Logo
শিরোনাম

শিশুদের টিকা নিতে নিবন্ধন করতে হবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

করোনা মহামারি প্রতিরোধে ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। টিকা নিতে তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকালে এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং ন্যাশনাল ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সভাপতি মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি বলেন, ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের যাদের জন্ম নিবন্ধন নেই, তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করে নিতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আবেদন করার পর দ্রুত শিশুদের এই টিকা দেওয়া হবে।

মীরজাদী সেব্রিনা সবাইকে করোনার বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পাশাপাশি আসন্ন কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।


আরও খবর

বছরে ক্যানসারে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ভোটের অধিকার ফেরাতে জনগণকে সংকল্পবদ্ধ হতে হবে

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

গণতন্ত্রবিরোধী ও জনবিচ্ছিন্ন অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার মিলিত দুর্বার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এখন যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র, মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে জনগণকে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শুক্রবার গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একদলীয় বর্বর শাসন দীর্ঘায়িত করার অলীক স্বপ্নে শুধু গণতন্ত্রই নয়- দেশের ঐক্য, সংহতি ও সার্বভৌমত্বকে তারা সংকটাপন্ন করে তুলতেও দ্বিধা করেনি। বিরোধী দলের প্রতি আচরণে তারা (আওয়ামী লীগ) কখনই সভ্য রীতিনীতি অনুসরণ করেনি। তখন কারাগারই ছিল বিরোধী দলের ঠিকানা।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করার লক্ষ্যে বহুদলীয় গণতন্ত্রের গলাটিপে হত্যা করে বহুদলীয় ব্যবস্থার স্থলে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা ‘বাকশাল’ কায়েম করে। এই ব্যবস্থা কায়েম করতে গিয়ে তারা জাতীয় সংসদে বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে এক প্রকার গায়ের জোরেই অমানবিক মধ্যযুগীয় চতুর্থ সংশোধনী আইন পাশ করে। ওই সময় সব সংবাদপত্র বাতিল করে তাদের অনুগত চারটি পত্রিকা চালু রাখার ফরমান জারি করে। দেশবাসীর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফলে অর্জিত মানুষের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে তারা ভূলুণ্ঠিত করে সমাজে এক ভয়াবহ নৈরাজ্যের ঘন অমানিশা ছড়িয়ে দেয়।

অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষমতাকে চিরকাল কুক্ষিগত করার অসৎ উদ্দেশ্যে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেয়। একটি মাত্র দল বাকশাল ছাড়া অন্য সব দল এবং সরকার অনুগত ৪টি সংবাদপত্র ব্যতিরেকে সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু তাই নয়; সভা-সমাবেশ এবং মানুষের মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তারা বাকস্বাধীনতা ও মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করে মূলত মানবাধিকারকেই পদদলিত করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য বাকশালী সরকার চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছিল। কথা, চিন্তা, বিবেক, মতপ্রকাশ, সংগঠন ও সমাবেশের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল হুকুমবাদের দৌরাত্ম্যে। বহুত্ত্ববাদীতা বিনষ্ট করে সামাজিক স্থিতি ও ভারসাম্য নষ্ট করা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি সবসময় জনগণের মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশ ও জাতির স্বার্থে পতিত অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া নানাবিধ জঞ্জাল মোকাবিলা করে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্র হত্যা দিবসে এটিই হোক আমাদের অঙ্গীকার।


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




এসির তাপমাত্রা ২৫ না রাখলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

আসন্ন রমজান ও গ্রীষ্ম মৌসুমে এসির (শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র) তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার ওপরে রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এ অনুরোধ উপেক্ষা করা হলে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন কিংবা আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে নিজ মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা। সেখানেই তিনি এ কথাগুলো বলেন।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার ওপরে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপদেষ্টা পরিষদের সবার কাছে চিঠি দেয়া হচ্ছে। সচিবালয়ের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এ চিঠি দেয়া হবে।

গরমে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির ওপরে থাকলে এতে দুই হাজার থেকে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যাবে বলে জানান ফাওজুল কবির খান।

বিষয়টি নিয়মিত নজরদারি করবে বিদ্যুৎ বিভাগের বিশেষ দল। যদি দেখা যায় অনুরোধ উপেক্ষা করা হয়েছে, কেউ অনুরোধ রাখছে না, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমনকি বিদ্যুতের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হতে পারে।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




শবেবরাতে করণীয় আমল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শবেবরাত একটি মর্যাদাপূর্ণ রাত। ১৪ শাবান দিবাগত রাত তথা ১৫ শাবানের রাতকে হাদিসের ভাষায় ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ বলা হয়। যা আমাদের সমাজে শবেবরাত হিসেবে পরিচিত।

‘শবেবরাত’ মূলত ফারসি শব্দ। ‘শব’ অর্থ রাত, ‘বরাত’ অর্থ নাজাত বা মুক্তি। এই দুই শব্দ মিলে অর্থ হয় মুক্তির রজনী। একাধিক সহিহ হাদিসে এ রাতের মর্যাদা প্রমাণিত।

বিখ্যাত সাহাবি মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তার সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫)

শবে বরাতে করণীয়

ফরজ ইবাদতে অবহেলা নয় : এই রাতে এশা ও ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করা উচিত। খেয়াল রাখা জরুরি, রাত জেগে নফল ইবাদতের কারণে ফজরের নামাজ যেন ছুটে না যায়। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়ল, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ল।’ (মুসলিম: ৬৫৬)

দীর্ঘ সেজদার নফল নামাজ : শবেবরাতের রাত ইবাদত-বন্দেগি ও জিকির-আজকারে কাটানো উচিত। এক্ষেত্রে নবীজির সুন্নত অনুযায়ী আমল করা কর্তব্য। সুন্নতের বাইরে গিয়ে বাড়াবাড়ি কিংবা ছাড়াছাড়ি কোনোটাই করা উচিত নয়। প্রিয়নবী (সা.) এই রাতে দীর্ঘ সেজদায় নামাজ আদায় করতেন। তাই আমরাও এই রাতে তাহাজ্জুদসহ বেশি বেশি নফল নামাজ আদায়ের চেষ্টা করব। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন—‘একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) রাতে নামাজে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সেজদা করেন যে, আমার ধারণা হলো- তিনি হয়ত মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করলেন, তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়েশা তোমার কি এই আশঙ্কা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসুল তোমার হক নষ্ট করবেন?

আমি উত্তরে বললাম, না, হে আল্লাহর রাসুল। আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার এই আশঙ্কা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কি না। তখন নবী (সা.) জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তার রাসুলই ভালো জানেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন ইরশাদ করলেন, ‘এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত (শবে বরাত)। আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে তার বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই।’ (শুআবুল ঈমান, বায়হাকি: ৩/৩৮২-৩৮৩; তাবারানি: ১৯৪)

দোয়া ও ইস্তেগফার : এই রাতে দোয়া ও ইস্তেগফার করা খুবই ফজিলতপূর্ণ আমল। ইবনে উমর (রা.) বলেন, ‘পাঁচটি রাত এমন রয়েছে, যে রাতের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।— ১. জুমার রাত। ২. রজব মাসের প্রথম রাত। ৩. শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত (শবে বরাত)। ৪. ঈদুল ফিতরের রাত। ৫. ঈদুল আজহার রাত।’ (মুসান্নাফে আব্দুর রাজজাক: ৭৯২৭) এছাড়া রমজানের দুই মাস আগ থেকেই রাসুল (সা.) একটি দোয়া বেশি বেশি পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই দোয়াটি আমরা পুরো রজব-শাবানে এবং শবেবরাতেও পড়তে পারি। দোয়াটি হলো— اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ (অর্থ) ‘হে আল্লাহ, আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দিন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ আনাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, রজব মাস শুরু হলে রাসুল (স.) এই দোয়া পাঠ করতেন। (বায়হাকি: ৩৫৩৪; নাসায়ি: ৬৫৯; মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)

কবর জিয়ারত : এই রাতে দলবদ্ধ ছাড়া একাকীভাবে কবর জিয়ারতে কোনো সমস্যা নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) চুপিসারে একাকী জান্নাতুল বাকিতে কবর জিয়ারত করেছেন। আয়েশা (রা.) বলেন- ‘এক রাতে হজরত রাসুল (স.)-কে না পেয়ে খুঁজতে বের হলাম। খুঁজতে খুঁজতে জান্নাতুল বাকিতে গিয়ে তাঁকে দেখতে পেলাম। তিনি বললেন- কি ব্যাপার আয়েশা? তোমার কি মনে হয় আল্লাহ এবং তার রাসুল তোমার উপর কোন অবিচার করবেন? আয়েশা (র.) বললেন, আমার ধারণা হয়েছিল— আপনি অন্য কোনো বিবির ঘরে গিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন বললেন, যখন শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাত আসে, তখন আল্লাহ তাআলা এ রাতে প্রথম আসমানে নেমে আসেন। তারপর বনু কালব গোত্রের বকরির পশমের চেয়ে বেশি সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ৭৩৯)

আইয়ামে বিজের রোজা : ‘শবেবরাত’ উপলক্ষে বিশেষ কোনো রোজা না থাকলেও কেউ চাইলে আইয়ামে বিজের রোজা রাখতে পারেন। প্রত্যেক মাসেই আইয়ামে বিজের রোজা রাখা ফজিলতপূর্ণ আমল। প্রতি চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখকে ‘আইয়ামে বিজ’ বলা হয়। আবু জর ও কাতাদা ইবনে মিলহান (রা.)-কে রাসুলুল্লাহ (স.) আইয়্যামে বিজ তথা শুক্লপক্ষের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে প্রতি মাসে এই তিন দিন রোজা রাখতে বলেছিলেন।’ (তিরমিজি: ৭৬১; নাসায়ি: ৪/২২৩-২২৪; ইবনে মাজাহ: ১৭০৭-১৭০৮; আবু দাউদ: ২৪৪৯)

দান-সদকা : এই রাতে দরিদ্রদের সাহায্য, জাকাত ও দান-সদকা করা সুন্দর একটি আমল। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের অনেক আয়াতে বান্দাদের দান-সদকার জন্য উৎসাহিত করেছেন। এক আয়াতে ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনরা! আমি তোমাদের যে রিজিক দান করেছি, তা থেকে তোমরা ব্যয় করো সেই দিন আসার আগে, যেদিন কোনো ক্রয়-বিক্রয় থাকবে না, কোনো বন্ধুত্ব কাজে আসবে না এবং সুপারিশও গ্রহণযোগ্য হবে না।’ (সুরা বাকারা: ২৫৪)

সবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব রাখা : দোয়া কবুলের রাতেও মুশরিক ও হিংসা-বিদ্বেষকারীরা আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হবে। তাই মন থেকে হিংসা দূর করে দিতে হবে। বিশেষত উম্মাহর পূর্বসূরি ব্যক্তিদের সম্পর্কে অন্তর পুরোপুরি পরিষ্কার থাকা অপরিহার্য, যাতে রহমত ও মাগফেরাতের সাধারণ সময়গুলোতে বঞ্চিত না হতে হয়।’ (লাতাইফুল মাআরিফ পৃ. ১৫৫-১৫৬)

কোরআন তেলাওয়াত : শবেবরাতে কোরআন তেলাওয়াত একটি সুন্দর আমল। কোরআন তেলাওয়াতের চেয়ে উত্তম কোনো জিকির নেই। তাই ফজিলতপূর্ণ এই রাত তিলাওয়াতে কাটানো উত্তম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোরআনওয়ালাই আল্লাহওয়ালা এবং আল্লাহর খাস পরিবারভুক্ত।’ (মুসনাদে আহমদ: ১২২৯২) আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘যে অন্তরে কোরআন নেই, তা যেন পরিত্যক্ত বিরান বাড়ি।’ (তিরমিজি: ২৯১৩) ‘হাশরে বিচারের দিনে কোরআন তোমার পক্ষে বা বিপক্ষে সাক্ষী হবে।’ (মুসলিম: ২২৩)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শবেবরাতে সুন্নত অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন। মর্যাদাপূর্ণ এই রাতে ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।


আরও খবর

পীর হও কিন্তু পীর সেজনা!

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় হত্যা রহস্য উদর্ঘাটন পূর্বক ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় জাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যার ঘটনা। অবশেষে হত্যা রহস্য উদঘার্টন সহ ৩ জন কে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতভর জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেন পুলিশ। এঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানান, নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সফিউল সারোয়ার।

হত্যাকান্ডের শিকার জাহিদুল ইসলাম (৪১) নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের কোতালী গ্রামের মৃত অছিমুদ্দিনের ছেলে। আটককৃতরাও হলেন একই গ্রামের গুলজার হোসেনের ছেলে মামুনুর রশিদ (৩৬), ইসমাইল হোসেনের ছেলে রুবেল হোসেন (২৫) ও আবুল কালাম আজাদের ছেলে মোহাম্মদ রাজু হাসান (৩২)। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে জাহিদুল ইসলামকে জবাই করে হত্যার পর মৃতদেহটি পত্নীতলা উপজেলা থেকে একটি অটোচার্জার ভ্যানে করে মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নের আরমান সরদারের জমির পাশে কালভার্ট ব্রীজের নিচে ফেলে রেখে যায় আসামিরা। এসময় মৃতদেহটি একটি নীল পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ছিলো। এঘটনায় পরে নিহতের স্ত্রী থানায় মামলা করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করেন এবং গত সেমাবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, এই হত্যাকান্ডের মোড় ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আসামীরা মৃতদেহটি পত্নীতলা থেকে একটি অটোচার্জার ভ্যানে করে মহাদেবপুরে এনে গুমের চেষ্টা করেছিলেন। এছড়াও আলামত ধ্বংসের উদ্দেশ্যে জাহিদুল ইসলামের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি একটি মাঠের মধ্যে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পর আসামীরাই ভিকটিমের মৃতদেহ উদ্ধারসহ দাফন কাফন কাজে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতাও করেছেন যাতেকরে তাদেরকে কেউ যেন সন্দেহ না করে।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা এই হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে। পূর্ব শত্রুতা এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, ফারজানা হোসেন, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হাসমত আলীসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।


আরও খবর



চলমান পরিস্থিতিতে সরকারকে কঠোর হতে বলল বিএনপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বিতাড়িত পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের উসকানিমূলক আচরণ, জুলাই আগস্টের রক্তক্ষয়ী ছাত্র গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে অশালীন এবং আপত্তিকর বক্তব্য মন্তব্য দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে বুধবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত স্বৈরাচারের স্মৃতি, মূর্তি, স্থাপনা ও নামফলকসমূহ ভেঙে ফেলার মতো জনস্পৃহা দৃশ্যমান হয়েছে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গত ৬ মাসেও পলাতক স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদের আইনের আওতায় আনতে যথেষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ জনসম্মুখে দৃশ্যমান করতে সফল হয়নি বলে জনমনে প্রতিভাত হয়েছে, ফলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মতো বেআইনি কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হচ্ছে। একটি সরকার বহাল থাকা অবস্থায় জনগণ এভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নিলে দেশে-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে। অথচ জুলাই ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জনগণের প্রত্যাশা ছিল দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে, যা বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ নানা ধরনের দাবি-দাওয়া নিয়ে যখন তখন সড়কে ‘মব কালচারের’ মাধ্যমে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করছে, যা সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে মুন্সিয়ানা দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে।

রিজভী বলেন, বিএনপির উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা প্রকাশ করতে না পারলে রাষ্ট্র ও সরকারের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে। এ পরিস্থিতিতে উগ্র নৈরাজ্যবাদী গণতন্ত্রবিরোধী দেশি-বিদেশি অপশক্তির পাশাপাশি পরাজিত ফ্যাসিস্টদের পুনরুত্থানের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে যার উপসর্গ এরই মধ্যে দৃশ্যমান।

সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করুন। অন্যথায় দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির প্রসার ঘটবে। সুতরাং কঠোরভাবে আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে রাষ্ট্র ও সরকারের ভূমিকা দৃশ্যমান করা এখন সময়ের দাবি।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫