Logo
শিরোনাম

শিশুদের আগস্ট মাসে টিকাদান শুরু হবে

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য ১৫ লাখের বেশি ডোজ টিকা আমদানি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছে শিশুদের করোনা টিকা। আগস্ট মাসে টিকাদান শুরু হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) জানিয়েছে, শনিবার (৩০ জুলাই) সকালে ঢাকায় পৌঁছেছে ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা।

সরকারের টিকা বিতরণ কর্মসূচির সদস্যসচিব ডা. সামসুল হক বলেন, চলতি মাসে টিকাদানের কথা থাকলেও নানা জটিলতায় তা সম্ভব হয়নি। এ জন্য আগস্টে টিকাদান শুরু হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে পরে দিনক্ষণ ঠিক করা হবে।

উল্লেখ্য, দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে প্রায় দেড় বছর আগে টিকাদান শুরু করে সরকার। পরে সেটি কমিয়ে ৭০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। ইতোমধ্যে প্রায় ১৩ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। পরিধি বাড়াতে প্রাপ্ত বয়স্কদের পাশাপাশি ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের পর এবার ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সরকারের জাতীয় ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির প্রধান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) অধ্যাপক ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আমরা মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়েছি। এবার ৫-১১ বছরের তথা প্রাইমারির শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাদের ক্ষেত্রেও ফাইজারের টিকা ব্যবহার করা হবে। জন্মনিবন্ধন দিয়ে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা নিতে হবে।


আরও খবর

ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রোটা ভাইরাস

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫




থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো বন্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানো বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান এ রিট দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।

রিটে থার্টি ফাস্ট নাইটে বাসা-বাসা বাড়ির ছাদ ও সব ভবন, উন্মুক্ত স্থান, পার্কে আতশবাজি ও পটকা ফুটানো এবং ফানুস ওড়ানো বন্ধে রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারির মতো কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া রাত ১০টা থেকে সড়ক, পার্ক ও উন্মুক্তস্থানে জনসমাগম বন্ধের পাশাপাশি আতশবাজি-পটকা ও ফানুস বেচাকেনা বন্ধ চাওয়া হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনাও রিটে চাওয়া হয়েছে।


আরও খবর

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংশোধনে আবেদন

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




সচিবালয়ের সামনে অনশনে জবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। প্রায় ৩২ ঘণ্টা অনশনে থাকা অসুস্থ শিক্ষার্থীরাও সেখানে এসেছেন। দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা এবার সচিবালয়ের সামনে আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে সচিবালয়ের পথে রওনা হন শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৫টার দিকে তারা সচিবালয়ের সামনে পৌঁছান। শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে স্লোগান দিচ্ছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান করবেন। সেখানে আমরণ অনশনও শুরু করেছেন তারা।

এর আগে সোমবার বিকেল ৩টায় ক্যাম্পাসে ব্রিফিং করেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, বিকেল ৪টার মধ্যে তাদের ৩ দফা দাবি মেনে না নিলে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করবেন তারা।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি পূরণে করণীয় ঠিক করতে সভা ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এ সভা হবে।

সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আহমেদ শিবলীর সই করা নোটিশে এ সভা আহ্বান করা হয়। তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জবি ক্যাম্পাসে গণ-অনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। রাত ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে ১৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের জবি মেডিকেল সেন্টারসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ছাত্ররা অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ায় কর্মসূচি চালিয়ে নিতে রাত ২টার দিকে গণ-অনশনে বসেন অর্ধশতাধিক ছাত্রী। তারা সকাল পর্যন্ত সেখানে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি

১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে সই করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ বৈঠকের মাধ্যমে তা শেষ করতে হবে এবং ভিজ্যুয়ালি সবার সামনে তা উপস্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনশনে থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। কয়েক মাস সময় নেওয়ার নাম করে কোনো প্রকার দীর্ঘসূত্রতার বন্দোবস্ত করা চলবে না।

২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।

৩. যতদিন পর্যন্ত আবাসন ব্যবস্থা না হয়, ততদিন ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই আমাদের এই কার্যক্রম আরও সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। বৈঠকে প্রকল্পের অবস্থাও বিশ্লেষণ করা হবে। এরপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভায় আমাদের দাবির অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।


আরও খবর



হাসিনার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল না

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং অন্যান্য ঘটনাপ্রবাহে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হাত ছিল না বলে জানিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। তাছাড়া তিনি বলেন, তার মনে হয়েছে, ভারতীয় কর্মকর্তারাও এ ধরনের মনোভাবই পোষণ করেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে (ইস্টার্ন টাইম) হোয়াইট হাউসের রুজভেল্ট রুমে একদল নির্বাচিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সুলিভান বাইডেন প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ককে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবে তুলে ধরেন।

সুলিভান সম্প্রতি ভারত সফর শেষ করে গেছেন। হিন্দুস্তান টাইমস তার কাছে জানতে চায় বাইডেন প্রশাসনের অধীনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিতর্কিত পরিস্থিতিতে শেষ হয়েছে কি না। এই প্রশ্নটি আসে শিখ নেতা গুরপতওয়ান্ত সিং পন্নুর হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশে ক্ষমতা পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সম্পর্কে ভারতে জল্পনা এবং ভারতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেট—ক্ষমতাসীন বিজেপির এমন অভিযোগের প্রেক্ষাপটে।

পাশাপাশি যাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিপ স্টেটের নেতৃত্বদানকারী’ হিসেবে বলা হয়, এমন অবস্থান থেকে সুলিভান কীভাবে এসব প্রশ্নের জবাব দেবেন?

সুলিভান বলেন, আমি প্রথমেই বিনয়ের সঙ্গে এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করব যে আমি ডিপ স্টেট পরিচালনা করি এবং একইসঙ্গে বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করব যে বাংলাদেশে ঘটনার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ছিল। বিষয়টি সম্পূর্ণ হাস্যকর। ভারতীয় শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার কথোপকথনের ভিত্তিতে, আমি বিশ্বাস করি না যে তারা মনে করেন আমরা এর পেছনে ছিলাম।


আরও খবর



আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন তামিম

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ (শুক্রবার) রাতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এই কথা জানিয়েছেন। এর আগে ২০২৩ সালের জুলাইতে বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তদের চমকে দিয়ে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তামিম। নাটকীয়ভাবে একদিন পরই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে তিনি ফের ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণা দেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেও এরপর আর খেলা হয়নি তামিমের। সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের দল থেকে তিনি সরিয়ে নেন নিজেকে। এরপর থেকে তার জাতীয় দলে ফেরার সময় নিয়ে অনিশ্চয়তার পেন্ডুলাম দুলছিল। আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে ঘিরে তামিমের জাতীয় দলে ফেরার তোড়জোড় শুরু হয় আবারও। সেই পরিস্থিতিতেই দ্বিতীয় দফায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি জানিয়ে দিলেন দেশসেরা এই ওপেনার।

অবসরের ঘোষণা দিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে তামিম লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেকদিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ। অনেকদিন ধরেই এটা নিয়ে ভাবছিলাম। এখন যেহেতু সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় একটি আসর, আমি চাই না আমাকে ঘিরে আবার অলোচনা হোক এবং দলের মনোযোগ ব্যাহত হোক।’

তামিমের পোস্টের বাকি অংশ হুবহু তুলে ধরা হলো– ‘এটা অবশ্য আগেও চাইনি। চাইনি বলেই অনেক আগে নিজেকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছি। যদিও অনেকেই বলেছেন, অনেক সময় মিডিয়ায় এসেছে, আমিই নাকি ব্যাপারটি ঝুলিয়ে রেখেছি। কিন্তু বিসিবির কোনো ধরনের চুক্তিতে যে নেই, এক বছরের বেশি সময় আগে যে নিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, তাকে পরিকল্পনায় রাখা বা তাকে নিয়ে আলোচনারও তো কিছু নেই। তারপরও অযথা আলোচনা হয়েছে। অবসর নেওয়া বা খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একজন ক্রিকেটার বা যেকোনো পেশাদার ক্রীড়াবিদের নিজের অধিকার। আমি নিজেকে সময় দিয়েছি। এখন মনে হয়েছে, সময়টা এসে গেছে।’

‘অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আন্তরিকভাবেই আমাকে ফেরার জন্য বলেছে। নির্বাচক কমিটির সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। আমাকে এখনও উপযুক্ত মনে করার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তবে আমি নিজের মনের কথা শুনেছি।’

‘২০২৩ বিশ্বকাপের আগে যা হয়েছে, আমার জন্য তা বড় ধাক্কা ছিল, যেহেতু ক্রিকেটীয় কারণে আমি দলের বাইরে যাইনি। তারপরও আমি যেখানেই গিয়েছি, ক্রিকেট ভক্তদের অনেকে বলেছেন, আমাকে আবার জাতীয় দলে দেখতে চান। তাদের ভালোবাসার কথা ভেবেছি আমি। আমার ঘরেও একজন অনুরাগী আছে। আমার ছেলে কখনও আমাকে সরাসরি বলেনি, কিন্তু তার মাকে বারবার বলেছে, বাবাকে আবার দেশের জার্সিতে খেলতে দেখতে চায়। ভক্তদের হতাশ করার জন্য আমি দুঃখিত। ছেলেকে বলছি, ‘‘তুমি যেদিন বড় হবে, সেদিন বাবাকে বুঝতে পারবে।


আরও খবর



কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে সরকার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে । এতে খরচ বাড়লো মোবাইলফোনে কথা বলা, হোটেল-রেস্তোরাঁ সেবা, ইন্টারনেট সেবা, কোমলপানীয়, সিগারেটসহ শতাধিক পণ্য ও সেবায়।

মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫।

এই দুটি অধ্যাদেশ জারির পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। ফলে এই অধ্যাদেশের পরিবর্তনগুলো সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়ে গেছে।

এ ছাড়া মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় আরও যুক্ত হবে মিষ্টি, ওষুধ, এলপি গ্যাস, ফলের রস, ড্রিংক, বিস্কুট, চশমার ফ্রেম, সিগারেটসহ নানা পণ্য। এর আগে ফ্রিজ, এসি ও মোটরসাইকেলেন করপোরেট কর বাড়ানোর পর শতাধিক পণ্যের ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ায় সরকার।

যেসব পণ্য ও সেবার খরচ বাড়বে

আগে মোবাইলফোনের সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের ওপর ২০ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপ হতো। এটি বাড়িয়ে এখন ২৩ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে মুঠোফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচও বাড়বে। ব্র্যান্ডের দোকান ও বিপণিবিতানের তৈরি পোশাকের আউটলেটের বিলের ওপর ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া সব ধরনের রেস্তোরাঁর ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

শুল্ক-কর বৃদ্ধির তালিকায় আরও আছে টিস্যু, সিগারেট, বাদাম, আম, কমলালেবু, আঙুর, আপেল ও নাশপাতি, ফলের রস, যে কোনো ধরনের তাজা ফল, রং, ডিটারজেন্ট, রং, মদের বিল, পটেটো ফ্লেক্স, চশমার প্লাস্টিক ও মেটাল ফ্রেম, রিডিং গ্লাস, সানগ্লাস, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও তাতে ব্যবহৃত তেল, বিদ্যুতের খুঁটি, সিআর কয়েল, জিআই তার ইত্যাদি। এছাড়া ভ্রমণকরও বাড়ানো হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ উড়োজাহাজের আবগারি শুল্ক ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে। সার্কভুক্ত দেশের জন্য এই শুল্ক বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। এশিয়া মহাদেশের দেশে (সার্কভুক্ত দেশ বাদে) ২০০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা করা হয়েছে। আর এসবের বাইরে অন্যান্য দেশে ৩০০০ টাকার আবগারি শুল্ক ৪০০০ টাকা করা হয়েছে।

নিম্ন, মধ্য, উচ্চ ও অতিউচ্চ সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে। আগে যা ছিল যথাক্রমে ৬০, ৬৫.৫, ৬৫.৫ ও ৬৫.৫ শতাংশ।

স্থানীয় ব্যবসায় ভ্যাটের হার ৫ থেকে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে ওষুধ ব্যবসার ক্ষেত্রে এ হার ২.৪ থেকে ৩ শতাংশ করা হয়েছে।

চলচ্চিত্র প্রদর্শক (প্রেক্ষাগৃহ), চলচ্চিত্র পরিবেশক, মেরামত ও সার্ভিসং, স্বয়ংক্রিয় ও যন্ত্রচালিত করাতকল, খেলাধুলার আয়োজক, পরিবহন ঠিকাদার, টেইলার্স, ভবন রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থা, খেলাধুলার ক্লাব, বোর্ড সভায় যোগদানকারী, মোটর গ্যারেজ, ডকইয়ার্ড, ছাপাখানা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ইলেকট্রিক পোলের ভ্যাট ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

নন-এসি হোটেলে, কিচেন টাওয়াল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, জোগানদার, সানগ্ল্যাস (প্লাস্টিক, মেটাল ফ্রেম) ফ্যাশন হাউজের ভ্যাট ৭.৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

রেস্তোরাঁ, ইভেন্টিং সংস্থার ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের ট্র‍্যান্সফরমার, নারকেল ছোবড়ার ম্যাট্রেস, চশমার ফ্রেম ও রিডিং গ্লাস (প্ল্যাস্টিক ও মেটাল), আম, আনারস, কলা, পেয়ারা ও তেঁতুলের পেস্ট বিআরটিএ থেকে সরবরাহ করা লেমেনেটেড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। চাটনি কেচাপ, হাতে তৈরি বিস্কুট, কেক, আচারের ভ্যাট হার একইভাবে বাড়ানো হয়েছে।

বার ও বারযুক্ত হোটেল মোটেলে সেবায় ভ্যাট হার ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া এলপি গ্যাসে ভ্যাট ৫ থেকে বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে। ইন্টারনেট সেবা (আইএসপি) তে ১০ শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়েছে।

ফলের রসে ৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। কার্বোনেটেড ও নন কার্বোনেটেড পানীয়তে যথাক্রমে ৩০ ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়েছে। বিভিন্ন ফল ও বাদামে ভ্যাট ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে।

ডিটারজেন্ট ১০ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ, সাবানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ, পেইন্টস ও ভার্নিসে ১০ শতাংশ ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।


আরও খবর