Logo
শিরোনাম

শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষ : সাংবাদিকসহ ৪০ জন ঢামেকে ভর্তি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক::

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলায় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও এক পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন। বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর একে একে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশনস সায়েন্স বিভাগের আফসানা জুঁই (২২) ও ইংরেজি বিভাগের আব্দুল হান্নান মাসুদ (২৪)।

এ ছাড়া আহত হয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ভাস্কর ভাদুড়ি, সময় টেলিভিশনের ভিডিও জানালিস্ট রতন মজুমদার, কালবেলা পত্রিকার আকরাম হোসেন ও জনি রায়হান, আলোকিত প্রতিদিনের ইমরান হোসেনসহ কয়েকজন।

নীলক্ষেত মোড়ে আহত হয়েছেন আজিমপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) ইব্রাহিম খলিল। লালবাগ থানার এসআই নাজমুজ্জামান জানান, ইডেন কলেজের ১ নম্বর গেট থেকে রিকশায় করে আজিমপুর ফাঁড়িতে যাচ্ছিলেন ইব্রাহিম। পথে নীলক্ষেত কোয়ার্টারের গেটে আন্দোলনকারীরা তাকে ধাওয়া দেন। ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এতে তার মাথায় গিয়ে আঘাত লাগে।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ঢাবির ভিসি চত্বর, টিএসসি, শাহবাগ, নীলক্ষতসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আহত অন্তত ৩৫ জন এসেছেন চিকিৎসা নিতে। আহতদের অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। বেশ কয়েকজন এখনও চিকিৎসাধীন।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিনভর কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় ছয়জন মারা গেছেন। যার মধ্যে রাজধানীতে দুজন, চট্টগ্রামে তিনজন এবং রংপুরে একজন। রংপুরে নিহত শিক্ষার্থীর নাম আবু সাঈদ। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। আহত হয়েছেন কয়েকশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।


আরও খবর



যাত্রী চাপও কম, ট্রেন ছাড়ছে সময় মতো

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদ করতে সড়ক রেল ও নৌপথে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। তবে ঈদযাত্রায় ভোগান্তির যে চিত্রের সঙ্গে বেশিরভাগ মানুষ পরিচিত এবার তার কিছুটা ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে।

ঈদের সময় ঢাকা থেকে ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হওয়ার সঙ্গে ট্রেনযাত্রীদের কমবেশি পরিচয় থাকলেও এবার ট্রেন বিলম্ব হচ্ছে না। আজ (শনিবার) সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ট্রেনের কমলাপুর স্টেশন ছাড়তে বিলম্ব হয়নি। আবার দিনের বেলায় এই স্টেশন থেকে ট্রেনের ছাদেও উঠতে পারছেন না কেউ। তবে ট্রেনগুলোর প্রতিটি কোচে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে তারা গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন।

শনিবার সকালে কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে ট্রেন ছাড়ার অন্তত এক থেকে দেড় ঘণ্টা আগেই যাত্রীরা স্টেশনে চলে আসছেন।

যাত্রীদের অনেকে মনে করছেন এবারের ঈদ যাত্রা এতটাই নির্বিঘ্ন হচ্ছে, যেটা এর আগে বাংলাদেশে কখনো দেখা যায়নি। এ ছাড়া ট্রেনে যাত্রীসংখ্যা এর আগের চেয়েও অনেক কম। স্টেশন এলাকাতে ভিড়ের সংখ্যাও কম।

রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী মনিরুজ্জামান বলেন, ট্রেন ছাড়বে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে। আগের অভিজ্ঞতায় সিটে যেতে না পারার শঙ্কায় এক ঘণ্টা আগে স্টেশনে এসেছি। তবে এসে তেমন ভিড় পেলাম না। ট্রেনে ওঠার কিছু সময় পরে সিটগুলো ভর্তি হওয়ার পর কিছু লোক দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। তবে সেটি অন্যান্যবারের তুলনায় নগণ্য।

এদিকে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে সকাল ৯টা থেকেই। যদিও ট্রেনটি ছাড়ার নির্ধারিত সময় সকাল ১০টা। ট্রেনের যাত্রী রেদোয়ান ইসলাম বলেন, এ বছর ঈদ যাত্রা অনেক সুন্দর হচ্ছে। টিকিট কাটতে অনেকটা বেগ পেতে হলেও ট্রেনে কোনো বিলম্ব নেই, এর থেকে ভালো সংবাদ আর হতে পারে না।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক শাহাদাত হোসেন বলেন, সকাল ৯টা পর্যন্ত ১০টি আন্তঃনগর ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। কোনো ট্রেনই স্টেশন ছাড়তে বিলম্ব করেনি। সকালের দুই তিনটি ট্রেনে যাত্রীর চাপ অনেক বেশি ছিল। এখন কিছুটা কমে এসেছে।


আরও খবর



পিতার লেখা ডায়েরী থেকে পুত্রের বই

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পিতার গৌরবজ্জ্বল জীবনের ডায়েরী থেকে আত্মজীবনীমূলক বই লিখে দাদা-দাদির উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহবুবুর রহমান। ঈদের পরেরদিন পারিবারিক মিলন মেলা ঘটিয়ে বইয়ের মোড়কও উম্মোচন করলেন তিনি। তাঁর পিতার বড় পুত্রবধূ ও বড় মেয়েকে দিয়ে ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই উম্মোচন করা হলো বইটির মোড়ক। 

‘ডাঃ মুনসুর আহমেদ হাওলাদার, এক সাহস্য জীবনযোদ্ধার নাম’ শিরোনামের এ বইটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার দক্ষিণ বেতকাটা গ্রামের ডাঃ মুনসুর আহমেদের বর্ণাঢ্য জীবনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানেও যে এমন বিশাল আয়োজন হতে পারে সেটিও নজিরবিহীন ইতিহাস রচনা করলো।

মরহুম ডাঃ মুনসুর আহমেদ প্রতিষ্ঠিত রামপালের দক্ষিণ বেতকাটার ‘ডাক্তার বাড়ি’তেই ঈদের পরের দিন(১এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয় বইটির মোড়ক উম্মোচনী অনুষ্ঠান। বইটির লেখক ও সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন, ডাঃ মুনসুর আহমেদ হাওলাদারের বড়পুত্রবধূ মাজেদা বেগম ও বেঁচে থাকা একমাত্র মেয়ে জয়নব বেগম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, মরহুম ডাঃ মুনসুর আহমেদ হাওলাদারের নাতি মোঃ আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের। 

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বইয়ের লেখক মোঃ মাহবুবুর রহমানের পুত্র, লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি অধ্যায়ণরত ব্যারিষ্টার মনজুর রাব্বি তনয়, ফাইবার অ্যাড. হোমের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা(সিএইচআরও) মোঃ মাসুদ রাব্বি, লেখকের ভাই অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মোঃ লুৎফর রহমান, শিক্ষক আব্দুস সালাম, আবুল কালাম, বনবিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন, কলেজ শিক্ষক মোঃ আল মামুন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র সাবেক নির্বাহী সদস্য এইচ এম আলাউদ্দিন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের কোষাধ্যক্ষ মোঃ আজিজুর রমান মশিউর, মোড়েলগঞ্জের বহরবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ নাসির ফকির, কামরুজ্জামান সোহেল, শামসুজ্জামান সজিব, তৌহিদুল ইসলাম আকমলসহ পরিবারের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যবৃন্দ এবং আত্মীয়-স্বজন।

উল্লেখ্য, প্রকাশিত বইটিতে মরহুম ডাঃ মুনসুর আহমেদের পারিবারিক জীবনের পাশাপাশি কয়েক প্রজন্মের ইতিহাস তুলে ধরা হয়। যার অধিকাংশই লেখকের অনুপ্রেরণায় তাঁর পিতা মৃত্যুর আগে ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করে গেছেন। ২০০৪ সালের ৪ নভেম্বর তাঁর মৃত্যু হলে ডায়রী সংগ্রহ করে বই আকারে প্রকাশ করা হয়। বইটি ঢাকার নোলক প্রকাশনী প্রকাশ করেছে। প্রকাশক এম নন্দিনী খান।


আরও খবর

প্রিয় বন্ধু হবেন যেভাবে

মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫




উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামে আলু বিক্রি

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

বগুড়ায় বর্তমানে জাতভেদে প্রতি মণ (৪২ কেজি) আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকায়। এতে প্রতি কেজি আলুর দাম পড়ছে সাড়ে ৭ টাকা থেকে ৯ টাকা। 

বগুড়া জেলার মধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়। আলীগ্রামের কৃষক নাফিসুল ইসলাম টিবিএসকে বলেন, 'প্রতি বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে আলু চাষ করতে খরচ হয়েছে ৪০-৪৫ হাজার টাকা। গড়ে ৯০ মণের মতো এবার ফলন হতে পারে। সে হিসাবে, প্রতি মণে প্রায় ৪৫০-৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। 

'কিন্তু বাজারে দাম এর অর্ধেক। এ কারণে এখনও তুলিনি। আরও কয়েকদিন পর তুলে কোল্ড স্টোরেজে রাখব।

কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া বৃদ্ধি আরেক দফা চাপ সৃষ্টি করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'গত বছর বস্তা ৩৫০ টাকায় রাখতাম। ৫০ কেজির বস্তায় ৬৫ কেজি আলু ধরত। কিন্তু এবার কেজিতে ৮ টাকা দিতে হবে। ৮ টাকা স্টোরেজ ভাড়া দিয়ে পরে কয় টাকায় আলু বিক্রি করতে পারি, বলতে পারছি না।

একই কথা জানান ফেনিগ্রামের আব্দুল হামিদ। তিনি বলেন, 'পাকড়ি ও স্টিক আলু চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় পাকড়ি ৬৫-৭০ মণ এবং স্টিক ৯০ মণের মতো হবে। আমার প্রতি বিঘায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে যারা বীজ কিনে আলু চাষ করে তাদের খরচ আরও অনেক বেশি। গত বছর আলুর দাম বেশি ছিল, এ কারণে বেশি জমিতে আলু চাষ করেছি। কিন্তু এই দামে আলু চাষ করলে কৃষক নিঃস্ব হয়ে যাবে।

গত বছরের বেশিরভাগ সময় আলুর দাম ছিল অস্বাভাবিক বেশি। ফলে বাড়তি লাভের আশায় কৃষকরা আলু চাষ বেশি করেছেন। তবে এখন উৎপাদন খরচও ওঠাতে পারছেন না তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, চলতি মৌসুমে ৪.৬৭ লাখ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে এরই মধ্যে আবাদ হয়েছে ৫.২৪ লাখ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, গত অর্থবছরে আলুর আবাদ হয়েছিল ৪.৫৭ লাখ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবার ৬৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলুর চাষ হয়েছে।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে পুরো মার্চ মাসজুড়ে মূল মৌসুমের আলু উত্তোলন করেন কৃষকরা। তবে গত বছর আলুর ভরা মৌসুমেই দাম ছিল বেশি। এরপর মে মাসে তা ৫০ টাকা পেরিয়ে যায়। নভেম্বরে আলুর দাম দাঁড়ায় কেজিতে ৮০ টাকা, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার নাগদাহ গ্রামের কৃষক আবু তাহের বলেন, 'এখন আমাদের এলাকায় প্রতি কেজি আলু ১০-১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে ৮ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। গত দুই দিন ধরে কিছুটা বাড়তির দিকে। তবে ২০ টাকার নিচে হলে কৃষকদের লোকসান হবে।'

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় বিপণন বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম টিবিএসকে বলেন, 'যে বছর দাম বেশি থাকে এর পরের বছর কৃষকরা সে ফসল বেশি করেন। আবার দাম কম থাকলে পরের বছর কম ফসল করেন। এটা কমন সমস্যা। এখন ফলন বেশি হলে আবার দাম কমে যায়। 

'এজন্য আলুর ক্ষেত্রে ভ্যালু অ্যাড করার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। দ্বিতীয়ত গ্রুপ মার্কেটিংয়ে ফোকাস করতে হবে। অর্থাৎ ১০ জন কৃষক আলু চাষ করেন; এর মধ্যে একজন সেগুলো বাজারজাত করবেন। এতে সরাসরি বাজারের সঙ্গে কৃষকরা যুক্ত হবেন।'


আরও খবর



সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার আসামী বাবুর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউপির বহিস্কৃত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুর জামিন বাতিল করে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে পরে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামী আলম বাবুর জামিন বাতিল করে গ্রেফতারের দাবি জানান।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজীউর রহমান মোল্লা, সহ-সভাপতি রাশেদুজ্জামান সোনা মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন খান ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আনার আলী প্রমূখ। মানববন্ধনে নাদিমের বাবা, স্ত্রী ও সন্তানরাসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন খান বলেন,মাহমুদুল আলম বাবুর ভাই পুলিশের বড় কর্মকর্তা ছিলেন। তার দাপটে নানা অপকর্ম করেছেন খুনী বাবু। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। আবারও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার দখলের পাঁয়তারা করছেন। দ্রুত বাবুকে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানান তিনি।

উল্লেখ্য,২০২৩ সালের ১৪ জুন পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে নিজ বাসায় ফিরছিলেন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম। পথে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের পাটহাটি এলাকায় তাঁর ওপর হামলা হয়। তাঁকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে হামলাকারীরা। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে জামালপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। জামালপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ জুন বিকেল ৩ টার দিকে মারা যান সাংবাদিক নাদিম। এ ঘটনায় ১৭ জুন ২২ জনের নামে থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয় ২০ থেকে ২৫ জনকে। মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউপির বরখাস্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু।


আরও খবর



ইসরায়েলি হামলায় আরো ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরো অন্তত ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বর্বর এ হামলায় আহত হয়েছেন শতাধিক। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে এবং সোমবার ভোর থেকে নিরলস হামলায় কমপক্ষে আরো ৬০ জন নিহত হয়েছেন।

এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ৭৫০ ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েল পুনরায় হামলা শুরু করার পর থেকে ৪ লাখেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

এর মধ্যে দেইর আল-বালাহতে একটি বাড়িতে হামলায় নিহত ৯ জন এবং খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের কাছে একটি তাঁবুতে বোমা হামলায় নিহত তিনজনও রয়েছেন।

পৃথক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা আনাদোলু বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরো ৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৭৫২ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আহত হওয়া আরো ১৩৭ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৭৫ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।


আরও খবর