Logo
শিরোনাম

সম্পর্কে নতুন মোড়! রাজের জন্য নিজেই রান্না করলেন পরীমণি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

বিডি টু ডে বিনোদন ডেস্ক:


ঢাকাই সিনেমার পরিচিত নাম পরীমণি ও শরিফুল রাজ। একসঙ্গে সিনেমা করতে গিয়ে প্রেম পরে বিয়ে ও বিচ্ছেদ। তাদের একমাত্র সন্তান পুণ্য বেড়ে উঠছে পরীর কাছেই। 


বিচ্ছেদের পর থেকে তাদের দুজনের মুখ দেখা দেখিও বন্ধ ছিল। এত দিনে সন্তানকেও দেখার সুযোগ হয়নি রাজের। এই সময়ে রাজ চুপচাপ থাকলেও অনেকবারই ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলেছেন পরী। 


ছেলের প্রতি দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকবার দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে রাজের সমালোচনা করেছেন। তবে হঠাৎ করে তাদের দুজনকে ঘিরে দৃশ্যপট যেন পাল্টাচ্ছে, এমন খবরই পাওয়া যাচ্ছে। 



চলচ্চিত্র পাড়ার গুঞ্জন উঠেছে মাসখানেক হলো রাজ নাকি পরীর বাসায় যাতায়াত করছেন। এর মধ্যে কয়েকটি অনুষ্ঠানেও দুজনের দেখা হয়েছে। সন্তানকে দেখার জন্য এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার পরীমণির বাসায় গিয়েছেন রাজ।


নিজের বাসায় রাজের যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন পরীমণি বলেন, ‘অন্য একটি বিষয়ের জন্য রাজ বাসায় এসেছিল। বিচ্ছেদ হওয়ার পর আমার সঙ্গে দেখা হয়নি। আমি দেখা করতেও চাইনি। 



বাসায়ও আসা মানা ছিল তার। কিন্তু হঠাৎ করেই কিছুদিন আগে আমার বাসায় এসেছিল। সেই সময় বাসা থেকে যাওয়ার আগে তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আমার বাসায় রয়ে গিয়েছিল।


 কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় এসেছিল। কাগজপত্রগুলো আমি যত্ন করেই রেখে দিয়েছিলাম। এসে নিয়ে গিয়েছে। অনেকক্ষণই ছিল। এলে তো আর বের করে দিতে পারি না।’



ছেলের সঙ্গে দেখা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে পরী বলেন, ‘হ্যাঁ, দেখা তো হবেই। তারও তো সন্তান পুণ্য। আমি রান্না করেছিলাম। সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেছি। এই আরকি। 



তাহলে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক কেমন যাচ্ছে জানতে চাইলে পরীমণি বলেন, এই শহরে অনেকেরই তো বিচ্ছেদ হয়েছে, হয়। সন্তানকে ঘিরে কি বিচ্ছেদ বাবা-মায়ের দেখা-সাক্ষাৎ হয় না? কথা হয় না? 


কিন্তু রাজের বিষয়টি ভিন্ন। ও বাচ্চাকে সময় দেয়নি। সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়নি। শখ করেও কোনো দিন সন্তানকে খেলনা পর্যন্ত কিনে দিতে দেখলাম না। ঠিকমতো খবরই তো রাখেনি। আমার মনে হয়, সন্তানের মর্মই ও বোঝে না।’



রাজ নিয়ে পরী বলেন,‘কয়েক দিন তো দেখলাম। রাজ পুণ্যকে কোলে নিতে চাইলে ওভাবে রাজকে বাবা হিসেবে চিনতে পারে না এখন। অথচ আগে রাজ ছাড়া পুণ্য কিছুই বুঝত না। এটি রাজের জন্য নির্মম।



 সব কথার শেষ কথা, রাজের সাফল্যেও আমার যায় আসে না, ব্যর্থতাতেও নয়। সে তো আমার জীবনে অতীত। সে এখন আমার কাছে ঘৃণার পাত্র।



আরও খবর



জুলাই অভ্যুত্থান : বর্ষপূর্তি পালনে বিএনপির কমিটি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি পালনে ৫৮ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘জুলাই-অগাস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন কমিটি।

কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে। আর সদস্য সচিব হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোর্শেদ হাসান খান। বৃহস্পতিবার বিকেলে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কমিটির নাম ঘোষণা করেন রিজভী।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, আবদুস সালাম আজাদ ও সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদি আমিন, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল, মাহবুবে রহমান শামীম, শাহিন শওকত, আসাদুল হাবিব দুলু, জিকে গাউস, সেলিম ভুঁইয়া, শরীফুল আলম, শামা ওবায়েদ ও অনিন্দ্য ইসলাম অমিতও আছেন সদস্যের তালিকায়।

দলের উপ-কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবু, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারিও আছেন কমিটিতে।

সদস্যের তালিকায় বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাদের মধ্যে রয়েছেন— মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান।

কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাছিম, জাসাসের সভাপতি হেলাল খান, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানও আছেন সদস্য হিসেবে।

সদস্য করা হয়েছে তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান, উলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা কাজী সেলিম রেজা, সদস্য মাওলানা আবদুল হোসেন, ছাত্রদলের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির এবং আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন ও সদস্য সচিব মোকছেদুল মোমিন মিথুনকেও।

এ ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শামীমা সুলতানা লাকি, নাহরীন খান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৌহিকুল ইসলাম মিথিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল্লাহ আল মামুন, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, সাঈদ আবদুল্লাহ, এহসান মাহমুদ, সাঈদ খান, নাটোর জেলার বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারজানা শারমিন পুতুলও আছেন কমিটিতে।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




টাকা পাচারকারীরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ বললেন, যারা টাকা পাচার করেন তারা অত্যন্ত বুদ্ধিমান লোক। তিনি বলেন, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সহজ না। পাচারের টাকা ফেরত পেলে বাজেট সাপোর্টের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে যেতে হতো না। পাচারের টাকা ফেরত আনতে সময় লাগবে। আমরা বলেছি, এক-আধ বছর লাগতে পারে, সেই প্রসেস শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পাচার হওয়া কালো টাকা দেশে আনার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে কাজ চলছে।

তিনি বলেন, অনেকেই বলেছেন ঢালাওভাবে কালো টাকা সাদা করে দেওয়া হয়। কালো টাকা কিন্তু ঠিক কালো টাকা না, আমরা বলছি অপ্রদর্শিত আয়। অপ্রদর্শিত আয় যদি থাকে শুধু ফ্ল্যাটের ব্যাপারে একটা বিধান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা কালো টাকা না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাজেটে বৈষম্যবিরোধী পদক্ষেপ একেবারে নেই তা কিন্তু না। বাজেটে নারীদের জন্য ফান্ড আছে, স্টার্টআপের জন্য অর্থ বরাদ্দ আছে, যুবকদের জন্য টাকা দিচ্ছি। বাকি অনেক খাতের জন্যও আছে। তবে একেবারে বৈষম্যবিরোধী, কর্মসংস্থানের জন্য নেই সেটা কিন্তু না। ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক কিছুর ট্যারিফ উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাজেট গত বছরের তুলনায় ছোট হয়েছে, সেটা বাস্তবায়ন খুব বেশি কঠিন না। বাজেট ৬ মাসের জন্য না, তিন মাস বা ছয় মাসে বাজেট করা যায় না। বাজেট করতে হয় এক বছরের জন্য। মুদ্রানীতি করতে পারে ৬ মাসে। কিন্তু আমরা বাজেট ৯ মাস ৬ মাসে করতে পারবো না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার জন্য আগের মতো কোনও বিশেষ সুযোগ নেই। তবে দুটি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর পরিশোধ করে ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে।

এর একটি হলো— কেউ নিজের জমিতে অপ্রদর্শিত অর্থ দিয়ে যদি বাড়ি তৈরি করেন, তাহলে দ্বিগুণ কর দিয়ে তা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে তার বিরুদ্ধে অন্য কোনও সংস্থা প্রশ্ন করতে পারবে না, বিষয়টা কিন্তু তা নয়। অন্যান্য সংস্থার প্রশ্ন তোলার সুযোগ আছে।

দ্বিতীয় সুযোগটি হলো— ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে। এ ক্ষেত্রে আমরা কর পাঁচগুণ করে দিয়েছি। এটা খুব ব্যয়বহুল হয়েছে। তারপরও অনেকেই যেহেতু এটা নিয়ে কথা বলতেছে, আমার মনে হয় স্যার (অর্থ উপদেষ্টা) সবাই আলোচনা করে চিন্তা করতে পারেন, কী করবেন।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫




বকশীগঞ্জে নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রতিকারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

মাসুদ উল হাসান :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে নদী ভাঙন রোধে সরকারি ভাবে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের মুন্দি পাড়া এলাকায় ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষক,ইমাম,রাজনীতিবিদ,সাংবাদিক,কৃষক,ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। এলকার সর্বস্তরের জনগনের ব্যনারে আয়োজিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বকশীগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক ইঞ্জি.শাহরিয়ার আহমেদ সমুন, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সা’দ আহমেদ রাজু, সুন্দর আলী,ইমরান নাজির প্রমুখ।

এ সময় বন্যায় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ মেরুরচর ইউনিয়নের মুন্দী পাড়া গ্রামের বিদ্যুৎ মিয়া,সুন্দর আলী,জুয়েল মিয়া,সেমাজুল হক,শিক্কু মিয়া, লুৎফর রহমান, শফিকুল ইসলাম, সাজু মিয়া, মজিবুর রহমান, সোলায়মান হক, কালামত আলী,আলাল মিয়া,আমিরুল ইসলাম,ঘুঘরাকান্দি এলাকার ফকির আলী, গামা শেখ, হাসেম আলী, মকবুল শেখ,ফরিদ,মজিবুর রহমান,দুখু মিয়া, টুনু মিয়া, শের আলী, হযরত আলী, ওমান মিয়া, ইসরাফিল, আলামিনসহ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। 

বক্তরা বলেন,প্রতিবছর বন্যায় শতশত বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পানি বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেমন নদী ভাঙে,তেমনি পানি কমার সময়েও ভাঙন আরো বৃদ্ধি পায়। ভাঙন ভাঙন খেলায় নদী বেষ্ঠিত মেরুরচর ইউনিয়নের মানুষ এখন দিশেহারা। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রায় শতাধিক বাড়িঘর,ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সব কিছু হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন তারা। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তারা। 

স্থানীয় বাসিন্দা ইঞ্জি,শাহরিয়ার আহমেদ সুমন বলেন, নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বছরের পর বছর এলাকাবাসী শুধু আবেদন করেই গেছেন। আশ্বাস মিললেও কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে যাতে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। তাই জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। 

ভাঙন রোধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দা সুন্দর আলী বলেন,গরীব মানুষ আমরা,তাই আমাদের খোঁজ খবর কেউ রাখে না। কতজনই তো কথা দিলো কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। 

মেরুরচর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মঞ্জু বলেন,ইতোমধ্যে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে। ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা জানান তিনি। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ রানা বলেন,উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন নদী বেষ্ঠিত। বন্যার সময় ব্যপক ভাঙনের কবলে পড়েন নদী পাড়ের মানুষ। ভাঙনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধব্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি অধিক গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। 


আরও খবর



এবারও স্বস্তিদায়ক হবে উত্তরের ঈদযাত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

উত্তরের ঈদযাত্রা এবারো আনন্দ ও স্বস্তিদায়ক হবে বলে দাবি করছে জেলা, হাইওয়ে পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তাদের দাবি, গাড়ির চাপ বাড়লেও কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছে মানুষ। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ২২টি জেলার মানুষের প্রবেশদ্বার যমুনা সেতু। ফলে এই মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন ১৭-২০ হাজার পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করে। ঈদের সময় এই সংখ্যা বেড়ে যায় প্রায় তিন গুণ। ফলে এসময় যানজটে আটকে চরম ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। কিন্তু ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক চার লেন ও যমুনা রেল সেতু চালু হওয়ায় চিরচেনা এই যানজট দূর হয়েছে। ঢাকা থেকে রংপুরগামী বাসযাত্রী রুমা বেগম বলেন, এবারের কোন যানজটে পড়তে হয়নি। নিরাপদে বাড়ি যাচ্ছি।

ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটের বাসচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এবার ঈদের ছুটির সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও সেনাবাহিনীর তৎপরতা বেশ বেড়েছে। এমন তৎপরতায় আমরা দিনরাত নির্ভয়ে গাড়ি চালাতে পারছি।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, এবার ঈদে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও দুর্ভোগের কোনো শঙ্কা নেই। তাছাড়া যানজট নিরসনে ছয় শতাধিক জেলা পুলিশ, একশো হাইওয়ে ও অর্ধশত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবে।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, এবারও মহাসড়কে যানজট নিরসনে যমুনা সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে মোট ১৮টি বুথে টোল আদায় করা হবে। যার চারটি বুথ শুধু মোটরসাইকেলের জন্য স্থাপন করা হয়েছে। পরিবার ও পরিজন নিয়ে কোনো যানজট ছাড়াই এবারও উত্তরের মানুষ ঘরে ফিরবে বলে তিনি দাবি করেন।

হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, নির্মাণাধীন ইন্টারচেঞ্জের সার্ভিস সড়ক খুলে দেওয়ায় এবারও ঈদযাত্রা নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক হবে। একটু চাপ থাকলেও কোনো যানজট দেখা দেবে না। ফলে স্বস্তি নিয়েই ঘরে ফিরবে মানুষ।

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক হোসেন বলেন, যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ সড়কের কোথাও যানজট হওয়ার শঙ্কা নেই। তাছাড়া যানজট রোধে জেলা ও হাইওয়ে পুলিশের মোবাইল টিম ও মোটরসাইকেল টিম দায়িত্ব পালন করছে।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের ‘ব্লক ওয়ার্ক ভিসা’ স্থগিত করল সৌদি আরব

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 |

Image

ভারত, পাকিস্তান এবং মিশরসহ ১৪টি দেশের জন্য ‘ব্লক ওয়ার্ক ভিসা কোটা ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত স্থগিত করেছে সৌদি সরকার। ওমরাহ, ব্যবসা এবং পারিবারিক ভিজিট ভিসার মতো আরও বেশ কয়েকটি ভিসা বিভাগও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। রিয়াদ থেকে এক প্রতিবেদনে এএফপি এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সৌদি আরব ১৪টি দেশের নাগরিকের জন্য ‘ব্লক ওয়ার্ক ভিসা কোটা’ উল্লেখযোগ্যভাবে সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে অসংখ্য বিদেশি কর্মী এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসন্ন হজ মৌসুমের সমাপ্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই সিদ্ধান্তটি রাজ্যের অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ পরিচালনা এবং ব্যস্ত সময়ে নিয়ন্ত্রক সম্মতি নিশ্চিত করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।

ভারতীয় এবং অন্যান্য ১৩ দেশের জন্য নতুন কোনো ওয়ার্ক ভিসা নেই। এ নতুন নিয়ম যেসব দেশের জন্য প্রযোজ্য সেগুলো হলো: ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, নাইজেরিয়া, জর্ডান, আলজেরিয়া, সুদান, ইথিওপিয়া, তিউনিসিয়া, ইয়েমেন ও মরক্কো।

সৌদির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত জারি করেছে, যা ২০২৫ সালের জুনের শেষ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

ব্লক ওয়ার্ক ভিসা হলো একটি পূর্ব-অনুমোদিত কোটা যা সৌদি নিয়োগকর্তাদের নির্দিষ্ট সংখ্যক বিদেশি নাগরিক নিয়োগের অনুমতি দেয়। একবার একটি কোটা অনুমোদিত হলে, কোম্পানিগুলো তাদের নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য ওয়ার্ক এন্ট্রি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে। একে গ্রুপ ভিসাও বলা হয়।


আরও খবর