Logo
শিরোনাম

সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বন্যায় সিলেট নগরী, সুনামগঞ্জ শহর ও দুই জেলার সবকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এই দুই জেলার গুরুত্বপূর্ণ সব নদী বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে আগামী ৭২ ঘণ্টা সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সুরমা নদী আজ বিকেল ৩টায় সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা পয়েন্টে ১৩১ সেন্টিমিটার, সিলেট নগর পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা পয়েন্টে ১৬০ সেন্টিমিটার, সুনামগঞ্জ শহর পয়েন্টে ৬৪ সেন্টিমিটার এবং দিরাই উপজেলা পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

একই সময়ে কুশিয়ারা নদী সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার অমলসীদ পয়েন্টে ৩৯ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পয়েন্টে ৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেটের সারি-গোয়াইন নদী জৈন্তাপুর উপজেলার সারিঘাটে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার এবং গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বাপাউবোর দেওয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটের লালাখালে ৩৩৩ মিলিমিটার, জাফলংয়ে ৩২৭ মিলিমিটার, কানাইঘাটে ১৯১ মিলিমিটার, জকিগঞ্জে ১৯১ মিলিমিটার, সিলেট নগরীতে ১০০ মিলিমিটার, সুনামগঞ্জের লাউড়ের গড়ে ১৫৯ মিলিমিটার এবং সুনামগঞ্জ শহর ও ছাতকে ৯৫ মিলিমিটার করে বৃষ্টিপাত হয়েছে।

একই সময়ে বাংলাদেশের উজানে ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ৩৯৮ মিলিমিটার, আসামের ধুব্রিতে ১২১ মিলিমিটার এবং গোয়ালপাড়ায় ১১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যার ঢল আজ সকাল থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জে প্রবেশ করছে।


আরও খবর



বেড়েছে সরবরাহ, সবজির বাজারে স্বস্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভরা মৌসুমে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে শীতের সবজির। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের শাক-সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। ৪০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে বেশির ভাগ সবজি কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর খিলগাঁও কাঁচা বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

বিক্রেতারা জানান, শীতকালীন সবজির সরবরাহ অনেকটাই বেড়েছে। সরবরাহ বাড়ায় গত সপ্তাহের তুলনায় শীতকালীন সব ধরনের সবজি কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সরবরাহ বৃদ্ধি পেলেও বিক্রি আশানুরূপ বাড়েনি। কিন্তু দাম কম থাকায় ক্রেতাদের মধ্যে মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

বাজারে মানভেদে শিম ৫০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৩০ টাকা পিস, প্রতি পিস লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটো কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, খিরাই ৫০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং জলপাই ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৭০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, ঢেরস ৮০ টাকা, লতি ৮০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ঝিঙ্গা এবং কাঁচামরিচের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

লেবুর হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতা ৮০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, কলমি শাক ১০, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সবজির দাম কমে যাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নগরবাসী। তারা বলছেন, এখন সবজি কিনে খুব স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যাচ্ছে। দীর্ঘদিন পর হলেও বাজারে সবজি কিনে স্বস্তি মিলছে। তবে দু-এক বছর আগে শীতের সময় সবজির দাম আরও কম থাকতো। তারপরেও কয়েক সপ্তাহের তুলনায় এখন সবজির দাম কমাটাই স্বস্তির বিষয়।

খিলগাঁও বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাব্বি বলেন, বাজারের সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। গত সপ্তাহে তুলনায় এই সপ্তাহে কিছু কিছু সবজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা এবং কিছু সবজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সবজির দাম কমায় ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

সবজি বিক্রেতা মো. সাগর বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিটি সবজির দামি অনেকটাই কমেছে। এই বিক্রেতার দাবি, সবজির দাম কমলেও বিক্রি বাড়েনি। সবজি সরবরাহ বাড়ার কারণে বিক্রি অনেক কমেছে। একই কথা বলেছেন এই বাজারের আরও কজন বিক্রেতা। তবে রাজধানীর অন্যান্য বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সবজির দাম কমায় ক্রেতারা এখন সেসব সবজি বেশি করে কিনছেন। রামপুরা, মালিবাগ বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, আগে এক আইটেমের সবজি যদি পাঁচ কেজি বিক্রি হতো, এখন সেটা ৮-১০ কেজি বিক্রি হয়। এতে তারাও লাভবান হচ্ছেন।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




ফুলবাড়ী সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার ১৪ বছরেও পায়নি বিচার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, (কুড়িগ্রাম) 

আজ- ০৭(জানুয়ারি)সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার-১৪ বছর।২০১১সালে এইদিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের উত্তর অনন্তপুর হাজিটারী সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ ফেলানীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে লাশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে।এ হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ অবধি কাঙ্খিত বিচার পায়নি তার পরিবার।


পাশ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ রামখানা কলোনিটারী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ফেলানী হত্যার এই দিনটির স্বরণে ফেলানীর কবর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে ব্যস্ত তার পরিবার।ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম, মা জাহানারা বেগম জানান,আজ ১৪ বছরেও সেই দিনের দুঃসহ স্মৃতির কথা ভুলতে পারিনি, আজ ও সেদিনের তার আত্ম চিৎকারে গভীর রাতে আচমকা ঘুম ভেঙ্গে যায়।আমাদের মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে মানবাধিকার সংস্থা সহ নানান জনের কাছে গিয়েছি কিন্তূ এপর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত বিচার পেলাম না।


২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট ভারতের কুচবিহার জেলার বিএসএফের ১৮১ সদর দপ্তরে অবস্থিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হলে ০৫ (সেপ্টেম্বর) সেই কোর্টে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১১ (সেপ্টেম্বর)  ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবার আশায় ভারত সরকারকে একটি পত্র দিয়ে জ্ঞাত করেন। ২০১৪ সালে ২২(সেপ্টেম্বর) পুনঃবিচার কার্যক্রম শুরু হলেও বিভিন্ন কারণে তা একাধিকবার স্থগিত হয়ে যায়।


পরবর্তীতে ২০১৫ সালের আইন ও সালিশ কেন্দ্র ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চে আরও একটি ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেন। ৩১(আগষ্ট) ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সেদেশের সরকারকে ফেলানীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ্য রুপি প্রদানের অনুরোধ করেন ,এর জবাবে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম কে দায়ী করে বক্তব্য দেন। এরপর ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় শুনানি দিন তারিখ পিছিয়ে গিয়ে একেবারে ২০২০ সালে ১৮ (মার্চ)শুনানির দিন ধার্য হয়ে আজ অবধি শেষ হয়নি সেই বিচার কাজ।


ফেলানী হত্যা মামলার তৎকালীন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য মানবাধিকার কর্মী, সাবেক পিপি এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার পাইনি,পেলে মানবাধিকার সুরক্ষার পথ আরও সুগম হতো।


এছাড়াও ২০১৩ সালের ২৭(সেপ্টেম্বর)ফেলানী হত্যার ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচার এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১ম বাদী ও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলী ২য় বাদী হয়ে ভারতের আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় (ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়ার) সচিব এবং বিএসএফের মহাপরিচালক কে বিবাদী করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নয়াদিল্লীতে ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ -৩২ অনুযায়ী একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন।পরবর্তীতে ২০১৫ সালে  ২১ (জুলাই) আবারও ফেলানীর বাবার জন্য অন্তবর্তী কালীন ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি আবেদন করেন।


এবিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মামলাটি ভারতের নয়াদিল্লীর সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘদিন যাবত ঝুঁলে আছে।


এদিকে ফেলানী হত্যার পর থেকে গত কয়েক বছর ধরে ৭ (জানুয়ারি) কে ফেলানী দিবস ঘোষণা,হত্যার বিচার,তার পরিবার কে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান ও ঢাকা শহরের উত্তর সিটি কর্পোরেশন বারিধারা পার্ক রোডের নামকরণ ফেলানী স্বরণী রাখার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদ। এতদিন পার হয়ে গেলেও বাস্তবায়ন হয়নি একটিও।

এবিষয়ে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মুঠোফোনে জানান,এবার তারা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় শুধু স্টিকার লাগাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন,৭ (জানুয়ারি) ফেলানী দিবস পালন সহ সারা বিশ্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে ২০১৫ সালে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবরে আমরা একটি লিখিত স্বারকলিপি প্রদান করেছিলাম। পরবর্তীতে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় এটি বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের নিকট যে কোন রাষ্ট্রকে এবিষয়ে প্রস্তাব আনতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সে উদ্যোগের অপেক্ষায় আছি।


আরও খবর



রাজধানীতে পটকা ও আতশবাজির আগুনে দগ্ধ ৫

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ইংরেজি বর্ষবরণের আনন্দ উদযাপনে পটকা ও আতশবাজি পোড়ানোর সময় রাজধানীতে পাঁচ জন দগ্ধ হয়েছে; তাদের মধ্যে তিনজন শিশু।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) মধ্যরাতের পর বিভিন্ন সময়ে তারা ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়েছে। একটি শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, আগুনে ফারহান নামে ৮ বছর বয়সী একটি শিশুর শরীরের ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

এছাড়া শিফান মল্লিকের (১২) শরীরের ১ শতাংশ, সম্রাটের (২০) শরীরের ১ শতাংশ, শান্তর (৪৩) শরীরের ২ শতাংশ এবং তাফসির (৩) নামে এক শিশুর শরীরের ২ শতাংশ পুড়ে গেছে।

ডা. শাওন বলেন, দগ্ধরা ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে হাসপাতালে এসেছেন। থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও পটকা পোড়ানোর সময় তারা আগুনে দগ্ধ হয়েছে। তাদের একজন শরীরের ১৫ শতাংশ বার্ন নিয়ে এসেছে। বয়স্ক হলে তেমন আশঙ্কা ছিল না, শিশু তাই তার অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বছরের শেষ রাত উদযাপনের এমন বিপত্তি এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পটকা-আতশবাজির বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কয়েকদিন আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকেও বারবার অনুরোধ করা হয়েছে, পটকা ফাটিয়ে যেন শব্দ ও বায়ুদূষণ করা না হয়।

তবে ঢাকাবাসী তা কানে তোলেনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকেই পাড়া মহল্লার চারপাশে শুরু হয়ে যায় হৈ চৈ, থেমে থেমে ভেসে আসতে থাকে পটকার শব্দ। ঘড়ির কাঁটা ১২টায় পৌঁছালে তা চরমে ওঠে। রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে আতশবাজির রঙিন আলোয়।

গত কয়েক বছরে এরকম উদযাপনের রাতে জ্বলন্ত ফানুস থেকে অগ্নিকাণ্ডও ঘটেছে অনেক জায়গায়।

২০২২ সালে পটকা ও আতশবাজির বিকট শব্দে অসুস্থ হয়ে পড়ে তানজীম উমায়ের নামের ৪ মাস বয়সী এক শিশু। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।


আরও খবর

মেট্রোরেলের সময়সূচি পরিবর্তন

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব

মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫




নিষিদ্ধ না হলে আ’লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

সরকার বা আদালত যদি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করে তাহলে দলটির নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, এখন নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন। ডানে বামের বা বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই। এখন আমরা বিবেকের চাপে আছি। এ দেশে ভালো নির্বাচন করাও সম্ভব, খারাপ নির্বাচন করাও সম্ভব।

বিগত নির্বাচন কমিশনকে শাস্তির আওতায় আনার চিন্তাভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নির্বাচন সংস্কার কমিশনের বিষয়। আমরা ওনাদের সুপারিশনামা এখনও পাইনি। তবে আমাদের কমিশনের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো চিন্তা করা হচ্ছে না। সিদ্ধান্তও নেই।

সিইসি বলেন, আমরা ভোটারদের আস্থাহীনতা দূর করব। এ জন্য বাড়ি বাড়ি যাব। ৬ মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ করব। ভোটার তালিকা থেকে যারা বাদ পড়ে গেছে তাদের অন্তর্ভুক্ত করব।

তিনি বলেন, আপনাদের বলতে চাই এবারের নির্বাচন আগের মতো হবে না। এ জন্য আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। এ জন্য সবার সহযোগিতা লাগবে।

গণ-আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া দল আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না সেটি নিয়ে রাজনীতির মাঠে নানা আলোচনা চলছে। বাংলাদেশে গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্ররা বিভিন্ন সংস্কার করে অনুষ্ঠিতব্য আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সুযোগ না দেওয়ার কথা বলছে। ছাত্র নেতাদের দাবি, জুলাই হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত পতিত আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করার সুযোগ যেন না দেওয়া হয়।


আরও খবর



শুল্ক-কর বৃদ্ধিতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে,যেসব পণ্য ও সেবায় ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে সেই তালিকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নেই বিধায় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়বে না এবং মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়বে না।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ বলেন, সম্প্রতি ভ্যাট, আয়কর ও শুল্কবিষয়ক গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু সংবাদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নজরে এসেছে। জনস্বার্থে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির শুল্ক-কর হারে ব্যাপক ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি, এসডিজি বাস্তবায়ন এবং জাতি হিসেবে স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্যে ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধি ও হার যৌক্তিকীকরণের লক্ষ্যে এনবিআর নানামুখি পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আয়কর অব্যাহতির সংস্কৃতি থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার ধারাবাহিকতায় আয়কর অব্যাহতির বিধান বাতিল ও সংশোধনের কার্যক্রমও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যেসব পণ্য ও সেবায় ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করা হচ্ছে তার মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নেই বিধায়, সর্বসাধারণের ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে না এবং মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়বে না।

এনবিআর জানায়, গত চার মাসে বাজারে নিত্যপণ্য সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চাল, আলু, পেঁয়াজ, চিনি, ডিম, খেজুর, ভোজ্যতেল ও কীটনাশকসহ আটটি পণ্যে আমদানি, স্থানীয় ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে জনস্বার্থে শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর ছাড় দেওয়া হয় বিধায় রাজস্ব আদায় ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ব্যতিত অন্যান্য খাত থেকে রাজস্ব বৃদ্ধি করা না গেলে বিপুল পরিমাণ বাজেট ঘাটতি দেখা দেবে।

ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক এবং আবগারি শুল্কের হার ও পরিমাণ যৌক্তিকীকরণের মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যবর্তী সময়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। মূল্য সংযোজন করের পাশাপাশি আয়করের ক্ষেত্রেও করের আওতা বৃদ্ধির নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বাড়তি রাজস্ব আদায়ে সিগারেট, মদ, পোশাকের শো-রুম, অভ্যন্তরীণ ও আর্ন্তজাতিক রুটের বিমান টিকিট, হোটেল, রেস্তোঁরা ও ড্রিংসসহ অন্তত ৪৩ পণ্যের ওপর শুল্ক-ভ্যাট বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যার মাধ্যমে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আসবে বলে জানা গেছে। মূলত আর্ন্তজাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএফএম) শর্ত পরিপালনে কিছু কিছু পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বাড়ানো এবং যৌক্তিকীকরণ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে উপদেষ্টাদের সভায় এনবিআরের দেওয়া প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছে, যা অনুমোদন হয়েছে বলে জানা গেছে।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫