Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

শিশুদের টিকা নিতে নিবন্ধন করতে হবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

করোনা মহামারি প্রতিরোধে ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। টিকা নিতে তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকালে এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং ন্যাশনাল ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সভাপতি মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি বলেন, ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের যাদের জন্ম নিবন্ধন নেই, তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করে নিতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আবেদন করার পর দ্রুত শিশুদের এই টিকা দেওয়া হবে।

মীরজাদী সেব্রিনা সবাইকে করোনার বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পাশাপাশি আসন্ন কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।


আরও খবর



অযত্নে নষ্ট হচ্ছে আড়াই হাজার কোটি টাকার ইভিএম

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোট প্রয়োগে মেশিন বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি অনুসৃত হয় বলে সামগ্রিক প্রক্রিয়াটি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নামে পরিচিত। বাংলাদেশে প্রথম ইভিএম ব্যবহার হয় ২০১১ সালে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ১ লাখ ৫০ হাজার ইভিএমের মালিক। তবে এই দেড় লাখ মেশিনের মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার, অর্থাৎ ৯৬.১৯ শতাংশ মেশিনই নষ্ট হয়ে গেছে। যার মূল্য প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।

এদিকে বাকি ৪০ হাজারও অকেজো হওয়ার পথে। এই মেশিনগুলোর আয়ু ১০ বছর হলেও ৫ বছরেই সবগুলোই মৃতপ্রায়। সরকারি সম্পদ, এই ইভিএম মেশিনগুলো পড়ে রয়েছে অনাদরে-অবহেলায়।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে প্রতিটি ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দামে প্রায় দেড় লাখ ইভিএম কেনা হয়। সেসময় নির্বাচন কমিশন (ইসি) খরচ করে ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। তবে ওই নির্বাচনে মাত্র ৬টি আসনে ইভিএমে ভোট হয়েছিল। এরপর ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট করতে ইসি প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল। কিন্তু টাকা না পাওয়ায় ইভিএমে ভোটও হয়নি। এ পর্যন্ত সংসদ, স্থানীয় ও উপনির্বাচন মিলে প্রায় ১৪০০ নির্বাচন হয়েছে ইভিএমে। আর ভোট দিয়েছে প্রায় আড়াই কোটি ভোটার।

চলতি বছরের জুনে শেষ হচ্ছে ইভিএম প্রকল্প। তাই মেশিনগুলো নিয়ে কারো কোনো নড়চড় নেই। হাজার হাজার কোটি টাকার মেশিন নিয়ে ভাবছে না ইসি বা প্রকল্প কর্মকর্তারাও। নষ্ট ইভিএমগুলো আর টেনে নিতে চায়না নির্বাচন কমিশনও। শেষ পর্যন্ত চার হাজার কোটি টাকার সম্পদ ভাগাড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান এ বিষয়ে বলেন, এই ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম নষ্ট হওয়ার কারণ হচ্ছে সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করা। দশ বছর মেয়াদ থাকলেও সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা না হলে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে নানা কারণে ত্রুটি দেখা দিতে পারে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বরাদ্দ চেয়েও পাওয়া যায়নি, নষ্ট ইভিএম দিয়ে তো কিছু করার নেই। তবে ভবিষ্যতে নতুন করে ইভিএম কেনা নিয়ে কমিশনের তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই।


আরও খবর



সর্বকালের সর্বনিম্ন দামে ভারতীয় রুপি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতের মুদ্রার দরপতন অব্যাহত রয়েছে। মুদ্রাটির অবমূল্যায়ন ঘটেছে। এতে ভারতীয় রুপির মান সর্বকালের সর্বনিম্নে নেমে গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

তাতে বলা হয়, প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ইউএস ডলারের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ফলে এশিয়ার অধিকাংশ কারেন্সি দর হারিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের মুদ্রার অবনমন ঘটেছে।

আলোচ্য কার্যদিবসের শেষ ভাগে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ৮৩ দশমিক ৪৩ রুপিতে। ভারতীয় ইতিহাসে যা সবচেয়ে কম। সবমিলিয়ে চলতি সপ্তাহে ইন্ডিয়ান রুপির পতন ঘটেছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। সাপ্তাহিক হিসাবে বিগত ৭ মাসের মধ্যে তা সর্বোচ্চ মূল্য হ্রাস।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলোচিত দিনে ভারতের সরকারি ব্যাংকগুলোতে মূল বৈশ্বিক মুদ্রা ডলারের চাহিদা ব্যাপক ছিল। মূলত, আমদানিকারকদের কাছে মুদ্রাটির আবেদন ছিল তুমুল। এছাড়া বৈদেশিক তহবিলের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ব্যাপক চাপে পড়েছে ভারতীয় রুপি।

বেসরকারি খাতের মাঝারি আকারের এক ব্যাংকের কোষাধ্যক্ষ প্রধান বলেন, ইতোমধ্যে চীনের মুদ্রা ইউয়ান দুর্বল হয়েছে। এটিও বিশ্ববাজারে প্রচলিত অন্যতম মুদ্রা। ভারতীয় রুপির ওপর যা অধিক চাপ সৃষ্টি করেছে। ফলে নিম্নগামিতায় আগের নজির ভেঙে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে এটি।

এদিন ডলার সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। বর্তমানের তা ১০৪ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। গত ১ মাসের মধ্যে যা সর্বাধিক। এই প্রেক্ষাপটে কোরিয়ান ওনের মান হ্রাস পেয়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। মার্কিন শেয়ারবাজারও নিম্নমুখী হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দিনের শুরুতে ডলার সরবরাহ করেছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। তবে কর্মদিবসের শেষদিকে ভারতীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সেই প্রবণতা দেখা যায়নি। ফলে দেশটির মুদ্রা রুপির মূল্য সর্বকালের সর্বনিম্নে নেমে গেছে।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




রাজাপুরে ট্রান্সফর্মার চুরির হিড়িক, পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারিরা জড়িত থাকার অভিযোগ:

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

হাসিবুর রাহমান :

ঝালকাঠির রাজাপুরে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার চুরির হিড়িক পড়েছে। এ উপজেলায় চলতি মাসের সম্প্রতি ৬ টিসহ গত আড়াই মাসে ১১ ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। চুরি হওয়ায় বর্তমানে ৪টি স্থানের ট্রান্সফর্মার না থাকায় ২ শতাধিক পরিবার অন্ধকারে রয়েছেন। চুরি হওয়া স্থানে নতুন করে ট্রান্সফর্মার স্থাপন করতে গ্রাহকদের টাকায় নতুন ট্রান্সফর্মার কিনতে হচ্ছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ থাকাকালীন ও লোডশেডিংয়ের সময় ট্রান্সফর্মার চুরি হচ্ছে, যা কোন সাধারন মানুষের পক্ষে চুরি করা সম্ভব নয়, এর সাথে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারিরা জড়িত রয়েছে। উপজেলার মধ্য চাড়াখালী গ্রামের আল আমিন জানান, কয়েকদিন আগে মধ্য চাড়াখালী ১৫ কেবির ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। এতে অন্তত ৩৫ পরিবার বিপাকে পড়েছে। নিমহাওলা এলাকার জাহিদ ও হিরন খান জানান, গালুয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের খায়রে হাট নিমহাওলা এলাকার ১০ কেবি ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। এতে ওই এলাকার ১৫ পরিবারেরও বেশি পরিবার অন্ধকারে রয়েছে। ছোট কৈবর্তখালী গ্রামের ইসা আকন পলাশ জানান, ছোট কৈবর্তখালী গ্রামের ৫ কেবি ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। এতে ১৫ পরিবার দুর্ভোগে রয়েছে।


বদনিকাঠি গ্রামের মুন্না জানান, বদনিকাঠি খান বাড়ির ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে অনেক পরিবার অন্ধকারে রয়েছে। সত্যনগর তুলাতলা এলাকার আখি, লিজা জানান, সত্যনগর তুলাতলা এলাকার সাড়ে ৩৭ কেবির ট্রান্সফর্মার চুরি হয়ে অন্তত ৭৫ পরিবার কয়েকদিন ধরে অন্ধকারে রয়েছে। চরম ভোগান্তিতে থাকলেও নতুন করে ট্রান্সফর্মার স্থাপন করা হচ্ছে না। এখনও গ্রাহকদের টাকা দিয়ে নতুন করে ট্রান্সফর্মার কিনতে হবে বলে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন জানিয়েছে। বাগড়ি বাশতলা গ্রামের রিংকু সিকদার, নাদিম, আলিম ও আলম জানান, বাগরি বাশতলা গ্রামের ট্রান্সফর্মার চুরি হয়ে যায় পরে ৪৫ জন গ্রাহকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে নতুন করে ট্রান্সফর্মার কিনে স্থাপন করতে হয়েছে। এতে প্রায় এক সপ্তাহ অন্ধাকারে থাকতে হয়েছে সবাইকে। লাইন চালু থাকাকালিন সাধারন মানুষের পক্ষে ট্রান্সফর্মার চুরি করা সম্ভব নয়, এর সাথে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারিরা জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। গ্রাহকদের আরও অভিযোগ, মাঝে মাঝে বিদ্যুতের লোডশেডিং দেয়া হয়, ওই সময় ট্রান্সফর্মার চুরি। পল্লী ঠিকাদারের কর্মচারি, পল্লীবিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যোগসাজসে একের পর এক ট্রান্সফর্মার চুরি হচ্ছে। আর ট্রান্সফর্মার চুরি হলে পল্লী বিদ্যুতের অফিস থেকে গ্রাহকদের টাকা দিয়ে নতুন করে ট্রান্সফর্মার স্থাপন করতে হয়। নতুন ট্রান্সফর্মার বিক্রির একটি কৌশল হলো ট্রান্সফর্মার চুরি বলেও অভিযোগ গ্রাহকদের। এছাড়াও উপজেলার বড়ইয়া পালট, চুনপরি ও সাতুরিয়া ইউনিয়নে ট্রান্সফর্মার চুরির খবর পাওয়া গেছে। অধিকাংশ স্থানের ট্রান্সফর্মারের ভেতরের তামার কয়েল নেয় চোরেরা। গ্রাহকরা জানান, কিছুদিন পর পর একের পর এক ট্রান্সফর্মার চুরির ঘটনা ঘটেইে চলছে। কিন্তু প্রতিরোধে বা চুরি ঠেকাতে পল্লী বিদ্যুতের কোন মাথাব্যাথা নেই। চোরের কাছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অসহায় হয়ে পড়েছে। তাতে অনেক দিন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ফ্রীজের মাছ, গোশতসহ বিভিন্ন পণ্যের ক্ষতি হয় চরমভাবে। এ ছাড়াও ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ায় চরম বিঘœ ঘটে। গ্রাহকরা আরও জানান, ট্রান্সফর্মার চুরি ঠেকাতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেও কোন লাভ হচ্ছে না। রাজাপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ২ টি, ফেব্রæয়ারি মাসে ৩ ও চলতি মার্চ মাসে এ পর্যন্ত ৬ টি ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। সাড়ে ৩৭ কেবির ট্রান্সফর্মারের দাম প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার, ২৫ কেবির ট্রান্সফর্মারের দাম প্রায় এক লাখ টাকা, ১৫ কেবির ট্রান্সফর্মারের দাম প্রায় ৭৯ হাজার টাকা, ১০ কেবির ট্রান্সফর্মারের দাম প্রায় ৬৫ হাজার টাকা ও ৫ কেবির ট্রান্সফর্মারের দাম প্রায় ৪০ হাজার টাকা। পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারি জড়িতের অভিযোগ অস্বীকার করে এ বিষয়ে রাজাপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) মধুসূদন রায় জানান, বর্তমানে ৪ টি স্থানের ট্রান্সফর্মার চুরি হওয়ার পর নতুন করে স্থাপন করা হয়নি। এতে অন্তত দেড় থেকে ২ শ গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েছে। চুরি হওয়া স্থানে প্রথম বার গ্রাহকদের অর্ধেক ও দ্বিতীয় বার সম্পূর্ণ টাকা গ্রাহকদের দিতে হয়, এটা কষ্টের বিষয়। চুরি ঠেকাতে গ্রাহকদের সচেতনতার পাশাপাশি পাহাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও চুরি ঠেকাতে মাইকিং করা হবে। এ বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও জরুরি। পুলিশ প্রশাসনেরও সহযোগীতা চাওয়া হবে। জানতে চাইলে মুঠোফোনে রাজাপুর থানার ওসি মুঃ আতাউর রহমান জানান, পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে ট্রান্সফর্মার চুরির বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ট্রান্সফর্মার চুরি ঠেকাতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে চোরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



মাহে রমজান: প্রথম তারাবিতে মুসল্লিদের ঢল

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মুসলিম উম্মাহর কাছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের অমিয় বার্তা নিয়ে ফের এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে রমজান শুরু। সোমবার (১১ মার্চ) বাদ এশা দেশের মসজিদে মসজিদে তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এর আনুষ্ঠানিকতা। ভোররাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখা শুরু করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

রাতে এশার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের মসজিদে মসজিদে আদায় করা হয় তারাবির নামাজ। প্রথম তারাবির জামাতে নামে মুসল্লিদের ঢল। পাঞ্জাবি-পাজামা পরে জায়নামাজ নিয়ে মুসল্লিরা ছোটেন মসজিদের দিকে।

সিলেটেও ধর্মপ্রাণ মানুষ আদায় করছেন তারাবির নামাজ। হজরত শাহজালাল (র.)-এর দরগাহ মসজিদে তারাবিহ নামাজে অংশ নেন অসংখ্য মুসল্লি। একই সঙ্গে সিলেটের সব মসজিদেও মুসল্লিরা তারাবির জামাতে অংশ নেন।

সন্ধ্যার পর থেকেই খুলনার বিভিন্ন মসজিদে তারাবির নামাজ আদায়ে মুসল্লিদের ভিড় বাড়তে থাকে। কোথাও কোথাও দলবেঁধে, কোথাও পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে তারাবিহ নামাজ আদায়ে মসজিদে আসেন। খুলনার সব মসজিদই অল্প সময়ে পূর্ণ হয়ে যায়। নামাজ শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ ও বাংলাদেশের জন্য দোয়া করেন ইমামরা।

এদিকে পবিত্র রমজানে খতম তারাবি পড়ার সময় সারা দেশে সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

আলেমরা জানান, দীর্ঘ ১১ মাসের পাপ পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত হওয়ার অপূর্ব সুযোগ এনে দেয় রমজান। পবিত্র রমজানের আগমনে মুসলিম সমাজ ও ইসলামি জীবন ধারায় এক বিরাট সাফল্যের সৃষ্টি হয়। রমজান হলো ইবাদতের বসন্তকাল। আল্লাহপাক ইবাদতপাগল বান্দাদের ক্ষমা করার জন্য সব আয়োজন করে রাখেন। এ মাসে একটি ফরজ আমলের মূল্য অন্য সময় ৭০টি ফরজ আমলের সমপরিমাণ।


আরও খবর



নতুন কারিকুলামে প্রতি বিষয়ে ৫ ঘণ্টার পরীক্ষা!

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

নতুন শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীর চূড়ান্ত মূল্যায়ন নিয়ে তুমুল সমালোচনার পর মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার খসড়া চূড়ান্ত করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

জানা গেছে, শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে খসড়াটি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, আগের পদ্ধতিতে আর পরীক্ষা হবে না। এটিকে মূল্যায়ন বলা হচ্ছে।

আগে তিন ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা হলেও নতুন মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ভিন্ন হচ্ছে। নতুন কারিকুলাম চালুর পর আগের মতো পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ছিল। শিক্ষার্থীদের অভিভাবরাও উদ্বেগে ছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এ তথ্য জানিয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেছেন, মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সভা হয়েছে। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সভায় পরীক্ষা পদ্ধতি ফেরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরেকটি সভা করে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

জানা গেছে, নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতির পরীক্ষায় মার্কিং (চিহ্নিত) করার নিয়ম থাকবে না। রিপোর্টিং ভালো, অর্জনের পথে এবং প্রাথমিক পর্যায় এমন তিনভাগে ফলাফল হবে। চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মিডটার্ম ও ফাইনাল পরীক্ষা হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে চূড়ান্ত পরীক্ষার মাধ্যমে।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১০টি সাধারণ বিষয় পড়তে হবে। এসএসসি পরীক্ষা হবে দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রমের ওপর। আর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রতি বছর দুটি পাবলিক পরীক্ষা হবে। গত বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে এবং আগামী বছর চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালু হবে এ নিয়ম। এর আলোকে ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা হবে।

খসড়া অনুযায়ী, প্রতিটি মিড টার্ম ও চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টার। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে অন্য কেন্দ্রে। আর চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির পরীক্ষা হবে নিজ স্কুলে। এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলবে। এতে ছয়টি সেশন থাকবে। চার ঘণ্টা থাকবে ব্যবহারিক। মিডটার্ম ও বার্ষিক চূড়ান্ত পরীক্ষায় সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে। ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে নতুন কারিকুলামের আলোকে।

চলতি বছরের জুন মাস থেকেই এ প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন হবে স্কুলে। এর আগেই সব চূড়ান্ত হবে জানিয়ে এনসিটিবির সদস্য (কারিকুলাম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেছেন, অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদদের নিয়ে খসড়া করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন।

চলতি মাসের শুরুতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে সমন্বয় কমিটি গঠন করে সরকার। সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন)। সমন্বয় কমিটিতে সদস্য হিসেবে কাজ করছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান। এছাড়া, আরও বিভিন্ন দপ্তরের নয় কর্মকর্তাকে সদস্য হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে।


আরও খবর