Logo
শিরোনাম

শিক্ষক-শিক্ষিকার ভাইরাল ভিডিও'র সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর বদলগাছীর বেগুন জোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকার বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে অনৈতিক কর্মকান্ডের বেশ কয়েকটি ভিডিও খন্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয় এবং ঘটনার পর থেকেই শিক্ষার্থী - অভিভাবক সহ এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয় এবং এঘটনায় শিক্ষকের স্থায়ী বহিস্কার দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক সহ এলাকার সচেতন মহল। এরিমাঝে লিখিত অভিযোগের সত্যতা পেয়ে চাকরিবিধির ১১ এর (ই) এবং (এইচ) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এ তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার অঞ্জন কুমার কুন্ডু এবং ঐ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিঠন কুমার।

এঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তাগণ গত ১২ জুলাই সরেজমিনে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের বক্তব্য, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বক্তব্য ও স্থানীয়দের বক্তব্য নেয়। তাদের বক্তব্যে তারা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের অফিস রুমে করা অনৈতিক কর্মকান্ডে কথা জানিয়ে দুই শিক্ষকের বিচার দাবী করেন। এরপর গত ২৮ জুলাই সহকারী শিক্ষিকা রিফাত আরা ও গত ৫ আগস্ট প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামীম আহমেদ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে গিয়ে তাদের বক্তব্য দিয়ে আসেন। বক্তব্যে তারা ভাইরাল হওয়া ঐ ভিডিও এডিট করা হয়েছে বলে দাবি করেন। তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট সকলের দেওয়া তথ্য প্রমাণাদি দীর্ঘ দেড়মাস সময় নিয়ে যাচাই-বাছাই শেষে ভিডিও'র সত্যতা আছে বলে নিশ্চিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য যে, অভিযোগে বলা হয় বিগত কয়েক বছর যাবৎ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামিম আহমেদ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছেন এবং বেশ কয়েকবার বিচারের মুখামুখি হয়েছেন। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির কারণে প্রতিবারেই ছাড় পেয়ে বিদ্যালয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ রিফাত আরার সাথে তিনি অফিস রুমে একাধিক দিন অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনার পরেও মানেজিং কমিটির নিকট অভিযোগ দিলে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এলাকাবাসীরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিদ্যালয়ের অফিস রুমে প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামীম আহমেদ ও সহকারী শিক্ষিকা রিফাত আরা'র অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে একটি অভিযোগ হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি তদ‌ন্তকালে যাচাই-বাছাই করে তার সত্যতা পাওয়া যায়। এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন গত ২৩ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সং‌শ্লিষ্ট দপ্তরে পেরণ করা হয়েছে। তাঁরা এবিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তদন্ত কমিটি আপনাদের দাবি বা অভিযোগ সহ ভাইরাল ভিডিও এর সত্যতা পেয়েছে এবং আইনানুগ পদক্ষেপ চলমান এবিষয়ে মতামত জানতে চাইলে বেশ কয়েক জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বলেন, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কে স্থায়ী বহিস্কার না করা পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ সন্মান ফিরে আসবে না। এজন্য একটাই দাবি স্থায়ী বহিস্কার।


আরও খবর



আসছে ডিজিজ এক্স! মৃত্যু হতে পারে ৫ কোটি মানুষের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

রোকসানা মনোয়ার : এখনো কোভিড-১৯ আতঙ্ক কাটেনি অনেকের মন থেকে, এরই মাঝে আবার নতুন ভাইরাসের সন্ধান চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। এবার আশঙ্কা কোভিডের চেয়েও মারাত্মক কোনো রোগ হানা দিতে পারে মানব শরীরে। করোনাভাইরাসের তুলনায় প্রায় আরো বেশি ভয়ানক এই অসুখ, এবার এমনই সতর্কতা জারি করা হলো ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। কোভিডের চেয়ে আরো বেশি মারাত্মক ভাইরাসকে ডিজিজ এক্স বলে সম্মোধন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দফতর (হু)। হু-এর রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় সারা বিশ্বে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন।

ব্রিটেনের ভ্যাকসিন টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডেম কেট বিংহাম সম্প্রতি জানিয়েছেন, সারা বিশ্ব আরও বড় অতিমারির সাক্ষী হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে। সেই অতিমারির দাপটে প্রাণ হারাতে পারেন পাঁচ কোটি মানুষ।

করোনার জেরে যে ভাবে সারা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়ায়, ডিজিজ এক্সের থাবায় তার সাতগুণ বেশি মৃত্যু এবং ভয়াবহতা দেখতে পাবে মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডিজিজ এক্স কথাটির অর্থ হলো, এমন একটি রোগ, যা মহামারী ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু ওই রোগটির প্যাথোজেন কিভাবে মানুষের ক্ষতি করতে পারে, তা এখনো অজানা। ডেম আরো বলেন, বিজ্ঞানীরা আপাতত ২৫টি ভাইরাসের পরিবারকে পর্যবেক্ষণ করছেন, যার প্রতিটিতে হাজার হাজার পৃথক ভাইরাস রয়েছে। এদের মধ্যে যেকোনো একটি মারাত্মক মহামারীতে রূপান্তরিত হতে পারে।

ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই একটি অজ্ঞাতভাইরাস ডিজিজ এক্স-এর জন্য টিকা তৈরির প্রচেষ্টা শুরু করেছেন। উইল্টশায়ারের হাই সিকিউরিটি পোর্টন ডাউন ল্যাবরেটরি কমপ্লেক্সে পরিচালিত এই গবেষণার কাজে ২০০ জনেরও বেশি বিজ্ঞানী জড়িত আছেন। এই বিজ্ঞানীরা মূলত অ্যানিমাল ভাইরাস অর্থাৎ, যে ভাইরাস পশুর শরীর থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে মহামারী সৃষ্টি করতে পারে সেগুলোর উপরেই কাজ করছেন। এর মধ্যে বার্ড ফ্লু, মাঙ্কি ভাইরাস, হান্টা ভাইরাস অন্যতম।



আরও খবর



রাণীনগরে যুবদল নেতার উপর মূখোশধারীদের হামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

রাণীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা :

নওগাঁর রাণীনগরে আনোয়ার হোসেন (৩২) নামে এক যুবদল নেতার উপর হামলাা চালিয়েছে মূখোশধারীরা। হামলায় আহত আনোয়ারকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাত অনুমান সাড়ে সাতটায় রাণীনগর-আবাদপুকুর সড়কের আমগ্রামের মোড় নামকস্থানে। আনোয়ার আমগ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে এবং কালীগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের অন্যতম সদস্য।

হামলার শিকার আনোয়ার হোসেন বলেন,রবিবার রাতে নওগাঁ থেকে কাজ শেষে আবাদপুকুর বাজারে যান। সেখানে কাজ শেষ করে মোটরসাইকেল যোগে রাত অনুমান সাড়ে সাতটা নাগাদ বৃষ্টির মধ্যেই বাড়ী ফিরছিলেন।এসময় রাণীনগর-আবাদপুকুর সড়কের আমগ্রামের  মোড় থেকে গ্রামের রাস্তার একটু অদুরে পৌছলে সাথে সাথেই ১৫/২০জন মূখোশধারী তার উপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা এ্যালোপাথারী মারপিট ও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে রাতেই নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। তবে কারা কি কারনে এ হামলা চালিয়েছে তা বলতে পারেননি তিনি। 

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন,হামলার খবর পেয়েছি। তবে এব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি।তার পরেও বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আরও খবর



চলতি মাসে ডেঙ্গু কেড়ে নিয়েছে ৩৯৬ প্রাণ

প্রকাশিত:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

ডেঙ্গুর প্রকোপ কমছেই না। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সারাদেশে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী ও মৃতের সংখ্যা। ইতোমধ্যে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। গত ৩০ দিনেই ডেঙ্গুতে ৩৯৬ জনের মৃত্যু এবং ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ছয়জন। ফেব্রুয়ারীতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মৃত্যু তিনজনের। মার্চে কারও মৃত্যু না হলেও ১১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এপ্রিলে দুইজনের মৃত্যু এবং ১৪৩ আক্রান্ত হয়েছেন। মে মাসে এক হাজার ৩৬ জন আক্রান্ত এবং দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

এই পাঁচ মাসে ডেঙ্গুতে ১৩ জনের মৃত্যু এবং দুই হাজার ২২ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু জুন মাস থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ ক্রমান্বয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। জুনে ৩৪ জনের মৃত্যু এবং ৫ হাজার ৯৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

এ ছাড়া জুলাইয়ে ২০৪ জনের মৃত্যু এবং ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আগস্টে ৩৪২ জনের মৃত্যু এবং ৭১ হাজার ৯৭৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সেপ্টেম্বরে ৩৯৬ জনের মৃত্যু এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি বছর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ লাখ ৩ হাজার ৪০৬ জন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৪৫৮ জন। মারা গেছেন ৯৮৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটির ৬৩৯ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরের ৩৫০ জন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। গত বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ জুন মাস থেকে শুরু হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর মে মাস থেকেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বছরব্যাপী নানা উদ্যোগ নিলেও কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২৮১ জন।


আরও খবর



মা-বাবা-বোন মারা গেলেও বেঁচে আছে সেই শিশুটি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

টানা বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তির সামনের সড়কে জমে থাকা পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজনসহ চারজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে পরিবারের সবাই প্রাণ হারালেও বেঁচে গেছে হোসাইন নামে সাত মাসের শিশু।

এদিন রাতে ওই রাস্তায় জমে থাকা পানির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন মিজান (৩০) ও তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (২৫)। সঙ্গে ছিল মেয়ে লিমা (৭) ও ছেলে হোসাইন। হঠাৎ করে তারা পড়ে গেলে তাদের তুলতে এগিয়ে আসেন অনিক নামে একজন অটোরিকশাচালক। হোসাইনকে তিনি পানি থেকে তুলে দিতে পারলেও লিমাকে তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তারও মৃত্যু হয়।

এদিকে মর্মান্তিক ঘটনায় সাত মাসের শিশু হোসাইনের বাবা, মা, বোন ও তাকে বাঁচাতে আসা অনিক নিহত হয়। স্থানীয়রা বলছেন, অনেকটা অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় শিশু হোসাইন। মায়ের কোলে থেকে ছিটকে পড়ে যাওয়ায় প্রাণে রক্ষা পায় শিশু হোসাইন।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে শিশু হোসাইনকে নিয়ে মিরপুর মডেল থানায় আসেন আমেনা বেগম নামে এক নারী। সেখানে একটি গণমাধ্যমকে শিশু হোসাইনের বেঁচে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা করেন তিনি।

আমেনা বেগম বলেন, হোসাইনের মা যখন পানিতে পড়ে যায় তখন, হোসাইন মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে যায় পানিতে। এ সময় অনিক সঙ্গে সঙ্গে এসে হোসাইনকে পানি থেকে তুলে আমার কোলে দেয়। পরে আমি তাকে আমার বাসায় নিয়ে প্রথমে শরীরে গরম তেল দেই। এরপর তাকে নিয়ে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই। সেখান থেকে হোসাইনকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। রাতে তাকে সেখানে নেওয়া হয়।

চিকিৎসক জানায়, হোসাইন এখন সুস্থ। পরে আমি জানতে পারি হোসাইনের দাদা ও নানা মিরপুর মডেল থানায় আছে, তখন আমি এখানে আসি।

মিজানের স্বজন ও স্থানীয়দের সূত্র জানায়, মিজানের গ্রামের বাড়ি বরিশালের ঝালকাঠিতে। গত কয়েক বছর ধরে পরিবার নিয়ে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। মিরপুর এলাকায় ভাসমান দোকানে শরবত বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন মিজান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ঝিলপাড় বস্তিতে শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে নিজ বাসায় ফেরার পথে তাদের মৃত্যু হয়।


আরও খবর

ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

১২ লাখ গাড়ি বেশি চলে ঢাকায়

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ইলেকশন পর্যবেক্ষণ সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণ বন্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে জাতিসংঘের চলমান সাধারণ অধিবেশনের দিনের কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশিরা যদি বলেন এটা ভালো, আমরা মনে করি ভালো। আর বিদেশিরা যদি বলেন কালো, আমরা মনে করি কালো। তবে এখনো একটা কালচার রয়ে গেছে, তাই আমরা বিদেশিদের নির্বাচনে স্বাগত জানাই। কিন্তু আমি মনে করি ইলেকশন পর্যবেক্ষণ সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত। এটা ভুল সংস্কৃতি। আমরা ২০০৯ থেকে কয়েক হাজার নির্বাচন করেছি। দু-একটি ছাড়া অধিকাংশ সুষ্ঠু হয়েছে।

তিনি বলেন, অধিকাংশ দেশে কোনো ইলেকশন অবজারভার যায় না। আমেরিকায় বিদেশ থেকে কোনো ইলেকশন অবজারভার আসে না। ইংল্যান্ডে, এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারতেও যায় না।

মানবাধিকারবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাক্ষাতে আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গ এসেছে। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তারা বলেছে, শান্তিপূর্ণ হবে কি না। আমরা সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারি না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন শুধু সরকার চাইলে হবে না, দেশের এমন একটা পরিবেশ, সংঘাতবিহীন নির্বাচন করতে সব দলের আন্তরিকতা প্রয়োজন।


আরও খবর