Logo
শিরোনাম

সংসদে অর্থ বিল উঠছে আজ, বাজেট পাস রোববার

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image



বিডি টুডেস ডেস্ক:



নানান আলোচনা-সমালোচনার পরও কালো টাকা সাদা করার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটছে না সরকার।



 কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখেই রোববার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে পাস হচ্ছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট। নতুন এই বাজেট কার্যকর হবে ১ জুলাই থেকে।



বড় কোনো সংশোধনী ছাড়াই জাতীয় সংসদে অর্থ বিল উত্থাপন হচ্ছে আজ শনিবার (২৯ জুন)। এর আগে ৬ জুন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে আসন্ন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। 


চলতি সংসদ অধিবেশনেই সংসদ সদস্যরা বিধানের তীব্র সমালোচনা করেন।



অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে ছোটখাটো দু-একটি বিষয় ছাড়া তেমন কোনো বড় সংশোধনীর সম্ভাবনা নেই।


এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা প্রত্যাহার নিয়েও ছিল আলোচনা-সমালোচনা। নানান জল্পনা কল্পনা শেষে এমপিদের গাড়ি আমদানিতে ৪০ শতাংশ কর বসানোর প্রস্তাব করা হয় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে।



এছাড়া কর অবকাশ সুবিধার পাশাপাশি শর্ত সাপেক্ষে ইকোনমিক জোন ও হাইটেক পার্কের বিনিয়োগকারীদের ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানিতে আগের মতোই জিরো ডিউটি সুবিধা বহাল থাকতে পারে।


প্রস্তাবিত বাজেটে সংসদ সদস্যদের আমদানি করা গাড়ির ওপর শুল্ক আরোপের আহ্বান জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবু হাসান মাহমুদ আলী। তবে শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর নাও হতে পারে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে।


সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে বিদ্যমান আদেশ সংশোধনের কোনো উদ্যোগ এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। ফলে আগের মতো এবারও এমপিরা শুল্কমুক্ত কর সুবিধা ভোগ করতে পারেন।


এনবিআর সূত্র জানায়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এ সময় প্রধানমন্ত্রী কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।



 পরে মঙ্গলবার (২৬ জুন) বাজেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান।


সংশ্লিষ্টরা জানান, পর্যায়ক্রমে কর অব্যাহতি কমিয়ে কর জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল(আইএমএফ)। পাশাপাশি আর্থিক খাত সংস্কারের পরামর্শ ও দিয়েছে সংস্থাটি।


আন্তর্জাতিক এ সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, আইন প্রণেতাদের গাড়ি আমদানিতে থাকা কর অব্যাহতি তুলে নেওয়ার মাধ্যমে এ কার্যক্রম জোরদার করতে চেয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে সংসদ সদস্যদের এ সুবিধা পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার প্রস্তাবটি পাস না হওয়ার সম্ভাবনা আছে।


প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের আগে আইন প্রণেতাদের গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল আইন মন্ত্রণালয়।


জানা গেছে, কর অবকাশ সুবিধার পাশাপাশি কিছু শর্ত সাপেক্ষে ইকোনমিক জোন ও হাই-টেক পার্কের বিনিয়োগকারীদের ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানিতে আগের মতই জিরো ডিউটি সুবিধা বহাল থাকতে পারে।



 এছাড়া শেয়ারবাজারে ক্যাপিটাল গেইনের উপর নতুন করে আরোপ করা ট্যাক্স অব্যাহত থাকতে পারে।


অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদের প্রবল সমালোচনার মুখেও কালো টাকা সাদা করার বিধান থেকে সরছে না সরকার। এ সুযোগ বহাল থাকলে আগামী ১ জুলাই থেকে ১৫ শতাংশ কর প্রদানের মাধ্যমে ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যাচাই-বাছাই ছাড়াই কালো টাকা সাদা করতে পারবেন। সরকারি কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্ন করতে পারবে না।


নতুন বিধান অনুযায়ী, কোনো করদাতা ফ্ল্যাট ও জমির মতো স্থাবর সম্পত্তির জন্য নির্ধারিত হারে কর প্রদান করলে এবং নগদ, সিকিউরিটিজ, ব্যাংক আমানত ও সঞ্চয় স্কিমসহ অন্যান্য সম্পদের ওপর ১৫ শতাংশ কর দিলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আড়ালে সাজানো নাটক চলছে

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বললেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের আড়ালে দেশে সাজানো নাটকীয়তা চলছে। এছাড়া ডিএমপির নিষিদ্ধ এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিক্ষোভ করার ঘটনায় সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।জাতীয় প্রেসক্লাবে সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দীন পিন্টুর স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, নাসির উদ্দিন পিন্টুকে আজ যেভাবে স্মরণ করা হচ্ছে, এই নাসির উদ্দিনদের মতো হাজারো নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে আজকের এই বিএনপি।

এসময় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে লাগাতার আন্দোলনকে নাটক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, কোনো অপকর্মের আগে শেখ হাসিনাও মানুষের দৃষ্টি সরাতে এমন কৌশল অবলম্বন করতেন। বিএনপি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিরোধিতা না করলেও একটি অজনপ্রিয় দল শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপিকে হেয় করছে।

তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে চায় তারা দেশ ও জনগণের শত্রু। কারণ আওয়ামী লীগকে বিএনপি কখনো আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না। ১৭ বছর যাদের কাছে নির্যাতিত হয়েছে বিএনপি তাদের পুনর্বাসন করবে; এটি যারা বলে তারা বিএনপিকে হিংসা করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ভিআইপি ট্রিটমেন্ট নিয়ে দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, অথচ সরকার কিছু জানে না; তারা কী জানে?

তাছাড়া, প্রশাসনে বিএনপি নিধন করে আওয়ামী-জামাতপন্থিদের স্থলাভিষিক্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস।

তিনি বলেন, অনেক উপদেষ্টা যারা দেশের নাগরিক না, তারাই দেশ পরিচালনা করছে। মনে হচ্ছে ঔপনিবেশিক শাসন চলছে দেশে। করিডর নিয়ে জামায়াত-এনসিপি কেউ কথা বলছে না।

সেন্টমার্টিন, সাজেক নিয়ে এনসিপি কেন কথা বলছে না— দলটির কাছে এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা আব্বাস বলেন, বিশ্বের ডিকশনারিতে মানবিক করিডর বলে কিছু নেই। প্রয়োজনে একেকটা নাম দিয়ে এসব বানানো হচ্ছে। আমরা কেন সেন্টমার্টিন যেতে পারবো না, আমি এনসিপির ভাইদের বলতে চাই আপনারা এই বিষয় নিয়ে কথা বলেন না কেন। দেশ ভালো অবস্থানে নেই। আবার আমরা শুনতে পাচ্ছি মানবিক করিডর দেওয়া হবে, কেন কার স্বার্থের জন্য করিডোর, জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনও করিডর দেওয়ার অধিকার এই সরকারের নেই।

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে। বিভিন্ন মিশন চালু হচ্ছে। সব অপকর্ম ইচ্ছাকৃতভাবে করছে সরকার, সরকার কারও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করছে, এটি দেশপ্রেমিক সরকার নয়।

এসময় মানবিক করিডোর নিয়ে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নীরবতা তুলে ধরে বিস্ময় প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। বিএনপি ছাড়া করিডর নিয়ে কেউ কথা বলছে না। জামায়াত, চরমোনাই কেউ কথা বলছে না। বিএনপিকে শেষ করতে পারলেই আওয়ামী লীগের মত দেশ লুটেপুটে খাওয়া যাবে।

নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে সংগঠনের আহ্বায়ক সাইদ হাসান মিন্টুর সভাপতিত্বে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ওলামা দলের মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক প্রমুখ।


আরও খবর



শামীম হাসান এক অভিনেত্রীকে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

নাম প্রকাশ না করা একজন অভিনেত্রী :

শামীম হাসান সরকার নামে একজন ভাঁড় আছে।। সে গতকাল একজন অভিনেত্রীকে প্রকাশ্যে ধ*র্ষ*ণের হুমকি দিয়েছে।। সেই সেটের ডিরেক্টর থেকে শুরু করে সবাই নাকি চুপ ছিল!! চিন্তা করেন এদের অবস্হা!! 

এদের মানসিকতা!! 

গত ২ বছর আগে উত্তরা একটি স্যুটিং হাউজে বুদ্ধিজীবী দিবসে ওর সাথে আমার কাজের সিডিউল হয়।। আমি এডিকে বলি আমাকে ২ টার মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে।। কারণ আমি চারটার মধ্যে গাজীপুর সদরে থাকবো।। জেলা প্রশাসকের অনুষ্ঠানে আমি আমাকে আবৃত্তি করতে হবে।। সেদিন আমার খুব জ্বরও ছিল।। মেকআপ রুমে যাওয়ার পরে,,ওর সাথে এডি আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয়।। এই ভাঁড়ের সাথে ঐদিনই আমার প্রথম কাজ ছিল।। পরিচয়ের পরে হাই হ্যালো হলো।। এবং এডি ওকে বলেওছিল আমার খুব জ্বর।। বলেছিল আপুরতো জ্বর তাহলে এসিটা কমিয়ে দিয়ে গেলাম।। মেকআপ রুমে আমি,,ভাঁড় আর মেকআপ আর্টিষ্ট।। আমি বসে বসে স্ক্রিপ্ট পড়ছি।। আর ভাঁড় জোরে জোরে ইংরেজি গান,,হিন্দি গান বাজাচ্ছে।। এবং এসিটাও বাড়িয়ে দিলো।। ওকে যে এডি বলে গেলো আমার জ্বর তাতে ওর কোন মাথাব্যথা নেই।। আমার মেজাজ খারাপ হচ্ছিল।। তবুও সিনিয়র যেহেতু আস্তে করে উঠে গিয়ে বললাম ভাইয়া একটা কথা বলবো!! ও বলে বলেন।। আমি বললাম আমার তো খুব জ্বর এসিটা কমালে খুব ভালো হতো।। আর গানের সাউন্ডও নিতে পারছিনা।। এবং আজও বুদ্ধিজীবী দিবসও,, চলুন বাংলা গান শুনি।। এ কথা বলতেই ও মেকআপ আর্টিস্টের সামনেই আমাকে বলে আপনার জ্বর আমি কি করবো!! আপনি বাইরে যান।। আর আপনি আমাকে ইন্টেলেকচুয়ালিটি শেখাচ্ছেন!! মানে একদম চেঁচিয়ে।। মনে হচ্ছিল সে পারলে গায়ে হাত তুলবে।। একজন নারী সহকর্মীর সাথে তার এমন আচরণ আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।। স্বাভাবিক বিষয় শুরুতে আমি হতভম্ব হয়ে গেছি।। কিন্তু পরে বলেছি মেকআপ রুম আপনার একার নয়।। মেকআপ রুম আমাদের সবার।। এক কথায় দুই কথায় দুজনেই কথা কাটাকাটি করি।। ডিরেক্টর এবং এডি এসে দুজন কে দুই রুমে নিয়ে যায়।। পরে ওকে ঠান্ডা করে।। আমাকেও করে।। পরে ও আমার সাথে কাজ করবে বলে।। কিন্তু আমি বলেছিলাম এক কোটি টাকা দিলেও আমি ওর সাথে কাজ করবো না।। সেট ছেড়ে চলে এসেছিলাম।। কিন্তু আমি তো ডিরেক্টর আর এডির জন্য ওখানে আর কথা বলতে পারলাম না।। সেও পারেনি আর।। আর সবকিছু মিলিয়ে সেটে অনেক কিছু ঘটলেও আমাদের আগে কাজ নামানোর কথা চিন্তা করতে হয়।। কারণ টাকার কাজ।। অনেক ইনভেস্টমেন্টের কাজ।। কমিটমেন্ট সবকিছু মিলিয়ে।। অনেক কিছু সহ্য করে চুপ থাকতে হয়।। আমি চলে আসি।। তারপর জেলা প্রশাসকের অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করি।। বাট আমি একজন আর্টিস্ট,, আমাকে মেকআপ আর্টিস্টের সামনে রুম থেকে বের হয়ে যান বলাটা মাথা থেকে সরাতেই পারছিলাম না।। এবং চূড়ান্ত অপমানই করেছিল একজন নারী সহকর্মী হিসেবে।। পরের দিন ওর জন্মদিন ছিল।। মোবাইল খোলার পরেই দুপুরে প্রথম কলটা আমার যায়।। আমি ওকে বলি গতকাল তো তোকে আর কিছু বলতে পারিনি।। তোকে আমি জু*তা দিয়ে পিটাইতে চাই।। তোর হেডম থাকলে তুই আমার সাথে আবার দেখা কর, 

২ মিনিট কথা বলার পরে ও কেটে দেয়।। এটা নিয়ে ডিরেক্টর কে আবার বিচারও দিছিলো।। হা হা হা 

ডিরেক্টর ভাইয়া এবং এসেস্টেন্ট ডিরেক্টর দুজনেই খুব ভালো।। তাঁরা আমাকে সরি বলেছিল।। এবং ঘটনার সময়ও আমাকে এবং ওকে দুজনকেই থামিয়েছে।। তাই সংগত কারণেই আমি তাদের নাম বলছিনা।। 

ওকে ওর জন্মদিনে জুতা দিয়ে পিটাইতে চেয়ে আমি ওকে সেদিন সেরা উপহারটা দিছিলাম।। এবং সেটেই বলছিলাম আপনি তো একজন ইউটিউবার।। মোবাইলে ওকে ভাঁড় বলেছিলাম।। তারপর আমার শান্তি হয়েছিল।। 

এখন এই গাঁজাখোর,,অভদ্র,,এবং ধর্ষক মন মানসিকতার লোককে যেন সকল ডিরেক্টর,,এবং অভিনয় শিল্পী সংঘ বয়কট করে।। এবং কোন নারী কো-আর্টিষ্ট যেন ওর সাথে কাজ না করে।। এটাই আমার প্রত্যাশা থাকবে।। শামীম হাসান সরকার কে বয়কট করুন 


আরও খবর



দ্রুতই তারেক রহমানের দেশে ফেরার ইঙ্গিত

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

চার মাস পর লন্ডন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ দেশে ফিরেছেন। তার সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনও ফিরেছেন। দেশে ফিরেই তিনি দ্রুতই তারেক রহমানের দেশে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন।রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ ইঙ্গিত দেন তিনি।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত এই চিকিৎসক বলেন, জুবাইদা রহমান এসেছেন। ১৭ বছর তাকে সরকার আসতে দেয়নি। তাদের মেয়ে জাইমা রহমান কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে একটা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। ইনশাআল্লাহ, সেই দিন আর বেশিদিন নেই- দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান এই মাঠে এসে নেতৃত্ব দেবেন।

তিনি আরও বলেন, ব্রিটেন থেকে যে নেতৃত্ব তিনি দিচ্ছেন, অর্থাৎ শুধু বিএনপির নয়, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিতে অল্প কিছুদিনের মধ্যে তিনি চলে আসবেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. জুবাইদা রহমানকে নিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে তিনি দেশে এসেছেন। সময় বলে দেবে তিনি কতদিন থাকবেন। তবে আবার সেখানে ফিরে গিয়ে স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে সবকিছু গুছিয়ে দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।

গত জানুয়ারিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আসেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। পুরো সময়ে লন্ডনে ছিলেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ।

সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পারায় দেশবাসীর প্রতি শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ ব্যাপারে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, দেশে ফিরতে খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ ১৭ ঘণ্টার ভ্রমণ করতে হয়েছে। এতে শারীরিকভাবে ক্লান্তি থাকলেও মানসিকভাবে সুস্থ রয়েছেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন এখনও আগের মতোই দেশের মানুষের পাশে থাকতে চান বলেও উল্লেখ করেন তিনি।


আরও খবর



পৃথিবীর জন্য আশার বাতিঘর হতে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ মে ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার বিশ্ববাসীর উদ্দেশে বলেছেন, বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি করার সুযোগ এসেছে। এটি এমন এক চুক্তি যেখানে রাষ্ট্র ও জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা, ঐতিহ্য, ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং সুযোগের ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যৎ একত্রে গড়ে তুলবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা পৃথিবীর জন্য আশার এক বাতিঘর হিসেবে দাঁড়াতে চাই এবং আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের আহ্বান জানাই অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক চুক্তি পুনর্লিখনের জন্য, পাশাপাশি সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের ভূমিকা অন্বেষণ করতে, যা প্রান্তিক জনগণের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়ক।

প্রধান উপদেষ্টা আজ কাতারের দোহায় ‘আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এটি এমন এক সামাজিক চুক্তি যেখানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও প্রান্তিক জনগণের ক্ষমতায়ন মৌলিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে একটি সহনশীল, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যতের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তবে এখন এমন নানা হুমকি রয়েছে যা আমাদের উন্নয়নকে বিপথে ঠেলে দিতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একসময় পার করছি যেখানে বহুপাক্ষিকতা হুমকির মুখে, জলবায়ু পরিবর্তন দ্রুততর হচ্ছে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে এবং মানবিক সংকট গভীরতর হচ্ছে। নতুন নতুন নীতিমালা, প্রযুক্তি এবং শাসন পদ্ধতি আমাদের পৃথিবীকে দ্রুত রূপান্তরিত করছে, যা অতীতের অনেক অনুমানকে অচল করে দিচ্ছে।

এমন প্রেক্ষাপটে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার পুনরুজ্জীবনের প্রয়োজন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আসুন আমরা সাহসী হই। একটি এমন পৃথিবী গড়ি, যেখানে কেউ এতটা দরিদ্র না হয় যে সে স্বপ্ন দেখতে না পারে এবং কোনো স্বপ্ন এত বড় না হয় যে তা অর্জন করা যায় না।

তিনি আরো যোগ করেন, ‘ভবিষ্যৎ এমন কিছু নয় যা আমরা উত্তরাধিকার হিসেবে পাই। এটি এমন কিছু যা আমরা তৈরি করি। এবং আমাদের প্রত্যেকেরই এতে একটি করে ভূমিকা রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের উদ্ভাবন, সহমর্মিতা এবং সম্মিলিত কর্মকাণ্ডের সক্ষমতাও ব্যাপক।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, কাতার যেভাবে আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছে, তা দেখাচ্ছে কীভাবে একটি দেশ উদ্ভাবন, ঐতিহ্য ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট, সামাজিক বৈষম্য এবং কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ মোকাবিলা করতে পারে।

অধ্যাপক ইউনূস তার মূল বক্তব্যে সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন।

তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন শেখ মোজা বিনতে নাসের এবং ভাইস চেয়ারপারসন ও সিইও শেখ হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানিকে সময়োপযোগী ও চমৎকার এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

দোহায় আজ শুরু হওয়া দুদিনব্যাপী আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে— ‘আমাদের উত্তরাধিকার গড়ে তোলা: স্থায়িত্ব, উদ্ভাবন ও ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান’


আরও খবর



২০ মাস পর ২২ বিলিয়নের ওপরে রিজার্ভ

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ মাস পর আবার ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আজ রিজার্ভ উঠেছে ২২ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে সর্বশেষ ২০২৩ সালের আগস্টে রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারে। সেখান থেকে পরের মাসে কমে ২১ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। এর পরে আর ২২ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, অর্থপাচার কমে যাওয়ায় বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়ছে। রপ্তানিতেও উচ্চ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। সে কারণে রিজার্ভ বাড়ছে। ডলারের দরও স্থিতিশীল রয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এটা সুখবর।

দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল ২০২২ সালের আগস্টে। সেখান থেকে প্রতি মাসে কমতে–কমতে সরকার পতনের আগে গত জুলাই শেষে ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। তবে সরকার পতনের পর রিজার্ভ থেকে কোনো ডলার বিক্রি করছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বরং বাজার থেকে ডলার কেনা হচ্ছে। একই সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আগের ৩২০ কোটি ডলারের দায় পরিশোধ করা হয়েছে। এরপরও রিজার্ভ বাড়ছে। আবার ডলারের দরও অনেক দিন ধরে ১২২ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে।


আরও খবর