Logo
শিরোনাম

শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিয়ে তর্কযুদ্ধের শেষ কোথায়?

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image


বিনোদন রিপোর্টঃ

মাসখানেক আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। যেখানে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর এবং আগের মেয়াদের বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদক নিপুণকে হারিয়ে নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ডিপজল।

নির্বাচনে হারার পর মিশা-ডিপজলকে ফুলের মালা পরিয়ে দেন নিপুণ। তবে মাস না পেরুতে পুরোনো রূপে ফিরেছেন তিনি। শুরু হয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ি। যা রীতিমতো হাস্যরসের উপাদান হিসেবে ধরা দিয়েছে।

এমনকি বিষয়টি নিয়ে নানা মাধ্যমে বিরক্তি প্রকাশ করছেন শোবিজ অঙ্গনের অনেকে। অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো এবার চেয়ার দখল নিয়ে লড়াই বন্ধ হবে। কিন্তু তা ভুল প্রমাণ করে সংগঠনটি আবারও নাট্যমঞ্চে পরিণত হয়েছে।

সম্প্রতি কারচুপির অভিযোগ এনে শিল্পী সমিতির ফলাফল স্থগিত এবং নতুন নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা চেয়ে আদালতে রিট করেছেন নিপুণ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বাতিল ভোটের সংখ্যা সঠিক দেননি। আমার জানামতে, ৮১টি ভোট বাতিল হয়েছে।

কিন্তু নির্বাচন কমিশন ৪০টি ভোট বাতিল দেখিয়েছে। এ নিয়ে স্পষ্ট করে কোনো কিছুই আমাদের প্যানেলকে জানায়নি তারা।’


নিপুণ জানালেন, আরও আগেই রিট করার কথা ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতা এবং জরুরি কাজে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করে রাখায় সেটা সম্ভব হয়নি। এদিকে বিষয়টি শুধু রিটেই আটকে নেই। এরই মধ্যে বাকযুদ্ধে পরিণত হয়েছে। ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’ বলে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন নিপুণ। ডিপজলও যথা সময়ে উত্তর দিয়েছেন।

নিপুণ ডিপজলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘স্যরি টু সে, আমাকে বলতে হচ্ছে—শিল্পী সমিতিতে এমন একজন সেক্রেটারি পদে এসেছেন যার কোনো শিক্ষা নেই। এটা অশিক্ষিত লোকদের জায়গা না, এটা আনকালচারদের জায়গা না। এটা কাজ করে দেখিয়ে দেওয়া লোকদের জায়গা।

শুধু কাজ করলেই হবে না, জ্ঞান থাকতে হবে, শিক্ষিত হতে হবে। আমি একজন গ্রাজুয়েট। আমার তিন প্রজন্ম গ্রাজুয়েট। আমরা তাদের সম্মান দিয়েছিলাম। কিন্তু দেখলাম তারা সেই সম্মান রাখেনি। সম্মান রাখার যোগ্য তারা নয়। তাদের এখন আইনগতভাবেই মোকাবিলা করা হবে।’


নিপুণের কটাক্ষের জবাব দিয়ে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, ‘সে তো বাপকেই অস্বীকার করে। রক্তের সমস্যা না হলে এমন বলতে পারে না। কারণ ও (নিপুণ) যাকে দিয়ে চলচ্চিত্র চিনেছে তাকেই ভুলে গেছে, অস্বীকার করছে। কেস খেলবা আসো। যেটা খেলার মন চায় সেটাই খেলো। আমরা চাই ভদ্রতা ও নম্রতা। আমরা চাই চলচ্চিত্র কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সেদিকেই কাজ করব।

আমরা ঝামেলা চাই না।’ দু’জনের এমন মন্তব্য নতুন বিনোদনের রসদ জুগিয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে।


আরও খবর

আমি একজন শিল্পী আমি কী ভূমি দস্যু ?

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মুক্তি পেল অনুদানের দুই সিনেমা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মাত্র দুটি কাজ করলেই ক্যান্সার উধাও!

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ওশ স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, মস্কো, রাশিয়ার ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. গুপ্তপ্রসাদ রেড্ডি (বি ভি) বলেছেন, ক্যান্সার কোনো মরণব্যাধি নয়, কিন্তু মানুষ এই রোগে মারা যায় শুধুমাত্র উদাসীনতার কারণে।

তার মতে, মাত্র দুটি উপায় অনুসরণ করলেই উধাও হবে ক্যান্সার। উপায়গুলো হচ্ছে:-

১. প্রথমেই সব ধরনের সুগার বা চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন। কেননা, শরীরে চিনি না পেলে ক্যান্সার সেলগুলো এমনিতেই বা প্রাকৃতিকভাবেই বিনাশ হয়ে যাবে।

২. এরপর এক গ্লাস গরম পানিতে একটি লেবু চিপে মিশিয়ে নিন। টানা তিন মাস সকালে খাবারের আগে খালি পেটে এই লেবু মিশ্রিত গরম পানি পান করুন। উধাও হয়ে যাবে ক্যান্সার।

মেরিল্যান্ড কলেজ অব মেডিসিন- এর একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কেমোথেরাপির চেয়ে এটি হাজার গুণ ভাল।

৩. প্রতিদিন সকালে ও রাতে তিন চা চামচ অর্গানিক নারিকেল তেল খান, ক্যান্সার সেরে যাবে।

চিনি পরিহারের পর নিচের দুটি থেরাপির যেকোনো একটি গ্রহণ গ্রহণ করুন। ক্যান্সার আপনাকে ঘায়েল করতে পারবে না। তবে অবহেলা বা উদাসীনতার কোনো অজুহাত নেই।

উল্লেখ্য, ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ডা. গুপ্তপ্রসাদ গত পাঁচ বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এই তথ্যটি প্রচার করছেন।

সেই সঙ্গে তিনি সবাইকে অনুরোধ করেছেন এই তথ্যটি শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।

তিনি বলেছেন, “আমি আমার কাজটি করেছি। এখন আপনি শেয়ার করে আপনার কাজটি করুন এবং আশেপাশের মানুষকে ক্যান্সার থেকে রক্ষা করুন।” 

সূত্র     :- রেড্ডি


আরও খবর

বছরে ক্যানসারে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




রাজপুর উপজেলা কৃষক দলের নেতা কর্মীদের সতর্ক করে নোটিশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নসিম আকনের সদস্য পদ স্থগিত করার প্রতিবাদে গত ২৫ জানুয়ারি কৃষক দলের প্যাডে একটি নোটিশ করা হয়। 

ঝালকাঠী জেলা বিএনপি কর্তৃক রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ নাসিম উদ্দিন আকনের দলীয় পদ স্থগিত করার কারণে রাজাপুর উপজেলা বিএনপি ও সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের সিদ্বান্তে অংশ এক প্রতিবাদ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল রাজাপুর উপজেলার সকল কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ তারিখ বিকেলে ঝালকাঠি জেলা কৃষক দল রাজাপুর উপজেলা কৃষক দলকে সতর্ক করে নোটিশ করে।   নোটিশে বলা  হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলা শাখা কমিটি গত ০১/০৯/২০২৪ইং তারিখে বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। অথচ গত ২৫/০১/২০২৫ই তারিখ রাজাপুর উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ফেইজবুক এর মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে একটি পোষ্ট করেছেন। উহা সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি ও ভিত্তিহীন। জাতীয়তাবাদী কৃষকদল ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলা শাখার কোন কমিটির অনুমোদন নেই। অতএব যাহারা এ ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করেছেন তাদেরকে আগামীদিন গুলোর জন্য সর্তক করা হইল। ভবিষতে এহেন কর্মকান্ড সংঘঠিত হলে জেলা কৃষকদল আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এ বিষয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক জানান, আমাদের কমিটি বিলুপ্ত করার পরেও জেলা - উপজেলার কর্মসূচী পালন করেছি। জেলার প্রোগ্রামে আমাদের ডাকে। আমরা নতুন করে জেলাতে অনুমোদনের নতুন কমিটিও সাবমিট করেছি। আমরা সেই অনুযায়ী বিবৃতি দিয়েছি।


আরও খবর



যাত্রীদের জিম্মি করে কর্মসূচি দুঃখজনক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

যাত্রীদের জিম্মি করে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মসূচি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, এতে সাধারণ মানুষই বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ট্রেন চলাচল বন্ধের পর সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করতে এসব কথা বলেন তিনি।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, স্টাফদের দাবির বিষয়ে আমাদের আলোচনার দরজা সব সময় খোলা রয়েছে। প্রয়োজনে আমরা তাদের সঙ্গে আবারও আলোচনা করব এবং অর্থ বিভাগেও তাদের এই দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনা করব।

তিনি বলেন, যাত্রীদের ভোগান্তি যাতে কম হয় সেজন্য ইতোমধ্যে গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি। এরপরও কোনো যাত্রী যদি স্টেশনে আসেন তাদের সুবিধা বিবেচনা করে আমরা বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যাতে করে রেলের যে রুট গুলো আছে সেখানে যাত্রীরা যেতে পারে।

রেলপথ উপদেষ্টা বলেন, স্টাফদের যে দাবি মাইলেজ অ্যালাউন্সের দাবি, তা দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তাদের এই দাবির অনেক অংশ আমরা ইতোমধ্যে পূরণ করেছি। বাকি দাবিগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করতে প্রস্তুত আছি। রেলতো কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি না, এখানে আলোচনার সুযোগ আছে। রেল বন্ধের ফলে কিন্তু সরকারের অসুবিধা হচ্ছে না, অসুবিধা সাধারণ যাত্রীদের হচ্ছে। আমরা চাই এর সমাধান দ্রুত হোক। কারণ সামনে ইজতেমা আছে।

এসময় বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, কমলাপুর ও এয়ারপোর্ট স্টেশনে যাত্রীদের জন্য দশটি করে মোট ২০টি গাড়ি প্রস্তুত আছে। প্রয়োজন হলে বাস আরও বাড়ানো হবে।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপি-জামায়াত মতভেদ বাড়ছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

২০২৪ সালে রক্তঝরা জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে এ আন্দোলনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ছিল অন্যতম সহসংগ্রামী।

গত ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসন হটাতে জেল-জুলাম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এ দুদলের নেতাকর্মীরা। এ দুদলের ছাত্র-তরুণরা বিপুল ত্যাগ শিকার করেছেন হাসিনা সরকারকে গদিছাড়া করতে। তারা হয়েছেন হত্যা ও গুমের শিকার। তাদের ও দেশবাসীর আশা ছিল আন্দোলনের শক্তিগুলো ঐকমত্য থেকে দেশকে গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথে এগিয়ে নেবে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে আইনের শাসন পরিপন্থি কাজ এবং সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জেঁকে বসা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এখন বাস্তবতা বলছে অন্য কথা। জাতীয় নির্বাচন আগে নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে—এই প্রশ্নে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রবল দ্বিমত। এ প্রশ্নে দল দুটির নেতারা কার্যত বিপরীতমুখী অবস্থান নিচ্ছে ক্রমেই। যা এখন দেশবাসীর সামনে পরিষ্কার।

ভোটবর্জনের ঘোষণা দিতে পারে বিএনপি

জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনোভাবেই স্থানীয় নির্বাচন চায় না বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। দলটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের পেছনে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর কূটকৌশল রয়েছে। এতে সুবিধা পাবে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল। এক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিলে ভোটবর্জনের মতো সিদ্ধান্তও নিতে পারে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো।

এদিকে এলজিআরডি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জানা গেছে, নির্বাচন নিয়ে সরকারের এমন অবস্থানের পক্ষে নয় বিএনপি। নীতিনির্ধারণী ফোরামে এ নিয়ে বিস্তর আলোচনাও করেছে দলটি। সিদ্ধান্ত হয়েছে শেষ পর্যন্ত সরকার স্থানীয় নির্বাচন করলে সমর্থন দেবে না বিএনপি। এমনকি আসতে পারে ভোটবর্জনের মতো ঘোষণাও। বিষয়টি নিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো স্থানীয় নির্বাচনকে আমরা মেনে নেব না। জনগণের প্রথম দাবি রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সরকার।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অনির্বাচিত এরশাদ সরকারের আমলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের খারাপ নজির রয়েছে। সেই উদাহরণ টেনে বিএনপি নেতারা বলছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের নামে অহেতুক সময়ক্ষেপণ করা হবে। এর পেছনে রয়েছে সমন্বয়কদের নতুন রাজনৈতিক দলকে শক্তিশালী করার কূটকৌশলও।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বলেন, এদের (সরকার) মূল লক্ষ্য নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়া। অন্যদিকে, ছাত্রদের সমন্বয়ে যে দল হচ্ছে তাদের সময় দেওয়া; যাতে তারা গুছিয়ে নিতে পারে। তাদের তো কোনো ক্যাডার নেই। তারা ভাবছে, একবার স্থানীয় সরকার নির্বাচন করে দিলে চেয়ারম্যান, মেম্বার এরাই তাদের ক্যাডার হবে। এরাই তাদের দলকে ধরে রাখবে। এই উদ্দেশেই তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা বলে। এর বাইরে কোনো মহৎ উদ্দেশ্য নেই। ক্ষমতা যতদিন পারা যায় বিলম্বিত রাখা যায়, সেই উদ্দেশেই এমন কথা বলছে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। একটি নির্বাচন করতে তিন চার মাস সময় লাগে। উপজেলা, পৌসভা বা সিটি করপোরেশনে আরো সময় লাগে। এক্ষেত্রে এই নির্বাচনের জন্য এত দীর্ঘসময় তো নেই।

বিএনপি জোটের শরিক নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নাও স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এরশাদ আমলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করাই ছিল পার্টি বানানোর ধান্দা। এরকম সন্দেহ তো সবার ভেতরে ভেতরে। সরকারকে এই প্রশ্নে পড়তে হবে কেন? যদি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন (জাতীয় নির্বাচন) করা যায়, তাহলে সেটি (স্থানীয় নির্বাচন) পরে হবে। এই বিবেচনায় আমি মনে করি, এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচন দরকার নেই।

যদিও মাহমুদুর রহমান দাবি করেন, জনগণের সেবার জন্য স্থানীয় সরকার প্রয়োজন। তবে রাজনৈতিক সরকারের অধীনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে তিনি। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর শীর্ষ নেতারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মূল কাজ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা।

সংস্কার শেষে নির্বাচন চায় জামায়াত

এক যুগ পর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে ‘জরুরি সংস্কার’ সেরে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি তুলে ধরেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পূর্ণ করে, নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু করতে যেটুকু সংস্কার লাগে সেটুকুই করুক সরকার। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনে সমর্থন রয়েছে জামায়াতের। তিনি বলেন, কমিশনকে আমরা পরামর্শ দিয়েছি, জনগণের আকাঙ্ক্ষা, জনগণ চায় স্থানীয় নির্বাচন আগে হোক। আমরা জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন ও সম্মান জানাই।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। বৈঠকে জামায়াত সেক্রেটারি ছাড়াও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, নির্বাহী পরিষদের সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ, প্রকাশনা ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মজলিসে শূরা সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসূফ আলী, জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, পূর্বের তিনটি নির্বাচনে জনগণ যে ভোট দিতে পারেনি, সেই নির্বাচনেরই পুনরাবৃত্তি ঘটবে যদি সংস্কার সঠিকভাবে না হয়। এ দেশের জনগণ ২ হাজার ছাত্র-জনতার জীবন, ৩০ হাজার আহত জনতার রক্ত বৃথা যেতে দেবে না। এ জন্য আমরা বলেছি, সংস্কার সম্পূর্ণ করে, নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু করতে যেটুকু সংস্কার লাগে সেটুকু করুক। আমরা পুরো রাষ্ট্রের সংস্কারের কথা বলিনি। অনেকে এটা নিয়ে ভুল বোঝার চেষ্টা করেন। এটা (সংস্কার) করতে গেলে সময় লাগে, এটা সরকারের দায়িত্ব বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করতে গেলে যে সংস্কারটুকু ন্যূনতম প্রয়োজন, তার জন্য যতটুকু সময় যৌক্তিক প্রয়োজন, জমায়াতে ইসলামী সে সময় দিতে প্রস্তুত। আমরা কোনো দিন, মাস, ক্ষণ বেঁধে দিইনি। সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য ‘যৌক্তিক সময়’ নিয়ে জামায়াতে ইসলামী বরাবরই আগের অবস্থানে রয়েছে বলে জানান সেক্রেটারি জেনারেল।

ডিসেম্বর ধরে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, গভর্মেন্ট একটি টেনটেটিভ আইডিয়া দিয়েছে। তারা যদি তাদের ঘোষিত সময়ে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা সম্পূর্ণ শেষ করে নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার করতে পারেন তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। মাস আমাদের কাছে ফ্যাক্টর নয়। সংস্কারটা পূর্ণ করে নির্বাচন ফেয়ার হবে কিনা, সেটার জন্য যে মাস লাগে তাতে আমরা প্রস্তুত আছি।

সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯১(এ) অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল দাবি করা হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশে এ ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছিল।’

‘প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত, সরকারি চাকরি থেকে অবসরের তিন বছর পূর্ণ না হলে নির্বাচন নয়- এমন বিধানের সুপারিশ করা হয়েছে।’

ডিসেম্বর ধরে ভোটের প্রস্তুতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা বলেছি, সরকার একটি টেনটেটিভ আইডিয়া দিয়েছে। তারা যদি তাদের ঘোষিত সময়ে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা সম্পূর্ণ শেষ করে নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার করতে পারেন, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। মাস আমাদের কাছে ফ্যাক্টর নয়। সংস্কারটা পূর্ণ করে নির্বাচন ফেয়ার হবে কিনা, সেটা জন্য যত মাস লাগে আমরা প্রস্তুত আছি।’

এ জামায়াত নেতা জানান, প্রস্তাবনার মধ্যে প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর); আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব হারের নির্বাচনব্যবস্থা চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্বের ৬০টি দেশে এ ব্যবস্থা চালু রয়েছে।

‘পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত রেখে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এ ব্যবস্থা দরকার বলে আমরা সুপারিশ করেছি।’

অনিয়মের জন্য ভোট আংশিক বা পূর্ণাঙ্গ বাতিলের ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার বিষয়েও সুপারিশ রয়েছে জামায়াতের।

তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ৯১(এ) অনুচ্ছে পুনর্বহাল দাবি করা হযেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশে এ ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছিল।’

প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত, সরকারি চাকরি থেকে অবসরের তিন বছর পূর্ণ না হলে নির্বাচন নয়- এমন বিধানের সুপারিশ করা হয়েছে।

শর্ত পূরণ না হওয়ার যুক্তি দিয়ে এক রিট মামলার রায়ে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্ট। তাদের জন্য বরাদ্দ মার্কা দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের তালিকা থেকে বাদ দেয় নির্বাচন কমিশন।

জামায়াত আপিল বিভাগে গেলেও ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে দলটির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন করা হয় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে। গত ২০ অক্টোবর তা পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। ফলে দলটির নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার আশা তৈরি হয়।

সেই প্রসঙ্গ ধরে এক প্রশ্নে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, নিবন্ধনের বিষয়ে তারা আদালতে ‘ন্যয়বিচার’ পাবেন বলে আশা করছেন। তিনি বলেন, ‘নিবন্ধন আইনে এত কঠিন শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এ কঠিন শর্ত পূরণ করে (নিবন্ধন করা) রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে। এ আইনটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটা বাতিল করতে হবে। দল ও রাজনীতি করার অধিকার সবার।’ এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, ‘নিবন্ধনের কোনো প্রয়োজনই নেই। দল হলেই নির্বাচন (করবে)। ২০০৮ সালের আগে নিবন্ধন আইনই ছিল না। এসব করে রাজনৈতিকভাবে দল ও রাজনীতি করার অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। এ আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না, গাছ কাটার আগে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মণ্ডল ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডিএজি মো. শফিকুর রহমান, মাহফুজ বিন ইউসুফ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবীর রোমেল।

পরে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, সারা দেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও পরিবেশ দূষণ বন্ধ করে মানুষের জীবন ও সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন এইচআরপিবি ২০২৪ সালে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। সেই রিট পিটিশন শুনানি শেষে ২০২৪ সালের ৭ মে আদালত বিবাদীদের প্রতি, ‘ঢাকার দুই সিটি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গাছ কাটা কেন মানবাধিকারের পরিপন্থি হবে না এবং ‘সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪’ অনুযায়ী বপনকৃত গাছ না কেটে বরং ওই গাছের মূল্যের সমপরিমাণ টাকা কেন বপনকৃত ব্যক্তিদের প্রদান করা হবে না এবং গাছ কাটতে হলে সব পর্যায়ে কেন ৭ সদস্যর কমিটির হতে অনুমোদন নিতে হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

‘সেই রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট কতিপয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন। আদালত রায়ে বলেন, দেশে দিনদিন তাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিক সংখ্যক গাছ সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। ব্যাপকভাবে গাছ কর্তন করা হলে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। যা আমাদের বেঁচে থাকার অধিকারকে খর্ব করবে। আদালত আরও বলেন, পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য যে পরিমাণ গাছ বাংলাদেশে থাকা দরকার, সে পরিমাণ গাছ নেই এবং এই গাছগুলোকে রক্ষা করা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।’

শুনানিতে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, বাংলাদেশে দিনদিন গাছ কাটার মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং একটি দেশে যে পরিমাণ গাছ থাকা দরকার, সেই পরিমাণ গাছ বাংলাদেশ নেই। আর অবস্থায় যদি আরও বেশি গাছ কাটা হয়, তাহলে তা হবে পরিবেশের জন্য হুমকির সমান। এই কারণে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে লাগানো গাছ না কেটে বরং যারা গাছ বপন করেছেন. তাদের গাছের মূল্য পরিশোধ করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অনুমতি একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা এবং তাদের কাছ থেকে গাছ কাটার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশনা প্রার্থনা করেন। সাত দিনের মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরকে গাছ কাটার অনুমতি নেওয়ার জন্য পরিবেশবাদী, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসরদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে সাত দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে জেলা প্রশাসক, জেলা পরিবেশ কর্মকর্তা, সরকারি কলেজের অধ্যাপক, সমাজকর্মী, পরিবেশবিদ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা সিভিল সার্জনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে, যারা জেলা পর্যায়ের গাছ কাটার অনুমতি প্রদান করবেন।

আদালত আরও একটি আদেশে জনপ্রশাসন সচিবকে আগামী সাত দিনের মধ্যে সব জেলা প্রশাসকদের প্রতি একটি সার্কুলার ইস্যু করে উপজেলা পর্যায়ে গাছ কাটার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা, এসি ল্যান্ড এবং এলজিইডির নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়, যারা উপজেলা পর্যায়ের গাছ কাটা সম্পর্কে অনুমতি প্রদান করবে।

এছাড়া রায়ে আরও বলা হয়েছে, ‘সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪’ এর অধীনের রোপণকৃত গাছকাটা যাবে না। বরং গাছের সমমূল্যে টাকা রোপণকারীকে প্রদান করতে হবে। এই মর্মে সামাজিক বনায়ন বিধিমালায় পরিবর্তন আনার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। রিটকারীরা হলেন— অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এখলাস উদ্দিন ভুঁইয়া ও অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ই।


আরও খবর