Logo
শিরোনাম

সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন মেসি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

ইয়াশফি রহমান : লিওনেল মেসির সৌদি আরব ভ্রমণ নিয়ে কম আলোচনা হয়নি সপ্তাহ জুড়ে। দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা জুটেছে, বেতনও কাঁটা যাচ্ছে। দলের প্রতি তার নিবেদন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, এমনকি শোনা গেছে চুক্তি নবায়ন না করার বিষয়টিও। কিন্তু চুপ ছিলেন মেসি। তবে এবার মুখ খুললেন তিনি, ক্ষমা চেয়েছেন সমর্থকদের কাছে।

বিনা অনুমতিতে মেসি সৌদি সফরে যাওয়ায় কড়া অবস্থান নেয় পিএসজি। নিষেধাজ্ঞা জারি করে মেসির উপর। এরপর থেকেই পক্ষে-বিপক্ষে নানান কথা ভেসে বেড়াচ্ছিল ফুটবল মহলে। গুঞ্জন উঠে নানান ইস্যুতে। তবে মুখ খুলেননি মেসি, বরং পরিবার নিয়েই সৌদি আরবে সাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি।

তবে বৃহস্পতিবার থেকে যখন ক্লাবের সমর্থকরা তাকে উদ্দেশ্য করে দুয়ো দিতে শুরু করে প্যারিস জুড়ে, পিএসজির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে, স্লোগান উঠায় তার বিরুদ্ধে; তখন আর চুপ থাকতে পারলেন না আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী এই অধিনায়ক। ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে এক ভিডিও পোস্ট করে ক্ষমা চান তিনি।

যেখানে মেসি বলেন, যা ঘটছে, তা শেষ হবার পর আমি এই ভিডিওটা তৈরি করতে চেয়েছি। প্রথমত, আমি আমার ক্লাব ও সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি ভেবেছিলাম ম্যাচের পরে সব সময়ের মতো দল ছুটিতে থাকবে। আর এই সফরটা আমার আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। তাই এটা বাতিল করতে পারিনি। আগেও আমি এই সফরটা বাতিল করেছি।

মূল ঘটনার সূত্রপাত রোববার। সেদিন লিগ আঁতে লঁরার বিপক্ষে মাঠে নামেন পিএসজির জার্সি গায়ে। ম্যাচে ৩-১ গোলে বাজেভাবে হেরে যান মেসিরা। তবে ম্যাচের পরই ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে সৌদি সফরের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন মেসি।

সোমবার দলের অনুশীলনের সূচি থাকায় তাকে অনুমতি দেননি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের ও ক্রীড়া পরিচালক লুইস কাম্পোস। তবে অনুমতি না পেয়েও পরিবার নিয়ে সৌদি আরব সফরে যান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

বিষয়টা ভালোভাবে নেয়নি পিএসজি। বিশ্বের সেরা এই ফুটবলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও পিছপা হয়নি তারা। শাস্তি হিসেবে ১৪ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেয় তার উপর। তাছাড়া এই কয়দিনের বেতনও কেটে নেয়ার ঘোষণা দেয় তারা।

 


আরও খবর

বিসিবি ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন পাপন

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




পোশাক কারখানায় নিয়োগ বন্ধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

দেশের সব পোশাক কারখানায় সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজিএমইএ বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সদস্যদের কারখানার গেটে নিয়োগ বন্ধ নোটিশ টাঙানোর নির্দেশনা দিয়েছে বিজিএমইএ

বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ কার্যালয়ে পোশাক শিল্প মালিকদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সভাপতিত্বে সভায় আরও তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এসব সিদ্ধান্তের কথা বিজিএমইএ চিঠি দিয়ে জানিয়েছে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে

সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেসব কারখানায় আগুন দেওয়া, ভাঙচুর বা মারামারির ঘটনা ঘটেছে, সেসব কারখানা কর্তৃপক্ষকে প্রমাণ হিসেবে ছবি ভিডিও ফুটেজ নিয়ে নিকটস্থ থানায় মামলা করতে হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম জানা না থাকলে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা যাবে। মামলার পর এর একটি কপি তাদের সিনিয়র অতিরিক্ত সচিবকে পাঠাতে বলা হয়েছে

সমন্বয় সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, যেসব কারখানার শ্রমিকরা কারখানায় গিয়েও কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন বা কারখানা ছেড়ে বেড়িয়ে যাবেন, সেসব কারখানার মালিকরা বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৩ () ধারা অনুযায়ী, কারখানা বন্ধ করে দেবেন

সভায় অন্যদের মধ্যে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি এস এম মান্নান (কচি) এবং সহসভাপতি পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

এবার বছর জুড়েই উত্তাপ ছড়িয়েছে ভোগ্যপণ্যে অস্বাভাবিক দাম। ডিসেম্বরে এসেও যা অব্যাহত রয়েছে। রাজধানীর বাজারে এ মাসেও যথারীতি চড়াই রয়েছে আটা-ময়দা, চিনি, ডাল, আলু ও পেঁয়াজের দাম। এর মধ্যে আমদানি পণ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশীয় পণ্যের বাজার চড়া, ৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে।

তবে বছরের শেষ মাসে এসে কিছুটা স্বস্তি ডিম ও সবজির বাজারে। এ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে ডিম এবং ৫০ টাকায় মধ্যে বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ সবজি। তবে বছর জুড়েই এ দুই পণ্যের অস্বাভাবিক দামও ভুগিয়েছে ক্রেতাদের।

গত মাসের শুরুতে বেড়ে যাওয়া আটা-ময়দা, চিনি ও মসুর ডালের দাম এ মাসেও অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলোতে বাড়তি দামেই বিক্রি হয়েছে খোলা ও প্যাকেটজাত আটা-ময়দা। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, কোম্পানিগুলো নতুন রেটে ২ কেজির আটা ও ময়দার প্যাকেট সরবরাহ করেছে। তবে দাম এক লাফে ২০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। নতুন দামে ২ কেজির আটা ১২০ টাকা এবং ময়দা ১৪০ টাকা করা হয়েছে। যা নভেম্বরে বিক্রি হয়েছে ১শ ও ১২০ টাকা দরে। ফলে বাজারে খোলা আটা ও ময়দা প্রতি কেজি ৫০ ও ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

একই অবস্থা চিনি ও মসুর ডালসহ বেশিরভাগ আমদানি পণ্যের দরেও। এদিন বাজারে প্রতি কেজি চিনি এবং ছোট দানার মসুর ডালের কেজি বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকার উপরে। অন্যদিকে গত ৪ মাস ধরে উত্তাপ ছড়ানো পেঁয়াজের বাজার এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি আমদানি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকার উপরে। এর আগে এত দীর্ঘ সময় পেঁয়াজে এমন দাম দেখা যায়নি।

এদিকে বাজারে নতুন আলু আসতে শুরু করলেও দাম স্বস্তি পাচ্ছে না ক্রেতারা। এখনো বাজারে ৫০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে পুরানো আলু। অন্যদিকে নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ বছরের শেষ মাসে এসে ডিম ছাড়া অন্য কোনো পণ্যে সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর হয়নি।

অন্যদিকে বছর শুরুতে খাদ্য পণ্যে ৭.৭৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি থাকলেও শেষ হচ্ছে প্রায় ১৪ শতাংশে। বিশেষ করে শেষ চার মাসে গড়ে প্রায় ২ শতাংশ হারে বেড়েছে এর হার। এর ফলে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি প্রথমবারের মতো দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতিকে ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৪০ শতাংশ।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, বছরের শুরুতে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে খাদ্য উৎপাদন ও পরিবহণে বাড়তি খরচ খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু তা সার্বিক মূল্যস্ফীতির থেকে তা ছিল। তবে জুন-জুলাইয়ে পর রিজার্ভ সংকট ও ডলারের বিপরীতে টাকার মান হ্রাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি সার্বিক মূল্যস্ফীতিকে ছাড়িয়ে যেতে থাকে। মূলত বাজার সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে এখাতে মূল্যস্ফীতির এমন অস্বাভাবিক প্রবণতা দেখা গেছে। অর্থাৎ অন্য যে কোনো পণ্যের থেকে খাবারে ভোক্তার ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ।

তবে গত দু-সপ্তাহ ধরে বাজারে কমতির দিকে ডিমসহ পোল্ট্রি পণ্যের দাম। এদিন প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১১৫-১২০ টাকা মধ্যে। সে হিসেবে প্রতি পিস ডিমের দাম ১০ টাকার কম। যা সরকার নির্ধারিত দামের থেকেও প্রতি পিসে প্রায় আড়াই টাকা কম। ফলে ডিম আমদানির অনুমতি নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে ডিম আনছেন না। এছাড়াও বাজারে প্রতি সপ্তাহেই কমেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। এদিন প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা ও সোনালি ২৯০ টাকা দরে।

অন্যদিকে বাজারে শীতের সবজির ব্যাপক সরবরাহ দেখা গেছে। যদিও হরতাল-অবরোধে সবজি পরিবহণ কমছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত দু-সপ্তাহ ধরে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কমেছে। ফলে সবজির কম এলেও তা ক্রেতা চাহিদার থেকে বেশি। ফলে দামও কমতির দিকেই রয়েছে। এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি।

অন্যদিকে, প্রায় অপরিবর্তিত দাম রয়েছে মাছের বাজারে। এদিন মাঝারি আকারের রুইয়ের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪শ, বড় কাতল ৪শ, বড় পাঙ্গাশ ২শ, চাষের কই (ছোট) ৩২০, তেলাপিয়া আড়াইশ ও শিং মাছ ৬শ, শোল মাছ ৮শ টাকা, পাবদা ৫শ থেকে ৬শ, ট্যাংরা মাছের কেজি আকার ভেদে ৬শ থেকে ৭শ, মলা মাছ ৫শ, বাইলা ১ হাজার টাকা, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪শ, মাঝারি আকারের বোয়াল ৫শ থেকে ৬শ, গুড়ামাছ ৩শ টাকা, ছোট চিংড়ি ৫শ টাকা, গলদা ৭শ এবং বাগদা ৮শ থেকে ৯শ ও রূপচাঁদা ৯শ টাকা দরে।

 


আরও খবর

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩

দাম বাড়ল এলপি গ্যাসের

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




আওয়ামী লীগের প্রার্থীর চেয়েও আলোচিত যে সব স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক :

 আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগই ইতোমধ্যে ২৯৮ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।

 এবারের নির্বাচন এমনভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যেখানে আওয়ামী লীগের জয় নিয়ে কোনরকম সংশয় নেই। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, যেমন জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম তারা নির্বাচনের দ্বিতীয় হওয়ার লড়াই করছে।

 কিন্তু কেউই নির্বাচনে ক্ষমতায় যাবে এমন কোন আশাবাদ ব্যক্ত করছেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

 যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে নানা ভাবে যুক্ত ছিলেন, আছেন। তারাই এবার অনেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

এর ফলে এবারের নির্বাচন শুরু থেকেই জমে গেছে। 

অনেক স্থানেই দেখা যাচ্ছে যে, আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থীর চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী অনেক বেশি আলোচিত এবং আলোকিত।

 যে সমস্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন জাতীয় রাজনীতিতেও আলোচিত, গুরুত্বপূর্ণ এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে তারা কোণঠাসা করে ফেলতে ফেলতে পারেন এমন আশঙ্কাও সৃষ্টি হয়েছে।

এ কে আজাদ চৌধুরী:

      এ কে আজাদ চৌধুরী একজন বর্ণাঢ্য শিল্পপতি ব্যবসায়ী। তিনি এক সময় বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি ছিলেন। 

আওয়ামী ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ী একদা আওয়ামী লীগ সভাপতিরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন ফরিদপুর-৩ আসনে।

 কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়ন পাননি। তার বদলে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে শামীম হককে। শামীম হকের চেয়ে জাতীয়ভাবে অনেক বেশি পরিচিত এ কে আজাদ চৌধুরী।

 তিনি ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের নেতাই শুধু নন, একটি টেলিভিশন চ্যানেল এবং একটি দৈনিক পত্রিকার মালিকও বটে। আর এর ফলে নির্বাচনের মাঠে তিনি যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দেবেন এটি এখন থেকেই বিভিন্ন মহলে আলোচিত হচ্ছে।

হাবিবে মিল্লাত:

   হাবিবে মিল্লাত সিরাজগঞ্জ থেকে দুই বারের এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু সিরাজগঞ্জ-২ আসন থেকে এবার তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

 তার বদলে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জান্নাত আরা হেনরীকে। হাবিবে মিল্লাত সাবেক  স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের জামাতা।

 তিনি এলাকাতেও অনেক শক্তিশালী অবস্থানে ছিলেন বলে কোন কোন মহল মনে করে। তবে তার বিরুদ্ধে সংগঠন বিরোধী তৎপরতা নানা অভিযোগ রয়েছে।

 হাবিবে মিল্লাত একজন শুধু চিকিৎসকই নন, তিনি বিভিন্ন টকশোর কারণে দেশে আলোচিত নাম। দু বারের এমপি থাকার কারণে স্থানীয় পর্যায়ে তার একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে।

 এই অবস্থায় তার নির্বাচনী আসনে জান্নাত আরা হেনরীকে প্রার্থী করা হয়েছে যিনি ২০০৮ এর নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। 

এরপর তিনি সোনালী ব্যাংকের পরিচালক হন এবং সেখানে সেখানেও তিনি নানা কর্মকাণ্ডের কারণে বিতর্কিত হয়েছিলেন। তবে দীর্ঘদিন রাজনীতি করে এবং রাজনৈতিক পরিবার থেকে বেড়ে ওঠা হেনরী, হাবিবে মিল্লাত এর চেয়ে জাতীয় পর্যায়ে কম আলোচিত হলেও স্থানীয় পর্যায়ে তার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। 

এই নির্বাচনী এলাকাতেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। 

মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন:

 ফরিদপুর মানেই কাজী জাফর উল্লাহ এবং মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের লড়াই। গত দুটি নির্বাচনে কাজী জাফর উল্লাহ ফরিদপুর-৪ আসন থেকে মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন।

 এবার কাজী জাফর উল্লাহ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ার হয়েছেন। অনেকে ধারণা করেছিলেন যে, তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করবেন না। তারপরও তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে সকলকে বিস্মিত করেছেন। 

এই আসনে মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সঙ্গে পেরে ওঠা কষ্টকর হবে বলেই অনেকে মনে করছেন। 

ইহতেশামুল হক চৌধুরী: 

      ইহতেশামুল হক চৌধুরী আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারি। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিএম-এর মহাসচিব হিসেবেও কৃতিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। 

তিনি এবার সিলেটের তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিলেটে তার একটা শক্ত ভিত রয়েছে। চিকিৎসক মহলে তার আলাদা অবস্থান রয়েছে। তিনি সিলেট অঞ্চলে নির্বাচন জমিয়ে দিতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন। 

মেজর জেনারেল (অব:) সুবিদ আলী ভূঁইয়া: 

  মেজর জেনারেল (অব:) সুবিদ আলী ভূঁইয়া আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। কিন্তু এবার তিনি মনোনয়ন পাননি। তার বদলে কুমিল্লা-১ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন আবদুস সবুর। এটি পছন্দ করেনি মেজর জেনারেল (অব:) সুবিদ আলী ভূঁইয়া।

 তিনি এখন পাল্টা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এই নির্বাচনী এলাকাতে নিঃসন্দেহে সুবিদ আলী ভূঁইয়া আলোচিত নাম। জাতীয়ভাবেও তিনি একজন পরিচিত ব্যক্তিত্ব। 

এই আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন জমিয়ে ফেলবেন বলে অনেকেই মনে করছেন।

ইকবাল হোসেন সবুজ:


   গাজীপুর-৩ আসনের বর্তমান এমপি দলিয় মনোনয়ন না পেয়ে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থি হয়েছেন।নির্বাচনী এলাকাটির প্রতিটি কোন চষে বেড়ানো জেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা মনোনয়ন না পাওয়াটা ছিল বিস্ময়ের।

অনেকেই ধারনা করেছিল তার মনোনয়ন না পাওয়ার কারনে হয়ত বা তার রাজনৈতিক জীবনের চরম উত্থানের ভাটা পড়তে যাচ্ছে।কেউ কেউ ধারনা করেছিল হয়ত বা তার রাজনৈতিক উত্থানে ছন্দনপতন শুরু হয়ে গিয়েছে।

কিন্তু জনদাবির প্রেক্ষিতে আকস্মিকভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থি হওয়ার ঘোষণা এবং বুধবার লক্ষাধিক লোকের সমাবেশের মধ্য দিয়ে তিনি মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে যে চমক এনেছেন তা দেখে অনেকেই চমকে গেছেন।

এখানে তার জনপ্রিয়তা এখনো অটুট বলে বলে মনে করছেন অনেকেই এবং নৌকার সাথে তার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




বাগেরহাট-৪, আসনে নৌকার মাঝি বদিউজ্জামান সোহাগ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৪, মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকার মাঝি হলেন বংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এইচ.এম বদিউজ্জামান সোহাগ। রোববার বিকেলে আনুষ্ঠানিক দলীয় ঘোষনার পরপরই মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থনকারীরা দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে নৌকায় ভোট চেয়ে আনন্দ উল্লাসে করে পরে দলীয় কার্যালয়ে নেতা কর্মীরা একে অপরকে মিষ্টি বিতরণ করেন।

এ আনন্দ মিছিলে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন তালুকদার, বারইখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান লাল, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মুশফিকুর রহমান নাহার, সাবেক কাউন্সিলর মোঃ ওয়ালিউর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. ওবায়দুল ইসলাম টিটু, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মনির হোসেন রাজ্জাক,

এসএম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. বায়েজিদ শিকদার, সাধারণ সম্পাদক নেয়ামুল ইসলাম নাইম সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা বলেন, বাগেরহাট-৪ আসনে মোরেলগঞ্জ-শরণখোলায় এইচ.এম বদিউজ্জামান সোহাগকে দলীয়ভাবে মনোনীত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মনোনয়ন বোর্ডের সঠিক সিদ্বান্তের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা বলেন তরুণ সমাজের জয় হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার তরুনদের নেতৃত্বে এগিয়ে নিতে হবে দেশকে। আগামী ৭জানুয়ারী শুভদিন নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এইচ.এম বদিউজ্জামান সোহাগকে বিজয়ী করার আহব্বান জানান। 


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




ইউটিউব দেখুন বিজ্ঞাপন ছাড়া

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। যেখানে আপনার বিনোদনের খোরাক মেটাতে পারেন খুব সহজেই। সিনেমা, গান, নাটক সব কিছুই রয়েছে এখানে। এছাড়া ইউটিউব থেকে অনেকেই মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।

তবে ইউটিউবে বিজ্ঞাপনের জন্য কোনো ভিডিও দেখে শান্তি নেই। অনেকেই বিজ্ঞাপন আসা বন্ধ করে রাখেন। তবে এখন এটি বিনামূল্যে আর করা যাবে না। ইউটিউব সবাই বিনামূল্যেই ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু সেই পরিষেবা পেতে গিয়ে গুচ্ছের বিজ্ঞাপনের সম্মুখীন হতে হয় ইউজারদের। যা এড়াতে চাইলেও সম্ভব হয় না। কেউ যদি সেই বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে চান, তাহলে তাকে মোটা টাকা দিয়ে ইউটিউব প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নিতে হয়।

অনেকেই বিজ্ঞাপন মুক্ত ইউটিউব ব্যবহার করার জন্য অনেকে অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করেন। এই উপায়ে যেমন প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনের জন্য টাকা খরচ করতে হয় না, তেমনই শান্তিতে ভিডিয়ো উপভোগ করা যায়। তবে সম্প্রতি এই ধরনের অ্যাড ব্লকারের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন অভিযান শুরু করেছে ইউটিউব।

সংস্থা জানিয়েছে, অ্যাড ব্লকারের ফলে সংস্থা আয়ে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। লোকসানের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের। যে কারণে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ইউটিউব। চলতি বছরের শুরু থেকেই অ্যান্টি-অ্যাড ব্লকার ক্র্যাকডাউন অভিযান শুরু করেছে সংস্থা। জানা গেছে, এই অভিযান আরও বড় আকারে নিতে চলেছে। যার ফলে ইউটিউবে কোনোভাবেই আর ব্যবহার করা যাবে না অ্যাড ব্লকার।


আরও খবর

CMOS(সিমোস) কি?এবং এর কাজের বর্ননা

শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩