলে যায় ডাকাতেরা।

অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম। ভুক্তভোগীদের বক্তব্য পর্যালোচনা এবং তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে ঢাকার মিরপুর, গাবতলী ও সাভার থানাধীন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার আসামিরা আন্তজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। যাত্রী বেশে বাসে চড়ে চালক ও সহযোগীকে জিম্মি করে ডাকাতি করত তারা।

আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় ডাকাতি মামলা করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।


আরও খবর