Logo
শিরোনাম

সম্প্রীতির অনন্য নজির, পাশাপাশি মসজিদ-মন্দির

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে স্বাধীনতার পর থেকে পাশাপাশি মসজিদ ও মন্দিরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নামাজ ও শারদীয় দুর্গাপূজা। উপজেলা সদরের কানুনগোপাড়া এলাকায় সম্প্রীতি বজায় রেখে চলছে নামাজ ও পূজা। এবারও মসজিদের পাশেই মন্দিরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুর্গাপূজা। আজান ও নামাজের সময় বন্ধ থাকছে পূজার কার্যক্রম। উভয় ধর্মের লোকজন বলছে তারা দীর্ঘদিন ধরে সব সময় সম্প্রীতির সঙ্গেই নিজ নিজ ধর্মের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ যেন সকল ধর্মের সম্প্রীতির এক মেল বন্ধন।

শুক্রবার কানুনগোপাড়া বাস চালক সমিতি জামে মসজিদ ও শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ বাড়ি মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, একসাথে মসজিদ-মন্দির, ব্যবধান শুধু একটি রাস্তার। মন্দিরে চলছে পূজা-অর্চনা। পূজারী ও দর্শনার্থীরা আসছেন প্রতিমা দেখতে এবং পূজায় অংশ নিতে। নির্ধারিত সময়ে আজান শুরুর আগেই থেমে যায় পূজার যাবতীয় কার্যক্রম। নামাজ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর আবার বেজে উঠলো মন্দিরের মাইক, ঢাক-ঢোলসহ উলুধ্বনি। শুরু হয় পূজার কার্যক্রম।

নামাজি ও পূজারীরা জানান, এখানকার মানুষ শান্তিপ্রিয়। কোনো দিন কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি দুই ধর্মের মানুষদের মধ্যে। সবাই সম্প্রীতির সঙ্গে পাশাপাশি মসজিদ ও মন্দিরে নিজ-নিজ ধর্মের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এতে কোনদিন কারও কোন প্রকার সমস্যা বা ঝামেলা হয়নি। তাদের প্রত্যাশা যুগযুগ ধরে চলতে থাকবে এই সম্প্রীতি।

দর্শনার্থীরা প্রিয়া দাশ বলেন, এই পূজাটা বহুবছর আগের পুরোনো। এখানে পূজা উদযাপিত হচ্ছে, পাশেই মসজিদ আছে হিন্দু-মুসলমান আমরা একত্রিত হয়ে পূজা উদযাপন করি। আমাদের অনেক ভালো লাগে ।

শিক্ষার্থী প্রীতি সেনগুপ্ত বলেন, আমি ১০ বছর ধরে এস মন্দিরে দুর্গাপূজা দেখতে এবং পূজার আনন্দ উপভোগ করতে আসছি। মুসলামানদের নামাজের সময় আমাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকছে। নামাজ শেষে পুনরায় পূজার কার্যক্রম করা হচ্ছে।

মন্দির কমিটি সাধারণ সম্পাদক রনি চৌধুরী বলেন, শৈশবকাল থেকে আমরা এখানে পূজা করছি। নামাজের সময়সূচি মেনে আমরা দুর্গাপূজা পালন করছি। নামাজের সময় আমার পূজার কার্যক্রম বন্ধ থাকে। তারাও আমাদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে থাকে। মসজিদের লোকজন আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করছে। আমরাও তাদের সহযোগিতা করছি।

তিনি আরও বলেন, মুসলিমরা ঈদের সময় মসজিদে নামাজ আদায় করছেন। আমরা পূজার সময় সুন্দরভাবে পূজা করছি। এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সমস্যা হয়নি।

মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ তারেক বলেন, ভ্রাতৃত্বপূর্ণভাবে আমরা যার যার ধর্ম পালন করছি। আমরা এখানে কোন ভেদাভেদ করি না কে হিন্দু বা মুসলমান। বিপদে আপদে আমরা সব সময়ই তাদের সহযোগিতা করছি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এটি যেনো নিদর্শন হয়ে থাকে, দেশের সমস্ত জায়গার মানুষ যেনো এভাবে চলতে পারে। এমন মূল্যবোধ ধারণ করলে পৃথিবীতে কোথাও অশান্তি হবে না।


আরও খবর



ভিজিট ভিসায় আমেরিকা গিয়ে যেভাবে সেটেল হবেন

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অনেকেই আমাকে এই প্রশ্ন করেছেন কিভাবে ভিজিট ভিসায়  আমেরিকা গিয়ে সেটেল হওয়া যাবে ।

যেহেতু বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি ভিসা হয় আমেরিকার ভিজিট ভিসা । আমেরিকা প্রতিবছর আমাদের দেশ থেকে  কমপক্ষে ২০০০০ থেকে ৩৫ হাজার ভিজিট ভিসা দিয়ে থাকে। 

এই মাল্টিপল ভিজিট ভিসা পাঁচ বছরের জন্য প্রদান করে,   অর্থাৎ আপনি পাঁচ বছর আমেরিকাতে যাওয়া আসা করতে পারবেন, কিন্তু একটানা ছয় মাসের বেশি থাকতে পারবেন না। 

কিন্তু বেশ কিছু উপায় আছে যেগুলো অবলম্বন করলে, পার্মানেন্টলি আমেরিকাতে থাকতে পারবেন এবং গ্রীন কার্ড পাবেন । 

বেশ কয়েকটি উপায়ে আমেরিকাতে গিয়ে সেটেল হওয়ার সুযোগ রয়েছে । আজকের এই পোস্টে বেশ কয়েকটি উপায় আলোচনা করব । 

১। আমেরিকাতে ভিজিট ভিসায় গিয়ে আপনি যদি একটি জব ম্যানেজ করতে পারেন তাহলে EB3 গ্রীন কার্ড ক্যাটাগরিতে আপনার স্ট্যাটাস চেঞ্জ করতে পারবেন । অনেক এজেন্সি আছে যারা জব ম্যানেজ করে দেয় ।

 EB3 এর আনিস্কিলড ক্যাটাগরিতে যে কেউ আবেদন করতে পারে উদাহরণস্বরূপ ওয়েটার, ফ্রুটপিকার, ডেলিভারি ম্যান, সেলসম্যান, রেস্টুরেন্টের কিচেন সহকারি, কেয়ার গিভার, বাগানের মালি এক কথায় যেকোনো আন স্কিল জব । 

তবে, আপনি যেহেতু টানা ছয় মাসে বেশি থাকতে পারবেন না, সুতরাং ছয় মাসের মধ্যে আপনি একটা জব ম্যানেজ করে আপনার লয়ারের সাথে কথাবার্তা বলে বাংলাদেশে চলে আসবেন । 

 আপনার lawyer আপনার জন্য Perm lebour certificate, I - 140 অ্যাপ্রুভ করে রাখবে এবং আপনার স্ট্যাটাস চেঞ্জ করবে । যাইহোক, পরবর্তী পদক্ষেপ বাংলাদেশ থেকে নিতে পারবেন  এবং EB3 হয়ে গেলে পরিবারসহ গ্রীন কার্ড নিয়ে চলে যেতে পারবেন । ( EB3 নিয়ে বিস্তারিত ভিডিও আকারে আসবে ) 

২। ভিজিট ভিসায় গিয়ে আপনি  ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স এ  অথবা অন্য  যেকোনো বিষয়ে আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী ভর্তি হতে পারেন এতে করে আপনি ভিজিট ভিসার ক্যাটাগরি  F1 ক্যাটাগরিতে পরিবর্তিত হবে এবং আপনি আমেরিকাতে থাকতে পারবেন । 

৩। আপনার যদি বাংলাদেশে থাকা নিরাপত্তা জনিত কারণে কঠিন হয় তাহলে, আমেরিকাতে ভিজিট ভিসায় গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে পারেন, আপনি রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করলেই বৈধভাবে আমেরিকাতে থাকতে পারবেন এবং কাজ করতে পারবেন ।

 যে কেউ এই আবেদন করতে পারে এবং সহজ প্রসেস ।

আপনার পিটিশন সঠিক কিনা সেটা রায় আসতে ৭ থেকে ১০ বছর সময় লাগবে । ১০ বছর পরে আপনি যদি প্রমাণ করতে পারেন আপনি সঠিক ছিলেন  তখন আপনাকে তারা পার্মানেন্টলি থাকার পারমিশন দেবে , আপনার পিটিশন ক্যানসেল হলে বাংলাদেশে ব্যাক করতে হবে । 

৪। আমেরিকার নাগরিক এমন করো নারী / পুরুষকে বিয়ে করতে পারেন । 

আরো অসংখ্য উপায় রয়েছে যেখানে বৈধভাবে থাকা যাবে, আমেরিকাতে গিয়ে নরমালি কেউ ফেরত আসে না । 

মাত্র ১৮৫ ডলার/  ২২ হাজার টাকা এম্বাসি ফি দিয়ে কিভাবে আমেরিকার ভিজিট ভিসা করবেন এই বিষয়ে ষ্টেপ বাই স্টেপ বিস্তারিত ভিডিও কোর্স তৈরি করা হচ্ছে । যেখানে আমি সরাসরি কয়েকটি অ্যাপ্লিকেশন করে দেখাবো । 


আরও খবর



দেশের প্রেক্ষাগৃহে দুই নতুন সিনেমা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

প্রেক্ষাগৃহের মুক্তি পেয়েছে দুটি সিনেমা। আহসান সারোয়ারের ‘রং ঢং’ ও রেজাউর রহমানের ‘থার্টি সিক্স টোয়েন্টি ফোর থার্টি সিক্স’। চার বছর সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকার পর আলোর মুখ দেখছে রং ঢং, অন্যদিকে ওয়েব ফিল্ম হিসেবে নির্মিত হলেও সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে থার্টি সিক্স টোয়েন্টি ফোর থার্টি সিক্স।

রং ঢং : চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির কিছু নবীনের প্রতারিত হওয়ার ঘটনা নিয়ে ২০১৬ সালে আহসান সারোয়ার শুরু করেছিলেন রং ঢং সিনেমার শুটিং। দেশের বিভিন্ন স্থানে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলেছে দৃশ্য ধারণের কাজ। ২০১৯ সালে সেন্সর বোর্ডে জমা পড়লে আটকে যায় সিনেমাটি। প্রথমে সংশোধনী দিলেও পরবর্তী সময়ে নিষিদ্ধ করা হয়। চার বছর সেন্সরে আটকে থাকার পর গত বছর আপিলের মাধ্যমে ছাড়পত্র পেয়েছিল সিনেমাটি।

অবশেষে আজ দেশের পাঁচটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে রং ঢং। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, আরমান পারভেজ মুরাদ, লুৎফুর রহমান জর্জ, ফারুক আহমেদ, ডা. এজাজুল ইসলাম, প্রাণ রায়, রাকিব হোসেন ইভন, মাখনুন সুলতানা মাহিমা, সোহেল মণ্ডল প্রমুখ।

থার্টি সিক্স টোয়েন্টি ফোর থার্টি সিক্স : অসংখ্য ক্যাজুয়াল ও অনলাইন ডেটিংয়ের পর বিয়ের জন্য রাজি হয় প্রিয়ন্তী। তার একটাই চাওয়া—ডেস্টিনেশন ওয়েডিং। মানে বাড়ি কিংবা কনভেনশন সেন্টারে নয়, দূরে কোনো পর্যটনকেন্দ্রে হতে হবে এই বিয়ের আয়োজন। প্রিয়ন্তীর ডেস্টিনেশন ওয়েডিং প্ল্যানের দায়িত্ব পায় সায়রা। প্রিয়ন্তীর বিয়েকে কেন্দ্র করে সেখানে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা।

এমন গল্পে রেজাউর রহমান বানিয়েছেন থার্টি সিক্স টোয়েন্টি ফোর থার্টি সিক্স। এতে প্রিয়ন্তী চরিত্রে দেখা যাবে প্রার্থনা ফারদিন দীঘিকে আর সায়রা চরিত্রে আছেন কারিনা কায়সার। সিনেমাটি নির্মিত হয়েছিল ওয়েব ফিল্ম হিসেবে। গত ১৮ জুলাই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তবে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কর্তৃপক্ষ।

পরবর্তী সময়ে চরকি জানায়, ওটিটিতে নয়, সিনেমা হলে দেখা যাবে প্রিয়ন্তীর বিয়ে। এতে আরও অভিনয় করেছেন সৈয়দ জামান শাওন, গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মিলি বাশার, মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, শহীদুল আলম সাচ্চু, রোজী সিদ্দিকী প্রমুখ। আজ দেশের ২৩টি হলে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি।



আরও খবর

রটারডাম উৎসবে ‘কাজলরেখা

রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪




নির্বাচিত হয়ে আসলে জাতীয় সরকার গঠন করবো

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

নির্বাচিত হয়ে আসলে আমরা একা দেশ চালাবো না। আমরা একটি জাতীয় সরকার গড়ে, যারা আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে ছিল তাদের নিয়ে দেশ চালাবো। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? সন্দেহটা কোথায়? সন্দেহ কিন্তু আপনাদের ওপর আসতে শুরু করেছে। আমরা তো চাই, সরকার সাফল্য অর্জন করুক, তাদের সাফল্য মানে আমাদের সাফল্য। তারা ব্যর্থ হলে আমরা ব্যর্থ হবো। আমরা চাই না— শেখ হাসিনা আবার ফিরে আসুক। আমরা চাই না, আওয়ামী লীগের দুঃশাসন আবার ফিরে আসুক, বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের প্রায়োরিটি হচ্ছে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করা, গণতন্ত্রের জন্য স্পেস তৈরি করা। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনা মাধ্যমেই তো আমরা সংস্কারের ৩১ দফা তুলে ধরেছি। এখন নতুন যারা আসছেন তারা একেকজন একেক কথা বলে যাচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন, তারা তো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। তাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও নেই। আসলে রাজনীতি তো একটি সায়েন্স, এজন্যই তো বলা হয় পলিটিক্যাল সায়েন্স। বিএনপি কী ক্ষমতার জন্য নির্বাচনের কথা বলছে? না, দ্রুত নির্বাচন দিলেই দেশের অনেক সমস্যায় সমাধান হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার পার্লামেন্টারি গভর্নমেন্ট ঘোষণার মধ্য দিয়েই স্বৈরাচার এরশাদকে সরানো গেছে। শেখ হাসিনা যখন কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট বাতিল করলো, তখন আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারিনি। এটা কী অসত্য? কেন পারলাম না? ১৫ বছর লড়াই-সংগ্রাম করে আমরা তাকে সরাতে পারিনি। তবে ফাইনাল গোলটা কিন্তু ছেলেরা দিয়েছে। এটা তো স্বীকার করতেই হবে আমাদেরকে।’

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের গতকালের (সোমবার) আন্দোলন প্রসঙ্গে মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের ইন্টেলিজেন্সের ভেতরে কী কোনও তথ্য ছিল না? তারা কী এর ব্যবস্থা আগে নিতে পারতেন না? আসলে গভর্নমেন্টটা এখনও স্ট্যাবল হতে পারেনি। তাই বলছি, নির্বাচন কমিশন ঠিক করে নির্বাচন দেন, একটি রোড ম্যাপ ঘোষণা দেন, কবে কী করবেন জানান। তাহলে মানুষের মনে আস্থা আসবে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে অনেকে হতাশ হয়ে পড়েছেন, অনেকে বলাবলি করেন— এজন্যই কি সংগ্রাম করেছি? এতে করে আমাদের শত্রুরা সুযোগ নেবে।’

সরকার থেকে বিভিন্ন কথা বলা হচ্ছে। তবে আমি বলতে চাই, যেকোনও একদিকে ফোকাস দিন। পুলিশ প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিন।’ বাকি সংস্কারগুলো নির্বাচিত হয়ে যারা আসবেন তারা করবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় এই নেতা।

দেশের শিক্ষা কাঠামোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আমরা কী সাফল্য অর্জন করেছি শিক্ষা খাতে? বিশ্বের এক হাজার ইউনিভার্সিটির তালিকার মধ্যে আমাদের একটি ইউনিভার্সিটির নামও আসে না। এর কারণ আমরা ঐক্যবদ্ধ জাতি না। আর দেশের সবচেয়ে ক্ষতি করেছে শেখ হাসিনা। দেশের সব অর্জন ১৫ বছর শেষ করেছে সে। এখন আমাদের দরকার ইস্পাত কঠিন ঐক্য।


আরও খবর



ফুলবাড়িতে পরিবেশ রক্ষার্থে পলিথিনের বিকল্প কলা পাতায় লবণ বিক্রি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী :

বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার পরিবেশ রক্ষার্থে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও প্রশাসনের নজরদারি বা তৎপরতা না থাকার কারণে সরকারের এই আইনকে উপেক্ষা করে ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার গুলোতে ক্রেতা এবং ক্রেতারা যত্রতত্র ভাবে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার অবাধে করে যাচ্ছে।  


সোমবার ১৮ (নভেম্বর) কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার খড়িবাড়ি বাজারে সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা যায় ব্যতিক্রম একটি দৃশ্যে।পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধের সরকারের সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানিয়ে পরিবেশ রক্ষার্থে নিজ উদ্যোগে শমসের আলী নামের এক লবণ ব্যাবসায়ী কলা পাতায় ১ কেজি করে লবণ সুন্দর করে প্যাকেট জাত করে বিক্রি করছেন। তার এই মহতী উদ্যোগকে বাজারে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।আবার অনেকে কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো লবণের পোঁটলা সহ তার দোকানের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট ও করছেন।


জানাযায়, লবণ ব্যাবসায়ী শমসের আলী (৬২) ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের নাগদাহ এলাকার বাসিন্দা। গত ১৫ বছর ধরে তিনি খড়িবাড়ি বাজারে খোলা বাজারে লবণ বিক্রি করে আসছেন।


এব্যাপারে লবণ ব্যাবসায়ী শমসের আলী (৬২) বলেন, আমি খবর শুনেছি টেলিভিশনে অনেক জনে পেপার পত্রিকায় পরেছেন তাদের মুখে শুনেছি, সরকার পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সেই কারণে আমি সরকারের সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানিয়ে, পরিবেশ রক্ষার জন্য নিজ উদ্যোগে ১ কেজি লবণ কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো প্যাকেট করে বিক্রি করছি।কলা পাতায় লবণ বিক্রি করার কারণে আপনার বিক্রি কমেছে না কি এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, নানা কমেনি বরং আমার এমন উদ্যোগ দেখে সবাই স্বাগত জানাচ্ছেন। তিনি আরও জানান আসলে পলিথিন খুব ক্ষতিকারক সবাই জেনে ও এখনো ব্যবহার করছেন। প্রশাসনের লোক যদি একটু তদারকি করতেন তাহলে এর ব্যবহার অনেক টা কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।


খড়িবাড়ি বাজারে লবণ ক্রেতা, আনোয়ারা হোসেন, মমিনুল হক, ইলাহী বকস জানান, কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো লবণের পোঁটলা গুলো এমন ভাবে তৈরি করেছে ব্যাগে রাখলে পরার সম্ভাবনা নাই। একদম পরিবেশ বান্ধব প্যাকেট গুলো,সমসের চাচার এই মহতী উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।ব্যবসায়ী জাহেদুল হক জানান,বাজারে গত এক সপ্তাহ ধরে পলিথিনের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব উদাহরণ স্বরূপ কলাপাতার প্যাকেটে লবণ বিক্রি করছেন শমসের চাচা।তার এই অসাধারণ পদ্ধতি দেখে আরও একজন লবণ ব্যবসায়ী কলা পাতায় লবণ বিক্রি করছেন,এই পদ্ধতি ধরে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে তাহলে ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যবহার কমে যাবে। তিনি আরও জানান,কলার পাতা একদম সহজলভ্য এবং পচনশীল যা পরিবেশ রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


রাবাইতারী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ, রেজাউল হক মনি জানান,একসময় এই কলা পাতায় মোড়ানো প্যাকেটের মাধ্যমে লবণ সহ অন্যান্য দ্রব্যাদি বেচা কেনা হতো প্রায় চল্লিশ পয়চল্লিশ বছর আগের কথা হবে।কিন্তূ যুগের পরিবর্তনে এটা আস্তে আস্তে বিলিন হয়ে যায় যুগের পরিবর্তনে আসে পলিথিনের ব্যবহার এটাযে পরিবেশের জন্য কত ক্ষতিকারক তা আমরা কখনো ভেবে দেখিনা।আজ অনেকদিন পর কলা পাতায় মোড়ানো লবণের প্যাকেট দেখে সেই সময়ের কথা মনে পড়ে গেল।খুব ভালো লাগলো। এটি অত্যন্ত পরিবেশ বান্ধব আমরা এতদিন জেনেশুনে পলিথিন ব্যবহার করে পরিবেশ বিষাক্ত বানিয়ে ফেলেছি।বর্তমান সরকার যেহেতু পরিবেশ রক্ষার্থে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন। আমারা সবাই সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। নিজের পরিবেশ নিজেই রক্ষা করি,পলিথিন ব্যবহার না করি। পরিবেশ রক্ষার্থে আসুন আমরা সবাই পুরোনো দিনে ফিরে যাই, পলিথিনের বিকল্প পরিবেশ বান্ধব কলার পাতা শট্রির পাতা বা পাটজাত পচনশীল পণ্যের ব্যবহারে এগিয়ে আসি।সবাই সুস্থ থাকি।


আরও খবর



বেক্সিমকো ফার্মায় রিসিভার নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসে রিসিভার নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে এর বাইরে বেক্সিমকো গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে রিসিভার নিয়োগের আদেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন আদালত।

এ বিষয়ে শুনানি শেষে মঙ্গলবার আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার শুনানির এ দিন ঠিক করেন আদালত। আদালতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও মুস্তাফিজুর রহমান খান। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুনীরুজ্জামান। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান।

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি রিট আবেদন করেন। ওই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আদেশ দেন।

আদেশে বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি দেখভাল করার জন্য রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ছয় মাসের জন্য গ্রুপটির সব সম্পত্তি সংযুক্ত (অ্যাটাচ) করতে বলা হয়েছে।


আরও খবর

জয় বাংলা' এখন থেকে জাতীয় স্লোগান নয়

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

জামিন পেলেন এসপি বাবুল আক্তার

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪