Logo
শিরোনাম

শিশু আর বয়স্কদের জ্বর-সর্দি-কাশিসহ নানা অসুখ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

এখন প্রচণ্ড গরম পড়ছে! তাপমাত্রার এই ব্যাপক তারতম্যে প্রথম শিকার হয় শিশুরা। বড়দের মতো আবহাওয়ার দ্রুত তারতম্যের সাথে শিশুরা নিজেকে মানিয়ে নিতে অনেক সময়ই পারে না। গ্রীষ্মকালের গরম সবার জন্যই কষ্টকর। তবে শিশুরা খুব বেশি স্পর্শকাতর বলে অনেক গরম আবহাওয়ায় সহজে খাপ খাওয়াতে পারে না।

তাই অন্যান্য সময়ের তুলনায় গরমকাল শিশুদের জন্য বেশি কষ্টকর ও অসহনীয় হয়ে ওঠে। তাই জ্বর, পেট খারাপ, সর্দি, কাশিসহ নানা শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়। গরমে ভাইরাল জ্বরে ভুগতে পারে।

জ্বরের লক্ষণ

শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রাই (>৯৮.৬ ড় ফা.) হলো জ্বর। তবে, জ্বর কোনো রোগ নয়, শরীরের কোনো অসুস্থতা বা সংক্রমণের লক্ষণ অর্থাৎ রোগের উপসর্গ হলো জ্বর ।

বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন ধরনের জ্বর হতে পারে। যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডেঙ্গু, টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, নিউমোনিয়া, হাম এবং প্রস্রাবের সংক্রমণ ইত্যাদি নানা কারণে জ্বর হতে পারে।

জ্বরের সাধারণ চিকিৎসা

জ্বর কমানোর জন্য প্রথমে দেহের তাপমাত্রা কমানোর ওষুধ প্যারাসিটামল (এইস, নাপা) খাওয়াতে হবে। তবে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত এন্টিবায়োটিক সঠিক মাত্রায় পাঁচ থেকে সাত দিন খেতে হবে। তবে ভাইরাস জ্বরে এন্টিবায়োটিক লাগে না। শিশুদের বেলায় জ্বর হলে একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মনে রাখতে হবে ৩-৪ দিনের মধ্যে শিশুর জ্বর, সর্দি-কাশি না কমলে এবং জ্বর সাথে যদি শিশুর বেশি বমি হয় বা পাতলা পায়খানা হয়, অনবরত কাঁদতে থাকে, শরীরে গুটি বা দানা দেখা দেয়, খিঁচুনি হয় তাহলে জরুরিভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

প্রয়োজনীয় উপদেশ

  • গরমে শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে এবং ধুলাবালি থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে।
  • বাইরে বের হলে শিশুর জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি সবসময় সাথে রাখতে হবে।
  • ঘেমে গেলে ঘাম মুছে দিতে হবে। শরীরের ঘাম শুকিয়ে গেলে শিশুর ঠান্ডা লাগতে পারে।
  • যতটা সম্ভব শিশুকে সদ্য তৈরি খাবার ও তাজা ফলমূল খাওয়াতে হবে।
  • ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে, যেন র‌্যাশ জাতীয় সমস্যা না হয়।
  • প্রচুর পানি খাওয়াতে হবে, যেন প্রস্রাবের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে।
  • সদ্যজাত শিশুদের সবসময় ঢেকে রাখতে হবে, যেন শরীর উষ্ণ থাকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন ঘেমে না যায়।
  • গরমের সময় মশা, মাছি, পিঁপড়া ইত্যাদি পোকামাকড়ের প্রকোপ বেড়ে যায়। এগুলো শিশুর অসুস্থতার কারণ হতে পারে। ঘরকে পোকামাকড় মুক্ত রাখতে হবে।
  • গরমের সময় প্রচুর মৌসুমি ফল পাওয়া যায়। মৌসুমি ফল শিশুকে খেতে দিন। জুস করে দিতে পারেন। এতে শিশুর ভিটামিন চাহিদা মিটবে ও শিশুর পুষ্টিরও পূরণ হবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। 

আরও খবর

১০ মাসে ডেঙ্গুতে ৩০০ মৃত্যু

শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4




সংস্কার, দাবি, দুর্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। তিন দিন পর ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাস পূর্ণ হলো।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়েই কঠিন ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলাসহ নানা চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়েছে সরকারকে। পাশাপাশি জুডিসিয়াল ক্যু, প্রশাসনিক ষড়যন্ত্র, সংখ্যালঘু ইস্যু, আনসার বিদ্রোহ, পাহাড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হয় এই সময়ে। ধৈর্যের সঙ্গে এসব পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে সরকার।

গত মাসে জাতিসংঘে ড. ইউনূসের উপস্থিতি বিশ্বে বাংলাদেশকে অনন্য মর্যাদার আসনে নিয়ে যায়। বিশ্বনেতারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সহযোগিতারও প্রতিশ্রুতি দেন তারা। বাংলাদেশ প্রায় ৭০০ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুতি পায়।

বিগত সরকারের সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী মহলের হাত ধরে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে লাখো কোটি টাকা পাচার হয়ে যাওয়ায় ভঙ্গুর অর্থনীতি নিয়ে যাত্রা করে ড. ইউনূসের সরকার। তবে প্রবাসী আয়ের পালে হাওয়া লাগায় অর্থনৈতিক দুরাবস্থা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় রয়েছে সরকার। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি সরকার।

শিক্ষাঙ্গনেও অস্থিরতা পুরোপুরি কাটেনি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ক্লাস পরীক্ষা চালু হলেও এখনো অনেক প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা রয়ে গেছে। শিক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসে আছেন পতিত সরকারের অনুগতরা।

অন্যদিকে, যত্রতত্র বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় নেমে পড়ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, যার কারণে অস্থিরতা রয়েছে রাষ্ট্রে। এসব বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগও নেই সরকারের। অনেকে সরকারকে অস্থিরতায় ফেলতে এমন করছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে। বিশেষ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায় একটি গোষ্ঠী। অস্থিরতা রয়েছে পোশাকখাতেও। এখনও পোশাকখাতে শৃঙ্খলা ফেরানো যায়নি। বিক্ষোভে বন্ধ রয়েছে অসংখ্য পোশাক কারখানা।

ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। এতদিন ভারত বাংলাদেশের কাছ থেকে একতরফা পেয়ে আসছিল, এখন দেওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে ভারতকে। সম্প্রতি ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়। ভারতে অনীহার কারণে বহু বছর ধরে ঝুলে ছিল বিষয়টি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সক্রিয় করতে নানামুখী পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে ইতোমধ্যে।

অন্যদিকে, বন্যায় মাঠঘাট ডুবে যাওয়ায় উৎপাদন কমে যাওয়ায় উচ্চ দ্রব্যমূল্যে ভুগছে সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া অস্থিরতা রয়েছে জনপ্রশাসন, পুলিশ, ব্যাংক ও শিক্ষাখাতে। পুরোপুরি পুনর্গঠন করা যায়নি বিচার বিভাগ। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, কল-কারখানা অচলায়তন, বন্যাসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ মোকাবিলা করতে হচ্ছে সরকারকে। এসব মোকাবিলা করে ড. ইউনূস সরকারকে পুরোপুরি সফল হতে সময় লাগছে।

অভিযোগ রয়েছে, পুরোনো সরকারের আমলারা সরকারকে ঠিকমতো সহযোগিতা করছেন না। এ ছাড়া পদোন্নতি ও দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রতিনিয়ত সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে সরকারি চাকরিজীবীরা। অন্যদিকে প্রশাসনের লোকদের দুর্নীতির অভিযোগও সামনে আসছে। যা সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে। বেহাল আর্থিক খাতও। বিশেষ করে খেলাপি ঋণের ভারে জর্জরিত ব্যাংকিং খাত। এ ছাড়াও তারল্য সংকট, সুশাসনের অভাবসহ একাধিক সমস্যায় ভুগছে অনেকগুলো ব্যাংক।

প্রধান উপদেষ্টাসহ এ সরকারের সদস্যসংখ্যা ২১। উপদেষ্টামণ্ডলীতে রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার দুজন বিশেষ সহকারী, একজন আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত আছেন। মানবাধিকার, অর্থনীতি, প্রশাসন, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলাসহ নানা ক্ষেত্রে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত, পদক্ষেপসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।


ক্ষমতা গ্রহণের পর গত দুই মাসে প্রশাসনের শীর্ষপদে ব্যাপক রদবদল করেছে সরকার, যা এখনও চলমান আছে। আর্থিকখাতসহ বেশকিছু ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে সংস্কার উদ্যোগ। স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করে তাদের জায়গায় বসানো হয়েছে প্রশাসক। এদিকে কর্মবিরতি ও হামলার ভয় কাটিয়ে আবারও মাঠে ফিরেছে পুলিশ।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব থেকে শুরু করে নানা পদে বসানো হয়েছে নতুন কর্মকর্তাদের। দুর্নীতিবাজ অনেক কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। অনেককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে, অনেককে করা হয়েছে ওএসডি। পরিবর্তন করা হয়েছে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতও।

পুঁজিবাজারের অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালী করতে গঠন করা হয় একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কালাকানুন বাতিল করার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে সইও করা হয়েছে।

সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার বিরল সুযোগ পেয়েছেন। নানা কারণে প্রধান উপদেষ্টার এ সফরকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে গণতন্ত্র, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের যে ভাবমূর্তি সংকট ছিল, এ সফরে সেটি কাটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিও তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।


চার দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ ১২টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান।এছাড়াও বিশ্বব্যাংক, জাইকা, আইএমএফ, ইউএসএইড, এডিবিসহ আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সহযোগিতা দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।

এদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) সরকারের রাজস্ব আদায় আগের অর্থবছরের তুলনায় ১১ শতাংশ কম হয়েছে। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। রেমিট্যান্সের প্রবাহও বেড়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার যাত্রা শুরু হয়েছে দুর্গম পথের মধ্য দিয়ে। দুই মাসে সরকার এই পথ কতটা পাড়ি দিতে পেরেছে, তার মূল্যায়ণ স্বাভাবিকভাবেই জনগণ করবে।


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




পাহাড়ে সম্প্রীতি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বান্দরবান সেনা জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্নেল এ এস এম মাহমুদুল হাসান বান্দরবানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা নিয়ে পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বান্দরবান সেনা জোনের উদ্যোগে পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এএসএম মাহমুদুল হাসান (পিএসসি) বলেন, বান্দরবান একটি সম্প্রীতির জেলা। এখানে বাঙালিসহ ১২টি জাতিগোষ্ঠী তাদের নিজস্ব ধর্মীয় উৎসবগুলো সুষ্ঠুভাবে উদযাপন করে আসছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা যাতে অন্যান্য বছরের মতো আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় সে জন্য সেনাবাহিনী সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখবে। পূজা মণ্ডপগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর পেট্রোলিং টহল থাকবে। পাহাড়ে বসবাসরত সব জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি সবার মাঝে সম্প্রীতি বজায় রাখাতে সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর।

এ বছর বান্দরবান জেলায় ৩১টি পূজা মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা। আগামী ৯ অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে ১৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সেনা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মিঞা মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, ক্যাপ্টেন মো. সাজেদুর রহমান প্রমুখ।


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




কেশবপুরে ৫১তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image
উত্তম কুমার - যশোর জেলা  প্রতিনিধি::

যশোরের কেশবপুরে উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে ৫১তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ -২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ এস এম জিল্লু্র রশিদের সভাপতিত্বে ১০ অক্টোবর বিকালে শহরের পাবলিক ময়দানে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস আর সাঈদ, পাঁজিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওঃ আরিফ বিল্লাহ, বুড়িহাটি দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওঃ আব্দুল খালেক প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ, প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান, প্রধান শিক্ষক মোতাহার হোসেন, প্রধান শিক্ষক প্রভাত কুমার কুন্ডু, প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ক্রিড়া শিক্ষক সমিতির সভাপতি রাজু আহমেদ।

আরও খবর



পাহাড়ি ঢল আর ব্যাপক বৃষ্টি, শেরপুরে ভয়াবহ বন্যা

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

পাহাড়ি ঢলে ডুবেছে শেরপুর-ময়মনসিংহের ১৬৩ গ্রাম, নিহত ৪ :

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুর ও ময়মনসিংহের বেশ কিছু অংশে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। শেরপুরের নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় কমপক্ষে ১১৩টি গ্রাম এবং ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ৫০টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর বাঁধ ভেঙে ও পানি উপচে পড়ছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নদী দুটির পানি বাড়তে শুরু করে। রাতে পানির তোড়ে পোড়াগাঁও, নয়াবিল, রামচন্দ্রকুড়া, বাঘবেড় ইউনিয়নসহ পৌরসভার গড়কান্দা ও নিচপাড়া এলাকা প্লাবিত হয়। ঝিনাইগাতীতে উপজেলা পরিষদ চত্বর, সদর বাজারসহ ৪০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে

আকস্মিক এ বন্যায় গতকাল শুক্রবার (৪ অক্টোবর) নালিতাবাড়ীতে বৃদ্ধ ও নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া রাতে ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে উজান থেকে ভেসে এসেছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক ব্যক্তির মরদেহ। তবে এখন পর্যন্ত তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি

ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমীন বলেন, পাহাড় থেকে ভেসে আসা মরদেহটি দুর্গম এলাকার। শুক্রবার রাতে ওটা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, আমাদের ফোর্স মরদেহ উদ্ধারের জন্য সকালে রওনা হয়েছে

এছাড়া মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তঘেঁষা রানীশিমুল ও সিঙ্গাবরুণা ইউনিয়নের ১৩ গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঢলের পানিতে অনেক সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। আমনের খেত নিমজ্জিত হয়েছে

এদিকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেতাই নদের বাঁধ ভেঙে উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখলাক উল জামিল জানান, ভারী বর্ষণের ফলে নেতাই নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে আগামী দুদিনের মধ্যে এলাকার পানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি পুনর্নির্মাণ করা হবে

ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন জানান, যেসব এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে সেসব এলাকার জনপ্রতিনিধিদের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




ভারতে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ

প্রকাশিত:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ভারতের তামিল নাড়ুর ত্রিভাল্লুর বিভাগে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাতে দ্রুতগতির একটি এক্সপ্রেস ট্রেন ও মালবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে এক্সপ্রেস ট্রেনের অন্তত ১২টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পাশে পড়ে যায়। এছাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের পার্সেলের বগিতে আগুন ধরে ।

সূত্র জানিয়েছে, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় আহত ১০ যাত্রীকে পাশের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে

রেলের কর্মকর্তারা প্রাথমিক তথ্যে জানান, মায়সোর-ধর্বঙ্গা বাগমাতি নামের এক্সপ্রেস ট্রেনটি মালবাহী ট্রেনটিকে ধাক্কা মারে। ওই সময় মালবাহী টেনটি দাঁড়ানো ছিল

ভারতীয় রেলওয়ে এক বিবৃতিতে পরবর্তীতে জানায়, কাভারাইপেত্তাই স্টেশনে প্রবেশের সময় এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্রুরা তীব্র ঝাঁকুনি অনুভব করেন। ওই সময় ট্রেনটি সিগন্যাল অনুযায়ী মেইন লাইন দিয়ে না গিয়ে লুপ লাইনে যায়। ট্রেনটি লুপ লাইনে ৭৫ কিলোমিটার গতিতে ঢুকে মালবাহী ট্রেনটিকে ধাক্কা মারে

রেলওয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দিলিপ কুমার জানিয়েছেন, এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯৫ শতাংশ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত কেউ নিহত বা গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাননি

ভারতের রেলমন্ত্রীকে দুর্ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি নিজে নয়াদিল্লিতে রেলের ওয়ার রুম থেকে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। তারা আরও জানিয়েছেন, আহতদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা এবং অন্যান্য যাত্রীদের তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী


আরও খবর