Logo
শিরোনাম

শিশুর জন্মগত হৃদরোগে চিকিৎসা

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ অক্টোবর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মানুষে হৃদপিণ্ডে ছিদ্র থাকা মূলত একটি জন্মগত ত্রুটি সাধারণত গর্ভাবস্থায় শিশুর হৃৎপিণ্ডের বিকাশজনিত সমস্যা কারণে এই ছিদ্র দেখা দিতে পারে
বাংলাদেশ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের করা সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গিয়ে, দেশটিতে প্রতি হাজার শিশুর মধ্যে আট থেকে নয়জন এই হৃদপিণ্ডের ছিদ্রজনিত সমস্যায় ভুগে থাকে

তবে প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি বলে ধারণা করছেন- বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের শিশু হৃদরোগ বিভাগের প্রধান এবং সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. খলিফা মাহমুদ তারিক। যদি শুরুতেই সমস্যাটি ধরা পড়ে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে শিশুকে সম্পূর্ণ সুস্থ করা সম্ভব। তবে যদি দেরী হয়, জটিলতা ততো বাড়ে

এর চিকিৎসা কেমন হবে সেটা নির্ভর করে ছিদ্রটি হার্টের কোথায় আছে এবং ছিদ্রটি কতো বড় সেটার ওপর।হৃদপিণ্ডের ছিদ্রের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল, ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ-এনএইচএস এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের থেকে

হৃদপিণ্ডে ছিদ্র
মানুষের হৃৎপিণ্ডের চারটি প্রকোষ্ঠ থাকে। ওপরের দুটি হল অলিন্দ বা অ্যাট্রিয়া নিচের দুটি নিলয় বা ভেন্ট্রিকল। ওপরের দুটি অ্যাট্রিয়া ইন্টারএট্রায়াল সেপ্টাম নামক পর্দা দিয়ে আলাদা করা থাকে এবং নিচের দুটি ভেন্ট্রিকল আলাদা করে রাখে ইন্টারভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাম নামে আরেকটি পর্দা

শিশুরা হার্টের বিভিন্ন অংশে ছিদ্র নিয়ে জন্মাতে পারে। ওপরের প্রকোষ্ঠের পর্দায় কোন ছিদ্র থাকলে তাকে অ্যাট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট (এএসডি) বলা হয়। নিচের পর্দার মধ্যে কোন ছিদ্র থাকলে তাকে ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট (ভিএসডি) বলে

এই ছিদ্রের কারণে হার্ট ফুসফুসের মধ্যে রক্ত চলাচল অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে। মানবদেহের ফুসফুস রক্তে অক্সিজেনের যোগান দেয়। আর সেই অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সারা শরীরে পরিবহনের কাজ করে হৃদপিণ্ড

শরীরের দূষিত রক্ত মহাশিরার মাধ্যমে প্রথমে হৃদপিণ্ডের ডান অলিন্দে প্রবেশ করে তার পর ডান নিলয়ে প্রবেশ করে। এই নিলয় থেকে দূষিত রক্ত ফুসফুসীয় ধমনীর মাধ্যমে ফুসফুসে পৌঁছায়

ফুসফুস ওই দূষিত রক্তে অক্সিজেনের যোগান দেয়। এরপর ফুসফুস থেকে বিশুদ্ধ রক্ত হৃদপিণ্ডের বাম অলিন্দে প্রবেশ করে এরপর বাম নিলয়ে যায়। হৃদপিণ্ডের বাম নিলয়ে আসা এই অক্সিজেন সমৃদ্ধ বিশুদ্ধ রক্ত মহা-ধমনীর মাধ্যমে সারা শরীরে প্রবাহিত হয়

হার্টে ছিদ্র থাকলে অর্থাৎ এএসডি বা ভিএসডি থাকলে ফুসফুসের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত রক্ত চলাচল অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে। কারণ ছিদ্রটি রক্তের স্বাভাবিক গতিপথে বাধা দেয়

বাম অলিন্দ থেকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ বিশুদ্ধ রক্ত বাম নিলয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও, এএসডি এর কারণে কিছু বিশুদ্ধ রক্ত ডান অলিন্দে চলে যায়। এতে বিশুদ্ধ রক্ত দূষিত রক্তের সাথে মিশে যায় এবং ফুসফুসের দিকে প্রবাহিত রক্তের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়

আবার ভিএসডি থাকলে বাম নিলয়ের কিছু বিশুদ্ধ রক্ত ছিদ্র দিয়ে ডান নিলয়ে প্রবেশ করে। এতে বিশুদ্ধ দূষিত রক্ত একসাথে মিশে যায়। এই রক্তই আবার ফুসফুসে ফিরিয়ে আনে। ছিদ্র বড় হলে বা দীর্ঘদিন ধরে থাকলে হার্ট এবং ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে

এতে ফুসফুসের ধমনীতে রক্তচাপ বেড়ে যায়। হৃৎপিণ্ডকে তখন রক্ত পাম্প করার জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। এতে হার্টের ভালভের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে ভালভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়

এছাড়া ফুসফুসের ধমনীতে উচ্চ রক্তচাপ বা পালমোনারি হাইপারটেনশন দেখা দিতে পারে। যা স্থায়ীভাবে ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে। এতে ফুসফুস অক্সিজেন সরবরাহে ব্যর্থ হয়। যা শিশুকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে

শিশুর হার্টে ছিদ্র কেন হয়
শুরুতেই বলা হয়েছে হৃদপিণ্ডে ছিদ্র হওয়া একটি জন্মগত ত্রুটি। অর্থাৎ শিশু হার্টে ছিদ্র নিয়েই জন্মায়। বাহ্যিক কোন কারণে হার্টে ছিদ্র হওয়ার নজির নেই।
মাতৃগর্ভে শিশুর হৃৎপিণ্ড একটি নল থেকে বিকশিত হয়, এরপর সেটি চারটি প্রকোষ্ঠে ভাগ হয়। সেই প্রকোষ্ঠের দুটি অংশ আলাদা করতে পর্দা গড়ে ওঠে।
এই প্রক্রিয়া চলাকালীন কোন সমস্যা হলে ছিদ্র দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন, ডা. খলিফা মাহমুদ তারিক

জেনেটিক সমস্যা যেমন: ডাউন সিনড্রোম থাকলে শিশুর হার্টে ছিদ্র দেখা দিতে পারে। সেইসাথে গর্ভবতী হওয়ার প্রথম কয়েক মাসের মধ্যে যদি মায়ের রুবেলা হয় তাহলে শিশুর হার্টে ছিদ্র বা হার্টের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জন্মানোর ঝুঁকি বাড়ে

মায়ের যদি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকে।গর্ভকালীন মায়ের ভাইরালজনিত ইনফেকশন হলে। মা গর্ভকালীন অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগলে। সেইসাথে মায়ের মদ তামাক জাতীয় পণ্য খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এবং বিভিন্ন মাদক সেবনের কারণেও এমনটা হতে পারে

এছাড়া গর্ভবতী থাকাকালীন মা যদি খিঁচুনি প্রতিরোধী ওষুধ, কোলেস্টরেল কমানোর ওষুধ, ব্রণের ওষুধ এবং মানসিক রোগের চিকিৎসার জন্য ওষুধ খেয়ে থাকেন। সেটিও শিশুর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া কোন সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াও শিশুর হার্টে ছিদ্র দেখা দিতে পারে

লক্ষণ
শিশু বড় হতে থাকলে তাদের ছুটোছুটি বাড়ে। এতে হার্টের ওপর চাপ বাড়ে। তখন লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে। হার্টের ছিদ্র ছোট-বড় হওয়ার ওপর নির্ভর করে লক্ষণগুলো কেমন হবে

  • যদি ছিদ্র ছোট হয়, তাহলে শিশু জোরে জোরে শ্বাস নেয়, ঘন ঘন কাশি শ্বাসকষ্ট হয় এবং শ্বাসনালীতে ইনফেকশন বা নিউমোনিয়া হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়
  • তার সম বয়সী অন্য শিশুদের মতো পরিশ্রম করতে পারে না। সামান্য খেলাধুলা বা ছোটাছুটি করলে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। শরীর দুর্বল লাগে, ক্লান্তিতে ঝিমিয়ে পড়ে
  • অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন বা এরিথমিয়া, ছিদ্র দিয়ে রক্ত প্রবাহের কারণে হার্ট থেকে মারমার জাতীয় শব্দ বের হয়। বুক ধকধক করতে থাকে, অনেক সময় খালি চোখে বুকের মাংসপেশির লাফানো দেখা যায়
  • সব সময় জ্বর বা অসুস্থতা থাকে
  • খেতে পারে না, ক্ষুধামন্দা
  • খাওয়ার সময় ক্লান্ত হয়ে যায়, কান্নাকাটি করে বা অল্পতেই ঘামতে থাকে
  • কান্নার সময় দম আটকে যাওয়া
  • শারীরিক বৃদ্ধি দেরিতে হওয়া, বয়সের সাথে ওজন না বাড়া
  • কাজে বা পড়ালেখায় মনোযোগ থাকে না
  • পা, পায়ের পাতা পেট ফুলে যায়

যদি ছিদ্র বড় হয়, তাহলে উপরের সমস্যার পাশাপাশি শিশু উচ্চ-রক্তচাপে ভোগে। ফুসফুসে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহের অভাবে অক্সিজেন স্বল্পতায় অনেক সময় শিশুর ঠোঁট, জিহ্বা নীল হয়ে ওঠে। ধরণের লক্ষণ দেখা দেয়ার সাথে সাথে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে

চিকিৎসা
সাধারণত চেস্ট এক্স-রে, ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (EKG), ইকোকার্ডিওগ্রাম, কার্ডিয়াক ক্যাথেটারাইজেশন ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে এই ছিদ্র আছে কী না তা শনাক্ত করা হয়। হার্টের জন্মগত এসব ছিদ্রের চিকিৎসা নির্ভর করে ছিদ্রের আকার অবস্থানের ওপর। ছোট আকারের ছিদ্র কয়েক মাস পর নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায়

হার্টের এই ছিদ্র বড় নাকি ছোট সেটা নির্ভর করে রোগীর বয়সের ওপর। বিষয়ে মি. তারিক বলেন, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য চার থেকে পাঁচ মিলিমিটার ছিদ্র অনেক ছোট। কিন্তু এই ছিদ্র শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক বড়।

হার্টে ছিদ্রের কারণে যেহেতু দূষিত বিশুদ্ধ রক্ত মিশে যায়। ছিদ্র ছোট হলে কম রক্ত মিশ্রিত হয়, ছিদ্র বড় বলে বেশি রক্ত মিশে।সেক্ষেত্রে ছোট ছিদ্রগুলো বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ প্রয়োগ করে ফুসফুসের বাড়তি রক্তের চাপ কমিয়ে রাখা হয়

তবে মাঝারি বা বড় আকারের ছিদ্র হলে জটিলতা প্রতিরোধ করার জন্য শিশুদের জীবনের প্রথম দিকে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।আবার রক্তনালীর ভালভের খুব কাছে ছিদ্র থাকলে অস্ত্রোপচার ছাড়া উপায় নেই

অস্ত্রোপচার সাধারণত শিশু জন্মের প্রথম কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাসের মধ্যে করা হয়। সবচেয়ে ভালো স্কুলে ভর্তি করার আগে অস্ত্রোপচার সেরে নিলে।
সার্জন বুকের দেয়ালে একটি ছেদ তৈরি করে অস্ত্রোপচার করে থাকেন।সার্জন সরাসরি ছিদ্রটি সেলাই করতে পারেন বা ছিদ্রের উপরে একটি প্যাচ বসিয়ে দিতে পারেন। হার্টের টিস্যু প্যাচ বা সেলাইয়ের অংশটি নিরাময় করে

এভাবে অস্ত্রোপচারের ছয় মাসের মধ্যে টিস্যুটি সম্পূর্ণ ছিদ্রটিকে ঢেকে দেয়।আবার কার্ডিয়াক ক্যাথেটারাইজেশনের মাধ্যমেও অস্ত্রোপচার করা হয়। এজন্য শিশুর পায়ের রক্তনালীতে একটি পাতলা, নমনীয় টিউব (ক্যাথেটার) ঢুকিয়ে হার্টের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ক্যাথেটারের আগায় জালের মতো ডিভাইস বসানো থাকে

এরপর হার্টের ছিদ্রের ভেতরে ডিভাইসটি ঢুকিয়ে জালটি ছিদ্রের আশেপাশের পর্দায় ছড়িয়ে বসানো হয়।সময়ের সাথে সাথে শরীরের নতুন কোষ ডিভাইসের ওপর তৈরি হতে থাকে। অন্তত ছয় মাসের মধ্যে যন্ত্রটি শরীরের নিজস্ব অংশ হয়ে যায়

এই ধরণের অস্ত্রপচারে কাটাছেঁড়া না হওয়ায় কম সময় লাগে, শিশুরা অল্প সময়েই সেরে ওঠে।তবে ছিদ্র অনেক বড় হলে বা ছিদ্রটি জটিল জায়গায় হলে ওপেন হার্ট সার্জারি ছাড়া উপায় নেই। শিশুর জন্মের দুই মাস বয়সের পর থেকে এই অস্ত্রপচার করা সম্ভব

করণীয়
শিশুর হার্টে ছিদ্র শনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শে শিশুকে নিয়মিত ওষুধ খাওয়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শিশুর প্রতি বেশি যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এই খেলাধুলা, ছুটোছুটি বা কায়িক শ্রম হয় এমন কাজ থেকে বিরত রাখতে বলা হয়েছে।যদি ছিদ্র বড় হয় সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে যত দ্রুত সম্ভব অপারেশন করাতে পারলে ভালো। এতে শিশুটি দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে

চিকিৎসার পর শিশুরা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেও চিকিৎসকরা দীর্ঘসময় ধরে তাদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। এজন্য নিয়মিত ফলো-আপ ভিজিট করতে হবে।
সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে হার্ট বড় হয়ে যেতে পারে। সেই সাথে হৃৎপিণ্ডের ভেতরের পৃষ্ঠে রক্তের ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ এন্ডোকার্ডাইটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে, হার্টের ভালভ নষ্ট হওয়া, এরিথমিয়া এমনকি হার্ট অ্যাটাক স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে


আরও খবর

শীতে সুস্থ থাকতে যা খাবেন

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩




নওগাঁর ৬ টি আসনের মধ্যে ৪টিতে পুরাতন, ২টিতে নতুন মুখ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের চুড়ান্ত নাম ঘোষনা করেছে বাংলাদেশ আ’লীগ দল। 

নওগাঁর মোট ৬টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনে পুরাতন মুখ আর দুটি আসনে নতুন মুখের প্রার্থীরা পেয়েছেন নৌকা প্রতীক। 

যারা পেলেন নৌকা প্রতিক :

নওগাঁ-১ (পোরশা-সাপাহার-নিয়ামতপুর) আসনে বর্তমান এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ-২ (ধামইরহাট-পত্নীতলা) আসনে বর্তমান এমপি এ্যাডঃ শহিদুজ্জামান সরকার বাবলু, নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনে নতুন মুখ সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে নতুন মুখ এ্যাড. নাহিদ মোর্শেদ বাবু, নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে বর্তমান এমপি ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন ও নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে বর্তমান এমপি আলহাজ্ব মোঃ আনোয়ার হোসেন হেলাল নৌকা প্রতিক পেয়েছেন। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে নৌকার মাঝি করায় আনন্দের জোয়ার বইছে এ জেলার আ'লীগ নৌকা প্রতিকের প্রার্থীদের সমর্থকদের মাঝে। রবিবার বিকেল ৪টার পর সরকার দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষনা করার সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দ মিছিল বের হয় নওগাঁর ৬টি আসন এলাকার বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্থানে  এবং জেলা উপজেলা আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা মিষ্টি বিতরণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় সন্ধার পর (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনে 

নতুন মুখ সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী নৌকা প্রতিক পাওয়ায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ হাসান আলী মন্ডল এর নের্তৃত্বে আনন্দ মিছিল বের হয়ে চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজারের রাস্তায় আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করেন।

নৌকা প্রতিক এর প্রর্থীর নেতা-কর্মীরা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আবারো শান্তিপূর্ন পরিবেশের মধ্যদিয়ে আগামী ৭জানুয়ারী পুনরায় উন্নয়ন আর শান্তির প্রতীক নৌকাতে ভোট দিয়ে প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করার মাধ্যমে মানবতার মা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার প্রতি আহ্বান জানান।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




বিএনপি এলে হতে পারে পুনঃতফসিল

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে প্রয়োজনে আইন দেখে ভোটের সময় বাড়ানোর বিষয়টি ভেবে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে নির্বাচন কমিশন তাদের স্বাগত জানাবে। ভোটের সময় বাড়ানোর প্রয়োজন হলে আইন মেনে তাদের জন্য নির্বাচনে আসার পথ তৈরি করা হবে।

২০ নভেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ইতোমধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার শরিকরা। অন্যদিকে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের মিত্ররা তফসিল প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা করেছেন।

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে হরতাল-অবরোধসহ নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছে তারা। এ অবস্থায় তফসিল ঘোষণা হলেও রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপের মাধ্যমে সংকট নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শেষ পর্যন্ত সমঝোতা হলে নির্বাচনের স্বার্থে ভোটের তারিখ পেছানোর বিষয়টি কমিশন ভেবে দেখবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে আইন দেখে সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। ভোটের তারিখ পেছানোর প্রয়োজন হলে ভেবে দেখবে কমিশন।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




অতীতের ন্যায় এই নির্বাচনেও সেনাবাহিনী থাকতে পারে

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মির্জা হৃদয় সাগর, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিবাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন মো. আলমগীর বলেছেন, সেনাবাহিনীর সিদ্ধান্ত এখনো নেইনি। তবে অতীতে যেহেতু নির্বাচনে সেনাবাহিনী ছিলো এবারো সম্ভাবনা রয়েছে। নিরপেক্ষে, সুষ্টু এবং অবাধ একটি করার লক্ষ্যে এবং দেশে বিদেশে সবার কাছে যেন নির্বাচনের সবকিছু বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়, মানুষ যাতে বিশ্বাস করে একটি সুন্দর নির্বাচন হয়েছে তার জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে মত বিনিময় করেছি। জেনেছি তারা কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন। যা নিয়েছেন তাতে আমি সন্তুষ্ট। তাদেরকে বলা হয়েছে ভোটররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে। 

সোমবার বিকালে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষে জেলা রিটানিং অফিসার, সহকারী রিটানিং অফিসার, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন। 

এসময় তিনি ইউএনও ওসিদের বদলির আদেশ নিয়ে আরও বলেন, সব অফিসাররা চৌকুশ। এসময়ে বদলি কোন সমস্যা হবেনা। এসময় আরও বলেন, সব কথা তো বলা যাবেনা। স্বামী স্ত্রীর সব কথা কি বাইরে বলা যায় ? শুধু এইটুকু বলা যায় যত দ্রতুই এই কার্যক্রম করা যায় তাই কার হবে। যাতে তাদের কষ্ট না হয় এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে। 

এসময় তিনি বিদেশের চাপ নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, তারা আমাদের বন্ধু। আঞ্চলিক নানা সর্ম্পক রয়েছে। তারা আমাদেরকে নানা পরামর্শ দিতেই পারেন। আমরা যেটা ভালো মনে করি সেটা করি। তারা দুই তিন দিন আগেই এসেছিলো। আমাদের আইন সম্পর্কে জেনেছে। আমাদের দেশের প্রস্তৃুতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে গেছে। বলে গেছে আপনারা যা যা ব্যবস্থা নিয়েছেন তা ঠিক আছে। 

নির্বচানে বাংলাদেশের বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি না থাকার প্রশ্নে  বলেন, এখন কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসতে চায় কিনা এ নিয়ে বলেন, এখন যদি কোন রাজনৈতিক দল আসতে চায় নির্বাচনে সে ক্ষেত্রে সিডিউল পরিবর্তন করার আইনগত বাধা আছে কিনা এটি দেখতে হবে পরীক্ষা করে। এই মুহুর্তে এটি নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না। 


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




গরীবের মাতা শেখ হাসিনা আবারও যেন প্রধানমন্ত্রী হয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বাগেরহাট প্রতিবেদক :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাধ জানাতে এসে তৃপ্তির হাসির দুনয়ন থেকে অশ্রু ছেড়ে দিয়ে সফল ভাতা ভোগী সুবিধাভোগী কুলসুম বেগম (৯০) বৃদ্ধা বললেন, তিনিতো মমতাময়ী মা সন্তানের ব্যথা তো সেই বোঝেন। আবারও যেন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয় দোয়া করি আল্লাহর নিকট।

  বুধবার বিকেল ৫ টায় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সরকারি সিরাজ উদ্দিন মোমোরিয়াল কলেজ মাঠে উপজেলা পরিষদের আয়োজনে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায়  সুবিধাভোগী নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বললেন সফল সুবিধাভোগী অনেকেই নূরুজাহান বেগম (৮০), মর্জিনা বেগম (৭৫), আয়সা বেগম (৬৫), আব্দুল মান্নান শেখ (৭৫), সুলতান মুন্সী (৮০) ও ইসাহাক হাওলাদার (১০৩)। এরা প্রত্যকেই বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী সুবিধাভোগীর আওতায়। বৃদ্ধ বয়সে সংসারের নিজ নিজ সন্তানেরা অভাবের তাড়নায় পিতা মাতার খোঁজ খবর না নিলেও সরকারের  দেওয়া এ ভাতা পেয়ে  প্রাপ্ত সুবিধাভোগীরা খুশি। তারা মনের আনন্দে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দু’ হাত তুলে দোয়া করে তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।  আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন। উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. মোশারেফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এমদাদুল হক, পৌরসভা মেয়র এসএম মনিরুল হক।

   অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশীদ, চেয়ারম্যান মো. আকরামুজ্জামান, মো. সাইদুর রহমান, মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা ও কাউন্সিলর মো. শাহিন শেখ। মোরেলগঞ্জে প্রায় ৯০ হাজার পরিবার ৪১ প্রকারের সরকারি সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় নিয়মিত সুবিধা পাচ্ছেন। 


আরও খবর



নওগাঁয় দু'জনকে হত্যা' জড়ীত দু'জন আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় একজন ব্যবসায়ীকে হাতুড়ি দিয়ে একাধীক আঘাত করে হত্যা'র পর মহাসড়কের ধারে জঙ্গলের ভেতর ফেলে যাওয়ার ঘটনায় হত্যার সাথে জড়ীত ট্রাক চালক ও চালকের সহকারি হেলপাড় কে আটক পূর্বক আটককৃতদের কাছে থেকে নিহত ব্যবসায়ীর ছিনতাইকৃত নগদ ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ও হত্যা কাজে ব্যবহারীত হাতুড়ি জব্দ সহ আটককৃতদের দেখানো মতে স্থান থেকে ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন নওগাঁর মহাদেবপুর থানা পুলিশ। অপরদিকে নওগাঁ জেলা সদর শহরে প্রকাশ্যে হেলমেট বাহিনীর আক্রমনে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একজন বিএনপি নেতা খুন হয়েছেন। এপৃথক দুটি হত্যা কান্ডের ঘটনাটি ঘটে রবিবার পূর্বরাতে নওগাঁর মহাদেবপুর থানাধীন নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের ফয়েজ উদ্দিন কোল্ড স্টোরেজ এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ও শনিবার দিনগত রাত ১০ টারদিকে নওগাঁ শহরের ইয়াদালীর মোড় নামক স্থানে। 

হাতুড়ির আঘাতে হত্যার শিকার ব্যবসায়ী হলেন, নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার কুমরিয়া গ্রামের মৃত আলেফ এর ছেলে কংক্রিটের পোল ব্যবসায়ী মামুন হোসেন (৩৫) এবং হেলমেট বাহিনীর আক্রমনে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত বিএনপি নেতা হলেন, নওগাঁ জেলা শহরের রজাকপুর এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন (৫২)।

পুলিশ ও স্থানিয় সুত্রে জানাগেছে, নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার কুমরিয়া গ্রামের মৃত আলেফ এর ছেলে কংক্রিটের পোল ব্যবসায়ী মামুন হোসেন পূর্বের ন্যায় তার প্রতিবেশি একই গ্রামের দুলাল হোসেন এর ছেলে ট্রাক চালক সুমন হোসেন (২৫) এর ট্রাক যোগে শনিবার কংক্রিটের তৈরি পোল নিয়ে চাপাইনবাবগঞ্জ যান এবং সেখানে বিক্রি করে ঐ ট্রাক যোগেই পূর্বের ন্যায় বাড়িতে ফিরছিলেন। কিন্তু রাত পেরিয়ে সকাল হওয়ার পরও ব্যবসায়ী মামুন বাসায় না ফেরায় এবং তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ট্রাকের চালক সুমন হোসেন ও হেলপাড় নওগাঁ সদর উপজেলার উল্লাসপুর গ্রামের সানাউল্লার ছেলে সুজিত হোসেন (২৬) এর সন্দেহজনক চলাফেরার কারনে মামুন এর পরিবার ঘটনাটি পুলিশকে জানালে নওগাঁর সুযোগ্য জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় এর সার্বিক নির্দেশনায় নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ও মহাদেবপুর সার্কেল এর নের্তৃত্বে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন সঙ্গীয় অফিসার পুলিশ ফোর্স সহ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে রবিবার বেলা ১১টারদিকে প্রথমে সন্দেহজনক ভাবে ট্রাক চালক সুমন ও হেলপাড় সুজিত কে নওগাঁ সদর উপজেলার জবার মোড় এলাকা থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদকালে তারা টাকা ছিনতাই করার জন্য ব্যবসায়ী মামুন কে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা সহ মৃতদেহ সড়কের ধারে জঙ্গলের মধ্যে ফেলে দেওয়ার কথা শিকার করলে এসময় তাদেরকে আটক পূর্বক ছিনতাইকৃত ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা উদ্ধার সহ আটককৃতদের দেখানো মতে হত্যায় ব্যবহারীত হাতুড়ি জব্দ সহ আটককৃতদের সাথে নিয়ে নওগাঁ-রাজশাহী সড়কের আলু স্টোরেজ এলাকায় পৌছে রবিবার দুপুর ১টারদিকে তাদের দেখানো মতে সড়কের ধারের জঙ্গলের ভেতর থেকে ব্যবসায়ী মামুনের মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি হেফাজতে নিয়েছেন।

মৃতদেহ উদ্ধার সহ জড়ীত ট্রাক চালক ও হেলপাড়কে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাফফর হোসেন প্রতিবেদক কে জানান, টাকা ছিনতাই করার জন্যেই ব্যবসায়ী মামুনকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে আটককৃতরা পুলিশকে জানিয়েছেন। ইতি মধ্যেই ছিনতাইকৃত টাকা সহ হত্যায় ব্যবহারীত হাতুড়ি ও একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে এবং উদ্ধারকৃত মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন সহ আইনানুগ পদক্ষেপ চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

অপরদিকে শনিবার দিনগত রাত ১০টারদিকে নওগাঁ শহরের ইয়াদালীর মোড় নামক স্থানে মুখোশধারী হেলমেট বাহিনীর আক্রমনে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কামাল হোসেন (৫২) নামে এক বিএনপি নেতা খুন হয়েছেন। নিহত কামাল হোসেন নওগাঁ শহরের রজাকপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি নওগাঁ পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। এছাড়া তিনি নওগাঁ নজরুল একাডেমির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) নওগাঁ জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন বলেও জানা গেছে। স্থানিয় সুত্র জানায়, ঘটনার সময় সড়কের পাশে কামাল মোটরসাইকেলের উপর বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। এসময় হঠাৎ করেই মুখোশধারী ও মাথায় হেলমেট পড়া ৫ থেকে ৭ জন যুবক চাপাতি ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় কামাল হোসেন কে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এব্যাপারে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফায়সাল বিন আহসান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আলামত সংগ্রহ করেছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করা সহ আটকের জন্য তৎপর রয়েছে পুলিশ। এছাড়া ময়না তদন্তের পর স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর