Logo
শিরোনাম

শিশু আছিয়া হত্যা মামলার রায় ১৭ মে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় আগামী ১৭ মে শনিবার ঘোষণা করবেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে অভিযোগ গঠনের ২১ দিনের মাথায় আলোচিত এই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হলো।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে এ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১২ মে সকাল ১০টায় মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়ে দুপুর ১২টায় শেষ হয়। তবে প্রথমদিন কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় আজ আবারও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়।

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মকুল বলেন, মাগুরার চাঞ্চল্যকর আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার যুক্তিতর্কের দিন ধার্য ছিল। আদালতে সকালে এই বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের উপস্থিতিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এই মামলায় মোট ২৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলাটিতে সাতটি জব্দ তালিকা ছিল। এই সাতটি জব্দ তালিকায় ১৬ জন সাক্ষী ছিল। যার মধ্যে ১২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্যপ্রমাণসহ সাক্ষ্য দিয়ে তাদের জব্দ তালিকাকে সত্যায়ন করেছেন। জব্দ করা আলামতকে আদালতে সত্যায়ন করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, এই মামলায় তিনটি মেডিকেল সার্টিফিকেট ছিল। পাঁচ ডাক্তার মেডিকেল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করেছিলেন। তারা ইতোমধ্যে আদালতে সাক্ষী দিয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেটকে সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছেন এবং মেডিকেল সার্টিফিকেটে তারা তাদের স্বাক্ষর শনাক্ত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, সর্বোপরি এ মামলায় ২৯ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়ে আদালতে আসামি হিটু শেখের বিরুদ্ধে ২০০০ সালে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধিত আইন ২০০৩ এর ৯ এর দুই ধারাকে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সম্পূর্ণরূপে সক্ষম হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের শিশু আছিয়া। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

ঘটনার পর দেশজুড়ে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান। স্থানীয় আইনজীবীরাও অভিযুক্তদের জন্য কোনো ধরনের আইনি সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দেন।

মামলার মূল আসামি শিশুর বোনের শ্বশুর হিটু শেখ গত ১৫ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। যেখানে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তিনি একাই জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিলেও গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মামলার চার আসামির বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনে তদন্তকার ৮ বছরের শিশুটি।


আরও খবর



ব্যাংকে গড়াচ্ছে সঞ্চয়পত্রের টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে গেল অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে এক প্রকার মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল মানুষ। ফলে পুরো অর্থবছরে বিক্রির চেয়ে সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর প্রবণতা ছিল বেশি। তবে চলতি অর্থবছরে এ খাতে বিনিয়োগে উল্টোচিত্র দেখা যাচ্ছে। সর্বশেষ আগস্ট মাসে সঞ্চয়পত্রে নিট বিনিয়োগ হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। আগের মাস জুলাইতে নিট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল আরও বেশি, প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। সব মিলে দুই মাসে নিট বিনিয়োগ ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

তবে একই সময়ে ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। চলতি অর্থবছরের দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ব্যাংকগুলোয় আমানত কমেছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। এর প্রভাবে আগস্ট শেষে বার্ষিক আমানতের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আস্থা সংকটে দুর্বল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে এখনো আমানত তুলে নেওয়ার প্রবণতা অব্যহত আছে। সেই আমানতের একটা অংশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ হিসেবে আসছে। আবার সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর প্রবণতাও কমেছে। সব মিলে সঞ্চয়পত্রে নিট বিনিয়োগে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, সঞ্চয়পত্রের নিট বিনিয়োগ সরকারের ঋণ হিসেবে গণ্য হয়। এটা বাজেট ঘাটতি অর্থায়নে ব্যবহার করে সরকার। নিম্ন মধ্যবিত্ত, সীমিত আয়ের মানুষ, মহিলা, প্রতিবন্ধী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সঞ্চয়পত্রের বিভিন্ন প্রকল্প চালু রয়েছে। সামাজিক সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে সঞ্চয়পত্রে তুলনামূলক বেশি মুনাফা (সুদ) দেয় সরকার। বর্তমানে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সুদের হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

এ ছাড়া পরিবার সঞ্চয়পত্রে সুদের হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে সুদ ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে সুদের হার ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। অনদিকে বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পর ব্যাংককে ঋণের সুদহারের পাশাপাশি আমানতের সুদহার বেশ বেড়েছে। বর্তমানে কোনো কোনো ব্যাংকে আমানতের সুদের হার ১২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তার পরও ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের কারণে আগে থেকেই ব্যাংক খাতের ওপর মানুষের আস্থার ঘাটতি তৈরি হয়েছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হয় জুলাই মাসের অস্থিরতা। এ সময় পাঁচ দিনের ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট, তিন দিন ব্যাংক বন্ধ থাকা এবং দেশজুড়ে অস্থিরতার কারণে ব্যাংকিং কার্যক্রমে এক প্রকার মন্দা নেমে আসে। এর মধ্যেই এস আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকা অবস্থায় বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের সংকটে পড়া ব্যাংকগুলো পুনর্গঠন করার পর ওইসব ব্যাংক থেকে আমানত তোলার বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। এই আমানতের একটা অংশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ হিসেবে আসছে।

এদিকে ব্যাংকে আমানতের সুদ বাড়ায় সঞ্চয়পত্রের সুদহারও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া এখন থেকে সঞ্চয়পত্রের মেয়াদপূর্তির দিনই মুনাফাসহ আসল টাকা গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে জমা করার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডসহ সঞ্চয় অধিদপ্তর পরিচালিত ১১টি সঞ্চয় স্কিমের বিনিয়োগগুলো মেয়াদ শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনঃবিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে। এসব পদক্ষেপের ফলে আগামীতে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়ার আশা করা হচ্ছে।

সঞ্চয়পত্রের নিট বিনিয়োগ ইতিবাচক : এবার সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে মাত্র ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকার নিট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রাপ্ত তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) মোট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৯ হাজার ২৪ কোটি টাকা। একই সময়ে আগের কেনা সঞ্চয়পত্র ভাঙানো বাবদ আসল পরিশোধ হয়েছে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ফলে নিট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে গত অর্থবছরের সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে নিট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৮ হাজার কোটি টাকা। তবে বিক্রি ধারাবাহিক কমতে থাকায় সংশোধিত বাজেটে এই লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৭ হাজার ৩১০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হয়নি। উল্টো পুরো অর্থবছরে নিট বিনিয়োগ ঋণাত্মক হয়েছিল প্রায় ২১ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে অর্থবছরের প্রথম দুই প্রায় ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকার নিট বিনিয়োগ ঋণাত্মক হয়েছিল। আর অর্থবছরের শেষ দুই মাসে নিট বিনিয়োগ ঋণাত্মকের পরিমাণ ছিল আরও বেশি, প্রায় ৬ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা।

জানা যায়, সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগে ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে এনআইডি ও টিআইএন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। ফলে যারা আগে সঞ্চয়পত্র কিনেছিলেন, তাদের অনেকেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে নতুন করে আর এতে বিনিয়োগ করেননি। আবার বর্তমানে ৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ওপর অর্জিত সুদের বিপরীতে ১০ শতাংশ কর দিতে হয়। এ ছাড়া বিনিয়োগের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সঞ্চয়পত্রের সুদের হারের নানা স্তর চালু করা হয়। এসব কড়াকড়ির পাশাপাশি উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে গত অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের নিট বিনিয়োগ বড় প্রভাব পড়েছিল।

ব্যাংকে আমাতের প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী : বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সর্বশেষ গত আগস্ট মাস শেষে ব্যাংক খাতে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৩১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা, যা গত জুনে ছিল ১৭ লাখ ২০ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। ফলে দুই মাসের ব্যবধানে আমানত কমেছে প্রায় ১০ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে আগস্ট মাসে কমে ২ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা। আর জুলাই মাসে কমে ৮ হাজার ১৯৮ কোটি টাকা। এর ফলে বার্ষিক আমানতের প্রবৃদ্ধি আরও নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। গত আগস্টে বার্ষিক আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৭ দশমিক ০২ শতাংশ, যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর চেয়ে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছিল গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। অথচ কয়েক মাস আগে এ খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশের ওপরে ছিল।

গত বছরের ডিসেম্বরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ। এর আগে দেশে করোনার আঘাত আসার মধ্যেও আমানতের প্রবৃদ্ধি বাড়তে বাড়তে ২০২১ সালের মে মাসে সর্বোচ্চ ১৪ দশনিক ৪৭ শতাংশে উঠেছিল। কিন্তু তারপর থেকে টানা কমতে থাকে আমানতের প্রবৃদ্ধি। গত বছরের ডিসেম্বরে আমানতের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি নেমে আসে মাত্র ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশে, যা ছিল ইতিহাসে এযাবৎকালের সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি। এ ছাড়া গত কয়েক মাস ধরে মানুষের হাতে নগদ অর্থ ধরে রাখার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আলোচ্য দুই মাসে ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে নগদ টাকা বেড়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।


আরও খবর



ঢাকায় যারা থাকেন বা যাচ্ছেন তারা যে সব বিষয়ে সাবধান হবেন!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

১। ফার্মগেটে হঠাৎ দেখতে পেলেন, কতগুলো মানুষ একজন মানুষ কে মেরে রক্তাত্ত করে চলেছে আর সে আপনাকে বলছে ভাই, সাহায্য করেন। আপনি দয়া দেখাতে গিয়ে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলেই বিপদ হতে পারে। ওরা আপনাকে মেরে সব কিছু নিয়ে যেতে পারে, কারণ তারা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র।

২। ওভার ব্রিজ এর উপর মহিলা কাঁদছে যে, সে যার সাথে দেখা করবে তার মোবাইলে কল দিতে হবে কিন্তু তার কাছে টাকা নেই। বলবে আপনার মোবাইল দিয়ে সেই লোকের নাম্বারে মিসকল দিলেও সে ব্যাক করবে। আপনি কল দিলেন তো ফাঁদে পড়লেন। ওরা নিরীহ মানুষ দেখে তাদের নম্বর সংগ্রহ করে ও পরবর্তীতে সেই নাম্বারে কল করে লোভনীয় প্রস্তাব দেয়, রাজী হলে আপনাকে তাদের আস্তানাতে নিয়ে ব্লাক মেইল করবে।

৩। শাহবাগ, মহাখালী, যাত্রাবাড়ী জ্যামে আটকে আছেন, নানা ধরণের লিফলেট যেমনঃ দুর্বলতা,রোগে, নানা লোভে আপনাকে ফাঁদে ফেলার ব্যবস্থা।

এমন বলে যে রুম ডেট এর ব্যবস্থা আছে।

৪। রাস্তায় সুন্দর চোখ এর বোরকা আলি আপনার সাথে কথা বলতে চায়, প্রেমের প্রস্তাব নয়, কিন্তু ইসারা, যে আপনি ভাববেন একটু চেষ্টা করলে কাছে পাবেন, যদি তাই ভাবেন তবে ধরা পড়ার সম্ভাবনা শতভাগ। আপনাকে তাদের আস্তানায় নিবে, তারপর আর কিছু আপনার করা লাগবে না। সব হারাবেন। মেয়ে দিয়ে ব্লাক মেইল করবে।

৫। গাবতলি, সায়েদাবাদ, কিংবা সদরঘাট , মাওয়া, আরিচা, দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে বসে আছেন, দেখলেন যে বাইরে তাস, লুডু ইত্যাদি খেলছে, কাছে গেলেন কি ফেঁসে গেলেন।

৬। যাত্রাপথে অপরিচিত লোক এর সাথে মতবিনিময় করবেন খুবই কম। আপনি যে স্থানে যাবেন সে স্থান যেন আপনার পরিচিত।

৭। রেলগাড়ির ছাঁদে চলাচল করা থেকে বিরত থাকবেন, কারণ এক দল ছেলে পাওয়া যায়, যারা রেলের ছাদের উপর থেকে ছিনতাই করে ছাদ থাকে ফেলে দেয়।

৮। লঞ্চ এ কম যাত্রী থাকলে উঠবেন না।

৯। যারা দ্রুত যাতায়াত এর জন্য স্পীড বোট এ যাতায়াত করবেন তারা টাকা বা মুল্যবান কিছু সাথে নিবেন না। কারণ দেখা গিয়েছে যে, এক দল আছে যারা বোট ছাড়ার পর নির্জন স্থানে বোট ভিড়িয়ে ছিনতাই করে আপনাকে নামিয়ে দিতে পারে।

১০। হেঁটে যেতে হলে বিভিন্ন বাসের মাঝখান দিয়ে যাওয়া অনুচিত কারণ নেশাখোর ওঁত পেতে থাকে ছিনতাই এর জন্য।

এছাড়াও যাতায়াতের সময় এ জাতীয় অন্যান্য ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সচেতনতা সৃষ্টিতে শেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিন। ধন্যবাদ।।


আরও খবর



জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: প্রেস উইং

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা করছে বলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে দাবি করা হয়েছে তা নাকচ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্ট, তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে উল্লেখ করেছে, বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেমন এক্সে (পূর্বের টুইটার) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা করছে বলে মিথ্যা তথ্য ব্যাপকভাবে ছড়ানো হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়সহ বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী এই গুজব ছড়িয়েছে। গুজবে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের পতাকায় পাকিস্তান ও তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত চাঁদ-তারকার ইসলামী প্রতীক যুক্ত করা হবে।

প্রেস উইং জানায়, ডিজিটালভাবে তৈরি একটি কল্পিত পতাকার ছবি ভাইরাল হয়েছে, যার ভিউ সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ এবং এতে ব্যাপকভাবে সাড়া পড়েছে- বিশেষত পাকিস্তান, তুরস্ক ও মধ্যপ্রাচ্যের দর্শকদের মধ্যে।

প্রেস উইং বলছে, যে তথ্য হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

১৪ জুন ২০২৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত কোনো গণমাধ্যম এমন পরিকল্পনা বা আলোচনার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।

ফ্যাক্ট চেক জানায়, এই বিষয় নিয়ে জাতীয়ভাবে কোথাও আলোচনা হয়েছে এমন কোনো ভিত্তি নেই কিংবা দেশি বা আন্তর্জাতিক নির্ভরযোগ্য কোনো সংবাদমাধ্যম এই পদক্ষেপের কথা কোথাও উল্লেখ করেনি।

বাংলাদেশি ফ্যাক্ট-চেকিং প্ল্যাটফর্ম দ্য ডিসেন্ট জানিয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় একটি ভুয়া প্রতিবেদন প্রচার করেন যার শিরোনাম ছিল বাংলাদেশ তার পতাকায় পাকিস্তান ও তুরস্কের অনুকরণে ইসলামী চাঁদ যোগ করার কথা ভাবছে যা এআই দিয়ে তৈরি করা এবং লেখক রবার্ট ব্রাউনের নামে ৬ জুন প্রকাশিত হয়। এই ভুয়া প্রতিবেদনটিতে কোনো তথ্যসূত্র, প্রমাণ বা যাচাইযোগ্য উৎস নেই।

পাকিস্তানপন্থী এক্স অ্যাকাউন্ট @SouthAsiaIndex নামক আইডি থেকে গত ৪ জুন একটি পোস্ট থেকে এই গুজবের উৎপত্তি হতে পারে। যেখানে প্রথম একটি কাল্পনিক পতাকার ডিজাইন শেয়ার করা হয়। এই একই ছবি পরে সজীব ওয়াজেদের শেয়ার করা ভুয়া প্রতিবেদনে ব্যবহৃত হয়।

প্রেস উইং জানায়, এই মিথ্যাচার পরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহার করে জাতীয়তাবাদী বা রক্ষণশীল শ্রোতাদের মধ্যে পরিচয়ভিত্তিক উত্তেজনা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছে। এআই প্রযুক্তিতে তৈরি পতাকার ছবি প্রমাণ করে, যে তথ্য ছড়ানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

এটাই প্রথম নয়, জুলাই মাসে বাংলাদেশের গণ-আন্দোলনের পরে কয়েকটি অ্যাকাউন্ট- যেমন @AsianDigest- মিথ্যাভাবে দাবি করে যে-ছাত্রনেতারা নতুন জাতীয় পতাকার প্রস্তাব দিয়েছে। সেই পোস্টটি ৯০ হাজারের বেশি ভিউ পায়, পরে তা সম্পূর্ণভাবে খণ্ডন করা হয়, বলে প্রেস উইং জানায়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এমন কোনো বিষয় শেয়ার করার আগে তা যেন যাচাই করে নেন।

প্রেস উইং জানায়, বাংলাদেশে জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের পক্ষে কোনো আন্দোলন বা দাবি নেই এবং এসব কল্পিত গল্প কেবল সত্যকে বিকৃত করে অপ্রয়োজনীয় বিভেদ তৈরি করতে চায়।

প্রেস উইং বলছে, চলুন আমরা সত্য তথ্যকে প্রাধান্য দিই এবং ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকি।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আদালত অবমাননার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হাজির হওয়ার জন্য দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ৭ দিনের মধ্যে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি দৈনিকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে আজ রবিবার নির্দেশ দেন আদালত।

জানা গেছে, ভারত থেকে বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করা এবং হুমকির অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত দল। এ সময় বিচারকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ কেন আনা হবে না, তার ব্যাখ্যা দিতে শেখ হাসিনাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ২২৭টি মামলা হয়েছে, ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি, ভারত থেকে শেখ হাসিনার দেওয়া এমন অডিও বক্তব্যের সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এর আগে শেখ হাসিনার অডিও রেকর্ড পাওয়ার কথা জানিয়েছিল প্রসিকিউশন টিম। পরে আদালত আলামতের ফরেনসিক তদন্ত করার আদেশ দিয়েছিল। ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক একটি অভিযোগ দাখিল করেছে প্রসিকিউশন বিভাগ।

রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিবসহ আটজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে জুলাই বিপ্লবের প্রথম মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

গত ২১ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত শেষ হয়। প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান, ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিলেই বিচারের পরবর্তী ধাপ শুরু হবে।

আটজন আসামির মধ্যে ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন ও কনস্টেবল নাসিরুল ইসলাম কারাগারে রয়েছেন। এ ছাড়া সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা জোনের সাবেক এডিসি শাহ আলম মো. আকতারুল ইসলাম ও এসি মো. ইমরুল পলাতক রয়েছেন।


আরও খবর



আমরা নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছি

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বললেন, অর্থ মন্ত্রণালয় ছাড়াও নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছি। তিনি বলেন, অনেকেই আমাদের সমালোচনা করেন; অথর্ব বলেন। সমালোচনা করবেন, ঠিক আছে। তবে বাইরে এসব ভালো ইম্প্রেশন দেয় না। ইমেজ (ভাবমূর্তি) ক্ষুণ্ন হয়।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইকোনমিকস অলিম্পিয়াড-২০২৫ এর জাতীয় পর্যায়ের মূল পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আসন্ন বাজেট নিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অনেক ধরনের করছাড়ের কথা বলা হয়েছে। বাজেটের পরদিন এসব নিয়ে অনেক উত্তর দিতে হবে। তবে সাধারণ মানুষ বা সামাজিক পছন্দ ঠিক করাটা সহজ কাজ না। আর আইএমএফ (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) যা চেয়েছিল, তা এবার চাপিয়ে দিতে পারে নাই। আমরা একটা সমাধানে এসেছি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান।

এতে উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন, ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ, পূবালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, অর্থনীতি হলো প্রায়োগিক বিজ্ঞান। তাই স্কুল–কলেজ পর্যায়ে থেকে অর্থনীতিকে জনপ্রিয় করতে আমরা চেষ্টা করছি। এবার ২০ হাজার প্রতিযোগী ছিল। প্রতিবছর মনোযোগের কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ ইকোনমিক অলিম্পিয়াড।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, প্রতি দশকে আমাদের ১ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। এই প্রবৃদ্ধির সুফল সবাই পায়নি। ফলে বৈষম্য আরও বেড়েছে। এই প্রবৃদ্ধি যথেষ্ট কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারেনি। তরুণ বেকারত্ব বেড়েছে। গত আড়াই বছর উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে মানুষ জর্জরিত। রাজনৈতিক প্রভাবে একমুখী অর্থনীতি পরিচালনা করলে সমাজ পিছিয়ে যায়।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে মাসরুর আরেফিন বলেন, গত ৯ মাসে অনেক বেশি অর্জন হয়তো আসেনি। তবে ব্যাংকগুলোতে চলা অন্যায়, অনিয়ম বন্ধ হয়েছে। টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে। এটাই বড় অর্জন। তবে রাজনীতিতে অনিশ্চয়তা আবার বাড়ছে।

সপ্তমবারের আয়োজনে এবার সারাদেশে ২০ হাজার প্রতিযোগী থেকে জাতীয় পর্যায়ে ৫ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। তাদের স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ উপহার প্রদান করা হয়। এই পাঁচজন আজারবাইজানে আন্তর্জাতিক ইকোনমিক অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।


আরও খবর